এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান নিয়ে কতগুলো ন্যায্য প্রশ্ন

    পুণ্যব্রত গুণ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ মার্চ ২০১৩ | ২৩৮৩ বার পঠিত
  • ২০১২-এর ডিসেম্বর — এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের ডাক্তাররা জেনেরিক নামের ওষুধ লিখছিলেন যা সদ্য হাসপাতালে খোলা ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে পাওয়া যায়। স্থানীয় ওষুধের দোকান ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার নিয়োজিত গুন্ডারা তাঁদের শারীরিক নিগ্রহের হুমকি দেয়। ডাক্তাররা পুলিশে রিপোর্ট করেন, কয়েকজন দুষ্কৃতী ধরা পড়ে।

    ২১শে জানুয়ারী, ২০১৩ পশ্চিমবাংলার ওষুধ দোকানীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বিসিডিএ — বেঙ্গল  কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩০ হাজার ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে, আনুমানিক ১৫ কোটি টাকার ব্যবসা ছেড়ে পথে নামেন ওষুধ বিক্রেতারা। তাঁদের সাত দফা দাবি —

    1. ওষুধ নীতি প্রণয়ন, ওষুধের মূল্য হ্রাস ও সমস্ত ওষুধের দাম সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা।
    2. ফার্মাসিস্ট সমস্যা মেটাতে হবে।
    3. ফেয়ার প্রাইস শপ তৈরীর সরকারি সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
    4. জনসংখ্যা এবং জনবসতির আনুপাতিক হারে ড্রাগ লাইসেন্স দিতে হবে।
    5. ওষুধের ওপর থেকে সব ধরনের কর প্রত্যাহার।
    6. ক্যান্সার সহ সমস্ত রকম জীবনদায়ী ওষুধের বিক্রয়মূল্যকে ঘিরে ফাটকাবাজি বন্ধ করতে হবে।
    7. ওষুধের বিক্রয়মূল্য দেশের সর্বত্র একইরকম করা হোক। তাতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি কমবে।

    বিসিডিএ সাতটা দাবীর কথা বললেও তাঁদের আসল কথা—সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলার বিরোধিতা।

    সরকার যে বিসিডিএ-র আন্দোলনকে পাত্তা দিতে চায় না বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিক তার পরদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে এস এস কে এম হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান উদ্বোধন করিয়ে।

    তারপর রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার কিছু ওষুধ দোকানীর কৈফিয়ৎ তলব করেছেন কেন তাঁরা ঐ দিন দোকান বন্ধ রেখেছেন জানতে চেয়ে।

    সরকারের অনমনীয় মনোভাবের সামনে, সরকারি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের চাপে বিসিডিএ ঘোষণা করেছে যে সরকার ঘোষিত ১৪২ ধরনের ওষুধ তার সদস্যরা ৩০-৭০% ছাড়ে বিক্রি করবেন।

    আরেকটা পন্থা তাঁরা অবলম্বন করেন—ন্যায্য মূল্যের দোকানে সব ওষুধ পাওয়া যায় না, কেউ ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে কিছু ওষুধ কিনলে তাঁকে প্রেসক্রিপশনের বাকি ওষুধ বিক্রি করতে তাঁরা অস্বীকার করতে থাকেন।

    সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাদের নিয়ে তিনি হানা দিয়েছেন এস এস কে এম-এর বিপরীতের ওষুধের দোকানগুলোতে, দোকানীদের সাবধান করেছেন, সরকারি ডাক্তারদের লেখা কিছু প্রেসক্রিপশন বাজেয়াপ্ত করেছেন, যাতে জেনেরিক নামে ওষুধ না লিখে ব্র্যান্ড নামে ওষুধ লেখা হয়েছে। ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

    সব মিলিয়ে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান সরকারের কাছে ‘প্রেস্টিজ ইস্যু’ হয়ে উঠেছে। 

    জনসাধারণকে কম দামে ওষুধ যোগানোর জন্য সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের দোকান 

    ২০১২-র জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট আহ্বান করে ৩৫ পাতার এক দলিল প্রকাশ করেন, উদ্দেশ্য নির্বাচিত কিছু সরকারি হাসপাতালে পাব্লিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে নায্য মূল্যের দোকান স্থাপন করা, যেখানে ওষুধ, চিকিৎসায় ব্যবহার্য সামগ্রী (consumables) এবং শরীরে স্থাপনযোগ্য সামগ্রী (implants) সর্বোচ্চ খুচরো দামের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করা হবে।

    যে সব হাসপাতালে এই সব ন্যায্য মূল্যের দোকান খোলা হবে বলা হয়, তার মধ্যে রয়েছে—কলকাতার ৫টা মেডিকাল কলেজ-সহ মোট ৬টা হাসপাতাল; দার্জিলিং জেলায় নর্থ বেঙ্গল মেডিকাল কলেজ সহ ৩টে হাসপাতাল; উত্তর ২৪ পরগণা, বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মেডিকাল কলেজ সহ ২টো করে হাসপাতাল;  নদীয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি, বীরভূম ও পূর্ব মেদিনীপুরের ২টো করে হাসপাতাল; মালদার মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল; হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ১টা করে হাসপাতাল। অর্থাৎ মোট ৩৫টা হাসপাতালে।
    এখন অবধি ৩২টা দোকান খোলা হয়েছে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন দু’মাসের মধ্যে সংখ্যা দাঁড়াবে ৫২।

    কী কী পাওয়া যাবে এসব দোকানে?

    • ১৪২ টা ওষুধের জেনেরিক নামে এক তালিকা দেওয়া হয়েছে যে সব ওষুধ দোকান থেকে বিক্রি করতে হবে। পরে এই তালিকায় আরও ওষুধ যোগ করতে পারে স্বাস্থ্য দপ্তর। ওষুধের MRP (সর্বাধিক খুচরো দাম)-এর ওপর ৩০%-এর বেশি ছাড়ে ওষুধ বিক্রি করতে হবে।
    • বলা হয়েছে জননী শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের উল্লিখিত অন্য কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সামগ্রী যদি ১৪২-এর তালিকায় বাদ পড়ে থাকে তাহলে তাও পাওয়া যাবে এ দোকানে।
    • পাওয়া যাবে ক্যান্সার-বিরোধী ওষুধ।
    • Consumables/Surgicals/Disposables/Dressing Materials ৩৯ রকম পাওয়া যাবে।
    • পাওয়া যাবে অর্থোপেডিক্সে ব্যবহৃত নানান সামগ্রী ও ইমপ্ল্যান্ট।
    • হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহার্য নানা রকম পেসমেকার ও স্টেন্ট।
    • পাওয়া যাবে ইমিউনলজিক্যাল নানা ওষুধ।
    • এ সব দোকানে বাচ্চাদের ব্যবহার্য পাউডার, সাবান, শ্যাম্পু, ক্রিম, লোশন, তেল ও মহিলাদের স্যানিটারী ন্যাপকিন বিক্রি করা যাবে।
    • বলা হয়েছে এখান থেকে বেবি ফুড বা ইনফ্যান্ট ফুড বিক্রি করা যাবে না, কিন্তু ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে হেলথ ড্রিংক ও পুষ্টিপরিপূরক (nutritional supplements) গুলোকে, যেগুলো বেবি ফুড-ইনফ্যান্ট ফুডের মতই অপ্রয়োজনীয়, প্রস্তুতকারী কোম্পানির মুনাফা বাড়ানো ছাড়া যেগুলো কোনও কাজে লাগে না।
    • একটা ভালো বিষয় হল — নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নানা সময়ে কেন্দ্রীয় ওষুধ মহা-নির্দেশক দ্বারা নিষিদ্ধ ৭৬ ধরনের ওষুধ এ সব দোকান থেকে বিক্রি করা যাবে না।

    তালিকা ঘেঁটে দেখা গেল—

    • এই ১৪২-এর তালিকায় দু’বার করে উল্লেখ করা হয়েছে—ভিটামিন কে ৩, পভিডোন আয়োডিন সল্যুশন, পভিডোন আয়োডিন মলম, রিংগার’স ল্যাক্টেট দ্রবণ, এড্রেনালিন ইঞ্জেকশন,ডোপামিন ইঞ্জেকশন, অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশন, সোডিয়াম বাই কার্বোনেট ইঞ্জেকশন, প্যারাসিটামল সিরাপ—মোট ৯টা ওষুধকে। অর্থাৎ  আসলে ১৪২ নয়, তালিকা ১৩৩টা দ্রব্যের। 
    • তার মধ্যেও একই ওষুধের বিভিন্ন মাত্রা, বিভিন্ন রূপ (বড়ি/ ক্যাপসুল/ সিরাপ/ ইঞ্জেকশন, ইত্যাদি) আছে।
    • তালিকা শুরু হয়েছে  অযৌক্তিক ব্যথার মলম এসিক্লোফেনাক জেল দিয়ে।
    • তালিকায় যেসব অযৌক্তিক নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ (fixed dose combinations) পাওয়া গেল, সেগুলো এরকম—এমোক্সিসিলিন ও ক্লক্সাসিলিনের মিশ্রণ, কাফ সিরাপ, লোসারটান ও হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইডের মিশ্রণ, ওফ্লক্সাসিন ও ওর্নিডাজোলের মিশ্রণ, ওমপেরাজোল ও ডমপেরিডনের মিশ্রণ, রেবিপ্রাজোল ও ডমপেরিডনের মিশ্রণ—মোট ৬টা। (ওষুধ বিজ্ঞান সাধারণত নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ ব্যবহারের বিপক্ষে কেন না—এদের একটা ওষুধের মাত্রা স্থির রেখে অন্যগুলোর মাত্রা কমানো বাড়ানো যায় না, সাধারণ ভাবে এগুলোর দাম আলাদা আলাদা ওষুধের মোট দামের চেয়ে বেশি, এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আলাদা আলাদা ওষুধের মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চেয়ে বেশি।)
    • তালিকায় এমন সব ওষুধ আছে যেগুলো এখন আর ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে, ভালো বা নিরাপদ বিকল্প আছে অথবা অপ্রয়োজনীয় বলে, যেমন—নিফিডিপিন ক্যাপসুল, এম্পিসিলিন ৫০০ মিগ্রা ক্যাপসুল, ডাইসোডিয়াম হাইড্রোজেন সাইট্রেট সিরাপ।
    • তালিকাটা ভালো করে বিশ্লেষণ করে দেখা গেল আসলে মাত্র ৯০টা কাজের ওষুধ আছে এ তালিকায়। ভারতের সাম্প্রতিকতম প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় ৩৪৮টা ওষুধ আছে। এই ৯০টা কাজের ওষুধের মধ্যে ৬৮টা সেই তালিকাভূক্ত। অর্থাৎ ২৮০টা বা ৮০.৪৫% অত্যাবশ্যক ওষুধ আমরা এ সব ন্যায্য মূল্যের দোকানে পাবো না।
    • পাবো না জীবাণুনাশক কোট্রাইমোক্সাজোল, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড ও এটেনেলল, ডায়াবেটিসের গ্লিবেনক্ল্যামাইড ও গ্লিপিজাইড, এমন কত কী!

    একটা বিষয়ে অন্তত সরকার আইন ভাঙায় প্রশ্রয় দিচ্ছে

    ফার্মাসিস্ট ছাড়া আইন অনুযায়ী ওষুধের খুচরো দোকান চালানো যায় না। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা। ৮ ঘন্টা কাজের সময় ধরলে অন্তত তিন শিফটে তিন জন ফার্মাসিস্ট লাগে একেকটা দোকানে। নির্দেশিকায় কিন্তু দোকান-পিছু একজন ফার্মাসিস্ট ও অন্তত চারজন সহায়কের কথা বলা হয়েছে, তার মানে হয় দিনে ১৬ ঘন্টা ফার্মাসিস্ট থাকবেন না অথবা ফার্মাসিস্টদের ৮ ঘন্টার বেশি সময় খাটানো হবে।

    একটা বিষয়ে লুকোছাপা নেই — ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান হল পাব্লিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ

    স্বাস্থ্য দপ্তর কী দেবে?

    • ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক্স এক্ট অনুযায়ী ওষুধের পাইকারি দোকানের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা দেবে ভাড়ার বিনিময়ে। যেখানে তৈরি জায়গা নেই, সেখানে তৈরি করে দেবে।
    • ২৪ ঘন্টা বিনামূল্যে জলের ব্যবস্থা করে দেবে।
    • বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন করে দেবে। ব্যবসায়ীকে বিদ্যুৎ কোম্পানির বিল মেটাতে হবে।

    ব্যবসায়ী কী করবেন?

    • দোকান সাজাবেন।
    • আলাদা বিদ্যুতের মিটার লাগাবেন।
    • স্বাস্থ্য দপ্তরকে ঘর ভাড়া মেটাবেন।
    • ব্যবসা চালানোর পুঁজি লাগাবেন।
    • কর্মচারি ও সুরক্ষা কর্মী নিয়োগ করবেন।
    • দোকান খোলা রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা।

    পাব্লিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আমরা বিরোধী কেন না তাতে সরকারি জমিতে, সরকারি নানা সুবিধা ও মদতে ব্যবসা চালিয়ে মুনাফা লোটে পুঁজিপতি জনসাধারণের ঘাড় ভেঙে। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে তা ছাড়া অন্য কিছু হবে না। কেন এমনটা বলছি জেনেরিক ওষুধের দাম নিয়ে আলোচনা করার সময় বোঝা যাবে।

    যে ভাবে সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের দোকান খোলা হচ্ছে তাতে ছোট ব্যবসায়ীরা অবলুপ্ত হয়ে যাবেন, মুনাফা লুটবে বড় ব্যবসায়ীরা।

    • মেডিকাল কলেজগুলোতে দোকান চালানোর আবেদন করতে গেলে খুচরো দোকানদারদের গত দুবছর গড় বার্ষিক টার্ন ওভার কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা হতে হবে। জেলা ও মহকুমা হাসপাতালের ক্ষেত্রে অন্তত ৬ কোটি টাকা।
    • বর্তমানে যাদের ওষুধের পাইকারি ব্যবসা বা পরিবেশক ব্যবসা আছে তাদের গত দু বছরে গড় বার্ষিক টার্ন ওভার হওয়া চাই মেডিকাল কলেজগুলোর জন্য আবেদন করতে গেলে অন্তত ১২ কোটি টাকা, জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে অন্তত ৮ কোটি টাকা।
    • বলা হয়েছে ব্যবসার পরিমাণ যার যত বেশি হবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে তার তত সম্ভাবনা বাড়বে।
    • ব্যাংক গ্যারান্টি রূপে সিকিউরিটি অর্থ জমা রাখবেন। পুরোনো মেডিকাল কলেজগুলোর ক্ষেত্রে কোন কোনটায় ৩০ লাখ, কোন কোনটায় ২০ লাখ। নতুন মেডিকাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা। মহকুমা হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা।
    • বার-কোডিং ও অপ্টিকাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
    • উপযুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

    এই ব্যবস্থায় ছোট ওষুধ দোকানি, পাইকারি বিক্রেতা বা সরবরাহক প্রতিযোগিতায় নামতেই পারবেন না বলাই বাহুল্য। সরকারি জমিতে, সরকারের যোগানো খদ্দেরদের ওষুধ বেচে আরও ফুলে ফেঁপে ঊঠতে পারবে কেবল অ্যাপোলো, ফ্র্যাংক রস, প্রভৃতির মত ওষুধের দোকানের চেন।

    ৪০-৭০% ছাড় আসলে কোনও ছাড়ই নয়

    বর্তমানে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান ৪০-৭০% ছাড়ে বিক্রি করছে।

    আমি যে সংগঠনের সঙ্গে কাজ করি, সে সংগঠন গরীব মানুষদের জন্য কম খরচে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার কয়েকটা ক্লিনিক চালায়। আমাদের ড্রাগ লাইসেন্সযুক্ত ওষুধের দোকানে কী দামে ব্র্যান্ডেড জেনেরিক ওষুধ কিনি, কীই বা তাদের MRP—উদাহরণ দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। 
     

    ওষুধের নাম যে দামে কিনি MRP মুনাফা কতটা হতে পারে? মুনাফা (%-এর হিসেবে)
    এমোক্সিসিলিন ২৫০ মিগ্রা ক্যাপসুল ১ টাকা ২৯ পয়সা ৩ টাকা ৯০ পয়সা ২ টাকা ৬১ পয়সা ২০২.৩২%
    এমোক্সিসিলিন ৫০০ মিগ্রা+ ক্ল্যাভুলিনিক এসিড ১২৫ মিগ্রা ক্যাপসুল ৮ টাকা ৬৫ পয়সা ৪১ টাকা ৬৭ পয়সা ৩৩ টাকা ২ পয়সা ৩৮১.৭৩%
    সেট্রিজিন ১০ মিগ্রা বড়ি ১৯ পয়সা ২ টাকা ১ টাকা ৮১ পয়সা ৯৫২.৬৩%
    ডমপেরিডন ১০ মিগ্রা বড়ি ২৫ পয়সা ৩ টাকা ১০ পয়সা ২ টাকা ৮৫ পয়সা ১১৪০%
    গাবাপেন্টিন ১০০ মিগ্রা বড়ি ১ টাকা ৫০ পয়সা ৪ টাকা ২০ পয়সা ২ টাকা ৭০ পয়সা ১৮০%
    এমিট্রিপ্টিলিন ১০ মিগ্রা বড়ি  ৩০ পয়সা ১ টাকা ১০ পয়সা ৮০ পয়সা ২৬৬.৬৬%
    এটেনেলল ৫০ মিগ্রা বড়ি ২২ পয়সা ২ টাকা ১৫ পয়সা ১ টাকা ৯৩ পয়সা ৮৭৭.২৭%
    এম্লোডিপিন ৫ মিগ্রা বড়ি ৩০ পয়সা ২ টাকা ২০ পয়সা ১ টাকা ৯০ টাকা ৬৩৩.৩৩%
    এনালাপ্রিল ৫ মিগ্রা ৪৮ পয়সা ৩ টাকা ২ টাকা ৫২ পয়সা ৫২৫%

    যেখানে ১৮০% থেকে ১১৪০% লাভ হয় সেখানে ৪০-৭০% বা ৩০-৭০% ছাড় আসলে কোনও ছাড়ই নয়।

    ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের চালাকি

     

    অধিকাংশ ওষুধ জেনেরিক নামে পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় ব্র্যান্ডেড জেনেরিক রূপে—কোম্পানির জেনেরিক ডিভিশনের উৎপাদন, যার একটা নাম দেওয়া হয়েছে, যে নাম কোম্পানি ডাক্তারদের কাছে প্রচার করে না, সরবরাহ করে হাসপাতাল বা অন্য প্রতিষ্ঠানে।

    একই ওষুধের ব্র্যান্ডেড জেনেরিক বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন MRP-তে বিক্রি করে।

    বিনোদ কুমার মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-এর এক প্রকল্প www.medguideindia.com ওষুধ সম্পর্কে তথ্য যোগানোর এক নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট। সেখানে দুটো বহুল-ব্যবহৃত ওষুধের তথ্য দেখছিলাম—জ্বর ব্যথা কমানোর প্যারাসিটামল আর জীবাণুনাশক সিপ্রোফ্লক্সাসিন।

    ওয়েবসাইটে ১৫৩টা কোম্পানির প্যারাসিটামল (৫০০ মিগ্রা)-এর খবর পেলাম। সবচেয়ে কমদামের জেনেরিক এসিকেম ল্যাবরেটরিস-এর, একটা বড়ির দাম ২২ পয়সা। সবচেয়ে বেশি দামের জেনেরিক ইউনিভার্সাল ড্রাগ হাউস প্রাইভেট লিমিটেড-এর, একটা বড়ি ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। সবচেয়ে কমদামি ব্র্যান্ড কিন্তু সবচেয়ে কমদামি জেনেরিকের চেয়েও কমদামি এলবার্ট ডেভিড-এর Parazine, একটা বড়ি ১৫ পয়সা।

    ওয়েবসাইটে ৫৩১টা কোম্পানির সিপ্রোফ্লক্সাসিন (৫০০ মিগ্রা) আছে। সবচেয়ে কমদামের জেনেরিক ক্যাডিলা-র, একটা বড়ির দাম ১ টাকা ৫৪ পয়সা। সবচেয়ে বেশি দামের জেনেরিক এগ্রন রিমেডিস প্রাইভেট লিমিটেড-এর, একটা বড়ি ৬ টাকা ১৮ পয়সা। সবচেয়ে কমদামি ব্র্যান্ড  সবচেয়ে কমদামি জেনেরিকের চেয়ে অনেক কমদামী আল্ট্রামেডিক্স-এর Ciplac, একটা বড়ি ৬০ পয়সা।

    ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানগুলো বেশি দামের ব্র্যান্ডেড জেনেরিকস স্টক করছে। তাতে ছাড় দিয়েও যা দাম দাঁড়াচ্ছে, তা অনেক কোম্পানির ব্র্যান্ডেড ওষুধের দামের চেয়েও বেশি।

    এছাড়া একেক সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে একেক রকম ছাড়তো আছেই।

    সরকার ডাক্তারদের ব্র্যান্ড নাম লেখা বন্ধ করতে চান

    মেডিকাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ২০০২ সালে কোড অফ এথিকস-এ বলেছে ডাক্তারদের যথাসম্ভব জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন লেখা উচিত। বিভিন্ন সময় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি ডাক্তারদের ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করতে বারণ করেছে।

    তাহলে ব্র্যান্ড নামে ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে কেন? বাজারজাত হচ্ছে কেন? একদিকে সরকার ব্র্যান্ড নামের ওষুধ, অযৌক্তিক নির্দিষ্ট মাত্রার মিশ্রণ (irrational fixed dose combinations), ক্ষতিকর ওষুধ, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ তৈরি করতে দেবে আর ডাক্তারদের বলবে এসব লেখা যাবে না — এমনটা হয় নাকি!

    সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তেমনটা করত যেমন করেছিল আশির দশকের শুরুতে বাংলাদেশের সরকার — অযৌক্তিক নির্দিষ্ট মাত্রার মিশ্রণ (irrational fixed dose combinations), ক্ষতিকর ওষুধ, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নিষিদ্ধ করে।
     
     
    সরকার কী করতে পারে?

    স্বাস্থ্যখাতে সরকারি ব্যয় বর্তমানের জিডিপির ১.৪% থেকে বাড়িয়ে দ্বাদশ পরিকল্পনার শেষে অন্তত ২.৫% সরকার সমস্ত নাগরিকের জন্য প্রাথমিক, দ্বিতীয় ও উচ্চস্তরের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারে তা হিসেব করে দেখিয়েছেন ডা শ্রীনাথ রেড্ডি-র নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনা কমিশনে স্বাস্থ্য বিষয়ক উচ্চেস্তরীয় কমিটি।

    তাঁদের সুপারিশ—

    • স্বাস্থ্যখাতে সরকারি খরচের অন্তত ১৫% হোক ওষুধের জন্য, অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধগুলো সরকারকেই কিনতে হবে।
    • আয়ুর্বেদ, ইউনানী, সিদ্ধ, হোমিওপ্যাথির আলাদা অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা করতে হবে, রাজ্যস্তরে তা কেন্দ্রীয় ভাবে কিনতে হবে।
    • প্রামাণ্য চিকিৎসা বিধি (Standard Treatment  Guidelines) অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন ও ডিসপেন্সিং করতে হবে।
    • স্বচ্ছ টেন্ডার পদ্ধতির মাধ্যমে ওষুধ কিনতে হবে।
    • ভাল গুণমানের জেনেরিক ওষুধ নিশ্চিত করতে হবে।
    • প্রত্যেক জেলায় গুদাম থাকবে।
    • ওষুধ, টীকা ও পরীক্ষার সরঞ্জাম কেনার জন্য স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা চাই।
    • ওষুধের গুণবত্তা পরীক্ষার ল্যাবরেটরি নথিভুক্ত করতে হবে।
    • দ্রুত দাম মেটানোর ব্যবস্থা চাই।

     
    তাঁদের মতে ওষুধ মানুষের নাগালে আনতে—

    • ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
    • জাতীয় ও রাজ্যস্তরে ওষুধ সরবরাহ কর্পোরেশন স্থাপন করতে হবে।
    • ওষুধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে ক্ষমতা দিতে হবে।
    • ফার্মাসিউটিকাল দপ্তরকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে দেওয়া হোক।


    কেন্দ্র সরকারই বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ মানে নি। রাজ্য সরকারেরও দায় নেই মানার।


    রাজ্য সরকার কী করতে পারত?

    • সরকারি হাসপাতালে ডিস্পেন্সারি ঘর রয়েছে, রয়েছেন সরকারি ফার্মাসিস্ট ও তাঁর সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারেন এমন কর্মী। সরকার নিজেই দোকান চালাতে পারত।
    • আগে যে হিসেবের উদাহরণ দিলাম, তা খুচরো দোকান কী দামে কেনে তার উদাহরণ। পাইকারি বিক্রেতা কেনে আরও অনেক কম দামে। সরকার সে দামে  বা বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক দাম (institutional price)-এ ওষুধ কিনে সামান্য মার্জিন রেখে অনেক কম দামে রোগীদের ওষুধ দিতে পারে, যদি সে সত্যি সত্যি জনসাধারণের উপকার করতে চায় ।


    সরকারি উদ্যোগের সমর্থক যাঁরা তাঁরা বলছেন—সরকার নিজে ওষুধ বেচা শুরু করলে দুর্নীতির উৎসমুখ খুলে যাবে। সরকারি কর্মচারীরা নানা স্তরের দুর্নীতিতে লিপ্ত হবেন।–এ প্রসঙ্গে একটা কথাই বলার সরকারি উদ্যোগ-প্রতিষ্ঠান তুলে দিয়ে বেসরকারিকরণের প্রবক্তারা কিন্তু এই একই যুক্তি হাজির করেন।

    এত সব বলার পরও ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানকে আমি স্বাগত জানাব এ কারণে যে — সরকারের এই উদ্যোগ একদিকে যেমন ওষুধ-ব্যবসায়ীদের স্বরূপ চিনতে আমাদের সাহায্য করেছে, তেমনই আমরা চিনতে পারছি আমাদের সরকারকে!
     

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ মার্চ ২০১৩ | ২৩৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৪:৪২77330
  • 'যথাসাধ্য-ভালো বলে ওগো আরো-ভালো
    কোন্‌ স্বর্গপুরী তুমি ক’রে থাকো আলো
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৫:০৮77331
  • 'ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানগুলো বেশি দামের ব্র্যান্ডেড জেনেরিকস স্টক করছে। তাতে ছাড় দিয়েও যা দাম দাঁড়াচ্ছে, তা অনেক কোম্পানির ব্র্যান্ডেড ওষুধের দামের চেয়েও বেশি।' অর্থাত, তালিকাভুক্ত জেনেরিক ওষুধগুলোও ব্র্যান্ডেড, এদিকে কিছু ওষুধ অনেকটাই কম দামে বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলো-ও জেনেরিক, কিন্তু তালিকাভুক্ত হয়নি।

    সত্যিই কি 'অনেক কোম্পানি' ন্যায্য মূল্যের দোকানের চেয়ে কম দামে জেনেরিক ওষুধ বিক্রি করে? যথেষ্ট পরিমানে করে? তাই যদি হয় তাহলে ঐ ওষুধগুলো লোকে কম দামে বাজার থেকে কিনবে। ন্যায্য মূল্যের দোকানে কিনবে না। ডাক্তাররা জেনেরিক নামটিই প্রেসক্রাইব করুন। যেমন Ciprofloxacin লিখুন। লোকে Ciplac কিনুক। ন্যায্য মূল্যের দোকান থাকায় বেশি করে Ciplac তৈরি হবে ও বাজারে আসবে। যতক্ষণ তা না হয়, লোকে নাহয় Cadila কিনুক।
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৫:১৪77332
  • সরি, ডাক্তাররা লিখবেন Ciprofloxacin 500 mg.
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৫:৫১77333
  • * ডাক্তাররা Ciprofloxacin লিখুন। লোকে Ciplac কিনুক। ন্যায্য মূল্যের দোকান থাকায় বেশি করে Ciplac তৈরি হবে ও বাজারে আসবে। যতক্ষণ তা না হয়, লোকে নাহয় ক্যাডিলার বড়ি কিনুক।
  • পুণ্যব্রত গুণ | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৬:১৫77334
  • অন্য পণ্যের সঙ্গে ওষুধের পার্থক্য হল, ওষুধের ব্র্যান্ড আমরা নিজেরা পছন্দ করি না।আমাদের হয়ে পছন্দ করেন ডাক্তার।।আর এখানেই যত দুর্নীতির সুযোগ।
    বাজারে একই ওষুধের বিভিন্ন দামের ব্র্যান্ড বা ব্র্যান্ডেড জেনেরিকস থাকলে ডাক্তার জেনেরিক নাম লিখলে সমস্যার সমাধান হবে না। ওষুধের দোকানী সেই ব্র্যান্ড বেচবেন যাতে তার লাভ বেশী। বরং এক সৎ ডাক্তার কমদামী ব্র্যান্ড লিখলে রোগী কম দামে ওষুধ পেতে পারেন।
    সমস্যার আসল সমাধান হল NHS-এর মত ব্যবস্থা যেখানে রোগীকে ওষুধ কিনতে হবে না।
  • Jayanta Das | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৬:৪৩77335
  • বাজারে একই ওষুধের বিভিন্ন দামের ব্র্যান্ড বা ব্র্যান্ডেড জেনেরিকস থাকলে ডাক্তার জেনেরিক নাম লিখলে সমস্যার সমাধান হবে না। ওষুধের দোকানী সেই ব্র্যান্ড বেচবেন যাতে তার লাভ বেশী। বরং এক সৎ ডাক্তার কমদামী ব্র্যান্ড লিখলে রোগী কম দামে ওষুধ পেতে পারেন। -- ঠিক আছে, মানলাম। একই ভাবে এক সৎ ওষুধের দোকানী কম দামের ব্র্যান্ডের ওষুধ দিতে পারেন। প্রশ্নটা অধিকারের। রোগীর ব্র্যান্ড নয়, জেনেরিক ওষুধটা কি আছে সেটা জানার অধিকার অছে নাকি নেই? চাল কিনছি নাকি চালতা সেটা সে জানবে না, শুধু পয়্সা দিয়ে যাবে? সে কিকরে তুলনা করবে কোন ওষুধ আরো কম দামে পাওয়া যেত? জেনেরিক নামে ওষুধ লিখতে হবে, বাজারে জেনেরিক ছাড়া অন্য নামে ওষুধ চলবে না, ব্যাস, মিটে গেলো সব গোল।
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৬:৪৫77336
  • নট কনভিনসড। ডাক্তাররা জেনেরিক নাম লেখার পরে বাকিটা আমরা নিজেরা পছন্দ করি।
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৬:৪৯77337
  • যেটা দেখতে হয়, ইজ দিস স্টেপ ইন দি রাইট ডিরেকশন? আমার মনে হয় ইট ইজ। সমস্যার পূর্ণ সমাধান হওয়ার অপেক্ষায় থাকার চেয়ে একটা কারেক্ট ডিরেকশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাব না কেন?
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৮:৫০77338
  • লেখাটা নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটা এখানে লিখে দিচ্ছি। ইংরেজি কমেন্টই লিখছি প্রথমে। কারণ ওখানে সবাই রোমান ফন্টে লিখেছেন।

    ১) রেজাউল করিম "I did not go through the entire document but from what I gathered I like to make some preliminary comments: there is no objection to fair price shops but first of all we have to decide in all fairness about the qaulity of fair price shops rather than going by the hype. The mediciens are not supplied in generic names even in these shops. Government should first ensure that manufacturer produce and markets drugs in generic names. the medicines supplied in these shops have questionable standards and they mostly don't follow the GMP. These shops will supply only 39 -40 drugs . what will happen to others. What will happen to combination drugs. This government is submitting to the pressures of companies and not enacting laws banning all irrational combinations and all companies must follow GMP and should supply drugs in generic names. But govt is pressurizing doctors to write prescriptions in generic names even when these are not available in shops including the fair price shops. the end result is same prescriptions is to be written a number of times.

    Today procarbazine was written and the fair price shop supplied carbamazepine. Ketamin was prescribed, Ketmin was supplied from SSKM fair price shop. Another interesting point is that if the companies can supply medicines at 66% lower price than written on the strips why govt is not taking penal actions against these companies for artificially inflating prices. Drotaverine was prescribed and drotin was supplied, says my friend Dr A Mukherjee."
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৯:১০77339
  • অরুণাভ দে: "রেজাউল দা, একটা প্রশ্ন আছে। যে ওষুধগুলো হসপিটালে বিনা পয়সাতে পাওয়া যাওয়ার কথা, সেগুলো কি এখনও পাওয়া যাচ্ছে? I am asking this question for the common patients who are eligible to get some medicines free of costs. Are they still getting those medicines, Rezaul da?"

    ডক্টর রেজাউল করিমঃ "I think some medicines are available in the hopsitals free of cost.. from SSI of course and of questionable quality.. there is no standardization of these medicines."

    ডক্টর দেবলীনা সেনঃ "There is no standardization of these medicines. This is a huge issue. I believe that the bioavailability of many medications is severely compromised and underformulated.

    ডক্টর সেনঃ "India rarely if ever develops any drugs- there is hardly any money for that kind of research. That's why, almost all medicines are either 'licensed' or pirated. The generic versions of all the drugs have extremely poor quality control."

    ডক্টর করিমঃ "I am trying to find out a link to an article I read a few years back when I was the procurement officer of medicines in a district. I read that in our country a capsule containing 250 mg of an ingredient can have any amount between 189-250mg.. but I am not finding the link..so cant authenticate."

    ডক্টর সেনঃ Ekta byapar e besh ashchrjyo hoi. Amader para (Jadavpur er ekta chhoto ongsho) te 1/4 mile distance er modhye 6 ta chhoto pharmacy achhe. I'm talking about a very small and narrow goli- where 2 cars can barely move past each other. Aaro anek proshno otthe monay- How do they survive? What do they sell that keeps them alive? Who buys so much medicine?

    ডক্টর করিমঃ amar akta mojar obhigata hoyechilo cadila niye. ami ampicillin injection kinte cheyechilam. takhan cadilar amp inj 12 takay paoa jeto. local brand dam diyechilo 5.32 poisa.. sesh mesh company r sathe direct katha bolle 25% reduced price a purchase kori.

    ডক্টর করিমঃ amader deshe generic a paracetamol o paoa jaye na.

    ডক্টর করিমঃ choto companyr kono manufacturing norm i ney ... good manufacturing bad i dilam

    ডক্টর সেনঃ Shei. How does one, then, decide what the medicines should cost?

    ডক্টর করিমঃ whatever is printed on the strip Devalinadi
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ০৯:৩৬77340
  • ডক্টর করিমঃ chikitsar kharach barche tar karon 1. oprayojanio osudh 2. cut money 3. je kono asukhe antibiotic...ak sathe anek khoti hochhe.. tar somadhan fair price shop noye..

    ডক্টর করিমঃ Doctors represent cross section of the society.. they are as good as our own people.. they are as bad as our politicians and their chamchas.... that makes everything very very worse for common people.

    সুস্মিতা চক্রবর্তীঃ ডাক্তাররা আপত্তি করছে কি? আপত্তি করছে বিসিডিএ।

    ডক্টর রেজাউল করিমঃ দিদি একবার পিজিতে এসে ডক্টরস ক্যান্টিনে আধঘন্টা কাটান, তাহলে বুঝবেন। They are more vociferous than the BCDA . They dont protest in public because they are govt officers. BCDA khub bhalo organization. Very rational and sensible. I personally know many of them.

    ডক্টর রেজাউল করিমঃ সরকার আগে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করুক জেনেরিক নামে ওষুধ সরবরাহ করতে।

    সুস্মিতাঃ কোনটা আগে কোনটা পরে, এভাবে ভাবা কেন?

    ডক্টর করিমঃ Because doctors are writing in generic names but people are not getting it.. besides, the generic medicines of low price have questionable quality. doctors will never allow their patients to gulp down low quality medicines.

    অর্ক সাহাঃ Uni kintu gota lekhata Negative dik niye likhecchen....ei Program ta anek bhabna chinta kore implement korecche govt ..atleast kicchu time deowa darkar program ta safol na bhul seta bichar korar joono....ar metho info ja pacchi anek lok anek lobby ei program bandya korar joono uthe pore legecche....sam dam dandho sab proyog hocche....tai sandeho jage boiki lekhok er intention niye.

    দেবর্ষি দাসঃ অর্ক, আমার মনেহয় জেনেরিক ওষুধ দেওয়ার প্রকল্পের উদ্দেশ্য সাধু। অন প্রিন্সিপল মহৎ উদ্দেশ্য তো বটেই। কিন্তু মানতে অসুবিধে কোথায় যে ইম্পলিমেন্টেশনে গোলমাল থাকতে পারে, বা ভেতর ভেতর ঘাগুমালরা টুক করে আইনে সামান্য পরিবর্তন করে পুরো জিনিষটাকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারে। সেইসব কেউ পয়েন্ট আউট করে দিলে পজ়িটিভলি নেওয়া উচিত বলেই মনে করি। প্রথম থেকেই খড়্গহস্ত হওয়ার কী দরকার। সমালোচনাগুলো কাজে আসতে পারে তো।

    সুস্মিতাঃ লেখক বলেন নি যে উদ্দেশ্য সাধু। লেখার মেসেজটা একেবারেই উল্টো।

    অর্কঃ এগজ্যাক্টলি।

    শ্রী স্ফীতোদরানন্দ মহাপ্রভুঃ বি সি ডি এ কোন ধরনের ভালো সংগঠন জানি না। কিছু খুচরো ঔষধের দোকান বিক্রয়মূল্যের বিরুদ্ধে ছার দিত তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ, দোকানগুলোতে আচমা হানা,ওদের হুমকির পরেও ছাড় দিলে তাদের জরিমানা করে কাগজের শিরোনামে এসেছে। বিসিডিএ এর ব্যবসার ক্ষতি করেও আন্দোলনের কথা স্রেফ ভুলে যান। ওদের ঐ দোকান বন্ধ করে আন্দোলনটাই স্রেফ দু নম্বরী।ইচ্ছা মতো ওরা দোকান বন্ধ করতে পারে না। আদালতের কাছে ঝাড় খেয়ে এখন ভালো মানুষ সাজার আপ্রান চেষ্টা করছে।
  • ম্যাক্সিমিন | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৩ ১০:৩২77341
  • সুস্মিতাঃ ১৪২ আসলে ১৪২ নয়, অনেক কম। আপাতত কম। কিন্তু পরে তালিকায় আরো যোগ করতে পারে।

    রেজাউল করিমঃ পাওয়া যাচ্ছে কিনা আগে দেখুন। তারপর নয় আলোচনা করা হবে। আজ আমি কিনতে গেছিলাম। অনেক ওষুধই নেই।

    সুস্মিতাঃ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নানা সময়ে কেন্দ্রীয় ওষুধ মহা-নির্দেশক দ্বারা নিষিদ্ধ ৭৬ ধরনের ওষুধ এ সব দোকান থেকে বিক্রি করা যাবে না। এটাকে পুন্যব্রতবাবু ভালো বলেছেন। এই একটাই ভালো। জননী শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের উল্লিখিত অন্য কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সামগ্রী যদি ১৪২-এর তালিকায় বাদ পড়ে থাকে তাহলে তাও পাওয়া যাবে এ দোকানে। পাওয়া যাবে ক্যান্সার-বিরোধী ওষুধ। Consumables/Surgicals/Disposables/Dressing Materials ৩৯ রকম পাওয়া যাবে। পাওয়া যাবে অর্থোপেডিক্সে ব্যবহৃত নানান সামগ্রী ও ইমপ্ল্যান্ট। হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহার্য নানা রকম পেসমেকার ও স্টেন্ট। পাওয়া যাবে ইমিউনলজিক্যাল নানা ওষুধ। এগুলো খারাপ কিসে?

    রেজাউল করিমঃ জননী সুরক্ষা কাজকর্মের সবচেয়ে ভালো ওষুধ একটা স্টেরাইল ব্লেড, একটা ট্রেইনড পার্সোনেল আর একটা সাহায্যকারী গাড়ি। সরকার ভোট নেয় প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু কাজ করবার সময় বিবৃতি দেয়। জানে মিথ্যা বলছে। একই মিথ্যা বারবার বলা।

    সুস্মিতাঃ একটা স্কীম মাত্রই চালু করা হয়েছে। আগেই দেখতে হবে সবগুলো পাওয়া যাচ্ছে কিনা? বিভিন্ন লবিরা বিরোধিতা করছে। গুণী মানুষেরা যদি পক্ষে না দাঁড়ান তাহলে প্রজেক্ট কোনোদিনই সফল হবে না।

    রেজাউল করিমঃ যারা চালু করেছেন তারা কি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ? তারা নিজেরা প্রাইভেট সেক্টরে মাইনে করা চাকর। নিজের বাড়ি ছাড়া বিড়লাদের ৩ টে neotia দের একটা হসপিটাল ওরা চেনেন। যারা এসব নিয়ে ৩ দশক কাজ করছেন তাদের পরামর্শ নেয়া উচিত ছিলনা কি? ভুল কীভাবে সমর্থন করব?

    দেবলীনা সেনঃ তবে, রেজাউল, একটা observation করতে চাই। Doctors don't always make good managers and businessmen. We are not really trained to that.

    (অনেকটাই কপি করে দিলাম। কিছু বাদ গেছে। আমার একটা প্রশ্ন আছে। সেটা পরে আলাদা ভাবে করব।)
  • pi | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ০৩:২৩77342
  • অনেক ধন্যবাদ, ম্যাক্সিমিনদি।
  • পুণ্যব্রত গুণ | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ০৪:১৮77348
  • 'এই সময়' পত্রিকায় ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ নিয়ে সমালোচনা করে হুমকির মুখোমুখি হন আমার ৩ সহযোদ্ধা।
    এঁদের একজন সরকারী এক মেডিকাল কলেজের শিক্ষক, তাঁকে স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে পাঠানো হয়।
    আরেকজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, সিপিএম-এর দালাল বলে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়, ভুলে যাওয়া হয় সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তাঁর ভূমিকার কথা।
    আমাকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন কিছু সমালোচক তাতে আমি খুশী--তার মানে সরকারী কর্মসূচীর লোক-ঠকানো বিষয়গুলো আমরা expose করতে পারছি।
    মনে পড়ছে ১৯৮৩-র দিনগুলো যখন সরকারী হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা এক্স-রে, ইসিজি, প্যাথোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, পর্যাপ্ত ওষুধের দাবীতে আন্দোলন করে তৎকালীন শাসকদলের বিরাগভাজন হয়েছিলাম আমরা জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতাল থেকে বেরোলে পেছন পেছন ক্যাডার বাহিনী যেত হুমকি দিতে দিতে। না তখন এ ভাষা শুনিনি, যে ভাষায় আজ গালি দেওয়া হচ্ছে নেটে।
    আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার,আমরা মনে করি--
    ১। কমদামে নয়, ওষুধ সহ সমস্ত চি্কিৎসাই সরকারের দেওয়া উচিত, যেমনটা ছিল সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে, যেমন এখন ও আছে কিউবা সহ লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশে, কানাডায়, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে...।
    ২। আমরা সমস্ত অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর ওষুধ নিষিদ্ধ করার পক্ষে যেমনটা ৩০ বছর আগে করা হয়েছে প্রতিবেশী বাংলা দেশে।
    ৩। আমরা ওষুধশিল্প জাতীয়করণের পক্ষে যেমনটা ১৯৭৫-এ সুপারিশ করেছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ জয়শুকলাল হাথীর চেয়ারম্যান শিপে সংসদীয় কমিটি।
    ৪।আমরা সমস্ত পিপিপি-র বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রসহ। অবাক লাগছে আজ যাঁরা ফেয়ার প্রাইস শপ পিপিপি-র পক্ষে বলছেন, তাঁরা গত জমানায় পিপিপি-র বিরোধিতায় মুখর ছিলেন। পিপিপি সিপিএম করলে খারাপ, টিএমসি করলে ভাল-- এমন কি?

    আমার প্রবন্ধে কোথাও ওষুধ দোকানীদের আড়াল করা হয়নি, বরং দেখানো হয়েছে কিভাবে কতটা মুনাফা করেন তাঁরা।

    সরকার যদি কমদামে ওষুধই বিক্রি করতে চায়, নিজেরাই করুক। এই ৩৫টা বড় হাসপাতালে তো বটেই, ছোট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও ডিস্পেন্সারী ঘর আছে, ফার্মাসিস্ট আছেন। ডাক্তারের অভাবে ফার্মাসিস্টরা রোগী দেখে ওষুধ দেন অনেক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অর্থাৎ সরকারের পরিকাঠামোর অভাব নেই। এতে করে ফেয়ার প্রাইস শপের চেয়ে অনেক কম দামে ওষুধ দেওয়া যাবে।

    সত্যি কথা বলতে গিয়ে যদি দালালের তকমা পেতে হয়,আপত্তি নেই।
  • pi | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ০৬:৩২77349
  • হাথী কমিটির সুপারিশ প্রসংগে, আলোচনার সুবিধার জন্য আগের একটা লেখা থেকে এই অংশটা রইলো ঃ "১৯৭৫-এ জয়শুকলাল হাথীর নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি প্রকাশিত রিপোর্টে বলে ১১৭টা মাত্র ওষুধ ভারতের জন্য অত্যাবশ্যক। কমিটি এই ওষুধগুলোর উৎপাদন নিশ্চিত করার সুপারিশ করে, ওষুধের ব্রান্ড নাম বা বাজারী নামের বদলে জেনেরিক নাম বা বৈজ্ঞানিক নাম ব্যবহারের সুপারিশ করে। যাতে জীবনদায়ী ও অত্যাবশ্যক ওষুধগুলো মানুষের আয়ত্বের মধ্যে থাকে তাই মূল্য-নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করা হয়। হাতি কমিটি চেয়েছিল পাব্লিক সেক্টর যেন ওষুধ উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা নেয়। দেশীয় ওষুধ-কোম্পানীগুলোর বিকাশের জন্য কিছু ওষুধ-উৎপাদন কেবল দেশীয় কোম্পানীগুলোর জন্য সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়। ওষুধ-শিল্পে বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর ভূমিকার নিন্দা করে কমিটি, ওষুধ-কোম্পানীগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগের মাত্রা তৎক্ষণাৎ কমিয়ে ৪০% করা এবং তারপর কমিয়ে ২৬% করার কথা বলা হয়, এমনকি বিদেশী ওষুধ-কোম্পানীগুলোর জাতীয়করণের পক্ষে ছিল হাতি কমিটি।" http://www.guruchandali.com/default/2012/10/21/1350757800000.html#.UUn63lejtQY
  • Sayak Ghosh Choudhury | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ০৯:২০77343
  • প্রথম কথা হোলো, পুরো পশ্চিম বঙ্গ জুরে "ন্যাজ্য মুল্যের ওসুধ বিপনি" হছে কতোগুলো? উত্তর, ৩২ । এ তো পুরো খুচরো তে বিদেশি বিনিয়োগ জাতীয় গল্প হয়ে গেলো। ৩২ বিপনি র জন্যে পুরো প্রকল্প ঘিরেই প্রশ্ন তুলে দেওয়া। প্রথমতঃ, সরকার নিজে ঐ ওসুধ বিক্রি করতে জাওয়ার পরমর্শ এখনে দেওয়া হছে। তাতে আবার একখানা বিশাল কর্মনিয়োগ এর গপ্পো ফেন্দে বসা হয়েছে। বেশি লোক নিয়োগ মানেই হোলো, ওসুধ গুলো র কম দামি আর না থাকা। এইসব করে পুরো প্রকল্প তাকেই ভেস্তে দেওয়া। সরকার এর কাজ ব্যব্সা চালানো নয়ে। অবশ্যই জদি এই বিপনি কে মানুষ কম দামে ওষুধ না পান, তাহলে তারা বাইরের দোকান থেকেই কিনবেন। সেই নিয়ে শোরগোল করার কি আছে?

    আমি দেখ্ছি, সিপিএম হথাত করে খুব চিন্তিত হয়ে উথেছে বহুজাতিক এর স্বার্থ রক্খায়ে । ব্রিন্দা কারাত আগেও বহু জাতিক এর দালালি করেছেন বাবা রামদেব এর ব্যপার এ।

    জাই হোক, বেশি কথা বারাতে চাই না। আমার পয়েন্ত গুলো ঃ

    ১। জদি বাইরে দাম কম হয়ে তাহলে কান্নাকাতির কিছু নেই। লোকে বাইরে থেকে কিনবে।
    ২। মাত্র ৩২ তা বিপনি। কাজেই অন্য ওষুধের দোকান বন্ধ হবে না।
    ৩। সরকার এর হাতে এত পয়্সা নেই জে বিপনি গোরে প্রতিপালন করবে।
    ৪। জদি কোন জায়্গায় পরিষেবা থিক ভাবে পাওয়া জাচ্ছে না সেই বিষয়ে আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু এই রকম বহুজতিক সন্স্থা র দালালি করে নয়।
  • pi | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ১২:১১77344
  • ২৪ ঘণ্টাতে আজ এই নিয়ে দেখিয়েছে।
    http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/fairprice-shops-fool-customers_12154.html
    অন্য আরেকটা কম্যুনিটিতে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই পোস্টগুলো এসেছে। কিছু রইলো।

    Arko Saha: Program ta bandho korar jjono ekdal dalal uthe pore legecche.....poisa diye netto korcche.... CPM ke samne rekhe Asudh babsayi posa dalal gulo karsiddhi korte chaicche ...kal ke ek piece ke Guruchandali te identify korecchhii.....CPM jodi Kuttachoda Dalal gulo r trap e pa day kicchu bolar nei.....

    bolte badhya hocchi TMC holo CPM er thekeo apodartho rajnoitik dal....era ekhono ei samostod dalal gulo ke sahor er buke jibito rekehecche ....buk fuliye ghure berate dicche..ei haramichoda osudh comapny o doakndar er dalal gulo r joono keno "bijon setu" ba "saibari' treatment deowa hobe na..... Elimination is the only option to cure the society from these motherfuckers......

    24 ghanta te je news ta hooche tar source tao dicchii.....http://www.guruchandali.com/default/2013/03/19/1363654396412.html#.UUhgUhxTCdl'"
  • pi | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ১২:২৫77345
  • "Ghnalunk Ghlipkriv: hmmmm . ghughu r basay haat porechhe . ebar mushkil holo Ghughu ke khonchano hochche gerosto ke shanti deoay jonnye naaki Payraa -ke jaayga deoar jonnye ?

    ashonka ta omulok noy . je deshe ekhono obdhi aain regulate kora gyalona jaate sobai generic name ullekh korte badhyo hoy prescription -e sekhane danriye hotat eirokom step keno ? paiye deora khela ta kothaay ? Lekhok to bolbo onek neeriho bhabe likhechen . osudh er market er iconomic flow line ta aaro joteel .

    ebar ami byaparta ke eibhabe eibhabe dekhchhi je ghughu r basa ta aage bhango . shuru ta hoyaa dorkar . swarthosiddhi r khela to rastrer dalal ra khelbei kintu joto khola moydan hobe Options toto barbe . Ke bolte paare je er porer step e emon kichhu uthe asbe na je byapar ta sotti better dike jabe ? kejei ekhetre ashabadi . je basay haat porechhe . ki swarthe porechhe seta bujheo wait & watch philosophy nichchi .
    16 hours ago · Unlike · 1

    Susmita Chakravarty porabe kokhon. eta to onyo somosya Rezaul. whats this have to do with letting patients know their options, in terms of alternatives within the genre?
    16 hours ago · Like

    Rezaul Karim Akta medical college a 8800major teaching program ache among SIO pray tar 20gun..365x4.5years total time..lesson planning kore poranor por karo hate ki time thake?? Ta TB konodin master chilen na, tini ki kore bujhben ki kore daktar toiri kora hoye..darbhaga i osab hoi na..darbhanga medical college r chatrer eta jana sambhab na..okhankar degree mci recognise kina Tao janina..
    16 hours ago via mobile · Like · 1
    Rezaul Karim Kara plan korche setay bolchi ..
    16 hours ago via mobile · Like
    Susmita Chakravarty kara korche?
    16 hours ago · Like
    Susmita Chakravarty Central Govt er age state govt kichu korle seta kharap?
    16 hours ago · Like
    Sayak Ghosh Choudhury "fair medicine shop" ta arekta hujug....Amir Khan er serial dekhe ai hujug ta esechhe....
    16 hours ago · Like
    Arunabha De Susmita di - State gorment ekta "Osudh Utsab" korte pare ........
    16 hours ago · Like · 1
    Susmita Chakravarty nah. lekhata pore oshudh utsob bole mone holo na.
    16 hours ago · Edited · Like
    Rezaul Karim Patients olpo poishay chikitsa pak . Kintu opo asudh khak eta chay na..amra jakhan chikitsar katha boli takhan chikutsya bibechona i rakhi. Rajniti kori ni..enre goru o noye j tarko korte giye gutiye debo..Ami motamot janachhi karon arka janate boleche..nahole rat jege esab orthohin alochonay samay nosto kortum na.. "
  • pi | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ১২:২৮77346
  • "Arka Saha: Kalke ekhane likhechilam rajnoitik o babsayik sartho niye Guruchandali r ei lekha .... Debarshi Das da o Ipsita Pal amar birodhita korechilo....ajke 24 Ghanta (CPM Owend Chanl) ekoi news samne rekhe fair price shop er biruddhe story kore janogon ke bibhranto korcche....Ref 24 ghanta Channel...asole debarshi da ra bhalo manus sikkhito sikkhok manus ....ei samosto peshadar dalal der sukkho dalali cokhe pore na o bojhe na bhabe sabai tader moto sot udesso niye kaj kore.cholecche......kintu amara cokh abar thik pore jay....jai hok ei program cholbe.....ei program jara poisa kheye bondho korte chay tader proti govt "rough ,tough and ruthless" .....roj je hazar hazar garib manus ei babostha r subidhe nicche koyek piece poisa khowa dalal er chestay seta bandho hobe na.....Public will teach them a lesson....
    7 hours ago · Edited · Like

    Debarshi Das প্রোগ্রাম চলা নিয়ে পুণ্যবাবু আপত্তি তোলেন নি। কয়েকটা জায়গায় গভীর সমস্যা আছে, সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
    6 hours ago · Like

    Arka Saha Debarshi Das da....lekha ta nipat sadasidhe uddesso niye lekha noy....24 ghata r stroy ta dekho...tale bujhbe...ei lekha ta anek plan ebong research work er fol....Punnya babu soja suji birodhita korle tomra lekha ta portei na even guru chapto na....ki...See More
    6 hours ago · Edited · Like · 1

    Arka Saha Punnya babu r lekhar target audience kintu parar cadre ba gorib mansu noy....ektu siikkhito concern manus tai anek marpaych korecchen......ei lkeha tar poroborti level mane mass level e niye gecche 24 ghanta....erpor Grossroot level e niye birodhi rajnoitk dal gulo(jodi eder trap e pa day).....etake management er bhasay bole 3 layer strategy....
  • SAPTARSHI CHATTERJEE | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৩ ১২:৫৩77347
  • I fully support this concept of Medicine Shop. But problem is that some people dont understand the profit of common man. one example I would like to share that in Kolkata brand "LCZ" (Levocetrizine 5 mg) is not available because its price is Rs 1.1 per tablet. Nearest price whatever I have bought is about Rs 4.5 per tablet. Anoter "Alday" used to cost below Rs 2 - widely available but doctors uses to prescribe Alarid (CIPLA - rs 4 per tablet) or Cetirizine (Glaxo rs 4 per tablet)- which are re-known brand and doctors prescribes re-known brands since none wants to lose any client just because of failure medicine came from less known brand.

    When WB Govt took this initiative there is ample scope of corruption as well as mistake or less efficiency.there would be definite scope of improvement and criticism. Guruchandali is a good emag but its nature as i see is to point out only criticism not praising anyone. Its good to read and rectify/improve yourself but cannot be base to judge some initiative like this.
  • টুপু | ***:*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ০৪:২২77350
  • গুন মশাই-এর প্রতিবেদন পড়ার আগেই 'এই সময়' সংবাদপত্রে এই নিয়ে ধারাবাহিক লেখা প্রকাশিত হয়েছিল।সেই লেখা বা সমস্ত প্রকল্পটা নিয়ে যদি ভাবনা চিন্তা করা যায় তাহলে খুব সহজেই বোঝা যায় এর দ্বারা মূল উদ্দেশ্য সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বা বেশ কম।এমন একটা দেশ বা রাজ্যে হতে চলেছে যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি । একটা 'ভালো' উদ্যোগের ফাক খুঁজে নিয়ে উদ্দেশ্য( ঋনাত্মক অর্থে) সাধন করার জন্য লোক বসে আছে।এত কিছু সত্বেও গুণ বাবুর 'সরকার কী করতে পারত' এর সঙ্গে একমত নই।অন্য কোনো কারণ নয় স্রেফ আমাদের সরকারের অপদার্থতার জন্য।যে সরকারই থাকুক না কেন , তাদের আরও দায়িত্ব দিয়ে সরকারি বাবুদের আরও দু'পয়সা কামানোর সুযোগ করে দিতে আমি ইচ্ছুক নই।

    যেটা করা যেতে পারত( সেটা নিয়ে আলোচনা ও হয়েছে) একেবারে প্রথম ক্ষেত্রেই আঘাত করা।ঔষধ কোম্পানিগুলোর উৎপাদন মূল্য ও অন্যান্য ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়ে মুনাফার অঙ্ক নির্ধারণ করে ঔষধের মূল্য নির্ধারণ। এক একটি উদাহরন দেখা যাচ্ছে যেখানে মুনাফার পরিমান ১০০০% বা তার ও বেশী।এই ক্ষেত্রেই আঘাত করা।এখানে আঘাত না করা গেলে লাভের লাভ হওয়া সমস্যার। খালি সস্তার ঔষধ ভালো এই নীতি নিয়ে চলতে গিয়ে গুণমান কে অস্বীকার করলে আবার ঘোর বিপদ।অবশ্য এই পোড়া দেশের জনগনের শরীর কে কেই বা মূল্য দেয়।একদিকে মুল্য অন্যদিকে গুনমান নির্ধারণ।

    এখানেও সমস্যা।সরকার বা নিয়ন্ত্রক মূল্য বা মুনাফা নির্ধারণ করে দিলে বাজার ছেড়ে দেবে? একদম না।তাহলে উপায়?
  • pi | ***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:৪১77351
  • গুণমান অস্বীকার করার কথা আসছে কেন ?
  • টুপু | ***:*** | ১২ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৫৪77352
  • সস্তা সস্তা করতে গিয়ে কম গুণমান'এর ঔষধ বেশী গুরুত্ব পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই?
  • পুণ্যব্রত গুণ | ***:*** | ১২ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:২২77353
  • ওষুধের দামের সঙ্গে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুণমানের কোন সম্পর্ক নেই। প্যারাসিটামলের ৫০০ মিগ্রা-র ট্যাবলেট এলবার্ট ডেভিড Parazine নামে বিক্রি করে একেকটা ১৫ পয়সা দামে,
    ফার্মা সিন্থ ফর্মুলেশন্স লিমিটেড Paranova নামে তা বিক্রি করে একেকটা ৫ টাকা ৯০ পয়সায়।
    এলবার্ট ডেভিড নামকরা কোম্পানী, ফার্মা সিন্থ ফর্মুলেশন্স সে তুলনায় নতুন অনামী কোম্পানী। গু্ণমানের ফারাক হওয়ার কোন কারণ নেই।
  • pi | ***:*** | ১২ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৫৩77354
  • পরের শুক্রবার, ১৯ শে এপ্রিল, মেডিকাল কলেজে এম সি ডি এস এ-র রিইউনিয়নে ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ নিয়ে বিতর্ক সভা আছে। আগ্রহীরা যেতে পারেন।
  • ranjan roy | ***:*** | ১২ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:২০77355
  • আজকে এই টই দেখলাম। এটা কি হচ্ছে? জনৈক অর্ক সাহা ডঃ গুণকে মা তুলে অশ্লীল গাল দেয়া ছাড়াও ফিজিক্যাল অ্যানিহিলেশনের ধমক দিচ্ছে। ডঃ গুণের সারা জীবন ধরে করা স্বাস্থ্য আন্দোলন সম্বন্ধে কিছু না জেনে আজ তাঁকে ওষুধ কোম্পানির ফয়সা -খাওয়া দালাল বলা হচ্ছে?
    এই হাস্যকর এবং নোংরা পোস্টকে ইগনোর না করে তীব্র প্রতিবাদ করছি।

    মতবিরোধ প্রকাশ মানেই অশ্লীল গাল দেয়া? সব কিছুর একটা সীমা আছে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন