আমিই তোমার পরশমণি,
প্রবহমান শিরায় শিরায়-
মিশে গেছি রক্তে তোমার।
পরশমণির শরীর থেকে-
ঠিকরে পড়ে অলীক আলো।
বিশ্বভুবন দিচ্ছে ঢেলে
অমৃতময় ওজস্বিতা-
সেই মণিটির প্রতি কোষে।
এই হৃদয়ের অসীম নীলে-
তোমায় আমি ঘিরেই থাকি।
লাজহীন এই গর্ব আমার-
তুচ্ছ করি পথের শতেক-
ঢল নামা ঐ বিদ্রুপবাণ!
একথা আর নতুন তো নয়,
ঈর্ষাকাতর ব্যঙ্গ ঢাকে-
চিরকালীন প্রশংসাকে।
এই হৃদয়ের অন্তরে আজ-
ধিকিধিকি আগুন আছে।
আগুন নেভায় তুষারস্ফটিক-
শীতলতা, সেও তো আছে!
তুমিই জোয়ার, উত্তাল ঢেউ,
তুমিই তাকে শান্ত করো।
স্তব্ধতার ঐ শান্তি দিয়ে-
তুমিই তাকে পোষ মানাবে।
অন্তরে আজ উঠুক বেজে-
প্রেমের সুরের অনুরণন।
খুন কোরোনা এ গান আমার-
নৈঃশব্দের ঘাতক এনে!
আমার উজল স্বপ্ন যেন-
আর কখনো মিথ্যে না হয়!
হতাশার ঐ বিষাদ চোখের-
কলুষ যেন না ছোঁয় তাদের!
ক্ষমা করো, দিও হে ক্ষমা।
জানি তুমিই ফসল ফলাও,
বন্য তৃণের উপত্যকায়।
পথের ধারের প্রান্তভূমি-
যাত্রা শেষে মিলায় যেমন,
তেমনি চকিত দেখার শেষে-
আমিও দ্রুত হারিয়ে যাবো।
তোমার রঙিন দিনলিপির-
শাশ্বত সব পৃষ্ঠা থেকে-
আমায় নাহয় মুছেই দিও।
হারিয়ে যাবো দূর আকাশে
ঈগলপাখির প্রান্তডানার
রঙিন ক্ষীণ রেখার মতো।
তবুও মনে বাজুক সুরে-
যাত্রাপথের আনন্দগান।
মিলিয়ে যাবো, হারিয়ে যাবো-
পথের শেষে, তবুও ক্ষণিক-
খুশির আবেশ মেখে নিলাম-
সূর্য খোঁজা উড়ানপথের
শেষ পাখীটির অমোঘ ডানায়।