এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কারাগার, দেশে ও বিদেশে

    সন্দীপন দাশগুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ জুলাই ২০০৯ | ৭১১ বার পঠিত
  • শারীরিক নির্যাতনের সাহায্যে বিচারাধীন কয়েদীদের পছন্দমত "স্বীকারোক্তি" দিতে বাধ্য করার বিষয়টি গত এক বছরে বহুল প্রচারিত - মার্কিন প্রশাসন, প্রচারমাধ্যম ও সংসদের কল্যাণে। মার্কিন দেশে অবশ্য, গ্রেপ্তার করার আগে বা পরে, বিচারাধীন বন্দীদের উপর শারীরিক নির্যাতনের ব্যাপারে বেশ কড়া নিষেধাজ্ঞা আছে, যা নেহাতই "ব্যতিক্রমী' ব্যাপারস্যাপার ছাড়া, সাধারণভাবে মেনেও চলা হয়। এই কয়েকমাস আগে আটলান্টার এক গাড়িচালক কয়েকজন পুলিশকে চাপা দিয়ে চলে যাবার চেষ্টা করে। তাকে তাড়া করে ধরে ফেলার পর, ঐ পুলিশরা লোকটির উপরে শারীরিক আঘাত করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেই আঘাতগুলি মোটেই ঠান্ডা মাথার পুলিশী মার নয়, বরং রক্তমাংসের সাধারণ মানুষের মতই। কোনো ক্রমে প্রাণে বেঁচে যাবার পর সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ধরণের আচরণই প্রত্যাশিত। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে এই অজুহাত ধোপে টেকেনি, বরং অ-পুলিশী আচরণের অভিযোগে তিনজন পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হয়।

    পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে বিচারাধীন বন্দী বা কয়েদীদের "মানবাধিকার' এর প্রশ্নে ঠিক এতটা কড়া মনোভাব আদৌ দেখা যায়না। বরং দেশেবিদেশে পুলিশি জেরার অংশ হিসেবে শারীরিক নির্যাতন দেখতে দেখতে আমরা একরকম অভ্যস্ত-ই হয়ে পড়েছি বলা চলে। খোদ মার্কিন দেশেই "জাতীয় নিরাপত্তা'র কারণ বা অজুহাত থাকলে বিষয়টা ঠিক উল্টে যায়। আর ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অবস্থাটা আরও খারাপ। লক আপে জীবনযাত্রার নিয়মিত অংশ হিসেবে শারীরিক নিগ্রহ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ভারতীয় আইনের অবস্থান দেখলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। ভারতীয় আইন এবং বিভিন্ন কোডের জায়গায় জায়গায় আন্তর্জাতিক এবং একাধিক রাষ্ট্রের আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ দৈহিক শাস্তি ও অমানবিক অত্যচারের সপক্ষে রয়েছে প্রত্যক্ষ সমর্থন। শুধু তাই নয়, সামান্য ছুতো পেলেই এই সমস্ত অত্যাচারপ্রণালী প্রয়োগও করা হয়েছে মহা উৎসাহে।

    বর্তমানে ভারতীয় কারাগার ও বন্দীদের আচরণবিধি সংক্রান্ত নিয়মগুলির ভিত্তি হল মূলত: ১৮৯৪ সালের বৃটিশ ঔপনিবেশিক প্রিজন্‌স অ্যাক্ট ও ১৯০০ সালের প্রিজনার্স অ্যাক্ট। কি বলছে এই আইনগুলি একটু দেখে নেওয়া যাক। প্রিজনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী জেলখানার নিয়ামকানুন লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্নরকম দৈহিক শাস্তি হওয়া সম্ভব - এমনকি ৩০ বার পর্যন্ত চাবুক মারা হতে পারে। "ইচ্ছাকৃত বিধিভঙ্গ', হুমকি দেওয়া বা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার, "অনৈতিক বা অশ্লীল আচরণ', "অসুস্থতার অভিনয়' ইত্যাদি অপরাধে এই সমস্ত শাস্তি প্রয়োগ করা হতে পারে। প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পুর্ণ ক্ষমতা ও নি:শর্ত স্বাধীনতা থাকে জেল সুপারিন্টেন্ডেন্টের হাতে। এ ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয় না বা শাস্তিপ্রয়োগের সমর্থনে যুক্তি পেশ করতে হয় না। দিল্লী জেল ম্যানুয়েলের সেকশন ৩৮-এ এই চমৎকার আইনটি আজও শোভা পায়।

    আইনগুলির পরিবর্তনের চেষ্টা একেবারে হয়নি তা অবশ্য নয়। ষাটের দশকের শেষদিক থেকে একাধিক মামলাকে কেন্দ্র করে দৈহিক শাস্তিপ্রয়োগ সংক্রান্ত আইনে সংশোধন আনার একটা প্রয়াস দেখা গিয়েছিল। অন্তত: এই প্রক্রিয়ায় সমস্ত তথ্যপ্রদর্শন ও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়াকে বাধ্যতামূলক করার পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবি ও বিচারপতিরা। এককভাবে কোন কয়েদীকে কারারুদ্ধ করা অথবা লৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার নিয়মগুলি ভারতীয় সংবিধানের কিছু মৌলিক শর্তের পরিপন্থী বলে চিহ্নিত করা শুরু হয়। প্রিজন্‌স অ্যাক্টের অংশ হিসেবে সাময়িকভাবে এগুলির পক্ষে রায় দিতে বাধ্য হলেও, আদালতে, সাধারণভাবে এই অত্যাচারী প্রথাগুলিকে ঔপনিবেশিক আইনব্যবস্থার ধ্বংসাবশেষ হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। যে কোন সভ্য, আধুনিক দন্ডবিধির প্রধান উদ্দেশ্য - একজন অপরাধীকে আত্মসংশোধনের সুযোগ দিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা; চাবুকের ব্যবহার জাতীয় বর্বরোচিত মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথাগুলি যে সেই উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করবে - তা বারবার উঠে আসে ভি আর কৃষ্ণ আইয়ারের মত বিচারপতিদের বক্তব্যে। মোটের ওপর - জেল ম্যানুয়েলগুলিতে কিছু বড়সড় পরিবর্তনের একটা প্রয়োজন অনুভূত হতে থাকে।

    বিচারপতি ও আইনজীবিদের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ১৯৮০-৮৩-র মধ্যে একটি সর্বভারতীয় জেল সংশোধনী কমিটি গঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন কারাগারে তদন্তের ভিত্তিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রাখা হয় এই কমিটির পক্ষ থেকে - যেমন ভালো ব্যাবহারের জন্য বন্দীদের পুরষ্কৃত করা ও চাবুক প্রভৃতি দৈহিক শাস্তির নিষিদ্ধকরণ। সর্বোপরি জেলে আচরণবিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে প্রিজন্‌স অ্যাক্টের পরিবর্তে স্বাভাবিক বিচারপ্রক্রিয়া অনুসরণের প্রস্তাব রাখা হয় - যেখানে কয়েদীরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবে ও প্রয়োজনে বৃহত্তর আদালতে আবেদন করাতে পারবে। ১৯৯৬ সালে মূলত: এই প্রস্তাবগুলির ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি প্রিজন্‌ বিলের খসড়া পাঠায় সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে। কিন্তু তারপরেই কমিশন গৃহমন্ত্রকে বিলটি হস্তান্তরিত করার মস্তবড় ভুল করে বসে। রাজ্যগুলি কারাগার সংক্রান্ত আইনে ( যেটি একটি রাজ্যের প্রশাসনিক বিষয় ) 'কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ' নিয়ে সোরগোল জুড়ে দেয়। আর সেই কোলাহলে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় কারাগার আইন সংশোধনের মূল বিষয়টি। ফলে প্রিজনস্‌ এক্ট আজও ১৮৯৪-এর আকারেই থেকে গেছে।

    একটু দেখা যাক পৃথিবীর বাকি দেশগুলির তুলনায় কোথায় আছে আমাদের কারাগার আইন। বন্দীদের সুরক্ষা ও মানবাধিকার বিষয়ে যে আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলতে ভারত সরকার দায়বদ্ধ, তাতে যে কোন রকম দৈহিক শাস্তিপ্রয়োগ নিষিদ্ধ। অতএব দেখা যাচ্ছে যে জেলে এককভাবে দীর্ঘমেয়াদী বন্দীকরণ, চাবুকের ব্যবহার, লৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখা ইত্যাদি শাস্তির ফলে প্রায়ই আন্তর্জাতিক চুক্তিভঙ্গ হচ্ছে। যেখানে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর মত ছোট্ট একটি দেশের একজন কয়েদীকে ২০ বার চাবুক মারার জন্যে জবাবদিহি করতে হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিটির কাছে, সেখানে প্রিজন্‌স অ্যাক্টের কল্যাণে ভারতের যে কোন জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট একজন কয়েদীকে ৩০ বার পর্যন্ত চবুক মারতে পারেন নির্দ্বিধায়।

    কিন্তু শুধু কি আইনের ফাঁকফোকরই দায়ী ভারতীয় কয়েদীদের দুর্দশার জন্যে ? ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরুর এক সফটওয়্যার কর্মী ৫০ দিনের জন্য হাজতবাস করেন পুলিশের ভুলে। তাঁর কথায় - 'একটা বাটি দেওয়া হয়েছিল আমাদের। সেটা আহার, জলপান থেকে শুরু করে শৌচকর্মের জন্যেও ব্যাবহার করতে হত আমাদের।' শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত যুবকটি যা দেখে স্তম্ভিত হয়েছিলেন, তা দেশের বিভিন্ন জেলের হাজার হাজার কয়েদীকে জীবনের নেহাতই স্বাভাবিক অংশ বলে মেনে নিতে হয়। অস্বাস্থ্যকর ও অপর্যাপ্ত আহারে শরীর ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা তো 'হয়েই থাকে' - বিশেষ করে বিচারাধীন বন্দীদের মধ্যে, যাদের অপরাধ অপ্রমাণিত। আশ্চর্য কি - যে দেশে বহু স্বাধীন নাগরিকই অপুষ্টির শিকার, সেখনে কয়েদীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবার সময় কার ? 'শোধনাগার'-এ কয়েকটি দিন একজন নিরপরাধ মানুষকেও অনিবার্য ভাবে ঠেলে দেয় অপরাধের দিকে। এই অবস্থার পরিবর্তন কি কয়েকটি আইনের সাহায্যেই সম্ভব ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ জুলাই ২০০৯ | ৭১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন