এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ।।হেড-আপিসের গপ্পো।।

    Abhinaba Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ আগস্ট ২০১৭ | ১৬৪৮ বার পঠিত
  • [গোড়ার কথা ]

    এই যে আপনি ভাবছেন এই লেখাটা পড়বো, এই হাতটা এগোল মাউসের দিকে, এই ঠিক জায়গায় চেপে ধরে ক্লিক, ব্যাস! চোখ অমনি পড়তে শুরু করল লেখা আর আপনি মজে গেলেন লেখার মধ্যে - জানেন আপনার ব্রেনের কতগুলো অফিস, তার কত কত বড় -মেজ -সেজ -ছোট সাহেব – ফিনান্স অফিসার- লাইব্রেরিয়ান- পিওন -দারোয়ান- ক্যান্টিনের ম্যানেজার একদম ঠিক ঠিক সময়ে ঠিক ঠিক কাজটা করেছে বলে আপনি ঠিক ঠিক লেখাটা পড়তে পারছেন !একটু এদিক ওদিক হলেই হাত লন্ডন যেতে গিয়ে লিলুয়ার টিকিট কেটে বসতো, কিংবা আপনি পড়তেন এক জিনিস, আর মানে বুঝতেন অন্য। হেড অফিসের কাজ কর্ম সব নিক্তি মাপা। কোথাও কারোর এতটুকু ফাঁকি দেওয়ার জো নেই। একটু ডানদিক থেকে বাঁদিক হলেই সব গড়বড়, তা সে হাত-পা নাড়ানোই হোক বা গভীর ভাবনা-চিন্তা করা কিংবা জল তেষ্টা পাওয়া। অসুখ-বিসুখ হলে কিংবা জন্মগত সমস্যা থাকলে এই অফিসের কাজকর্মে গণ্ডগোল দেখা দেয়। সেই গোলযোগেরও রকমফের আছে। কোন অসুখে অফিসের বড়সাহেব ছুটিতে গিয়ে আর ফেরেন না, কখনো অফিসময় সবাই মিলে ধিন্তাধিনা তাধেইধেই করতে শুরু করে, আবার কখনোবা ফিনান্স অফিসার ছুটি নিলে কাজের বারোটা বেজে যায়; মাইনে ঠিকঠাক নাহলে কে আর কাজ করতে চায় বলুন!কোন অসুখে ব্রেন কেমন করে গড়বড় করবে সেটা জানতে গেলেব্রেন এমনি সময়ে ঠিক কিভাবে কাজ করে সেটা বুঝে নেওয়া দরকার। তারও আগে জানতে হবে ব্রেনের নাম-ধাম-সাকিন-ঠিকানা-প্রতিবেশী- প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক কেমন-বাড়িতে কে কে আছে-তারা কে কি করে ইত্যাদিইত্যাদি।

    ব্রেন বসে থাকে করোটির মধ্যে, একরকমের চাদরমুড়ি দিয়ে। ( চাদরের নাম মেনিঞ্জেস, তার আবার অনেকগুলো ভাগ আছে। ওই মেনিঞ্জেসের একরকম অসুখকে বলে মেনিনজাইটিস। আমাদের দেশে অনেক বাচ্চার এই অসুখ হয়, মারাও যায়, আহা রে!) ঠিক এমনি এমনি চাদরমুড়ি দেয় না, চাদরের ভিতরে মিনি-সুইমিংপুলে ডুব দিয়ে বসে থাকে; যা গরম! আমি হলেও তাই করতুম। ওই সুইমিংপুল আবার বিশেষ তরল দিয়ে তৈরি যা ব্রেনের নানারকম কাজে লাগে। চাদরের ফাঁকফোকর দিয়ে এই তরল খানিকটা ব্রেনের ভিতরে সুড়ঙ্গ- সিস্টেমের মধ্যে ঢুকে যায়, বাকিটা স্পাইনাল কর্ডের চারপাশে ঘুরঘুর করে। ব্রেনের নিচ থেকে লম্বা ন্যাজের মতো স্পাইনাল কর্ড ঝুলতে থাকে, তাকে ঘিরে রাখে বডিগার্ড মেরুদণ্ড। আর উপরে করোটির অক্ষিকোটরে বসে থাকে চোখ। চোখের রেটিনা আসলে ব্রেনেরই অংশ, লম্বা নার্ভ দিয়ে যুক্ত থাকে ব্রেনের সাথে। এইরকম আর একটা খুচরো ব্রেনের টুকরো হোল অলফ্যাকটরি বাল্ব যা কিনা করোটির নাকের ফুটোর ভিতর দিকে গভীরে লুকনো থাকে। ইনিও লম্বা এক নার্ভ দিয়ে ব্রেনের সাথে জোড়া। অলফ্যাকটরি মানে ঘ্রান- সম্পর্কিত। বাকি চার ইন্দ্রিয়র থেকে এনার একটা বিশেষ পার্থক্য আছে। সেটা পরে বলছি। ব্রেন থেকে মোট বারো জোড়া নার্ভ বেরিয়ে আসে যাদের নানাবিধ কাজ, দুজনের কথা এক্ষুনি বললাম। বাকিদের মধ্যে দশ নম্বরের বিশেষ খাতির। ব্রেনের সাথে আর নানা প্রতিবেশী যন্ত্রপাতি যেমন পাকস্থলি, হৃদপিণ্ড ইত্যাদির নিবিড় সংযোগ রক্ষা করেন এই দশ নম্বরি ভেগাস নার্ভ। বারো জনের মধ্যে ইনি সবচেয়ে লম্বাও বটে। বাকিদের কথা যথাস্থানে হবে। স্পাইনাল কর্ড থেকে একত্রিশ জোড়া নার্ভ বেরোয়। এই বারো জোড়া আর একত্রিশ জোড়া নার্ভ মিলে গোটা শরীরের নানা জায়গায় খবর দেওয়া নেওয়া করে।

    আলোচনা আরও এগোনোর আগে বেসিক এক দুটো জিনিস বুঝে নেওয়া দরকার। গোটা ব্রেন আর স্পাইনাল কর্ড তৈরি হয় অনেকগুলো স্নায়ুকোষ বা নিউরোন দিয়ে। কতগুলো ? সেটা আপাতত রহস্য থাকুক, “অনেক অনেক নিউরোন আছে” এটা বুঝলেই আপাতত আমাদের কাজ চলে যাবে। ছোটবেলার জীবনবিজ্ঞান থেকে একটা প্রশ্ন করি? বলুন তো, স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত এবং কার্যগত একক কি? সবাই জানি উত্তরটা, নিউরোন। কিন্তু এই প্রশ্নটা একজন নিউরোসায়েন্টিস্টকে করে দেখুন। তিনি গম্ভীর মুখে মাথা টাথা চুলকে বলবেন- বাপু হে, কথাটা ঠিক, আবার পুরো ঠিক নয়। ঠিক এইখানেই পাঠ্যবইয়ের থেকে বিজ্ঞানের চলন জটিল এবং পৃথক হতে শুরু করে। গঠনগত এবং কার্যগত একক হতে গেলে প্রত্যেকের গঠন আর কাজ একই রকম হতে হবে। তা তো ঠিক নয়। আলাদা আলাদা ধরনের নিউরনের গঠন বা কাজ আলাদা আলাদা। ওই যে এক্ষুনি বলছিলাম বারো জোড়া আর একত্রিশ জোড়া নার্ভ মিলে গোটা শরীরের নানা জায়গায় খবর দেওয়া নেওয়া করে; যারা খবর দেয় আর যারা খবর নেয়, তাদের মধ্যে মিল আছে প্রচুর, ফারাকও আছে বিস্তর। তারা নিউরোন বটে, কিন্তু জাত-কুল-গোত্র আলাদা। খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলে তাদের চেহারার ফারাকও স্পষ্ট হয়। কাজের ধরন আলাদা তো বটেই। নার্ভ আর নিউরোনের মধ্যে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন। নিউরনের সরু ন্যাজ হল অ্যাক্সন আর বেশ কয়েকটা মোটা মোটা টিকি হল ডেনড্রাইট। ওই টিকি দিয়ে নিউরোন সিগন্যাল ধরে আর ন্যাজ দিয়ে বের করে দেয় যা কিনা আবার পরের নিউরোনের টিকি খপ করে ধরে ফেলে। এক গোছা সরু ন্যাজ অ্যাক্সন বাণ্ডিল করে র্যা পারে মুড়িয়ে তৈরি হয় একটা নার্ভ। একটা নিউরনের একটাই ন্যাজ। তাহলে বোঝা যাচ্ছে এক একটা নার্ভ হল আসলে অনেক নিউরনের ন্যাজ বাণ্ডিল বানিয়ে চেপে ধরা।
    তো ওই যে বারো জোড়া আর একত্রিশ জোড়া নার্ভের কথা বলছিলাম, তারা ব্রেন আর স্পাইনাল কর্ড থেকে বেরিয়ে খবর দিতে যায় বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে, আবার সেখানে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে খবর ও ফেরত নিয়ে আসে। কেউ খবর দেয় শুধু, কেউ শুধু খবর নেয়, কেউ আবার দুইই করে থাকে। এই ফেরত নিয়ে আসাটা হয় পঞ্চেন্দ্রিয়ের দ্বারা- চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা আর ত্বক। প্রত্যেক ইন্দ্রিয়ের জন্যে ব্রেনের নির্দিষ্ট অফিস আছে। খবর সোজা সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। সেখান থেকে সিগন্যাল যায় অন্য আর এক অফিসে। সেখানে হিসেব নিকেশ করে দেখা হয় কি করা উচিৎ সিগন্যাল দিয়ে। অনেক সময় লাইব্রেরিতে খবর পাঠিয়ে জিজ্ঞেশ করা হয়- ওহে দেখতো , গতবারে এইরকম যে সিগন্যালটা এসেছিল তাতে ঠিক কি কি খবর লেখা ছিল? কাজের কথা কিছু ছিল? অমুক অমুক ব্যাপারে কিছু বলেছে? লাইব্রেরিয়ানের কাছে যদি ফাইলটা থাকে তো সে পাঠিয়ে দেয় ওই হিসেব কষার অফিসে। অনেক সময়, যা হয় আর কি কাজের চাপে, বেচারা হয়ত ভুলে মেরে দিল ফাইল পাঠানোর কথা। কিংবা গড়িমসি করে বলে দিল- নেই স্যার, ফাইল হারিয়ে গেছে। অনেক সময় হিসেব কষার অফিস সে কথা দিব্যি মেনে নিয়ে নতুন সিগন্যাল পাঠিয়ে দেয় নার্ভের মাধ্যমে, তাতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উদ্দেশ্যে বলা থাকে কি কি করতে হবে না হবে। অনেক সময় আবার লাইব্রেরিয়ানের ফাঁকিবাজি ধরা পড়ে যায়। জোর ধমক খায় সে- চোপরাও হে, ফাইল খুঁজে নিয়ে এসো। সেই ফাইল এলে, তার হিসেব নিকেশ করে হিসেব-কষা-অফিস অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সিগন্যাল পাঠায়। এই হিসেব কষা, লাইব্রেরিতে ফাইল খোঁজা, ধমক দেওয়া- সব কাজ করে ব্রেনের আলাদা আলাদা অফিসের আলাদা আলাদা নিউরোনের দল।

    হিসেব কষার অফিস= প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (ব্রেনের একদম সামনের দিকের অংশ, যা মানুষের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উন্নত)
    লাইব্রেরি= হিপোক্যাম্পাস (ব্রেনের ভিতরের দিকে লুকিয়ে থাকা লম্বা বাঁকানো পাতের মতো অংশ, স্মৃতিশক্তি ব্যাপারটা মোটের ওপর এরই হাতে)
    ধমক দেওয়ার অফিস= খুব জটিল ব্যাপার, আপাতত খালি অ্যাড্রেনালিনের কথা বলছি যা কিনা লোকাস সেরুলিয়াস নামে ব্রেনের তলার দিকে একটা জায়গা থেকে আসে। অন্যান্য অফিসেরও অবদান আছে এতে। সেকথা পরে হবে নাহয়।

    এবার ভেবে দেখুন, কি কঠিন ব্যাপারটা। কতগুলো অফিসের কতগুলো নিউরোন সিগন্যাল চালাচালি করলে তবে গিয়ে একটা কাজ হয়। একটা রিয়েল লাইফ উদাহরণ দিই-

    মনে করুন আপনি অফিসে বসে মনের আনন্দে ফেসবুক করছেন। এমন সময়ে ফোন বাজল, স্ক্রিনে বসের নাম। আপনার প্রি ফ্রন্টাল কর্টেক্স ওই একত্রিশ জোড়া নার্ভের কোন একটা বা দুটো দিয়ে খবর পাঠাল আপনার হাতের মাসেলে- বাপু হে, চাকরি রাখতে চাইলে জলদি জলদি ফোনটা ধর। আপনি পড়িকিমরি করে ফোন ধরলেন। ওপাশ থেকে বস জিজ্ঞেস করলেন অমুক কাজটা হয়েছে? এই সিগন্যাল কানের নার্ভের মধ্যে দিয়ে “কানের অফিসে” গেল। সেখান থেকে এক নিউরোন খবর নিয়ে গেল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে, আর একজন গেলো লাইব্রেরি হিপোক্যাম্পাসে চেক করে দেখতে। লাইব্রেরি যথারীতি ল্যাধ খেয়ে বলে দিল ফাইল নট ফাউন্ড। এই খবর ফিরে গেলো প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে। কিন্তু এদিকে প্রিফ্রন্টাল ততক্ষণে সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে “অ্যামিগডালা” নামে ইমোশান অফিসকে দিয়ে কনফার্ম করে ফেলেছে যে বসের গলা ভারি, মেজাজ খাট্টা। আজ চাকরি গেলেও যেতে পারে। অতএব খবর গেলো লোকাস সেরুলিয়াসের ধমক অফিসে। অ্যাড্রিনালিন পাঠিয়ে লোকাস সেরুলিয়াস ধমক দিল হিপোক্যাম্পাসে। ব্যাস, ফাইল বেরিয়ে এল, প্রিফ্রন্টালে সিগন্যাল গেলো। ফাইনাল হিসেব নিকেশ করে প্রিফ্রন্টাল আরও একটা দুটো অফিসের সাহায্যে আপনার ভোকাল কর্ডে আর মুখের মাসেলে সিগন্যাল পাঠাল, আপনি বলে উঠলেন, হ্যাঁ স্যার, নিশ্চয়ই। আমি এক্ষুনি আপডেট পাঠাচ্ছি।
    ভেবে দেখুন বসের গলা শোনা থেকে শুরু করে আপনার মুখ খোলা পর্যন্ত পুরো কাজটা হল এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে। তাহলেই ভাবুন এতগুলো সিগন্যাল পাঠানো, হিসেব কষা এগুলো কত স্পিডে হচ্ছে।
    আচ্ছা, এবার মনে করুন তো, যতক্ষণ কথা বলছিলেন বসের সাথে, ততক্ষন চারপাশে কে কি করছে কি বলছে সে ব্যাপারে খেয়াল ছিল? ছিল না তো? যেই ফোনটা রাখলেন অমনি নজরে পড়ল কে ফেসবুকে পিং করেছে, কে কার সাথে বকবক করছে। এর কারণ হল আমাদের ব্রেনের ফিলটার করার ক্ষমতা। ইন্দ্রিয় দিয়ে যা যা ইনফরমেশান ঢোকে, তার সবটা যে হেড অফিসে পৌঁছয় এমন নয়, কিছুটা মাঝ রাস্তায় ফিল্টার হয়ে যায়। এই ফিল্টারদের মধ্যে সবচেয়ে নামজাদা হল থ্যালামাস। তবে শুধু ফিল্টার নয়, অন্যান্য কিছু কাজও এর আছে। মজার ব্যাপার হল, থ্যালামাস অনেক উন্নত একটা সিস্টেম। ভ্রূণ অবস্থার প্রথম দিকে যে ইন্দ্রিয় তৈরি হয় তা হল ঘ্রাণেন্দ্রিয়। তার কাজের জন্যে থ্যালামাস লাগে না। আর থ্যালামাসের ফিল্টার থাকেনা বলেই ঘ্রাণের সাথে আমাদের ইমোশানের এত নিবিড় যোগাযোগ। আজও গোলাপের গন্ধ নাকে এলে ঝটপট পুরনো প্রেম মনে পড়ে যায় এজন্যেই।
    তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়ালো এই-

    পঞ্চেন্দ্রিয় পঞ্চপাণ্ডব, মহাপ্রস্থানের পথে
    চার- পথিমধ্যে কুপোকাত থ্যালামাসের হাতে।
    অলফ্যাকটোরি যুধিষ্ঠির বিচক্ষণ ভারি,
    পূর্ব হইতে অন্য রাস্তা দেখা ছিল তারই।
    (চলবে…)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ আগস্ট ২০১৭ | ১৬৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | ***:*** | ০২ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৬60680
  • ইঁট পেতে গেলাম।
  • avi | ***:*** | ০২ আগস্ট ২০১৭ ০৫:২৩60681
  • পাগলা সুরুয়াৎ। কিপিটাপ।
  • Titir | ***:*** | ০২ আগস্ট ২০১৭ ০৬:৪০60682
  • সহজ সরল ভাষায় কি সুন্দর লেখা।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
  • Abhinaba Ghosh | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৭ ০১:৪৪60685
  • পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ব্রেন, নিউরন, তাদের নিয়ে গবেষণা এবং ব্রেন সংক্রান্ত নানা অসুখের ব্যাপারে নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহজভাবে তুলে ধরার জন্যে এই সিরিজের অবতারণা। ব্রেন সংক্রান্ত অনেক অনেক মিথ বাজারে ঘোরে। তার কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে, কোনটার ব্যাপারে গবেষণা হয়নি কিন্তু মোটের ওপর একটা বিজ্ঞানভিত্তিক উত্তর আছে। এই রকম কোন বিশেষ বিষয়ে আপনার কৌতূহল থাকলে মন্তব্যে জানাবেন। পরের পর্বে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

    ধন্যবাদ।

    - লেখক
  • গৌতম | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৭ ০৩:১৫60686
  • বাহ। চমৎকার পরিবেষণ। অপেক্ষায় রইলাম।
  • dd | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৫২60687
  • খুব ভালো হচ্ছে।
  • Atoz | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৫৬60688
  • দারুণ ভালো, খুব ভালো। চমৎকার।
  • পাঠক | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৭ ০৬:২৭60689
  • " ব্রেন সংক্রান্ত অনেক অনেক মিথ বাজারে ঘোরে। তার কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে, কোনটার ব্যাপারে গবেষণা হয়নি কিন্তু মোটের ওপর একটা বিজ্ঞানভিত্তিক উত্তর আছে। এই রকম কোন বিশেষ বিষয়ে আপনার কৌতূহল থাকলে মন্তব্যে জানাবেন। পরের পর্বে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।"

    আমার কৌতুহল ' ডিপ্রেশন ' নিয়ে - কেন /কিভাবে /কোন কারনে হয় , জিন কি দায়ী ? আগে থেকে জানা যায় কিনা , তার প্রতিষেধক আছে কিনা , চিকিৎসা কি , ওষুধ তুলে নিলে তার এফেক্ট কি , ওষুধে কি আত্মহত্যার প্রবনতা বাড়ে ? যদি উত্তর দেন

    ধন্যবাদান্তে

    পাঠক
  • শঙ্খ | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৭ ১১:২৯60683
  • আপনি থাকচেন স্যার। চলুক
  • SS | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৭ ১২:০৪60684
  • বাহ, সহজ বাংলায় দারুণ লেখা। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
  • prativa | ***:*** | ০৪ আগস্ট ২০১৭ ০৫:৫২60690
  • চলুক এটা। আগ্রাসী হয়ে পড়লাম।
  • প্রতিভা | ***:*** | ০৪ আগস্ট ২০১৭ ০৫:৫৩60691
  • আগ্রহী হবে।
  • | ***:*** | ০৪ আগস্ট ২০১৭ ০৭:২২60692
  • অসামান্য! লেখককে অনেক ধন্যবাদ।চলতে থাকুক প্লিজ।আসুক স্বপ্ন,প্রেম আর অহৈতকি অজ্ঞেয় কাজকামের প্রেষণার কথাও।
  • পৃথা | ***:*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০১:৪৩60693
  • চমৎকার পরিবেশন
  • ঋক আর কিছুনা | ***:*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৪০60694
  • বেড়ে লাগলো ।অ্যামিগডালা নিয়ে , এনএলপি নিয়ে একটু আলোচনা পরের কোনো পর্বে পেলে ভালো লাগবে ।
  • sswarnendu | ***:*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০৭:০২60695
  • খুব ভাল বিষয়। এই অংশটা সুখপাঠ্যও হয়েছে। চলুক। শুধু লেখককে একটা অনুরোধ, সুখপাঠ্য করতে গিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলোর অতিসরলীকরণ হয়ে ভুল ধারণা তৈরি না হয় পাঠক-পাঠিকার সেইটা লেখক একটু মাথায় রাখবেন।

    যেমন পড়তে গিয়ে মনে হল এই লেখাটাতেই তলায় একটা ফুটনোট অন্তত লেখক দিয়ে দিলে পারতেন যে ব্রেইনের এই বিভিন্ন কাজের জন্যে বিভিন্ন অংশ ব্যাপারটা খুব রিজিড কিছু নয়, একাধিক অংশ সম্ভবত কোলাবোরেট করে এক একটা কাজে... এমনকি মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্রেইনের অন্য অংশ দিয়ে সেই কাজ দিব্যি চালিয়ে নিচ্ছে এমনও উদাহরণ আছে, তাই এই এরিয়া ব্যাপারটা খুবই রাফলি বলা, সেইটা বেশ ফ্লুইড হতে পারে বলেই মনে করা হয়।
  • ইন্দ্রাণী | ***:*** | ০৬ আগস্ট ২০১৭ ০৩:৩৩60696
  • অসাধারণ পরিবেশন! এমন একটি জটিল বিষয়কে লেখক যে সহজতায় রূপকথার গল্পের মতন পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছেন প্রশংসা করার মতনই।পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল লেখক যেন পাঠককে পক্ষীরাজের পিঠে চাপিয়ে মস্তিষ্কের অলিতেগলিতে ভ্রমণ করাচ্ছেন। লেখকের উপর প্রত্যাশা বেড়ে গেল, পরের পর্বের জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষায় রইলাম।
  • Ekak | ***:*** | ০৬ আগস্ট ২০১৭ ১০:০৫60697
  • বাহ্ , অপেক্ষায় রইলুম ।
  • avi | ***:*** | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৫60698
  • স্বর্ণেন্দুকে ক।
    পাঠকের প্রশ্ন সম্পূর্ণ আলাদা একটি প্রবন্ধের দাবি রাখে। পরের কিস্তির অপেক্ষায়।
  • | ***:*** | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৫:৪৪60699
  • দারুণ দুর্ধর্ষ চমৎকার
    পরের অংশ কই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন