এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সালের সালতামামি

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৫০ বার পঠিত
  • আহা! কি আনন্দ ছিল মানুষের, যখন এই পৃথিবীতে সময়ের কোনো হিসেব রাখা হতো না। সেটা খুব বেশীদিন আগের কথা নয়, হাজার চারেক বছর আগে অব্দি মানুষের হাতে অঢেল সময় ছিল। ভাবতেই অবাক লাগে, তখন মানুষের বয়সের কোনো হিসেব ছিল না। দিন, মাস, বছর আসা যাওয়াতে মানুষের কোনো মাথা ব্যাথা ছিল না। মাঝে মাঝে হিসেব করে যখন দেখি, মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলাম চল্লিশ বছর আগে, মনের মধ্যে বিরাট চাপ তৈরী হয়ে যায় নিজের অজান্তেই। প্রথম যে চিন্তাটা আসে সেটা হলো, বয়স বেড়ে গেলো, বুড়ো হয়ে গেলাম, মৃত্যু তারমানে এগিয়ে আসছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই হিসেব করার ব্যাপারটাই ছিল না হাজার চারেক বছর আগে। আমার বয়স এত বছর বা সামনের অমুক মাসে জমিতে ধান লাগাতে হবে বা এই বর্ষায় ধান পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে সারা বছর খাবো কি, এইসব চিন্তা ছিল না মানুষের। চিন্তা নিশ্চয়ই ছিল কিন্তু ভাবত অন্যরকম ভাবে। সূর্য্যটা আর এক হাত বাঁয়ে হেললে জমিতে ধান লাগাতে হবে বা ঈশান কোণের মেঘ দেখা যাচ্ছে, এবার বৃষ্টির সময় আসছে, এই সুযোগে জমিতে পর্যাপ্ত ধান ফলাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
     
    একটা সময়ে এসে মানুষের মনে হয়, সময়কালকে লিপিবদ্ধ করে রাখলে তাদের সুবিধা হবে। এই চিন্তাটা তবেই এসেছিল যবে মানুষ পৃথিবীর চারিপাশে সূর্য, চন্দ্রের ঘূর্ণন ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছে। তখনও গ্যালিলিও পৃথিবীতে আসেননি, ফলে মানুষের ধারণা ছিল পৃথিবীর চতুর্দিকে সূর্য, চন্দ্র সবাই ঘোরে। পৃথিবীর নিজস্ব ঘূর্ণন তখনও মানুষের ধারণার বাইরে। মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় প্রথম মানুষ তাদের নিজস্ব নিয়মে দিন, মাস, বছরের হিসেব শুরু করেছিল এবং বছরের প্রথম দিনটিকে আনন্দের সাথে উদযাপন করতে শুরু করে। সেটা খ্রীষ্টের জন্মের ২০০০ বছর আগেকার কথা। বিশেষতঃ চাষ আবাদের এবং কর আদায়ের সুবিধার জন্যেই সময়কে লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজন মানুষের মাথায় এসেছিল। এর পেছনে রাজা, মহারাজা বা সম্রাটদের অবদানই বেশী ছিল। এরপর থেকেই মানুষ দিন, কাল, মাস, বছর ইত্যাদির চক্করে অকালে মাথার চুল পাকিয়ে ফেলছে। অকারণ টেনশন মানুষের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে।
     
    কোনো এক অজানা কারণে মানুষ দিন কালের হিসেবের সাথে সূর্য, চন্দ্রকে যোগ করে ফেলেছিল। আজকের দিনে অনেক কিছু আবিস্কার হওয়ার পরে আমাদের মনে হয় এই যুক্তিকরণের ব্যাপারটা একদম সঠিক। তারমানে চার হাজার বছর আগের মানুষের জ্ঞান যথেষ্টই ছিল তবেই তারা ভাবতে পেরেছিল যে সময়ের সাথে সূর্য, চন্দ্রের সংযোগ না করলে সময়ের হিসেব সঠিক থাকবে না। আজ অব্দি কিন্তু আমরা অন্যরকম ভাবে সময়ের হিসেব করতে পারিনি। অদ্ভুতভাবে অনেক পরে আবিষ্কৃত হওয়া পৃথিবীর নিজস্ব ঘূর্ণনের সাথে দিনের হিসেব মিলে গিয়েছিল।
     
    যাইহোক, প্রথম থেকেই দুইভাবে সময়ের হিসেবের কথা জানা যায়। সূর্যের হিসেব আর চন্দ্রের হিসেব। অর্থাৎ, সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে যে সময় নেয় সেটা আর চন্দ্র পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে যে সময় নেয় সেইটা। এখানেও পরবর্তীতে যখন প্রমাণ হয় যে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে, তখনও হিসেবের কোনো গন্ডগোল দেখা দেয়নি কারণ সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরুক বা পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরুক সময়টা সেই একই লাগে। কিন্তু সূর্যের হিসেব আর চন্দ্রের হিসেব এক নয় বলে সূর্য ভিত্তিক ক্যালেন্ডার আর চন্দ্র ভিত্তিক ক্যালেন্ডারের মধ্যে একটা মূল পার্থক্য থেকে যায়। বিভিন্ন সভ্যতায় বা বিভিন্ন জনগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা বা বিশ্বাস অনুযায়ী সময়ের হিসেব কষেছে, সূর্যের বা চন্দ্রের সময় অনুযায়ী। এখনও অব্দি পৃথিবীতে মোট ২৬ ধরনের মূল ক্যালেন্ডার বা সময়পঞ্জী পাওয়া যায়।
     
    ১। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী,
    ২। আব উর্বে কন্দিতা,
    ৩। ইসলামি বর্ষপঞ্জি, 
    ৪। অ্যাসিরীয় বর্ষপঞ্জী, 
    ৫। বাহাই বর্ষপঞ্জী, 
    ৬। বাংলা বর্ষপঞ্জি, 
    ৭। বেরবের বর্ষপঞ্জি, 
    ৮। বুদ্ধ বর্ষপঞ্জী, 
    ৯। বর্মী বর্ষপঞ্জী, 
    ১০। বাইজেন্টাইন বর্ষপঞ্জী, 
    ১১। চীনা বর্ষপঞ্জী, 
    ১২। কপটিক বর্ষপঞ্জী,
    ১৩। ডিস্কর্ডীয় বর্ষপঞ্জী, 
    ১৪। ইথিওপীয় বর্ষপঞ্জী,
    ১৫। হিব্রু বর্ষপঞ্জী, 
    ১৬। হিন্দু বর্ষপঞ্জীসমূহ (বিক্রম সংবৎ, শকা সংবৎ, কলি যুগ), 
    ১৭। হলোসিন বর্ষপঞ্জী, 
    ১৮। ইগ্বো বর্ষপঞ্জী, 
    ১৯। ইরানি বর্ষপঞ্জী, 
    ২০। ইসলামি বর্ষপঞ্জি, 
    ২১। জুশ বর্ষপঞ্জি,
    ২২। আর্মেনীয় বর্ষপঞ্জী, 
    ২৩। জুলিয়ান বর্ষপঞ্জী, 
    ২৪। কোরীয় বর্ষপঞ্জী, 
    ২৫। মিঙ্গু বর্ষপঞ্জী, 
    ২৬। থাই সৌর বর্ষপঞ্জী,
     
    এছাড়াও স্থানীয়ভাবে কিছু বর্ষপঞ্জী চালু আছে যেগুলোর নাম আলাদা হলেও উপরিউক্ত ছাব্বিশটি বর্ষপঞ্জীর কোনো না কোনোটির সাথে মিল আছে বলে মূল বর্ষপঞ্জীটিকেই ধরা হয় এবং সেই বর্ষপঞ্জীগুলোকে মূল বর্ষপঞ্জীর স্থানীয় রূপ হিসেবে ধরা হয়। ক্যালেন্ডার অর্থাৎ সময়ের হিসেব। পৃথিবীর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ (বা উল্টোটা) করার সময়কে অর্থাৎ ৩৬৫ দিনকে একবছর ধরে নিয়ে মাস এবং দিনের হিসেবকে সূর্যকেন্দ্রিক হিসেব এবং চন্দ্রের একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময়কে অর্থাৎ ২৯.৫৩ দিনকে এক মাস ধরে নিয়ে মাস এবং দিনের হিসেবেকে চন্দ্রকেন্দ্রিক হিসেব বলা হয়। ফলে সূর্যকেন্দ্রিক এবং চন্দ্রকেন্দ্রিক হিসেবের মধ্যে কিছু মুল পার্থক্য থেকে যায়।
     
    এরপরের বিষয় হলো, বিভিন্ন সম্রাট বা রাজারা তাদের রাজত্বকালের শুরু থেকে বা তাদের জন্মের দিন থেকে নতুন ক্যালেন্ডারের প্রচলন করেছেন। আবার বিভিন্ন মহাপুরুষদের জন্মের দিন থেকে বিভিন্ন ক্যালেন্ডারের প্রচলন হয়েছে পরবর্তীতে। যেমন যীশুখ্রীষ্টের জন্মের সময়কে শূন্য ধরে নিয়ে শুরু হয়েছে খ্রিস্টাব্দ, যাকে আবার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারও বলা হয়। যদিও অনেকে মনে করে শূন্যের বদলে এক খ্রিস্টাব্দে যীশুখ্রীষ্টের জন্ম হয়েছিল। যীশুর জন্মের আগের সময়কে খ্রীষ্ট পুর্ব্বাব্দ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু মূল বিষয় হলো কোনো ক্যালেন্ডারই যে ঘটনার সাথে সম্পর্কিত বলে বলা হয় সেই ঘটনার সাথে সাথেই প্রচলিত হয়নি। এবং কোনো ক্যালেন্ডারই একশো শতাংশ সঠিক নয়। পরবর্তীতে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর একবার ঘুরতে যে সময় লাগে বা চন্দ্রের যে সময় লাগে পৃথিবীর চারিদিকে একবার ঘুরতে, সেই সময়ের সঠিক পরিমাণ জানার পরে ক্যালেন্ডারের ভুল ধরা পড়লেও আজ অব্দি কেউই সেই ভুল সংশোধন করে সঠিক কোনো ক্যালেন্ডার তৈরী করতে পারেনি। মিনিট, সেকেন্ডের ভগ্নাংশকে পূর্ণ সংখ্যায় পরিবর্তন করে দিনের হিসেবকে সঠিক করতে এখনও আমরা পারিনি। 
     
    এই না পারার কারণে আমরা বিভিন্ন মহাপুরুষের জন্মদিন পালন করি যে তারিখগুলোতে, বিভিন্ন ঘটনার বার্ষিকী পালন করি যে তারিখগুলোতে, সেই তারিখগুলো বেশী পুরনো হলে প্রকৃত তারিখের সাথে আর মেলে না। অর্থাৎ শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন যদিও আমরা পালন করি পঞ্জিকামতে তিথি দেখে তাই হয়তো ভুল হয়না, কিন্তু তারিখ দেখে করতে গেলে সেটা বর্তমানে ভুল তারিখ হবে। যেমন যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন আমরা তারিখ মেনে পালন করি, সেটা ভুল তারিখ হয়ে যায়। মহাবীর বা বুদ্ধ বা পয়গম্বর মোহাম্মদ, সব ক্ষেত্রেই যদি আমরা তারিখ দেখে পালন করি তাহলে সেটা বর্তমানে অনেক এগিয়ে গিয়েছে, একই তারিখ নেই। যে কোনো ক্যালেন্ডারের মাসের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা, বৈশাখ মাস বলে ক্যালেন্ডারে যেটা পাই প্রতিবছর, সেটা হয়তো আসলে জৈষ্ঠ্য বা আষাঢ়।
     
    ভুল সংশোধনের চেষ্টা হয়েছে এযাবৎ অনেকবার। এমনিতেই সৌর বছর আর চান্দ্র বছরের পার্থক্য ১১ দিনের। সৌর বছর শেষ হয় ৩৬৫ দিনে আর চান্দ্র বছর শেষ হয় ৩৫৪ দিনে। কিন্তু আসল সময় লাগে এরচেয়ে একটু বেশী। সেই বেশী সময়টাকে ক্যালেন্ডারের হিসেবের মধ্যে নিয়ে আসা যাচ্ছে না বলে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছর অন্তর ফেব্রুয়ারী মাসে একদিন করে ধরে দেওয়া হয়। আর আমাদের বাংলা ক্যালেন্ডারে ফাল্গুন মাসে একদিন করে ধরে দেওয়া হয়। তাতেও খানিক অতিরিক্ত সময় থেকে যায়, সমস্যা সেখানেই হয়। কালক্রমে এই অতিরিক্ত সময়টাই দিনে পরিণত হয়ে মাস, ঋতুর হিসেব পাল্টে দেয়। ভারতবর্ষে ১৯৫২ সালে ডঃ মেঘনাদ সাহা এবং ১৯৬৩ সালে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র নেতৃত্বের কমিটি কিছু সংশোধন করেন। সারা পৃথিবীতেও এইরকম চেষ্টা বহুবার হয়েছে, কিন্তু মূল সমস্যা থেকে এখনও আমরা বেরোতে পারিনি।
     
    পৃথিবীতে প্রচলিত বিভিন্ন ক্যালেন্ডারের স্রষ্টা এবং কারণ সম্পর্কেও বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। যেমন আমাদের বাংলা ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রে বলা হয় সম্রাট আকবর বঙ্গাব্দের প্রচলন করেছিলেন। এই যুক্তির পেছনে বলা হয়, তিনি বঙ্গাব্দ শুরু করেছিলেন আজ থেকে ৪৩৯ বছর পূর্বে ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে। তিনি বাংলা সাল শুরু করেছিলেন হিজরী সালের সাথে মিল রেখে। তাই আজকে ৪৩৯ বঙ্গাব্দ না হয়ে আজ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। হিজরী বছর ৩৬৫ দিনের চেয়ে ১০/১১ দিন কম হওয়ায় তা এই ৪৩৯ বছরে কয়েক বছর এগিয়ে গেছে। বর্তমানে হিজরী ১৪৪৪ সাল চলছে আার বাংলা ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। কিন্তু বঙ্গাব্দ ও খ্রিস্টাব্দ উভয় ক্যালেন্ডারে ১ বছর ৩৬৫ দিনে হওয়ায় তাদের মধ্যে ব্যাবধানটা ৫৯৩ ই রয়ে গেছে। আবার এটাও সত্য যে আকবর তার রাজত্বকালে বঙ্গদেশে পূর্ণ অধিকার তৈরী করতে পারেননি, ফলে পূর্ণ অধিকার প্রাপ্ত না হওয়া কোনো এলাকার জন্য চিন্তা করবেন, তাদের জন্য ক্যালেন্ডার তৈরী করে দেবেন এটা বেশী রকমের ভাবনা হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও এখনও অব্দি দেখা গেছে যখন কোনো নতুন ক্যালেন্ডার তৈরী হয়েছে সে তার নিজস্বতা নিয়েই তৈরী হয়েছে, অর্থাৎ সে শূন্য থেকেই শুরু হয়েছে। অন্য কোনো ক্যালেন্ডারের সাল ধার করে শুরু হয়নি। তাই ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে যে হিজরী সাল ছিল, বাংলা ক্যালেন্ডারের শুরু সেই সাল দিয়ে হয়েছে, এটাও যুক্তি হিসেবে খুব একটা পোক্ত হচ্ছে না। অন্য মতটি হলো গৌড়ের রাজা শশাঙ্ক শুরু করেছিলেন বঙ্গাব্দ। তার সিংহাসনে বসার সময় থেকে শুরু করেছিলেন বঙ্গাব্দ। শশাঙ্কের রাজত্বকাল ছিল ৫৯০ থেকে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দ। সপ্তম শতকের শিব মন্দিরগুলোতে বঙ্গাব্দের লেখন পাওয়া যায়। ফলে এই যুক্তি অনেকবেশী গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। আবার ইতিহাস বলছে শশাঙ্কের সময়ে বাংলা ভাষার সৃষ্টি হয়নি, ফলে বাংলা ভাষায় ক্যালেন্ডার তৈরীর প্রশ্ন আসে কি করে। তাহলে শিব মন্দিরগুলোতে বঙ্গাব্দের লিখন আসে কি করে? যদিও ঐতিহাসিকদের অভিমত সম্রাট আকবরই বঙ্গাব্দের প্রবর্তক। এছাড়াও সুলতান হোসেন শাহ এবং তিব্বতি রাজা স্রং সন- এর নামও পাওয়া যায় বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হিসেবে। যদিও আকবর বা শশাঙ্কের ক্ষেত্রে খানিক তথ্য পাওয়া গেলেও ইনাদের ক্ষেত্রে তথ্যের অপ্রতুলতা আছে। ফলে বিভিন্ন বর্ষপঞ্জীর বা সালের সালতামামি বেশ গন্ডগোলের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এখনও সঠিক সালতামামির ইতিহাস বের করতে পারিনি। তাই আকবর না শশাঙ্ক এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, সুলতান হোসেন শাহ এবং তিব্বতি রাজা স্রং সন- এর নামও বিবেচনার মধ্যে আনা উচিৎ। আকবর বা শশাঙ্ক প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই বিরোধী যুক্তি আছে, তাই গবেষণার বা বিবেচনার বিস্তৃতিটা আরও বেশী হওয়া উচিত।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন