শীতলকুচির ঘটনা খুব পীড়াদায়ক। তার পাশাপাশি এটাও কম পীড়াদায়ক নয় যে আমাদের সহনাগরিকদের একাংশ এই ঘটনায় দৃশ্যতঃ দুঃখিত নন। রাজ্যের শাসনক্ষমতায় বিজেপি এসে গেল বলে হিড়িক উঠেছে, সেই দলের পক্ষ থেকে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত কেউ এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন নি বরং তাদের রাজ্য সভাপতি বিবৃতি দিয়েছেন দরকারে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। এ আমাদের স্তম্ভিত করে দেয়। এই রাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে হত্যার কথা আমরা মনে করতে পারি। দোষারোপের পালা ভিন্ন হলেও, শাসক বিরোধী নির্বিশেষে সমস্ত প্রথমসারির রাজনৈতিক নেতা পুলিশের গুলিতে মানুষের মৃত্যুতে দুঃখ জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি মইদুল মিদ্যার মৃত্যুতেও দেখলাম শাসনক্ষমতায় থাকা মানুষ দুঃখ প্রকাশ করলেন। আর বড়ো কথা, সামাজিক পরিমণ্ডলে এ ওর দিকে দোষ ছুঁড়ে দেয়, কিন্তু পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা প্রায় সকলেই করে থাকেন, ভুল হল- করে থাকতেন।
আমাদের সমাজ এক পটপরিবর্তনের মুখোমুখি হয়ত বা। আমরা মনে করতে পারি ২০১৯-২০র সি এ এ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিসক্রিয়তার কথা। পুলিশের গুলিতে ২০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছিলেন, আহত হয়েছিলেন আরও অসংখ্য। উত্তরপ্রদেশ সরকার বহু লোকের সম্পত্তি ক্রোক করেছিল আদালতের নির্দেশ ছাড়াই। সরকারের তরফ থেকে আন্দোলনের নেতাদের ছবি টানানো হয়েছিল লাখনৌয়ের রাজপথে, দুষ্কৃতিকারী হিসেবে। আমরা সমাজমাধ্যমে দেখতাম, নেটিজেনদের একাংশ এতে উল্লসিত। বাংলাতেও দেখেছি বিজেপির নেতাদের এইভাবে আন্দোলন সামলানো উচিৎ নিদান দিতে। এবং, বিজেপির নতুন পোস্টার বয়, যোগী আদিত্যনাথের ইমেজ আরও বিকশিত হয় এই ঘটনার পর। মোদ্দা বক্তব্যটা দাঁড়ায়, কিছু লোক অশান্তি করে। সমাজের স্বার্থে তাদের সম্পূর্ণ দমন করা উচিৎ। দরকারে গুলি করে মারাও না-জায়েজ নয়।
প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনজীবী বলে একটি নতুন শব্দ নির্মাণ করে ফেলেছেন। অথচ, আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই না এইটা ভেবে যে প্রধানমন্ত্রীর নিজের দলও বিবিধ আন্দোলনের উপর দাঁড়িয়ে আজকের জায়গায় এসেছে। বস্তুত, ভারতের গণতন্ত্র বলে যা নিয়ে আমরা বড়াই করি, আন্দোলনজীবীদের শতাব্দীব্যাপী প্রচেষ্টাব্যতীত তার অস্তিত্ব অসম্ভব ছিল। অবশ্য, এটাও ভেবে দেখার যে বর্তমান শাসকরা যখনই ক্ষমতায় এসেছেন, যে কোনও আন্দোলনকেই সামাজিক অশান্তি, রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে তাঁরা দেখেছেন। ৪২-এর ভারত ছাড়ো নিয়ে জনসংঘের প্রাণপুরুষ শ্যামাপ্রসাদের উক্তিগুলি এবিষয়ে প্রণিধানযোগ্য। তেমনি কৃষক আন্দোলনকে খালিস্তানি অসন্তোষ, সি এ এ বিরোধিতাকে দেশভাগের উস্কানি আর ভীমা কোরাগাঁওকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র বলে তাঁরা প্রতিপন্ন করেছেন।
কিন্তু, এইসবের পাশাপাশি আরও যেটা আন্ডারলাইন হয়ে যায়, তা হল মুসলিম বিদ্বেষের জায়গাটা। শাহিনবাগ নিয়ে যা শুনেছিলাম, শীতলকুচি নিয়েও তা শুনতে পাই। সব মুসলমান খারাপ নয়, কিন্তু বেশিরভাগকে নিয়েই সমস্যা, আর খারাপ লোকের বেশিরভাগই মুসলমান। তোষণ (আজকাল তুষ্টিকরণ বলে)-এর রাজনীতি অনুসারে বাকি রাজনৈতিক দলগুলি এদের কিছু বলে না। বিজেপি এদের শায়েস্তা করবে। সেই শায়েস্তাকরণের মসিহা হিসেবে উঠে আসেন যোগী আদিত্যনাথ। তেমনিই শীতলকুচির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস গণতন্ত্রের পক্ষে আবশ্যিক প্রতিপন্ন হয়।
সমস্যাটা শুধু বিজেপির নেতা, সক্রিয় কর্মীদের মানসিকতায় এইটা প্রতীত হলে হত না। আমরা চোখ কান খোলা রাখলে দেখব, আমাদের চারপাশে এই মানসিকতায় বিশ্বাসীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এবং এই পরিস্থিতি, যা কালকে আমাদের বেঁচে থাকাকেও চ্যালেঞ্জ করে ফেলতে পারে, তার থেকে বেরনোর জন্যে এই চক্রবৃদ্ধির চক্করটাকে ভাঙা দরকার। আর তার জন্য বুঝতে হবে এরকম কেন হচ্ছে? মানুষ তার নিজের জীবন নিয়ে সততঃই অসুখী। সভ্যতার ইতিহাস জুড়ে যাঁদের মহাপুরুষ বলা হয়েছে তাঁরা অসুখ থেকে বেরনোর উপায় বলেছেন বলেই মহাপুরুষ হয়েছেন। এবং এই অসুখ যা যা থেকে বাড়ে তার কটি আবশ্যক উপাদান হল- লোভ, বৈষম্য এবং নিরাপত্তাহীনতা। উত্তর বিশ্বায়ন যুগে, যখন রাষ্ট্র ক্রমশঃ মানুষের খাওয়া-পরা-র উপর থেকে হাত উঠিয়ে নিচ্ছে আর বাজারকে নিজের ইচ্ছেয় বিস্তৃত হতে দিচ্ছে, এই তিনটি উপাদানই প্রত্যেকদিন বেড়ে যাচ্ছে। এবং অসুখের পাশাপাশি এই তিনটিই আরেক প্রবৃত্তির জন্ম দেয়, তা হল হিংসা। আমাদের হিংসাপ্রবৃত্তিও বেড়ে যাচ্ছে। বাজারের স্বার্থে, এবং কিছুটা গণতন্ত্রের বিকাশের ফলে হিংসা যখন তখন দেখিয়ে ফেলা যায় না, তদুপরি হিংস্র হতে গায়ের জোর টোরও লাগে। তাই, একজন যদি আমাদের হয়ে হিংসা করে ফেলে আমরা অখুশি হই না। এর পাশাপাশি এটাও মাথায় আসতে থাকে, যে আমাদের আপতিক অসুখের কারণ অন্যদের সমৃদ্ধি, তাদের তুষ্ট করা হচ্ছে তাই আমরা কম পাচ্ছি, আমরা অনিরাপদ ইত্যাদি। ট্রাম্পের আমেরিকায় মেক্সিকো, মোদির ভারতে পাকিস্তান অনিরাপত্তার সূচক হয়। তেমনি কালোরা আর মুসলমানরা সংখ্যাগুরুর না-পাওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হতে থাকেন।
তাই, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আমরা পছন্দ করে ফেলি। আমরা বিশ্বাস করতে থাকি, এক শক্তিশালী রাজা দেশের ভেতরের বাইরের শত্রুদের ঠাণ্ডা করে আমাদের মঙ্গল করবেন। তাঁকে প্রয়োজনে অমানবিক হতেই হবে, কিন্তু সে কেবল আমাদের স্বার্থেই। প্রকৃতপুঞ্জের এইরূপ স্বভাব বহুকাল রয়েছে। রাষ্ট্রনীতি সাধারণের ব্যপার নয়, কিন্তু রাষ্ট্র বা দলের প্রধান হিসেবে কেউ তাঁদের আশ্বস্ত করতে পারলে তিনি মান্যতা পান। দাঙ্গা দেশভাগ, অনেক কিছুর পেছনেই, ঐ রাষ্ট্রনেতা, দলনেতাদের ভূমিকা আমরা দেখতে পাব। ইতিহাসের এক একটা পর্যায়ে, যখন মানুষ বিপন্ন থাকে, তখন হিটলারকে দেশনায়ক মনে করে সমাজ।
আমাদের রাজনীতিকদের একাংশ তাই এতদিন এই বিষয় নিয়ে সচেতন থাকতেন, চট করে বিভাজনমূলক কথা বলে ফেলতেন না। চট করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কথাও বলতেন না। কিন্তু, ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনীতি এইটাই। তার সুবিধে হল, ইতিহাসের এক একটা পর্যায়ে ব্যক্তিমানুষ ভুলে যায় যে হিটলারের আঁচ থেকে সে নিজেও বাঁচবে না।
জরুরি লেখা।
কৃতজ্ঞতা। অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আপনার মত মানুষ যারা স্পষ্টভাবে এই প্রবণতার বিরুদ্ধে কলম হাতে দাঁড়িয়েছেন। আবারও কৃতজ্ঞতা তাতিন।
আমরা যারা এখনো চুপচাপ ,সোজা ভাবে বললে ওই ওদের একটু টাইট দেওয়া দরকার টাইপের ভাবনা কে মান্যতা দিয়েআগামীতে কোনো সুখ স্বপ্নের আশায় আছেন তাঁদের জন্য ও সময় ছেড়ে কথা বলবে না। সময়োপযোগী লেখা।
রাষ্ট্র ও সরকার এই দুটো আলাদা কনসেপ্টকে ঘেঁটে ঘঁ করা হচ্ছে, হয়েছিলো, হবে। ফলে আমরা ওরার রাজনীতিও বিলিন হবার নয়, বুঝতে হবে যে আব্বাসির সেকুলার বুলি, আর কেন্দ্রিয় বাহিনীর গুলি, দুটো বিপদজনক, গণতন্ত্রে এখন কে কম খারাপ সেটা খুঁজতে হয়, আর গুলি পায়ে না করে বুকে কেন, সে প্রশ্ন হাতরাতে হয়,
সময়োপযোগী, খুব ভালো লেখা।
কিছু জায়গায় আইন বলেকিছু চলেনা !! সেখানে বুদ্ধি , পারিপার্শ্বিকতা স্থান কাল বিচার করেকাজ করতেহয় !!!আর , যেখানে আদেশ টাই গোলমেলে ।...গোলমাল দিয়েই আদেশ কে দমন করতে হবে!! বিজেপি , তার গুন্ডা পুলিশ বাহিনী ( যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল একমাত্ৰ বিজেপি সমর্থক দের জন্য কাজ করতে ...বাকি দের গুলি করতে )যদি মানুষ মারতে পারে ঐভাবে ।..কোনো আইন না মেনে ।..তাহলে মানুষের ও অধিকার থাকে ওই পুলিশ বা দিলীপ ঘোষ এর মতো শুওরের বাচ্চা কে বেধড়ক প্যাদানি দেয়ার !!সোজা কথা !!!ওখানে যারা মরলো ।..সবাই মুসলমান !!যদি হিন্দু হতো , কেস টা অন্য হতো !! আমাদের অসীম সহ্য শক্তি ।..আমরা দিলীপ ঘোষ এর মতো ..সায়ন্তন বসু এর মতো পোটেনশিয়াল গুন্ডা দের এখন চলাফেরা করতে দেখছি এই বঙ্গে !!সঙ্গে ওই চরিত্রহীন লম্পট অভিনেতা টা ((নিজেকে যে সাপ বলে)!! এই মালগুলো কে খালাস করা উচিত এখনই !!শুওরের বাচ্চা রা !!!!
বাংলাদেশী মোল্লা গুলোকে প্যাঁদানি দেওয়ার এই তো সবে শুরু - এতেই ঘাবরালে চলবে ??! :))))
ঘাড়ে ধরে সব কটাকে সীমানা পার করিয়ে, সন্ত্রাসের আঁতুড় মসজিদগুলো গুঁড়িয়ে দিল তবে লোকে একটু শান্তিতে থাকতে পারবে।
আর "এটাই হবে" - বাকি আবোলতাবোল এসব যতোই হাপু গাইতে থাক
ঠিক, ঠিক। উত্তরপ্রদেশ যেমন শান্তিতে আছে। সেখানে প্রতিসপ্তাহে খুন ধর্ষণ দলিতের প্রতি অত্যাচার সব ত বাংলাদেশি মুসলমানরাই করছে। বিজেপির এমেলে সেঙার যে একটি মেয়েকে ধর্ষণ ও তার বাবাকে হত্যার দায়ে জেল খাটছে সেও বোধহয় বাংলাদেশ থেকে এসেছে। অবশ্যি তার স্ত্রী এবার পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন। ওম শান্তি!
বাংলাদেশী মুসলমানরা নাহয় আমাদের রাজ্যে রয়েছে। তার জন্য গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থানে বিজেপি বর্বরতা করে কেন?
এসব ঘটনায় রাগ তো হয়ই কিন্তু প্রশ্নের বেগও আসে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার আগে পর্যন্ত পোকিত বিজেপি ও দলবদ্লু বিজেপি নেতাদের বাঁদরামোর কমতি কিছু ছিল না। কিন্তু ভুয়ো মামলায় সুশান্ত ঘোষকে যে সরকার জেলবন্দি করতে পারে, কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগীতায় তাপসী মামালায় সুহৃদ দত্তের জীবন দুর্বিষহ করে দিতে পারে, তারা কেন কোন বিজেপি নেতাকে জেলে ঢোকায় না? (অম্বিকেশের কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম।)
রাষ্ট্র তো শুধু কেন্দ্রে নয়, রাজ্যেও ছিল। সেই রাষ্ট্র কেন বিজেপি নেতাদের প্রতি এত সহিষ্ণুতা দেখাল?
কোন সেটিং-এর ব্যাপার নয়ত?
কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারটে প্রাণ গেল--এটাতে সেটিং?
রাজ্যের রাষ্ট্র কেন বিজেপি নেতাদের প্রতি এত সহিষ্ণুতা দেখাল-সেটিং-এর প্রশ্ন সেই প্রসঙ্গে।
misinterpretation একান্ত আপনারই।
যাক রাহুলের অন্তত: একজন গুনগ্রাহি আছে গুরুতে!!
গুরুতে খুঁজলে সন্ময় ব্যানার্জি, হামবাগ টিভি সবেরই ফ্যান ফলোইং পাওয়া যাবে, রাহুল তো নস্যি
মোদির প্রতিপক্ষ হিসেবে (বিরোধী দলনেতা) রাহুল গান্ধীকে যে কোন সময়ই সমর্থন। পবতে তো বাম কং জোটও হয়েই গেল (যদিও কং জোটসঙ্গী হিসেবে আদৌ কী করছে তা জানি না)। করোনা সংক্রমন বিষয়ে রাহুল গান্ধী শুরু থেকেই খুব ঠিকঠাক কথা বলছেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে ব্যর্থ বলে মনে করি যদিও। তবে কিছু গল্প শুনে মনে হয় ভিশনারি হিসেবে চমৎকার।
এই লিংক নিয়ে অবশ্য বক্তব্য নেই। হয়তো প্রধানমন্ত্রী সিপিআইএমকে তত বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রোজেক্ট করতে চান না। এমনিতেও এদের সব বামকে এক খোপে পুরে দেওয়ার টেন্ডেন্সি আছে, অনেক গ্রাসরুট চাড্ডিকে দেখেছি যারা ভাবে নকশাল এবং সিপিআইএমরা প্রাণের বন্ধু।
রাহুল অতি অপদার্থ নেতা, এইটা মূলত বিজেপির প্রোপাগান্ডা। এদিকে তাদের মহান নেতা এতদিনে একা বসে একটা প্রেস কনফারেন্স দিয়ে উঠতে পারলো না। আর কিসব আজে বাজে কথা বলে, শুধু প্ল্যাটিটুড আর জুমলা ছাড়া আর কিছুই নেই সেই বক্তব্যে।
দেশে কথা হল কয়েকজনের সঙ্গে - যা বলল -
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে, বিজেপি তাদের প্রচারে টার্গেট করছে তৃণমূলকে, বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসকে নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্যই নেই। বিজেপির প্রচার মূলত মমতা ব্যানার্জি তথা তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে, নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ একেবারে ধুয়ে দিচ্ছেন এ নিয়ে। একই ব্যাপার তৃণমূলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য - তাদেরও মেইন টার্গেট বিজেপি, মোর্চা নিয়ে তাদেরও বিশেষ বক্তব্য নেই।
আর বলল, বিজেপি-তৃণমূল এর মধ্যে নেক-টু-নেক ফাইট, বোঝা যাচ্ছে না কে জিতবে।
"রাহুল অতি অপদার্থ নেতা, এইটা মূলত বিজেপির প্রোপাগান্ডা।"
একদমই তাই। অন্তত বর্তমান নেতার তুলনায় তো নি:সন্দেহে। অনেক প্রস্তাব ও চিন্তাভাবনা বেশ ইম্প্রেসিভ। সংগঠক হিসেবে হয়তো তত ভালো নন। কিন্তু বড় লেভেলের নেতার তো রাজ্যে রাজ্যে ভোট চেয়ে আর লোক ক্ষেপিয়ে বেড়ানো কাজ হওয়ার কথাও না।
রাহুল গান্ধী খুবই ভদ্র। কয়েক বছর আগে এখানে বার্কলেতে একবার এসেছিলেন, বক্তব্য রেখেছিলেন, ইউটিউবে দেখেছিলাম, বিজেপির কিছু সমর্থক একটু উগ্র ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেছিলেন, কিন্তু একবারের জন্যেও ওনাকে উত্তেজিত হতে দেখি নি, সব প্রশ্নের ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিচ্ছিলেন, উত্তরের মাঝে কেউ কথা বললে নিজের কথা থামিয়ে তার কথা শুনছিলেন। ভারতীয় রাজনীতির পক্ষে একটু বেশি সজ্জন।
এই নীচের ভিডিওটা দেখুন। সাড়ে ছয়্মিনিট থেকে। রাহুল কলেজ ছাত্রীদের থেকে সড়াসড়ি প্রশ্ন নিচ্ছেন।
রাহুলের যে ভিডিওটা দেখিয়ে চাড্ডিরা বদনাম করে, সেটা হল অর্ণবকে দেওয়া একটা ইন্টারভিউ। নো ডাউট বাজে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন, কোনও প্রিপারেশান ছিল না। তবে অন্তত কঠিন প্রশ্ন আসছে দেখে ইন্টারভিউ না দিয়ে চলে যান নি।
এখনকার ইন্ডিয়ান পলিটিক্স এর যা অবস্থা তাতে ভদ্রলোকদের সারভাইভ করা মুশকিল। প্লাস রাহুল গান্ধীর ফ্যামিলি লিগেসি ওর গলার কাঁটা। ডিক্টেটরশিপ নিয়ে বলতে গেলেই ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সি পিরিয়ড দেখিয়ে দিচ্ছে। কাশ্মীর নিয়ে বলতে গেলে নেহরুর ১৯৪৮ দেখিয়ে দিচ্ছে। চীনের দখল নিয়ে বলতে গেলেই ১৯৬২ দেখিয়ে দিচ্ছে।
ওর ফ্যামিলি হিস্ট্রি যত না ওর অ্যাসেট তার থেকে বেশি ওর লিয়াবিলিটি।
গান্ধী পরিবার তো একের পর এক সব পীস অব ওয়ার্কও দিয়ে গেছে দেশকে। এই সোনিয়া গান্ধী আর রাহুলকেই অন্যরকম মনে হয়।
সেতো ১০০-%। কিন্তু অপসিশন পার্টি কি ওদের প্লাস পয়েন্ট বলবে আর? বেছে বেছে নেগেটিভ গুলোই এমপ্লিফাই করবে। আর এই মুহূর্তে বিজেপির থেকে বড়ো এমপ্লিফায়ার কারোর কাছে নেই।
ওহো , S এর কথাটা বুঝতে পারিনি। একমত।
'তাদের তুষ্ট করা হচ্ছে তাই আমি কম পাচ্ছি'-এই লাইনে প্রিভিলেজড বর্ণহিন্দুর মুসলিমবিদ্বেষ ব্যাখ্যা করা যায় কী? এইটা পশ্চিমবংগের তপশীলি সম্প্রদায়ের বিজেপি সমর্থনের কারণ হতেই পারে... আমার মনে হয় একটা চাপা বিদ্বেষ ছিলই যেটা লোকে এখন নির্ভয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বহীন ভাবে উগরে দিচ্ছে যেহেতু রাষ্ট্র নিজেই সাম্প্রদায়িক আর ফেসবুক, WhatsApp, অর্ণব গোস্বামীদের লাগাতার প্রোপাগান্ডা কিভাবে এই হিংসার পক্ষে জনমত তৈরী করছে সেটায় একটু আলোকপাত করলে ভালো হতো