এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বই

  • ফানি ইন্‌ ফারসী

    বইপাগলা
    আলোচনা | বই | ২১ অক্টোবর ২০০৭ | ৬৯৯ বার পঠিত
  • Funny in Farsi by Firoozeh Dumas

    একের পর এক জটিল ও গম্ভীর শব্দবন্ধে যখন প্রাণ আইঢাই, ঠিক তখনই লাইব্রেরির তাক থেকে হাতছানি দিল নীলরং এর ছোট্ট এক বই। যেন ডেকে বলল, "" কি হে! একবার উঁকি মেরে দেখবে নাকি? "" ভাবলাম, আহা বেচারা! কেউ বোধহয় পাত্তা দেয়না ""। টেনেটুনে বের করে আনলাম। ওমা! এ যে দেখি বেশ নামডাকওয়ালা এক স্মৃতিকথা। মলাট পড়ে জানা গেল অনেক প্রাইজ-টাইজও পেয়েছে। তৎক্ষণাৎ পড়তে লেগে গেলাম। পড়তে পড়তেই টের পাওয়া গেল, একে একে দরজা খুলে যাচ্ছে, পায়ে পায়ে আলো ছড়িয়ে পড়ছে। অন-এ-এ-ক দূরে কোথাও ঘন্টা বাজল বোধহয়। শুরু হল অবাক করা অতীত পরিক্রমণ।

    ১৯৭২ সালে, সাত বছর বয়সে বাবা মার হাত ধরে ক্যালিফোর্নিয়া চলে আসেন ফিরোজা, সাথে দুই দাদা ফরিদ আর ফর্শিদ। তিন পুত্রকন্যা নিয়ে কাজেম আর নাজিরার সংসার শুরু হয়। শিকড় উপড়ে আনা একদল অভিবাসীর প্রাণপণ চেষ্টায় মার্কিনি হয়ে ওঠার এক নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। সবথেকে বড়ো ফরিদ চলে যায় ফিলাডেলফিয়ায়, বাকি দুজনে বেড়ে উঠতে থাকে ক্যালিফোর্নিয়াতেই। হোঁচট খেতে খেতে, সবার হাসির খোরাক হতে হতে একসময় সবাই পাকাপাকি মার্কিন নাগরিক হয়ে যান। তারও অনেক পরে, হাসির মোড়কে পদে পদে অপদস্থ হওয়ার এই আত্মকাহিনী লিখে ফেলেন ফিরোজা, মূলত ছেলেমেয়েকে পড়ে শোনাবার জন্য। দিনের বেলায় বাচ্চাদের দেখভাল করতেই কেটে যেত বলে লেখার সময় পেতেন না। তাই বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে রাত জেগে শেষ করা হয়েছিল এই বই, পরে নিউ ইয়র্কের র‌্যান্ডম হাউজ থেকে প্রকাশিত হয়ে যা সাড়া ফেলে দেয়। এই বইটিই লেখিকার প্রথম প্রকাশিত রচনা। পুরস্কার দিয়ে একটা বইয়ের মূল্যায়ন করা মূর্খতা, যদিও এই বই সে পরীক্ষাও পাশ করেছে। তবে যা আমার কাছে আশ্চর্য্যের লেগেছে , তা হল গোটা বই জুড়ে একটা হালকা আবহাওয়া তৈরী করে সেই পটভূমিকায় তুলে ধরা প্রায় তিন দশকের প্রবাসযাপন। তাও আবার তির্যক ভঙ্গীতে, পাঠককে অন্যমনস্ক হতে না দিয়ে। যে লেখায় গভীর দু:খের কথা পড়েও জোরে হেসে ফেলতে হয়, তাকে আলাদা গুরুত্ব না দিয়ে উপায় কি?

    স্মৃতি সতত সুখের হোক বা না হোক, স্মৃতিকথা সাধারণত বেশ ভারি গোছের হয়। এক সময় যেসব ঘটনা আনন্দঘন মূহুর্ত রচনা করেছিল, প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসে সেইসব কথাই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে বাধ্য করে। সেদিক থেকে ফিরোজার লেখা এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। নিটোল ঝরঝরে গদ্য, প্রাণচঞ্চল এক নদীর মত বয়ে গেছে পাতার পর পাতায়। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে লেখিকার অসামান্য রসবোধ, যাকে শিবরামচিত বললে একটুও অত্যুক্তি হয় না। শিবরামের ঢঙেই সমস্ত ঘটনা থেকে হাসির খোরাক পেয়েছেন ফিরোজা, অথচ আলাদা করে ভাবলে ঘটনাগুলোর কোনটাই ঠিক হাসির নয়।

    আমেরিকা আসার আগে, অন্য সকলের মতই কাজেম পরিবারও ভাবতেন এ এক স্বপ্নরাজ্য। বলা বাহুল্য, কাজেমই এই ধারণা বুনে দিয়েছিলেন সবার মধ্যে। তাঁর কথা অবিশ্বাস করার কোন উপায়ই ছিলোনা কারণ একসময়ের ফুলব্রাইট স্কলার কাজেম টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে বেশ কয়েকবছর কাটিয়েছিলেন। বাবার মার্কিনমোহ সম্পর্কে ফিরোজা লিখছেন :
    “ To him, America was a place where anyone, no matter how humble his background, could become an important person. It was a kind and orderly nation full of clean bathrooms, a land where traffic laws were obeyed and where whales jumped through hoops." কিন্তু বিদেশে এসেই মহা সমস্যায় পড়ে সবাই। কাজেম ছাড়া কেউ একবর্ণ ইংরেজী জানে না, রাØতাঘাটে হারিয়ে গেলে চিনিয়ে দেওয়ার লোক নেই, বন্ধু নেই কোনো , উল্টে ইশ্‌কুলে ফিরোজার সহপাঠীরা হাঁ করে দেখে ফিরোজা আর তার মাকে, যেন প্রাগৈতিহাসিক কোনো জীব এসে পড়েছে ক্লাসরুমে। নাজিরার অবস্থা হয় সবথেকে কাহিল,ছোটবেলায় কোনদিন স্কুলে না গিয়েই হঠাৎ করে তাঁকে প্রতি পদক্ষেপে পৃথিবীর ইতিহাস, ভূগোল আর সহ্যশক্তির পরীক্ষায় বসতে হয়।

    কিন্তু শুধুই পারিবারিক হাসিকান্নার গল্প লিখলে কি অত হইচই হত এই বই ঘিরে? না বোধহয়। আসলে একশ সাতাশি পাতার পলকা এই বইতে ফিরোজা এঁকে ফেলেছেন দেশকাল নির্বিশেষে সমস্ত অভিবাসীর হৃৎ স্পন্দন। চেতনে অবচেতনে যেসব ভয় ও ভাবনা তাঁদের গ্রাস করে, প্রথম বিশ্বের চমক মেশানো যেসব সুখানুভূতি তাঁদের কানে তালা লাগিয়ে দেয় সেইসবকিছু অবলীলায় তুলে ফেলেছেন ফিরোজা মাত্র কয়েকটা পাতায়। তাই ফিরোজার সামার ক্যাম্পে যাওয়া ও সেখানে প্রতিপদে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া দেখে আমাদের মনে পড়ে যায় অন্য দেশের আরো অসংখ্য ছেলেমেয়ের কথা। ফিরোজার মতই যারা নিজের নামের অপভ্রংশে বিরক্ত হতে হতে শেষে অভ্যস্ত হয়ে যায় "" দি এফ ওয়ার্ড"" নামের এক আজব সম্বোধনে, কিংবা ভূগোল পড়াতে পড়াতে একসময় হাল ছেড়ে দিয়ে নিজের দেশকে অন্য ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নিষ্কৃতি পায়।

    ফানি ইন ফার্সি মোট ছাব্বিশটা আলাদা পরিচ্ছেদে ভেঙ্গে ভেঙ্গে লেখা। সব সময় যে সময়রেখা মেনে চলা হয়েছে তা নয়, তবে সেজন্য কখনও পড়া থামিয়ে ভাবতে হয় না। ফিরোজার জীবন বেশ ঘটনাবহুল বলে গল্পটায় বেশ উপন্যাসের আদল পাওয়া যায়। ইরান-আমেরিকা সম্পর্কে ১৯৭৭-৭৮ সাল নাগাদ অস্থিরতা আসে। তার কিছুদিন আগেই শাহ এসে দেখা করে যান সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সাথে। সেই জনসভায় আরো অনেকের মত কাজেমও সপরিবারে নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন। জনসভা একসময় শাহবিরোধীদের হামলায় যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়, প্রাণ নিয়ে কোনমতে পালিয়ে আসেন কাজেম। এরপরেই তেহরানে একদল মার্কিন নাগরিক দূতাবাসেই বন্দী হন, আর সেই ঘটনার ছায়ায় তিক্ততা বাড়ে। কিন্তু রাজনৈতিক ইতিহাস লিখতে চান নি ফিরোজা। তাই তাঁর কলম শুধু ছুঁয়ে যায় ঘটনাগুলো। নিরপেক্ষভাবে স্মৃতিচারণ করে চলেন তিনি। একে একে আসে তাঁর ফ্রান্স ভ্রমণের কথা, এক ঘন্টার মধ্যে বক্তৃতা লেখার প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার পুরস্কার। সীমা পার করতে গেলেই যাদের হাজার রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, গায়ের রং, দেশের নাম, দাড়ির রকমফের বা পোষাকের তারতম্য দিয়ে যাদের দেগে দেওয়া হয় অহরহ, জানতে চাওয়া হয় এক অমোঘ প্রশ্ন , "" তুমি কি স্থায়ীভাবে এইদেশে বাস করতে চাও?'' তাঁদের কাছে এইসমস্ত পুরস্কার বিড়ম্বনা বৈকি। পাশাপাশি ফিরোজার ফরাসী প্রেমিক ফ্রান্সিস অনায়াসে পেরিয়ে যায় যেকোন ভূখন্ডে, স্বদেশী কোন দুষ্কৃতির পাপের বোঝা বয়ে বয়ে তাকে ফিরতে হয় না। এইভাবে ক্রমশ ঠেকে শিখতে শিখতে একদিন বার্কলে থেকে পড়াশুনো শেষ করে ফেলেন ফিরোজা। বলা বাহুল্য, এখানেই ফ্রান্সিসের সাথে তাঁর আলাপ ও প্রণয়।

    আর, বিভাজন তো শুধু রাজনৈতিক নয়। একটা সম্প্রদায়কে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমস্ত দিক থেকে আলাদা করে দেখার মহান ঐতিহ্য তো অনেকদিনেরই। তাই ভাবী শাশুড়ি মধুর ভাষায় জানিয়ে দেন, "" (ওকে) কোনদিন এইবাড়ির চৌকাঠ মাড়াতে দেব না ''। মিথ্যে করে ফিরোজা বাড়িতে জানায়, "" ওদের বাড়িতে সবাই দারুণ খুশি এই বিয়েতে ''। এই জায়গাগুলোতে ফিরোজার কলম একে একে ভাঙ্গতে থাকে কাঁটাতারের বেড়া। আমরা দেখি, অগুন্তি বাক্স সারি সারি। একদল বাক্সবন্দী মানুষ দমবন্ধ অবস্থায় ছটফট করছে। ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, শিক্ষা, নাগরিকত্ব, রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং ইতিহাসের দোহাই দিয়ে বাক্সে পুরে ফেলা হয়েছে সবাইকে। শ্বাসকষ্টের মৃত্যুসুখ কয়েক হাত দূরে থাবা চাটছে। সব ছবি মিলে গিয়ে ঝাপসা হয়। শিয়ালেরা হেসে ওঠে। আবাদানের রাস্তাঘাট, মানুষ, আর ভাষা চেনা চেনা লাগে।

    কিন্তু এইসব বহুপ্রাচীন সমস্যার সমাধান করার, বা অভিযোগের তালিকা বানাবার সময় কই ফিরোজার? তাই, নীলরঙা এক বইতে নিলরঙা এক গোলচে গ্রহের সবথেকে দুর্ভাগ্যের কথা লেখা একসময় শেষ হয়। তড়িঘড়ি বর্মীবাক্স বন্ধ করে স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে সব দু:খ মুছে দেন তিনি। রাত শেষ হয়ে আসছে, বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠে পড়ল বলে।

    অক্টোবর ২১, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২১ অক্টোবর ২০০৭ | ৬৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন