এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মানুষের গল্প

    শক্তি দত্তরায় করভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৩২৮ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • এটা একটা গল্প। একটাই গল্প। একেবারে বানানো নয় - কাহিনীটি একটু অন্যরকম। কারো একান্ত সুগোপন ব্যক্তিগত দুঃখকে সকলের কাছে অনাবৃত করা কতদূর সমীচীন হচ্ছে জানি না, কতটুকু প্রকাশ করব তা নিজেই ঠিক করতে পারছি না। জন্মগত প্রকৃতিচিহ্নের বিপরীতমুখী মানুষদের অসহায় আত্মধ্বংসের গল্প এটি, আমাদের কাছে যাঁদের একটু সহমর্মিতা প্রাপ্য ছিল। পরিপার্শ্বের বিড়ম্বনায় ক্লিষ্ট মানুষ একটু সম্মান আশা করতে পারতো। মানুষ না মানুষী নিছক প্রকৃতিনির্দিষ্ট এই চিহ্নের বাইরে উড়তে চাওয়া এমনই মানুষের, প্রতিভার অকাল সমাপ্তির এই আখ্যান।

    ------------------------------------

    উচ্চশিক্ষিত পরিবারের মেধাবী সন্তান, যেমন হয়, মা বাবার নয়নমনি, কে না ভালবাসে শিশুটিকে। পাড়ায় বাচ্চাদের নাটকে অমল, শারোদৎসবে যখন গায় অমলধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া তখন সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। শিশুটি অন্য পাঁচটি শিশুর মতোই মায়ের প্রাণের ধন। অনেক বন্ধু আছে। মুখটি বড় বেশি কমনীয় যেন মোমে গড়া গোপাল ঠাকুরটি।
    এখন তার ষোল বছর, হালকা গোঁফের রেখা কোমল কমনীয় মুখ মণ্ডলে বেমানান লাগে যেন! হাঁটাচলার ভঙ্গীতে কেমন যেন 'মেয়েলিপনা'? রাস্তায় খেলার মাঠে টিটকারি খেয়ে কেঁদে ফেলে - ন্যাকামি দেখে বড়রাও কেউ কেউ হাসে। মাধ্যমিকে ফার্ষ্ট ডিভিশন হোল। বাবা মফস্বলী বিড়ম্বনার থেকে ছেলেকে বাঁচাতে মহানগরীর উপকণ্ঠে অভিজাত বোর্ডিং স্কুলে ছেলেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মায়ের কোল আঁকড়ানো ছেলে অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়তে এলো। মহাপুরুষের নামাঙ্কিত বিদ্যাপ্রতিষ্ঠান। ভদ্র, নীতিনিষ্ঠ পরিমন্ডল। পড়াশোনা অব্যাহত, বিশেষ উত্সব দিনে ভজনসঙ্গীতে এখানেও কত সাধুবাদ। কিন্তু ছেলেটা একটু মেয়ে মতো কেন? বিদ্রূপ বান এখানেও বিদ্ধ করে, আত্মহননের ব্যর্থ চেষ্টা আরও নিন্দাভাজন করে তোলে - কর্তৃপক্ষ এরকম ছেলেকে বহিষ্কার করলেন।

    অসহায় অভিভাবক আবার নিয়ে এলে নিজের শহরে। এখানেও ভালো রেজাল্ট, আবারো নাটকে অভিনয়, গান। কিন্তু ছেলেটা বড্ড ন্যাকা আর মেয়েলি যে, তবু এই ছোট শহরে ছেলেমেয়েরা অনেকেই এই নম্র ভদ্র তরুণটিকে ভালোবাসে। তার নিজকে বড্ড হীন মনে হয় - বাসে কোন সহযাত্রী যখন তার দুর্বলতা কে নিষ্ঠুর আঘাতে জর্জরিত করে। সে তবু বাঁচতে চায় ভাগ্যকে জয় করতে চায়। জীবন তার কাছেও খুব প্রিয়।
    ছেলে টি এমএ পড়তে এসেছিলো স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিদ্যাকেন্দ্রে। গান গেয়েছিলো। চড়ুইভাতিতে মেতেছিল নদীর চরে। প্রকৃতি নিজের খেয়ালে যাকে প্রান্তসীমায় দাঁড় করিয়ে দেয়। ঘরেও নয়, পরেও সে মাঝ খানে দাঁড়িয়ে একাই পুড়তে থাকে, সে যেন রৌদ্রদগ্ধ বালুচরে দৃপ্ত কাশের দণ্ড, একবিন্দু বারি ধারা তার জন্য বরাদ্দ নয়। তার মা, বাবার সম্মান তার কারণে বিপন্ন তবু তার লড়াই চলে তুলি, কলম, তানপুরায়।
    কিন্তু আর সে পারলো না, অভিজিত, দেবব্রতরা যেদিন সবার সামনে সেই সুসংস্কৃত প্রতিষ্ঠানে শাড়ি পরিয়ে আমোদ করলো পরদিন ভোর রাতে সে পরিপাটি বিছানা পত্র গোছালো, ধোপার হিসেব মিলিয়ে টাকা রাখলো, গুছিয়ে রাখলো প্রিয় তানপুরা আর তুলি কলম। চিরকুটে কি লিখলো?
    শাড়ীটি পেঁচিয়ে নিলো দড়ির মতো।

    -------------------------------

    তখনও আমদের রাজ্যে মেয়েদের ছোট করে চুল ছাঁটার রেওয়াজই হয়নি। যাদের চুলে তেমন গোছ নেই তারাও লিকলিকে দুই বেণী বেঁধে স্কুলে আসে আর মরমে মরে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে স্কুলে একদিন শোরগোল পড়ে গেল। দীপ্তা তার কোমর ছাপানো লম্বা এবং মোটা দুটো বেণী ঘাড়ের কাছে কেটে ফেলেছে। বয়কাটের নাম কেউ শোনেনি তখনও। এই অদ্ভুত কাণ্ডে সবাই অবাক, বিরক্তও। দিদিমণিরা কারণ জানতে চান। মেয়েরাও অনুসন্ধিৎসু। দীপ্তা শুধু লাল টুকটুকে ঠোঁটের ফাঁকে মুক্তোর মতো দাঁত দেখিয়ে হাসে।
    মেয়েটার সব ভালো। খেলা ধুলায় চৌকস, শৃঙ্খলা পরায়ণ, এনসিসি-র ভালো ক্যাডেট, প্রেয়ার এসেম্বলিতে মাইক সেটিং সেই করে, কমান্ড দেয় -
    উপরন্তু পড়াশোনাতেও ভালো, শুধু যতই দিন যাচ্ছে মেয়েটা কেমন যেন ছেলেদের অনুকরণ করছে। ক্লাস নাইনে উঠে শাড়ী পরলো না অন্যদের মতো। বড় দিদিমণির কাছে পারমিশন চেয়ে ঢোলা একটা পাজামার ওপর লম্বা একটা হাওয়াই শার্টে র মতো নিজের উদ্ভাবিত ডিজাইনের ড্রেস পরতে শুরু করলো। উদারচিত্ত বড় দিদিমণি পারমিশন দিলে কি হয়? রাস্তায় ছেলেরা ছেড়ে কথা কইবে? তায় আবার পঞ্চান্ন বছর আগে মেয়ে হয়ে সাইকেলে ঘোরা! দীপ্তা ছাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় - ছাত্রীসংসদের সেক্রেটারি। তাই বলে মেয়েরাও টিপ্পনী কাটতে কম যায় নাকি ?

    ব্যাপার ক্লাইমেক্সে পৌঁছল এক সময় যখন এনসিসি ক্যাম্পে ওকে মেয়েদের সঙ্গে থাকতে দেয়া হবে কিনা এই প্রশ্নে মেডিকেল বোর্ডে হাজির হতে বলা হোল। জোর আপত্তি করলো দীপ্তা। এখন নিজের নাম বলে দীপু। দীপ্তা ডাকলে উত্তর দেয় না। - আস্তে আস্তে কোনঠাসা হচ্ছিল একদা উজ্জ্বল মেয়েটি। ড্রপ দিল পরীক্ষায়। আমাদের কষ্ট লাগে, কিন্তু ওর কিম্ভূত চালচলন কেন তাও বুঝি না। বড়রা বলেন ওর মা বাবারই দোষ, ছোটবেলায় প্রশ্রয় না দিলে এমন হোত না। বড় দিদিমণি দুঃখ করেন - আমি শাড়ি না পরার পারমিশনটা না দিলেই পারতাম।

    অদম্য প্রাণশক্তি দিয়েছিলেন সৃষ্টিকর্তা। আবার দীপ্তা ওরফে দীপু ঘুরে দাঁড়ালো - এইচএস পাস করে কলেজে এলো। ছেলেদের কমনরুমে বসার প্রশ্ন নেই, মেয়েদের কমন রুমে স্বাগত নয়। ওর সঙ্গে বাক্যালাপ জারি রাখলেও কেউ অন্তরঙ্গ হয় না। ঘরেও নহে, পরে ও নহে, সে তো আছে মাঝখানে, কে ডেকে লয় তারে, শুনেছি পরিবারেও পরে জায়গা হয় নি তার।
    একক নিঃসঙ্গ মেয়েটির খবর রাখিনি আর পাশে দাঁড়াইনি কেউ।

    আমাদের অসহায় বন্ধুটি যখন গেলো, তার সমস্যা নিয়ে কথা বলা তখন অসভ্যতা। এখন কি ঐ ছেলে মেয়েরা তাঁদের পরিজনরা একটু স্বস্তিতে আছেন - জানি না।
    দীপ্তা মেয়ে হয়ে জন্মেও মনে প্রাণে ছেলে হতে চেয়েছিলো, আর কোন দোষ করেনি, কারো ক্ষতি করেনি। আমরা নিরপরাধকে ক্ষত বিক্ষত করেছি। কত অপরাধী চোখের সামনে ঘোরে তাদের শাস্তি দিই এমন সাধ্য তো নেই।

    কত দিন আগের কথা। চার, পাঁচ দশক।
    অনেক বছর পর, ঋতুপর্ণ ঘোষ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, তাঁর যাওয়া অনেকের বাঁচার দাবী প্রতিষ্ঠা করেছে। ঋতুপর্ণ চলে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল, আমার ওই বন্ধুরা তো তাঁর কথা জানলো না। দাবী, অধিকারের কথা জানলো না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৩২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | ***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৩59303
  • এরকম কত জনের জীবন যে নরক হয়েছে!

    এখন কি পরিস্থিতি কিছু ভাল হয়েছে মনে হয়? ত্রিপুরায়, গ্রামেগন্জে?

    আদিবাসীদের মধ্যে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা কেমন জানার ইচ্ছা আছে।
  • Du | ***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৩৬59304
  • কেন এই অকারন হিংস্রতা। ভেবে কুল পাইনা।
  • খাতাঞ্চী | ***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:০৭59301
  • #
  • AS | ***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:৫০59302
  • নতুন করে ভাবালো
  • de | ***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:০২59305
  • অসম্ভব কষ্ট হয় ভাবলে, পড়লে - এতো ওয়ান ডায়মেনশনাল কি সভ্যতা হয়?
  • সিকি | ***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:২৭59306
  • ...
  • নির | ***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:২৯59307
  • স্কুল বা হোস্টেলের বেশ কিছু খারাপ দিক আছে। মানুষ কিছুটা প্যাক এনিম্যালের মত বিহেভ করে এসব জায়গায়। নিজের স্কুল লাইফের হোস্টেলের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কত সামান্য কারণে একজন ছেলেকে ostracize করে দেওয়া হত। কেউ তার পাশে বসবে না, তার সাথে কথা বলবে না। অন্যদের কাছে মজা, তার কাছে মৃত্যু। এইসব জায়গায় মানুষকে বাধ্য করা হয় তার নিজস্বতাটাকে চাপা দিয়ে সবার সাথে 'মানিয়ে' চলতে। এর পেছনে র‍্যাগিং ভাল টাইপের একটা যুক্তিও দেওয়া হয়। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মত এডুকেশন ফ্রম হোম নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা দরকার।
  • ঋক আর কিছুনা | ***:*** | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৪৫59308
  • বড্ড কষ্ট হলো ... :(
  • | ***:*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৮59309
  • কদিন আগে বোধয় এই সেপ্টেম্বরেই এই সময় পত্রিকায় দুজন অভিভাবক অ তাঁদের সন্তানদের।নিয়ে ফীচার করেছিল যাঁরা সন্তানএর সেকসুয়ালিটির পরিবর্তন শুধু যে মেনে নিয়েছেন তাই নয় অপারেশান ইত্যাদিতেও এগিয়ে এসে সাহায্য করছেন ভহিরে রালহপছেন নিজ সন্তানকে। দেখে খুব ভাল লেগেছিল। একটা দুটো হলেও লাইটহাউস তো।

    লিঙ্ক খুঁজে পেলে এখানে পেস্ট করে দেব।
  • শক্তি দত্তরায় করভৌমিক | ***:*** | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:২৭59310
  • নামের বাক্স আসছেনা, এই পোকাটা তো ঝামেলার।

    নৈ:শব্দের পত্রগুচ্ছ প্রসঙ্গে এটা মনে পড়লো।
  • খাতাঞ্চী | ***:*** | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:০৩59311
  • কম্পু থেকে আবার নামের বাক্স এলো।
  • | ***:*** | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:২১59312
  • ওটা মোবাইলের বাগ। যখন দেখবে নামের বাক্স আসছেনা উপরে ওয়েব ভার্সানে ছুঁয়ে দেবে। ওয়েব ভার্সান লোড হলে আবার খুলবে দেখবে নামের বাক্স এসে গেছে।
  • r2h | 134.238.***.*** | ২১ জুন ২০২২ ১৩:১০509221
  • এটা তুলি। প্রতিভাদি আর শিবংশুদার লেখাটা পড়ে মনে হলো।

    যা অচেনা তাকে খুঁচিয়ে দেখা বোধয় জীবেদের প্রবৃত্তি। কিন্তু সেটা আবার স্থান কাল অনুসারে একটু একটু অন্যরকম হয়।
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:39c5:43c4:65d3:***:*** | ২২ জুন ২০২২ ০০:২১509245
  • সত্যি তুলে আনাটা ভালো হয়েছে। একশো ভাগ ছুঁতে পারলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন