পাড়ার পুরোনো ঘড়ির দোকানে আজকাল কেউ যায় না। কিছু অকেজো, কিছু সচল ঘড়ি, দোকানের ভিতর অসংখ্য মুহূর্তকে স্থির ধরে রেখেছে। সময় বদলেছে। পুরোনো ঘড়ির দোকান, বয়স্ক, প্রাজ্ঞ প্রাচীন ঘড়ি, ঘড়িকারিগরের দক্ষতার মূল্য আজ ফুরিয়েছে বোধকরি। দম দেওয়া ঘড়িগুলোর চাবি হারিয়েছে। বাজারে এসেছে একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার যোগ্য ছোট সস্তা বোতাম-ব্যাটারি। যাতায়াতের রাস্তায় ঘড়ির দোকানটা পড়ে। ঘড়ির কারিগর একাই বসে থাকেন। কখনও পাশের মুদিখানার দোকানে গিয়ে সময় কাটান। ঘড়ির দোকান থেকে রেডিওর নস্টালজিক কন্ঠস্বর ভেসে আসে। আমি বোঝার চেষ্টা করি মানুষটি কি সামান্য হলেও দুখি, নাকি এ'টুকুতেই তার সফলতা?
বেশিরভাগ মানুষই সফলতা চায়। গাড়ি। বাড়ি। মাস্টারকার্ড চায়। আরাম চায়। সুস্থতা চায়। দেশ-বিদেশ ভ্রমণ চায়। যৌনতাও চায়। কিন্তু সবাই কি তা পায়? না, পায় না। মার্ক জকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, বিল গেটস বা জেফ বেজোস যে সফলতা পেয়েছেন তা কি বাগবাজার ঘাটের মাঝির জীবন?
গভীর সমুদ্রে জলের নীচে যে পেশাদার কেবল্ মেরামতির কাজ করেন, আর বড়বাজারের যে দেহাতি প্রতিদিন ভারী ঝাঁকা মুটে বয়ে নিয়ে চলেছেন তাঁদের সফলতা কি তুলনাযোগ্য? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘এবার কবিতা লিখে আমি চাই পন্টিয়াক গাড়ি...’ জীবনানন্দ লিখেছিলেন, ‘জীবনের এই স্বাদ— সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের/ তোমার অসহ্য বোধ হল...’
গত শতকের নব্বই সালের পর থেকেই দেশের আর্থিক হাল চাঙ্গা করতে খোলাবাজার অর্থনীতি আমদানি করা হয়। শুরু হয় ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ। সরাসরি বিদেশি পুঁজির রাস্তা সে সময়ের কংগ্রেস সরকারের হাত ধরে, বলা ভালো অর্থনীতিবিদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডক্টর মনমোহন সিংয়ের থিয়োরি মেনে ঢুকে পড়ে দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাজারে। কর্পোরেট কর কাঠামোর যে ধাঁচা তা আপাদমস্তক বদলে ফেলা হয়। বাজারের উপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং বিমা কোম্পানিগুলোর সংখ্যা লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে থাকে। ঢুকে পড়ে স্যাটেলাইট নির্ভর বিনোদন এবং বিজ্ঞাপন। পেপসিকো এবং কোকাকোলার মত বহুজাতিক সংস্থা বিপুল আগ্রাসন নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছয়। অটোমোবাইল লবি যুদ্ধে নামে। ছোট পরিবার ছোট গাড়ির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে মধ্যবিত্ত। মেরা স্বপ্না মেরা মারুতি। বা বুলন্দ ভারত কি বুলন্দ তসভীর, হমারা বজাজ। টেলিকমিউনিকেশনে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি পুঁজি বিড দিতে শুরু করে। স্যাম পিত্রোদার হাত ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটে যায় দেশে। নব্বইয়ের গোড়া থেকেই আমরা বুঝতে পারি, টাইপরাইটার আর শর্টহ্যান্ডের দিন শেষ। কম্পিউটর জিনিসটাকে না বুঝতে পারলে আসলে তুমি গোল্লা। তাই আসে মাল্টিমিডিয়া। আসে পাড়ায় পাড়ায় ব্রেনওয়্যার।
ইডেন হাসপাতালের এজরা বিল্ডিংয়ে গেছি। সঙ্গে আমার বন্ধু সব্যসাচী। দেখছি চারিদিকে তুলোফুল উড়ছে। এই যে লিখলাম ‘তুলো ফুল উড়ছে।’ নিমগ্ন আত্মচিন্তা এবং তাকে লিখে ফেলার এই যে প্রয়াস এটাই সম্ভবত আমাকে কবিতার কাছাকাছি নিয়ে যায়। ধারাবাহিক বিচ্ছিন্নতা উপহার দেয়। শরীরের ভিতরে, মনের ভিতরে অনুভূতির জগতে তোলপাড় ঘটে যায়। এজরা বিল্ডিংয়ের এক তলার একটা ছোট কেবিন।
২২ নম্বর বেড। ওখানে ভর্তি হয়েছেন বিনয় মজুমদার। দুই বন্ধু মিলে দেখতে গেলাম। বিনয়ের দৃষ্টি ঘোলাটে। চোখের তারা ছটফট করছে। কেবিনের কোণায় কোণায় দেওয়াল থেকে দেওয়ালে ছুটে বেড়াচ্ছে। যেন কোনও এক তাড়নায় কিছু একটা সন্ধান করে চলেছে। পরিচয় দিলাম। বললেন, ‘আমার নখ দেখবে। এই দেখ আমার নখ।’ শক্ত, পাকানো, অপরিষ্কার, প্রসাধনহীন নখ। এই দৃশ্য মাথা বেশিক্ষণ নিতে পারল না। সেই নিঝুম দুপুরে ২২ নম্বর বেডের পাশে বসে রইলাম। বাইরে বাতাসে তুলোফুল উড়ছে। বিনয়ের মাথার ভিতর ঝাউজঙ্গল। সেখানে বোধহয় বাতাস নেই একটুও। চেতনায় অসংখ্য ঢেউ বারবার ভেঙে পড়ছে। অযুত, সহস্র গণিত তার সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে ফলাফলের তোয়াক্কা না করে।
বিনয় মজুমদারের সঙ্গে এই সাক্ষাত মনের ভিতর ছাপ ফেলেছিল। মাথার ভিতর তৈরি করেছিল কুয়াশা। সে নিয়ে পরে কখনও বিস্তারিত আলাপ হতে পারে।
আমাদের নিম্নবিত্ত পরিবার তখন চাইছে সন্তানের চাকরি। সামাজিক প্রতিষ্ঠা। সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো এ’সময় এড়িয়ে যেতে শুরু করলাম। মুর্খ বড়, সামাজিক নয়। কেননা পরিবার পরিচিত স্বজনদের অবিশ্রান্ত জিজ্ঞাসাচিহ্নের সামনে কোথায় একটা হীনমন্যতা তৈরি হত। ছাত্র পড়াই। ছবি আঁকি। লেখালেখির চেষ্টা করি। ছোট পত্রিকার সঙ্ঘ করি। এ’গুলো ঠিক পাতে পড়ার যোগ্য ছিল না তথাকথিত সমাজব্যবস্থার কাছে। তাই নিজস্ব বৃত্তের মধ্যে আরও বেশি করে কী করে বেঁধে থাকতে হবে, তা শিখে যাই। একলা হয়ে পড়ি।
এই সময়ে পরপর কয়েকটি ঘটনা চেতনা, চিন্তাভাবনা, দর্শনের মূলে সপাটে আঘাত করেছিল। ছোট থেকেই বাড়িতে, বৃহত্তর পরিবারে বামপন্থার আবহাওয়া, জলবায়ু সবই ছিল। ছিল মুক্ত চিন্তাও। রুশ ও চিন দেশের সাহিত্য পড়া হত নিয়মিত। মামার বাড়িতে আসত সোভিয়েত দেশ, সোভিয়েত নারী। ঝকঝকে ছাপা। রঙিন ছবি। মনে আছে আমার এক পিসির কাছ থেকে একবার মাত্রওস্কা পুতুল উপহার পেয়েছিলাম। মা পুতুলের ভিতর আর একটা পুতুল। তার ভিতর আর একটা। তার ভিতর আরও একটা। সবশেষে একটা খুদে মেয়ে পুতুল। বাবা কিনে আনতেন সোভিয়েত দেশের রূপকথা। ইভানের গল্প। যে রাতেরবেলায় শস্য পাহারা দিত। আর ছিল ঠাকুরমার ঝুলি। রেডিওতে গল্পদাদুর আসরে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে বুদ্ধুভুতুম আর লালকমল নীলকমল শোনাত। আমরা ভাইবোনেরা শুনে শুনে সেগুলো মুখস্ত করে ফেলতাম। আর ছিল আবোলতাবোল। সহজপাঠ। এইসব মিলিয়েই বড় হয়ে ওঠা। মোটের ওপর পরিবারের জলবায়ু ছিল মুক্তচিন্তার বামপন্থী দর্শনের।
নব্বইয়ের গোড়ার দিকে মুক্ত খোলাবাজার হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ল দেশে। ‘গ্লোবালভিলেজ’ এই কয়েনেজ শোনা গেল। ঠিক তেমনই শোনা গেল গ্লাস্তনস্ত আর পেরেস্ত্রৈকা। ইউনিয়ন অফ সোভিয়েট সোশালিস্ট রিপাবলিকস-এর আকাশ তখন বদলাতে শুরু করেছে। গোর্বাচভের গ্লাস্তনস্ত রুশ নাগরিকদের অবাধ স্বাধীনতা দিল। যা কিনা স্তালিন জমানার নিগড়ে বন্দি রাখা ছিল। খবর কাগজে, টেলিভিশনে সরকারের সমালোচনা করার স্বাধীনতা পাওয়া গেল। রাজনৈতিক বন্দিরা মুক্তি পেলেন। রুশ কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পেলেন। পেরস্ত্রৈকা দিল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। কর্পোরেট পুঁজি, ব্যক্তি পুঁজি নিজস্ব ব্যবসা ও মুনাফা করার অনুমতি পেল। গোর্বাচভ বিদেশি পুঁজিকেও রাশিয়ায় স্বাগত জানালেন। খবরের কাগজে প্রতিদিন এ’নিয়ে রিপোর্ট। কলেজে, চায়ের আড্ডায়, ইউনিয়ন রুমে, কফিহাউজে তুমুল তর্ক। বুঝে, অনেক সময় না বুঝেও। সিনিয়র বামপন্থী দাদা দিদিদেরও এ’সময়টাও মাথা চুলকোতে দেখেছি। উত্তর হাতড়াতে দেখেছি। কট্টর এবং লিবারল মার্ক্সবাদীদের মধ্য তখন চরম আকচাআকচি। একদিন সকালে খবর কাগজে ব্যানার হেডলাইন— ভেঙে পড়েছে লেনিনগ্রাদ। রাশিয়া। গ্লাস্তনস্ত পেরেস্ত্রৈকার ঢেউয়ে লেনিনের মূর্তি মাটিতে খানখান। আজন্ম লালিত কোনও বিশ্বাসের ভিত এক মুহূর্তে টলে গেল যেন।
গভীর রাত পর্যন্ত রেডিও শোনার অভ্যেস। ঘুম আসত না। আর তাছাড়া তখন সদ্য একটা বড় শারীরিক এবং স্নায়বিক গোলমাল কাটিয়ে ধাতস্থ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। স্টেশন বদলে বদলে শুনতাম। বারোটার পর থেকে শাস্ত্রীয় সংগীত হত। ওটা শুনতাম। কখনও কখনও খবর। এ’রকমই এক বেশি রাতের দিকে শুনলাম, শ্রীপেরামপুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। তার আগে তামিল ইলম নিয়ে, প্রভাকরণকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হত। (ঠিক যেমন ভাবে আশির দশকে ভিন্দ্রানওয়ালেকে নিয়ে হত)। শ্রীলঙ্কায় টাইগাররা লড়ছেন। প্রায়ই হতাহতের খবর।
উচ্চমাধ্যমিকে ইংরিজি প্রশ্নপত্রে শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাঠানো নিয়ে কম্প্রিহেনশন টেস্ট। শ্রীপেরামপুদুর ছিল ভারতের মাটিতে প্রথম মানববোমা বিস্ফোরণ। একজন মহিলা যিনি কোমরে প্লাস্টিক বিস্ফোরকের বেল্ট বেঁধে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছেন রাজীব গান্ধী। লোটো জুতো পরা প্রধানমন্ত্রীর রক্তাক্ত পায়ের টুকরো। দক্ষিণ ভারত থেকে প্রকাশিত হত ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিন। তাতে ছাপা হয়েছিল বিস্ফোরণের সেই ভয়াবহ মুহূর্তের ছবি।
এই রাজীব গান্ধীই একদিন অযোধ্যার বন্ধ মন্দিরের তালা খুলে দিলেন তথাকথিত হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে। ততদিনে বিখ্যাত পালামপুর সঙ্কল্প নিয়ে ফেলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গৃহীত হয়েছে সেই দাবি। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জমি হিন্দুদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। তার জন্য লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর খাতায় আলাদা আলাদা কর্মসূচি তৈরি হয়েছে। গুজরাটের সোমনাথ থেকে রথের চাকা গড়িয়েছে। রামশিলা নিয়ে করসেবকরা দলে দলে পৌঁছতে শুরু করেছেন অযোধ্যা। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে বিবিসির খবরে জানতে পারি— উন্মত্ত করসেবকরা মাটিতে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের সৌধ। ভারতীয় সংবিধান স্বীকৃত ধর্মনিরপেক্ষতার কাঠামোয় ৬ ডিসেম্বর চালিয়ে দিয়েছে বুলডোজার। আজও কোথাও না কোথাও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে দৃশ্যত এবং কখনও কখনও অদৃশ্য সুতোয় গ্রন্থিত হয়ে আছে ২০২১ সালের ভারত।
সেদিন রাত থেকেই বদলে যেতে লাগল আমার পাড়া, মহল্লা শহরের অলি-গলি। কারফিউ এবং কারবাইন এই দুই শব্দ অন্ধকার রাত ফুটো করে ছিটকে পড়ল আমার লেখার টেবিলে।
দূর্দান্ত টপিক...ফলো করতে শুরু করলাম লেখাটা। প্রথম পর্ব অসম্ভব ভালোলাগল। অপেক্ষা দ্বিতীয়র...
প্রসঙ্গত "লেখার টেবিল" নিয়ে কবি উত্তম দত্ত-র একটা গদ্য লেখা আছে যা ভীষণ প্রিয়।
পড়লাম এবং আবার পড়লাম ...
পড়লাম, ভালোলাগা
দ্বিতীয় পর্ব কবে আসবে? মেদহীন ঝকঝকে লেখা।
ভালোই হয়েছে।
খুব সুন্দর
প্রায়শ একটা কথা মনে জাগে ।.এই যে আমরা সেক্যুলার ।।..বাম পন্থা ।..প্রগতিশীল চিন্তা ভাবনা ।..এইসব বলি এগুলো কি নেতা সমাজ কর্মী শিল্পী , তাত্বিক বাবুরা জনগণ কে ঠিক ঠাক বোঝাতে পেরেছেন বা পেরেছিলেন ??এতো যে বাম আন্দোলন , প্রগতিশীল শিল্প চর্চা , কি হলো তাতে ?মৌল বাদীরা ঠিক তাদের এজেন্ডা ধরে এগিয়ে গেলো তছনছ করলো দেশের মানুষের বিশ্বাস কে , মানুষের জীবনকে হিন্দু - মুসলমান যুদ্ধে মাতালো বর্বর একটা আধা ভৌতিক পৌরাণিক পার্টি শুধু ধর্মের নামে দানবীয় উল্লাসে ভারতবর্ষ কে রাজনৈতিক আর সামাজিক ভাবে ধর্ষণ করে চললো এবং চলছে ???কি হলো সিপিআই ।..সিপিম ।..নকশাল ।..আর এস পি ।..ফরওয়ার্ড ব্লক ।..আর সেক্যুলার কংগ্রেসের ??কি করলো তারা ??একটা উন্মাদ ..ব্যভিচারী ।..মুহাম্মদ বিন তুঘলক সম নিকৃষ্ট কীট ১৩০ কোটি মানুষের নাকে দড়ি দিয়ে বাঁদরের মতো নাচাচ্ছে ???বুঝি না , দাদা !!!!
সে সময় আমরা বলতাম মূর্তি ভেঙে ভাবমূর্তি নষ্ট করা যায় না। মাথায় তখনো বোফর্স