এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • বিশ বিশের জার্নাল ২৫

    Somnath Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৭ জুন ২০২১ | ২৫৭১ বার পঠিত
  • বিশ বিশের জার্নাল ২৫

    করোনা-র এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যিখানে কতজন লক্ষ্য করেছেন জানিনা- অযোধ্যার মতো,  বারাণসীর জ্ঞানভাপি মসজিদ নিয়েও বারাণসী কোর্ট গত এপ্রিল মাসে একটি বিতর্কিত রায় দিয়েছেন।  মিডিয়াতে খুব একটা চর্চা হয়নি- সম্ভবত , একটি কারণ, বিগত দুমাস করোনা ইস্যু ফোকাসে থাকা এবং দ্বিতীয় , কেন্দ্রের শাসনে থাকা রাজনৈতিক দলটিকে ক্ষুব্ধ করতে পারে, এমন সংবাদ পরিবেশনে মূল ধারার মিডিয়া হাউসগুলোর মেরুদণ্ডের অভাব ।  আদালতের রায়কে কেন বিতর্কিত বলছি এবং কি সেই রায়- সেব্যাপারে বলার আগে পূর্ব ইতিহাসটি একটু ঝালিয়ে নিই।

    যদিও , আদতে জ্ঞানভাপি মসজিদ একেবারে নতুন কোন বিষয় নয়। আমরা যারাই কাশী বিশ্বনাথ মন্দির দেখেছি এবং বিশ্বনাথের গলি-র সাথে পরিচিত- সেই গলির লাগোয়া এই মসজিদ। ১৯৮৪ সালে , হিন্দু আবেগ জাগ্রত করা এবং ভোট বাক্সে তা মেরুকরণ করার লক্ষ্য নিয়ে , খোদ দিল্লীতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ওই ধরণের কিছু মৌলবাদী সংগঠনের আহ্বানে, ৫৫৮ জন হিন্দু ধর্মগুরু এক সম্মেলনে হাজির হন। এই সম্মেলনে, তারা অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ছাড়াও , আরো দুটো মসজিদকে টার্গেট করে। তার একটি হচ্ছে বেনারসের এই মন্দিরটি এবং অন্যটি হল মথুরার কৃষ্ণ মন্দিরের সন্নিকটে শাহী ঈদগাহ মসজিদ। এছাড়াও,  বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তালিকা অনুযায়ী আরো তিন হাজার মন্দির সারা উত্তর প্রদেশে ছড়িয়ে আছে- যা ধীরে ধীরে তারা পুনর্দখল করতে বদ্ধপরিকর। তবে, অযোধ্যার পরে ওই দুটি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলাই প্রাথমিক চাঁদমারি স্থির হয় ।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির শৈব ভক্ত হিন্দুদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মস্থান এবং শিবের ১২টি জ্যোতিঃ লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম প্রধান। স্কন্ধপুরাণেও এর উল্লেখ আছে।  এহেন কাশী মন্দিরের গলির  প্রসারণ এবং সৌন্দর্যায়ন হেতু,  ২০১৯ সালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর করকমলে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে।  সরকারী হিসেবে এর প্রাথমিক খরচা ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা।  মারকানা মার্বেল, কোটার গ্রানাইট , মান্দানা এবং বালেশ্বর পাথরে সজ্জিত হয়ে এই প্রকল্প যখন সম্পূর্ণ হবে তখন সেই সুসজ্জিত মন্দির নাকি গঙ্গার ঘাট থেকেই সরাসরি দেখা যাবে। 

    এখন মন্দিরের সন্নিকটে জ্ঞানভাপি নিয়ে মামলাটা কি?  আগে বলা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ছক মেনে, “ Swayambhu Jyotirlinga Bhagwan Vishweshwar” নামের একটি হিন্দুবাদী সংগঠনের হয়ে এডভোকেট বিজয় শংকর প্রধান বারাণসী জেলা কোর্টে একটি মামলা করে মসজিদটি ধ্বংস করে ,  মসজিদের জায়গা কাশী মন্দিরের ভিতরে নিয়ে যাবার আবেদন করে। কেন? কারণ, তাঁদের মতে , ওই স্থানে নাকি ২০৫০ বছর আগে মহারাজা বিক্রমাদিত্য একটি মন্দির স্থাপন করেন (এহেন ঘটনার ঐতিহাসিক সত্য লেখকের জানা নেই) । সেই মন্দিরকে ভেঙ্গে দিয়ে, তার ধ্বংসাবসের ওপর জ্ঞানভাপি মসজিদ বানান ঔরংজেব ১৬৬৯ সালে। এর প্রায় এক শতাব্দী বাদে, ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানী অহল্যা হোলকর আজকের কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠান করেন।  এখন, ৪৫০ বছর আগের,  ঔরংজেবের সেই আক্রমণের তারা প্রতিশোধ নিতে চান ।

    যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই, মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ হয়েছে, তাহলেও কি তা প্রমাণ হলে , দেশের আইন অনুযায়ী , মসজিদকে ওই ভাবে সরিয়ে ফেলা যায়?  Places of Worship (Special Provisions) Act of 1991 নামের একটি আইন অনুযায়ী , ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট , যে ধর্মস্থান যেখানে ছিল সেগুলো সেখানেই থাকবে- তার কোন স্থান পরিবর্তন করা চলবে না।  ওই আইনের ৪ নং ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, “If, on the commencement of this Act, any suit, appeal or other proceeding with respect to the conversion of the religious character of any place of worship, existing on the 15th day of August, 1947, is pending before any court, tribunal or other authority, the same shall abate, and no suit, appeal or other proceeding with respect to any such matter shall lie on or after such commencement in any court, tribunal or other authority “

    এই প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগে, বারাণসী জেলা আদালতে বিচারক আশুতোষ তেওয়ারীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ , জ্ঞানভাপি মসজিদ কেসে এ এস আই-কে (Archaeological Survey of India ) আদেশ করেছে   যে , মসজিদের মাটি খনন করে সেখানে দাবী মত ,  প্রাচীন মন্দিরটি সত্যিই ছিল কিনা , তা খতিয়ে দেখতে। এই রায় স্বভাবতই গেরুয়া শিবিরকে উল্লসিত করেছে। অযোধ্যা রায়ের পরে, গেরুয়া শিবিরের তিন দশকের পুরনো শ্লোগানগুলি আবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠকদের ঠোঁটে  ফিরে এসেছে – “ ইয়ে তো কেবল ঝাঁকি হ্যায়, কাশী  মথুরা বাকী হ্যায় “ কিম্বা “তিন নেহি হ্যায়, তিন হাজার” ইত্যাদি।  উপরোক্ত Places of Worship আইনের পরে,  এই রায় যে বিতর্কিত সন্দেহ  নেই।

    এই আইনের এতাবৎ একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল বাবরি মসজিদের রায়। সেই কারণে সুপ্রীম কোর্টের রায় ঘিরে এত বিতর্ক এবং রায়দানের সময় বিচারকদের অস্বস্তি পরিষ্কার ছিল। রায়ের অংশ- বিশেষে এটার উল্লেখ ছিল – ওই আইনের প্রসঙ্গে পাঁচ বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চ  রায় দেন , “ …… parliament has mandated in no uncertain terms that history and its wrongs will not be used to oppress the present or the future “ ।

     অর্থাৎ , সুপ্রীম কোর্ট পরিষ্কার করে দেয় যে এই রায় ওই আইনের ব্যতিক্রম  এবং সতর্ক থাকেন  , ভবিষ্যতে এই রায় যেন precedence বা উদাহরণ হয়ে না দাঁড়ায়। রায়ে বলা হয়েছিল, “Non-retrogression is a foundational feature of the fundamental principles of the Constitution, of which secularism is one … Non-retrogression is  an essential feature of our secular values …… “Constitution speaks to our history and future of our nation...while we should be cognisant of the history, we need to confront it and move on…´

      মোদ্দা কথায়, অযোধ্যার রায়দান – আমাদের নিশ্চিত করেছিল যে এই রায় ১৯৯১-র আইনের একমাত্র ব্যতিক্রম এবং যেহেতু নিজেদের ধর্ম পালনের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত , কাজেই , ভবিষ্যতে মন্দির- মসজিদের এরকম বিতর্কে আদালত ঢাল হয়ে দাঁড়াবে। আমরা ভাবতে শুরু করেছিলাম, এই রায় যেহেতু অতীতকে ভুলে ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করেছে  -কাজেই মন্দির – মসজিদ বিতর্ক একেবারে শেষ হয়েছে এই দেশে।  বস্তুত, অযোধ্যার রায়ে সবথেকে ধ্বন্যাত্মক দিক এটুকুই।  

    কিন্তু, বিচারক তেওয়ারী একেবারেই উল্টোপথে হেঁটেছেন । হয় তিনি সুপ্রীম কোর্টের রায় পড়ে ,  তার “ spirit” বা রায়ের সারমর্ম বুঝতে পারেন নি বা তার অন্যরকম ব্যাখা করেছেন।  এর সাথে সাথেই কিছুদিন আগে মথুরা নিম্ন-  আদালতেও ,  শাহী ঈদগাহ মসজিদ নিয়েও একটি পিটিশন দাখিল হয়েছে , বারাণসীর কায়দায়। ধরেই নিতে পারি,  করোনার এও সংকটকালে,  আদালতের কাছে এই প্রতিটি আবেদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ/ আর এস এস এবং বিজেপি-র সম্মতি ও আশীর্বাদ আছে। অর্থাৎ , তারা তাঁদের এজেন্ডা পূরণ করার জন্য সুপ্রীম কোর্টের রায়কেও তুড়ি মেরে ওড়াতে প্রস্তুত। তারা  শীর্ষ আদালতের,  ইতিহাস ভুলে  “ we need to confront it and move on” বলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার পরামর্শকেও,  গ্রহণ করছে না। এখন , দেখার বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে , এলাহাবাদ উচ্চ আদালত খারিজ করে কিনা।

    ইতিহাস এবং তার শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ঠিকই – কিন্তু একটি জাতি তখনই এগিয়ে যায়  যখন তার অতীতের  স্মৃতি আর ভবিষ্যতের স্বপ্নের মধ্যে ভারসাম্য থাকে।  অযোধ্যায় হিন্দুত্ববাদীরা ঘড়ির কাঁটাকে কয়েকশো বছর পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তার ফল, আমাদের এই প্রজন্ম গত তিন দশক ধরে ভুগছি- আমাদের চেনা-জানা দেশটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে ধর্মের ভিত্তিতে, স্বাধীনতার পরে অনেক দাঙ্গা –রক্তক্ষয় যা করতে পারেনি  - একটি অযোধ্যার ঘটনা সাধারণ মানুষের  দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের বিষ বপণ করে দিয়েছে স্থায়ীভাবে । এতটাই বিষ যে আজ বাংলায় খাদ্য- চাকরী- জীবনযাত্রার মান নিয়ে ভোটের প্রচার হয় না- পীর-বাউলের মিলনক্ষেত্রে, তেভাঙ্গা- কাকদ্বীপ- নকশালবাড়ীর পাঁচ দশকের চেতনা পার হয়ে, প্রথম পশ্চিমী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, রবীন্দ্রনাথ- নজরুল- রামকৃষ্ণের বাংলায় – কতখানি দুর্ভাগ্য হলে , এখনকার ভোট হয় ধর্মের বিভাজনের “আমরা- ওরা”-র ভিত্তিতে। এবার, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কাল চেপে রেখে , সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি আমাদের  বর্তমান ও ভবিষ্যত ভুলিয়ে দিয়ে  ,  অযোধ্য- বারাণসী- মথুরা  ইত্যাদি করে ৫০০ বা ৭০০ বছর পিছিয়ে দেবার ষড়যন্ত্র করছে।

    জেগে থাকুন, সতর্ক হোন, প্রতিরোধ করুন। 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৭ জুন ২০২১ | ২৫৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন