এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • পুজোর হুজুগ ৩ -- পুজোয় চাই

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ০৫ অক্টোবর ২০১১ | ১০০১ বার পঠিত


  • পুজোর সময় কি করছেন? মা দুগ্গার কাছে কি চাইছেন মাথারা? কল্পিত এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিয়ে জানালেন দেশের চার মাথা।

    লালকৃষ্ণ আদবানি
    পুজোর সময়টা একটু ব্যস্ত থাকব। তেমন কিছু না, একটু ঘুরতে হবে আর কি। নানা বেড়াতে-টেড়াতে নয়। ওসব সুখ কি আর কপালে আছে? সাধ করে তো আর যাচ্ছি না। এই বুড়ো বয়সে কোথায় পায়ের উপরে পা তুলে আয়েস করব, লোকজন এসে প্রণাম টনাম করবে, অনেকদিন তো হল এবার একটু প্রধানমন্ত্রী হন স্যার বলে সাধবে, তা নয়, আবার রথে চড়তে হচ্ছে। না না কলা-টলা বেচতে যাচ্ছি ভাববেন না। ওটা বজরং দলের ডিপার্টমেন্ট। গদা হাতে ল্যাজ লাগিয়ে লাফাবে, কলা-টলা বেচবে। হই-হল্লা করবে। ওসব ছোটোখাটো জিনিস নিয়ে আমি মাথা ঘামাইনা।

    তাহলে কেন চড়ছি? আমি ছাড়া কে চড়বে স্যার? বাকি সব তো সুখের পায়রা। না বোঝে রাজনীতি না আছে বুদ্ধিশুদ্ধি। বাকতাল্লায় অষ্টকাঠি আর কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা। আমি রথে চড়ব, ঘাম ঝরাব। জেলের লপসি খাব। আর ওনারা এসে স্মাইল দিয়ে পরমহংস হবেন। চুমুক দিয়ে শুধু দুধটি খেয়ে উদ্ধার করবেন। অন্যদের আর কি বলব, অটলজিও তো এসব চাপ-টাপ কোনোদিন নিলেন না। মুফতে প্রধানমন্ত্রী হয়ে এখন আরামে রিটায়ার করে বাগান করছেন। আর বাকিগুলো তো একেবারে অকালকুষ্মান্ড। গোমুখ্যু। একবার ক্ষমতায় যাওয়া হয়েছে কি হয়নি, কামড়াকামড়ি। এ ওর ধুতি ধরে টানছে। টাকা মারছে। লবিবাজি করছে। কর্নাটকে কি কান্ডটাই না করল। নেহাৎই রাজনীতি করি তাই রক্ষে, অন্য কিছু করলে তো মুখ দেখাতে পারতাম না। অবশ্য এই মুখ দেখিয়েই বা কি লাভ। এরা কি আমাকে মর্যাদা দেয়? মুখ দেখালেই তো বক দেখায়। জিন্না নিয়ে একটা কথা বলেছি কি বলিনি, জিনা হারাম করে দিল? আরে বাবা হিন্দুত্ব কি আমি কিছু কম বুঝি? সেই নব্বই সালে রামরথে চড়লাম বলেই না তোদের এত রমরমা। নইলে কে পুঁছত বিজেপিকে? ঐ সিপিএমের মতো তিনটে রাজ্যে হম্বিতম্বি করেই সারা জীবন কেটে যেত।

    যাগ্গে। পাগলেও নিজেদের ভালো বোঝে। এরা তাও বোঝেনা। রথে কি আর সাধে চড়ছি? এদের ভালোর জন্যই চড়ছি। এদিকে এটুকু জ্ঞান নেই। আর ওদিকে নরেন্দ্র মোদিকে আমেরিকা নাকি কিসব সার্টিফিকেট দিয়েছে। তাই নিয়ে খুব নাচানাচি। ওরে বাবা আমেরিকার সার্টিফিকেট দিয়ে ভারতের রাজনীতি হয়? ওরা আজ পিঠ চাপড়াবে, কাল সন্ত্রাসবাদী বলবে। ওদের ভরসায় থাকলে দুহাজার পঞ্চাশেও ক্ষমতায় আসা যাবেনা। কিন্তু কাকে কি আর বলব। কে বুঝবে এসব গূঢ় কথা। যত্তোসব ব্রেনলেস শোম্যান। আন্না হাজারের পিছনে পিছনে ছুটছে। ওরে আন্নার পিছনে ছুটে দিল্লী দখল হবে? বলে বলে মুখ পচে গেল। আর ওসব বলা কওয়া পোষায়ও না। শুধু মা দুগ্গাকে চুপি চুপি বলেছি এবারের যাত্রাটা উৎরে দাও মা। অন্য কিছু না পারো অন্তত কোনো একটা মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে গতবারের মতো একটু অ্যারেস্ট করাও। তারপর বাকিটা আমি বুঝে নেব।

    আন্না হাজারে
    আমার আবার পুজো কি। বাড়ি নেই ঘর নেই। যেখানে থাকি সেটাই ঘর। সেটাই মন্দির। খাওয়া-দাওয়ার হুজ্জুতি নেই। এমনিতেই কম খাই। তার উপর আবার থেকে থেকে অনশন করতে হয়। তখন অবশ্য একেবারে কিছু খাইনা তা নয়। রাজনীতিকদের মুন্ডু চিবিয়ে খাই তো। খুব সুস্বাদু। মুড়িঘন্ট করে খান, চচ্চড়ি করে খান, কি টেস্ট। ভোলা যায়না। একবার খাই বারবার খাই। একই মুন্ডু বারবার খেতেও কোনো অসুবিধে নেই। রাজনীতিকদের মুন্ডু হল টিকটিকির ল্যাজের মতো। এই দেখলেন মুড়িয়ে খেয়ে নিয়েছেন। আস্ত একটা কবন্ধ ন্যাজব্যাজ করতে করতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ও মা দুদিন বাদেই দেখবেন আরও একটা গজিয়ে গেছে। সেই একই হম্বিতম্বি সেই একই চোটপাট। আগে দেখে হুব্বা হয়ে যেতাম। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। আমারই ভালো। একই মুন্ডু বারবার খাব। একবার মুড়িঘন্ট। আরেকবার চচ্চড়ি।

    ইয়ার্কি মারছি? মোটেও না। আমাকে কি নন-সিরিয়াস লোক মনে হয় দেখে? টিভিতে কি এমনি দেখায়? লোকে কি পিকনিক করতে রাস্তায় নেমে মোমবাতি জ্বালায়? আমি ফালতু কথা বলিনা। এক লোকপাল ইস্যুতেই প্রধানমন্ত্রীর মুন্ডু দুবার চিবিয়েছি। একবার সামনে থেকে। আরেকবার পিছন থেকে। এটা জাস্ট হজম হতে দিন। পরেই আসছে নির্বাচনী সংস্কারের মেনু। যেমন স্বাদ, তেমনই পুষ্টিকর। একটা খাব দুটো খাব। সব ব্যাটাকেই চিবিয়ে খাব। ঘাম ছুটিয়ে ছেড়ে দেব। পালাতে পথ পাবেনা। ভোটের মেনুই বদলে দেব। লোকের ইচ্ছে হলে ভোট দেবে, নইলে "কোনো ব্যাটাকেই পছন্দ নয়' বোতাম টিপবে। তখন ঠেলা টের পারে। রাইট টু রিকল হবে। ব্যাটারা ভেবেছে কি? একবার লোককে টুপি দিয়ে ভোটে জিতলেই পাঁচ বছরের মৌরসীপাট্টা? ওসব আর হবেনা চাঁদু। বচ্ছর বচ্ছর পরীক্ষায় বসতে হবে। ইচ্ছে হলে সংসদে পাঠাব, না পোষালে কান ধরে বার করে দেব। আর চুরি-চামারি করলে তো সিধে জেলে। সে ব্যবস্থা তো হয়েই গেছে।

    ফাঁকা আওয়াজ ভাবনেন না একদম। সব করে ছাড়ব। বদহজম হলে হবে। স্বাধীনতার যুদ্ধে পেটরোগা হলে হয়না। রজনীতিকরা হাজার-হাজার কোটি টাকা হজম করতে পারে, আর আমি দু-চাট্টে মুন্ডু হজম করতে পারবনা? খুব পারব। খালি আপনারা একটু সাথ দেবেন। এটুকুই প্রার্থনা। আর পুজোয় দেখা হলে মা দুগ্গাকে বলব, মিডিয়া কভারেজটা যেন পাই মা। আর কিচ্ছু চাইনা। ব্যস। ওরা আমাকে কভারেজ দেবে আমি ওদের টি আরপি দেব। আর জনগণের স্বাধীনতাটা বাইপ্রোডাক্ট।

    মনমোহন সিংহ
    হা: পুজো। জীবন যাতনায় জর্জরিত। একেই তো সমস্যার শেষ নেই। একপাশে তেলেঙ্গনা টলমল করছে। দাবী মানলেও বিপদ, না মানলেও লঙ্কাকান্ড। অন্যদিকে কাশ্মীর "এক্ষুনি আজাদি দাও' বলে বায়না করছে। সে তো আবার আন্তর্জাতিক ইস্যু। ও পাশে মনিপুরে আফস্পা তুলে দাও বলে একটা মেয়ে নাগাড়ে দশ বছর ধরে অনশন করেই চলেছে। কোনো কান্ডজ্ঞান নেই। ম্যারাথন দৌড়ও একসময় শেষ হয়, কবিরাও একদিন বুড়ো হন, কিন্তু এর অনশন থামার কোনো লক্ষণই নেই। তার উপর চারদিকে থেকে থেকে বোম ফাটছে। আজ মুম্বাই তো কাল দিল্লী। যেন সারা বছরই দিওয়ালি। কেউ শব্দবিধির ধার ধারেনা। আর সবকিছুর জন্যই দায়ী প্রধানমন্ত্রী। কে কোথায় কোন স্কুটারের খোলে আরডিএক্স রেখে দিচ্ছে, কার জামার বাঁ পকেটে বন্দুক আছে, সব যেন প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে দৌড়ে তল্লাশি করবেন। যত্তসব।

    এর উপরে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আছে মাওবাদীরা। তারা যে দেশের কোথায় আছে কোথায় নেই টের পাওয়া যায়না। মন্ত্রীগুলোও যদি কোনো কাজের হত। মাওবাদী ঠেকানোর নাম নেই। খালি সালভা জুডুম করে কোর্টের খিস্তি খাচ্ছেন। কার বাক কোথায় থামে সেই নিয়ে ডায়ালগ বিতরণ করে চলেছেন। কাজের বেলায় ঘন্টা। ওদিকে চতুর্দিকে কেলেঙ্কারি। ডানদিকে কমনওয়েলথ তো বাঁদিকে থ্রিজি। এক মহাপ্রভু কোটি টাকার আলপিন কিনছেন তো অন্যজন হাজার-হাজার কোটি টাকা ফু দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছেন। অর্ধেক লোকই নর্থ-ব্লক সাউথ-ব্লক ছেড়ে ছেড়ে জেলে বসে। কিকরে দেশ চলবে ভাবতেই ঘেমে নেয়ে একাকার। কিন্তু শান্তিতে ভাবারও উপায় নেই। দুর্নীতি নিয়ে আবার আবার অনশন চলছে। এপিসোডে এপিসোডে। যেন টিভি সিরিয়াল চলছে। কি, না লোকপাল বিল চাই। ভাবখানা এমন, যেন, ওনারা বলবেন, তবে দুর্নীতি টের পাব। দেশে যে অনাচার চলছে সে কি আর জানতে বাকি আছে নাকি? কিন্তু ঠেকাবে কে? লোকপাল করলেই সব সমাধান হয়ে যাবে?

    অবশ্য হতেও পারে। কিন্তু সেই নিয়েও তো কাঁথাকাচা। একবার মনে হয় ব্যাপারটা ধরেছে ঠিকই। তারপরে বাড়ি ফিরেই রামধাতানি। কি, সংসদের উপর বাটপাড়ি? সংসদকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছ? এইসব। ধাতানি দেবার লোকের তো অভাব নেই। একদিকে ম্যাডাম অন্যদিকে দিদি। একজন অন্তরাত্মা, ভিতর থেকে চিমটি দেন। অন্যদিকে বড়দিভাই, পান থেকে চুন খসল তো বাংলাদেশ যাবনা বলে গোঁসা করে ঘরে খিল দেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সামলেছি, বিশ্বব্যাঙ্ক সামলেছি, বিশ্বাস করুন, এত ঝামেলায় কখনও পড়িনি বাপু। ঘরে-বাইরে এই অশান্তি নিয়ে যাই কোথায় বলতে পারেন? মা দুগ্গাও তো লেডি। একটু ভিতর থেকে ম্যানেজ করতে বলুন না?

    প্রকাশ কারাত
    পুজো? আমি? ইয়ার্কি মারবেন না। কমিউনিস্টরা ওসবে বিশ্বাস করেনা। বাংলার মাটি যখন দুর্জয় ঘাঁটি ছিল তখন তবু একটু আধটু ইন্টারেস্ট ছিল। ধর্ম টর্মের জন্য না। বাংলার কালচার বলে কথা। কি সব গান। কি সব স্লোগান। আমার নাম তোমার নাম, কম্বোডিয়া ভিয়েতনাম। বিচারপতি লালা, কলকাতা ছেড়ে পালা। শুনলেই গা গরম হয়ে যেত। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তো ওসব সব লুটে নিয়েছে। আমাদের স্লোগানগুলোকে অবধি ঝেঁপে দিয়েছে। ভিয়েতনাম বদলে নন্দীগ্রাম বসিয়ে দিয়েছে। হেই সামালো বলে গান গাইছে, ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিচ্ছে। লাঙ্গল যার জমি তার, বলে চিৎকার করছে। ভাবা যায়? আরে বাবা এসব টুকে হয়না। এসবের জন্য অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে। রক্ত দিতে হয়েছে। এমনি না। পুজোয় হুল্লোড় করে ওসব হয়না।

    স্লোগান তো স্লোগান, এদের চুরির কোনো সীমা পরিসীমা নেই। ভাবতে পারেন, গ্রামে গঞ্জে পার্টি অফিসগুলোকে অবধি ঝেঁপে দিয়েছে। অটো ইউনিয়নগুলোতে নিজেদের ফ্ল্যাগ লাগিয়ে দখল করেছে। জলজ্যান্ত আস্ত ভোটব্যাঙ্কটাকে অবধি লুটে নিয়েছে। পুকুর চুরি আর কাকে বলে? বুদ্ধিজীবিগুলোকেও পর্যন্ত রেহাই দেয়নি। অবশ্য তাদের কথা যত কম বলা হয় ততই ভালো। দুটো গণসঙ্গীত চুরি করে গেয়েছে কি গায়নি, ঐ দিকে ঢলে পড়ল। কি, না দুবার লাঙ্গল যার জমি তার বলে স্লোগান দিয়েছে। ট্রাফিক লাইটে দুটো রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজিয়েছে। আরে বাবা ঐ স্লোগান দিতে দিতে আমাদের গলা অবধি ভেঙে গেছে। আর রবীন্দ্রনাথ কি আমরা পড়িনি নাকি? রাশিয়ার চিঠি পড়ে পড়ে মুখস্থ করে ফেলেছি। রক্তকরবী পড়ে রবীন্দ্রনাথ আমাদের রক্তে ঢুকে গেছেন। জিনে মিউটেশন হয়ে গেছে। এদের দ্বারা অতো পরিশ্রম হবে? তার জন্য পড়াশুনো করতে হয়। চুরিচামারি করে কি আর সংস্কৃতিবান হওয়া যায়?

    যাগ্গে। এসব জনগণ দেখছেন। তাঁরাই জবাব দেবেন। ওসব দুগ্গা-টুগ্গার কম্মো নয়। নানা ভুল বুঝবেন না। মা দুগ্গার উপর আমার কোনো রাগ নেই। সে আপনাদের পুজো আপনারা করুন না। কিন্তু মনে রাখবেন গণতন্ত্র এখনও উঠে যায়নি। মাথার উপরে সংসদ আছে। তার উপরে কোর্ট। সে অবশ্য আরেক বস্তু। কিন্তু সে কথা বাদ দিন। মোট কথা হল আমরা সংবিধানে বিশ্বাস করি। ওসব পুজো-টুজো লাগবেনা। তবু নেহাৎই যদি দুগ্গাকে কিছু বলতে চান তো বলে দেবেন আন্ডাবাচ্চা নিয়ে এই দু:সময়ে অসুরদের সঙ্গে নেহাৎই ডামি ফাইট না দিয়ে যেন কিছু কাজের কাজ করেন। এই চুরিচামারি বন্ধে তীব্র সংগ্রাম যেন গড়ে তোলেন। তবে ভুলভাল কিছু করতে বারন করবেন। জনগণ ভুল করলে তাঁদের আমরা সমঝে দিই। কোর্ট ভুলভাল রায় দিলে তাদেরও আমরা ছেড়ে কথা বলিনা। এ তো মা দুগ্গা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ০৫ অক্টোবর ২০১১ | ১০০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন