এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সিনেমা

  • সমস্যায় শর্টফিল্ম

    নন্দিতা দত্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সিনেমা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৮০৫ বার পঠিত
  • আমাদের দেশের শর্টফিল্মের অবস্থা কেমন তাই নিয়ে দু-চার কথা বলি। শর্টফিল্ম কে "ছোট ছবি' বা "স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচিত্র' এই জাতীয় কিছু নামে ডাকা যেতে পারতো। কিন্তু অত পোশাকী পরিভাষায় আর গেলাম না, শর্টফিল্মই ভালো।

    রাকেশ চৌধরী একবার বলিউডের একজন বেশ নামকরা প্রযোজকের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন। একটা শর্টফিল্ম বানানোর কথা ওঁর মাথায় ঘুরছিলো, তার নাম রেখেছিলেন "The eclipse of Taregna'। প্রযোজক ভদ্রলোক ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে "শর্টফিল্ম জিনিষটা ঠিক কী?' এরকমই আরো অনেকের কাছে চৌধরী সাহেবকে ঘুরতে হয়েছিলো, কিন্তু প্রযোজনা করার মত কাউকে পাওয়া গেল না। শেষ পর্যন্ত উনি আর ওঁর এক সিনেম্যাটোগ্রাফার বন্ধু মিলে নিজেদের পয়সায় ছবিটা বানালেন। সে ছবি এই বছর লস এঞ্জেলেসের "ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'এ সেরা শর্টফিল্মের খেতাব পেয়েছে।

    আবার ভিনু চোলিপরমবিল এর কথাই ধরুন। ভিনু আদতে সিনেমা সম্পাদনার কাজ করতেন (রামগোপাল ভার্মার "ফুঁক ২' ওঁরই সম্পাদনা) । পাঁচ বছর ধরে সে কাজ করার পরে ২০০৮ সালে উনি নিজেই ছবি বানাবেন ঠিক করেছিলেন। ওঁর প্রথম কাজ ছিলো "ভিঠ্‌ঠল' নামে একটা শর্টফিল্ম। কিন্তু কাজটা খুব সহজে হয়নি। সমস্যা সেই একই, ছবিটা বানানোর জন্য কেউ টাকা দিতে রাজী নন। ভিনু কিন্তু হার মানতে তৈরী ছিলেননা। নিজের সারা জীবনের পুঁজি ভেঙে, ভাই আর বন্ধুদের থেকেও কিছু ধারকর্জ করে উনি "ভিঠ্‌ঠল' এর কাজ শুরু করলেন। ছবিটা শেষ অব্দি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলো। তখন এর থেকে যা লাভ হয়েছিলো তাতে ওঁর সমস্ত টাকাই উঠে এসেছিল।

    এই দুটো ঘটনা থেকেই আমাদের দেশে শর্টফিল্মের অবস্থা বেশ বোঝা যাচ্ছে। প্রযোজকরা কেউই এই জাতীয় কাজের জন্য টাকা খরচ করতে এগিয়ে আসেন না। অবশ্য তাঁদেরও খুব দোষ দেওয়া যায় তা নয়। ভারতীয় সিনেমার জগতে তো শর্টফিল্মের সেরকম কোন "বাজার' নেই। কে দেখবে এই ধরণের ছবি? আর দেখাবেই বা কারা? যাঁরা শর্টফিল্ম বানান তাঁদের সামনে শুধু দুটোই রাস্তা খোলা থাকে, হয় কোনো "ফিল্মোৎসব'এ পাঠানো, নয়তো কোনো "সিনে ক্লাব'এ দেখানো। এই সব ছবির বাণিজ্যিক দিকটা নিতান্তই নড়বড়ে। প্রযোজক যে টাকা ঢালবেন তা উঠে আসবেই তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই সব কারণেই রাকেশ ও ভিনুর মত আরো অনেকেই শর্টফিল্ম বানাতে গিয়ে নিদারুণ সমস্যায় পড়ছেন।

    অবশ্য ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। এই তো, উমেশ কুলকার্ণির কথাই ধরুন না। আমাদের দেশের শর্টফিল্ম নির্দেশকদের মধ্যে উমেশে কুলকার্ণি একটা উজ্জ্বল নাম। ওঁর তৈরী "ভিলেয়' (Vilay) ২০১০ সালে জার্মানীর ওবারহাওজানে আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম উৎসবে গেছিলো। আবার ওঁরই তৈরী "গারুদ' (Gaarud) ঐ বছরই রটার্ডামের আন্তর্জাতিক ফিল্মোৎসবে ভিপিআরও টাইগার পুরস্কারের(VPRO Tiger awards) জন্য প্রতিযোগীদের মধ্যে ছিলো। ভাগ্যক্রমে উমেশকে কোনদিনই ছবি তৈরীর জন্য টাকার চিন্তায় পড়তে হয়নি। ওঁর যেসব ছবি পুরস্কার পেয়েছে, সন্মান পেয়েছে সবই "ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া'র প্রযোজনায় তৈরী। ওখানেই ২০০৫ সালে উমেশ "নির্দেশনা' নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।

    কিন্তু বললামই তো, উমেশ ব্যতিক্রম। বেশিরভাগ শর্টফিল্ম নির্দেশকদের রাস্তাই নিতান্ত অমসৃণ হয়। অতি কষ্টে প্রথম ছবিটা বানানোর পরে হয় তাঁরা আর ছবি বানানোর কথা ভাবতেই পারেননা। আর নয়তো শর্টফিল্মের কথা ভুলে গিয়ে পুরো দৈর্ঘ্যের ছবি বানানোতেই মন দেন।

    সিদ্ধার্থ শ্রীনিভাসনের তৈরী "দি টাইটরোপ ওয়াকার' (The Tightrope walker) ২০০০ সালে ভেনিসে আন্তর্জাতিক ফিল্মোৎসবে গেছিলো, কিন্তু তার পরে শ্রীনিভাসন আর একটাও "ছোট-ছবি' বানাননি। উনি বলেন "দেখুন,বানাতে ইচ্ছে আমারও করে, কিন্তু পয়সা পাব কোথায়? ফীচারফিল্ম বানানোর জন্য টাকার অভাব হয়না, কেন না এর একটা বাজার আছে। শর্টফিল্ম বানাতে গেলে দুদিক থেকে সমস্যা! এক তো কার কাছে হাত পাতবো। আর দুই, যদি বা কোন প্রযোজককে রাজি করাতে পারি আমার টাকা যে ফেরৎ পাবো তার কোন ঠিক নেই!'

    শ্রীনিভাসন যে সময়ে ওঁর প্রথম শর্টফিল্ম বানিয়েছিলেন তখন এই ধরণের ছবি তৈরীর কথা বেশি কেউ ভাবতে পারতেন না। আর নিজের পয়সায় বানানো তো দূরস্থান। ওঁর নিজের কথায় -- ""তখন এমন দিনকাল ছিলো যে হয় আপনাকে কোন পরিচালকের সহকারী হয়ে বছরের পর বছর গাধার মতো খেটে যেতে হবে। নয়তো এনএফডিসি'র রাস্তা ধরে "প্যারালাল সিনেমার' দুনিয়ায় পা রাখতে হবে। বলতে পারেন আমিই যূগের নিয়ম ভেঙে নিজের গাঁটের কড়ি খরচা করে অন্যরকম কিছু করার কথা ভেবেছিলাম''। ""মনমোহন শেট্টি তখন অ্যাডল্যাব্‌সের কর্তা। উনি আমায় প্রায় এক লাখ টাকার মালপত্র দিয়েছিলেন। সেগুলো গুদামে বহুদিন ধরে পড়েছিলো, কেউ নিতে চাইত না। কিন্তু আমি বলব ওর মতো কাজের জিনিষ আর হয় না।''

    অভয় কুমারের নিজের প্রযোজনায় তৈরী শর্টফিল্ম "জাস্ট দ্যাট সর্ট অফ এ ডে' কদিন আগেই রটারডার্মে দেখানো হলো। এই ছবিটা "বুসান ইন্টারন্যশনাল শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' আর নিউইয়র্কের ভারতীয় সিনেমার উৎসব দুই জায়গাতেই পুরস্কার পেয়েছে। অভয় আরো এরকম ছবি বানাতে চান। কিন্তু সমস্যা সেই একই -- ""আমার ছবির জন্য কে টাকা দেবে? কার কাছে যে যাব তাইই ভেবে পাই না!''

    যেখানে প্রযোজকেরই এত অভাব সেখানে তো এই জাতীয় ছবির "ডিস্ট্রিবিউটার' পাবার কথা তো দূরস্থান। এ নিয়ে কথা উঠলেই চৌধরী বলেন ""কেউ যদি কোনদিন এরকম কোন ডিস্ট্রিবিউটারের খোঁজ পান আমাকে তদ্দন্ডে জানাবেন তো।'' উনি এখন খুঁজে দেখছেন যে ফিল্মোৎসব গুলোর সূত্রে সেরকম কোন ডিস্ট্রিবিউটার পাওয়া যায় কিনা। চোলিপরমবিল ওঁর জাতীয় পুরষ্কারজয়ী ছবির ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য ক্যানাডার "ওয়াট মিডিয়া' (Ouat media) আর দিল্লির "ম্যাজিক ল্যান্টার্ণ' এই দুই সংস্থার সাথে চুক্তি সই করেছেন -- '' এঁরা আমার সিনেমার ডিভিডি নিয়ে আপাতত কাজ করবেন। তবে কোনদিন যদি সিনেমা-হলেও এভাবে দেখানো যেতো তাহলে কি ভালই না হতো! কিন্তু সে'কাজে রাজী হবেন এমন কি আর কেউ আছেন?''

    মুম্বইয়ের "মোকা ক্লাব' শর্টফিল্মের ব্যপারে অনেক চেষ্টা-চরিত্র করেছেন। নিজেদের ক্লাবে দেখানো ছড়াও ওঁরা একটা সংস্থা খুলতে চেয়েছিলেন যারা এসব ছবির ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ করবে। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হলোনা। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন হলেন কুনাল জাভেরী। কুনাল বলছিলেন ""আমরা ভেবেছিলাম শর্টফিল্মের জন্য একটা "বাজার' তৈরী করা দরকার। কিন্তু পেরে উঠলাম না। টিভি চ্যানেল গুলো তো কোন উৎসাহই দেখালোনা। সব শর্টফিল্মগুলোর একটা ক্যাটালগ বানিয়ে উঠতে পারলে হয়তো কিছুটা লাভ হতো। কিন্তু সেও প্রায় অসম্ভব। প্রত্যেকটা ছবির পরিচালকদের সাথে দেখা করে, ওঁদের দিয়ে বিশ-চল্লিশ পাতার চুক্তি সই করিয়ে আনতে যা সাময় লাগবে তার মধ্যে সে ছবি দেখার জন্য আর কেউ বসে থাকবে না''। মোকা ক্লাবের উদ্যোক্তারা "রাজশ্রী ফিল্মস'এর অনলাইন ধারার সাথেও কথা বলেছিলেন। জাভেরী বললেন -- ""ওঁরা অবশ্য আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। বেশ কয়েকটা ছবি ওঁরা ন্যায্য দাম দিয়ে আমাদের থেকে কিনে নিজেদের ওয়েবসাইটে বিনামুল্যে দেখাবার ব্যবস্থা রেখেছেন। rajashri.com সাইটে এখনও ছবিগুলো রয়েছে। কেউ ইচ্ছে করলে দেখতে পারেন।'' জাভেরী মনে করেন যে আগে ছবি দেখানোর ভালোমত ব্যবস্থা না করতে পারলে ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ আরো কঠিন হবে। ""এই ধরণের ছবি সম্পর্কে আগে লোকের মধ্যে আগ্রহ জাগানো দরকার। নাহলে বাজার তৈরী হবে কী করে?''

    আজ শর্টফিল্ম নির্দেশকদের সামনে এই ?"বাজার'ই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোলিপরমবিল অবশ্য খুশি, "ভিঠ্‌ঠল' জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরে ওঁর পরের ছবির জন্য টাকা দিতে অনেকেই রাজি হয়েছেন। কিন্তু রাকেশ চৌধরী খুব একটা আশাবাদী নন। ওঁর বক্তব্য একটাই -- ""হ্যঁ¡, কেউ যদি প্রযোজনা করতে এগিয়ে আসেন, আমি খুশি হয়ে আরো শর্টফিল্ম বানাবো। কিন্তু নিজের পয়সায়? না:, আর সম্ভব নয়।''

    dearcinema.comএ নন্দিতা দত্তর লেখা "Shortfilms: There ain't no producers" থেকে অনুবাদ করেছেন কৃষ্ণকলি রায়
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৮০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন