হাথরস
হাথরস-কাণ্ডে অবশেষে বিরোধীদের রাস্তা ছেড়ে দিতেই হল উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। শনিবার বিকেলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকে হাথরসে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে তারা। রাহুল একা নন, তাঁর বোন?প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এবং কংগ্রেসের আরও তিন নেতাকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে (আনন্দবাজার)।
এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় শনিবার উত্তাল হয়ে উঠল আগরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন বাল্মীকি সম্প্রদায়ের সদস্যরা। জনজোয়ারে ভাসল রাজধানী দিল্লি। শুক্রবার জেএনইউ–এর বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর আহ্বানে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন (আজকাল)।
তবে হাথরাস খুবই ছোটো ইস্যু, এমনটাই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের মন্ত্রী অজিত সিং পাল। এমনকী বিতর্ক উসকে ধর্ষণের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি, চিকিৎসকেরা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি (প্রতিদিন )।
হাথরস ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোটা দেশ আজ অন্ধকারে ডুবে গেছে বলে হাতে টর্চ নিয়ে গোটা দেশে আলো জ্বালানোর বার্তা দেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমরা নাকি পুজো করতে দিই না, যোগীজি কেন দুর্গাপুজো করতে দিচ্ছেন না? মমতা দি মন্দির, মসজিদ, গীর্জা নিয়ে রাজনীতি করে না। সবাইকে নিয়ে চলি আমরা। ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টির দিকে এগোচ্ছে। রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে দেশে। ভারতবর্ষে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেউ কথা বলতে পারবে না। এটা কি দেশ চলছে?' (এই সময়)
সীমান্ত
দেশব্যাপী এই বিতর্কের আবহেও, কেন্দ্রীয় সরকার চুপচাপ। তারা সীমান্ত রক্ষায় ব্যস্ত। শনিবার, ওড়িশার টেস্ট রেঞ্জে আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম শৌর্য ব্যালিস্টিক মিসাইলের আরও আধুনিক সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ করা হয় । লাদাখে চিনা সেনাকে জবাব দিতে সীমান্তে ‘নির্ভয়’ মিসাইল মোতায়েন করল ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ফৌজে অন্তর্ভুক্তি হয়নি ক্ষেপণাস্ত্রটির। কিন্তু হানাদার চিনা বাহিনীকে জবাব দিতে অন্তর্ভুক্তির আগেই বেশ কয়েকটি মিসাইল ইউনিট প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (প্রতিদিন )।
ওদিকে হিমাচল প্রদেশের রোটাং পাসের নয়া টানেল ‘কাছে এনে দিল লাদাখ’কে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামাঙ্কিত টানেলের (আনন্দবাজার)। উদ্বোধনে গিয়েও নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী । গত ৬ বছরে তাঁর সরকার যে কাজ করেছে তা ২৬ বছর ধরে হয়নি বলেও উল্লেখ করলেন (প্রতিদিন) । সে ব্যাপারে বিরোধীদের এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সকলেই একমত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আকালি
এই ডামাডোলের বাজারে আকালিদের সঙ্গে বিজেপির বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হল। কৃষি আইন নিয়ে মতান্তরের কারণে শিরোমণি অকালি দল এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে কয়েক দিন আগে। এই অবস্থায় পাঞ্জাবে গেরুয়া শিবিরের সমীকরণ কী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে দলের নতুন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ জানিয়ে দিলেন, ২০২২ পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ১১৭টি আসনেই লড়বে বিজেপি (প্রতিদিন)।
একটা ধর্ষণ শিরোনাম, আর দুটো ধর্ষণ কেন শিরোনাম নয় এটা জানার ভীষন ইচ্ছা রইল।