এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অসহিষ্ণুতা - ১

    Purandar Bhat লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ নভেম্বর ২০১৫ | ১৪৬৬ বার পঠিত
  • গত কয়েকদিনে ইরাক, লেবানন, প্যারিস এবং আজকে নাইজেরিয়াতে ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কয়েকশো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরো খারাপের দিকেই যাবে। উল্টোদিকে ইসলামী সন্ত্রাসকে ধ্বংশ করার নামে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ চলছে সিরিয়া, ইরাক ও লিবিয়াতে যার শিকার আরো হাজার হাজার মানুষ হচ্ছেন। আমার মনে হয় এর দায় আমাদের সকলের, দায় এড়ানো মানে সমস্যার সমাধানের থেকে দুরে সরে যাওয়া।

    প্রথমত, এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এই গোটা যুদ্ধ পরিস্থিতির পেছনে পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদের ভূমিকাই মুখ্য। তারা তেলের লোভে ইরাক, লিবিয়া এবং সিরিয়াতে সরাসরি যুদ্ধ চালাচ্ছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন করছে। এরকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেহাদী সংগঠন যে শক্তিশালী হবে তা স্বাভাবিক। তা ছাড়া পশ্চিমী শক্তি এবং পশ্চিমী মদতপুষ্ট সৌদি আরব সহ অন্যান্য ধনী আরব দেশগুলো সরাসরি মদত দিয়েছে/দিচ্ছে আইসিস, বোকো হারাম এবং আল কায়েদার বিভিন্ন সংগঠনদের। এগুলো তো গেলো সাম্রাজ্যবাদী নীতি কি ভাবে সরাসরি জেহাদী সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করছে তার কথা। কিন্তু যেটা অনেকেই বলে না সেটা হলো বিভিন্ন পশ্চিমী দেশগুলো যে শোষণবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে মদত দিচ্ছে তার ফলেও বিভিন্ন দেশে বেকার যুবক যুবতীরা জেহাদী আদর্শ আকৃষ্ট হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বে বড়লোক ও গরিবের মধ্যে বেড়ে চলা অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং হতাশাব্যঞ্জক ভবিষ্যত বহু মানুষকেই ধর্মের গোঁড়ামো আঁকড়ে ধরতে বাধ্য করছে। সন্ত্রাসবাদের চরিত্র সম্পূর্ণ বুঝতে গেলে এই অর্থনৈতিক শোষণকে উপেক্ষা করলে হবেনা। প্রথম বিশ্বের উদারবাদীরা সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হলেও বিনা যুদ্ধে যে শোষণ ব্যবস্থা পশ্চিমী বিশ্ব কায়েম করে রেখেছে সেই ব্যাপারে যথেষ্ঠ সোচ্চার এবং সচেতন নন।

    দ্বিতীয়ত, এই সন্ত্রাসবাদকে ইসলামী ধর্মের গোঁড়ামোর থেকে আলাদা করা যায় না। আমি মানি যে এই সন্ত্রাসবাদকে দুনিয়ার ৯০ শতাংশ মুসলিম অ-ইসলামী মনে করেন কারণ ইসলামের অধিকাংশ ব্যাখ্যা এইরকম আচরণকে মান্যতা দেয় না। কিন্তু অ-ইসলামী মানে ইসলামের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই তা কিন্তু নয়। যারা এসব কান্ড ঘটাচ্ছে তারা এটা বিশ্বাস করেই ঘটাচ্ছে যে এগুলো ইসলামের সঠিক পথ। এই সব কিছুকে আমেরিকা-ইসরায়েলের চক্রান্ত বলে এড়িয়ে গেলে চলবে না। তারা হয়তো মদত দিয়েছে কিন্তু শুধু তাদের মদত দেওয়াতেই হাজার হাজার ছেলে মৃত্যু বরণ করতে রাজি হচ্ছে এটা বিশ্বাসযোগ্য না। এটা স্বীকার করা দরকার যে ইসলামে গত দেড়শো বছর যাবৎ যে পুনর্জাগরণবাদী ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এই আইসিস আল কায়েদারা তার থেকেই উত্পাদিত। এই পুনর্জাগরণবাদ এক চরমপন্থাকে শক্তি যুগিয়েছে বিশ্বজুড়ে যা ইসলামের পূর্বতন অনেক ধারাকেই গ্রাস করেছে বা করছে। সাধারণ মুসলমানরা এতো কিছু ভাবেন না, জানেনও না। তাদের অজান্তেই অনেক কিছু বদলাচ্ছে। হয়তো অনেকেই আঁচ করছেন, এবং ভালো না লাগলেও অনেক কিছু মেনে নিতে হচ্ছে। এই আইসিস এবং আল কায়েদা সেই পুনর্জাগরনবাদী চরমপন্থাকেই আরো চরমে নিয়ে গেছে। এই সূত্রকে স্বীকার করতে হবে। অনেকেই সৌদি আরবকে দোষ দেন, তারা অভিযোগ করেন যে এই সৌদিরাই জঙ্গি সংগঠনকে মদত দেয়, তাদের সাথে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরও সমঝৌতা রয়েছে। আমিও তাতে এক মত। কিন্তু সৌদি আরব মানে শুধু রাজ পরিবার না, সেই রাজ পরিবারের মূল শক্তি তেল এবং ইসলামের এক চরমপন্থী ধারা। সৌদি রাজারা তেলের টাকায় এই চরমপন্থী আদর্শকে উত্সাহ দিয়েছে বিশ্বজুড়ে । কিন্তু এটুকু বললেও সব বলা হয়না। অনেকই সৌদি আরবের চরমপন্থী ধারাকে সমালোচনা করবার সময় তার আদর্শকে ছোটো করেন, মরুভূমির অশিক্ষিত বেদুইনদের চরমপন্থী আচরণ ইত্যাদি বলেন। কিন্তু সালাফি পুনর্জাগরণবাদ শুধুই বেদুইনদের স্থুল ইসলামী ব্যাখ্যা নয়। সারা বিশ্বের বহু নামী দামী ইসলামী পন্ডিতরা এই ধারাকে শক্তিশালী করেছেন। সৌদি আরবকে অসভ্য বর্বর বলবো, তাদের ইসলামী আদর্শকে স্থুল বলবো যখন তখন এটাও মনে রাখতে হবে তাদের ছাপ মারা ইসলামের সঙ্গে সাযুজ্য আছে বলেই আমাদের দেশে জাকির নায়েক, মৌলানা মাউদুদী অথবা নাইজেরিয়ার আবুবাকর গুমী অথবা ইন্দোনেশিয়ার মুহম্মদ নাতসির মতো পন্ডিতরা সৌদি রাজার কাছ থেকে ইসলামের প্রচারের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন। ওই পুরস্কারগুলো এমনি এমনি দেয়না, তাদের পছন্দের ইসলামকে এনারা প্রচার করেছেন বলেই দিয়েছে। এইসব পন্ডিত প্রচারকদের হাজার হাজার সমর্থক আছেন, শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন আছে। তারা সৌদিদের পছন্দের সালাফি মতকেই শক্তিশালী করছেন দুনিয়া জুড়ে। সালাফীরা সবাই জেহাদী নন অবশ্যই কিন্তু সালাফি মুভমেন্টের যে সন্ত্রাসবাদী কট্টরপন্থার দ্বারা ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে সেটা স্বীকার করা দরকার। তবে এটুকু বললেও সব বলা হয়না। সব কিছুর পেছনে কিছু কারণ থাকে। সালাফিপন্থা কেনো গত দেড়শ দুশো বছর যাবৎ জনপ্রিয় হলো সেটাও বোঝা দরকার। শুধুই কি তেলের টাকা? একেবারেই না, এর শুরু আরো আগে। রশিদ রিদার মতো ইসলামী পন্ডিতরা, যাদের উদ্দেশ্য ছিলো ইসলামের আধুনিকীকরণ তারাই সালাফিপন্থাকে আধুনিক যুগে জনপ্রিয় করেছেন। এটা বোঝা দরকার যে ইসলামকে আধুনিক উপযোগী করে তোলাই এই আধুনিক সালাফিপন্থীদের লক্ষ্য ছিলো। তাই পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদ, অটোমান সুলতানদের ব্যভিচার, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক নেতাদের চুরি জোচ্চুরি, মধ্যপ্রাচ্যের সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য এমনকি মার্ক্সবাদের সমালোচনাও সব থেকে ধারাবাহিকভাবে করা হয়েছে বিভিন্ন সালাফিপন্থীদের তরফ থেকে। এর ফলেই সাধারণ মুসলমান মানুষের মধ্যে তাদের আদর্শ জনপ্রিয় হয়েছে। সালাফীরা প্রাচীনপন্থী এবং চরমপন্থী বলে অনেকেই এই ভুলটা করে যে তারা বোধয় আধুনিক নয়। সালাফীরা আদ্যপান্ত আধুনিক এবং আধুনিক সামাজিক সমস্যার সমাধান হিসেবে তারা প্রাচিন্পন্থাকে উপস্থাপনা করেছেন। যাই হোক, এসব বলবার কারণ হলো যে এখন যখন এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে সালাফিপন্থা সাম্রাজ্যবাদকে আটকাতে তো পারছেই না বরং উল্টে তাদের সহযোগিতাই করছে তখন, তাদের বিরুদ্ধে যদি কিছু করতে হয় আধুনিক যুগের সমস্যাগুলোকে মাথায় রেখেই করতে হবে।
    তৃতীয়ত, দায় নিতে হবে আমাদেরকেও, অর্থাৎ বামপন্থীদেরও। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমনের বিরুদ্ধে তারা আজ কোথায়? মার্কিন অগ্রাসনের বিরুদ্ধে তো সামনে থেকে লড়াই করা উচিত ছিলো বামেদের, যেরকম কিউবা ভিয়েতনামে করেছিলো। অন্যান্য দেশেই বা কি অবস্থা? পাকিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এসব জায়গাতেই বা তারা কোথায়? তারা যদি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতো তাহলে এই জেহাদীরা তো এতো পাত্তা পেতো না, মানুষ বামেদের পাশেই থাকতো। হ্যা, এটা সত্যি কথা যে বেশিরভাগ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে একটা সময় আমেরিকার মদতে লক্ষ লক্ষ বাম্পন্থীকে খুন করা হয়েছে। শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই ৫ লক্ষ বামপন্থী খুন হোন। কিন্তু সেটা একমাত্র কারণ নয়। এই খুনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত ছিলো তা হয়নি, সেই জনসমর্থন থাকলে গনহত্যাগুলো করার সাহস কেউ করতে পারতো না। তাই আমাদের দেখতে হবে তার আগে কি হয়েছে যে কারণে আমরা জনসমর্থন হারিয়েছি। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো বামেরা বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে অগণতান্ত্রিক, চূড়ান্ত দুর্নীতিপরায়ণ এবং একনায়কতান্ত্রিক সব শাসকদের সমর্থন করেছি। এর পেছনে খানিকটা সোভিয়েতের মন যুগিয়ে চলার কারণও ছিলো। ইন্দোনেশিয়াতে সুকার্ণ, ইজিপ্টে নাসের, সিরিয়াতে জাহিদ এবং পরবর্তীকালে আসাদ পরিবার ইত্যাদির কোলে বসে তমুক খেয়েছে বামেরা, সমর্থন করেছে গাদ্দাফিকেও। ফলে সাধারণ মানুষ, যারা এইসব শাসকের হাতে নিপীড়িত হয়েছেন তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি আমরা বামেরা। এই দায় তাই আমাদেরও।

    সকলে যদি দায় স্বীকার করে ভুল শুধরে নিয়ে চেষ্টা করে তাহলে এই সাম্রাজ্যবাদ এবং ইসলামী সন্ত্রাসবাদ দুইয়ের বিরুদ্ধেই গণ আন্দোলন তৈরী করা সম্ভব হবে সারা দুনিয়া জুড়ে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ নভেম্বর ২০১৫ | ১৪৬৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ফুলিশ - Purandar Bhat
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anindya Bagchi | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৪৬66466
  • সঠিক বলছেন দাদা । আমি একমত !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন