গাঙ্গুলি বাড়ির বৌ হয়ে যেদিন প্রথম এসেছিল সৌদামিনী, শাশুড়িমা থুতনি ধরে চুমু খেয়ে বলেছিলেন, তোমার নামটা বাছা আমি একটু বদলে দেব। একে অতবড় নাম ধরে ডাকাও যায়না, তাছাড়া আর একটা সমস্যাও আছে। তোমার কোনও ডাক নাম নেই? সৌদামিনী বলল, হ্যাঁ আছে তো, মিনু। উনি বললেন, তাহলে আজ থেকে সবাই মিনু বলেই ডাকবে তোমায়। সবাই আর কে, বাড়িতে তো আর মোটে তিন জন, কত্তা, গিন্নী আর সৌদামিনীর বর মহাদেব। সৌদামিনী তবুও জিজ্ঞেস করল, সমস্যা কী একটা আছে বলছিলেন মা? গাঙ্গুলি গিন্নী বললেন, আসলে আমাদের বাড়িতে যে কাজের মেয়ে, তার নামও সৌদামিনী। অবশ্য তাকে আমরা সদু বলে ডাকি। এ নামটা তো আমার মায়ের আমলের, এই আধুনিক যুগেও এমন নামে দু-দুজন? যাক, সমস্যা আর থাকল না।
সদু মেয়েটা বেশ, চেহারাতেও খানিক শ্রী আছে, তাছাড়া খুব গপ্পি। যতনা বাসন মাজে, বকবক করে তার ঢের বেশি। গাঙ্গুলি গিন্নীকেই এতদিন তার বকবকানি শুনতে হত, এখন মিনুকে পেয়ে সিন্ধবাদের বোঝা তার কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে কেটে পড়লেন তিনি। কেটে পড়া মানে যে চিরতরে কেটে পড়া, তা কে জানত আগে। রাত দুপুরে চোয়ালে ব্যাথা শুরু হ’ল, তারপর শ্বাস কষ্ট। মহাদেব অনেক খুঁজেও পাড়ায় কোনও ডাক্তার পেলনা। ট্যাক্সি খুঁজতেই আধঘন্টা। কোনওমতে হাতে পায়ে ধরে একজনকে রাজি করিয়ে রওনা দিলে কী হবে, হাসপাতাল অবধি পৌঁছনোরও সময় দিলেন না তিনি, বাড়িতে চারটে মানুষ ছিল, এখন তিন।
মা মারা যেতে মহাদেবের চেয়ে বেশি কাঁদল সৌদামিনী, মানে, মিনু আর তার চেয়েও বেশি কাঁদল সৌদামিনী, মানে, সদু। মা বড় ভাল মানুষ ছিল গো, নিজের মায়ের মত দেখত আমায় গো, এখন আমার কী হবে গো – ইত্যাদি। শ্রাদ্ধের দিন সকাল থেকে রাত অবধি থাকল, খুব কাজ করল, মহাদেব কিছু টাকা দিতে গেলে সে এক হাত ঘোমটা টেনে দৌড়ে মিনুর কাছে এসে নালিশ জানাল, আমার মা মরেছে, আর তাই জন্যি খেটেছি বলে আমায় টাকা দিচ্ছ? তোমরা কেমন মানুষ গো ? মিনু বলল, আমি কি দিয়েছি নাকি, আমায় বলছিস কেন? কিন্তু দ্রব্য মূল্যের উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি এবং পারিপার্শ্বিক চাপ ক্রমশঃ বেড়েই চলে। একদিন সদু এসে মিনুর ঘরে পর্দা ধরে পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে ছবি আঁকতে লাগল, ও বৌদি, কুড়ি টাকা মাইনেয় আর চলছেনা গো, সামনের মাস থেকে পঁচিশ করে দাও। মিনু বলল, তা দাদাকে বলনা, আমায় বলছিস কেন? সদু বলল, দাদার সঙ্গে এসব কথা বলতে লজ্জা লাগে না, তুমি বলে দিও।
সৌদামিনী, অর্থাৎ সদু এবাড়ির বাঁধা কাজের লোক নয়, সে ঠিকে ঝি। ঠিকে ঝি রা সাধারণতঃ কোনও বাড়িতেই খুব বেশিদিন থাকেনা। ব্যতিক্রম যে কিছু দেখা যায়না তা নয়, তবে ব্যতিক্রম, ব্যতিক্রমই। এর একটা কারণ আছে, এবং সেটা খুব স্পষ্ট। সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে জিনিষের দাম বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে, যাতায়াতের খরচ বাড়ে, বাড়িভাড়া বাড়ে, অনেক কিছুই বাড়ে। এছাড়াও খরচ বাড়ে অন্যদিকে। এক সময়ে বিলাস ব্যসনের কিছু মাধ্যম, যেমন, ইলেকট্রিক পাখা, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, এগুলো শুধুমাত্র বাবুদের দখলে থাকত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নীচের দিকে গড়াতে শুরু করেছে এবং সে সব জিনিষ, হাত ফেরতা হলেও, আয়ত্ব করতে টাকার দরকার। সেই কারণেই ঠিকে ঝিদের মাস মাইনের চাহিদাও বেড়ে চলে অনবরত। এবার যে সব পুরোন বাড়িতে তারা কাজ করত, সেখানে কত আর মাইনে বাড়াতে বলা যায়। আর সে মাইনে বাড়লেও এক-দু বছর অন্তর অন্তর সামান্য কিছু বাড়ে। ওদিকে নতুন বাড়িতে কাজ নিলে, প্রথম থেকেই অনেক বেশি মাইনেতে নিয়োগ হয়। তখন পুরোন বাড়ির কাজ ছাড়তে বাধ্য হয় তারা। কতগুলো বাড়িতে আর একসঙ্গে কাজ করা যায় ? সৌদামিনী, অর্থাৎ সদু কিন্তু গাঙ্গুলিবাড়ির কাজ ছাড়েনি। খুব বেশি বাড়িতে কাজ করেও না সে।
গাঙ্গুলিবাড়িতে লোকসংখ্যা চার থেকে কমে তিন হয়ে গেছিল, আবার বেড়ে চার হয়ে গেল। শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন ফুটফুটে মেয়ে হ’ল সৌদামিনীর, মানে, মিনুর। মহাদেব মুগ্ধ হয়ে মেয়ের মুখ দেখতে দেখতে বলল, কী নাম রাখা যায় বলত? শ্রাবণী, না পূর্ণিমা ? মিনু বলল, ধুশ্ এ সব নাম আদ্দিকালের, মডার্ন নাম রাখতে হবে। মহাদেব বলল, কেন, নামদুটো খারাপ ? মিনু বলল, অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করতে হয়, জান? তোমার মেয়ের নাম যদি পূর্ণিমা রাখ, শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখবে কাজের লোকের নামও পূর্ণিমা। তখন নাম পাল্টে ডাকতে হবে। কী দরকার বাবা, এখনই একটু ভেবে চিন্তে এমন নাম বের কর, যেগুলো বস্তি ফস্তিতে পৌঁছতে সময় লাগবে। মেয়ের নাম হ’ল, দেবাদৃতা। মায়ের কিছু না পেলেও, বাপের নামের খানিকটা জুটল তার।
নতুন খেলনা পেয়ে সৌদামিনী, অর্থাৎ মিনুর চেয়ে সৌদামিনী, অর্থাৎ সদুর আহ্লাদ যেন বেশি। কোল থেকে নামাতেই চায়না। অন্যবাড়ির ঠিকে কাজ মাথায় উঠল, এবাড়িতেই পড়ে থাকে অনেকক্ষণ। মিনুও খানিক হাঁফ ছেড়ে বাঁচে, কারণ কোমরে একটা ব্যাথা মাঝে মাঝেই চাড়া দিচ্ছে বাচ্চাটা আসার পর। সদু একটু বেশি সময় থাকাতে সুবিধে তো খানিক হয়েইছে। একদিন সদু মেয়েটাকে তেল মাখাচ্ছে, মিনু খাটে শুয়েই জিজ্ঞেস করল, হ্যাঁরে, তোর বিয়ে তো আমার আগেই হয়েছে, বাচ্চা টাচ্চা নিবিনা? সদু বলল, সবার কপাল কি আর সমান বৌদি ? মিনু বলল, তার মানে? কপাল আবার কী, ডাক্তার দেখিয়েছিস? সদু বাচ্চাকে খাটে শুইয়ে বলল, ডাক্তার? ডাক্তার কি সবটাই করে দেবে? বলে দরজার দিকে হাঁটা দিল। মিনু বেশ খানিকক্ষণ সময় নিল কথাটা বুঝতে। তারপরও ভাবল, ঠিক বুঝলাম তো?
কোমরের ব্যথাটা বেড়েই চলে। এখন উঠে বসে কাজ করতে খুব অসুবিধে। বসলে ওঠা যায়না, উঠলে বসা যায়না, ভাতের ফ্যান গালতে জীবন বেরিয়ে যায়। সদু বলল, সরো সরো আমি গেলে দিচ্ছি ফ্যান। এমনি কি আর বলেছে? ক’দিন পরই পর্দা ধরে পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে অ্যাবসট্রাক্ট আর্ট – মিনু বলল, উঃ কীঃ, মাইনেঃ? সদু বলল, না না তোমার এখন ব্যাথা উঠেছে, তবে থাক। মিনু বলল, নাঃ, বলনাঃ, উঃ – সদু বলল, এই, মানে বলছিলাম, চল্লিশে আর চলছেনা, গোটা দশেক টাকা যদি – মিনু বলল, ওরে বাবারেঃ, তোঃর দাদাকেঃ বলনা – সদু বলল, দাদাকে বলতে আমার লজ্জা করে, তুমিই বোলো।
ব্যাথা এখন অসহ্য। বড় ডাক্তার দেখানো হয়েছে, তাঁরা বলেছেন, পেলভিক মিসঅ্যালাইনমেন্ট। চাইল্ডবার্থের পর এমন হতে পারে। প্রথম প্রথম ডাক্তার না দেখিয়ে ব্যাথা কমাবার অসুধ খেয়েছেন, না? এখন দেরী হয়ে গেছে। দেখছি, মালিশের লোক পাঠিয়ে দেব, দেখুন কতটা হয়। মহাদেব বলল, ফিজিওথেরাপিস্ট ? ডাক্তার বললেন, তা বলতে পারেন, তবে এদের আমরা বলি কাইরোপ্র্যাক্টর। এদের কাজ শিরদাঁড়ার ওপর। দেবাদৃতা এখন পাঁচ, ডাক নাম আদুরি। ইস্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরী করা, টিফিন গুছিয়ে দেয়া, সব সদু মাসিই করে। মেয়েটা বড় ভাল। মাইনে একটু বাড়িয়ে নিয়েছে বটে, তবে কাজ বেড়েছে অনেক।
আজ রবিবার। কাইরোপ্যাক না কী বলে ছাই, লোকটা এসে গেছে। মিনুর ভীষণ লজ্জা করে। বামুন বাড়ির বৌ, সায়ার দড়ি খুলে কোমরের তলায় নামিয়ে – ছিঃ। তবে ছেলেটা ভাল। যে শিরা গুলোর ওপর ওর কাজ, তার এক সেন্টিমিটার দূরে আঙুল যায়না। বলল, দিদি, এখন আগের চেয়ে ভাল ফীল করছেন না? একদম সেরে না গেলেও আপনাকে কাজ চালানোর মত করে দেব। একটু সময় লাগবে, এই যা। আচ্ছা, আপনি তো শোয়া, এখন রান্না বান্না কে করে, লোক রেখেছেন? মিনু বলে না ভাই, এই দেখনা, আমার চিকিৎসার খরচ সামলে, আমার মেয়ের পড়ার খরচ সামলে, আবার রান্নার লোক রাখার মত বড় চাকরি তো তোমার জামাইবাবু করেন না ভাই, ওই নিজেই রান্না বান্না চালিয়ে – কাইরো বলে, আর কেউ নেই আপনাদের? ননদ টনদ ? – নাঃ, আমরা তিন জনই। শ্বশুর মশায় ছিলেন, মারা গেলেন এই তিন বছর হ’ল। ছেলেটা বলে , তবে উনি কে? জামাইবাবুর সঙ্গে ওদিকের ঘরে ঢুকলেন? মিনুর পায়ের তলায় মাটি ছিলনা, সরবার প্রশ্ন নেই, তবে মাথা ঘুরতে লাগল, আজ তো রবিবার, বেলা তিনটের সময়ে পাশের ঘরে –
মিনু এখন উঠে বসতে পারে। কিছুটা রান্না বান্নাও করতে পারে। দেবাদৃতা ক্লাস নাইনে। মাস্টার রাখা যায়, তবে এখনো যা বিদ্যে, মিনু ওর পড়া দেখিয়ে দিতে পারে সায়ান্স সাবজেক্টগুলো ছাড়া। সেগুলোর জন্য বিমলদার কোচিং আছে। দেবাদৃতা কোচিংয়ে বেরোতেই পরদায় সদু, আবার বুড়ো আঙুল দিয়ে ছবি। ও বৌদি, কিছুটা না বাড়ালে – সৌদামিনী, অর্থাৎ মিনু, অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বলল, যে টাকা দেয়, তাকে বলগে যা। সদু বলে, তুমি বলনা, আমার লজ্- ঝট করে ঘুরল মিনু, তোর যে লজ্জা করে, এই কথাটা বলতে লজ্জা করলনা ? এখন তো মাইনে বাড়াতে বলবিই, যতদিন আশ মিটছিল, ততদিন কম টাকাতেও চলছিল, বল? বৌদি উঠে বসেছে, চলাফেরা করছে, খুব অসুবিধে, তাই নারে?
সদু সোজা হয়ে দাঁড়ায়। বয়স তো ভালই হ’ল, কিন্তু এখনো বাঁধুনি মজবুত। মুখ উঁচু করে কিন্তু গলা নামিয়ে বলে, দেখ বৌদি, যার যা দরকার। তেনারও কিছু দরকার, আমারও কিছু দরকার। অতবড় মানুষটা দরকার মেটাতে কি অলিগলিতে ঘুরবে? না আমিই খুঁজতে বেরোব পালের ষাঁড়। কাল থেকে আর আসতে হবেনা, তাইতো? মিনু অসহায়ের মত বলে, একথা তুই বলতে পারলি, সদু? ঠিক আছে, আমি আর কোনও কথা বলবনা। মেয়েটা বড় হচ্ছে। কখন কী হয়ে যায় – সদু বলে, কখনো কিছুই হবেনাকো। ও মেয়ে তো আমারও মেয়ে। তুমি আর কতটুকু করলে?
মেয়ের বিয়ে দেবার আগেই মহাদেব কৈলাশে। বংশের রোগ, খাবি খেল, বলল, তাড়াতাড়ি সরবিট্রেট – আলমারির সেকেন্ড তাকে – সরবিট্রেট অবধি যেতে দিলে তো। আদুরির বিয়ে দেয়া মিনুর পক্ষে মুশকিল ছিল। তবে কিনা মেয়ে দেখতেও যেমন সুন্দরী, পড়াশোনাতেও তেমনি। পিএইচডি টা করতে করতেই অংশুমানের সঙ্গে আলাপ। এখন ইলিনয় তে থাকে। প্রথম প্রথম ফোনে বলত, মা বোকার মত ইলিনয়েস বোলোনা তো, লোকে কী ভাববে? ‘এস’ টা উচ্চারণ হয়না। আমেরিকা থেকে টাকা আসত। বাজার হত, ইলেক্ট্রিকের বিল হ’ত, সদুর মাইনেও হত। মিনু মাঝে মাঝে ভাবে, এক বাড়িতে এক ঠিকে ঝি কতবছর একটানা কাজ করেছে, তার কোনও রেকর্ড হয়, গিনেস বুকে? কী সব খবর আসে, টোস্টারে ইলেক্ট্রিক শর্ট সার্কিট না কী বলছিল, শোনার আগেই হাত থেকে ফোন পড়ে গেল তো – সদু দৌড়ে এসে ধরে ফেলল, না হলে মিনু নিজেই পড়ে যেত। দেবাদৃতা নামটা কেন রাখতে গেলাম? দেবতাদের আদুরি হয়ে গেল আমার আদুরিটা -
মিনুর জ্বর এসেছে। কালও ভাত খায়নি। এর মধ্যেই কথাটা বলতে হবে? ঝি রা ঝি-ই, এরা মানুষ কোনওদিন হবেনা। বলে কিনা একশ টাকায় আর কাজ করা যায়না। আমার নিজের তো পেট চালাতে হবে, নাকি? বেশি বাড়িতে কাজও করিনা এখন, মোটে দুটো। বুড়িদের কেউ কাজ দেয়না। মিনু খিঁচিয়ে ওঠে, কী করে বলিস এসব কথা? কিছু তো নেই সংসারে। বাপের দেয়া গয়না গুলো ছিল, তাই একটা করে বেচছি, আর ছ’সাত মাস করে টানছি। তুই তো নিজেই যাস স্যাকরার কাছে আমার সঙ্গে। তাও কোনদিন চোর এসে নিয়ে গেলে উপোস করে মরব। আর মাইনে বাড়াতে পারবনা আমি। যাবার হয় চলে যা। সদু আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে সদর দরজা খুলে চলে গেল। মা মাগো – খুব জ্বর মা, মিনুর চোখের কোন দিয়ে শেষ দুটো জলের ফোঁটা গাল গড়িয়ে নেমে গেল। যাক আপদ গেল, আর জল নেই চোখে। কী করবি কর।
পরদিন মিনু স্বপ্ন দেখল, কলতলায় বাসন মাজার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। একটু হেসেও নিল জ্বরজ্বালার মধ্যেই। কত কালের অভ্যেস, সে যে নেই, তা ভাবতেই পারা যায়না। রান্নাঘরেও খুটখাট আওয়াজ, চোর এল নাকি? কাল তো মাগি দরজা খুলেই বেরিয়ে গেছে। ওঠারও ক্ষমতা নেই। এবার চোখেও ভুল দেখছি, বিছানার পাশে কমপ্ল্যানের গেলাস হাতে কে রে ওটা ? আঁচল খুলে চৌকো দুটো টুকরো বের করে সে – এই যে, দুটো ক্যালপল, দুটাকা –পারলে দিও, না পারলে থাক। দরজার দিকে যেতে যেতে বলে, বুড়িটা মরলে বাঁচি।
সৌদামিনী অর্থাৎ মিনু চিঁ চিঁ করে জিজ্ঞেস করে, কোন বুড়িটা রে? সৌদামিনী অর্থাৎ সদু উত্তর দেয়, দুটোর যে কোনও একটা।