লকডাউন এবং নোটবন্দী - দুগালে যেন দুই বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় ভারতের মুখে। কোন ভারত ? না, যে ভারতের পেটে ভাত নেই, মাথার ওপর ছাদ থাকলেও না আটকায় রোদ, না বৃষ্টি। যার শিক্ষা, কর্মসংস্থান চিকিৎসা কোন সুযোগই নেই। যে ভারতে এমনকি মৃত্যু হলেও সবার কপালে সম্মানজনক শেষকৃত্য জোটে না।যে ভারত অনাহারে অর্ধাহারে, দারিদ্রে, অপুষ্টি আর রোগে ব্যতিব্যস্ত।
এক থাপ্পড়ের রেশ ভালোমতো না কাটতেই এবার যেন আর এক থাপ্পড়। আমি বর্তমান শাসককে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করতে চাই না, কারণ পরবর্তীতে ইতিহাসচর্চা দেখিয়ে দিয়েছে তুঘলক প্রজারঞ্জক ছিলেন।
তার সমস্ত কল্যাণমুখী কার্যকলাপ নষ্ট হয়ে যায় যত না তাঁর অদূরদর্শিতায়, তার থেকে বেশি অন্য অন্য কারণে, যার মধ্যে সুলতানের মন্দভাগ্যও একটি। আমাদের বর্তমান শাসক তুলনাহীন, একমেব অদ্বিতীয়ম !
নোটবন্দীর সময়ের কথা মনে আছে তো ? কিরকম হাহাকার পড়ে গেছিল চারদিকে ? সবচেয়ে বেশি অসুবিধেয় পড়েছিল এই গরীবগুর্বোরাই, যারা এখন প্রাণ হাতে করে পথ হাঁটছে। রুজি হারিয়ে অনাহারক্লিষ্ট তাদের কান্না এখনো কানে বাজে। ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়েই ঢলে পড়েছে কতো লোক।
এবার আবার এই লকডাউন।
আর কী উপায় আছে, বলে যতোই আমায় মারতে আসুন, আগে একথা তো স্বীকার করুন এ দেশে সম্পূর্ণ লক ডাউন করতে পারে একমাত্র সচ্ছলরাই যাদের ব্যাঙ্কে যথেষ্ট টাকা আছে, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং চালানোর মতো বড়সড় বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে। আর আছে চব্বিশ ঘন্টা জল সরাবরাহ। যারা দিন আনে দিন খায় তারা কি পেটে গামছা বেঁধে থাকবে, না কি তারা ফুটপাথের সুরম্য ইঁট সরিয়ে রক্ত জল করা টাকা জমিয়ে রেখেছে ? ফুটপাথে তাও বিচ্ছিন্নতা অনুশীলন করা সোজা, কিন্তু বস্তির ঘরগুলিতে ? ছ সাত জন বা তারও বেশিজন মিলে গাদাগাদি করে থাকা শুয়োরের খোঁয়াড়ের মতো ঘরে আবার বিচ্ছিন্নতা কী বস্তু ? সেখানে ঐ দশ ফুট বাই দশ ফুটেই প্রজনন, জন্ম, মৃত্যু, এই সবই নির্বিবাদে সমাধা হয়ে থাকে। এতোবার হাত ধোয়াই বা কী করে সম্ভব যেখানে টাইম কলের সামনে দীর্ঘ লাইন আর কে আগে জল নেবে তাই নিয়ে ঝগড়া মারামারি। ফুটপাথের বাসিন্দারা স্নান, শৌচকর্মের জল পায় না
তাদের ভিআইপিদের দেখানো স্টাইলে কনুই অব্দি ঘষে ধোবার কথা বললে বাছাই করা বিশেষণে ভূষিত হবার চান্স আছে।
তাই বলে এতো পরিপক্ক রাজনৈতিক মাথাদের মনেই থাকবে না যে এ দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রের মজুর, যারা আবার বেশিরভাগই পরিযায়ী পাখির মতো ফসলের মরশুমে আনাগোনা করে এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ?
এরাই লক ডাউনে পায়ে পায়ে পাড়ি দিচ্ছে শত শত কিলোমিটার। কখনো দিল্লী পুলিশের তাড়া খেয়ে হাঁটছে উত্তর প্রদেশের সীমান্তের দিকে, আবার সে রাজ্যে ঢোকার ঠিক আগের মূহুর্তে উত্তর প্রদেশের পুলিশের লাঠি খেয়ে সোজা উল্টোবাগে ঘুরে ফের হাঁটা শুরু করছে দিল্লীর দিকে। রাস্তায় শাস্তি পেতে হচ্ছে নীল ডাউন হয়ে বা পায়ে হাঁটার বদলে ব্যাঙ লাফ দিতে দিতে কিলোমিটার খানেক গিয়ে। কিসের শাস্তি জিজ্ঞাসা করলে মানুষগুলো হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে নিশ্চয়।ভাগ্যবানেদের ব্লিচিং স্নান করানো হচ্ছে। আরো ভাগ্যবানেরা, তাদের সংখ্যা নাকি ২১, এই ধকল নিতে না পেরে সোজা পরপারের দিকে যাত্রা করেছে। খালি পেটে খর রৌদ্রে তিন চারদিন ধরে হাঁটলে যা হয় আর কি !
যারা করোনার সময় নিজের পৃষ্ঠদেশ বাঁচাবার জন্য এবং পুলিশের মাথায় আবার ফুল ছড়াবার চান্স পাবে বলে পুলিশকে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর গুলি চালাবার উপদেশ দিচ্ছে, তাদের কাছে সরাসরি প্রশ্ন, না হেঁটে এরা করবে কী ? খবরে যা উঠে এসেছে কাজ হারাবার পর ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কেটে , মেরেধরে এদের অস্থায়ী আস্তানা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সরকার সেসব আটকায়নি, বাস বা অন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। কাজ নেই, ফলে আয় নেই। এইরকম পরিস্থিতিতে তারা একমাত্র যেতে পারে যেখানে, নিজের দেশগাঁয়ের ছোট্ট কুঁড়েটিতে, সেখানেই যাবার চেষ্টা করছে। অপরাধ কোথায় ? আপনিও তো খাওয়া পরা চিকিৎসার গ্যারান্টি থাকা সত্ত্বেও আপনার বিদেশে পাঠরত সন্তানকে চলে আয় বাবা, চলে আয়, বলে বার বার গৃহের নিরাপত্তায় ফিরতে উৎসাহ দিয়েছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলা আটকাতে তার ফিরে আসার কথা পাঁচ কান করতে চাননি। তাহলে এই অভুক্ত গরীব মানুষগুলো অসহায় অবস্থায় ঘরে ফিরতে চেয়ে কী এমন অপরাধ করে ফেলেছে যে তার জন্য পুলিশের গুলির নিদান দেওয়া হচ্ছে ? তবে কি এরা টু শব্দটি না করে রাস্তার ধারে পুলিশের লাঠি সহযোগে অনাহারে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নিলেই আমরা খুশি হতাম ?
এরা নির্বিবাদে সব কিছু মেনে নিলেই কি ভারতে করোনা চিকিৎসার পথ সুগম হতো? আমাদের দেশ স্বাস্থ্য খাতে যতো টাকা খরচ করে তা পৃথিবীর সমস্ত দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম। লাস্ট প্রাইজটা আমাদের জন্য বাঁধা। একটা উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটি কতো হাস্যকর তা বোঝা যাবে।
ধরা যাক একটি জন স্বাস্থ্য অভিযান এস্টিমেটের কথা।
২০ লক্ষ জনসংখ্যার কোন জেলা শহরে ২০০০০ করোনা রোগিকে চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকল্পনাই সার, বাস্তবে সে হাসপাতালে যথেষ্ট বেড থাকবে না, স্বাস্থ্যকর্মী থাকবে না। একটি ভেন্টিলেটর থাকলেই ভাগ্য মানতে হবে। বড়লোকেদের জন্য প্রাইভেট হাসপাতাল আছে, তেমন তেমন অসুখে সেখানে মধ্যবিত্তের ঘটি বাটি চাটি হতে পারে, কিন্তু গরীবের করোনা হলে তো তাকে জন স্বাস্থ্য অভিযানের কৃপাপ্রার্থী না হয়ে উপায় নেই। প্লেনে চাপা দামী পোশাক পরিহিতের দ্বারা বাহিত হয়ে করোনা এলো এদেশে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত হবে শ্রমিক, পথবাসী, বস্তির হাভাতে কাগজকুড়ুনি, রিক্সাওয়ালা, হকার, এ কিরকম কথা !
এই হতভাগ্যদের মধ্যে কেউ কেউ যাতে করোনার সঙ্গে যুঝতে পারে সেজন্য দয়ালু সরকার বাহাদুর প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। রেশন তুলতে গেলে পরের ৩ মাস বাড়তি ৫ কিলো চাল বা আটা পাওয়া যাবে। ওই সময়ের জন্যই ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে জনধনযোজনার অন্তর্ভুক্ত মহিলাদের। আর ৩ কোটি বিধবা ভাতা প্রাপ্ত, সিনিয়র সিটিজেন, দিব্যাঙ্গদের জন্য তিন মাসের পেনশন এডভান্স। ২০০০ টাকা বরাদ্দ প্রত্যেক MGNREGA কর্মীর জন্য। এদের কারোরই কিন্তু কোনো মেডিক্যাল ইনসিওর্যান্স করা নেই। শুধুমাত্র এই টাকা, এই খাবারের ব্যবস্থা যদি আমাদের জন্যও করা হতো, তারপর আমার আপনার মেডিকাল ইন্সিওর্যান্স বাতিল ক'রে করোনা রাক্ষসীর সঙ্গে লড়তে বলা হলে কেমন লাগতো ?
দেখে নেওয়া যাক পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকারের হালের ঘোষণা কী।
মিঠে কথায় পয়সা লাগে না। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকার নানা ওষ্ঠ সেবা( lip service)-র আয়োজন রেখেছে। তাতে আশ্রয়, খাবার এসব মামুলি ব্যবস্থা তো আছেই, এমনকি শ্রমিকের মানসিক সুস্থতা কিভাবে বজায় রাখতে হবে সে কথাও বলা আছে। গাইডলাইন ইস্যু করে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে তার আশঙ্কা, ভয় ইত্যাদি " উপলব্ধি" করে যেন পুলিশ তার সঙ্গে " মানবিক ব্যবহার" করে।
জায়গায় জায়গায় রিলিফ ক্যাম্প বসাতে হবে, সেখানে জল, খাবার, সুস্থিতি সব পরিযায়ী শ্রমিকের পাওনা। স্বাস্থ্য পরিষেবাও। মন্ত্রক থেকে আরো বলা হয়েছে কাউন্সেলিং করে বা সব ধর্মের ধর্মগুরুদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে পরিযায়ী শ্রমিকদের মন মাথা ঠান্ডা রাখতে।
সমাজসেবীরা বলছেন, এই ভাবনাগুলো আগে ভাবলে লাভ ছিল। হুট করে লক ডাউন জারি করবার আগে পরিযায়ী শ্রমিক আর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের ওপর তার প্রভাব কী হবে সেটা নিয়ে এতো তালেবররা কেউই মাথা ঘামালো না ? দুম করে কাজ চলে গেলে, ক্ষিধের আগুন দাউদাউ জ্বলতে থাকলে মানুষজনের কী অবস্থা হতে পারে নোটবন্দী থেকে তার শিক্ষা নেয়নি শাসক ? বোঝেনি করোনিভাইরাসের সঙ্গে যোঝা আরো দুষ্কর হবে, কারণ দুর্বল বুকের খাঁচায় জেঁকে বসা ভাইরাস নিয়ে শ্রমিক ছড়িয়ে যাবে দূর দূরান্তরের গ্রামে, যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা দুর্বল থেকে দুর্বলতর ?
অন্দর জুড়ে অজস্র হাভাতের ভিড় আর বাইরে লক্ষ লক্ষ অভুক্ত মানুষের অবিশ্রান্ত হাঁটার আওয়াজ বলে দিচ্ছে লক ডাউন ছাড়া যদি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আর কোনো রাস্তা নাও থেকে থাকে, তবু হঠাত ডাকা এই লক ডাউন, অগ্র পশ্চাত বিবেচনাহীন এই লকডাউন, মানুষকে যমযন্ত্রণার মধ্যে ঠেলে দেওয়া এই লক ডাউন ব্যর্থ, সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
তাহলে কী করা উচিত ছিল এ প্রশ্ন উঠলো বলে। যেহেতু দেশ এখনও অন্তত নামে গণতন্ত্রী, ভাবতে এবং বলতে এখানে সবাই পারে, নির্ভয়ে নয় যদিও । যারা শুনলে কাজ হতো তারা শুনবে না জেনেও বলতে হবে। কারণ এদেশে এখনও পুলিশের বন্দুক সব সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে এরকম বিশ্বাস অনেকেরই নেই। ফলে পরবর্তী লক ডাউনের আগে সরকার যেন নাগরিকদের এই সুপারিশগুলো নিয়ে ভাবে।
১) যতোদিন লক ডাউন চলবে অসংগঠিত ক্ষেত্রে সবাইকে ততদিন ন্যুনতম মজুরি হিসেব করে অর্থসাহায্য করতে হবে। পরেও, অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া অব্দি। ৩০০ জন অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী রেখেছেন যে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মোট ৩৮ কোটি জনধনযোজনার গ্রাহকদের মাসে ৬০০০ টাকা ন্যুনতম তিন মাস দিতে হবে। সরকার সরাসরি এই টাকা তাদের একাউন্টে পাঠাবে।
২)পেনশনে চিকিৎসা বরাদ্দ ঢুকিয়ে তা বৃদ্ধির পর প্রাপক যাতে হাতে হাতে পায় তার ব্যবস্থা করা।
৩) বিনেপয়সায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠাতে হবে বস্তিতে। রেশন ব্যবস্থা অনেক উন্নত করতে হবে এবং কেরলের মতো দরজায় দরজায় দিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪)গৃহহীনদের আশ্রয় যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়, আলো বাতাস খেলে, রোগে বিচ্ছিন্ন থাকা যায়।
৫) জেলে বিচারাধীন বন্দী, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী কাউকে গাদাগাদি করে রাখা চলবে না। খুব গুরুতর কেস ছাড়া আপৎকালীন মুক্তি এদের পাওনা।
৬)সবচেয়ে বড় কথা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বরাদ্দ বহুগুণ বাড়াতে হবে। জরুরী অবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতাল বা এইধরণের ব্যবস্থাকে সরকার অধিগ্রহণ করতে পারবে। ঠেলার নাম যে বাবাজী স্পেন তা দেখিয়ে দিয়েছে। করোনা মোকাবিলায় সেখানে সব প্রাইভেট হাসপাতাল পাবলিকে রূপান্তরিত হয়েছে।
৭) শেষ কিন্তু শেষ নয় যে দাবী তা হল দেশ জাতির ভাগ্য নিয়ে সংক্ষেপিততম সময়ে ছিনিমিনি খেলার আগে দুবার ভাবতে হবে। সময় দিতে হবে। নোটবন্দী ও লক ডাউনের ফলে মানুষের চূড়ান্ত হয়রানি থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
যারা প্রশ্ন করবেন টাকা আসবেন কোত্থেকে তাদের মনে করাব শাসকদলের সঙ্গে দহরমমহরমের পর যে শিল্পপতিরা পলাতক, তাদের সম্পত্তি ব্যবসা ক্রোক করে সব পাওনা উশুল করা হোক। আর্থিক দুর্নীতির সঙখ্যা অগুন্তি। রাফায়েল তাদের মধ্যে হিমশৈলচূড়া। এইসব ক্ষেত্রে কঠোরতা দেখানো হোক। সাধারণ নাগরিককে বঞ্চিত করে ক্রমাগত কমছে ব্যাঙ্কের সুদের হার। এবার থাবা স্বল্প সঞ্চয়ে, তাও অভূতপূর্ব হারে। পৃথিবী জুড়ে তেলের দামে মন্দা, এখানে যাতে তেমন কমাতে না হয় তার জন্য কতো ছলাকলা ! কেন কমানো হয় কর্পোরেট ট্যাক্স ? শিল্পে কোন মন্দার মোকাবিলা করা গেছে তা দিয়ে ? এখুনি জরুরি ভিত্তিতে সম্পদ কর চালু করা হোক। বড়লোকেরদের ১% এর ওপর সঠিকভাবে সম্পদকর লাগু হলে এখনই হু হু করে উঠে আসবে বিপুল পরিমাণ টাকা।
এতো নষ্ট পয়সা কুড়িয়েবাড়িয়ে এক করলে করোনাযুদ্ধের খরচ উঠে আসবে না ?
অত্যন্ত সময়োপযোগী লপখা এবং সমস্যার মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশও আছ। চোর ধর্মের কাহিনী না শুনলেও বলে যাওয়া দরকার।
অত্যন্ত সময়োপযোগী লপখা এবং সমস্যার মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশও আছ। চোর ধর্মের কাহিনী না শুনলেও বলে যাওয়া দরকার।