এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ডিরাকের ফাঁকতালে নোবেল-প্রাপ্তি

    ঋক্ ধর্মপাল বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩৬০০ বার পঠিত
  • পল ডিরাক - তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার জগতে এক প্রকান্ড জ্যোতির্ময় বটবৃক্ষ! কিন্তু, কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় মৌলিক যুগান্তকারী গবেষণা করা সত্ত্বেও প্রায় হাতছাড়া হচ্ছিলো তাঁর নোবেলভাগ্য! নোবেলবাবু নিজের নামে প্রাইজ দেওয়ার জন্য যেসব শর্তাদি চাপিয়ে গেছিলেন তা ফিজিক্সের ক্ষেত্রে বেশ গোলমেলে আকার নিয়েছিলো। মানবসভ্যতার উপকার বলতে ফিজিক্সের ফিল্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারই বুঝে নিয়েছিলো নোবেল কমিটি।

    ১৯০১-এ রন্টজেনকে, এক্সরে আবিষ্কারের জন্য দেওয়া প্রথম পুরষ্কারের পিছনে যদিও বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না কারুর। ঝঞ্ঝাট বাধতে শুরু করলো এক দশক পেরিয়ে গেলে, একের পর এক মারাত্মক সব থিওরি নড়েচড়ে উঠে আসতে শুরু করলো যখন। বোরের তত্ত্ব যদিও সহজেই পার পেয়ে গেলো হাইড্রোজেন স্পেকট্রার ব্যাখ্যা দিয়ে, কিন্তু আটকে গেলো অ্যালবার্ট মশাইয়ের আপেক্ষিকতাবাদ, পরীক্ষাগত প্রমাণের অভাবে। ১৯২১ সালে ফোটোইলেক্ট্রিক প্রভাবের জন্য নোবেল পাওয়া আইনস্টাইন, ফিজিক্সের ইতিহাসে সর্ব্বাধিক ওজনদার তত্ত্বগুলোর মধ্যে একটার আবিষ্কারের জন্যেই নোবেল পেলেন না!

    তবে, এ তো গেলো এমন আবিষ্কার যার এক্সপেরিমেন্টাল ভেরিফিকেশান না হলেও বোধগম্য অন্ততঃ! বিশের দশকে চাগাড় দিয়ে উঠতে থাকল নতুন কোয়ান্টাম ফিজিক্স। বিজ্ঞানীরা সব ছেড়েছুড়ে অনু-পরমাণুর ভিতর নতুন করে উঁকি মারতে শুরু করলেন আর গেলো তাদের মাথা ঘেঁটে। '২৫ সালে প্রায় একই সঙ্গে অথচ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হাইসেনবার্গ আর শ্রয়েডিঙ্গার গড়ে তুললেন ম্যাট্রিক্স আর ওয়েভ মেকানিক্স। হাইসেনবার্গের পেপার সাদরে গৃহীত হলো সব জায়গায়, আইনস্টাইনের আবার বেশী পছন্দ ছিলো শ্রয়েডিঙ্গারের মেকানিক্স। এইসময়, ডিরাক ছিলেন কেম্ব্রিজের ছাত্র মাত্র! হাইসেনবার্গের গবেষণার কথা চাউর হওয়ার আগেই তিনি তা জানতে পেরেছিলেন তাঁর উপদেষ্টা রাল্ফ ফাউলারের মুখে। এও জেনেছিলেন এই দুটো থিওরির কোনোটাই বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদর সঙ্গে তাল মেলায় নি। স্পিনের ধারণাও ঢোকানো হয়েছিলো তাপ্পি মেরে। '২৮ সালে ডিরাক কষেকুষে বার করলেন এমন এক থিওরি যার মধ্যে স্পিন আর ম্যাগনেটিক মোমেন্ট ফান্ডামেন্টালি ঢুকে আছে। ডিরাকের বিখ্যাত বিউটিফুল সেই সমীকরণে ইলেকট্রন স্পাইনরের চারটে কম্পোনেন্ট। এইখান থেকেই সর্ব্বপ্রথম এলো প্রতীপকণা ওরফে অ্যান্টিপার্টিকল,এক্ষেত্রে পজিট্রন এবং ঋণাত্মক শক্তির ধারণা, থিওরিটিকালি। অ্যান্টিমিটার নিয়ে আজকের কচিকাচাদের নাচানাচির বীজ সেদিনই বোনা হয়েছিলো। ডিরাক প্রথমে ভেবেছিলেন তার তত্ত্বে যে ধনাত্মক কণার কথা আছে সেটা হয়তো প্রোটন। কারণ আর কিছু ধনাত্মক কণার কথা তাঁর মাথায় আসে নি। কিন্তু প্রোটন হলে ক্লাউড চেম্বারে ট্রাকের ডেভিয়েশান মিলিমিটার অর্ডারে পাওয়া উচিত ছিল, অথচ পাওয়া গেলো সেন্টিমিটার অর্ডারে। এই অর্ডার বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয় যাতে, তিনি লেডের প্লেট ব্যবহার করেছিলেন।

    এর কিছুদিন পর ওপেনহেইমার আর ম্যান্ডেলস্ট্যাম অসাধারণ একটি নোট লেখেন (নোট বলছি তার কারণ পেপারটা একপাতার হবে মনে হয় ; 1928 সাল নাগাদের), সেখানে তাঁরা অঙ্ক কষে দেখালেন ধনাত্মক কণাটি প্রোটন হলে খুবই তাড়াতাড়ি সেটা annihilate করে যাবে, স্থায়ী কিছু পাওয়া দুস্কর। এই calculation টা ভীষণ ভাবে দরকার ছিল ধনাত্মক কণাটি যে প্রোটন নয়, সেটা বুঝতে। স্টিভেন উইনবার্গের এর কোয়ান্টাম থিওরি অফ ফিল্ডস এর প্রথম খন্ডে ক্যালকুলেশনটা আছে। এইসবের মধ্যেই বলতেই হয় ১৯৩০-এ রামানের নোবেল পাওয়ার কথা, তাঁর আলোর স্ক্যাটারিং সম্পর্কিত গবেষণার জন্য। তবে, ১৯২৯এ লুই দ্যব্রয়, কণার তরঙ্গধর্ম্ম আবিষ্কারের জন্য নোবেল পেলেও নোবেল কমিটি রীতিমতো উশখুশ করছিলো কোর কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপর পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে। এ এক অদ্ভুত থিওরি যার আকর্ষণীয়তা কেউ উপেক্ষা করতে পারছে না, কিন্তু তখনও অব্দি নেই কোনো এক্সপেরিমেন্টাল ডিসকভারি! এই দোনামোনায় দেওয়াই হলো না ১৯৩১ এবং '৩২-এর নোবেল প্রাইজ, কাউকে, যা ফিজিক্সের ইতিহাসে লঙ্গেস্ট এম্পটি পিরিয়ড।

    ১৯৩০এর পর সবচেয়ে বেশী নোবেল নমিনেশান পেয়েছিলেন হাইসেনবার্গ এবং শ্রয়েডিঙ্গার। ডিরাক পেয়েছিলেন মোটে তিনটে! তার মধ্যে একটা ছিলো ডাব্লু এল ব্র‍্যাগের,বোধহয় একমাত্র মানুষ যিনি তখন চিনেছিলেন ডিরাকের মেধাকে। বোরের ভোট ছিলো হাইসেনবার্গের প্রতি, আইনস্টাইন চেয়েছিলেন শ্রয়েডিঙ্গারকে। তবে দু'জনের কেউই ডিরাকের কথা একবারও মুখেও তোলেন নি! এরই ফাঁকে হঠাৎ একদিন, আমেরিকান বিজ্ঞানী কার্ল অ্যান্ডারসন 'ফিজিকাল রিভিউ'-তে একটা পেপার লিখে দাবী করে বসলেন তিনি নাকি সত্যিই খুঁজে পেয়েছেন এক ধনাত্মক ইলেকট্রন! দেখা গেলো, হ্যাঁ সত্যিই! কসমিক রে'র বর্ষণে ক্লাউড চেম্বারে এমন এক কণার গতিপথ দেখা গেছে যার সব ধর্ম্ম ইলেক্ট্রনের মতো, তড়িতাধানের চিহ্ন বাদে। এই পরীক্ষা বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা ভালোমতো আলোড়ন সৃষ্টি করলো। সেই গ্রীষ্মেই রবার্ট ওপেনহাইমার আর মিল্টন প্লেজেট 'ফিজিকাল রিভিউ'-তে একটা চিঠি লিখলেন। তাঁরা নাকি ডিরাকের রিলেটিভিস্টিক কোয়ান্টাম মেকানিক্স দিয়ে, নিউক্লিয়াসের কাছে পেয়ার অ্যানাইহিলেশানের থিওরি মিলিয়ে দিতে পেরেছেন! এইসবের মধ্যে, এদিকে আবার ঠিক হয়েছিল ১৯৩৩-এর নোবেল দেওয়া হবে শ্রয়েডিঙ্গারকে আর '৩২-এর রিসার্ভড পুরস্কারটি দেওয়া হবে হাইসেনবার্গকে। হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা এইদুইখান প্রকান্ড এক্সপেরিমেন্টের দোলায় নোবেল কমিটি উঠে বসলো। হাতে করে বসাতে বাধ্য হয়েছিলো তারা ডিরাকের নাম। ১৯৩৩-এর ৯ই নভেম্বর শ্রয়েডিঙ্গারের সঙ্গে, পজিট্রন আবিষ্কারের জন্য নোবেল পেলেন পল ডিরাক।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩৬০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Pinaki | 162.158.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫৩91008
  • আরেঃ, এ তো সুইডিশ নিউজ পেপার। পড়ে খানিক বুঝেও গেলাম। চমৎকার! :-P
  • যদুবাবু | 172.69.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৯91009
  • বেশ ভালো লাগলো ! মাঝখানে একটু ট্যান গেছে, তা যাক - একটু ট্যান না গেলে ফিজিক্স পড়ছি না আনন্দমেলা বুঝবো কি করে?
  • ঋক্ | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৩91010
  • ন্যাঃ! পরেরবার চেষ্টা থাকবে, যেনো আনন্দমেলাই মনে হয়!
  • | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৩৭91012
  • সূন্দর , ভালো লেগেছে।
  • pi | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:০৩91017
  • এরকম লেখা আরো আসুক !
    কিন্তু এখনো কি এক্সপেরিমেন্টালি ভেরিফায়েড না হলে কোন তত্ত্বের জন্য নোবেল না দেওয়ার রেওয়াজ চালু আছে ?
  • টপোটুপাই | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:১৬91018
  • চমৎকার লেখা । ডিরাক অদ্ভুত লোক। এঁর সম্পর্কে কাহিনীগুলোও অন্য-মজাদার। গ্রাহাম ফার্মেলোর বইটায় পড়েছিলাম। আপনার লেখা পড়ে নোবেল গল্পটা জানলাম। ধন্যবাদ। ও হ্যাঁ ক্লাউড চেম্বারটা লেম্যানদের মত করে যদি বুঝিয়ে দেন ভালো হয়। আর 'নাগাদের' টা শুধু 'নাগাদ' করা যাবে?

  • tester | 172.69.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৩৮91019
  • নাগাদ - ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। পয়েন্ট আউট করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
  • দ্রি | 172.68.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৪১91020
  • এক্সপেরিমেন্টালি ভেরিফায়েড না হলে কখনো নোবেল প্রাইজ দেওয়া যায় নাকি? এম্পিরিকাল সায়েন্সে এক্সপেরিমেন্টাল ভেরিফিকেশান না হলে থিওরি যত বিউটিফুলই হক, মান্যতা পাবে না। অনেকটা সোর্সহীন (বা ডুবিয়াস সোর্সওয়ালা) ঝরঝরে ভাষার ঐতিহাসিক কাহিনীর মত।
  • ঋক্ | 172.68.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:০১91024
  • ক্লাউড চেম্বারটা খুব ইন্টারেস্টিং বস্তু। দেখি,খুব তাড়াতাড়ি ওটার উপর নামাবো কিছু!

    দ্রি, সোর্স বলতে আপনি কি সোর্স দেওয়ার কথা বলছেন? অরিজিনাল পেপারগুলো?
  • স্বাতী রায় | 172.69.***.*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৩০91026
  • খুব ভালো লাগল লেখাটা। এরকম সরস বাংলায় লেখা বিজ্ঞানের কথা আরও পড়তে চাই।
  • সুকি | 162.158.***.*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৪৭91028
  • লেখাটি খুব ভালো লাগল, আরো আসুক.
  • JAYARSHI BHATTACHARYA | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:০১91036
  • @pi হ্যাঁ। অশোক সেনের অসামান্যথিওরিথাকলেওযে কারণেনোবেলকমিটিরবিচারে আসবেন না।
  • ঋক্ | 162.158.***.*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৫৫91046
  • স্ট্রিং থিওরির উপর একটা বই আছে, "Why String theory?" Joseph Conlon এরলেখা। সেই বইয়ের একটা চ্যাপ্টার আছে - "Direct experimentalevidenceof string theory" চ্যাপ্টারটা একপাতার। তাতে একটা লাইন লেখা। "There is no evidence" এভিডেন্স পাওয়ার আশা এই মুহূর্তে সোনার পাথরবাটি
  • দ্রি | 172.68.***.*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৫৭91050
  • @ঋক, না। আমি জাস্ট বলছি, যেটা এত অবভিয়াস যে রিপিট করার কোন মানে নেই, যে এভিডেন্স ছাড়া থিওরিতে অনেক সময় খুব রোম্যান্টিসিজম থাকে (বিশেষ করে তাতে বিউটিফুল অঙ্ক থাকলে), কিন্তু বিশ্বাস ইজ আ ডিফারেন্ট ম্যাটার।
  • b | 162.158.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:৫৯91057
  • "কিন্তু প্রোটন হলে ক্লাউড চেম্বারে ট্রাকের ডেভিয়েশান মিলিমিটার অর্ডারে পাওয়া উচিত ছিল, অথচ পাওয়া গেলো সেন্টিমিটার অর্ডারে। এই অর্ডার বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয় যাতে, তিনি লেডের প্লেট ব্যবহার করেছিলেন।"
    এটা একটু বুঝিয়ে দিন। লাস্ট ফিজিক্স পড়েছি ক্লাস টেন।
  • de | 162.158.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৩৫91058
  • ভালো লেখা!

    ট্রাকের ডেভিয়েশন মাস- এর সাথে ইনভার্সলি প্রোপোর্শনাল হবে। প্রোটন অনেক ভারী পজিট্রনের থেকে, সাইজেও বড়। তাই প্রোটন যদি অ্যান্টিপার্টিকল হোতো, তাহলে কম ডেভিয়েটেড হোতো। কিন্তু আসলে দেখা গেলো ডেভিয়েশন অনেক বেশী। তার মানে পার্টিকলটার চার্জ পজিটিভ কিন্তু অনেক কম ভারী - আর সাইজেও ছোট। তাই পজিট্রন।

    ক্লাউড চেম্বার আসলে একটা পার্টিকল ডিটেক্টার - ওর ভেতরে অ্যালকোহলের ভেপার থাকে - নতুন যেকোন পার্টিকল আসলে চারপাশে ধাক্কা-টাক্কা মেরে আইয়োনাইজ করে দেয় -
  • রৌহিন | 162.158.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫২91073
  • এই চমৎকার লেখাটা নজর এড়িয়ে গেছিল। নিউট্রিনো, এবং পজিট্রনের সাথে তার ইন্টের‍্যাক্টিভ বিহেভিয়ার নিয়েও কিছু লেখা চাই। এই অংশটা আমাদের স্কুলপাঠ্য ফিজিক্সে একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া হয়। অথচ পজিট্রন না বুঝলে নিউক্লিয়াসের স্টেবিলিটি নিয়ে ধারণা করা বেশ কঠিন।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন