এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সুচিত্রা সেন

    Abhishek Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ | ৭৯৪১ বার পঠিত
  • আমার সুচিত্রা সেনের অভিনয় জঘন্য লাগত। বেশ ন্যাকাই লাগত, ইন ফ্যাক্ট। আমি অনেককে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে উনি অভিনয় করতে পারেন না, আর প্রচুর গালাগালের সম্মুখীন হয়েছি। আজ এই পোস্টটা লিখে তো আরোই হব, কারণ সমাজের অলিখিত আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি সমালোচনার ঊর্ধ্বে।

    কথা বলার টোন তো অসহ্য ছিলই, কিন্তু সবথেকে বিরক্তিকর ছিল তাকানো - বহু, বহু ওপরে কোথাও। "তুমি আমাকে ভালবাসবে না, শহীদ মিনার?" জাতীয় ব্যাপার।

    কিন্তু তাহলে কীসের এত মাতামাতি? "ঐধরনের অভিনয়ই তো তখনকার দিনে চলত"টা অত্যন্ত বাজে অজুহাত। বলিউডে নূতন, টালিগঞ্জেও সাবিত্রী যথেষ্ট স্বাভাবিক, সাবলীল অভিনয় করতেন; কোনও বাড়াবাড়ি ছিল না, ন্যাকামির ছিটেফোঁটাও ছিল না, কৃত্রিমতার নামগন্ধও ছিল না। তাহলে সুচিত্রাই কেন?

    কারণটা হয়ত অনেকটাই উত্তমকুমার। হিট অভিনেতা তো ("অভিনেত্রী" বললে নারীবাদীরা চাবকে আমার চামড়া তুলে দেবে) বটেই, কিন্তু সুচিত্রা সেনের জনপ্রিয়তার আসল কারণটা হয়ত হিট জুটির অংশ বলেই; ঠিক যেমন রাজ কপূরের হাত ধরে নার্গিসের কেরিয়র উৎরে গেছিল, মানবসভ্যতার ইতিহাসে বৃহত্তম নাকের ফুটো থাকা সত্ত্বেও। মজার ব্যাপার, দুজনেরই সবথেকে বিখ্যাত পারফর্মেন্স অন্য নায়কের সঙ্গে ("সাত পাকে বাঁধা", "মাদার ইন্ডিয়া"), কিন্তু দুজনেরই আসল গ্ল্যামার জুটিতে।

    অবশ্যই সুচিত্রা ট্র্যাডিশনল অসম্ভব সুন্দরী ছিলেন, কিন্তু সুন্দরী নায়িকার, না না, অভিনেতার অভাব তো ভারতবর্ষে হয়নি কখনও। মধুবালা থেকে মাধুরী ছেড়েই দিলাম, শর্মিলা-অপর্ণা-মৌসুমীকে সুন্দরী ভাবার মত লোকের তো অভাব নেই বাংলায়।

    শোনা যায়, মৌসুমীকে একবার দেখে পাগল হয়ে রাজা (রাজু নন) মুখার্জির ক্রিকেট কেরিয়র শেষ হয়ে যায় (কেরিয়র রেকর্ড অবিশ্যি অন্য কথা বলছে); তিনি নাকি মৌসুমীর রূপে বিভোর হয়ে খেলায় মন দিতে পারতেন না।

    তাহলে ব্যাপারটা কী? কেরিয়রের শেষে বেমালুম বেপাত্তা হয়ে যাওয়া? নিজেকে ঘিরে একটা দুর্ভেদ্য রহস্যের খাসমহল সৃষ্টি করা, যা এত বছরে কেউ ভাঙতে পারেনি? এই রহস্যটাই কি তাহলে সুচিত্রা সেনকে ঘিরে এত মাতামাতির কারণ?

    একটু ভাবা যাক্‌। অপর্ণাও বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা (আবার "অভিনেত্রী" লিখতে যাচ্ছিলাম) এবং পরিচালক, কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অনেকটাই হাট করে খোলা সবার কাছে। তিনি কাকে বিয়ে করেছেন, কার কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল - এসব সবাই জানেটানে। তাই অপর্ণার উদাহরণটা বোধহয় ঠিক নয়।

    শর্মিলা? মাঝেমধ্যে শর্মিলা কিছু ফ্লপ সিনেমায় অভিনয় করেন ঠিকই, কিন্তু কেরিয়র মোটামুটি শেষ। সেলিব্রিটি অধিনায়কের স্ত্রী ছিলেন, মানছি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি অনায়াসে লুকিয়ে থাকতে পারতেন। চাননি। শর্মিলা আসেন, এমনকি বইমেলার খোলা স্টেজে এসে সত্যজিৎ নিয়ে আলোচনা করেন, আবার তাঁর "টাইগার"কে নিয়ে সাবলীল স্মৃতিচারণাও করেন।

    এটাই কি তাহলে সুচিত্রার জনপ্রিয়তার কারণ? আমাদের আগের প্রজন্মকে দেখেছি মাতামাতি করতে, বারবার বলতে "উত্তম-সুচিত্রার মত জুটি হল না" বা "সুচিত্রার মত সুন্দরী আর হল না"; দুটোই হয়ত সত্যি, তবে চট্‌ করে কাউকে "সুচিত্রার মত অভিনয় করতে আর কাউকে দেখলাম না"টা বলতে শুনিনি।

    এমনকি 'হারানো সুর'এর মত বিদ্‌ঘুটে, বোরিং সিনেমাও হামলে পড়ে দেখতে দেখেছি। কিন্তু তাঁদের উন্মাদনার একটা কারণ ছিল; তাঁরা সুচিত্রার সিনেমা রিলিজ হতে দেখেছেন, তাঁরা টিকিট কেটে একের পর এক ব্লকবাস্টার দিতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের আমলে টেলিভিশন ছিল না, অতএব সুচিত্রা সেনের দেখা মিলত একমাত্র স্ক্রিনেই (শুনেছি "উল্টোরথ" জাতীয় কিছু পত্রিকায় গসিপ্‌-টসিপ্‌ বেরোত); পর্দার নায়িকা স্বপ্নের জগতেই থেকে যেতেন।

    যেহেতু এই রহস্যের ব্যাপারটা থাকতে থাকতেই মহিলা সীন থেকে হাওয়া হয়ে গেছিলেন, তাই উন্মাদনা কমল না। রক্তমাংসের মানুষ নয়, সুচিত্রা নায়িকা হয়েই রয়ে গেলেন; অত্যন্ত সাধারণ মানের অভিনেত্রী, কিন্তু স্টারডম ব্যাপারটা সবার থেকে বেশি বুঝতেন।

    যেমন বুঝেছিলেন দিলীপকুমার, আর তাই কখনও ছোটপর্দায় আসেননি। সোফায় বসে চায়ের কাপ হাতে আড্ডা দিতে দিতে কেউ তাঁকে দেখবে, আর অপছন্দ হলেই চ্যানেল ঘুরিয়ে দেবেন, এই ব্যাপারটাই তাঁর না-পসন্দ্‌। তিনি দিলীপকুমার, একটা সময় গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন, এত সহজলভ্য হয়ে যাবেন?

    কিন্তু অমিতাভ বচ্চন? তিনি তো আরও বড় স্টার! ছোটপর্দার হাত ধরেই ফিরে এলেন বড়পর্দায়, আর আগের মতই রাজত্ব করে চলেছেন। সময়ের সঙ্গে, বয়সোপযোগী রোলে অভিনয় করলেন; অনায়াসে মেনে নিলেন যে তিনি আর মেগাস্টার নন। কবে গাছের সঙ্গে মাঙ্গলিক পুত্রবধূর বিয়ে দিচ্ছেন, কবে নাতনি হল, সবাই সব জানে, আর টুইটার আসার পর তো সব হাট!

    কিন্তু তিনি যে অমিতাভ! মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে বরাবর, কিন্তু যে পরিস্থিতিই আসুক, তিনি এত বড় অভিনেতা যে কোনও চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠেনি তাঁর কাছে। নায়ক হওয়ার বয়স চলে গেছে - এটা বুঝতে তাঁর সময় লেগেছে; কিন্তু একবার বুঝে ওঠার পর তিনি আবার দিব্যি নিজের সিংহাসনে বিরাজমান।

    সুচিত্রা সেনদের কাছে আসলে রহস্যটাই এক্স-ফ্যাক্টর। তিনি জানতেন, কেরিয়রের শিখরে থাকতে থাকতেই তাঁকে সরে যেতে হবে, একবার বয়সের ছাপ পড়লে ঘুরেও তাকাবে না কেউ। তাঁর অভিনয়ক্ষমতা সীমিত, অতএব গ্ল্যামর আর উত্তমকুমার চলে গেলে তাঁর দশাও দেব আনন্দের মতই হবে।

    আর এখানেই সুচিত্রার স্টারডমের রহস্য। তিনি চিরযৌবনা, চিরসুন্দরী হয়ে রয়ে গেলেন, আর সেভাবেই লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেই চলে গেলেন। অভিনয় ব্যাপারটা বিশেষ না বুঝলেও সেল্‌স্‌ রীতিমত বুঝতেন।

    "মহানায়িকা" কথাটা হয়ত ঠিক, কিন্তু তার আসল চাবিকাঠি হল তুখোড় ব্যবসাবুদ্ধি, যার ছিটেফোঁটাও টালিগঞ্জে কারুর হয়নি।

    আর তাই - তাইই হয়ত - তাঁকে কেউ টাচ্‌ করতে পারল না। এখন তো আরোই পারবে না।

    আর আই পি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ | ৭৯৪১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:০৬74099
  • ধুর আকা জানে না। রাজেন্দ্রকুমার খুব ভালো কাঁদতে পারতো। ঃ))
  • souvik | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৩৬74100
  • উত্তমকুমার কিন্তু স্টার imageএর বাইরে বেরিয়ে অন্য টাইপের রোল করেছেন।যদুবন্গ্শ,এখানে পিন্জর বা অপরিচিত,বাঘবন্দি খেলা এই সিনেমা গুলো তে অন্য রকম রোলে ও দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।কাজেই তাকে ম্যানারিসমের দাস বোধ্হয় বলা জায় না।
  • PM | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৫০74096
  • সু কে ধন্যবাদ। খুব ভালো লেখা প্রবুদ্ধবাবুর
  • sch | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:২৮74101
  • আচ্ছা তাহলে যা দাড়ালো সুচিত্রা সেন অভিনয় জানতেন না, দেখতেও সাদা মাটা ছিলেন - কিন্তু তাহলে ওনার জন্যে এত্ত ক্রেজ কেন??? কেনই বা সবাই ওনাকে কাস্টিং করতো সুপ্রিয়া বা মাধবীকে না করে। কারণ আম আদমী চাইতো। তারা চাইতো কেন? তারা সিনেমা বোঝে না, বিপ্লব বোঝে না,মূর্খের দল,। তা বেশ
  • PM | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:৩৭74102
  • উত্তম বাবুর যে সিনেমাগুলোর রেফারেন্স দিলেন সৌভিক, সব কটাতে তিনি বুড়ো হয়েছেন। কিন্তু সুচিত্রা সেন কোনোদিন পর্দায় বুড়ো হননি,উর্বসী-ই থেকে গেছেন। তাই ঐ রকম চরিত্রে অভিনয় করার চ্যালেন্জ নেবার সুযোগ হয়নি।

    তাছড়া আমার কাছে (ভুল হতে পারে) উত্তমবাবুর নায়ক পরবর্ত্তি ছবির অভিনয়ের সাথে আগের ছবি গুলোর অভিনয়ের পার্থক্য ভীষণ ভাবে চোখে পরে।
  • nina | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:১৮74103
  • প্রবুদ্ধর লেখা খুব ভাল লাগল।
  • কল্লোল | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:৫৯74097
  • প্রবুদ্ধর লেখাটা খুবই ভালো।
    শুধু একটা জায়গায় ভুল আছে ঃ
    "সাত পাকে বাঁধা নাকি মিসেস সেন উঠতি হিরোর সাথে করতে চাননি ় তাও ছবিতে গান নেই‚ রোম্যান্স নেই‚ প্রচুর ঝগড়া আছে ় কিন্তু সুচিত্রা এই ছবির ভিতরটা দেখতে পেয়েছিলেন ় সম্পর্ক ভাঙ্গার এরকম এক্সপেরিয়েন্স তো তাঁর নিজের জীবনে ছিলো না "
    এই অভিজ্ঞতা তাঁর যথেষ্টই ছিলো, গড়পড়তা বাঙ্গালী বিবাহিত মহিলার চাইতে অনেক বেশীই ছিলো।

    তবে একটা কথা মনে হয়েছে। এই যে পাব্লিক লাইফ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া, এটা একজন স্টারের পক্ষে খুব সহজ কাজ নয়। তবে এটাও ঠিক উনি সেটা অ্যাফোর্ড করতে পেরেছিলেন, যেটা মাধবী বা সাবিত্রী বা সুপ্রিয়া করতে পারেন নি, সম্ভবতঃ অর্থনৈতিক কারনে। এর মধ্যে ইমেজ ধরে রাখার তাগিদ অবশ্যই কাজ করেছে। তা দিয়ে ওনার বাজার বাড়ানো ইত্যাদি বেশ কষ্ট কল্পনা। উনি তো বাজারেই থাকলেন না।
  • Biplob Rahman | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৫৯74098
  • খুব নিস্নমানের লেখা।
  • souvik | ***:*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:২৮74107
  • সুচিত্রা সেন কে তার শেষের দিকের সিনেমা যেমন "দত্তা,আধি,প্রনয়্পাশা কি দেবী চৌধুরানি" এই রকম কতো গুলো তে বেশ বয়স্ক লেগেছে নায়িকা হিসাবে।উনি কখোনো চেস্টাই করেন নি different role করার আর এইখানেই উত্তম তাকে ছাড়িয়ে অনেক আগে এগিয়ে যান।
  • cm | ***:*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:৩৬74108
  • তা ঠিক ক মাইল এগিয়েছিলেন বলা যাবে?
  • souvik | ***:*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:৪৫74109
  • এই এতোটা

  • মুনমুন | ***:*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:১৩74104
  • মা, ওখানে ঠিকমতো চা বানিয়ে দিচ্ছে তো?
  • rama | ***:*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৪৬74105
  • েখ না আমাকে টাচ করছে
  • Mrs Sen | ***:*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:৪৯74106
  • একটা সাদা দাড়িওলা বুড়োমত লোক আমকে খুব টাছ করছে রে। আবার বলছে তার নাম ভগবান। বলছে-ভয় কি খুকী, আমি তোমার পিতামহ হই। প্রজাপতির নাম শোনোনি? এইসব বলছে। একটা গোমড়ামত নাকে চশমা লোক বইয়ের মধ্যে নাক গুঁজে বসে আছে-সে আবার আমাকে রমা বলে ডেকেছিল, ভ্যাঁ। আমিও তাকে খুব করে বকে দিয়েছি। বলেছি-চোপরাও, আমাকে মিসেস সেন বলে ডাকবেন। বজ্জাতি করলে তালুকদার ডেকে দাঁড় খাওয়াবো।
  • khilli | ***:*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৪৪74110
  • নিছক ব্যবসাবুদ্ধি অন্তরালে থাকার কারণ এটা ঠিক হজম হলো না । আমার ও খুব একটা ভালো লাগে না,ফ্যান নই ।কিন্তু ওনার গ্লামার ছিল ,ব্যক্তিত্ব ও ছিল । limelight থেকে বিখ্যাত রা সবাই তো নিজেকে সরিয়ে নিতে পারে না।
  • S S Ghosh | ***:*** | ২২ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:২১74111
  • একদম ঠিক - যদিও সবাই জানে কথা বলার টোন অসহ্য ছিল I কিছু লোক কথাটা কোনদিন মানবে না যে উনি খুব সুন্দরী ছিলেন কিন্তু কোনদিনই ভালো অভিনেত্রী ছিলেন না - লোকে সুন্দরী সুচিত্রা (ড্রিম গার্ল) কে দেখতে যেত I ।ইমেজ কনশাস ছিলেন তাই লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে চিরযৌবনা রয়ে গেলেন - তবে ব্যবসা করেছিলেন বলে মনে হয় না। মৃত্যুদিনে অতি গদগদ ভাব না দেখিয়ে সমালোচনা করা ভদ্রতার পরিপন্থী এটা একেবারেই মনে হয় না । বরং উল্টোটাই অনেক বেশি অসৎI অসাধারণ লিখেছেন - "সবথেকে বিরক্তিকর ছিল তাকানো - বহু, বহু ওপরে কোথাও - তুমি আমাকে ভালবাসবে না, শহীদ মিনার? জাতীয় ব্যাপার"।
  • Nilanjana Ghosh | ***:*** | ২৫ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:২৩74112
  • আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এটুকু বলতে পারি জ সুচিত্রা সেন অভিনয় টা খারাপ যত না করত তার থেকে ক্যামেরা র রেকর্ডিং পদ্ধতি তখনকার খুবই খারাপ হওয়ার জন্য দৃষ্টিকটু লাগত।এখনকার অতি উন্নত ডিজিটাল রেকর্ডিং ও ক্যামেরা র কারিকুরি যদি ওনার সময়েও থাকত তাহলে অনেক ভুল ত্রুটি ও উতরে যেত।র সবচেয়ে বড় কথা উনি লিজেন্ড ছিলেন।ওনার সমালোচনা করার মত সাহস বা icha কোনোটাই আমার নেই বিশেষ করে উনি যখন চিরতরে বিদায় নিয়েছেন ।তাই আজ কারো অবর্তমানে তাকে নিয়ে না হয় নাই বা কাদা chorachuri কোরলাম ।একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে glamour এর জগত থেকে সরিয়ে নেওয়ার সাহসিকতা টা দেখানোর সাহস কতজন ভারতীয় শিল্পী পারেন?তিনি তো নিজেকে সরিয়ে নিয়ে চার দেওয়ালের ভিতর নিজের জগতে ছিলেন তবে কান এত somalochona থাকনা তিনি চির শান্তিতে ।
  • Asit Kumar De | ***:*** | ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:৪২74113
  • সুচিত্রা সেন সম্বন্ধে অভিজিত-বাবুর লেখাটি পাঠ কোরে খুব মর্মাহত হলাম। অভিনেতার অভিনয়ের সমালোচোনা হোতেই পারে কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কাটা ছেরা করাটা শুধু ভুল নয় এক প্রকার অন্যায় ও বটে। ওনার অগুন্তি অনুরাগি বর্তমানে শোকহত। এই সময়ে অভিজিত-বাবুর এরুপ মন্তব্ব্য বিরক্তিকর ও অপাঠ্য।
  • রোবু | ***:*** | ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:০১74114
  • মন্তব্ব্য বিরক্তিকর ও অপাঠ্য হতেই পারে। কিন্তু 'ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কাটা ছেরা' কোথায় হলো বুঝতে পারিনি।
  • সে | ***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৩৪74119
  • অন্য টইয়ে দিয়েছি। "পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে" তে।
  • Adwitee Roy | ***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:০৭74115
  • খুব ঠিক লেখা। এক্কেবারে একমত!
  • $$ | ***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:২৫74116
  • এই সময় এর সুচিত্রার উপরে করা রবিবারোয়ারি টা পড়া যেতে পারে। অভিনয় স্টারডম সিনেমাটিক সেন্স নিয়ে অনেক কথা আছে, সিরিয়াস লোকজনের গোমড়ামুখো লেখা। হিউমারের মজাটা অবশ্য থাকবে না এই পোস্টের মতো।
  • সে | ***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:১৬74117
  • সুচিত্রা সেনকে নিয়ে একটা সত্যিকারের অভিজ্ঞতার গল্প আছে।
  • PM | ***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:১৮74118
  • মোলো যা, কবে বলবেন সে?
  • a b | ***:*** | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:০০74120
  • বাপ্রে ! চারিদিকে যা শ্র দ্ধা ,প্র ণাম আর 'ফিরে দেখা'র গুতো ; এট্টু নিশ্বাস নিলাম ! ঃ
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন