এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ক্যামেরা উবাচঃ

    Rabimba Karanjai লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ নভেম্বর ২০১৭ | ৩৭০৭ বার পঠিত
  • কিছুদিন আগে "cal comm" এর এক দৈনন্দিন থ্রেড এ বিশাল আলোচনা চলছিলো মোবাইল নিয়ে। কম মোবাইল ভালো, কোনটা ভালোনা, iPhone ছাড়া কেন জীবন বৃথা।ওয়ান প্লাস এর চেয়ে ভালো কোনো ফোন পৃথিবীতে হতেই পারেনা, মাই( ছি ছিঃ ) ফোন কত ভালো ইত্যাদি।এসবের মধ্যে অবধারিত ভাবে ক্যামেরা এর ছবি comparison এর কথা চলেই এলো. এবং যথারীতি আমি ঘরের খেয়ে বোনের মোষ তাড়ানোর জন্যে সেখানে হাজির হয়ে বলতে গেলাম গুগল এর pixel এদের মধ্যে সেরা।
    এবং যা হয়ে থাকে। হৈ হৈ রৈ রৈ করে সবাই তেড়ে এলো যে কেন ওয়ান প্লাস ভালো নয়.
    (পুরো থ্রেড টা পড়তে গেলে সেটা এখানে https://www.facebook.com/groups/thisiscalcomm/permalink/1613806425347134/ এবং বেশ কিছু মজার উবাচ https://www.facebook.com/groups/thisiscalcomm/permalink/1613806425347134/?comment_id=1613946611999782&reply_comment_id=1613954581998985&comment_tracking=%7B%22tn%22%3A%22R9%22%7D এবং https://www.facebook.com/groups/thisiscalcomm/permalink/1613806425347134/?comment_id=1613946611999782&reply_comment_id=1613988191995624&comment_tracking=%7B%22tn%22%3A%22R9%22%7D , https://www.facebook.com/groups/thisiscalcomm/permalink/1613806425347134/?comment_id=1614056501988793&comment_tracking=%7B%22tn%22%3A%22R9%22%7D ইত্যাদি :P )

    তারপর ওখানে জল অনেক গড়িয়ে গঙ্গায় থেমেছে, এবং আমি কিছুক্ষন মজা করেই পালিয়ে গেছি। কিন্তু বার বার আমার কাছে পিক্সেল এর ক্যামেরা এর কনফিগারেশন চাওয়া হচ্ছিলো (https://www.facebook.com/groups/thisiscalcomm/permalink/1613806425347134/?comment_id=1614047911989652&comment_tracking=%7B%22tn%22%3A%22R9%22%7D) যেটা আমি দেইনি কারণ আমার মতে আজকাল হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন এর সাথে ছবির সম্পর্ক সাধারণত কিছু থাকেনা।

    কিন্তু বুঝতে পারলাম অনেকেই সেটাকেই মূলমন্ত্র এখনো ধরে থাকে। তাই আজকের এই প্যাঁচাল পাড়া। আজকের এই লেখার বক্তব্য গুগল পিক্সেল ২ এর ভিডিও stabilization নিয়ে কথা বলা. যারা জানেনা তাদের জন্যে বলা, বর্তমানের সমস্ত ফোন, iPhone X কে ধরলেও আপাতত গুগল পিক্সেল এর ক্যামেরা কেই সবচেয়ে ভালো বলা হচ্ছে। আমি বলছিনা, DXOmark (https://www.dxomark.com/google-pixel-2-reviewed-sets-new-record-smartphone-camera-quality/) জাতীয় ইন্ডাস্ট্রি টেস্টার রা বলছে যাদের আপেল, গুগল রা বেঞ্চমার্ক হিসেবে cite করে থাকে। আপনারা নিজেরাও একটু সার্চ করে দেখতে পারেন, শুধু যেকোনো ব্লগ না পরে একটু রেপুটেড ব্লগ বা পোস্ট পড়বেন।

    তা যদি ধরেই নেই যে তারাই সবচেয়ে ভালো তাহলেও তাদের অন্যতম কীর্তি এর মধ্যে একটু হলো ভিডিও stabilization . হাতে ধরে তোলা ভিডিও তে jitter কমানো। সাধারণত আজকালকার সব দামি ফোনেই (iPhone সহো) এটা অপটিক্যাল ইমেজ stabilization বা হার্ডওয়্যার এর সাহায্যে করা হয়ে থাকে। গুগল তার সাথে ইলেকট্রনিক ইমেজ stabilization যুক্ত করেছে। তাদের রিলিজ এ এই তুলনামূলক ভিডিও টা তারা প্রকাশ করেছিল। তারপর যদিও অনেক ভিডিও ব্লগার রা এটা টেস্ট করেছে


    এসব বলার পরে যাই আসলে তাহলে হচ্ছে টা কি. কিভাবে তারা বাকি সবার থেকে, এমনকি DSLR বা iPhone এর ভিডিও stabilization কে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছে।

    এটা বুঝতে হলে আমাদের শুরু করতে হবে ক্যামেরা shake থেকে।
    লোকেরা সাধারণত ভিডিও রেকর্ড তাদের ফোন হাতে ধরেই করে. কিন্তু তার মানে আমরা যখন ভিডিও রেকর্ড করি তখন সেটা হাতের ঝাকুনি সময় রেকর্ড হয়. অনেক সময়েই এই ঝাকুনি সেই ভিডিও গুলোর বারোটা বাজিয়ে দেয়. হাতে ধরে তোলা ভিডিও কখনোই ট্রাইপড এ তোলা ভিডিও এর মতো সুন্দর স্টেবল হয়না।

    এর সঙ্গে এসে যুক্ত হয় মোশন blur .
    ভিডিও করার সময় হয় ক্যামেরা বা ছবির সাবজেক্ট নড়া চড়া করলেই ভিডিও blurry হবে. আমরা ধরেই নেই এটা হচ্ছে কারণ ফোকাস হচ্ছেনা।কিন্তু আসলে আমরা যদি প্রত্যেক তা ইন্ডিভিজুয়াল ফ্রেম কে ফোকাস করেও consecutive ফ্রেম কে stablize করি তাহলেও মোশন ব্লার মোবাইল এ যায়না। একটা খুব কমন সাইড ইফেক্ট হয় ভিডিও rapidly শার্প এবং blurry হওয়া। যেটা আমরা ভেবেনেই যে অটো ফোকাস করতে পারছেনা (যেখানে আসলে দোষ অন্য জায়গায় ).
    লো লাইট কন্ডিশন এ মোশন ব্লার এর উদাহরণ

    আপনারা অনেকেই আপনার তোলা ভিডিও তে এরকম দেখে থাকবেন।

    আমাদের চোখের মণি যেমন সব কিছুর ছাপ আমাদের মস্তিষ্কে ছেড়ে যাই, তেমনি ডিজিটাল ক্যামেরা এর ক্ষেত্রে CMOS ইমেজ সেন্সর একই কাজ তা করে. সব ক্যামেরা তাই এটা থাকে।কিন্তু CMOS পুরো দৃশ্য এক সাথে দেখেনা। এক একটা পিক্সেল এর রো (যাকে scanline বলা হয়) একবারে করে "দেখতে দেখতে" পুরো দৃশ্যটা দেখে। েকে আপনি টাইপ রাইটার এ এক এক লাইন করে টাইপ করে পুরোটা টাইপ করার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন।এটা খুবই তাড়াতাড়ি হয়, ১ মিলিসেকেন্ড এর ১০ ভাগের ১ ভাগ সময় নেই পুরো কাজ সম্পন্ন হতে. কিন্তু তাও যদি এর মধ্যে ছবির কোনো অংশ "চলমান" হয় তাহলে সেই অংশ সামান্য ডিস্টর্টেড আসবে।ক্যামেরার পরিভাষায় একে শাটার ডিস্টর্শন বলে. এবং সব ক্যামেরা তাই কম বেশি এর অস্তিত্ব আছে. হাত যতই stable হোক, এটা এড়ানো সম্ভব নোই ভিডিও এর ক্ষেত্রে।
    এটা একটা গ্লোবাল এবং রোলিং শাটার এর মধ্যে তুলনা

    ডানদিকের টা রোলিং শাটার

    অনেক সময় ভিডিও রেকর্ড করার সময় হঠাৎ করে একদম কাছে কোনো কিছু বা বস্তু চলে আসলে , ক্যামেরা তার ওপর ফোকাস করে, এবং সে হঠাৎ করে চলে যাওয়ার পর আবার দূরের বস্তুতে ফোকাস করে.এই সময় একটা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল এর চেঞ্জ দেখা যাই.একে ফোকাস breathing বলে. নিচের ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে
    https://www.youtube.com/watch?time_continue=6&v=-v5ru0vI7Gg

    একটা ভালো stabilization সিস্টেম ওপরের সব কটা প্রব্লেম কেই সমাধান করবে।
    আজকালকার বেশিরভাগ প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফার রা হয় মেকানিকাল স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করেন যা এক্টিভলি ওপরের চেঞ্জেস গুলোকে ডিটেক্ট করে কাউন্টার করতে পারে। কিন্তু সেসব এর দাম সাধারণত বেশ বেশি হয়.

    একটা খুব কমন সমাধান যা প্রায় সব মোবাইল প্রস্তুতকরক রা তাদের দামি মোবাইল এ ব্যবহার করে তা হলো অপটিক্যাল ইমেজ stabilization বা সংক্ষেপে OIS . সাধারণত সেক্ষেত্রে ক্যামেরা এর লেন্স তা কতগুলো স্প্রিং এবং ইলেক্ট্রোমেগনেট এর মধ্যে ঝুলে (সাসপেন্ডেড) থাকে। এই পুরো সিস্টেম তা হাতের ঝাকুনি সেন্স করে তার এগেইনস্ট এ কম্পেন্সেট করে. সুতরাং মোশন ব্লার এর মোকাবিলা খুব ভালো ভাবে করতে পারে। কিন্তু এর ক্ষমতা খুবই সীমিত। OSS সাধারণত ১-২ ডিগ্ৰী এর মধ্যে ভাইব্রেশন কে কম্পেন্সেট করতে পরে. তার বেশি না. এবং উল্টে এটা "জেলো ইফেক্ট" বলে একটা জিনিস ইন্ট্রোডিউস করে যেরকম নিচের ভিডিও তে গুগল অফিস এ দেখা যাচ্ছে
    https://www.youtube.com/watch?time_continue=2&v=-hbvER3VetE

    এছাড়া আছে EIS বা ইলেকট্রনিক ইমেজ stabilization যেটা ওপরের কাজ গুলোই সম্পূর্ণ সফটওয়্যার এর সাহায্যে করতে চেষ্টা করে. কিন্তু খুব স্বাভাবিক ভাবেই মোবাইল এর প্রসেসর এ সেটা রিয়েল-টাইম এ compute করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

    গুগল এর রাস্তা:

    গুগল ঠিক করেছে তাদের দুই রাস্তার ই ভালো জিনিস গুলো চাই. কিভাবে? তিন স্টেজ এ.
    স্টেজ ১ এ গুগল ছবিতে মোশন analyze করে এবং gyroscope এর ডাটা বার করে যাতে সঠিক ভাবে "ইউসার" তার ক্যামেরা টা কোনদিকে ঘোরাচ্ছে সেটা আন্দাজ করা যাই.
    স্টেজ ২ এ মোশন ফিল্টারিং, মেশিন লার্নিং এবং সিগন্যাল প্রসেসিং এর সাহায্যে প্রেডিক্ট করে ব্যবহারকারী কতটা কোনো বিশেষ দিকে ঘোরাচ্ছে ক্যামেরা।
    স্টেজ ৩ এ ফ্রেম সিন্থেসিস করা হয়.
    সংক্ষেপে



    এবারে বিশদে।

    ১. মোশন এনালাইসিস:
    এই স্টেজ এ গুগল, ফোন এর হাই স্পিড gyroscope ব্যবহার করে ভিডিও রেকর্ডার এর হাতের ঘূর্ণন কোন এক্সিস এ কত সেটা আন্দাজ করে. মোশন ২০০Hz এ এস্টিমেট করার জন্যে CMOS এর প্রত্যেক তা scanline এর জন্যে গুগল একটা করে ডেন্স মোশন ভেক্টর নির্ধারণ করতে পারে।এই করেই অবশ্য গুগল ক্ষান্ত থাকেনা।তারা এর সঙ্গে ফোকাস অ্যাডজাস্টমেন্ট এবং OIS এর মুভমেন্ট এর তথ্য ও কালেক্ট করে যাতে তার সাথে ক্যালকুলেশন এবং মুভমেন্ট প্রেডিকশন ক্যালিব্রেটে করা যাই. ১ মিলিসেকেন্ড এর মিসক্যালিব্রেশন এই সব চেষ্টাই জল ঢেলে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।
    ২. মোশন ফিল্টারিং:
    খুব সহজ ভাষায় আগের সমত তথ্য সহকারে এই স্টেজ এ গুগল ব্যবহার করি এর "ইনটেনশন" বা ইচ্ছে "প্রেডিক্ট" করে. একটু জটিল ভাষায় বললে, এই স্টেজ এ ক্যামেরা এর সেন্সর থেকে আসা আসল মোশন তথ্য এর সাথে আগের ধাপে আসা তথ্য অনুসারে বানানো মডেল মিলিয়ে একটা ভার্চুয়াল ক্যামেরা মোশন তৈরী করে. যা সাহায্য করে "ফিউচার ফ্রেম এর লুকহেড" এ.
    সাদা বাংলায় গুগল কোন ছবি বা ভিডিও তে পরবর্তী সময়ে কি হতে যাচ্ছে (আমাদের হাত কোন দিকে কাঁপবে) তা আগে থেকে প্রেডিক্ট করছে। এই পদ্ধতি OIS এর ক্ষেত্রে কোনোদিন সম্ভব নয়.
    ৩. ফ্রেম সিনথেসিস:
    শেষ এই স্টেজ এ গুগল অনেক কোষে বার করে আগের দুই ধাপের তথ্য অবলম্বনে যে কি কি ডিস্টর্শন আস্তে পারে আমাদের পরবর্তী কয়েক মিলিসেকেন্ড এর হাতের প্রেডিক্টেড কাঁপুনি এর জন্যে।সেই হিসেবে আমাদের CMOS দিয়ে আসা ছবিকে মেশ এ ডিভাইড করে প্রত্যেক টা ফ্রেম কে কারেকশন এলগোরিদম এর মধ্যে দিয়ে পাস করায়
    নিচে দেখা যাচ্ছে


    এবং এই পুরো পদ্ধতি তা Pixel ২ এর ক্যামেরা তে realtime এ হয়ে থাকে ভিডিও তোলার সময়.

    মজার বিষয়?
    গুগল এর পুরো পদ্ধতিটার মধ্যে সবচেয়ে অসাধারণ কার্য টা হচ্ছে এদের লুকহেড মোশন ফিল্টারিং, বা সহজে বললে ভবিষ্যৎ এর আন্দাজ করে মোশনে র ফিল্টারিং করা. গুগল এর এলগোরিদম আমাদের ছোটোখাটো wrist মোশন, হাতের নড়াচড়া থেকে মোশন প্যাটার্ন আন্দাজ করে এবং তা থেকে ভবিষ্যতে ওর ক্যামেরা কি কি ছবি দকেহতে পারে তার সব ছবি নেই. সেই সব ছবি (অতীত এন্ড ভবিষ্যৎ) মিশিয়ে তৈরী করে ভিডিও। যাতে অতীত এবং ভবিষ্যৎ এর অবজেক্ট প্লেসমেন্ট থেকে প্রেডিক্ট করে বর্তমানে অবজেক্টটির কোথায় থাকা উচিত সেটা এস্টিমেট করে মোশন blur এ সাথে মোশন এর স্পিড ক্যালকুলেট করে accurate অবজেক্ট প্লেসমেন্ট করা যায়।
    আবার, কিকরে?
    বিশদে বললে,

    প্রথম ধাপে আসল ক্যামেরা ইমেজ এ গাউসিয়ান ফিল্টার ব্যবহার করে ৩ স্টেপ এর ছবি fuse করা হয়. প্রত্যেক মুহূর্ত এর অতীত,বর্তমান এবং perceived ভবিষ্যৎ এর.
    ছবির কোয়ালিটি আরো ভালো করার জন্যে গুগল এর মেশিন লার্নিং এলগোরিদম আমাদের ক্যামেরা এর noisy motion ডাটা থেকে শুধু ডাইরেকশন না, আমাদের ইনটেনশন ক্যালকুলেট করে। সেই প্রেডিক্টেড ইন্টেনডেড মোশন এর ওপরে ফিল্টার এপলাই করা হয়. যেমন যদি তারা প্রেডিক্ট করে যে ক্যামেরা হরাইজন্টাল প্যান করছে তাহলে যেকোনো রকমের ভার্টিকাল subtle মোশন কে ক্যামেরা রিজেক্ট এবং কাউন্টার করবে।

    ফলাফল?
    এই ভিডিও টাই ক্যামেরা ম্যান খালি হাতে ফোন ধরে(দুটো ফোন একটা মাউন্ট এ বসিয়ে) ওই লোক তার সঙ্গে লাফাচ্ছে বালির স্তুপ এর ওপরে। বা দিকের টাই উপরোক্ত পদ্ধতি ছাড়া ফলাফল, এবং দেন দিকের টাই উপরোক্ত পদ্ধতি সহ ফলাফল।

    https://www.youtube.com/watch?time_continue=8&v=kaO7Gs-F2vA

    ওহ হ্যা। আমি নিজেও অসংখ্য ভিডিও তুলেছি এবংএটা নোটিশ করেছি আমার ওয়ান প্লাস ওয়ান, বন্ধুর iPhone ৮ এবং ওয়ান প্লাস ৫ এর সঙ্গেও (এবং আরো অনেক কটা ফোন এর সঙ্গেও যদিও).

    এলগোরিদম গুলোর ব্যাখ্যা বাংলায় কিকরে ফর্মুলা লিখে করে আমার জানা নেই. তাই আজ ঘুমোতে গেলাম। কিন্তু প্রশ্ন থাকলে আমার ক্ষমতা অনুসারে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
    আরো মজার মজার জিন্স জানতে চাইলে এনাকে ফলো করতে পারেন https://scholar.google.com/citations?hl=en&user=CpkBapgAAAAJ&view_op=list_works&sortby=pubdate

    উপসংহার এবং ডিসক্লেইমার: ট্যাগিত (https://www.facebook.com/groups/thisiscalcomm/permalink/1613806425347134/?comment_id=1614026638658446&comment_tracking=%7B%22tn%22%3A%22R9%22%7D) উক্তি থাকা সত্বেও বলতে চাই আমি কোনো ভাবেই TCS এর সাথে যুক্ত নোই. আমি এক সামান্য গরিব দুঃখী এবং বর্তমানে বেকার ছাত্র। (ছাত্র বলেই এরম করে সত্যি TCS এর নাম নিয়ে হ্যাটা করে). আমি শুধু এক নন-প্রফিট অর্গানিজশ্নে র সাথে গরু খোঁজার কাজে যুক্ত আছি আমার ছাত্র বৃত্তি এর কাজ বাদে। সেখানেও আমার কাজ ছদ্ম, প্রভাবিত এবং মিশ্র বাস্তব নিয়ে (প্রায় স্বপ্ন এ বলতে পারেন). আমরা browser বানাই :(
    এখনো আমাদের ফক্স কে ভালোবেসে কেউ ব্যবহার করে থাকলে তার URL বার এ about:credits টাইপ করে এন্টার মারলে R এর সেকশন এ দ্বিতীয় বোধয়। কিন্তু তা বলে এরকম করে নিরীহ বেকার ছাত্র কে হ্যাটা করার প্রতিবাদ জানিয়ে গেলুম।

    পুনশ্চ : এটার একটা একটু বেটার ফর্মাটেটেড ভার্সন এখানেও পোস্ট করলাম https://medium.com/@rabimba/ক্যামেরা-উবাচ-615840b7d8ef
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ নভেম্বর ২০১৭ | ৩৭০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:৩৩59906
  • আমার ছেলেও সার্টিফিকেট দিয়েছে, পিক্সেলের ক্যামেরা বেস্ট। যদিও বাকি সব কিছুই খারাপ। সে অবশ্য শুধু রিভিউ পড়ে আর ইউটিউব দেখে। :-)
  • pi | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:০২59907
  • টপিক খুবই ইন্টারেস্টিং। তবে কিছু জায়গা আরো ভাল করে পড়ে বুঝতে হবে। তবে ক্যাল কমের থ্রেডের রেফারেন্সগুলো এখানে বেশিরভাগ লোকেই বুঝবেনা। ওগুলোতে কী নিয়ে তর্ক হয়েছে, লিখে দিলে ভাল হত।

    ক্যামেরাউ ইমেজ স্টেবিলাইজেশন যেভাবে হয়, সেটা গুগল বাদে বাকি মোবাইলে আনাটা কি টেকনোলজিক্যালি খুব চাপের?

    'ছবির কোয়ালিটি আরো ভালো করার জন্যে গুগল এর মেশিন লার্নিং এলগোরিদম আমাদের ক্যামেরা এর noisy motion ডাটা থেকে শুধু ডাইরেকশন না, আমাদের ইনটেনশন ক্যালকুলেট করে।'

    এটা পড়ে পুরো হুব্বা হয়ে গেলাম। ইন্টেশন কীকরে ক্যালকুলেট করে একটু উদাঃ দিয়ে বোঝানো হোক।
  • Blank | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:২৬59908
  • dxomark আইফোন এক্সের স্টিল ক্যামেরাকে ১০১ দিয়েছে। পিক্সেল ২ পেয়েছে ৯৯।
    ভিডিও তে ইমেজ স্টেবি তে আইফোন ৯১, পিক্সেল ৯৩।
  • Rabimba Karanjai | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:২২59909
  • হ্যা। স্টিল ইমেজ এর জন্যে DXOMark জুম্ , পোর্ট্রেট মোড ইত্যাদি অনেক কিছু দেখে। iPhone এর ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ সেই জায়গা গুলোতে বেশি পয়েন্ট পাবেই। শুধু ইফোনে কেন, স্যামসুং নোট ৮ বা S৮ এর স্কোর দেখলেও সেটা দেখা যাবে
  • Rabimba Karanjai | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:২৬59910
  • @pi :

    না অন্য মোবাইল এ আনাও একেবারেই চাপের না. বিশেষত যখন গুগল পাবলিশ করে দিয়েছে তারা কিকরে করে. কিন্তু রেজাল্ট তও vary করবে কারণ সবাই একই চিপ ব্যবহার করেন (টাকা বাঁচানোর জন্যে) এবং সবাই তাদের মডেল কে একই রকম ভাবে ট্রেন ও করতে পারবেনা (ডাটা এর অভাবে). এবং সর্বোপরি, সবার সফটওয়্যার ইম্প্লিমেন্টেশন একদম একই হবেনা।
    কিন্তু চাইলে করা যাবে।

    আর ব্যাখ্যা তা করার জন্যে আমায় অন্য একটা পোস্ট লিখতে হবে. কিছু ডায়াগ্রাম এবং ছবি দেখানো দরকার
  • Rabimba Karanjai | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:২৬59912
  • ধন্যবাদ। সঙ্গে আমি যার লেখা ওরজিনাল ই তার প্রোফাইল এবং এর সংক্রান্ত পাবলিকেশন এর লিংক ও দিয়েছি লেখাটির শেষে। এলগোরিদম এর ব্যাখ্যা এবং ভেতরে কি হচ্ছে তা ব্লগ এ নেই. কিন্তু তার পেপার (এবং দুটো পেটেণ্ট) এ আছে
  • Rabimba Karanjai | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:২৭59913
  • এবং সঙ্গে এটাও বলে রাখি। কোনো লুকোনোর মতলব এ না. সব কোটা youtube ভিডিও ই তার একাউন্ট এর. reupload না
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন