এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • একটি গণশুনানী ও আতঙ্কগ্রস্ত সরকার

    কল্লোল দাশগুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জুন ২০১০ | ১৩০৮ বার পঠিত
  • হেঁইয়ো হো হো হেঁইয়ো ফেব্রুয়ারী ২০০৬
    মাসুম এবং পিপলস ওয়াচ, তামিলনাডু National Project on Preventing Torture in India (NPPTI) নামে একটা কার্যক্রম শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিলো ভারত সরকারের উপর চাপ তৈরী করা, যাতে সরকার Convention Against Torture কে মান্যতা দেয়। এতে ভারত সরকার সই করেছিলো, কিন্তু র‌্যটিফাই করেনি, অর্থাৎ মান্যতা দেয় নি।
    CAT হলো রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সনদের মতো আর একটা সনদ, যাতে ১৫৪টি দেশ সই করেছে এবং মান্যতা দিয়েছে।
    এই লিঙ্কটাতে পুরো ছবিটা পাওয়া যাবে।
    CAT সম্পর্কে বিশদ এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে। http://www.hrweb.org/legal/cat.html

    মাসুম ছিলো প:ব:তে এই কার্যক্রমটির দায়িত্বে।
    অন্য আরও অনেক রাজ্যেই এই কার্যক্রমটি চালু করা হয়। রাজ্যগুলি হলো : কেরালা, উ:প্র:, তামিলনডু, বিহার, রাজস্থান, উড়িষ্যা, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এই কার্যক্রমটির আর্থিক সহায়তা করেছিলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান ও Friedrich Naumann Stiftung (FNSt) ।
    দুই বছরের এই কার্যক্রমে মাসুম প:ব:তে ৭৯৯টি রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের ঘটনা, প:ব: ছয়টি জেলা জুড়ে তদন্ত করে তুলে আনে। অভিযোগ মূলত: বিএসএফ ও স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। ঠিক হয়, একটি গণশুনানী এই অভিযোগগুলো শুনবে। সেখানে সরকারী আধিকারিকদেরও ডাকা হবে যাতে তারাও তাদের বক্তব্য বলতে পারেন। ৯-১০ জুন ২০০৮ এই গণশুনানীর দিন স্থির হয়।

    রাজা তুই ভয় পেয়েছিস ৭ জুন ২০০৮
    কলকাতা পুলিশ মাসুম আফিসে আসে ও এই গণশুনানীর আইনী যৌক্তিকতা/গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু লিখিত জবাব নিতে অস্বীকার করে।

    ৯-১০ জুন ২০০৮
    কলকাতার মৌলালী ম্যারেজ হাউসে পিপলস ট্রাইবুনাল অন টর্চার অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১২০০ মানুষ এতে অংশগ্রহন করেন। ৮২ জন অত্যাচারিত মানুষ প্যানেলের সামনে তাদের দুর্ভোগের কথা বয়ান করেন।
    প্যানেলে ছিলেন - ড: মোহিনী গিরি, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন প্রধান, শ্রী মলয় সেনগুপ্ত প্রাক্তন প্রধন বিচারপতি সিকিম হাই কোর্ট। এছড়াও ছিলেন ড: সত্যজিত আশ, শ্রী পামেলা ফিলিপোস, শ্রী অশোক চক্রবর্তি, ডা: হীরালাল কোনার, ড: তাপস ভট্টাচার্য্য, ড: শ্রীমন্তি চৌধুরী, শ্রী আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক রুচিরা গোস্বামী এবং ড: এ কে গুপ্ত। শুরুর দিনে উপস্থিত ছিলেন শ্রী সঈদা হামিদ, শ্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী আর বিচারপতি শ্রী দিলীপ বসুও।
    ১২ জুন ২০০৮
    কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে একদল পুলিশ অফিসার মাসুম দপ্তরে বিকালবেলায় হানা দেয়। এদের নেতৃত্বে ছিলেন এসিপি শ্রী প্রবীর চ্যাটার্জি। ওরা দাবী করেন ওদের কাছে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তল্লাসীর হুকুমনামা (সার্চ ওয়ারেন্ট) আছে। এসিপি বা তার অধস্তনরা কেউই উর্দি পড়ে ছিলেন না। নাম সম্বলিত যে ব্যাজ পরা বাধ্যতামূলক তাও তাদের ছিলো না। ওরা যখন মাসুম দপ্তরে ঢোকেন তখন দপ্তরের বাইরে সাত-আটজন সাধারন উর্দিধারী পুলিস রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরা সাথে করে একজন ফটোগ্রাফারও এনেছিলেন।
    বার বার জিজ্ঞাসা করা সত্বেও তল্লাসকারী অফিসারেরা এই তল্লাসীর কোন কারন বলতে চাননি। কিছুটা চেপে ধরাতে জানা গেলো যে ওনাদের কাছে ঠিকঠাক তল্লাসী হুকুমনামা (সার্চ ওয়ারেন্ট) নেই। যা আছে সেটা হলো মাসুমের নির্যাতন বিরোধী কার্যক্রম নিয়ে খোঁজ করার হুকুম। মাসুম পুলিশের সাথে সহযোগীতা করে। এমনকি ওদের বলাও হয়, কি কি নথি ওদের দরকার তার তালিকা দিলে মাসুমই লালবাজারে পৌঁছে দিয়ে আসবে। ইতিমধ্যে পুলিশের ফটোগ্রাফারটি খানা তল্লাসীর ছবি তুলতে থাকেন। এমনকি দপ্তরে উপস্থিত মাসুম কর্মীদের ছবিও তোলেন।
    পুলিশ শেষ পর্যন্ত, কিছু নথি, কিছু সিডি নিয়ে যায়, আইনমাফিক সিজার লিস্ট দিয়ে। যাবার সময় কিছু পুলিশ অফিসার এই ""অনর্থক"" হয়রানির জন্য ক্ষমাও চান। ওরা বলেন ""উপরমহলের আদেশে"" ওরা এই তল্লাসী চালিয়েছেন।
    ট্রাইবুনাল আইনী কি না তাই নিয়ে পুলিশের খোঁজ খবর জারি থাকে। গোয়েন্দা দপ্তরের নির্দেশে তালতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (কেস নং ১৪৩/২০০৮ তারিখ - ৯/৬/২০০৮) কিরীটি রায় ও মাসুমের কর্মীদের ওপর।
    মামলার অভিযোগ সমূহ : ভারতীয় পেনাল কোড ১৮৬০ এর : ১৭০ ধারা - নিজেকে সরকারী পদস্থ কর্মচারী হিসাবে দেখানো। ১৭৯ ধারা - তদন্তের অধিকারী সরকারী কর্মচারীকে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করা। ২২৯ ধারা - নিজেকে জুরি হিসবে দেখানো, ১২০(বি) ধারা - রাষ্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
    এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, কলকাতা পুলিশ এই ট্রাইবুনালে যোগ দিতে আসা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে বিমানবন্দর থেকে পাইলট কার দিয়ে নিয়ে আসে।
    প্রতিবাদে প্রতিরোধে
    ১২ জুন ২০০৮
    মাসুম দপ্তরে পুলিশী হানা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান শ্রী এস রাজেন্দ্রবাবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠি দেন ড: মোহিনী গিরি এবং প্যানেলের অন্যান্য সব সদস্য।
    ১৪ জুন ২০০৮
    হাওড়ায় মারিয়া ডে স্কুলে বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠনের ডাকা একটি সভায় এই পুলিশী হানার নিন্দা করা হয়।
    ১৬ জুন ২০০৮
    প্রেস ক্লাবে, পিপলস ট্রাইবুনাল অন টর্চারের পক্ষ থেকে প:ব:এ রাষ্ট্রীয় নির্যাতন নিয়ে অন্তর্বতিকালীন প্রতিবেদন পেশ করা হয়।
    ১৮ জুন ২০০৮
    কফি হাউসে সভা ও প্রচার পত্র বিলি।
    ২৬ জুন ২০০৮
    স্টুডেন্টস হলে, মাসুমের দপ্তরে পুলিশী হানার প্রতিবাদে নাগরিক সভা।
    কিরীটি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অ¡না ফৌজদারী মামলাটির সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন তুলে মাসুম কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করে। আদালতকে অনুরোধ করা হয় ঐ মামলটিকে তুলে নিতে।

    ২৬ আগষ্ট ২০০৯
    বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মাসুমের রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন। উনি বলেন যে, মাসুম দেশে একটা সমান্তরাল বিচার ব্যবস্থা চালাচ্ছে কি না তা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন আছে।

    এই রায়ের বিরুদ্ধে মাসুম, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মোহিত রঞ্জন শাহ ও বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে একটি ডিভিশন বেঞ্চ, আপীল করে।

    ১০ মার্চ ২০১০ এই আপীলটি শুনানীর জন্য ধার্য করা হয়। সেদিন আদালত আপীলটি গ্রহন করেন ও ৮ এপ্রিল ২০১০ চূড়ান্ত শুনানীর দিন ধার্য করেন।

    নখে দাঁতে ঝিলিক দিচ্ছে ভয়
    ৪ এপ্রিল ২০১০
    মাসুমের সহকারী সম্পাদক, অ্যাডভোকেট অভিজিত দত্তকে লালবাজারে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়।
    ফৌজদারী মামলাটির তদন্তকারী অফিসার শ্রী এস ধর অভিজিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিআরপিসির ১৬১ ধারা মাফিক অভিজিতের বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়। মজার ব্যাপার, পরে অভিযোগনামায় (চার্জশিট) অভিজিতকে পলাতক বলে দেখানো হয়।

    ৭ এপ্রিল ২০১০ (ডিভিশন বেঞ্চের চূড়ান্ত শুনানীর দিনের ঠিক আগেরদিন)।
    কিরীটিকে তার শ্রীরামপুরের বাড়ি থেকে, কলকাতা পুলিশের সন্ত্রাসবাদী দমন শাখা, গ্রেফতার করে।
    পুলিশের তরফ থেকে যে অভিযোগনামা দায়ের করা হয়, তাতে প্রথমে দায়ের করা অভিযোগগুলো (১৭০ ধারা - নিজেকে সরকারী পদস্থ কর্মচারী হিসাবে দেখানো। ১৭৯ ধারা - তদন্তের অধিকারী সরকারী কর্মচারীকে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করা। ২২৯ ধারা - নিজেকে জুরি হিসবে দেখানো, ১২০(বি) ধারা - রাষ্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র) ছাড়াও নতুন নানান অভিযোগ জুড়ে দেওয়া হয়। ধারা ৪৬৭ - ঠকিয়ে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে জালসাজি করা, ধারা ৪৬৮ - ঠকানোর উদ্দেশ্যে জালসাজি করা, ধারা ৪২০ - প্রতারণা, ছাড়াও ৪৭১ আর ২০১ ধারাও লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    ভাঙ্গা পাঁজর শপথ শিখায় জ্বালো
    ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম ব্যাঙ্কশাল কোর্ট, কলকাতা), অভিযোগনামাকে আমল না দিয়ে, কিরীটির জামিন মঞ্জুর করেন। অভিযোগনামাকে আমল না দেওয়া কারন হিসাবে ম্যাজিস্ট্রেট মন্তব্য করেন যে, বাড়তি যে অভিযোগগুলি দায়ের করা হয়েছে, সেগুলো কোন তথ্য-প্রমাণ ছড়াই করা হয়েছে, আর তার জন্য আদালতের প্রয়োজনীয় অনুমতিও নেওয়া হয় নি।
    আরও একটা মজার কথা - সেদিন প্রায় সব বাংলা খবরের কাগজেই শিরোনাম হয়েছিলো ঐ বাড়তি ধারাগুলো-ই। কিরীটিকে প্রায় ঠগ-জোচ্চোর বনিয়েই দেওয়া হয়েছিলো।

    রিট পিটিশনটি খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মাসুমের মামলাটিতে শেষ পর্যন্ত ২১ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ১৩ মে এবং ১৭ মে দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর ১৮ মে ২০১০ ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায় দেন।
    শুনানী চলাকালীন নানান কৌতুহলাদ্দীপক ব্যাপার ঘটে।
    · সাধারন নাগরিক হিসাবে যে কেউ কোন বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে পরে কি না, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন যে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তিনি ও আরও কয়েকজন বিচারপতি নর্মদা বাঁধের দরুন যে সব আদিবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের ঠিকমতো পুণর্বাসন দেওয়া হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করতে যান। ওঁর মন্তব্য - সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ছড়াও যে কোন নাগরিকই এই কাজটা করার অধিকারী। সেক্ষেত্রে তদন্তের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার মানেই হয় না।

    · পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর হাতে সাধারন নাগরিকদের অত্যাচারীত হওয়ার যে সব ঘটনা মাসুম তাদের গণশুনানীতে তুলে ধরেছে, সেসব ঘটনা এই ডিভিশন বেঞ্চ স্যুয়ো মটো জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গণ্য করতে পারে। করন ডিভিশন বেঞ্চ লক্ষ্য করেছে যে রাজ্য সরকার, পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর কীর্তিকলাপকে আড়াল করতে চাইছে। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার এই ঘটনাগুলির প্রতিকারের জন্য নাগরিক উদ্যোগ সম্পর্কে বিনা কারনে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছে।
    · ডিভিশন বেঞ্চ মাসুমের এই কার্যকলাপ (গণশুনানী) আদৌ কোন খারাপ উদ্দেশ্যে চালিত নয় বলে মনে করে। বরং এই ধরনের উদ্যোগ, লোক আদালত বা জনস্বার্থ মামলার মতই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করে।
    · সরকারী কৌঁশুলী যখন বলেন যে, এই ধরনের অভিযোগ (পুলিশ ও অ¡ধা সামরিক বাহিনীর অত্যাচার) তদন্ত ও শাস্তির সুপারিশের জন্য রাজ্য মানবাধিকার কমিশনই রয়েছে, তখন প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন যে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সভাপতির পদ খালি পড়ে রয়েছে বহুদিন। এমন অবস্থায় সেটি আর কার্যক্ষম থাকে না।
    এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চ লক্ষ্য করেছেন যে, অ¡ধা সামরিক বাহিনী বা সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশন কার্যকরী ভুমিকা নিতে অক্ষম।

    ডিভিশন বেঞ্চ, মাসুমের আনা পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ার আদেশ দেন। এই কমিটিতে দুই জন আইজি পদমার্যাদার দক্ষ ও সৎ পুলিশ অফিসার ও একজন সম্মনিত শিক্ষাবিদ থাকবেন। হাইকোর্ট এই কমিটির কাজ তদারক করবেন। এই কমিটি ৮ সপ্তাহের মধ্যে মাসুমের অভিযোগগুলি সম্পর্কে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন। এই রিপোর্টে যদি মাসুমের আনা অভিযোগ প্রথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তবে কিরীটি ও অন্যান্যদের ওপর থেকে ফৌজদারী মামলাটি (কেস নং ১৪৩/২০০৮ তারিখ - ৯/৬/২০০৮) তুলে নিতে হবে।

    হাতে হাত ধরে পার হবো এই বিষের বিষাদ সিন্ধু
    বহু সংগঠন ও ব্যক্তি রাজ্য সরকার ও পুলিশের এই নক্কারজনক কাজের প্রতিবাদ করেছেন।
    সংগঠন : অ্যামনেস্টি ইন্টার্ন্যাশনাল, হিম্যান রাইট্‌স ওয়াচ (ইউএসএ), ফ্রন্টলাইন ডিফেন্ডারস (আয়ার্ল্যান্ড), ফোরাম এশিয়া (থাইল্যান্ড), দ্য অবজার্ভেটারী (জেনেভা), এশিয়ান সেন্টার ফর হিম্যান রাইটস (দিল্লী), পিপলস ওয়াচ (তামিলনাডু), পিপলস ইউনিয়ান ফর সিভিল লিবার্টিস, হিম্যান রাইট্‌স ল নেটওয়ার্ক, SICHREM (কর্নাটক), ইন্টার্ন্যাশেনাল ব্রিগেডস ফর জাস্টিস (জেনেভা), নাগরিক মঞ্চ, বন্দীমুক্তি কমিটি, এপিডিআর, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ মঞ্চ, শ্রমজিবী হাসপাতাল, ইন্দো-জাপান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়ান, দিশা, এখন বিসংবাদ ও আরও অনেক সংগঠন।
    ব্যক্তি : অরুন্ধতি রায় - লেখক, গৌতম নাভালকা - সম্পাদক EPW , সুজাত ভদ্র - মানবাধিকার কর্মী, বিভাস চক্রবর্তি - নাট্য ব্যক্তিত্ব, মেহের ইঞ্জিনিয়ার - বিজ্ঞানী, সুমিত চৌধুরী - চিত্রনির্মাতা, অধ্যাপক তরুণ সান্যাল, মুরাদ হোসেন - NAPM , রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায় - লেখক, কল্যান রুদ্র - পরিবেশবিদ, দীপঙ্কর চক্রবর্তি - সম্পাদক অনীক, ক্যারল গীতা - সমীক্ষা রাজস্থান, গৌতম সেন - মজদুর মুক্তি, ফিলিপ সেতুঙ্গা - হংকং, সু এ কিম - দ: কোরীয়া, অন্তরা সেন - সম্পাদক লিটল ম্যাগাজিন, দিল্লী ও আরও অনেকে।

    ২০শে জুন, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২০ জুন ২০১০ | ১৩০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন