জানা কথা
সবাই জেনে গেছেন, তবুও তথ্যের খাতিরে বলা যাক। আসামে নাগরিকপঞ্জির শেষ তালিকা বেরিয়ে গেছে। ১৯ লক্ষ মানুষ নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ গিয়ে কার্যত রাষ্ট্রহীন হয়েছেন। সঠিক হিসেব না পাওয়া গেলেও, যা জানা যাচ্ছে, প্রত্যাশামাফিক এর বেশিরভাগ (সম্ভবত প্রায় পুরোটাই) জাতিগতভাবে বাঙালি। এবং তারও বেশিরভাগ অংশটি ধর্মীয়ভাবে হিন্দু। এ নিয়ে বিশেষ সন্দেহের অবকাশ থাকার কথাও না, কারণ নাগরিকপঞ্জির পুরো কার্যক্রমটিই চালু হয়েছে এবং চলেছে তথাকথিত 'অবৈধ বাংলাদেশী' বিতাড়ন নামক লক্ষ্যকে সামনে রেখে, সঙ্গে যোগ হয়েছে অসমীয়া জাতিসত্ত্বার তথাকথিতভাবে সংখ্যালঘু হয়ে যাবার 'আতঙ্ক'। দুয়ের যোগফলে বাঙালি নামক একটি জাতিসত্ত্বাই যে আক্রমণের লক্ষ্য সে নিয়ে কোনো সন্দেহের একেবারেই কোনো অবকাশ নেই। খুব নিখুঁতভাবে হিসেব-নিকেশ করে একটি জাতিসত্ত্বাকে বিতাড়িত এবং কোনঠাসা করে দেবার এই নীতির সঙ্গে গত শতকের তিরিশের দশকে হিটলারের ইহুদি-বিতাড়নের নীতির বিস্তর মিল। এবং বস্তুত হিটলারের রণকৌশলের সঙ্গে পদ্ধতিগতভাবে মোদী সরকারের কাজকর্মের প্রবল সাযুজ্য। জার্মানির 'ব্লিৎসক্রিগ' নামক রণকৌশলটির বৈশিষ্ট্যই ছিল শত্রুর ফ্রন্টের নানা জায়গায় অতর্কিত এবং দ্রুত আক্রমণ চালিয়ে লাইন ভেদ করে বহু জায়গায় আচম্বিতে শত্রুর এলাকায় ঢুকে পড়া। শত্রু চমকে প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই তাকে বহুধাবিভক্ত এবং ছিন্নভিন্ন করে ফেলা। শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও বহুবার নাৎসিরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। বৃহত্তর ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেও এই একই পদ্ধতির ছায়ানুসরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমগ্র কাশ্মীরকে অন্ধকারে ডুবিয়ে রেখে, সামরিক বাহিনীতে মুড়ে দেবার মাত্র কয়েকদিন পরেই ঘোষিত হল ১৯ লক্ষ মানুষকে রাষ্ট্রহীন করার সিদ্ধান্তের উপর চূড়ান্ত সীলমোহর। দুটি সিদ্ধান্তই ব্যতিক্রমীরকম দক্ষিণপন্থী এবং চরমপন্থানুসারী। কিন্তু তীব্র প্রতিক্রিয়া আসার আগেই এদের সেরা ফেলা হচ্ছে এবং হয়েছে চটপট। মানুষ বিমূঢ় হয়ে, প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে, কিছু বোঝার আগেই মেনে নিচ্ছেন পুরোটা। বিস্ময়ে, আতঙ্কে, নতুন কিছু দেখার চমকে। এবং অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পশ্চিম এবং পূর্বপ্রান্তের দুটি জাতির অস্তিত্ব ধ্বংসের সিদ্ধান্তের উপর চূড়ান্ত ছাপ্পা পড়ে যাচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতি
হিটলারের ইহুদি বিতাড়ন নীতির ফলে রাষ্ট্রচ্যুত হয়েছিলেন লাখে-লাখে মানুষ। বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সমস্ত ইহুদি বুদ্ধিজীবিরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। স্বয়ং আইনস্টাইন চলে যান আমেরিকায়। কিন্তু এর বাইরেও ইউরোপের দেশে-দেশে নেমেছিল রাষ্ট্রহীন উদ্বাস্তুদের দল। তাদের কোনো পরিচয়পত্র ছিলনা। লুকিয়ে-চুরিয়ে এই দেশ থেকে ওই দেশ, নদী পাহাড় জঙ্গল টপকে বে-আইনী অস্তিত্ব নিয়ে কেটে গেছে সেই সব হতভাগ্যদের জীবনের বহু বছর। রেমার্কের 'ফ্লটসাম' উপন্যাসে ধরা আছে নাগরিকত্বহীন উদ্বাস্তু জীবনের সেইসব মর্মন্তুদ গলিঘুঁজি। ২০১৯ এর নাগরিকপঞ্জির বয়ান বস্তুত সেই রাস্তায়ই হাঁটছে। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প, এর মধ্যেই তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রহীনদের তালিকা। পথে-পথে ঘুরে বেড়ানো, ডিটেনশন (পড়ুন কনসেন্ট্রেশন) ক্যাম্পে বাঙালির সদলবল অন্তর্ভুক্তি কেবল সময়ের অপেক্ষা।
এ কথা ঠিক, যে, সবাইকে এখনই ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা। ট্রাইব্যুনালে অ্যাপিল করার সুযোগ এখনও আছে, অন্তত তত্ত্বগতভাবে। কিন্তু তার খরচ বিপুল। ইতিমধ্যেই আর্থিক বিচারে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে প্রবল। 'রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপ' এর একটি সমীক্ষা দেখাচ্ছে, রাষ্ট্রহীনের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে শুনানি, যাতায়াত সব মিলিয়ে একেকটি মানুষের খরচা হয়েছে গড়ে ১৯,০০০ টাকা। সব মিলিয়ে খরচটি আনুমানিক ৭৮৩৬ কোটি টাকা (না, সংখ্যাটা ভুল পড়ছেন না )। এই টাকা খরচ করেছেন, করতে বাধ্য হয়েছেন, ভারতবর্ষের একটি দরিদ্রতম রাজ্যের মূলত দরিদ্রতম মানুষরা। আশ্চর্যর কিছু নেই, দলে-দলে বাঙালি আত্মহত্যা করেছেন এই প্রক্রিয়া চলাকালীন। এবং শেষ তালিকা বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই আসছে আরও আত্মহত্যার খবর। এ মূলত এক রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড প্রকল্প। আপনি আপাতত তালিকার বাইরে আছেন না ভিতরে আছেন, আসামে আছেন না পশ্চিমবঙ্গে, তা দিয়ে কিচ্ছু যায় আসেনা। আন্দাজ করা যাচ্ছে, এর পরেও ধাপে-ধাপে একই প্রক্রিয়া চলবে, শুধু আসামে নয়, গোটা দেশেই, পশ্চিমবঙ্গেও। আপনি একদিনের নোটিসে ট্রেকার ভাড়া করে আলিপুরদুয়ার থেকে বহরমপুর কিংবা তমলুক থেকে বারাসাত দৌড়বেন নথিপত্রের তাড়া নিয়ে, হাজারে হাজারে টাকা খরচা এবং উপরি অপমান সহ্য করবেন স্রেফ নিজেকে নিজের দেশের নাগরিক প্রমাণ করতে, এবং তারপরেও যে নতুন করে 'নাগরিক' হয়ে উঠতে পারবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, এ দিন খুব দূরে বলে মনে হচ্ছেনা।
এবং পুরোটাই, এখনও যা হয়েছে, এবং আন্দাজ করা যায় সর্বত্রই হতে চলেছে, তা স্রেফ জাতিগত, ভাষাগত পরিচয়ের কারণে। বাংলাভাষী হলে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, বা অন্যের দয়ায় থেকে শংসাপত্র জোগাড় করতে হবে, আপনি বাংলাদেশী নন। প্রসঙ্গত, আসামের অসমীয়াভাষীদের এই অবর্ণনীয় যাত্রার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা ছিল। একে স্রেফ বৈষম্য বললে বিষয়টাকে খাটো করা হয়। বস্তুত 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ' নামক একটি আতঙ্ক তৈরি করে গোটা বাংলাভাষী জাতিগোষ্ঠীকেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বিপর্যয়ের দিকে। তার চেয়ে এ জিনিস কম কিছু নয়।
অনুপ্রবেশের জুজু
এই যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নামক জুজুটি দেখিয়ে গোটা বাঙালি জাতিকেই অভাবনীয় এক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, সেই জুজুটি কতটা ঠিক? হিটলারের জার্মানির সঙ্গে এখানেও মোদীর ভারতের অদ্ভুত মিল। পুরো জুজুটাই তৈরি করা হয়েছে গুলগল্পের ভিত্তিতে। ২০১১ সালের জনগণনার বহুপ্রতীক্ষিত অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য অনেক টালবাহানার পর সদ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতবর্ষ মোটেই বাংলাদেশ থেকে আগত বে-আইনী অনুপ্রবেশকারীতে ছেয়ে যাচ্ছেনা। আইনী-বেআইনী মিলিয়ে ২০১১ সালে ভারতবর্ষে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ছিল ২৩ লক্ষ। মনে রাখতে হবে, এটা শুধু 'বে-আইনী' অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা নয়। বহুসংখ্যক মানুষ আইনী পদ্ধতিতেই ভারতবর্ষে বসবাস করছেন, যাঁদের একটা বড় অংশ আইনসঙ্গত উদ্বাস্তু (সেই সংখ্যাটা বিরাট, যদিও স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণেই সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে)। তার মধ্যে একটা বড় অংশেরই বাস পশ্চিমবঙ্গে। ফলে আসামেই ১৯ লক্ষ বে-আইনী বাংলাদেশী অভিবাসী এসে বসে আছেন, এ একেবারেই অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
আরও মজার ব্যাপার হল ভারতবর্ষে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বাড়ছেনা। ২০০১ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩০ লক্ষ। ২০১১তে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ লক্ষে। ফলে জুজুটি সম্পূর্ণই কল্পনা। অবশ্যই বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কল্পনা। কারণ জনগণনার হিসেব যদি ভালো করে দেখা যায়, তো দেখা যাবে, বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমলেও, ভারতবর্ষে অন্য একটি দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মোটামুটিভাবে ২০০১ সালে নেপাল থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষের মতো, ২০১১ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৭ লক্ষের মতো। এর একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গে (মূলত উত্তরবঙ্গে) এসে বাসা বাঁধেন। কিন্তু সেই সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা লক্ষ্য করা যায়না। অভিবাসনবিরোধী সমস্ত যুক্তিই কেবলমাত্র 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ'এ সীমাবদ্ধ। যদিও, নেপালের মানুষরা খাওয়াদাওয়া করেননা, কাজকর্ম করেননা আর বাংলাদেশের মানুষরা দানবের মতো খান, একাই দশজনের কাজ নিয়ে নেন, এ একেবারেই নয়। ফলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া এর আর অন্য কোনো কারণ থাকা সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান
বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলির অবস্থান এ ব্যাপারে খুব পরিষ্কার। তারা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশী হটাও স্লোগানটাকে বাস্তবায়িত করতে চায়। আসামের বিজেপি নেতা গতকালই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ভারতবর্ষ 'ধর্মশালা নয়'। তাতে দেশজুড়ে 'হিন্দুত্ব'কে জাগিয়ে তোলা যাবে। এবং সেই কারণে বিশ-তিরিশ-পঞ্চাশ লাখ- এক কোটি বাঙালি গোল্লায় গেলে তাদের কিছু যায় আসেনা। বস্তুত সহনশীল সেকুলার বাঙালি এমনিই তাদের দুচোখের বিষ। হিন্দি বলয়ের গরু হনুমান রাম এবং অসহিষ্ণুতাকে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত করাই তাদের এক ও একমাত্র লক্ষ্য। এ ব্যাপারে তাদের কোনো অস্পষ্টতা নেই। হতাশাজনক হল বাম এবং মধ্যপন্থীদের আচরণ। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বাম এবং মধ্যপন্থীরা যে বিষয়গুলিতে একমত, তার মধ্যে একটি হল 'বে-আইনী অনুপ্রবেশ'। একটি দেশে অনুপ্রবেশকারীরা বে-আইনী ভাবে ঢুকলেও একটা সময়ের পর তাঁদের স্থায়ী বসবাসকারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এটাই সাধারণভাবে বাম ও মধ্যপন্থীদের অবস্থান। দক্ষিণপন্থীদের খাস তালুক আমেরিকাতেও বাম এবং মধ্য ডেমোক্রাটরা স্পষ্ট ভাষায় এই কথা ঘোষণা করতে দ্বিধাবোধ করেননা। যদিও ভারতবর্ষের মতো গায়ের জোরে দেশ খন্ড করার ইতিহাস তাঁদের নেই। আর টুকরো দেশ এবং উদ্বাস্তুদের স্রোতের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভারতীয় বাম ও মধ্যপন্থীরা এখনও এই স্পষ্ট কথাটি স্পষ্ট করে বলার সাহস অর্জন করে উঠতে পারেননি। তাঁদের মূল দাবী, এখনও এই ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিনেও মোটামুটি এই, যে, "কোনো ভারতীয় নাগরিককে নাগরিকপঞ্জির বাইরে রাখা যাবেনা"। ভাবের ঘরে চুরি এবং মানুষকে কিঞ্চিৎ টুপি দেওয়া ছাড়া কথাটার আর কোনো মানে নেই। আরও বিপজ্জনক ব্যাপার হল, দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে এই অবস্থানের বিশেষ কোনো তফাতও নেই। এমনকি নাগরিকপঞ্জিতে পদ্ধতিগতভাবে শিকার করা হচ্ছে বাঙালি জাতিকে, এই 'বাঙালি জাতি' শব্দদ্বয় উচ্চারণেও তাঁদের প্রবল অনীহা। এটা বস্তুত সমস্যাটাকে এড়িয়ে যাবার পদ্ধতি। ফলে সমাধানের কোনো ইচ্ছে তাঁদের নেই, বলাই বাহুল্য।
ফলত দেশভাগের মতো আরেকটি সংকটের মুখে বঙ্গজাতি। সম্ভবত সংকটটি বৃহত্তর, কারণ দেশভাগের হোতা ছিলেন নেহরু এবং জিন্না। আর এবারের নেতা নরেন্দ্র মোদী। বাঙালি এবং তার অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি রুখে না দাঁড়ালে এই সংকট মোকাবিলা করা অসম্ভব। তাই, যদি নথিপত্র নিয়ে নিজেকে নাগরিক প্রমাণের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচা করে দরজায় দরজায় ঘুরতে না চান, অবিলম্বে আওয়াজ তুলুন। লিখুন, পড়ুন, লেখালিখি, বার্তা ছড়িয়ে দিন সর্বত্র। আপনাকে আমাকেই এসব করতে হবে। কারণ এই সংকটের মূহুর্তেও দেশভাগের সময়ের মতই বঙ্গনেতা ও নেত্রীরা যথারীতি মুখে কুলুপ এঁটেছেন এবং ব্যস্ত আছেন বড় বড় ব্যাপারে। দক্ষিণপন্থী নেতা ও নেত্রীরা বিশ্বহিন্দুত্বের সাধনা করছেন। বাম ও মধ্যপন্থীরা ভজনা করছেন বিশ্বমানবতা ও পবিত্র ভারতীয় সার্বভৌমত্বের। এসবের চক্করে চির-উদ্বাস্তু কোটি-খানেক বাঙালি আবার উদ্বাস্তু হলে কার কীই বা এসে যায়?
সূত্রঃ
১। 'রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপ' সমীক্ষাঃ http://www.rightsrisks.org/press-release/the-economic-cost-of-draft-nrc-poor-made-extremely-poor/
২। অভিবাসন সম্পর্কিত জনগণনার বিশদ বর্ণনা জনগণনার ওয়েবসাইটে পাবেন। কিন্তু এখানে বিশ্লেষণের মূল সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এই লেখাটিঃ https://www.livemint.com/news/india/india-is-not-being-overrun-by-immigrants-1564334407925.html । ব্যবহৃত চিত্রটিও এই লেখা থেকেই নেওয়া।