উৎসব টুৎসব মিটল, এবার কথাটা বলা যাক। প্রতি বছর পুজো এলেই দুমদাম করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় মহালয়া থেকে। হরেক রকম বিষয়ে। যেমন ধরুন, পিতৃপুরুষের তর্পণের দিনকে শুভ মহালয়া বলা উচিত কি উচিত না। ঐতিহ্যগতভাবে কেউ শুভ মহালয়া বলেননি কখনও, কিন্তু হতেও পারে, ধর্মীয় চিহ্নগুলিকে বাদ দিয়ে উৎসব স্রেফ ফুর্তিতে পরিণত হচ্ছে। তার পরই আসে কুমারী পুজো। বাচ্চা একটি মেয়েকে সাজিয়ে গুছিয়ে পুজো করার মধ্যে অনেকে পুতুল খেলা ছাড়া আর কিছু দেখতে পাননা। উল্টোদিকে এর তীব্র বিরোধীরা ধর্মীয় কুপ্রথার পুনর্নবীকরণ দেখতে পান। পুজো গড়ায়, বিতর্কও গড়ায়, এবং দশমীতে এসে চরমে পৌঁছয়। দশমীর পেট টপিক সিঁদুর খেলা। সিঁদুর খেলা কি স্রেফ নান্দনিক ফুর্তি, নাকি নারীর বশ্যতার প্রতীক? এইসব নানা ব্যাপার।
মজা হচ্ছে, রেডরোডের কার্নিভ্যালের সঙ্গে এইসব বিতর্কও গঙ্গা পদ্মার জলে ভেসে যায়। দশমীর পর আবার সব ভাব-ভাব-ডাব-ডাব। দেখলে মনে হয়, এই খুচরো বিতর্কও যেন পুজোরই অংশ। হতেই হবে, নইলে মজা মাটি। তা, বেশ ক বছর ধরে দেখে দেখে আমরা আর এই হুজুগকে ফসকে যেতে দিতে রাজি নই। যথেষ্ট হয়েছে, আমাদের চাই পিঠের ভাগ। বিশেষ করে পুজো সংখ্যায় নানা লেখা আমাদের যখন বেরিয়েই চলেছে।
এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যেই গুরুচণ্ডা৯ আয়োজন করেছে এই বিতর্কসভার। পাঠকেরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত, যারা পক্ষে, যারা বিপক্ষে, এবং যারা মেরুকরণের বিপ্রতীপে কোন নির্দিষ্ট পক্ষ নিতে অনাগ্রহী।
প্রকাশিত হলো নির্বাচিত লেখাগুলি, নীচের হাইপারলিংক ক্লিক করুন পড়ার জন্যেঃ
পক্ষে | বিপক্ষে | অপাক্ষিক