এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • কলকাতার ক্যাচড়া

    দীপাংশু আচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ২৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১০৯৪ বার পঠিত
  • ডেসিবেলতলা

    “আমার কিছু কথা ছিল...
    তোমায় বলার, কেবল তোমায়...
    যেইনা আমি ঠোঁট নেড়েছি 
    সেই কথাটা তলিয়ে গেল
    এই সময়ের শব্দতলায়...”

    (- মৌসুমি ভৌমিক)

    কেন্দ্র বরাবরই কানে কম শোনে। কিন্তু এই শ্রবণ-কমজোরির সাইড এফেক্ট যে ইয়া সুদূরপ্রসারী, একনিষ্ঠ জ্যোতিষীও প্রেডিক্ট করতে পারেন নি বোধহয়। আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে, মাইবাপ কেন্দ্র শব্দাঙ্কসীমা নব্বুই ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে করে দিলেন একশো কুড়ি ডেসিবেল। সহমর্মী গার্জেন আমাদের কেন্দ্র সরকার। পাবলিকের চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। সহসা সাতসকালের তর্জন – “ইকিরে বাবা! তোদের নাকি বারোমাসে তেরো পাব্বন? তা কই – হইহল্লা, ঢাকঢোল, খ্যামটাখেউড় কিছুই তো কানে আসে না? ফেস্টিভালের ফুত্তিফাত্তা অ্যাতো মিনমিনে ম্যাদামারা হলে, বিশ্ববাসী কী বলবে! বেচারা ইন্ডিয়ানগুলো দুবেলা দুমুঠো মস্তির অভাবে পচে মরছে, অথচ গরমেন্টের কোনও হুঁশ নেই! না না, ওসব আর চলবে না। আনন্দ মোচ্ছব যদি করতেই হয়, অ্যায়সান করো, পাঁচ গাঁয়ের লোক যাতে টের পায়...” ব্যাস, আর চাই কী! চোঙাভরা কেত্তন আর ঠোঙাভরা চকলেট বোম নিয়ে রেডি হউন কমরেড, আসিতেছে সম্বৎসরব্যাপী ‘দিওয়ালি’ ( দি অনিবার্য বাওয়ালি, মধ্যপদলোপী ভবিতব্য সমাস)...

    এমনিতেই, সহ-নাগরিকের প্রতি নাগরিকের একপ্রকার প্রচ্ছন্ন অসহযোগিতার ব্যামো বেশ কিছুকাল যাবৎ মাথাচাড়া দিয়েছে কলকাতার ইতিউতি। সিনেমা দেখতে তৃতীয় শ্রেণীর হলেই যান বা প্রথম শ্রেণীর মলে, দুর্ভোগ অবধারিত। হয় গুটখাপ্রবণ যুবকবৃন্দের প্রবল সিটি ক্যাওতালির চোটে, নয়তো তেএঁটে বড়লোকের বেবিকর্নবিলাস, একান্নবর্তী পিকনিকপালন ও মুহুর্মুহ মোবাইলচারিতার ঠ্যালায় আপনার সিনেমা প্রেম ইন দা ভোগ অফ মা! তারপর ধরুন সকালবেলা, ঘুম ভেঙেছে কি ভাঙেনি, সবে একটু আড়মোড়া আওড়াচ্ছি – আলগা রোদ এসে পড়েছে ল্যাদাড়ুস বেডকভারে – ব্যাস – বাতাসের হু হু নয় – কোকিলের কু-হু নয় – শুরু হয়ে যাবে গাঁক গাঁক... মেঘনাদ মাইকের মেট্রোপলিটান মাস্তানি। কোথাও “সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী” বেজেই চলেছে চব্বিশ ঘন্টা, কোথাও ‘ব্যাঙ্ক অফ বটতলা’ উদ্বোধনের বিরক্তিকর ঘোষণা পৌনঃপুনিক ধাক্কা মেরে যাচ্ছে ঠাকুমার ঠুনকো পেসমেকারে, কোথাও ‘বাতের মলম’ আর ‘বিদ্যুৎ বাম’-এর প্রশংসা ছড়াতে ছড়াতে বেরিয়ে গ্যালো পঞ্চমুখ অটো, কোথাও আবার শাসকদলের বাপবাপান্ত করে তেড়ে স্লোগান দিচ্ছে অ্যামিবাপ্রতিম ছাত্রসংগঠন। কোথায় লাগে রবিশংকরের ঝালা আর তিন পয়সার পালা? এ-তো সাক্ষাৎ ঝালাপালা। মজার ব্যাপার কি জানেন, শুনতে ফ্যালাসি লাগলেও, এবার দুগগাপুজোয় আমাদের পাড়ায় সবচে প্রথম মাইক বাজানো শুরু করে বামপন্থীরা। “বৈপরীত্যের মধ্যে ঐক্য”-র থিওরি কপচে উচ্চস্বরে বুকস্টলবোধন। উৎসবের সিজেন মশাই। এসময় ম্যানিফেস্টোর বিক্রি বাড়ে। আর প্রোলেতারিয়েতের ব্লাডপ্রেশার। সেদিন আরেক কাণ্ড। রাত বারোটাতেও যখন থামছে না রুলিং পার্টির ‘মাইক’ টাইসনরা, ফোন করলাম লোকাল থানায়। আমি বল্লাম আমার ক্রাইসিসের কথা, ওরাও শোনালো ওদের অসহায়তার গল্প। খানিক দুঃখবিনিময়ের পর বাধ্য হলাম ফোন কেটে দিতে। আগবাড়িয়ে প্রতিবাদ টতিবাদ করতে গেলে উলটে কেস খাবেন আপনিই। এক আত্মীয়বিয়োগের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাসে চেপে বাড়ি ফিরছি। আচমকা আবার জানলামগ্ন বিষণ্ণতা চিরে, সহযাত্রীর চাইনিজ সেলফোনে কর্কশতম অক্টেভে বেজে উঠলো – আনারকলি ডিস্কো চলি...। অতি নম্র মেজাজেই বল্লুম – “দাদা, হেডফোন নেই?” উত্তর – “থাকলেও লাগাবো না! অ্যাতোই যদি পবলেম, রাস্তায় বেরুনোর সময় কানে ড্যাশ গুঁজে বেরুবেন!” অতএব বুঝতেই পারছেন, পর্যাপ্ত ড্যাশ না থাকলে আপনি রাস্তায় বেরনোর যোগ্যই নন। আর বেরোলেও গান্ধীমাঙ্কিত্রয়ের ন্যায় চক্ষু-কর্ণ-মুখগহ্বরে লাগান আপোষের পোর্টেবল পর্দা। 

     

    কল্প হলেও সত্যি

    কলকাতাবাসীর এই ক্রমবর্ধমান ক্যাচড়ামোকে সাধুবাদ জানাতে ও প্রণিধানযোগ্য করে তুলতে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক ডিভাইস ও শব্দবাজি বাজারে আনবে আমাদের রাজ্য সরকার। প্রকল্পের নাম “শব্দ কল্প দুড়ুম ২০১৬” ।

    # উৎসবের দিন সকালে, আপনার অমোঘ ঘুম-ভাঙাটিকে স্মরণীয় করে রাখার আসছে ‘টুনির মা অ্যালার্ম-ক্লক’। ক্লকটিকে মোরগের মতো দেখতে। আপনার সেট-করা নির্ধারিত টাইমে মোরগটি নিজ কোঁকোঁর কোঁ-কন্ঠে গেয়ে উঠবে টুনির মা গানটি, এবং ঘুম না ভাঙা অবধি গাইতেই থাকবে। ঘুম ভাঙার পর মোরগের ঝুঁটি টানলে গান বন্ধ হবে।

    # পশুপ্রেমি নেতা-নেত্রী-এনজিও-র কৃপায় পাঁঠাবলি আজ প্রায় নিশ্চিহ্ন। কিন্তু প্রাচীন এই প্রথাটিকে রোমন্থন ও আদিম স্মৃতিচারণার জন্য শীঘ্রই আসছে ‘পাঁঠাবলি রিংটোন’। বলির সময় পাঁঠারা যেভাবে আর্তনাদ করে থাকে অবিকল সেই ঢঙেই কম্পোজ করা এই রিংটোনটি আপনার পুজো-পার্বণকে করে তুলবে প্রাসঙ্গিক।

    # কলকাতার স্কুল ও কলেজপড়ুয়া ইভটিজারদের জন্য বাজারে আসবে ‘মাইকেলাল মাইক্রোফোন’। রাস্তাঘাটে সুন্দরী পথচারীকে দেখে আপনি যখনই কোনও টোন কাটবেন, তৎক্ষণাৎ তা তিনবার ইকো হবে, এবং পেছনে বাজতে থাকবে ঢিকচ্যাক ঢিকচ্যাক অটোরিদম, যা আপনার টিটকিরিকে করে তুলবে শ্রুতিমধুর ও শিল্পসম্মত।

    # ‘আইটেম বোম’ নামক শব্দবাজিটিকে দেখতে হুবহু পাউলি দামের মতো। নাকে আগুন দিলে ফাটবে, চকলেট বোমের থেকে একশো গুণ জোরে। একবার ফাটানোর পর আরও পাঁচবার ব্যবহার করা যাবে।

    # ‘লাউড-রবীন্দ্র-স্পিকার’ এমন একটি যন্ত্র, যা সম্পুর্ণ রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে ঠাসা! প্রত্যেকটি গানই গেয়েছেন পশ্চিমবাংলার সমস্ত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী একসঙ্গে সমবেত কন্ঠে (এমনকি যিনি দেড়মাস ‘দক্ষিণী’তে শিখেছেন)। বাজানো হবে শহর ও শহরতলির প্রত্যেকটি সিগনালে।

    # সবশেষে ধর্ষকদের কথা মাথায় রেখে ‘বঙ্গশ্রী কালিপটকা’। এই বাজিটি ফাটে টানা আধঘন্টা ধরে। চারপাঁচজন দামড়া হুমদো পুরুষ যখন ছিমছাম ষোড়শীকে ধর্ষণ করবেন, পাশের ঘরে এই বঙ্গশ্রী কালিপটকা ফাটিয়ে দিলে, ছেলেদের পারভার্ট পুরুষালি চিৎকার ও মেয়েটির অসহায় অনিচ্ছুক শীৎকার সমাজ-প্রশাসন-প্রতিবেশী কারুর কানেই পৌঁছবে না। তাদের মগ্ন রাখবে নান্দনিক কালিপটকার নির্ভেজাল ক্যালি! 

    [পুনশ্চঃ আমরা জানি, বহুদিন আগেই ‘শব্দ’-এর জন্য জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি। এবার গোটা রাজ্যের পালা। জয় হো।]  


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ২৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১০৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আশিস দাস | ***:*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:১১81955
  • হেব্বি হয়েছে। চন্দ্রিলের ফ্লেভার আছে একটু। কিন্ত দীপাংশুদার নিজস্ব মশলা মিশে দারুণ দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববাংলার ফানুস রাজ্য সরকার বাজারে আনলে বেশ হতো কিন্তু। মানে অডিও ভিসুয়াল বিশ্ববাংলার ফানুস: আগুন দিলেই ফানুস নিশীথ আকাশে বিলীয়মান হয়ে যাবার আগে অবদি শুনুন দেবের কন্ঠে কথাঞ্জলি আবৃতি টাইপ।
  • somen basu | ***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪০81956
  • দারুণ লেখা... তবে চন্দ্রিল প্রসঙ্গে গ্রুপে বাবি যা বলেছিল, তার সাথে একমত। আর হ্যাঁ, আশিসের ফানুসের প্রস্তাবটাও জম্পেশ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন