ØV£m Bl Lw²£V Ïc®u ¯al£ BV-g¤V EyQ¤ c¤C-®cJu¡®ml fË¡Q£l, a£rÈ-d¡l¡®m¡ L¡yV¡a¡l Ïc®u ®Ol¡, h¡wm¡®c®nl p£j¡ hl¡hl i¡lahoÑ plL¡l-à¡l¡ ÏejÑ£uj¡e HC p¤Ïhn¡m ®NËV Ju¡m Ag CÏäu¡l L¡S ®no q®u ®N®m pjÏøNai¡®h Hl Buae q®h j¡ÏLÑe-®jÏ®L¡ p£j¡e¡, CSl¡®um-fÉ¡®mØV¡Ce Bl h¡ÏmÑeHl ®cJu¡®ml Q¡C®aJ ®hn£z
gÓ¡Xm¡C®Vl B®m¡u EÄm, ÏejÑ£uj¡e HC fË¡Q£lÏVl E®nÉ i¡l®al p£j¡®lM¡u ®c®nl f®r fËÏaL§m phlLj fÏlÏØbÏal ®j¡L¡Ïhm¡ Hhw p¤lr¡ fËc¡e, HC fË¡Q£l Hje HLÏV h®¾c¡hÙ¹ k¡ ÏLe¡ HC ph fËÏaL§m fÏlÏØbÏa A¤®lC Ïhe¡n Ll®hz EµQ®nZ£l fËk¤Ï²®a ®j¡s¡ HC fË¡Q£®l m¡N¡®e¡ q®h e¡CV Ïine LÉ®jl¡, ®f¡®VÑhm b¡jÑ¡m C®jS¡Ïl ÏXi¡Cp, Ju¡l-LÓ¡p p¡®iÑCmÉ¡¾p ®lX¡l, X¡C®lLne g¡Cä¡l, A®V¡-VÌ£N¡l NË¡Eä ®p¾pl, nϲn¡m£ ®VÏm®ú¡f ®k ph ÏLe¡ ®g¡pÑ j¡ÏÒVfÔ¡u¡l Ïq®p®h L¡kÑLl£ p£j¡-p¤lr¡ hÉhØb¡fe¡l pq¡uL q®hz
CÏaj®dÉ i¡la-h¡wm¡®c®nl p£j¡u HC fË¡Q£®ll pl na¡wn L¡S pÇf§ZÑ q®u ®N®Rz 10C e®iðl 2010H l¡SÉ pi¡u HLÏV fË®nÀl El Ïc®a ÏN®u i¡l®al l¡SÉ Nªq-j¿»£ h®me HC fË¡Q£®ll L¡S pe 2012H j¡QÑH ®no q®hz LÏV pñ¡hÉ hÉ®ul Ïqp¡h Ae¤k¡u£, HC ®fË¡®S®l ÏfR®e ®j¡V MlQ fË¡u 60 ®L¡ÏV V¡L¡z
AÉ¡jØV¡lX¡j ÏhnÄÏhcÉ¡m®ul fËMÉ¡a CÏaq¡pÏhc EC®mj-ge ®ne®Xm h®me Bd¤ÏeL ®k±Ï²La¡l e£Ïl®M JFfÏe®hÏnL p£j¡-Ïhi¡S®el i§ÏjL¡ p¡j¡eÉCz HC c¤C ®c®nl p£j¡e¡ HLV¡ plm®lM¡ euz Hje HL ByL¡h¡yL¡ ®lM¡ k¡ ®c®nl ®i±NÏmL, p¡wúªÏaL, p¡j¡ÏSL phÏLR¤l Øb¡e-L¡m-f¡ R¡Ïs®u A¿¹mÑ£e CÏaq¡®pl fËÏa HaV¤L¤ ®p±SeÉ e¡-®cÏM®u AÏa²¡¿¹ q®u®Rz HC fËp®Â fË¡Q£e l¡Sd¡e£ ®N±sHl e¡j H®p f®sz Hje Ecï¡¿¹ p£j¡e¡ k¡ Ïexp®¾c®q je¤oÉaÄ Hhw CÏaq¡®pl fËÏa pÇf§ZÑ nËÜ¡ J pq¡e¤i§Ïaq£e ®L¡eJ i¡he¡l R¡u¡®aC ®cM¡ k¡uz (
"excessively baroque mind" - The Bengal Borderland: Beyond state and nation in South Asia, 2005)।কৃষিজমি, হাটবাজার, পরিবার, সম্প্রদায় -- সীমানা সবকিছুর ভাগাভাগি করে দেয়, আপনজনদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায় দূরে। দক্ষিণের ঘন সবুজ ম্যানগ্রোভ বনানী অথবা উত্তরপূবেরের গিরি-তরু-ছায়া পাহাড় পর্বত সীমানা এই সবকিছু কেটে ফালি করেছে। বাংলার কত গ্রাম বিভাজিত হয়েছে এভাবে। দৈনন্দিন সরল গ্রাম্য জীবন আজ আমলাতান্ত্রিক জটিল আবর্ত্তে ভরা। ভারতীয় মুসলমান আইনকর্মী মজনু রেহমান মন্ডল এবং তাঁর বাংলাদেশী স্ত্রী আহমেদা খাতুম নিজের বাবা মারা যাওয়ার পর এই উপলব্ধি করেছিলেন যখন তাঁকে নিজের গ্রাম ভিরাতে বাবার অন্ত্যেষ্টির কাজে শামিল হতে গিয়ে দিল্লী থেকে পাসপোর্ট আর কোলকাতায় ভিজার আবেদন করতে হয় (বীদিশা ব্যানার্জী, ঈনদনলথনক্ষ ২০, ২০১০)। পাণিধর গ্রামে ফজলুর রহমানএর বাড়িতেও এইভাবে সীমানার কাঁটাতার হামলা করে, আলাদা করে দেয় দুইভাইকে। যে ভাই একদিন তার বাড়ির সামনেই থাকত, আজ সে অন্য দেশবাসী! (Time, February 5, 2009) কাঁটাতারের এমন মহিমা! এখানেই থেমে থাকেনি, সীমান্তবর্তী গ্রামে এভাবেই পৃথক দেশে সরে গেছে রসুই এবং শয়নকক্ষও।
এখন নিজের চাষের জমিতে যেতে, অথবা নিতান্ত গৃহস্থালীর বাজার করতে হলে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের সারিবদ্ধ হয়ে নিজের নিজের পরিচয়পত্র বিএসএফ রক্ষীবহিনীর কাছে জমা রাখতে হয়। তাদের এই রক্ষীবহিনীর কৃপা-বশবর্তী হয়েই চলতে হয়। অনেকসময় জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়, যখন এই সুরক্ষাবাহিনীর সম্মতিপত্র পাওয়া যায় না, কিন্তু তাদের আদেশ অনমনীয়। মুর্শিদাবাদের মিঠু শেখএর কথায় কৃষি সমস্যার কথা বিএসএফ বোঝে না। কখনও কখনও জমিতে যেতেই দুপুর গড়িয়ে যায়। কখনও জল শুধু রাত্রেই পাওয়া যায় কিন্তু আমাদের কাজ বন্ধ হতে হবে বিকেল চারটের মধ্যে, এমনটাই আদেশ, তার পরে জমিতে কাজ করার অনুমতি নেই। যদি আমাদের ফসলের স্বার্থে কখনও সেই সময়ের বাইরে থেকে যেতে হয় তো আমাদের ভাগ্যে জোটে বেধড়ক মার। আর তারপর মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করা হয় আমাদের নামে। ("Trigger Happy." Excessive Use of Force by Indian Troops at the Bangladesh Border, Human Rights Watch, December 2010).
বোঝাপড়ার এই খামতি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উচ্চতম পর্যায় পর্যন্ত অসহযোগিতার কারণ হয়ে ওঠে। বিএসএফএর ডিজি রামণ শ্রীবাস্তব এক অফিশিয়াল ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস, নতুন নাম: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) কে তাদের অভিযোগ যে ভারতীয় সীমাবাহিনী নিরপরাধ, নিরস্ত্র এবং অসামরিক বাংলাদেশীদের খুন করছে এর উত্তরে বলেন যে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এইসব মৃত্যুর ঘটনাগুলি ভারতের মাটিতে রাতের অন্ধকারে হয়েছে, তো এর নিরপরাধ হল কীভাবে? সম্যক ধারণার প্রতিধ্বনি শোনা যায় বাংলাদেশ রাইফেলসএর চীফ মেজর জেনারেল মইনুল ইসলামের কন্ঠে। সন ২০১০এর মার্চ মাসে রাতের অন্ধকারে মানুষ এবং গবাদি পশু পাচার প্রসঙ্গে ইনি বলেন এইসব ঘটনা (মৃত্যু) নিয়ে আমাদের বিচলিত হওয়া ঠিক নয়। আমরা এই ব্যাপারে কথা বলেছি এবং আপনাদের নিশ্চিন্ত করছি যে নিরপরাধ মানুষ আর মারা যাবে না।।
* বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দোহালখারি লেকএ ২০০৯এর মার্চে মাছ ধরছিলো তেরো বছরের আবদুর রকীব। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে বর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএসএফএর এক সেনা রকীবের কাছ থেকে মুফ্তে মাছ চইছিল। রকীবের সঙ্গে এই নিয়ে সেই সেনার বচসা বাধে। গালিগালাজ হয়। এরপরে ঐ রক্ষী রকীবের দিকে তার বন্দুক তাক করে এবং ভয়ে ছুটে পালাতে চাওয়া রকীবের দিকে গুলি করে। দুজন আহত হয়। রকীবের বুকে গুলি লাগে। রকীব সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। রকীব, তেরো বছরের একটা ছেলে। *
দিনের পর মসের পর বছর দরিদ্র, অর্ধভুক্ত, অভুক্ত মানুষগুলো দুমোঠো অন্নসংস্থানের জন্য, ক্রমবর্দ্ধমান জনসংখ্যার চাপে, শুকনো নদীখাত ভরে চর হয়ে গিয়ে অনুন্নত সেচব্যবস্থার মুখে নুয়ে পড়ে শেষমেষ এগিয়ে এসেছে মানুষ, গবাদি পশু এবং বেআইনি রপ্তানির বাজারে কাজ করে চারটে পয়সার মুখ দেখতে, খাবার জোগাড় করতে, বাঁচতে। বিএসএফ আর বিজিবির একে অপরকে দুর্নীতির অভিযোগ করার মাঝে ন্যায়াধিকার দপ্তরের প্রতিবেদন মাফিক জানা গেছে যুযুধান দুই পক্ষেরই কিছু উচ্চপদাধিকারী, রাজনীতিবিদ এবং সরকারি বাবু সুনিশ্চিতভাবেই এই পাচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত। এক ঊর্দ্ধতন বিএসএফ কর্মচারীর জবানীতে শুনুন: দুই পক্ষের প্রচুর লোক এই সব কাজের সঙ্গে জড়িত। আমাদের তরফেরও। শুধু সেই কারনেই এইসব ছোটোখাটো কৃষকেরা দুএকটা গরু নিয়ে ধরা পড়ে। বৃহত্তর সেই সব চালান যাতে করে ড্রাগস বা গবাদি পশু পাচার করা হয়, সেগুলো কোনওদিনই ধরা পড়ে না।।
কলকাতা-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) কর্নধার কিরীটি রায় মনে করেন এসবের পিছনে একটি শাস্তিবিহীন নৈরাজ্যবাদ কায়েম রয়েছে। আমরা বহুবার কোর্টকাছারি করেছি, জাতীয় মানবাধিকার মঞ্চ, জাতীয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান, তপশিলী জাতীয় সংস্থা, জাতীয় শিশুঅধিকার সংরক্ষণ প্রভাগ গিয়েছি। কিন্তু আমাদের তোলা কোনও কেসই সন্তোষজনক উপসংহার পায়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ কেউ বিএসএফএর কোর্টে জিজ্ঞাসাবাদের খাতিরে হাজির হন, কিন্তু আদতে আমরা যারা অভিযোগকারী, কোর্টে আমাদের জবাব দুরুস্ত করতে আমাদের কখনও শমন দেওয়া হয়নি। আজ পর্যন্ত কোনও বিচারের ফলাফল জনসাধারণকে জানানো হয়নি।
বিএসএফ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে মানবাধিকার উল্লঙ্ঘন করা নিয়ে কোনওরকম খুঁটিনাটি দেয়নি। বিএসএফ সেনাদের মধ্যে শাস্তিবিহীনতাজনিত অরাজকতা বিএসএফ সেনারা এখন আইন বলে ভাবে। এই ভাবনাও যে কত বড় সত্যি কারণ যতক্ষণ না ভারত সরকার বিএসএফের বিরূদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধিঅনুসারে কোনও তদন্ত বলবৎ করছে বিএসএফ এমনই নির্ভীক স্বৈরাচার কায়েম রাখবে, এটা এখন তারাও বোঝে।
* ২২শে এপ্রিল ২০০৯এ রবীন্দ্রনাথ মন্ডল এবং তাঁর স্ত্রী ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে রবীন্দ্রনাথএর চিকিৎসা করে বাংলাদেশে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। বিএসএফএর ঘোজাডাঙা ক্যাম্পের একটা টহলদারী দল তাঁদের রাস্তার মাঝেই দাঁড় করায়। এরপরে রবীন্দ্রনাথের চোখের সামনে ওনার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে বিএসএফ সেনার দল। রবীন্দ্রনাথ নিজের স্ত্রীকে বাঁচাতে চেষ্টা করে অপারগ হন এবং মারা যান। পরেরদিন সকালে বিএসএফ জওয়ানরা স্বামীর মৃত শরীর সমেত ঐ মহিলাকে লাক্কিদরিতে জিরো পয়েন্টে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। *।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বক্তার গলায় এই প্রাচীরের উপযোগিতা মার্কিন-মেক্সিকান সীমানার মতই, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলের বেড়ার মত যার মূল কাজ অবৈধ অভিবাসন এবং সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
রিজওয়ানা শমশাদ মনে করেন ১৯৮০র সূচনালগ্নে ভারতীয় জনতা পার্টিসৃষ্ট উন্মাদনা আর পরে ১৯৯০তে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী মুসলমানের অনুপ্রবেশ আসলে জাতীয় অর্থনীতির উপরে একটা খাঁড়ার ঘা বিশেষ যা ভারতের অভ্যন্তরীন সাম্যবাদ এবং সুরক্ষার বিপক্ষে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন। এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সংযোগ ভারতের একাধিপত্য এবং সার্বিক চেতনার পরিপন্থী। অপরপক্ষে জনভিত্তিক এই অভিবাসনের প্রত্যক্ষ ফল হতে পারে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতের একটি রাজ্য থেকে পৃথক রাজ্যের দাবি করা। ১৯৯৫ সালে সেন্টার ফর স্টাডি অফ সোসাইটি অ্যান্ড সেকুলারিজ্মএর দ্বারা করা একটি পর্যবেক্ষণ অনুসারে, বিজেপি এবং শিবসেনার অভিযোগ শুধু অত্যুক্তি বা অতিশয়োক্তি নয়, চূড়ান্ত মিথ্যাচারও। ভয় আর অসুরক্ষার বোধে জন্ম নেয় হিন্দুত্বের' পরাকাষ্ঠা। অভিবাসীরা তখন তাদের রোজি-রুটির চক্করে শিখে নিচ্ছে সচ্ছ্বল বেঁচে থাকা। বিজেপি-শিবসেনা জোট দাবী করেছিল যে শুধু মুম্বইতে তিন লক্ষ অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সময়ে তারা শনাক্ত করে ফেরত পাঠিয়েছিল মাত্র দশ হাজার অবৈধ কর্মচারিদের।
রিজওয়ানা লেখেন, এই সমস্ত পরিসংখ্যান সংবাদ মাধ্যম এবং সরকারী প্রতিবেদনে বিশেষে কম-বেশী হয়। ১৯৯২ সালে বিজেপির এক রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষের ঘোষণা অনুসারে এই সংখ্যাটা দেড় কোটির কাছকাছি। যুক্তফ্রন্ট গৃহমন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্তা ১৯৯৭এর ৬ই মে বলেন এই সংখ্যাটা প্রায় এক কোটি। ২০০০ সালে কার্গিল কান্ডের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী গৃহ, প্রতিরক্ষা, সামরিক এবং অর্থ দপ্তরের মন্ত্রকদের নিয়ে যে গোষ্ঠী তৈরী করেন, তাদের মতে এই সংখ্যাটা দেশ কোটি বা তারও বেশী। রিজওয়ানা যোগ অরেন, এর সংঞ্যা অতি সরলীকৃত এবং পক্ষপাতদুষ্ট মুসলমান অভিবাসী মানেই অনুপ্রবেশকারী; হিন্দু অভিবাসী অর্থাৎ রিফিউজী; এইসব শস্তা শ্রমিকদের উপযোগিতায় ভারতের চাঙ্গা হওয়া অর্থনীতির কথা কোত্থাও একেবারের জন্যও লেখা নেই।
মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনানুসারে, বিএসএফের হাতে মৃত মানুষের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যকের সন্ত্রাসমূলক কাজের প্রত্যক্ষ সংযোগের কথা প্রমাণিত হয়েছে। বেশীরভাগ তদন্তেই দেখা গেছে আরোপী দুষ্কৃতিদের সঙ্গে অস্ত্র বলতে কাস্তে, লাঠি আর ছোটো ছুরি যেসব একজন গ্রামবাসী সাধারনভাবে সঙ্গে রাখেন। এমন কোনও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি যার শরীরের বুলেটের দাগ কখনও এটা প্রমাণ করতে পরে যে বিএসএফ আত্মসুরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছিল। মৃত শরীরগুলোর পিঠে গুলির ক্ষত প্রমাণ করে যে ছুটে পালানোর সময় তাদের পিঠের পিছন থেকে গুলি করে মারা হয়। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে ছোঁড়া গুলিগুলোর ক্ষত প্রমাণ করে যে তাদের মৃত্যু হয় সেনা হাজতে।
বিএসএফ অনেক ভারতীয়েরও প্রাণ নিয়েছে। ভারতের মাটিতে। ২০১০এর মে মাসে বসিরুণ বিবি আর তাঁর ছমাস বয়সের পৌত্র আশিক। ২০১০এর মার্চে আতিউর রহমান। ২০০৯এর আগস্টে শ্যামসুন্দর মন্ডল। ২০০৯এর জুলাইএ সুশান্ত মন্ডল। ২০০৯এর মে মাসে আবদুস সামাদ। সীমানার দুই প্রান্তে রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনাবশত: গুলি চালিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যু ঠেকাতে সাধারণ কার্ফিউ জারি করা শুরু হয়। নিরীহ লোকের মৃত্যু এই দিয়েও বন্ধ করা যায়নি।
প্রহার, অত্যাচার, ধর্ষণ, খুন। কি কারণ হতে পরে এমন অমোঘ বর্বরোচিত ব্যবহারের? মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, কার্গিল পরিস্থিতির সময় তয়নাত করা সৈনিকেরা সেই কঠিন এবং চাপযুক্ত পরিস্থিতির বাইরে মানসিকভাবে আজও বেরিয়ে আসতে পরে আর সেই অসহ্য মানসিক নিপীড়ন এখানে অন্যভাবে দেখা দিচ্ছে।
যাচাইশিবির, কারফিউ আর উচ্চপ্রযুক্তির নজরদারি ব্যবস্থা, নিপীড়ন, হম্বিতম্বি, মারধোর, অত্যাচার আর নিশানাবাজ বন্দুক আমাকে গাজার কথা মনে পড়িয়ে দেয়। সাধারণভাবেই, একবার কাজ শেষ হয়ে গেলে, এই প্রাচীর আক্ষরিকভাবেই বাংলাদেশকে বৃত্তাকারে ঘিরে থাকবে (Time, February 5, 2009)।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় উপনিবেশিক বিভাজন-সীমা কোনও সহানুভূতিহীন মোটাদাগের মনের পরিচায়ক ছিল। আজকের পাশবিক কর্মধারা যেখানে রয়েছে তীক্ষ্ম-ধারালো কাঁটাতারের বেড়া আর ট্রীগার-হ্যাপী বিএসএফ বন্দুকবাজ তা শুধু নাজী-সুলভ মনোবৃত্তি মনে পড়ায়।
ইজরায়েল আর ভারতের লিমিটলেস রিলেশনশিপএর (Military Ties Unlimited. India and Israel, New Age, January 18, 2010) প্রসঙ্গ মাথায় তাখলে উপরের উদাহরণ অতিশয়োক্তি মনে হবে না। নগরীয় গেরিলা যুদ্ধে ইজরায়েলের ভারতীয় কম্যান্ডোদের অনুশীলন কার্যক্রম এবং বিদ্রোহ-দমনমূলক সমরশিক্ষা এমনকি সীমা সুরক্ষা বলকে অভিয্ঞ বিশেষ অনুশীলন প্রদানের আশ্বাসও উল্লেখযোগ্য। আউশউইত্জ থেকে ফেরা হাজো মেয়ার ইজরায়েলের এই অদ্ভুত উৎসাহকে নাজীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, আমি ইজরায়েল আর নাজী-জার্মানির ভেতরে অভিন্নতা নিয়ে অন্তহীন লিখতে পারি ।।
নিজের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার অক্ষমতা ইজরায়েলকে ক্রমশ: একটি সতক্ষভতব দেশে পরিণত করছে (British MP)। সেই চরম এবং অযৌক্তিক ভয় ইজরায়েলিরা নিজেরাই দেখেছে (Gideon Levy)। ভারতের ভবিষ্যৎ, ক্রমবর্দ্ধমানভাবে, সেই একই ঘটনাধারার দিকে মোড় নিতে চলেছে। অনুবাদ : সাযন্তন দে