এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  পুজো ২০১০

  • মানুষের কাছে বাঘের গল্প

    ঋতেন মিত্র
    ইস্পেশাল | পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৬৫৯ বার পঠিত

  • কিছু গপ্পো পাকা ঢ্‌প, কিছু কাঁচা, বাকিটা পরিসংখ্যান। বাঘের গপ্পো খানিকটা করে তিনটেই। আর সব ঢপের গপ্পোই যেহেতু এক একটা ছোটখাটো শিকার - (যেমন ভূত প্রেত ও জাতিস্মরদের আখ্যান) - তাই ফুটনোটে একটা টোপের মত প্রশ্ন বাঁধা থাকবেই থাকবে, যার নকল উদ্দেশ্য শ্রোতা/পাঠকের সন্দিগ্ধ মনের পুষ্টিকরণ হলেও, আসলটা হল বিশ্বাসের বঁড়শিতে গেঁথে অতীতের ক্রুজে তুলে নিয়ে আসা। বেঘো গপ্পের ক্ষেত্রে প্রশ্ন-টা হল:--- ছালটা এখন কোথায়? এটা জানা জরুরি। না তো গপ্পো বলিয়ে তোমার বড় পিসে, মেজ জ্যেঠু, বা বাবার বাবা হলেও, তুমি তার হাত ধরবে কি করে। এটুকু আশ্বস্ত হবে কি করে দেশের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ইংরেজ আমলের বন্দুক, সাহেবদের থেকে পাওয়া মেডালে, এবং অন্যান্য বেঘো স্মৃতির থেকে আলাদা হয়ে ছালটার একটা প্রত্যক্ষ অস্তিত্ব আছে। তবেই তুমি না সেই আত্মীয়দের অনন্ত সারিতে যোগ দেবে, যেখানে প্রত্যেক বন্দুকধারী মানুষ-পিছু একটা করে বাঘের চোখ। জানবে, পলকা বিন্দুর ঘনত্ব খুঁড়ে গুলি ছুঁড়ে যাওয়াই তোমাদের ইতিহাস। তোমার পূর্বপুরুষের ইতিহাস।

    উত্তর বাংলার কোনো এক ঘন জঙ্গল-সন্ধ্যায় সাফারিতে হাতির পিঠে শোনা গপ্পের বৈশিষ্ট্যই হল সুদক্ষ পরিচালকের মত শ্রোতাকে দিয়ে এক্টো করিয়ে নেওয়া। পরে,অবচেতনে। সেই আধ-খ্যাঁচড়া স্বপ্নে তোমার সাথে সেই মানুষটার দেখা হবে, যার জন্য ছালটা নিয়ে পরে গল্প করা যায়। সে অবশ্যি ছবি বিশ্বাস বা অমরিশ পুরী টাইপ হবে। বাঘা লোক এদেরকেই বলে। কিন্তু তুমি তার থেকে কোন ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্তর পাবে না,কেননা সে পশুর মতই নির্বাক। তখন ঝাড়ের আলোয় তোমার মনে হতে পারে, সোফায় বসা, পলকা রোব পরা আর্ধেক কুঁজো মানুষটা নিজেই একটা জলজ্যান্ত বাঘ, যেটায় কোন দোষ বা কল্পনার আধিক্য নেই। কারণ বাঘরাই সেই ল্যাদখোর ওত পেতে থাকা জাত, যারা গপ্পের ভারে একদিন বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। খালি লেজ নাড়িয়ে নাড়িয়ে সহজাতিদের দেহের গন্ধ শুঁকে জরিপ করে নেয় কে কত বড় মানুষখেকো। তারপর একটা মাগাড়ে দেঁতো হাই তুলে পুরনো স্লেট পরিষ্কার করে নেয়। এটা তাদের সেই পুরনো আমলের অভ্যেস যখন বাঘ মানুষ ইঁদুর বলে আলাদা কিছু ছিল না। সবাই সবকিছু, কেননা সমস্ত কিছুই সমস্ত কিছু হবার পথে। বিবর্তন সবে সেই পোকার রাঊন্ডে পৌঁছেছে যখন বাঘ মানুষ, ছাড়া বাকি প্রাণীরা ফোল্ড করে গেছে। যদিও তারা নিজেরা নিজেদেরকে সেভবে চেনে না, তাই যে জিতবে তারই মুখে পড়বে ডোরাকাটা রাজার মুখোশ। সেরকমই একটা সময়ে,এক উদ্ধত ফিরে দাঁড়ানোর মুহুর্তে,মানুষ চিনেছিল তার আভিজাত্যের সহোদর - যেমন অনেককাল পরে বেসামাল হয়ে আয়নায় দেখেছিলে তোমার প্র-প্র-পিতামহ
    স্বমূর্তি-- আর তখনি মদ জুয়া নারীর মত সাবেকি আত্মহনন প্রক্রিয়ার ট্রিগারে হাত রেখেছিলে --।

    বাইরে বা ভেতরের কোন এক প্রবল আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াটাই চল কারণ এটা সেই আমলের কথা যখন সকাল সকাল উঠে চিড়িয়াখানা যাওয়া ছিল। ভোরে যাওয়াটা আবশ্যিক, নয়তো মেন ইভেন্ট-টাই মিস হয়ে গেল। "ঐ দেখ, দেখ বাঘুমামাটা এবারে মাংস খাবে,হালুম করছে ঐ দেখ, কাঁচা কাঁচা মাংস,' তোমার নকল-নবিশ শিশুমন অপেক্ষা করার স্টাইলটা গোপেনে রেকর্ড করতে থাকবে এক যুহান্তের জন্য, যখন মার্জিত অপেক্ষাবৃত্তির থেকে বেশি কিছু করার থাকবে, অবিশ্যি সে অনেক পরের কথা।

    ওসব এখন দূর, কারণ তুমিও সব কিছুর মত সব কিছু হবার পথে। ওর অনেক আগে তুমি জিম করবেট গিলে খাবে আর ডিস্কভারি থেকে শিখে নেবে মেক্সিকোতে সাদা বাঘদের জন্ম-মৃত্যু রহস্য। তারপর একদিন কি যে হবে, এক সকালবেলা তুমি ভুত প্রেত বাঘের গপ্পো ঝেড়ে ফেলে মানুষ-মানুষীর গপ্পো হাতে তুলে নেবে। আর সেই মানুষ-মানুষীর গপ্পো এমনি অদ্ভুত কাদাঁবে, যে তোমার মনে হতে পারে বাঘ ভয়ের হলেও একটা সহজ জিনিস ছিল।

    এরপরে বাঘদের ইতিহাস তুমি ভুলে থাকবে যদ্দিন না কলেজ থেকে, "সরকারী সফর' এর অজুহাতে তুমি সুন্দরবন যাচ্ছ। তোমার সঙ্গে যে নিপাট ভাল মানুষ প্রফেসরটি যাবেন, যার সাথে গণিত ছাড়া বাকি কিছুর সম্পর্ক নেই বললেই চলে, তুমি আশ্চর্য হবে তার বাঘদের নিয়ে আগ্রহে। বাঘদের নিয়ে স্ট্যাটিস্টিকাল গবেষণা তো একটা সংখ্যা বা বড়জোর এক টেবিলে সীমাবদ্ধ, তুমি ভাববে। এ নিয়ে কি বাঘের মাথা গাণিতিক অঙ্ক হবে? তবু তোমরা বোকা টুরিস্টের মত হন্যে হয়ে বাঘ খুঁজে বেড়বে আর যাবার আগে হোটেলের লবিতে একটা ছবির পাশে নিজেদের ছবি তুলে আনবে। খোঁচা খোঁচা দাড়িওয়ালা খুদে গবেষক তুমি আর হাফ-প্যান্ট পর ভালমানুষ মাস্টার। অন্য ছবিতে সূর্যাস্ত,ঘাস আর লেক। লেকের ধার দিয়ে একটা বাঘিনী তার বাচ্চাকে কোন সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, মুখ দিয়ে তুলে। ছবিটায় লেখা, 'ঢ়বনক্ষন তক্ষন ষশরঁ ৩২০০ ঢ়ভফনক্ষড় রনপঢ় ভশ ভশধভত' হোস্টেলে ছবিটা নিয়ে হাসাহাসি হবে খুব।

    আরো পরে তুমি একা একা দের্সু উজালা দেখে অদ্ভুতের থেকেও অদ্ভুত কাঁদবে। তখন তোমার মনে হবে তোমার পড়া শোনা গল্পগুলো আদতে মানুষের গল্প ছিল, আর এক আলুর মত গজিয়ে ওঠা একা আধা-আধ্যাত্মিক সত্তা নিয়ে ভাবার চেষ্টা করবে - সেই সব বৃদ্ধ শিকারীর কথা, যাদের মধ্যে নিহত বাঘেদের আত্মা ঢুকে বাঘ বানিয়ে দিয়েছিল। এই চিন্তাটা অবশ্য প্রাচীন মানুষদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া, যারা এত এত প্রাচীন আর এত এত দূরে যে পূর্বপুরুষদের লম্বা সারিতে তুমি তাদের মাথা দেখতে পাওনি ।

    এই প্রাচীনদের বন অনুযায়ী -- বাঘ আর মানুষ একই ধরিত্রী মায়ের সন্তান কেউ কাউকে চিনল না, একজন বাড়িতে থাকল তো আর এক জংলী হল। তারপর একদিন দুজনের মধ্যে লড়াই হল, যাতে মানুষ বিষাক্ত তীর দিয়ে বাঘ মারল। এই প্রথম বাঘ মারা। বাঘের হাড় দেখে দেবতার মনে হল এ তো কোন মানবী জঠরের। তাই দশ বছর হাড়ের ওপর বসে থাকলেন এই দেবতা। একশোটা বাঘ জন্মালো যাদের কিছু পাহাড়ে এল,কিছু এল না। তখন থেকে মৃত বাঘ আর মানুষদের মধ্যে আত্মার চলাচল শুরু হল। পাশের গ্রামে কোন বাঘ আহত বা নিহত হলে ওদের গায়ে ক্ষত চিহ্ন দেখ দেবে। বাঘ চাঁদ খেয়ে নেয় বলেই তো সূর্যগ্রহণ হয়। নাগারা এইভাবেই ভাবত। বাঘ মানুষদের কথা নানা দেশের লোকগাথায় পাবে। রাজপুতেরা ভাবত, ওরা
    সরাসরি বাঘ-বংশোদ্ভুত। মলয় দেশের জেম্বুল এলাকায় বাঘ মানুষদের নিয়ে তৈরি এক একটা বাঘ-গ্রামের কথা শোনা যায়। এদের পরিবারের লোকজন মরার পর বাঘ হয়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়। আর মৃতের সবথেকে আপনজন ছিল যে,তীব্র শোকে তার শরীরে লোম আর বাঘনখ দেখা দেয়,আর দেখা দেয় জঙ্গলে ছুটে যাবার প্রচন্ড ইচ্ছে। এরা বিপদ আপদে চলে আসে গবাদি, ফসল আর মুর্গি দেখভাল করতে, আবার কেউ কেউ আসে তাদের মানুষ আত্মীয়দের কুশল বার্তা নিতে। আত্মীয় বলে এখানকার মানুষ বাঘের মাংস খায় না। ইন্দোচীন এর মনোং প্রজাতিদের মতে মানুষ মারলে বাঘ নিজের কান কিছুটা খুইয়ে ফেলে,এইভাবে কানের ভগ্নাংশ দেখে ঠিক করা হয় কে কত মানুষ মেরেছে। আমরা যা পূজো করি আমরা তাই হয়ে যাই,তাই আমরা এক একেকটা পাথর, লিঙ্গ, স্রষ্টা। বম্বের উত্তরে ওরলিরা হয়তো সেই বিশ্বাসে বাঘ পূজো করত, খোদাই করা কাঠের মূর্ত্তিতে বাঘ-দেবের অধিষ্ঠান। বাঘ জঙ্গলের রক্ষক দেবতা --লোকালয় থেকে দুরাত্মা তাড়িয়ে রাখার দায়িত্ব শুধু তার। এদের মধ্যে চিকিৎসকদের ভগত, বা বাঘাউট ডাকা হয়। মানুষ অসুখ-সারিয়ে হলেও এদের ক্ষমতা তখনই আসে, যখন মৃত বাঘ তাদের শরীরে ভর করে। তখন তারা চারপেয়ে হয়ে গিয়ে গর্জন,মুখভঙ্গী করে। আর দিওয়ালির ঠিক আগে, পুথিবী যখন নতুন ফসলের ছক নিয়ে পোয়াতি, তরুণ ওরলির দল গেয়ে নেচে সবথেকে শক্তিশালী দেবতার পূজো সারে, কারণ বাঘ আছে বলেই অন্য দেবতারা আছেন।

    বাঘ আছেন,বলে আমরাও আছি। প্রায় সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকে লৌকিক আচারে বাঘের সাথে প্রজনন জড়িয়ে। হারপ্পার সিলে উল্টো উলঙ্গ নারীর পাশে দুখানা বাঘ শোভা দেয়। চীনে বাঘের চামড়া দিয়ে জ্বর সর্দি থেকে শুরু করে হেন অসুখ নেই যা সারানো যায় না। বাঘের মাংসে পেটের ব্যথা, মৃগী গায়েব। আর বাঘের নখে,দাড়িতে ভয় ডর। আর বাঘের লিঙ্গ! - সে তো ভায়াগ্রার বাবা। এক কথায় বাঘ ও তার শরীর - অমরত্বের সহজ প্রাকৃতিক রেসিপি।

    কিন্তু এই মুহুর্তে বিদেশের রাজপথে তোমার অমরত্বের চিন্তায় ব্যঘাত ঘটাচ্ছে ভশঢ়নক্ষশতঢ়ভষশতরং ভরধরভপন দষশড়নক্ষৎতঢ়ভষশ ড়ষদভনঢ়ঁ এর এক তরুণী ভলান্টিয়ার । হাতে লিফলেট নিয়ে সে না থেমে আউড়ে যাচ্ছে পরিসংখ্যান। ১৮৬০-১৯৬০ এ ২০০০ মত বাঘ শুধু উপমহাদেশে মারা হয়েছে। বলছে তোমারই দেশের কথা তোমার মনে হবে এই সব গল্পই তোমার জানা, কিন্তু তুমিও এখন অভিজ্ঞতায় একটা আস্ত বাঘ-মানুষ - তাই কিছু না বলে থাকবে, আর স্মৃতি হাতড়ে বেড়াবে ভাল মানুষ প্রফেসরের সাথে তোলা ছবির নিচে সংখ্যাটার জন্য, যার সঠিক মান তোমার মনে না পড়লেও তুমি নিশ্চিত থাকবে যে এই সংখ্যা অনেক অনেক কম, কারণ বাঘ মরে চলেছে, মরেই চলেছে। একটা উপলব্ধি জাঁকিয়ে বসছে ধীরে--বাঘের যত গপ্পো তুমি শুনেছ, দেখেছ, পড়েছ, পুজো থেকে শিকার থেকে বাঘের ছাল, আর অমরত্ব এর রেসিপি, সবি ধপ শুধু খাঁটি এই একটি সংখ্যা । এটার ওপরে আর কিছু থাকবে না। আর তুমি পুর্ব পুরুষদের কৃতকর্মের জন্য যত না লজ্জিত হবে, তত না বাঘ শিকারে সামিল হবার এক শেষ দুর্দমনীয় ইচ্ছের জন্য,সুযোগ পেলে। সেই অন্ধকার অভিযানে তোমার পেছে্‌ন একটি শিশু বাধা থাকবে, যে দরাজ মানসচক্ষু মেলে তোমার আর তোমার পূর্ব পূরুষদের কাহিনী গিলেবে,(কারণ তারা তো তারো পূর্বপুরুষ) , আর সন্দিগ্‌ধ জিজ্ঞাসা রাখবে -যে ছালটা এখন কোথায়। আর উত্তর দিতে দিতে তুমি টের পাবে, শিশু টির হাত জাপ্টে
    ধরেছে তোমার শার্টের পেছ্‌ন,-তুমি টের পাবে, একটা ডোরাকাটা বাঘ তার ভিডিও-গেম আচ্ছন্ন মগজের একটি কোনে এমন এক জোড়দার থাবা মেরেছে, যার থেকে নিস্তার শিশুটি হয়তো কোনদিনি পাবে না। কারন এই বাঘ টি (যদিও তখন আর কোন বাঘ থাকবে না), তোমার গপ্পে গুড়ি মেরে বসে থাকা বাঘ, বা সব মরে যাওয়া বাঘের আত্মা- যা তোমাকে বারবার সেই গপ্পোগুলোর কথা মনে করাবে, যেগুলো বরাবরই মানুষের গপ্পো ছিল।

    ছবি- সুমেরু মুখোপাধ্যায়
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৬৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন