এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গোটা আর জি কর পর্ব সামলানোতে মমতার প্রশাসনিক দক্ষতা সুপ্রতিষ্ঠিত

    kalyan sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৬২ বার পঠিত
  • গোটা আরজিকর পর্ব সামলানোতে মমতার প্রশাসনিক দক্ষতা সুপ্রতিষ্ঠিত
    -- কল্যাণ সেনগুপ্ত

    ৯ই আগস্ট আরজিকরএ সেই ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। কত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ আন্দোলন, জাস্টিসের নামে ডাক্তারদের নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির আন্দোলন ইত্যাদি বহু কিছু রহস্য রোমাঞ্চ ঘটনার সাক্ষী থাকলো রাজ্যের মানুষ। গরীব মানুষেরা দীর্ঘকাল চিকিৎসাহীন দুঃসময়  কাটাবার পর অবশেষে ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলনে ক্ষান্ত দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনে। তার আগে অবশ্য নানাবিধ নাটকীয় ঘটনার উপাদানে ভরপুর ছিল এই দ্রোহকাল। ইতিমধ্যে বাঙালির সেরা পূজা ও উৎসবের কাল এল এবং শেষ হলো। এলো ৬টি আসনের উপনির্বাচন। সেটা নিয়েও উৎসুক্য ছিল, এতবড় ও দীর্ঘ আন্দোলনের কোন প্রভাব ভোটে পরে কিনা? সেই ভোটের ফলাফলও এখন সবার জানা। সেকারণেই এখন গোটা বিষয়টির একটা পর্যালোচনা করা যেতে পারে।

    নবান্নে আলোচনার শেষে অনশন প্রত্যাহার ও ধর্মঘটের কর্মসূচি বাতিল করার সঙ্গেই রাজ্যব্যাপি অশান্তি ও অস্বস্তির অবসান ঘটলো, গরীব রোগীরা রক্ষা পেল চিকিৎসাহীনতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে। সবচেয়ে সুখের কথা এটাই। বিগত দু আড়াই মাস ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে গরীব মানুষকে এবং মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় দুর্বল জায়গা ছিল এটাই। সেকারণেই তিনি সরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ছিলেন অত্যন্ত উদগ্রীব। পুজোর আগেই তিনি বিষয়টা মিটিয়ে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু নানাধরনের প্ররোচনার ফাঁদে পড়ে জুনিয়র ডাক্তাররা এমনই এক অনড় মনোভাব দেখান যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে আধঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে, এমনকি হাত জোর করে অনুরোধ করেও তাদেরকে আলোচনায় বসানো যায়নি। ফলে পুজোর আগে আর কোন সমাধান সম্ভব নয় বুঝে রনে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হন।

    অতঃপর ধর্মতলায় আমরণ অনশন রিলে অনশনে পরিণত হয় এবং এর ধার কমতে থাকে। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারদের কেউ কেউ একটি লাশ চাইলেও অনেকেই উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন এর দ্রুত অবসান ঘটাতে। ফলে জট খুললো, আলোচনা হোল এবং শেষ পর্যন্ত সমস্যা মিটলো। সিএম একদিকে যেমন কড়া নজর রাখছিলেন যে কোনভাবেই যেন চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতি কিছু কারোর না হয়, অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের মনোভাবেও যে পরিবর্তন হচ্ছে, সেটারও খোঁজ রাখছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন এদের দম ফুরিয়ে আসছে। ফলে তিনি মুখ্যসচিব সহ অন্যদেরও মঞ্চে পাঠালেন, ফোনে কথাও বললেন এবং যথাসময়ে নবান্নে সেই কাঙ্খিত আলোচনা হোল। কিন্তু ছাত্ররা হলে ঢুকেই সঠিক বুঝতে পারলেন কিনা জানা গেল না যে, মিটিংয়ের লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে। কিন্তু জানলে বা অবাক হলেও আপত্তির কোন জায়গা ছিলনা, যেহেতু আগেই এটা তারা দাবি করেছিলেন। এর আগে যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি উঠেছিল তখন পরিস্থিতি এতখানি নেত্রীর অনুকূলে ছিলনা এবং তখন জুডারা কি কৌশল মাথায় রেখে, কি ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা সভায় ঘটাতে পারে, সেরকম কোন ধারণাও ছিলনা। এছাড়াও পূর্বের সভাগুলোর শেষে মাইনুটস ফাইনাল করা নিয়েও ঘণ্টা পর ঘন্টা টানা হ্যাঁচড়া চলেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, ফলে লাইভ স্ট্রিমিং হলো ও তিনি দাপটের সঙ্গে সভা চালালেন। গোটা রাজ্যের মানুষ সবটা দেখলেন ও বুঝলেন।

    এতবড় একটা ঘটনার শেষে অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন, অনেকেই আনন্দিত হলেন আবার অনেকেই বেশ হতাশ হলেন। অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন যে, জুডাদের দশ গোল দিয়ে দিলেন মমতা। কিন্তু একদা, চুপচাপ ফুলে ছাপ - এর লেখক সাংবাদিক  এবং এখন চূড়ান্ত  মমতা বিদ্বেষী  ইউটিউবার সুমন চট্টোপাধ্যায় এই আলোচনার পরিণতিতে চরম হতাশা ও ক্রোধে বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের সাথে বিগত কানপুর টেস্টের ১ম ইনিংসে ভারতের ৪৬ রানের চেয়েও খারাপ পারফরম্যান্স জুডাদের। রাগের চোটে মমতাকে অত্যন্ত 'ক্লেভার' বলে প্রশংসাও করে ফেললেন মনের অজান্তে। কী কী প্রশ্ন এদের উত্থাপন করা উচিৎ ছিল কিন্তু করেনি, তার লম্বা ফর্দ শোনালেন। আসলে এতদিন ধরে স্বপ্নে বোনা জালের এমন করুন পরিণতি চোখের সামনে দেখতে হলে মন ভেঙে যাওয়া স্বাভাবিকতো বটেই।

    এই প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, এলিট শ্রেণী অর্থাৎ শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেনীর একটা বড় অংশই সরকার বিরোধিতায় মুখর ছিল। এদের প্রায় সবাই মমতার বিরুদ্ধেই ভোট দেন, কিন্তু ভোটে হারাতে ব্যর্থ হন। একের পর এক ভোটে এই ব্যর্থতা তাদের অনেক বেশি ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। জুডাদের এই আন্দোলন তাদের মনে এক বিরাট আশা জাগিয়েছিল যে, অতীতের সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মতোই অনুরূপ প্রতিক্রিয়ায় মমতা সরকারও বিদায় নেবে। কিন্তু তেমন কিছু হবার লক্ষণ শেষপর্যন্ত দেখা গেল না। যে ধৈর্য ও নমনীয়তার সাথে মমতা এমন এক কঠিন বিষয়কে মোকাবিলা করলেন, যা এককথায় অভূতপূর্ব।

    দিনের পর দিন জনজীবনকে যথেষ্ট বিপর্যস্ত করে যেভাবে আন্দোলন হয়েছে রাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসে তা প্রায় নজিরবিহীন বলা যায়। পুলিশের উপর বেশ কয়েকবার আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ অত্যন্ত সংযত ছিল। রাজ্যবাসীর মনে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছিল যে, এর পরিণতি কি হতে পারে অথবা এর শেষ কোথায়? দেখা গেল, একদিকে জুডাদের আন্দোলন এবং এর পাশাপাশি এই আন্দোলনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সরকার বিরোধী প্রতিবাদী কার্যকলাপ চালানো হোল দলীয় পতাকা না নিয়ে। টলিপাড়ার কিছু পরিচিত বা অপরিচিত মুখ এতে যোগ দিয়ে সরকার বিরোধী বেশ গরমাগরম বয়ান দিয়ে বেশ জমিয়ে দিয়েছেন এই প্রতিবাদ উৎসব। এমনই এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে কি ভাবে সরকার আবার সব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে, সেটাই ছিল দেখার ও বোঝার।

    মমতার নেতৃত্বের চমৎকারিত্ব এখানেই যে, সম্পূর্ন এক প্রতিকূল তথা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে সামলাতে অসম্ভব ধৈর্য, ঘটনার নিখুঁত পর্যবেক্ষণ, পরিস্থিতির সঠিক অনুধাবন ও তদানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গোটা পর্বটি তিনি সামলালেন এক চূড়ান্ত অভিজ্ঞ প্রশাসনিক দক্ষতায়। শত প্ররোচনা সত্বেও কোন ফাঁদে পা দেননি, ঠান্ডা মাথায় পুলিশ প্রশাসনকে এক অদ্ভুত বেনজীর দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন অনুকরণীয় রূপে। প্রশাসকরূপে নিজেকে উন্নীত করেছেন অন্যতম বড় একটি রাজ্যের শ্রেষ্ঠ কর্ণধাররূপে। বিরোধী শক্তিসমূহের সমস্ত কুট কৌশলকে পরাস্ত করে এক মহা চ্যালেঞ্জ জিতে নিলেন শিক্ষণীয় এক চূড়ান্ত বোধবুদ্ধি সম্পন্ন কর্মকুশলতায়।

    এরাজ্যের মমতা বিদ্বেষী লোকজনেরা মনে করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রূপে তাঁর পূর্বসূরীদের তুলনায় মমতা সম্পূর্ন যোগ্যতাহীন, একজন ফালতু মহিলা। এদের অবজ্ঞাজনচিত মন্তব্য ও নিন্দে মন্দের তোড়ে ভদ্রতা সভ্যতার সব সীমা লঙ্ঘন করে যায়। অবশ্য এতবড় সাফল্যের পরেও তাদের মুখ বন্ধ হবেনা বা যাবতীয় ক্রোধ কমবেতো নাইই বরঞ্চ বৃদ্ধি পেতে পারে আরও বেশি মাত্রায়। গণতন্ত্রে অবশ্য এমনটা অস্বাভাবিক নয় মোটেই, বরং এটাই বাস্তব। তবে হ্যাঁ, যুক্তিতে বিশ্বাসী, কিছুটা খোলামেলা মনের ও নির্দিষ্ট কোন একদিকে না ঝুঁকে থাকা মাঝামাঝি অবস্থানকারী অনেকেই কিন্তু এখন বিরোধিতার মত বদলে কিছুটা পুরোনো অবস্থানে ফিরছেন বা খানিকটা মমতার দিকে ঝুঁকছেন।

    একথা অনস্বীকার্য যে, ৯ আগস্ট আরজিকরে ঘটে যাওয়া চূড়ান্ত নির্মম ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে  দু তিনমাস ধরে চলা বিভিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলনের ফলে অতীতে, মমতার ১৩ বছরের অধিক শাসনকালে বিরোধী শক্তির এতবড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি। পুলিশ বাহিনীর অনেকেই বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে গুরুতর চোখের আঘাত এবং রক্তাক্ত হয়েও লাঠি গুলি না চালিয়ে যেভাবে অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে গোটা পর্বটি সামলেছেন,  সেটিও একথায় বলা যায়, নজিরবিহীন ও চূড়ান্ত প্রশংসনীয়। আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতিতে বড় রদবদল না ঘটলে, মমতা দলের অভ্যন্তরীণ গোলমাল সামলাতে ব্যর্থ হলে বা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কোন বড় ভুল না করলে বিরোধীপক্ষের বিশেষ আশার আলো কিছু দেখা যাচ্ছে না নিকট ভবিষ্যতে। সাম্প্রতিক ৬টি উপ নির্বাচনের ফলাফল সেদিকেই ইঙ্গিত করে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • জ্জ্যায় দিদি | 2405:8100:8000:5ca1::311:***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫০539764
  • ভাল হয়েছে। এবার মমতার রচনার সাহিত্যগুণের সুখ্যাতি করে একটা লেখা আশা করছি।
  • 080 | 49.207.***.*** | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩০539768
  • পশ্চিমবংগের সব থেকে পরিণত ও ধুরন্ধর রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্ব মমতা বন্দ‍্যো। ধারে কাছে কেউ নেই। তিনি বাজে কবিতা লেখেন বা বেসুরে গান গেয়ে থাকেন বা ভুলভাল অন‍্য ভাষা বলেন তাতে রাজনীতিক হিসেবে তাঁর কোন ঘাটতি হয়না। তাঁকে সরাবার মতো কোন রাজনীতিক কোন দলেই নেই। আজ জুডাদের আন্দোলনে জুড়ে যাওয়া বা কোভিডে রেড ভলান্টিয়ারদের দুর্দান্ত সেবা কিন্তু তাদের রাজ‍্য পরিচালনাতে কোয়ালিফাই করেনা। যে ছেলেটি পাড়ায় মড়া পোড়াতে সবার আগে এগিয়ে আসে,বা লোকের অসুখে রাত জাগে তাকে প্রশাসক হিসেবে লোকে গ্রহণ না ই করতে পারে। তাই বামেদের তরুণদের সেবা লোকে নিলেও সেটা ভোটে পরিণত হয়না কারণ লোকে বুঝতে পারেনা তারা কিভাবে রাজ‍্যটাকে বেটার চালাবে। আর বাকি দুটো দলে কহতব‍্য নেতাই নেই। 
  • ri | 2405:8100:8000:5ca1::cd:***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৫৫539769
  • ভারতবর্ষে যেমন মোদি জি। ধারেকাছে কেউ নেই।
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৩১539922
  • মোদি তিন বার পি এম হলেন। মমতা ও সি এম হলেন। ভোটে জিতে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করলেন।
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন