এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • খবর্নয় (মে ১৮)

    দিবাকর সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ১৮ মে ২০০৮ | ৬৪৭ বার পঠিত
  • ব্যালট গিলে প্রতিবাদ!
    ---------------------
    রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক কারণেই লোকজনের প্রচুর ক্ষোভ জমা থাকে! তা উগরানোর জন্য তারা বিভিন্ন উপায় বারও করে। এত কাল শহরের সুপরিচিত ব্যস্ততম রাস্তায় কুশপুতুল পোড়ানোর কাজই হয়ে আসছিল। এ বার ইতালিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার নতুন পথ দেখালেন জনৈক ইতালীয়।
    বর্তমান ইতালির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইতালির সংসদীয় নির্বাচনে ভোট দিতে এসে এই ভদ্রলোক ভনক রেগে গিয়ে গোটা ব্যালট পেপারটাই গিলে ফেলেন।
    পুলিশ আর রাজনীতি-কে তিনি শুধু প্রাণিবর্জ্যের সঙ্গে তুলনা করেই ক্ষান্ত হননি, গোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে তোপ দাগার জন্য ৪১ বছর বয়সি ব্যবসায়ী ছেঁড়াফাটা কাগজের টুকরোগুলো নিয়ে আপাতত নেপল্‌স-এর একটি জেলহাজতে নিশিযাপন করছেন।
    ভাবুন একবার, একজন দেশবাসী ব্যালটের মতো অখাদ্য দ্রব্যও গিলে ফেলছেন রাগের চোটে। এটা কিন্তু একটা সতর্কবাণী। রাজনৈতিক নেতাদের আর কখনও যেন ভোটকেন্দ্রে না দ্যাখা যায়। লোকে ক্ষেপে গেলে তাদেরও গিলতে পারে! শুধু শুধু অ্যানাকোন্ডা সিনেমাটার রিমেক করার দরকার কী?
    যদিও রাজনীতিকদের তাতে কিছুই যায় আসে না। এ-সব টেঁসো গপ্পো শুনে তাঁরা ভাবেন, প্রকাশ্যে তো আর গাঁজা খেতে পাই না, গাঁজাখুরি গপ্পই দু ছিলিম টানি, মজা হবে। এই ভেবে তাঁরা সংসদে প্রশ্ন তোলার জন্য উৎকোচ নেন, হট্টগোলের বাজারে এট্টু-এট্টু কাজ করেন, ব্লগগুলোতে ব্লগবগায়, আর গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়ে দেশকে রসাতলে পাঠাতে যার-পর-নাই উদ্যোগী হন।
    তবে ব্যালট চিবানোর এই নজিরবিহীন ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সবাইকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করবে, এ কথা অনস্বীকার্য।

    ব্যাগপাইপ-কে ঘিরে থাকা অসার কথার ইতিহাস
    ---------------------------------------------
    হাইল্যান্ড-এর সলিটারি রিপার-এর কথা মনে আছে তো? হ্যাঁ, ঐ যে নি:সঙ্গ পল্লিবালা সামান্য ঝুঁকে গান গেয়ে ওয়ার্ডসওয়ার্থ-কে কাবু করে ফেলেছিল? সেই হাইল্যান্ড-এর ব্যাগপাইপ এ-বার খবর্নয়-এর পাতায় এসে হাজির তার জন্মের বিউগলিক কাহিনি শোনাতে।
    সম্প্রতি স্কটিশ ঐতিহাসিক Hugh Cheape জানিয়েছেন, হাইল্যান্ড ব্যাগপাইপ এবং একে ঘিরে থাকা ইতিহাস, পরম্পরা, এবং কীংবদন্তিদের কাহিনি ১৯ শতকের কাছাকাছি সময়ের।
    স্কটল্যান্ড-এ ব্যাগপাইপের ইতিহাস অনেক দিনের। যদিও যন্ত্রীরা এ যন্ত্র বাজাতেন না। আর যন্ত্র না-বাজানোর যন্ত্রণার কারণ একটাই, শ্রোতার অভাব। তখনকার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দ্যাখা গেছে, যুদ্ধে বিরোধী শক্তিকে পগারপার করতে বা স্কটিশ নেতাদের স্‌ৎকারকাজে অংশগ্রহণের জন্য স্বজাতির লোকেরা চলে যেত। ফলে ফাঁকা দেশে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে যেমন কোনো লাভ নেই, ব্যাগপাইপ বাজানোতেও তেমনি কোনও বাহাদুরি আছে বলে মনে হয় না। ... এই সব রোমাঞ্চকর ঘটনার সাক্ষ্য দিতেই ব্যাগপাইপের ওপর Cheape -এর একটি বই স্কটল্যান্ড ন্যাশনাল মিউজিয়াম খুব শিগগির প্রকাশ করতে চলেছে।
    সম্প্রতি একটি নিউজ কভারেজে, হাইল্যান্ড ব্যাগপাইপ সম্পর্কে লিখিত এবং প্রাপ্ত ইতিহাসের বেশিরভাগটাই যে সেন্টিমেন্ট-প্রশ্রয়প্রাপ্ত, তা বলতেও ছাড়েননি Cheape ।
    এখন অবধি সবথেকে পুরোনো ব্যাগপাইপটি তুর্কিতে পাওয়া গেছে। Hittite নামের এই ব্যাগপাইপটির বয়স প্রায় ৩০০০ বছর। আর ঐ একই রকমের বাদ্যযন্ত্র ভূমধ্যসাগরের চতুর্দিকে এবং স্কটল্যান্ড সহ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে।
    ১৭৪৫ সালে কুলোদেন-এর যুদ্ধে হাইল্যান্ড স্কটরা পরাজিত হলে নির্বাসিত জনগণ স্বদেশভূমি সম্পর্কে মিথ তৈরি করতে থাকে। প্রচুর ঠাকুমা আসেন, অসংখ্য ঝুলি বানাবার কাজেও তাঁরা নেমে পড়েন। মোদ্দা কথা হল, উনিশ শতকের শুরুতে এডিনবার্গ-এর দুই পাইপপ্রস্তুতকারী বিশালাকৃতির ব্যাগপাইপ তৈরি করে সাড়া জাগিয়ে দেন।
    আহ, ওয়ার্ডসওয়ার্থ যদি আজ বেঁচে থাকতেন, আবার যেতেন হাইল্যান্ড-এ, জমিয়ে আড্ডা মারতেন তিন বন্ধুতে বসে – তিনি স্বয়ং, স্কটিশ গান, এবং ব্যাগবাইপার ...

    কানাডাবাসীদের "রাগ-রাগিনি" : একটি সমীক্ষা
    --------------------------------------------
    সম্প্রতি ভ্যাংকুভার-এ হয়ে যাওয়া একটি সমীক্ষার ফল জানাচ্ছে যে টেলিমার্কেটিং কল-গুলো কানাডার অধিবাসীদের সব থেকে বেশি ক্রুদ্ধ করে তোলে।
    অ্যানগাস রিড পোলিং এজেন্সি-র অনলাইন সমীক্ষা বলছে, কানাডাবাসীদের রাগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ অটোমেটিক টেলার মেশিন-এর জন্য জোরজবরদস্তি ফি দেওয়া।
    আটান্নো শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, বাড়িতে থাকাকালীন কোনো টেলিমার্কেটারের ফোন আসলে তাদের মাথা বিগড়ে যায়। অন্য দিকে উত্তরদাতাদের চুয়ান্ন শতাংশ রাগের কারণ হিশেবে এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলার সময় অতিরিক্ত ফি দেওয়াকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
    উত্তরদাতাদের ৪৮ শতাংশ খারাপ রেস্তোরাঁ সার্ভিসের জন্য ক্ষুব্ধ। আর চিৎকার চেঁচামেচি করে পাড়া মাথায় করা প্রতিবেশীরা হলেন ৪২ শতাংশ লোকের রাগের উৎস।
    চরম আবহাওয়াকে উপেক্ষা করলেও, ১৮ শতাংশ ক্যানাডিয়ান তাদের বিরক্তি উদ্রেকের জন্য কন্‌কনে ঠাণ্ডা, জাংক মেইল এবং স্প্যাম-কে দায়ী করেছেন।
    উত্তরদাতাদের মধ্যে বেশির ভাগ পুরুষ জানিয়েছেন যে তাঁরা টেলিমার্কেটারদের অনভিপ্রেত ফোন আসলে এবং খেলায় প্রিয় দল হেরে গেলে মনমেজাজ বিগড়ে বসে থাকেন। আর মহিলারা সাধারণত উচ্চগ্রামে ঘুরে বেড়ানো প্রতিবেশীর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ ও অভিযোগ দায়ের করেন।
    কানাডার অধিবাসীরা রাগের চূড়ায় বসে থাকেন ঠিকই। তবে নেমে আসলে, কোনো সমীক্ষায় নিশ্চয়ই তাঁরা জানাবেন, কই রাগিনি তো!

    এ মা! "এমা" নামটা ফিরে এলো!
    --------------------------------
    " The Baby Name Wizard: A Magical Guide to Finding the Perfect Name for Your Baby "-এর লেখক লরা ওয়াটেনবার্গ বলেছেন, পুরোনো নাম, যেমন Abigail , Sadie ইত্যাদি আমেরিকার ছেলেপুলেদের নামকরণে আবার স্বমহিমায় উঠে এসেছে।
    কারণটা কিন্তু একেবারেই অস্পষ্ট নয়। যাঁরা এরূপ নামকরণ করেন, তাঁদের বয়সও হয়েছে, আর নতুন নাম বা নামের অর্থ হজম করা তাঁদের সাধ্যের বাইরে।
    "এমা" ( Emma )-র মতো পুরোনো নামগুলো অবশ্যই আবার ফিরে ফিরে আসছে। ওয়াটেনবার্গ জানাচ্ছেন, যে, এটা পুরো একটা ইউ আকৃতির গ্রাফের মতো। পুরোনো নামগুলি ফিরে-ফিরে আসে, মোটামুটি নব্বই বছর পর পর।
    মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়-এর Nancy Schlossberg -এর মতে অবশ্য পুরোনো নাম ফিরে আসার অন্য একটি কারণও আছে। বয়সে প্রাচীন বাবা-মা মোটেও অত জটিল আবহাওয়ায় ছিলেন না, এবং এতটা কাল সহজ সরল সময়েই জীবন যাপন করে এসেছেন। বর্তমানের অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে পূর্ববর্তী প্রজন্মকে আমরা সব সময়ই আদর্শ বলে ভাবি। তাই, অতিপুরোনো নামকরণ অনেক সময় ঐ "আমাদের সময় ভালো ছিল" বলা কথাগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করে। একটা আলাদা ভালো লাগা জন্মায়।

    মে ১৮, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১৮ মে ২০০৮ | ৬৪৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    খবর্নয় ? - pi
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন