এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  গপ্পো

  • অন্য চার অধ্যায়

    শক্তি দত্তরায় (কর ভৌমিক) লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ | ৯৩৬ বার পঠিত
  • (১ম)


    ঊনিশশো সাতান্ন কি আটান্ন সালের কোন সন্ধ্যা। হয়তো ফাল্গুন, বৈশাখ অথবা এমনই কোন বিবাহের মাস। সন্ধ্যায় রেডিওতে খবর পড়ছেন বিজন বোস। ক্লাস সেভেনের আমি একই টেবিলে বসে কারক বিভক্তি মুখস্থ করতে চেষ্টা করছি। এমন সময় পল্টুদার প্রবেশ। মুখে হাসি। পরনে হলুদ পাঞ্জাবী। পকেটে খাঁটি ক্ষীরের প্যাঁড়া। হাতে একটি খেয়া অথবা হতে পারে শিশু ভোলানাথ। আমার জন্যে, মাইনের টাকা থেকে কিনে আনা উপহার- খুকুকে পল্টুদা। আমার থেকে বছর কুড়ি কি বাইশ বছরের বড় দাদা আবদার এবং আদেশে ডগোমগ- “খুকু, একটা নিমন্ত্রণের লিস্টি কর। বরযাত্রী যাইব সব। পোলাপান কেউ বাদ না পড়ে। বউভাতের ফর্দটাও কইরা দেখা। লাউঘন্ট রাখিস, ধইন্যাপাতা দিয়া।” পল্টুদারই সমবয়সী আমার মেসোমশাই একখানা ব্যাগ হাতে বোধ হয় র‍্যাশন তুলতেই চলেছিলেন। বলেন “কার বিয়া রে পল্টু? মাইয়া ঠিক হইছে?” মুখে চাপা হাসি। পল্টুদা প্রত্যয়ী- “ক্যান, আমার। হইতে পারে না?”


    তখন অন্য কাল। আমাদের ছোট শহর। কলিং বেলের নাম কেউ শোনে নি। গল্পের বইতে পড়ি কলকাতায় অতিথিরা কড়া নাড়ে। আমাদের শহরে কেউ অতিথি নয়। সবাই সবার কুটুম। সবার জন্য সব দ্বার অবারিত।


    আমি খুশি। গুরুদায়িত্ব পালন করছি। বরযাত্রীর লিস্টে ভুল না থাকে। বৌভাতের ফর্দে লাউঘন্ট, নিজের প্রিয় কাঁঠালবিচি দিয়ে বড় চিংড়ি। মা’র আমার বড্ড পড়া পড়া বায়ু। তখন ছেলেরাই আলাদা পড়ার টেবিল পায়। তাও কয়েক ভাই বা মামা কাকা ভাগাভাগি করে। মেয়েরা মেয়েমানুষ হয়ে জন্মেছে। মানুষ হবার জন্য তাদের তত আয়োজন বিশেষ কেউ ভাবে না। কিন্তু আমার মা’র খুব ইচ্ছা আমি এম এ পাশ করে প্রফেসর হবো। আমার কপাল খারাপ বলেই এমন মা। মা পল্টুদাকে আমার বিদ্যালাভের অন্তরায় বলেই ভাবেন। ছড়া লিখে, গল্পের বইএর জোগান দিয়ে আমার মনকে পাঠ্যবইবিমুখী করছে সে, এই মায়ের ধারণা। মাকে দেখেই ফর্দ এবং লিস্টি আমি দাদুর চৈতন্যভাগবতের মলাটের তলায় গুঁজে রাখি।


    সামনে অঙ্কখাতা। মনের মধ্যে পল্টুদার বিয়ের ছবি। টোপর মাথায়। পল্টুদা আমাদের শহরের সৌমিত্র। ওইরকমই একমাথা চুল। লম্বা। অমলিন হাসি। আর রঙ? একদম হলুদ ফর্সা। অপুর সংসার সাদাকালো ছবি। আসল সৌমিত্রের রঙ আমরা জানি না। তার বউ শর্মিলা ঠাকুরের মতো না হোক অনেকটা ওরকমই হবে। এই সব পাঁচ কথা ভাবতে ভাবতে অঙ্ক আর হয় না। না হোক।




     


    (২য়)


    বছর যেতে আর কি? আমরা এখন বড় হয়ে গেছি। আমার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি জুটেছে। ওদিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তিন ভুবনের পারে বলে একটা ছবিতে কি ইনোসেন্ট এক মস্তানের রোলে কী অসাধারণ অভিনয় করেছেন! তনুজা তাঁর শিক্ষয়িত্রী স্ত্রী। পল্টুদা অবশ্য মস্তান হতে পারে নি। তবে সুন্দরই আছে। সাধারণ একটা সরকারি চাকরি করে। পাত্র হিসেবে তেমন কিছু নয়, তবে বিয়ের আশা ছাড়ে নি। মা বাবা তো নেই। ধনমাসীমা বলে এক ধনবতী মাসীর পালিত পুত্র। ধনমাসীমা বলেন “জন্মকালে মা-হারা দুর্ভাগারে কে আর মাইয়া দিবো।” আমরা ভাবি আহা, পল্টুদা সাহিত্য ভালবাসে, মিশুকে, পরোপকারী। কেউ না কেউ ভালবাসবেই ওকে। কিন্তু তেমন কেউ দেখা দিল না।


    আমার বিয়ের রাত। পল্টুদা নেমন্তন্ন খেয়ে পান মুখে প্রসন্ন চিত্তে বাসর ঘরে প্রবেশ করে আমার বরকে আশ্বাস দিল- “তোমার ভাইগ্য ভালো। মেয়েদের তো সেন্স অফ হিউমার বড়ো একটা থাকে না। খুকুর কিন্তু আছে।” তারপরেই আসল কথা বাসরঘরে উপস্থিত বৌদি দিদিদের উদ্দেশ্যে- “আর ত দেরি করন যায় না। পঁয়তাল্লিশ প্রায় হয় হয়। একটি বয়স্কা মেয়েই দেখেন। তবে মুখে যেন হাসি থাকে। গোমড়া মুখ আমার পছন্দ না।” ঘরে হাস্যমুখীর অভাব ছিল না, সবাই হাসল। পল্টুদার চোখ কি চিকচিক করছিল? আমার চোখ আবার জমকালো ওড়নায় ঢাকা।




     


    (৩য়)


    আরো বছর পঁচিশ গেছে। আমার ছেলেদের বিয়েতে পল্টুদা যথারীতি প্রসন্ন মুখে নেমন্তন্ন খেয়েছেন। পান মুখে দিয়ে বলে এসেছেন, “আমার না হয় না-ই হইল বিয়া, কিন্তু অন্যদের ভাল বিয়া হইলে আমি কিন্তু খুব খুশি হই। তোমরা ভাল থাইক্যো। হাসিখুশি থাইক্যো।” তেমনি সটান লম্বা। রঙ হলুদ ফর্সা। তবে মাথায় চুল কম। দাঁত পড়ে গেছে।


    এদিকে কিছু নয় বেশ বড় রকমের বদনামও হয়েছে পল্টুদার। সারা শহর জেনে গেছে পল্টুদার বাড়িতে অধিষ্ঠান হয়েছে একাধিক সন্তান এমনকি নাতি নাতনি সহ এক মহিলার। তিনি পল্টুদাকে তাঁর পোষ্য কুকুর এবং সংগৃহীত বইপত্র সহ বৈঠকখানায় স্থান দিয়ে নিজে আস্তানা নিয়েছেন পল্টুদার ঘরে। ধনমাসিমার অবশিষ্ট হার, বালা, কানের দুল তাঁরই অধিকারে। মহিলা হয়তো নিঃস্ব। হয়তো পতিগৃহে নির্যাতিতা। কিন্তু নিরীহ নন। প্রয়োজনে চ্যালাকাঠ হাতে নেন। ভদ্রজনেরা এড়িয়ে চলেন পল্টুদাকে। এদিকে সামান্য পেনশন নিজের জন্য যথেষ্ট হলেও তাঁর আশ্রিতজনের জন্য অপ্রতুল।


    একদিন বলেন, “এইবার জন্মদিনে একটা বেডকভার আর দুইটা ধুতি দিস রে খুকু।” বুঝি তাঁর অভাব কত দুর্বহ। মনে পড়ে যায় প্রতি বছর পল্টুদার জন্মদিনের নিমন্ত্রণে আম, কাঁঠাল আর কলার আয়োজন। সবই বাড়ির বাগানের। তখন পল্টুদা উপহার চাইতো না। ছোটদের নিজেই ছড়া লিখে উপহার দিত। পাঠিয়ে দিলাম বেডকভার আর ধুতি।




     


    (৪র্থ)


    কল্যাণীদির ফোন সকালবেলা- পল্টুদা গেছেন আজ শেষরাত্রে। আমাদের লাল ধূলায় কীর্ণ শহরের হৃতগৌরব সৌমিত্র। অপরাজিত নন। পরাজিত। ব্যর্থ মানুষ। তবু সাহিত্য পরিষদ মোটামুটি সসম্মান আয়োজন করেছে শবযাত্রার। কিন্তু প্রিয়বালা? ছবি তোলার সময় সেও সামিল হতে চায়।– ছিঃ ছিঃ- বটেই তো, কিন্তু শুধুই কি ছিঃ? আর কিছু নয়? দোষ কি শুধু প্রিয়বালারই? পল্টুদারও কি দুটি রাঁধা ভাতের লোভ, একটা পরিষ্কার বিছানা, একটা ধোয়া ধুতির আকর্ষণও ছিল না? প্রিয়বালা নাই বা হল কাব্যপ্রিয়া, বাস্তব চাহিদাগুলো কি মেটায় নি কোনোদিন- কে জানে? ভাবি না ওদের নিয়ে। বয়ে গেছে আমার।


    দিন বয়ে গেছে। আমার সেদিনের পিঠে লুটোনো মুক্তবেনী এখন শীর্ণ, খর্ব এবং সাদা। চোখের তারায় লেন্স জুড়েছে। ব্যক্তিগত শোকে ভারাক্রান্ত। সবাই বলে একটু ধর্মের বই পড়ো। জপ করো। পূজাপাঠ। আমার পুরো টেবিল জুড়ে আছে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, সুধীন্দ্রনাথ। ধর্মগ্রন্থের খোঁজে দেরাজ হাতড়াই। এই তো চৈতন্যভাগবত! দাদুর বইটা। মলাট ওলটাতেই পল্টুদার না-হওয়া বিয়ের বরযাত্রীর লিস্ট। না-হওয়া বৌভাতের ফর্দ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • গপ্পো | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ | ৯৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২৮87401
  • আহারে পল্টুদা।
  • | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২৮87402
  • আহারে পল্টুদা।
  • | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২৮87403
  • আহারে পল্টুদা।
  • hu | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:০৮87404
  • মায়াময়!
  • byaang | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:৫৩87400
  • বাঃ । খুব সুন্দর মন কেমন করা লেখা।
  • sosen | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৫৫87405
  • খুব-ই সুন্দর, বড়ো সুন্দর
  • aranya | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:০৩87406
  • ভাল লাগল, বড় মায়া
  • ranjan roy | ***:*** | ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০২87408
  • এক ধূসর সন্ধ্যা।
  • jharh | ***:*** | ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৫২87407
  • খুব মন কেমন করা লেখা।
  • kaskabed | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ০২:০৬87410
  • প্রথমেই ১৯৫৮সাল! চমকে উঠলাম! প্রাগৈতিহাসিক সময়। এমন একটা সময়ের ফসিল ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই থাকার কথাও নয়। সে বছরের শেষাশেষি; কী ভাবে কী জানি কোন অকারণে এই 'আমি' বলে অবয়ব পৃথিবীতে ভিড় করে। আগাগোড়া স্মৃতিমেদুর। ইতিউতি নস্টালজিয়ার ছিটে। নিদারুণ টাচ করল।
  • শিবাংশু | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৩২87411
  • মাতিসের ছবির মতন, মেদুর, মোহন....
  • Pubদা | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৩৬87412
  • অসাধারণ - মন ছুঁয়ে গেল ......
  • Abhyu | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ১১:৫৬87413
  • খুব সুন্দর লেখা (আরো বোঝা গেল হুতো লামা এতো ভালো লেখে কি করে)। অনেকদিন লামার লেখা পড়ি না।
  • Santanu | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৫ ১২:৪৭87409
  • Bah!
  • সমীর | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:০৯87416
  • কোন সৌমিত্রের কথা বলেছেন এখানে? সৌমিত্র এখন হনুমান যন্ত্রের গুণগানকারীদের একজন। এই সৌমিত্র কি আপনার লেখায় হাজির? যদি হয়, মুছে দিন নাম; যন্ত্রে থাকুক তার নাম।
  • san | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:০৩87417
  • সুন্দর , মন কেমন করানো লেখা
  • AS | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৪১87414
  • খুব মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা
  • de | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৪৭87415
  • ক্ষী ভালো! ক্ষী ভালো! এমন আরো লিখুন!
  • ranjan roy | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৪৫87418
  • সমীর,
    এত অধৈর্য্য কেন? আজকের" হনুমান যন্ত্রের গুণগানকারীদের একজন সৌমিত্র" এই লেখায় অপ্রাসংগিক। লেখাটির সময় ও সুর খেয়াল করুন।
  • Titir | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:৫১87419
  • ভারী মায়াময় লেখনী।
  • Ratan | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৫৩87420
  • নিরমলেন্দু গুন এর কবিতা টা শুনুন
  • Du | ***:*** | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:৪৯87421
  • কেমন লাগলো? কত শেষ না হওয়া জীবনের গল্প, কবেকার পড়া ভুলে যাওয়া মঁপাসা সব যেন ভীড় করে এল।
  • I | ***:*** | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৩১87422
  • বড় ভালো লাগলো।
  • কল্লোল | ***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:০৪87423
  • দু কে ক। কেমন যেন মঁপাসার ঝাপটা এলো।
  • i | ***:*** | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ ০৯:৫৭87424
  • কোমল শান্ত ছায়া দেওয়া লেখাখানি।'হয়তো ফাল্গুন, বৈশাখ অথবা এমনই কোন বিবাহের মাস' -লাইনটি মনের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে অনেকদিন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন