এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • লিসন টু চিলড্রেন

    raja bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ মে ২০২৪ | ২৪৬ বার পঠিত
  • মুশকিলটা হল – পক্ষীরাজই যদি হবে, তবে ল্যাজ নাই কেন? মানে, বিদ্যালয়ই যদি হবে, তাতে থিয়েটার নাই কেন? রবি ঠাকুর যে ইস্কুলে থিয়েটার করতে বললেন, ঠাকুর রামকৃষ্ণ যে বলে গেলেন – “থ্যাটারে লোকশিক্ষে হয়!” কই, সে-সব কেউ শুনল?
     
    উত্তরগুলো জানা এবং অতিশয় ক্লিশে পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট – বাচ্চারা ভোট দেয় না, তাই তাদের জন্যে কোনও সরকারের কোনও পলিসি নেই। কেউ বলবেন, সরকারি স্কুলে তো পড়াশোনাই হয় না, আর কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয় সেটা তো আমরা এখন জেনে গেছি – সেক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থায় থিয়েটার বাহুল্যমাত্র আর বাতুলতাও।
     
    তবু প্রশ্নগুলো থেকে যায়। আমরা জানি, বিদ্যা+আলয় = বিদ্যালয়। ‘বিদ্যা’ কী? সিলেবাস-অন্তর্গত বিষয়গুলোই বিদ্যা? তাহলে কৃষকের যা বিদ্যা – মাটি চেনা, জল চেনা, শ্রমের অভ্যেস, ফসল চেনা – এগুলো অবিদ্যা? সেই নিরিখে দেখতে গেলে আমার বিদ্যা আর তোমার বিদ্যা এক নয়। এখন অবশ্য দুটি নির্দিষ্ট বোর্ডের মাধ্যমে সারা ভারত জুড়ে ইংলিশ মিডিয়ম স্কুলের সাহায্যে সবার সিলেবাস সমান করে একটা রাষ্ট্রমুখী শিক্ষা মজ্জায় ঢুকিয়ে দেবার প্রক্রিয়া সচেষ্ট। শিক্ষার ফল নাগালের বাইরে বলে ডালটাকেই সিলেবাসের আঁকশি দিয়ে টেনে নামানো হয়েছে। তাতে পাশের হার বাড়ছে, দূর্বল শিক্ষার্থীর মানোন্নয়ন হচ্ছে না।
     
    এ-রাজ্যে আবার ‘নব্য মার্কসবাদ’ চলছে। একই সঙ্গে দুশো-আড়াইশো জন বড় পরীক্ষায় ফার্স্ট হচ্ছে। ওদিকে স্কুলে মিড-ডে-মিলের হিসেবে দেদার কারচুপি। সরকারি স্কুলগুলো এখন চাল-ডাল-সাইকেল-ফোন দেবার ‘সেন্টার’। তাহলে সিলেবাসটা কী হল? স্কুলে যা যা চর্চা হচ্ছে বাচ্চারা তো সেগুলোকেই সিলেবাসে এনে ফেলছে, সেগুলোই শিখছে।
    চোখ-কান খোলা রাখলেই দেখা যাবে, ইচ্ছে করেই, শুধু সরকারি স্কুল নয়, হাসপাতাল, ফোন পরিষেবা, সমবায় সমিতি, ওষুধ, জামাকাপড়ের দোকান – প্রায় সব সরকারি ক্ষেত্রেই পরিকাঠামো দূর্বল করে বেসরকারি ব্যবসার ‘সুবিধে’ করার জন্যে পুঁজির একটা খোলা ময়দান তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা যেমন পাঁচ হাজার টাকার জুতো কিনছি, তেমন বছরে লাখ দশেক লাগে এমন স্কুলেও বাচ্চাকে পড়াচ্ছি। আমরা এখন আপাদমস্তক ‘ব্র্যান্ড-কনশাস’।
     
    এইসব ব্র্যান্ডেড স্কুলের কিন্তু দারুণ ডিসিপ্লিন। দারুণ পড়াশোনা, অনেক চাহিদা – বাচ্চাদের একই সঙ্গে অমর্ত্য সেন, সচিন তেন্ডুলকর কিংবা বড় মাপের আমলা বা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা এনআরআই হতেই হবে। যে-বাচ্চাটা একটু সপ্রতিভ দাও তাকে সব কিছুতেই জুতে। ব্ল্যাক বেল্টও চাই, আবার সায়েন্স অলিম্পিয়াডও চাই। প্রিন্সিপালের ঘরে অজস্র ট্রফি থাকে। সব কিন্তু এক্সট্রা কারিকুলার জন্য। সেখানে বাৎসরিক থিয়েটারও হয়। টিচারদের এমন সাহস যে সুকুমার রায়ের নাটকেও হাত চালায়। ‘রাবণ ব্যাটা’-র সঙ্গে ‘মারব ঝ্যাটা’ রাখলে ‘পেরেন্টস্‌’-দের কানে লাগবে (আসলে, লক্ষ্মী কুপিত হবেন) তার চেয়ে লাইন দুটোই ফেলে দেয়া যাক। লক্ষ্মী বড় বালাই!
     
    বাচ্চারাও সবাই ফটাফট ইংরাজি বলছে – এত স্মার্ট যে আপনাকে অপমান করতে দু-মিনিটও নেবে না। ক’দিন আগে এমনই এক বিখ্যাত ইংরাজি গার্লস স্কুলের ক্লাস নাইনের একটি মেয়ে স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। স্কুল তো আকাশ থেকে পড়ল! বাপ-মায়ের সে কী হেনস্থা – জলে প্রিন্সিপাল, ডাঙায় পুলিশ! তাঁরা কিছুতেই এটা বোঝাতে পারলেন না যে এই অবিদ্যার চাষ সেই স্কুলেই ঘটেছে। ফলত, মেয়েটির নির্বাসন। বাচ্চাদের শাস্তি দেয়া খুব সহজ, আর সেটা করলেই আমরা বেঁচে যাই!
     
    ভাবছেন তো, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে গোল্লায় গেছে! তাহলে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম জনশিক্ষা কমিশনার আনাতোলি লুনাচারস্কি প্রদত্ত প্রথম সর্ব-রাশিয়া শিক্ষা-কংগ্রেসে ভাষণের কিছুটা পড়ে নেওয়া যাক। লুনাচারস্কি বলছেন –
                জ্ঞান ব্যতীত রাজনৈতিক ক্ষমতা ও আইনের সমানাধিকার যে যথেষ্ট নয়, আঠারো শতকেই এটা বোঝা গিয়েছিল। উৎপাদন-উপায়গুলি সমাজের হাতে হস্তান্তরভিত্তিক না-হলে যে-কোনও রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি যে নেহাতই সদিচ্ছায় পর্যবসিত হয়, সেটা ওই শতকটি যথাযথভাবে বুঝতে পারেনি। পরবর্তীকালেই কেবল জীবন থেকে এই সত্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে ‘সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও স্বাধীনতার’ স্লোগান শুধু, অজ্ঞদের সমাজেই নয়, সমাজতান্ত্রিক ছাড়া অন্যতর যে-কোনও সমাজেই সম্পূর্ণ অভাবিত। এখন আমরা জানি যে, জনগণের সরকারের, সত্যিকার সংখ্যাগুরুর ক্ষমতা কেবল এই তিনটি শর্তেই বোধ্য: সরকারি ক্ষমতা (রাষ্ট্র কর্তৃক বাতিল না-হওয়া পর্যন্ত যতদিন প্রয়োজন), অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং প্রত্যেকটি মানুষের কাছে জ্ঞান পৌঁছানো, অর্থাৎ জনগণকে সর্বাধিক সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা।
             ...জনগণের কাছে যাবতীয় সম্পদ হস্তান্তরের কাজ আমাদের সামনে। আমরা সবাই জানি যে, বিপ্লবলিপ্ত মানুষের প্রথম প্রবণতা হল, সে-মানুষ যদি যথেষ্ট নিয়মানুবর্তী, যথেষ্ট শিক্ষিত না-হয় সম্পদের মালিকানা দখল। কিন্তু সম্পদের নিকটতম, সমৃদ্ধ প্রাসাদের ফটকের লাগোয়া দীর্ঘ দারিদ্র্যভোগীর সম্পত্তি দখলের চেষ্টার মধ্যেই প্রায়শ এর প্রকাশ ঘটে। ফরাসী বিপ্লবের সময়ও সম্পদের এরূপ খণ্ডবিখণ্ড ভাগাভাগির প্রবণতা চূড়ান্তভাবে প্রকট হয়েছিল। এটা এখানেও ঘটছে। এখানেও আমরা এই আগ্রাসী প্রবণতার, যুক্তিহীন এই প্রবণতার বশবর্তী হয়েছি। ক্ষুধিতের এই আগ্রাসন অসংগঠিত এবং বিপ্লবের পক্ষে ধ্বংসাত্মক।
     
    শিক্ষা নিয়ে এই ভাবনা, সোভিয়েতের প্রথম শিক্ষা-কংগ্রেসে যা আলোচিত হল তা আমাদের দেশে এসে পৌঁছয়নি। শিক্ষার মান নামিয়ে পাশের হার বাড়ানো, ক্লাস সিক্স থেকে ইংরাজি পড়ানো, মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার ঢুকতে না-দেয়া – এগুলোতেই আজকের চালচোর-আলুচোর হেডমাস্টারদের জন্ম হয়েছে।
    লুনাচারস্কি আরও বলছেন –
               উৎপাদন-উপায়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানের মালিকানাও আয়ত্ত করলেই জনগণের সর্বক্ষমতার অধিকারী হিসাবে মানুষ নিজেকে জয়ী ভাবতে পারে। এইসব শর্তের একটি অবশ্যই অন্যটির পরিপূরক। এটা কেবল আমাদের মতো বিপ্লবী সমাজতন্ত্রীরাই নয়, মোটামুটি সুস্থির গণতন্ত্রীও বোঝেন। নজির হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথাই বলছি। স্বাধীনতা লাভের পর তার প্রথম রাষ্ট্রপতি এটা লক্ষ্য করেন যে, জনগণের হাতে জ্ঞানলাভের যথেষ্ট সংযোগ না-থাকলে গণতন্ত্রের মুক্তি অসম্ভব হবে।
     
    খেয়াল করুন, সোভিয়েতের ঘোষিত শত্রু তখন আমেরিকা। তাদের জনশিক্ষাব্যবস্থার প্রধান কিন্তু শত্রুর সঠিক কাজের উদাহরণ টেনে আনছেন নিজেদের পরিসরে।
     
    আর আমরা কী করেছি? ক্লাস সিক্স থেকে যে এবিসিডি পড়ছে, তার পক্ষে ইলেভেনে গিয়ে ওয়ার্ডস্‌ওয়ার্থ- কোলরিজ বোঝা সম্ভব? ফলত, কোচিং ক্লাসের রবরবা হল। শিক্ষকরা বুঝলেনই না যে ওটা উপ্‌রি! এখন তো কেজির বাচ্চাও কোচিংয়ে যায়। বিদ্যালয়ের হাত ধরে ব্যবসার দরজাটা অনেকদিন আগেই খুলে গেছে। লুটেরাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাদের জন্মের সময় রাষ্ট্র সচেতন ছিল না। নাকি সচেতনভাবেই এই শ্রেণি তৈরি?
     
    এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ‘লোকশিক্ষে’ কীভাবে হবে? জগতটা নানাবিধ আর্থ-সামাজিক স্তরে বিভক্ত। কর্পোরেশনের স্কুল আর কর্পোরেট স্কুলের পড়ুয়া এক নয়। এক এনজিও-কে চিনি যারা গরিবের বাচ্চাদের বিনামূল্যে ইংরাজি মাধ্যমে পড়াচ্ছে বলে বহু আন্তর্জাতিক গ্রান্টের দরজা খুলে ফেলেছে। অথচ, সেখানে যারা পড়ে তাদের অনেকেই প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী, পিতামাতারা অনেকেই নিরক্ষর শ্রমজীবী। তাদের কাছে এ-সুযোগ অপ্রত্যাশিত। কিন্তু যে-বাচ্চারা বাংলাটাই গুছিয়ে বলতে পারে না, তাদের জোর করে ইংরাজিতে কথা বলতে হচ্ছে! এই বাচ্চাদের বর্ষায় ছাতা নেই, শীতে সোয়েটার নেই, ওদিকে ক্লাসরুমে এসি। ওদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, ওরা ইংরাজিটাও শিখছে না, বাংলাটাও ভুলে যাচ্ছে। আজকের প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ বাঙালি ছেলেমেয়ে বাংলা পড়তেই পারে না। মাতৃভাষা যদি মাতৃদুগ্ধসম হয়, তাহলে আমাদের বাচ্চারা কেউ মায়ের দুধ পাচ্ছে না – তাদের ইমিউনিটি কমে যাচ্ছে।
     
    ১৯৫৪ সালে বিলেতে একটা বই খুব সাড়া ফেলেছিল – ‘চাইল্ড ড্রামা’। লেখক পিটার স্লেড ১৯৩০ থেকে নিরন্তর বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করে আবিষ্কার করেন ‘ড্রামা থেরাপি’। উনি লক্ষ্য করেন, বাচ্চারা অভিনয়ের সহজাত ক্ষমতা নিয়ে আসে – একটা ‘ইন্‌সটিঙ্কট’ – আর সেটাই তাদের ব্যক্তিত্ব গড়ে দেবার পথে চালিত করে। ব্যক্তিত্ব সংহত না-হলে শিক্ষা আধার পায় না। পুঁথির কাগজ ছিঁড়ে পাখিকে খাওয়ানোটা সেকেন্ডারি ( সে-কাজ যারা করে তাদের বলে মাস্টার), কিন্তু একজন সচেতন শিক্ষকের প্রাইমারি কাজ হল শিশুর স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আর সৃজনশীলতা প্রকাশার্থে নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নির্মাণ। তাতেই শিশুর শিক্ষা ও বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। সে-জন্যেই প্রয়োজন শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর একটা গণতান্ত্রিক সেতুর। মনে করে দেখুন – ১৯৩০এর আগেই বাংলার একজন এটাই জোর দিয়ে বলেছিলেন। লোকটার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
     
    যেহেতু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা প্রক্ষিপ্ত এবং একদমই শিশুকেন্দ্রিক নয়, আমাদের থিয়েটারও তাই। অনেকগুলো বিষয় দিয়ে আমরা বাচ্চাদের মঞ্চে চেপে ধরতে চাই – সামনে এগোও, ডানদিকে যাও, গলা তুলে বল, আলো নাও… ওরা একটা স্কুল ছেড়ে এসে আরেকটা স্কুলে কারারুদ্ধ হয়। সেতুটা তৈরিই হয় না, লোকশিক্ষেও এগোয় না।
     
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধে লিপ্ত সব রাষ্ট্রের একটাই ক্রাইসিস – শিক্ষাব্যবস্থার ভয়ংকর অবনমন। সাধারণ মানুষ তখন আর বুদ্ধিমানদের বিশ্বাস করে না – যুদ্ধ যে তাদেরই ব্রেন-চাইল্ড! গড়ে উঠেছিল একটা সহানুভূতিহীন সমাজ। তখন ইংল্যান্ডে পিটার স্লেড একটা আন্দোলন করেন – ‘লিসন টু চিল্ড্রেন’। বাচ্চাদের কথা শোনা – এক বিশেষ অনুশীলন। একটা নতুন শিক্ষাব্যবস্থা একে কেন্দ্র করে দানা বাঁধতে থাকল – যা বাচ্চাদের শুধু বুদ্ধিমানই নয়, ব্যক্তিত্ববান ও অনুভূতিপ্রবণও করে তুলেছিল। শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা ধীরে ধীরে সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
     
    আমাদের পোড়া দেশে সেই শিক্ষা হয়তো দূর্লভ। তবে ‘লিসন টু চিল্ড্রেন’ আমরা অনুশীলন করতেই পারি, অন্তত আমাদের থিয়েটারে। এক শিশুকেন্দ্রিক নাট্যব্যবস্থা হয়তো আমূল বদলে দিতে পারে আগামীর শিক্ষাব্যবস্থার ছবি। তবে তার আগে, বাচ্চাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সেতুটা থিয়েটার দিয়েই আমাদের বাঁধতে হবে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন