এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পুজোর চিঠি/ পর্ব 2

    Atanu Sanpui লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ | ২২৯২ বার পঠিত
  • ।।।সপ্তমীর চিঠি।।।

    বিয়াস,
    মেঘের আড়ালে মেঘ, তার আড়ালে আর একটা মেঘ.. দেখেছো কখনও? বলতে পারো তাদের মধ্যে দূরত্ব ঠিক কতোটা? বছর ঘুরে আসে শারদীয়া সপ্তমী তিথি। আর আমি হিসেব করতে বসি, ঠিক কতগুলো জীবনের ওপারে রয়ে গিয়েছে তোমার আমার রঙমিলান্তি সপ্তমীগুলো। সাংবাদিকদের পুজোর ছুটি হয় না। এক বা দুদিন তাও যদি হয়, ষোলশ কিলোমিটার দূরে বাড়ি ফেরার জন্য হপ্তাখানেকের ছুটি.. অসম্ভব। সে বার আমি জানুয়ারি থেকে উইকলি অফ ছাড়া আর কোনও ছুটি নেইনি। আর বসকে জানিয়েছিলাম, পুজোয় দিন দশেকের ছুটি চাইই চাই। তবু শেষবেলায় কী হয় না হয়, তাই তোমায় কিছু বলিনি। পুজোয় আমি তোমার সঙ্গে থাকবো না। প্রথমে তুমি বিশ্বাস করোনি। তারপরের অনেকগুলো রাত ফোন ভিজেছে চোখের জলে। শেষে একদম গুম হয়ে গিয়েছিলে। তারও পরে পুজো নিয়ে আর কোনও কথা বলতে চাইতে না। বুড়ো বাপিরা নিয়মিত জানাতো, চাঁদা কত উঠল। বলতো, ঠাকুর বায়না করতে গিয়ে কী কী হল। সে বারও ওরা চাঁদনি চকের লর্ডসে ট্রাউজার্স বানাতে গিয়েছিল একসঙ্গে। সে গল্পও করেছে। এমনকি তোমাদের বসার ঘরে নতুন রঙ হয়েছে, সেটাও আমাকে বাবলু বলেছিল। শুধু তুমি কিছু বলতে না। এ তোমার অভিমান জানতাম। একে তো এতদিন দেখা হয়নি। তার ওপর পুজোতেও যদি..আমিও তো.. আমারও তো পুজোর দিন যত এগিয়েছে, তত হার্টবিট বেড়েছে। কিন্তু তোমায় বলতে পারিনি, ষষ্ঠীর ভোরের ট্রেনে রিজার্ভেশন করে রেখেছিলাম আগেই। সপ্তমীর সকাল সকাল তোমার আমার বৃন্দাবনে পৌঁছবো বলে। বলিনি.. কারণ ভয় ছিল, যদি লাস্ট মোমেন্টে ক্যানসেল করতে হয়। ষষ্ঠীর ভোরে শেষ কথা বলেছিলাম।
    তারপর ট্রেন.. সে এক অদ্ভূত দিন। একেকটা ঘণ্টা যে এত এত লম্বা হতে পারে, কে জানতো! সপ্তমীর সূর্য তখন সবে আড়মোড়া ভাঙতে চাইছে, পেরিয়ে এলাম খড়গপুর। এবং বাংলায় লেখা পোস্টার-হোর্ডিং-ব্যানার মনে করিয়ে দিল পুজো এসে গিয়েছে। যদিও গত চব্বিশ ঘণ্টা ট্রেনজার্নিতেই একটা গোটা পুজো কাটিয়ে ফেলেছি। মানে পুজোর বাকি দিনগুলোয় কী কী করব, কী কী ভাবে তোমায় চমকে
    দেওয়া যায়, তার লে আউট তখন রেডি। হাওড়া স্টেশন থেকে আসার সময় প্রতি একটা ট্রাফিক সিগন্যাল মনে হচ্ছিল, কলকাতা পুলিশের চক্রান্তের খুঁটি। অবশেষে আমার মোড়ের মাথা..আমার পাড়া.. আমার চাতাল আর ওই.. বসে আছে বুড়ো-বাবলু-পিকলু-বাপি। বাড়িতেও জানাইনি, আমি আসছি। শুধু বোন জানতো। কোনও মতে বাড়ি ঢুকে লাগেজ রাখলাম। এবং..
    মা বাবা কে প্রণাম করে বোনের ঘরে উঁকি মেরে দেখি, দুই সখি মিলে হাতে মেহেন্দি করছো। আমায় দেখে আপ্রাণ নিস্পৃহ ভাব দেখিয়ে জানানো হল,- " তুমি না বললে যেন জানবো না। আগেই জানতাম.." বুঝলাম, সেই কারণেই মেহেন্দি করতে আসা। আর সে দিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, জীবনে আর কোনওদিন কাউকে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টাও করবো না।
    অনেকটা সময় ধরে ফুলকপি আলুর তরকারি দিয়ে লুচি খেয়ে মায়ের সঙ্গে অনাবশ্যক গালগল্প সেরে বেরিয়ে পড়লাম। সবাই এসে আলাপ করছে। এতদিন পরে এলাম.. ততদিনে পাড়ার সবাই আমায় টিভিতে দেখে ফেলেছে। সে পুজোয় আমি হিরো হীরালাল। আামি কিন্তু মোবাইল নিয়েই খুটখুট করেই যাচ্ছি। গোটা পাঁচেক এসএমএস। কোনও উত্তর নেই। শেষে দুহাত ভরা কাঁচা মেহেন্দি নিয়ে তুমি এলে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলে গেলে, "মা-বাবা খেতে নামবে দুটো নাগাদ"। পাড়ায় কমিউনিটি ভোগ। সবাই যে যার মতো সময় করে এসে খেয়ে যায়। তা এর মধ্যে আমার ভূমিকা কী? আমি কী করব? বুঝিনি তখন। পরে বুঝেছিলাম, আমি আজন্ম হাঁদা গঙ্গারাম। এ ছাদ ও ছাদ টপকে, এ সিঁড়ি ও পাঁচিল পেরিয়ে, দেবু কাকুকে ডজ করে, টুসকি পিসিকে হালকা ড্রিবল করে আর কোনওমতে বুড়োর মা-কে ম্যানেজ করে উইং বরাবর এক ছুটে সিঁড়িতে.... আমাদের কুঞ্জবন তোমাদের ওই ছাতের পাশের জেনারেটর ঘরে যখন পৌঁছলাম.. মনে হল এ বোধহয় ওই ষোলশ কিলোমিটারেরও বেশী পথ। কারণ, ও পথে এত টেনশন ছিল না। ও পথ পার হতে প্রতি নিয়ত এতবার কপালের ঘাম মুছতে হয়নি। আধো রাতে নয়। সে ছিল সপ্তমীর ভর দুপুরের অভিসার। চারপাশ দেখে যখন জেনারেটর ঘরে..ড্রিউ ব্যারিমোর আর অপর্ণা সেনের একটা কড়াপাক সংস্করণ তখন আমার সামনে।
    -""বেশ, না? আমাকে ছাড়া পুজো কাটাবে ভেবেছিলে? পারতে? জানো, আমি কত কত কেঁদেছি। তুমিই তো বলো, আজকের জন্যে বাঁচতে.. কাল যা হবে দেখা যাবে। কে বলতে পারে, পরের পুজোয় হয়তো .."
    -"আচ্ছা আচ্ছা হয়েছে.. এই তো এসেছি আমি। দাঁড়িয়ে আছি তোমার সামনে.."
    -"উদ্ধার করে দিয়েছ আর কি। এই নাও। ধরো।"
    -"কী এটা?"
    -"আমার মাথা আর তোমার মুন্ডু। যা বলছি করো। ধরো এটা। টি শার্টের ভিতরে লুকিয়ে নাও। আর শোনো, এটা পরেই বিকেলে বেরোবে আজ। এই রঙ পরি না। এটার হাতার মাপ ঠিক নেই। এ সব যেন না শুনতে হয়। আমি এনেছি। তোমাকে পরতে হবে। ব্যাস্।"
    ব্যাস্। আর তো কোনও কথাই থাকতে পারে না। একবার শুধু বললাম,
    -"তোমার হাতদুটো একটু বাড়িয়ে দেবে বিয়াস। একবার ঠোঁটে ছোঁব হাতের পাতার গোলাপী ও মায়া রেখা.. মেখে নেব মেহেন্দির গন্ধ .."
    তুমি বিশ্বাস করতে তোমাকে ছাড়া আমার পুজো হতে নেই। তাই তোমার কাছে পুজোয় ফিরবই। তোমার বিশ্বাসের মর্যাদা আজও রেখে চলি বিয়াস। আজও ফিরি পুজোয়। তোমার টানে.. তোমারই কাছে.. অবচেতনে। এখনও সপ্তমীতে কমিউনিটি ভোগ হয়। এখনও কাউকে বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে পুজোর মাঝে ট্যাক্সি থেকে নামতে দেখলে তোমার আমার সেই সপ্তমীই মনে পড়ে। এখনও অনেকে পুজোয় হাতে মেহেন্দি করে। কারও কারও মেহেন্দির দাগ লেগে যায় কোনও এক ক্যারিব্যাগে, অজান্তে।
    সে বার সপ্তমীর বিকেলে তোমার দেওয়া গোলাপী পাঞ্জাবি পরে বেরিয়েছিলাম। পাঞ্জাবিটা আজও তুলে রাখা আছে আলমারিতে। আর যে ক্যারিব্যাগে পাঞ্জাবিটা দিয়েছিলে সেই ক্যারিব্যাগটাও..
    ওটায় তোমার হাতের মেহেন্দি লেগে ছিল। তাই ফেলতে পারিনি আজও। অনেকগুলো সপ্তমী পার করেও রয়ে গিয়েছে মেহেন্দির দাগ.. তোমার ভালোবাসা হয়ে। শুধু সেই মেহেন্দির গন্ধটা হারিয়ে গিয়েছে কোনও এক হিসেব হারা মেঘের ওপারে..

    বিয়াস, হারিয়ে গিয়েও এমনিভাবে আঁকড়ে থাকতে হয়!

    #পুজোর_চিঠি
    -অতনু।।
    8 অক্টোবর, 2016
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ | ২২৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:২৪59100
  • ...
  • aranya | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২৭59104
  • অতনু আর সিকি - মধুর লেখা দুজনারই
  • সিকি | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৫৫59101
  • সারপ্রাইজ।

    বহুযুগের ওপার হতে স্মৃতিরা ভেসে এল। তখন চলছে প্রাক-প্রেম পর্ব। মোবাইল ফোন তখনও সেভাবে আসে নি, কখনও ক্কচিৎ কারুর বুকপকেটে তার টিকি দেখা গেলে লোকে ঘুরে ঘুরে তাকাতো। সারপ্রাইজ দেবার অফুরন্ত সুযোগ ছিল তখন।

    আমি তখন পোস্ট গ্র্যাড করছি, সে তখন প্রথম চাকরি পেয়ে মেদিনীপুর টাউনে। মহুয়া সিনেমার কাছেই এক লেডিজ মেসে থাকত, যেরকম একটি মেসবাড়িকে ঘিরে সৌমিত্র অপর্ণার সুপারহিট ছবি বসন্তবিলাপ। সে-গল্পও তো মেদিনীপুর টাউনেই।

    মে মাসের সেই দিনে মেয়েটির জন্মদিন। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। কথা বলার একমাত্র রাস্তা ছিল রাতের বেলায় আমার পেয়িং গেস্ট অ্যাকোমোডেশনের টেলিফোন আর তার মেসের কাছের এসটিডি বুথ। জন্মদিনে তখন কার্ড পাঠাবার চল ছিল। আর্চিজ গ্যালারি তখনকার কিশোরকিশোরীদের মধ্যে সবচে ইন থিং। কিন্তু জন্মদিনে কার্ড তো সবাইই দেয়, তাতে আর নতুনত্ব কী আছে?

    সারপ্রাইজ দেওয়া যাক।

    ভোরবেলা সুকান্তনগর থেকে হাঁটতে হাঁটতে বেলেঘাটা জোড়ামন্দির। সেখান থেকে প্রথম লালবাসে চড়ে হুউশ করে হাওড়া ইশ্টিশন। জানতাম দিনের দ্বিতীয় মেদিনীপুর লোকালটা কখন ছাড়বে, গিয়ে শুধু প্ল্যাটফর্ম নম্বরটা জেনে নেওয়া।

    খড়গপুর ছাড়িয়ে সে ট্রেন গেল ঝুলে। অনেক বেলায় ঢুকল গিয়ে মেদিনীপুর স্টেশনে। স্টেশন থেকে বেরিয়ে প্রথমেই একটি ফোন বুথ খুঁজে নিয়ে মেয়েটির ব্যাঙ্কের নাম্বারে ফোন। ফোন তুলেছিল মেয়েটিই, আওয়াজে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল টেনশনে আর হতাশায় গলা প্রায় বুজে এসেছে। নতুন প্রেমিক, একটা এক্সপেক্টেশন ছিল যে সে সকালে উঠে একটা ফোন করবে মেসের নাম্বারে, আচ্ছা, সকালে না হোক, দশটার পরে ব্যাংকের নম্বরটাতে তো ফোন করতেই পারত, তা না - দশটা গেল, এগারোটা গেল, সে ছেলের ফোনের কোনও পাত্তাই নেই! নেহাত ব্যাঙ্কের নতুন চাকরি, তাই ডাক ছেড়ে কাঁদা যায় না।

    স্টেশন থেকে ব্যাঙ্ক খুব দূরে ছিল না, অতি দ্রুত ব্যাঙ্কের কোন এক "কাকু" নিজ দায়িত্বে তাকে সাইকেলে চাপিয়ে পৌঁছে দিয়ে গেলেন সেই ফোন বুথের কাছে। আমার কাছে সঁপে দিয়ে তিনি আবার উদাসীন ভঙ্গীতে মুচকি মুচকি হেসে সাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেলেন ব্যাঙ্কের ডিউটি দিতে, মেয়েটির সেদিন হাফছুটি হয়ে গেল।

    তারপরে কী হয়েছিল, শ্যামলাল জানে। আমাদের না জানলেও চলবে।
  • kumu | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১০:১০59102
  • সর্বদা শ্যামলালকে টানাটানি!!!

    সে ভালোমানুষ,এত জানে না।
  • Sayantani | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১২:০০59103
  • কি মিষ্টি সিকি!
    এবছর পুজো এ আমার একটি সারপ্রাইজ লাভ হয়েছে। অষ্টমীর বিকেলে আড্ডা মারতে না যাওয়ায় হেব্বি রেগে ঘরে বসে মাসান দেখলাম। তারপর ভোগ এর পোলাও দিয়ে ডিনার সারছি 11ta নাগাদ, হঠাৎ ফোন এলো, তোর পাড়াতে আছি, বেরোতে পারবি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন