এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • বংপুজোর সালতামামি

    ঋতেন মিত্র ও সোমনাথ রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ০৯ মে ২০১০ | ১৩৮৩ বার পঠিত
  • কে বলে বাঙালি ইতিহাসবিমুখ? রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মাটি খুঁড়ে মহেঞ্জোদারো আবিষ্কার করেছিলেন, আর ক্যালেন্ডার খুঁড়ে পুজোর সালতামামি আবিষ্কার করলেন ঋতেন মিত্র ও সোমনাথ রায়।

    ১৯৪১। এই সেই বছর, যখন "বাঙালির পুজোর ইতিহাস' নামক ম্যাদামারা মেগা-সিরিয়ালটির সাসপেন্স-থ্রিলার এপিসোডের শুরু হল। কি স্ক্রিপ্ট, আহা। প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনা। ভবানীপুরের বাড়ি থেকে সেই দুর্দান্ত এস্কেপ দিয়ে যা শুরু, আর আফগানিস্তান, রাশিয়া ও নানা এক্সোটিক ফরেন লোকেশান ও ছদ্মবেশ পেরিয়ে এসে লাস্টে যুদ্ধু তে গিয়ে শেষ! ভাবা যায়! তবু কী থেকে যে কী হইয়া গেল, চার বছরের মাথায় বাঙ্গালির স্বপ্ন অ্যাডভেঞ্চারের উড়োজাহাজটি তাইহোকু বিমানবন্দরে ডানা ভেঙ্গে পুড়ে ছাই। আর সেই ছাই চাপা আগুনে ঝলসাতে থাকে বঙ্গাভিমান ও পারসিকুশান ম্যানিয়া, যেখান থেকে নেহরু স্তালিন নিয়ে হাবিজাবি কন্সপিরেসি থিওরির নিত্য আনাগোনা। কমিশনের পর কমিশন বসে সেই ছাই উড়াইয়া মিলাইতে পারে না মিথ ও মিথ্যার হিসাব। কেন্দ্রের বৈমাতৃসুলভ আচরণের ট্রাডিশান তো স্রেফ সিপিএম জমানার নয়, ১৯৩৯ কংগ্রেস অধিবেশন হইতে সমানে চলিতেছে, যেমন বাড়িতেছে, প্রেসিতে ওটেন ক্যালানো থেকে বং ছাত্র মনে মাস্টার র‌্যাগিং এর নিষিদ্ধ কামনা। সঙ্গে রহিয়াছে পুজোর উপচার সহ তামাম বঙ্গজাতির অধীর প্রতীক্ষা, বুরবাক ক্যালেন্ডারের হিসেবে যা মোটে চৌষট্টি বছর পেরোলো।

    ক্যালেন্ডার বুরবাক, রিস্টওয়াচ জালি। কেবলমাত্র মুগুরছাপ খাঁটি বঙ্গ আবেগের ভরসায় থাকুন। কোনো চিন্তা নেই, শবরীর প্রতীক্ষা বৃথা যাবেনা, পুজো নিতে নেতাজি ফিরে আসবেন। জাস্ট আর একটু সময় দিন। উনি আছেন, ঘাপটি মেরে। সাইবেরিয়ার কারাগার ভেদ করে, মূক সাধুবাবার বেশ ত্যাগ করে উনি ফিরে আসবেন, পাঁচমাথা মোড়ের মূর্তির মতো উন্নত-লাঙ্গুল ঘোড়াটির পিঠে চড়ে বেনেভলেন্ট ডিক্টেটরের সামরিক সজ্জায় উনি ফিরে আসবেন, ধর্ম-সংস্থাপনার্থে যুগে যুগে উনি ফিরে আসবেন, উনি আসবেনই ...

    ১৯৭১। কলকাতা। দেয়ালে চ্যাপ্টা নাক চেয়ারম্যান, তুলসীতলায় রেড বুক। শুনতে থাকুন পিকিং রেডিও। হে মাও দেবতা, তব চরণে বলি হোক মোদের কেরিয়ার যৌবন, জীবন, এই বলিপ্রদত্ত ছেলেরা যে সেই গেল বনে, আর ফিরিল না। শ্রেণীশত্রুর রক্তে বসুন্ধরার পাপ নির্মূল করে ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা হলো ডেবরা-গোপীবল্লভপুরে, সুন্দরবনে।

    ভগবানের বঙ্গীয় প্রফেট চারু মজুমদার ভালই ডিরেক্ট করছিলেন খতম-যজ্ঞ। অসহিষ্ণু নব্য ধর্মর দাবী টা এট্টু বেশী, তাই লাইন করে ভাঙ্গ শালা পুরোনো ঠাকুরদের মূর্তি। সে ঠিকই ছিল, (এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের মূর্তি ভাঙবেনা তো কি পিডব্লুডি ভাঙবে?) কিন্তু চারুহীন বাঙালির আর সেই তেজ রইল না গো, অচিরেই রেনেগেডত্ব প্রাপ্ত হল। তবে প্রলেতারিয়েতধর্ম মরিতে মরিতেও মরেনা কিনা, তাই খবর হল, প্রায় চার দশক পর ফিনিক্স পাখির ন্যায় আবার সে এসেছে ফিরিয়া। মানে খোদ খোদা নন, চ্যালা চামুণ্ডারা আর কী। দিকে দিকে হই হই রব, বিপ্লব বিপ্লব গন্ধ, বারুদের দুমপটাশ, আর কী হয় কী হয় ভাব। ওদিকে অলরেডি যাঁরা রিটায়ার করে গেছেন, সেই পুরোনো ভক্ত দের মধ্যে কেউ কেউ চুক চুক করে নাক সিঁটকে বলছেন এহ, এরা তো এক্কেরে জালি। চকচক করিলেই সোনা হয়না, বোম ফাটলেই পুজো হয়না, কিন্তু যা রটে তার কিছু তো বটে। দেখা যাক, খেল আভি বাকি হ্যায়।

    ১৯৯৬। কে জানত বাঙালির "খেল' তখনও বাকি ছিল। ৯১ থেকে তো চাল মেরে বসিয়ে রেখেছিলিস, (পাতি হিংসে, আমরা জানি না বুঝি) কিন্তু আসলি পোতিভা যখন ৯৬ এ সুপ্তোত্থিত রয়াল বেঙ্গলের মত হুঙ্কার ছাড়ল, তখন হ্যায় কৌন রুখনেওয়ালা? জ্জিও দাদা। লর্ডসের মাঠে শার্ট হীন সেই বিজয়োল্লাসের বেহালাইয়া বাওয়ালি টাচের কাছে, কোথায় লাগে সালমান ফালমানের ফিল্মি এক্সপোজার। অ্যাটিটিউড,অ্যাটিটিঊড। যে বৌদি মাসীমাদের ব্র্যান্ড টা আগের যুগে ইডেনে কমলালেবু সহকারে খেলায় ন্যূনতম উৎসাহ নিয়ে পিকনিক করতে যেতেন (কিছুটা গাওস্কর পতৌদি ঝারিও ছিল এজেন্ডায়) তারাই ঘরের ছেলেটির কেরিয়ার ও খেলা (ও পারিবারিক জীবন) খুব আগ্রক সহকারে ফলো করলেন। ইন্ডিয়া ভোগে যাক, কিন্ত "ইশ্‌শ, সৌরভের ব্যাটিং দেখব বলে মাংস টা চাপিয়ে এলাম, এরি মধ্যে..' আক্ষেপ ছিল কমন। অফিসে, স্কুলে, কলেজে ওয়ার্ক কালচার কে ভোগে পাঠিয়ে দাদারা লড়ে গেলেন দাদার হয়ে। ক্লাইভ আর চ্যাপেল এখন একই অপমানের নাম, দ্রাবিড়ের মালার জন্য মাল সাপ্লাই করতে বাটা প্রায় লাটে ওঠে আর কী, দাদাহীন ম্যাচে দেশকে দুয়ো দেব সইবে আচ্ছা, আর হিরো শুন্য করে ম্লান বদনে নতমুখে প্যাভিলিয়ন এর দিকে পা বাড়ালে গ্যালারি থেকে হাঁক ছাড়ব "ওরে পাগলা, তুই কি একলা! নেচে নেচে আয়' (লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা)। কবি লিখেছিলেন "নেচে নেচে আয় মা শ্যামা'। সেই অমর গীতির সঙ্গে তুলনীয় এই দ্বিধাহীন আত্মসমর্পণের আকুতি আর কোনো মরঠাকুরের প্রতি বঙ্গসমাজ দেখিয়েছে কি?

    ২০২০। ধীরে বৎস, ধীরে। ঠাকুর কিছু কম পড়ে নাই। অন্তত: একজন কনস্ট্যান্ট, সে ১৯৯৬ হোক বা ২০২০। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছেন, হজ সাবসিডি তুলে দিয়ে তার ডাবল সরকারী খাজনা এ বছর থেকে জোড়াসাঁকো যাত্রীদের তরে নিবেদিত হইবে। আর হবেই বা না কেন, বছর টু বছর ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিস্ট দের ধাক্কায় বেসামাল কলকাতা। "অল রোডস লিড টু টুইন বোটস'। ডাবলিন এর "ব্লুমস ডে' অনুকরণে ২৫ শে বৈশাখ শহর জুড়ে যে মোচ্ছবটা হত তাই এখন চার দিন ব্যাপী হয়, ফ্লাড-লাইট সম আর্টিফিশিয়াল আলোক-বন্যার ঝকমারি তে মনে হয় দুনিয়ার আহ্নিক গতি উপেক্ষা করে রবি সাহেব মসনদে আসীন। আদিখ্যেতা? উঁহু। নাস্তিক বাঙ্গালী আদতে বড় ধার্মিক। এতদিন সেলফ-ডিনায়াল মোডে মার্ক্স, লেনিন নিয়ে বেশ মজে ছিল, তবে একটা আউটলেট ছিল ঠিকই। ছিল একটা ছোট্ট দেখে আধ্যাত্মিক সারেন্ডারের জায়গা, যেখানে একটাই ঠাকুর, রবি ঠাকুর। বঙ্গীয় খেঁকুরে আধ্যাত্মচেতনা এই গানগুলোই গেয়ে কাটিয়ে দিচ্ছিল সোস্যাল থেকে শ্রাদ্ধ, ধূপ-মালা, ডিসিপ্লিন, বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়কদের ঘাড় ঘোরানোর অ্যাঙ্গল থেকে কাশি টুকু মেপেজুকে পুরিয়ে নিচ্ছিল ধার্মিক পবিত্রতার নিষিদ্ধ স্বাদ, কিন্তু কেলো হল ২০১২ সালে। এন্টালীর ফাতিমা চার্চের রেভারেন্ড রঞ্জিত জোসেফ মন্ডল যখন গীতাঞ্জলি সহ সমগ্র পুজো পর্যায় রি-অনুবাদ করে পোপ কে পাঠালেন, আর যেই না পোপের ফতোয়া জারি যে বিশ্বজুড়ে চার্চ সং মানেই শুধুই এবং শুধুই রবীন্দ্রসঙ্গীত, বেথলেহেম থেকে বেলফাস্ট যেই মর্নিং মাসে কয়ের বাজাতে সুরু করল "সকাতরে ঐ কাঁদিছে,' ওমনি হা হা করে তেড়ে এসে জনতা রব তুলল "প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে গুরুদেব হাইজ্যাক মানছি না, মানব না'। সে সময় কিছু ফুটো আঁতেল সেইইইই আদি অনন্তকালের বস্তাপচা ডাইলগ ঝেড়েছিল "না ,মানে স্পিরিচুয়ালিটি আর অরগানাইজড রিলিজিয়ানের তো একটা তফাত আছে, রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বর আসলে যাকে বলে, ঐ, অন্তরাত্মা'। বুলশিট। ভগবান মানে ভগবান। নিরাবয়ব জিহোভার ও ছোটদের বাইবেলে একটা ছবি থাকে, দাড়ি থাকে। আলখাল্লা পরিয়ে দিলে কার মত দেখতে হবে বলা যায় না, তবে মোদ্দা কথা, এখন, এই ২০২০ সালে বাঙালি বুঝেছে। দেরিতে হলেও। তাই অবরুদ্ধ আস্তিকতার বাঁধ ভেঙ্গে এই কদিন ভেসে যায় কলকাতা।

    আমাদের আমলে বলা হত, ঠাকুর আমাদের আবেগের, দর্শনের,রাজনীতির সব সব খালি জায়গাগুলো পূরণ করে দিয়েছেন। কিছু হিংসুটে হনু আমাদের কিন্তু তখন মায়োপিক বলে গাল পেড়েছিল। "দ্য গড দ্যাট ফেইলড: ২' এর লেখকের দাবি ছিল "রবি ঠাকুর মানব সত্তার অন্ধকার দিকগুলির দিকে তেমন নজর দেননি, বরং ঐ পেটেন্ট প্রেম-আনন্দ-সৌন্দর্য ককটেল দর্শন এর পুনরাবৃত্তি বড় বেশি ওনার কাজ জুড়ে, ওঁর উপন্যাস গুলিও সেই দার্শনিক মতাবাদের বাহক বই কিছু নয়, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী পর্যায়ে ইউরোপে শিল্প-সাহিত্যের তুমুল ভাঙ্গা চোরা পরীক্ষার এর কোন প্রভাবই ওঁর কাজে নেই...'-- এই সব নিটপিকিং এখন ইতিহাস। এই ধরনের খুঁত ধরা পাব্লিকের বাচ্চাদের চেলারাই আজকে বলেন এই চারদিন রোশনাই করে রাখার আইডিয়া টা আসলে ঐ নিরবচ্ছিন্ন আনন্দধারার বালখিল্যতা।

    আজ আমরা একটা কথা বুঝি। আমরা সত্যিই বড় অদূরদর্শী ছিলাম সেই ১৯৯৬ সালে। কারণ এখন আমরা জানি, শুধু রাজনীতি দর্শন নয়, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বায়োলজিতেও দাদুর পরোক্ষ অবদান প্রচুর। ঘ্যাম নেবার জন্য অনেকেই রবীন্দ্রনাথ আর আইনস্টাইনের ছবি দেয়ালে, অর্কূট অ্যালবামে টাঙ্গিয়ে রাখে, কিন্তু জিগেস করে দেখ কী কথা হয়েছিল দুজনের বলতে পারবে না। কেউ জানে কি কী কথা হয়েছিল?? না "পদার্থবিদ্যার বিশ্ববীক্ষা ও ঊপনিষদ দর্শন এর মিলন ক্ষেত্র' টাইপ ভেগ-ভাগ উত্তর শোনার সময় নেই। এখন আমরা সকলেই জানি দাদু "আলোর ঢেউএ উঠল নেচে মল্লিকা মালতী ' গেয়ে ওয়েভ থিওরির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশান নিয়ে ডিবেট তুঙ্গে ওঠার অনেকে আগেই কি দাদু "আমার চেতনার রঙ্গে পান্না হল সবুজ' লিখে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে যাননি? "প্রথম আদি তব শক্তি' কি বিগ ব্যাং তত্ত্বকেই সমর্থন করা নয়? "বিশ্ববীণা' তো পাতি স্ট্রিং থিওরি। আজ আমরা জানি, বুঝি। "ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি বনের পথে যেতে, ফুলের গন্ধে...., ' আসলে ছিল ২০০৮ এর লোকসভার পূর্বাভাস, ২০১০ এ "রবি ও নস্ত্রাদামুস' গ্রন্থে যা ফাঁস হবার পর, রাইভালদের মুখ হয়েছিল দেখার মতো কাঁচুমাচু (হবারই কথা, এতোদিন ধরে সেই রাশিয়ার চিঠি, আর অসুখের ঘোরে সোভিয়েট রেসিস্টেন্স নিয়ে ফিসফিস করে "জানতাম ওরা জিতবে' গোছের ভেগ স্টেটমেণ্ট সম্বল করে খুব রেলা নেওয়া হয়েছে!)

    আজ আমরা এসব বুঝেছি। সব দেয়াল তাই ভেঙে যাচ্ছে ঠাকুরপুজোর জোয়ারে। ঠাকুর-ছাপ সমস্তকিছুই আজ এ জগতে সুপারহিট। প্রকাশের দশ বছর পরেও "রবি ও নস্ত্রাদামুস' বইটি (ইংরিজি অনুবাদে) এখনও নিউ-ইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলারের তালিকা থেকে নামতে পারেনি। এ বছরের বক্স-অফিস কাপানো হলিঊড ফিল্ম "দ্য দিভাইন গ্রাস' (বাই-লিঙ্গুয়াল) টাইটানিকের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। (দ্বিতীয় স্থানে ঋতুপর্ণ পরিচালিত, প্রসেনজিত অভিনীত গোরা, নাম ভূমিকায় স্বাভাবিক কারণে প্রসেনজিত থাকায় আপত্তি তুলতে, পরিচালকের সটান জবাব "আজ পর্যন্ত কটা মনিপুরী চিত্রাঙ্গদা দেখেছ হে')। খবরে প্রকাশ রিসেশান মুক্ত বিশ্বে ওয়াল স্ট্রীটের হোমড়া চোমড়ারা ম্যানেজমেন্ট গুরুদের আর পাত্তা দিচ্ছেন না। সেই জায়গা নিয়েছেন স্বয়ং গুরুদেব। বিশ্ববিখ্যাত কোকাকোলা কোম্পানির গত পাঁচ বছরের হিট বিজ্ঞাপন : "এবার পুজোয় খাচ্ছি কোক/আমি তোমাদেরই লোক'। আর একটি স্লোগান তো বিজনেস অফিসের লোগো থেকে স্টকব্রোকারদের টি-শার্ট ব্যেপে ক্রেডিট কার্ড এর পাছায় সিকিঊরিটি কোড এর ওপর বিদ্যমান হয়ে রীতিমতো বিশ্বজয় করেছে।

    "মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।'

    এবারের দাদুপুজোয় তাই আমাদের স্লোগান, বাঙালির প্রতি বিসোয়াস হারাবেন না। বঙ্গপুজো চলছে চলবে।

    ৯ই মে, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ০৯ মে ২০১০ | ১৩৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন