এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ক্যালাইডোস্কোপ ( ১)

    Baby Shaw লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ জুলাই ২০১৮ | ২৩৯৪ বার পঠিত
  • ক্যালাইডোস্কোপ

    ১।

    রোদ এসে পড়ে। ধীরে ধীরে চোখ মেলে মানিপ্যান্টের পাতা। ওপাশে অশ্বত্থ গাছ। আড়াল ভেঙে ডেকে যায় কুহু। ঘুমচোখ এসে দাঁড়ায় ব্যালকনির রেলিং এ। ধীরে ধীরে জেগে ওঠা শহর, শব্দ, স্বরবর্ণ- ব্যঞ্জন; যুক্তাক্ষর। আর শুরু হল দিন। শুরু হল কবিতার খেলা-খেলি। ততক্ষণে 'অরুণ প্রাতের' রোদ ভর্তি হয়ে গেছে চায়ের কাপে। ছলাৎ শব্দ তুলে বেজে উঠছে কলিং বেল। কাজের মাসি। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে লুচি ভাজার গন্ধ।

    "তুমি তো আকাশ আঁকছ। শোনা যাচ্ছে ডানার আওয়াজ।
    আমি পাখি
    কোথায় সাঁতার কাটব? ডানা জোড়া মুড়ে
    পালকে গুঁজেছি ঠোঁট, দীর্ঘ গ্রীবা
    টানটান, আজ
    তোমার বুকের গন্ধ প্রজ্ঞা পারমিতা
    প্রযত্ন শিথিল করে দ্যায় l
    শিস দিই, জাগে গান, পাতার মর্মর; উড়ে যাই
    দিক ও দিগন্ত ভাঙে, ভাঙে চক্র, যে দিকে দু চোখ
    খ-মণ্ডল, অনন্ত সুখের
    তুমি রাখো ভাষাপথ, উড়ান ও বিশুদ্ধ আঙ্গিক ( ভাষাপথ/সুধীর দত্ত)"

    টেবিল ভর্তি ম ম করে ওঠে খিদে। এই খিদে সঙ্গে পরিচয় হয় অন্যান্য মানুষজনের। মা উঠে আসে, বাবা ওঠে-- ভাই বোন আত্মীয় পরিজন। কতদূর থেকে তাদের স্বর চেনা যায়। তাদের ভাসা ভাসা আওয়াজ শোনা যায়। আর সবাইকে নিয়ে তৈরি হয়ে যায় একটা দিন। একটা গোটা সংসার।

    "আমার কথাগুলি বলে দিচ্ছ তুমি হাজার লক্ষ বছর ধরে বলে দিচ্ছ নীরবতাগুলি, অন্ধকারগুলি বলে দিচ্ছ যখন আলো জ্বলে উঠেছিল আগুনের নতো সেই সব কথা বলে দিচ্ছ, এঁকে রাখছ, সুর দিচ্ছ – আমার সন্তান হয়ে আমাকেই শাসন করছেন আমার পিতা তিনিও তো আমি হে বুদ্ধ, তুমিও আমি, হে জুডাস তুমিও বিশ্বাস ও বিশ্বাসঘাতকতা আলো ও অন্ধকার জন্ম ও মৃত্যু আমার কথা আমিই আমার প্রেম আমিই আমার ঘাতক আমিই আর সব বলা হয়ে গেছে যা কিছু হয়নি বলা, সেই সব কিছুও বলা হয়ে গেছে কান পাতো- শুনতে পাবে অপেক্ষায় থাকো- পৌঁছে যাবে তুমি আসলে যাচ্ছ না কোথাও আমি আসলে আসছি না কোথাও আমাদের দেখা হয়ে গেছে আচমকাই, হারিয়ে যেতে যেতে কয়েক মুহূর্ত নিজেদের জন্ম দেয় যেরকম।"( যুবতীকে/হিন্দোল ভট্টাচার্য)

    ধীরে ধীরে সময় এগোয়। বাথরুমে সাবানের ফেনা ভাসে। শ্যাম্পুর গন্ধে গুণগুণ করে ওঠে গান। গানের ফাঁকে বেজে ওঠে পাখি। মনখারাপও। ওই ছেড়ে যাওয়া, উড়ে যাওয়া পাখিটির জন্য। কিছুতেই পোড়া মন বোঝে না যে, পাখি তো উড়ে যাবেই। পাখি তো ডানার। আকাশের। যেখানে নীল আর নীল।
    " তুমি কি ভেবেছ, আমি ভুলে গেছি সব?

    হুম?

    তুমি কি ভেবেছ, আমি ভুলে গেছি শব?" (চলে যেতে হয় বলে চলে যাচ্ছ| ২|/ দেবব্রত কর বিশ্বাস)

    ততক্ষণে কলেজের ব্যাগ রেডি। ততক্ষণে গ্যারেজে গাড়ির গন্ধ। পথ হাতছানি দেয়। রাস্তা জুড়ে কোলাহল। কলবর। শব্দ। শ্লীল অশ্লীল দৃশ্য। একজন রোগা পাতলা বুভুক্ষু মানুষের পেছনে ছুটছে সারা শহর। ধরতে পারলেই চুরির পেটাই। পাঁউরুটি চুরির অপরাধ ঘুরছে তার চারপাশে। আর সমস্ত শহর এটাও একপ্রকার বিনোদন ভেবে ছুটছে তার পেছন পেছন। অথচ, কত খাবার পড়ে থাকে খাবার প্লেটে। আর তখনই মনে পড়ে যায়-- দুধের গ্লাসের অর্ধেকটা আমি খাই; বাকিটা বেসিনে। আফশোষ জন্ম নেয়। চোখ ঝাপসা হলে প্রার্থনা করি, --ঈশ্বর ওই রোগা পাতলা লোকটা যেন কিছুতেই ধরা না পড়ে শহরের হাতে'। ততক্ষণে রাস্তার জ্যাম সরে গেছে। গাড়ি এগোয়।

    "এমন হলো তাদের পাপ দ্বারে-দ্বারে ফেরে
    যেখানে যায় অশ্রুর লোহা প’ড়ে আছে, অন্যের অশ্রু
    মানুষ স্তব্ধতার ব্যবহার জানে।
    আবার ভাতের থালা তুলে ধরো, এই বর্ম
    স্বহস্তে খোলার জন্য নয়, যখন সময় হবে
    সকলেরই হয়, সেদিন ওই দায় ভাগ্যহীন সন্তানের।
    যে জানে শেষাংশ কিভাবে গীত হবে, সেই জন সমাপ্তির রাজা
    সেই বিদ্যা একমাত্র বিদ্যা, আমি মূঢ়
    আমার সঙ্গে বলো, অন্নপূর্ণা ও শুভকাল। ( অন্নপূর্ণা ও শুভকাল,
    ২২./ গৌতম বসু)

      কলেজে পৌঁছে দেখা যায়, অভিযোগে ভরে গেছে করিডোর। চারপাশে উত্তেজিত অক্ষর। দ্রুত চলাচল বুঝিয়ে দেয়, বিপ্লব আসছে। কিছুতেই মেনে নেওয়া যাবে না এইসব গাল-গল্প! কিছুতেই বলা যাবে না পরাজিত মানুষদের কাহিনি। ছলে হোক বলে হোক-- অধিকার, পদ চাই-ই। তখন মনে পড়ে ওই ব্যালকনির কথা। শান্ত। নির্জন। একাকী। কবির সঙ্গে বসি। খুলে যায় আমার পুবের ব্যালকনি। বোধি কি একেই বলে তথাগত?

    "দুঃখগুলো পার হয়ে আসি...
    পার হতে হয়...

    মরা ডালে পাতা গজানোর
    দিনে বুঝি মনেই পড়ে না
    দুঃখ এক শাশ্বত বিষয়...

    কোনও একদিন
    প্রবল বৃষ্টির পর
    সামান্য ঝিঁঝিঁর ডাকে
    হাউমাউ ফিরে আসতে পারে!

    কাকে বলে বেঁচে-থাকা?
    দুঃখের দিনের বন্ধু চোখে জল এনে
    চেনা দিয়ে যায় বারেবারে... (প্রবল বৃষ্টির পর/ বিভাস রায়চৌধুরী)

    ফেরার পালা। পুব থেকে পশ্চিমে। বারীণদা বলত, 'পাখিরা কিন্তু সবসময়ই পশ্চিম থেকে পুবের দিকে ফেরে। ওই দিকে দলমা, পুবের দিকে, আলো-- সারারাত তারা ওই আলোর আরাধনা করে।' আর তখনই আমি বুঝতে পারি আমি পাখি নই। ডানা নই। ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে রাস্তায় নামি। কান্নায় ভরে ওঠে চোখ। অনুভব এসে বসে একাকীত্বের--

    "বন্ধু, তোমার হাতের উপর হাত রাখলেই আমি টের পাই তোমার বাজারে অনেক দেনা, ছেলেটা উচ্ছন্নে গেছে, মেয়ে রাত করে বাড়ি ফেরে, আজ যা-বলার আছে তুমি আমাকেই বলো, স্ত্রীর মুখরতার কথা বলো, সহকর্মীদের শঠতার কথা বলো, রাতে ঘুম হয় না সেই কথা বলো, আর যদি কাঁদতেই হয় তবে এই কাঁধে মাথা রেখে কাঁদো, বন্ধু।"(উৎপল কুমার বসু)

    অথচ, চারপাশে লজ্জা। যা বলতে পারিনি কখনও, চাইতে পারিনি বলে উপেক্ষা করে গেছে সেও-- সবাই এই ফেরার রাস্তায় এসে দাঁড়ায়। হাততালি দেয়। অপমান আসলে একটা আর্ট। একটা সুপরিকল্পিত হত্যার খসড়া। তখনই বুঝতে পারি। চিৎকার করে ওঠি। কেউ নেই কোথাও। শুধু প্রতিধ্বনি বাজে।

    "পরস্পরকে হত্যা করে হেমন্তের মৌমাছিরা যা বলতে চায়
    বরফের অভিশাপ সারাজীবন মাথায় নিয়ে
    কোনো পাহাড় যা বলে
    মুখভর্তি নকল দাঁত নিয়ে
    চোখ নামিয়ে সেটাই আজ বলছে হেনরি-

    দেওয়ালের দিকে অনন্তকাল তাকিয়ে থাকতে থাকতে
    একটা টিকটিকিও কিন্তু খারাপ হয়ে যায় (কৃত্রিম হেনরি/ অমিতাভ মৈত্র)"

    পথ ভরে গেছে জ্যামে। কত কত বাড়ি ফেরা। কত কত বিধ্বস্ত মুখ। কত কত জীবিকা। তার থেকে কিছুটা সময় মুক্তি। নীচে বয়ে যাচ্ছে সুবর্ণরেখা। আর তার থেকেই বুঝতে পারি এটাই আলো। এটাই আনন্দ। শব্দ।
     "স্কুলে এখনো তেজী শিক্ষিকা আর রোদ আসেনি
    আমি এলাম
    এসেছিলাম ব’লে হাল্কা ট্রিগার হারিয়ে গেলো
    বাসস্টপের আজব তরঙ্গ
    প্রায় টুকটুকে
    লিখে দিচ্ছে কে জানে কিসের শেষ লাইন
    আমি তো একটা নদিও পেরোলাম
    নদী না শিরদাঁড়া......(স্বপন রায়/ 
    "এক পেগ পৌরসময়- ১")

    তার আগে ছিল ঝিমিয়ে যাওয়া মানিপ্যান্টে জল দেওয়া; আদর করা। সোহাগে ভরানো। পশ্চিমের লাল আভায় ভরে গেছে জানলার কাচ। আর তখনই স্পর্শে বাজে স্নেহ, মায়া।
    "চোখ তত অন্ধ নয়
    আলো তাকে অন্ধ ক’রে রাখে!
    হঠাৎ নদীর জলে
    ভেসে আসে আধখাওয়া লাশ
    ভীষণ স্বপ্নের মধ্যে
    হা-হা ক’রে হেসে ওঠে কেউ

    কোথায় এসেছি আমি, কোনপথে,
    মুনিয়া ও রুবাইকে নিয়ে?
    কোনদিকে যেতে হবে, সে-কথা আলাদা" ( নিঃশব্দে অতিক্রম করি/শৌভ চট্টোপাধ্যায়)

    আর তারপর প্রশান্তি, আনন্দ। কেননা,
    "হয়ত, দৃশ্যের এই আলোছায়াটুকুর ভেতরে
    রয়ে গিয়েছিল কোন অস্পষ্ট যোগাযোগের আদল। অথবা,
    আরো একটু অন্ধকার হ’লে, দেখা যেত,
    গাছের পাতার ফাঁকে দুটো-একটা মৃতপ্রায় তারা—
                অচেনা পথের চেয়ে আরো দীর্ঘ অপেক্ষার কাল

    ভাবি, একদিন আমিও জানতুম, কীভাবে নকল
    করতে হয় পাখিদের ডাক, ঝড়ের আওয়াজ কিংবা
    ট্রেনের হুইসল। অথচ এখন, ব্যাকুল সন্ধ্যার মুখে
    নড়ে উঠছে পাথরের জিভ, দু-এক মুহূর্ত মাত্র"(ঐ)

    বহুদূর থেকে ভেসে আসছে নামাজ পাঠ; শঙ্খধ্বনি। ততক্ষণে সন্ধের গান ভেঙে ওঠে আসে ডিনারের টেবিল। পা ছড়িয়ে বসি চুপচাপ দেখি--- অসংখ্য নক্ষত্রের চোখ; রাতের শব্দ; মাতালের চিৎকার। দেখি তৃতীয়ার চাঁদ উঁকি দিচ্ছে নববধূর মতো। খুঁজি তাকে। খুঁজি। কিন্তু ততক্ষণে যে ঘুমে ঢুলুঢুলু করছে ক্লান্ত ব্যালকনি...

    "এতই আসাড় আমি, চুম্বনও বুঝিনি।
    মনে মনে দিয়েছিলে, তাও তো সে না- বোঝার নয়-
    ঘরে কত লোক ছিল, তাই ঋণ স্বীকার করিনি।
    ভয়, পাছে যদি কোন ক্ষতি হয়।

    কি হয়? কি হতে পারত? এসবে কি কিছু এসে যায়?
    চোখে চোখ পড়া মাত্র ছোয়াঁ লাগল চোখের পাতায়-
    সেই তো যথেষ্ট স্বর্গ- সেই কথা ভাবি আজ। সেই যে অবাক করা গলা
    অন্ধকারে তাও ফিরে আসে...
    স্বর্গ থেকে আরো স্বর্গে উড়ে যাও আর্ত রিনিঝিনি

    প্রথমে বুঝিনি, কিন্তু আজ বল, দশক শতক ধ'রে ধ'রে
    ঘরে পথে লোকালয়ে স্রোতে জনস্রোতে আমাকে কি
    একাই খুঁজেছ তুমি? আমি বুঝি তোমাকে খুজিনি?"
    (স্পর্শ, জয় গোস্বামী)

    মুখোমুখি হই। আলো নেই। অন্ধকার নেই। চুপচাপ সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি। বনবন করে ঘুরে যাচ্ছে ফ্যানের ব্লেড। বাতাস। কিলবিল করে উঠছে অক্সিজেন। এখন কার সঙ্গে বসবো আলোচনায়? কাকে বোঝাবো শূন্য আসলে একটা উৎক্ষেপণ মাত্র। অবশোষণের মাত্রা ভেঙে শুধু হেঁটে যাওয়া আছে আরেকটি ভোরের দিকে। কাচের জানলার দিকে। ওপাশে শহর এপাশে রেলিং। ওপাশে ব্যারিকেড এপাশে ভাস্কর চক্রবর্তী

    "স্বাভাবিকতার খোঁজে জলঝড়ে আমিও হেঁটেছিলাম খুব
    অন্ধ আজ, দগ্ধ হয়ে গেছি

    আলো সকালের ঢেউ সুগন্ধ ছড়িয়ে এসে বলে :
    জাগো গান গাও

    এ শালার নিঃসঙ্গতা তবুও কাটে না I

    কী অস্বাভাবিকতার গর্তে পড়ে আছি !

    নির্জীব জীবনটাকে সুটকেশে পুরে রেখে দেবো ?
    ভাসিয়ে দেবো কি জলে যদি ফেরে কোনোদিন প্রাণ ?"( জীবনীর কিছুটা / নীল রঙের গ্রহ, ভাস্কর চক্রবর্তী)

    ( ক্রমশ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ জুলাই ২০১৮ | ২৩৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৭64969
  • | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ১০:৩২64968
  • .
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন