হিমু এই মন্তরটা পাঠাল !
আমাদের হিমাদ্রী পাল ।
বললো,
-দাদা, সকাল বেলা শুদ্ধ চিত্তে এই মন্ত্র টা তিনবার পাঠ করলে যাবতীয় সমস্যা, পূর্ব জন্মের পাপ , সব ধুয়েমুছেযাবে।আমি কিছুদিন করে দারুণ লাভ পেয়েছি।
তিনবার কোথায় !
এই ভর সন্ধেবেলা মন্তরটা একবার পড়েছি কি পড়িনি, হঠাৎ দেখি, আমি ভালো হয়ে গেছি !
আমার অক্সিজেন স্যাচুরেশন একশো সাড়ে দুই!
পিসিআর(পিসি নন) নেগেটিভ!
এমনকি দেশের আরোগ্যের হারও পৌঁছে গেলো নিরানব্বই দশমিক নয় নয় এ !
আর আর্থিক বৃদ্ধি র হলদে-সবুজ গ্রাফগুলো সব লাফিয়ে উঠলো আর চারদিকে ডানা মেললো অজস্র আরোগ্য-সেতু !
কতদিন পাড়ার মোড়টা দেখিনি, তাই বেড়িয়ে পাড়ার মোড়ে চায়ের ঠেকে একটু আড্ডা মেরে ঠিক করলাম, একটু বার্সিলোনা যাবো, ওখান থেকে অস্ট্রেলিয়া হয়ে ফিরবো ইচ্ছে আছে !
ক্রিকেট সিরিজ টা হচ্ছে কি না !
আমার পোষা বেড়াল টা কেমন সন্দেহজনক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে মিউ মিউ করলো
-স্যার আপনার বোধহয় কোভিড এনকেফালোপ্যাথি হচ্ছে !
আমি অবিকল বেলাশেষের বিশ্বনাথ মজুমদারের মত একগাল হেসে বললুম
-ধুর বাপু, তোর বুঝি আমাকে দেখে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মনে হচ্ছে ?
হিহি
কাফায়েস্ক সময় এমনিতেই - চিকিৎসা কর্মী দের জন্য আরো বেশি