এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ডিটেক্‌টিভ বেওমকেশ বাকশি! (স্পয়লর আছে)

    Abhishek Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ | ৩০১৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বেওমকেশ বাকশির সহিত আমার প্রথম পরিচয় হইয়াছিল বোধকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমনরূমে।

    পয়সার আমার টানাটানি থাকার কথা ছিল না, কিন্তু পিতৃদেব যে শুধু দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করিলেন তাহাই নহে, উপরন্তু চাকরি হইতে বিতাড়িত হইলেন। তিনি ঠিক কী করিতেন জানা নাই, কিন্তু শুনিয়াছি আফিম-কোকেন জাতীয় নিষিদ্ধ বস্তু লইয়া নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা করিতেন।

    স্থির করিয়াছিলাম, কৌমার্যব্রত অবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন অতিবাহিত করিব, কিন্তু সে গুড়ে বালুকাকণা। পিতৃদেব একদিন বেবাক নিরুদ্দেশ হইলেন।

    কিন্তু ও কথা যাক্‌। এই কাহিনী বেওমকেশের। বেওমকেশ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। শুনিয়াছিলাম সে অতিশয় বুদ্ধিমান্‌। কীভাবে, কেন এই সুনাম তাহার জুটিয়াছিল, ইতিহাস তাহা মনে রাখে নাই। কিন্তু জানিতাম, সে বুদ্ধিমান্‌, তাই আচমকা তাহার শরণাপন্ন হইলাম।

    বেওমকেশ মহা খলিফা ছেলে। সে কোনওরূপ সহানুভূতিজ্ঞাপক কথা তো কহিলই না, উপরন্তু বুঝাইতে বসিল পিতৃদেব কীভাবে নিরুদ্দিষ্ট হইয়া থাকিতে পারেন। আমি বরাবরের রগচটা, যুক্তির ধার ধারি না, ধাঁই করিয়া মুষ্ট্যাঘাত করিলাম।

    ব্যাস্‌, অমনি বেওমকেশ কফিহাউসে গিয়া চা আর আলুভাজা খাইতে বসিয়া গেল। তাহার পর কোনওরূপ ভণিতা ছাড়াই একদিন বেওমকেশ আর আমার বাক্যালাপের পুনরায় সূচনা ঘটিল।

    বেওমকেশের জীবনে ইতিপূর্বে লীলার রূপ ধারণ করিয়া মদনদেব আবির্ভূত হইয়াছিলেন, কিন্তু মদনদেবের লীলা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নহে। লীলা বেওমকেশকে পত্রপাঠ লেঙ্গি মারিয়া কোন্‌ এক গোল্ড মেডালিস্টকে বিবাহ করিল।

    সেই শুরু। তাহার পর হইতে বেওমকেশ জেমস বন্ডের ভাষায় কথা বলে। আমাকে সে নাম বলিল, “বাকশি। বেওমকেশ বাকশি।”

    চমৎকৃত হইলাম। সন ১৯৪৩। সিনেমা দূর অস্ত, ফ্লেমিংসাহেব বন্ডকাহিনী লিপিবদ্ধ করিতেও শুরু করেন নাই। কলিকাতা শহরে নাম বলিবার এইরূপ পদ্ধতি অভূতপূর্ব। আমিও বলিলাম, “ব্যান্ডো। আজিট্‌ ব্যান্ডো।”

    অবিলম্বে মিত্রতার সূচনা হইল। যাহাকে ইংরেজিতে বলে বন্ড।

    ***

    বেওমকেশ অবিলম্বে এক মেসে গিয়া উপস্থিত হইল। মেসের মালিক এবং ম্যানেজার অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। বেওমকেশ পুনরায় নাম বলিল, “বাকশি। বেওমকেশ বাকশি।”

    জনৈক ব্যক্তির পায়ে সম্ভবতঃ গুলি লাগিয়াছিল, ম্যানেজারসাহেব ‘এমন-তো-হইয়াই-থাকে’ গোছের মুখ করিয়া বলিলেন, “গুহা। আনুকুল গুহা।” বেওমকেশ পত্রপাঠ মেস-গুহায় প্রবেশ করিল।

    গুহামানব মেসের অন্যান্য বাসিন্দাদের সহিত আলাপ করাইয়া দিলেন। বেওমকেশের পাশে এক চীনেম্যান, তাহার নাম কানাই। নির্ঘাত লুকাইয়া আরশোলা খায়।

    আমার পাশের ভদ্রলোকের নাম প্রফুল্ল রায়, বীমা কোম্পানির এজেন্ট। আমি স্তম্ভিত হইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “সে কী, আপনার তো গ্রামোফোন-পিন ঘটনার আগে আসার কথা নয়!”

    প্রফুল্ল রায় হাসিল। এক একজন লোক আছে, তাহাদের মুখ দেখিতে বেশ সুশ্রী, কিন্তু হাসিলেই মুখের চেহারা বদলাইয়া যায়। দেখিলাম, প্রফুল্ল রায়েরও তাহাই হইল। জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি কি অতিরিক্ত পান খান?”

    প্রফুল্ল রায় ফিসফিস করিয়া বলিল, “খাই, তবে ব্যোমকেশের গল্পে।”

    “অর্থাৎ?”

    “অর্থাৎ, বুঝ লোক জান যে সন্ধান।”

    বুঝিলাম। যেখানে প্রফুল্ল রায় সেখানেই পান। ব্যোমকেশের কাহিনীতে সে পান খাইত। বেওমকেশের কাহিনীতেও পানের মুখ্য ভূমিকা অবশ্যম্ভাবী।

    পরিস্থিতি অনুকূল দেখিয়া গুহাবাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “এত যে খাওয়াইতেছেন, এ তো ১৯৪৩ সন! মন্বন্তর না? চাল বাড়ন্ত, কলকাতার চাল আসছে বর্মা থেকে, দাম আকাশছোঁয়া, রাস্তাঘাটে মানুষ সামান্য ফ্যানের জন্য হাহাকার করছে...”

    গুহাবাবু স্মিত হাসিলেন। “এই তো হেঁটে এলেন, একটাও বুভুক্ষু মানুষ দেখতে পেলেন? ওসব ইতিহাসে হয়েছিল। বেওমকেশের গল্পের ব্যাপারই আলাদা।”

    মানিতে বাধ্য হইলাম। ভৃত্য আরেক দফা ভাত দিয়া গেল। লক্ষ্য করিলাম, সে অতিশয় ক্ষীণজীবী, হাত ঠকঠক করিয়া কাঁপিতেছে।

    নাম জিজ্ঞাসা করিলাম। পুঁটিরাম। তাহার ঐ এক অসুখ, হাত স্থির হয় না।

    ***

    পরদিন সকালে বেওমকেশ গঙ্গার ধারে আসিয়াছিল, জনৈকা মহিলা কস্ট্যুম পরিয়া গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন। আমি বলিতে গেলাম, ১৯৪৩, গঙ্গায় মড়া ভাসিতেছে... কিন্তু দেখিলাম, তাহার চিহ্নমাত্র নাই।

    ভাবিলাম, বেওমকেশের কাহিনীতে সবই সম্ভব। জিজ্ঞাসা করিলাম, “বেওমকেশ? ইনি কে? ইনি কি গুপ্তচর?”

    বেওমকেশ হাসিল। “নাঃ। মনে হয় ইনি মাতাহারি হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হয়ে উঠতে পারেন নি। এঁর নাম আঙুরীদেবী, ইনি অভিনেত্রী।”

    “আঙুরীদেবী?”

    “আঙুর শুনেছ তো?১৯৪৩ মানে টালিগঞ্জের আদিযুগ। ইনি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। মনে করে দেখো, ইনি কদলীবালা নামেও অভিনয় করেছেন।”

    “কিন্তু বেওমকেশ... স্বস্তিকা... আঙুর...”

    “তুমি একটা ইয়ে। এখন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে? নাৎসীদের চিহ্ন কী?”

    মুহূর্তমধ্যে দিব্যদৃষ্টি লাভ করিলাম।

    আঙুরীদেবী অতিশয় লাস্যময়ী মহিলা। ইতিমধ্যে সত্যবতীর আবির্ভাব ঘটিয়াছে। সত্যবতী সেলাই করে এরূপ প্রমাণ পাই নাই, কাজে থিম্বল-সংক্রান্ত জটিলতা নাই। মেডিকাল বইয়ের লাল পেন্সিলের দাগের প্রশ্নই ওঠে না, কারণ সুকুমার এখানে স্বাধীনতা-সংগ্রামী।

    আঙুরীদেবী জিজ্ঞাসা করিলেন, “বেওমকেশবাবু, আপনি কি ব্যক্তিগত প্রপার্টিতে ঢুকে থাকেন?”

    বেওমকেশ অদম্য। “কোথাও তো লেখা ছিল না যে প্রপার্টি আপনার ব্যক্তিগত।”

    আঙুরীদেবী হাসিয়া উঠিলেন। “আপনার বেডরূমের বাইরেও তো লেখা থাকে না যে ব্যক্তিগত, আমি কি ঢুকি?”

    অকাট্য যুক্তি। অবিলম্বে প্রস্থান করিলাম।

    ***

    আঙুরীদেবী বাথটবে শুইয়া ছিলেন। আকণ্ঠ সাবানের ফেনা, তাহার উপরে দুগ্ধফেননিভ মসৃণ ত্বক। বোম্বাইয়ের ভবিষ্যৎ নায়িকাকুল লাক্স মাখিয়া এইরূপ স্নান করিয়া বিখ্যাত হইবেন। অপরূপ সে লাক্সারি।

    বেওমকেশ প্রবেশ করিয়া মূঢ়বৎ দাঁড়াইয়া রহিল, অতঃপর চক্ষু নামাইয়া নিল। আঙুরীদেবী বলিলেন, “নারীর জীবনে স্নানের থেকেও ব্যক্তিগত কী, জানেন?”

    বেওমকেশ জীবনে এইরূপ প্রশ্নের সম্মুখীন হয় নাই, নির্বাক চক্ষে আঙুরীদেবীর নিরাবরণ কণ্ঠদেশ পর্যবেক্ষণ করিতে লাগিল।

    “ব্যাগ। আপনি আমার ব্যাগ ঘেঁটেছেন, এরপর স্নানের সময় আপনি থাকুন-না থাকুন, আমার কিছু যায় আসে না।”

    এহেন যুক্তির বেড়াজালে পরাজিত হইয়া বেওমকেশ পত্রপাঠ প্রস্থান করিল।

    ***

    ইতিমধ্যে নানাবিধ ঘটনা ঘটিতেছিল। গুহাবাবু ও বেওমকেশ কারখানার তালা ভাঙিতে গিয়া বিহারী দরোয়ানের হাতে ধরা পড়িলেন। বেওমকেশ গুহাবাবুকে বলিল ইংরেজি বলিতে, তিনিও প্যারী সরকারের ফার্স্টবুক ভুলিয়া “মেরি হ্যাড্‌ আ লিট্‌ল্‌ ল্যাম্‌” আবৃত্তি করিতে লাগিলেন।

    কারখানায় পিতৃদেবের মৃতদেহ আবিষ্কার হইল; তাহার পর মানুষ টপাটপ্‌ খুন হইতে লাগিল। ওয়াটানাবে নামক জাপানী দন্তচিকিৎসকের চেম্বার গিয়া শুনিলাম মধ্যাহ্নভোজনের পর তাঁহার চিকিৎসায় রুচি থাকে না; তখন তিনি জাপানী ভাষার ক্লাস নেন।

    শুনিয়াছিলাম পুরাতন কলিকাতার অধিকাংশ দন্তচিকিৎসক চীনদেশোৎপন্ন ছিলেন। জাপানদেশীয় ভদ্রলোকের এইরূপ দ্বিবিধ কার্যকলাপ শুনিয়া বিস্মিত হইলাম। ভক্তি আরও বাড়িয়া গেল, যখন ওয়াটানাবে বেওমকেশের উপর ক্যারাটের প্যাঁচ কষাইলেন।

    ফিরিয়া আসিয়া বেওমকেশ কহিল, “আই অ্যাম আ মোরন।”

    ১৯৪৩এর কলিকাতায় এইরূপ ভাষা শুনিতে আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। “বেওমকেশ, মোরন মানে কী?”

    “মোরন মানে জানো না? মোরনদশা!”

    মোরন ইত্যাদি বলিয়া বেওমকেশের বায়ু কুপিত হইল, পেটের রোগ দেখা দিল। সত্যবতী মেসে উপস্থিত হইল, কিন্তু তাহা নিতান্তই সমাপতন। সে আসিয়াই বেওমকেশের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করিতে ব্যগ্র হইয়া উঠিল, আর বেওমকেশকে বলিল, সুকুমারকে বাঁচাইতে পারিলে বেওমকেশ যাহা চাহিবে, সে তাহাই দিবে।

    সত্যবতী যাইবার পর বেওমকেশকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ঘর অন্ধকার করে রেখেছিলে কেন?”

    “একে নোয়ার এফেক্ট বলে। তুমি বুঝবে না। এখানে দরকার ছিল না, কিন্তু তাও এটা দেওয়াটা স্টাইল।”

    অগত্যা চুপ করিলাম। সেই রাত্রে বেওমকেশ হেরোইন খাইয়া চুন-খয়ের দিয়া দেওয়ালে শিল্পকর্ম সম্পন্ন করিল। পরদিন সে এক কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে উপস্থিত হইয়া লীলার স্বামীর সন্ধান করিল। ভাবিলাম বেওমকেশ তাহাকে উত্তমমধ্যম দিবে, কিন্তু সে রক্তপরীক্ষা করাইয়া প্রস্থান করিল।

    শীঘ্রই বেওমকেশ আক্রান্ত হইল। আমি সকলকে উত্তমমধ্যম দিলাম (আজিট ব্যান্ডো অত্যন্ত বলবান্‌ ব্যক্তি), কিন্তু জানিতে পারিলাম এই ঘটনার হোতা স্বয়ং ডেপুটি কমিশনার উইল্কি। যাবতীয় পরিশ্রম জলে যাইল, লাভের মধ্যে জানিতে পারিলাম আমাদের মেসের চীনেম্যান স্বয়ং পুলিশ কর্মচারী।

    ***

    অতঃপর শেষ দৃশ্য। বেওমকেশ কাহিনী বলিল সকলকে। গুহাবাবু হাসিতে লাগিলেন। ভাবিলাম, তাহার হাঁপানির টান উঠিয়াছে, কিন্তু এ সত্যই হাসি।

    গুহাবাবু এক হেরোইন পাচারকারী; জাপানীদের সঙ্গে হাত মিলাইয়া তিনি কলিকাতা দখল করিতে চান। এই মন্বন্তরের বাজারে কলিকাতা দখল করিলে জাপানীদের আদৌ লাভ হইবে কিনা তাহা ভাবিতে বসিলাম, কিন্তু উপলব্ধি করিলাম বেওমকেশের কাহিনীতে অন্নাভাব হয় না।

    জানিতে পারিলাম আঙুরীদেবীর প্রকৃত নাম ইয়াসমিন; তিনি একজন গুপ্তচর (মাতাহারি হইবার শখ ছিল কিনা তাহা অজানাই রহিয়া গেল) এবং গুহাবাবুর প্রেমিকা। রেঙ্গুনে তাঁহাদের প্রেমের সূচনা ঘটিয়াছিল। গুহাবাবুর প্রকৃত নাম ইয়ুং গন। রেঙ্গুনের নাম যে পরবর্তীকালে ইয়ঙ্গন হয়, তাহা সম্ভতঃ ইয়ুং গনের নামেই।

    ইয়াসমিন গুলি চালাইল, কিন্তু ইয়ুং গন অজর অমর অদাহ্য। তিনি শুধু যে অক্ষত রহিলেন তাহাই নহে, ছুরিকাঘাতে প্রেমিকাকে হত্যা করিলেন। অতঃপর সাইরেন বাজিতে লাগিল ও দুর্ধর্ষ অন্ধ চৈনিক দস্যু দলবল লইয়া আসিয়া পড়িল ও ইয়ুন গংকে লইয়া প্রস্থান করিল।

    পরদিন প্রভাত। বসন্ত পঞ্চমী। আমি বাগ্‌দেবীর পূজারী, কিন্তু সরস্বতী পূজার ব্যাপারে আমার বিশেষ আগ্রহ নাই। পুঁটিরামকে চা করিতে বলিলাম, আর মুগ্ধদৃষ্টিতে দেখিলাম, সুকুমারের প্রাণরক্ষার বিনিময়ে বেওমকেশ সত্যবতীকে বিবাহ করিতে চায়।

    দুর্ধর্ষ চৈনিক দস্যুদের হত্যা করিয়া অন্যত্র ইয়ুন গং বেওমকেশের উপর প্রতিশোধ লইতে বদ্ধপরিকর হইলেন। বেওমকেশ তাহা জানিতেও পারিল না।

    যেমন আমি জানিতে পারিলাম না, বেওমকেশ কেন জানিতে চাহিয়াছিল, আমি তাহার অপেক্ষা জ্যেষ্ঠ না কনিষ্ঠ। “অর্থমনর্থম্‌”এ একটা ব্যাখ্যা ছিল বটে, কিন্তু বেওমকেশ তাহার ধার ধারে নাই।

    ***

    উড়ন্ত বেওমকেশের দুরন্ত ছায়াছবির এখানেই পরিসমাপ্তি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ | ৩০১৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বেলুর - %%
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • anandaB | unkwn.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩৭66206
  • যাকে বলে দুর্ধর্ষ, এই রিভিউ পড়ার পর সিনেমাটা দেখার আর জাস্ট কোনো মানেই হয় না, রিভিউ টা অনেক ভালো সেটা সিনেমা না দেখেই বলে দেওয়া যায়
  • Tirthang | unkwn.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৩৪66207
  • আউটস্ট্যান্ডিং। অনবদ্য। অভিষেককে সেলাম। রিলিজ করার দিনই সিনেমাটা দেখার পরে অবিকল এক অনুভূতি হয়েছিল, সাথে লেখার অদম্য ইচ্ছাও - কিন্তু এমন নিঁখুত ও প্রাঞ্জলভাবে অভিব্যক্তিগুলো কিছুতেই প্রকাশ ক'রে উঠতে পারতুম না। পরিচালক ও প্রযোজক শরদিন্দুবাবুর ঋণ স্বীকার করলেও চিত্রনাট্যে ঘনাদা ও গোয়েন্দা দীপক চ্যাটার্জীর (স্বপনকুমার) অবদান কোথাও উল্লেখ করেননি দেখে যুগপৎ দুঃখিত ও আশ্চর্য হয়েছি।
  • Tirthang | unkwn.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৫৫66208
  • রিভিউটা এই নিয়ে তিনবার পড়লাম আর প্রত্যেকবারই আগের থেকে বেশি হাসি পেল। তাই আবার লিখে গেলামঃ এমন স্যাটায়ার ইদানিং আর পড়ি নি। জাস্ট অসামান্য।
  • ranjan roy | unkwn.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:০৬66209
  • ভাগ্যিস অভিষেকের রিভ্যুটা পড়া হল। নইলে রিটায়ারমেন্টের গাঁটের কড়ি নষ্ট হত।
  • Abhyu | unkwn.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫০66210
  • দুর্দান্ত। দুর্ধর্ষ।
    তীর্থদা আবার গুরু করছে এটাও খাসাখবর। ভাটে এসো না?
  • byaang | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪০66211
  • অভিষেকের রিভিউটা ফাটাফাটি টু দা পাওয়ার ইনফিনিটি হয়েছে। দিবাকর ব্যানার্জীকে পড়াতে ইচ্ছে করছে।
  • | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫২66212
  • চমৎকারঃ)))
    শজারুর কাঁটা নিয়েও একটা রিভিউ লেখার দাবী রইলো।
  • I | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩১66213
  • ফাটাফাটি! হায় হায়, ফিল্মটা দেখি নি !
  • aka | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪৫66220
  • খাসা রিভিউ, সিনেমাটা দেখতেই হচ্ছে। ঃ)
  • | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩০66221
  • দারুণ।

    হ্যালো হ্যালো মাইক টেস্টিং ..... ২ ও ৩ নং মন্তব্যের মালিককে ভাটিয়া৯তে ডাকা হচ্ছে। ভাটে একটু কীবোর্ডের ধুলো দেবেন স্যার।
  • একক | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৫১66222
  • অভিষেক আবার একটা চরম নোংরা পিস নাবিয়েচে :D :D :D
  • ঋজু গাঙ্গুলি | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৫১66214
  • অনবদ্য রিভিউ। বাজারি "আহা-উঁহু" এবং ফেসবুকে কিছু অতিবিপ্লবীর কড়াপাক আস্ফালন দেখে সিনেমাটা দেখার বাসনা জাগলেও সেই ধুনকিটা কেটে গেল এই লেখা পড়ে। থ্যাংকু।
  • T | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৫৫66223
  • খিকজ...কাল দেকেছি...মানে লাস্ট আধঘন্টা আর দেখিনি...রিভিউটা অসা হইয়াছে...
  • Tim | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:১৫66215
  • এটা গোলা হয়েছে, ভেবেছিলাম সিনেমাটা দেখে নিয়ে পড়বো, তবু পড়েই ফেল্লাম। ঃ-)
  • s | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:২৮66216
  • ব্যাপক ঃ-)
    ব্যোমকেশ নিয়ে যেই সিনেমা করতে গেছে সেই ছড়িয়ে লাট করেছে, সেই লিস্টিটে রায়মশাই, চাটুজ্জ্যেবাবু, দত্তদা, ঘোষবাবু, বাঁড়ুজ্জ্যেবাবু সব আছে।
  • lcm | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩৯66217
  • হা হা!
    সিনেমাটা দেখতে হচ্ছে
  • Nina | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:০৪66224
  • এক ঘর উইথ দক্ষিণ্দিক খোলাঃ-)))
  • san | unkwn.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১১:৫০66218
  • ভয়ে সিনেমাটা দেখার আগে পড়ছিলাম না :-D দুর্দান্ত হয়েছে !
    তবে সিনেমাটা না দেখলে একটা দারুণ কান্ড ( কান্ডই বটে) মিস করতাম ।
  • সিকি | unkwn.***.*** | ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৬66225
  • :-)))
  • anandaB | unkwn.***.*** | ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:২৭66226
  • আমার একটাই আশংকা, দিবাকর বাবু না আবার এটার সীকযেল বানিয়ে ফেলেন কয়েক বছর বাদে, সেখানে হয়ত চোরাবালির জমিদার কে দিয়ে মেঘরাজ-কে খুন করিয়ে দেবেন, মেদিনীর সাথে ইয়ে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে

    imdb -এর রেটিং দেখলাম ৮ দশমিক তিন - কারা যে এসব রেট্ করে ভগাই জানে
  • শঙ্খ | unkwn.***.*** | ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৩৫66227
  • ফাটাফাটি অভিষেক!! অবিশ্যি অভিষেকের লেখা বরাবরই ভালো লাগে।
  • মৌ | unkwn.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১০66228
  • চুপি চুপি বলি, এই রিভিউটা আগেই পড়েছিলাম, কিছু বলার ছিল না ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে গেছিলাম। সে সমস্ত বন্ধুরা সিনেমাটা দেখার জন্য প্ল্যান করছিলো তাদের লেখাটা ই-মেইল করেদি। আমি ঠিক করেছিলাম দেখবো না, টোরেন্ট থেকে নামাবো। কিন্তু কপাল খারাপ, বিটকেল বন্ধুদের কে কবে পাশ কাঁটাতে পেরেছে! ফাঁদে পড়ে চলে গেলাম। ভাগ্যিস গেলাম। তিনটে শরদিন্দুর গল্পের অংশ নিয়ে দিবাকরের ব্যোমকেশ দারুণ লাগলো। ৪০শের কলকাতার সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে রক মিউজিক একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। ব্যোমকেশকে নিয়ে বা ব্যোমকেশ চরিত্র নিয়ে যত সিনেমা বা সিরিয়াল হয়ছে তার ভিতরে এই সিনেমাটা আমার কাছে বেস্ট। তবে ব্যোমকেশ হিসাবে রাজিত কাপুর এখনও প্রথম।
    এই রকম আর্ট, ডিরেকশান, সিনেম্যাটগ্রাফির ছোঁয়া যদি থাকে তালে প্রচণ্ডভাবে চাই এই সিনেমার সিকুয়েল হোক।
    ৭০ ছুঁই ছুঁই ব্যোমকেশ ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় শজারুর কাঁটা নিয়ে একটা রিভিউ নামুক। :P
  • Biplob Rahman | unkwn.***.*** | ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২৫66229
  • জট্টিল! হাস্তেইয়াছি, হাস্তেইয়াছি =))
  • de | unkwn.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১৫ ১১:১৬66230
  • সিনিমা দেখার পর রিভিউটি অতি খাসা লাগলো!
  • Sayantani | unkwn.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩২66231
  • কত নম্বর বার পড়লাম গুনিনি-- খারাপ লেভেলের ভালো লিখেছ :P
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন