।।।নবমীর চিঠি।।।
বিয়াস,
তখন পুজোর সকাল হতো ঢাকের শব্দে নিয়মিত। ঢাকিরা ঘুরতো পাড়ায়। ওই ঢাকের শব্দেই আমি বা আমার মতো আরও অনেকের ঘুম ভাঙতো। আর ঘুম ভাঙলেই আমার প্রথম কাজ হতো ফোন করে তোমায় ঘুম থেকে তোলা। তোমার ঘুম জড়ানো গলা না শুনলে যে আমার সকাল হতো না। যদিও তার ঘণ্টা তিনেক আগেই হয়তো আমাদের ফোনালাপ বন্ধ হয়েছে। হ্যাঁ। তখন আমরা সবে মোবাইল ফোন পেয়েছি। তাই রাতভর ফোনে গল্প করতাম। কত কথা যে জমে থাকতো, সে সব হয়তো কোনওদিন বলাই হতো না, যদি না মোবাইল ফোন থাকতো। তখন পাড়ার ফোনবুথটা উঠে গিয়েছে। আর ল্যা ... ...
।।।অষ্টমীর চিঠি।।।
বিয়াস,
সে অষ্টমী ছিল চরম নাটকীয়। না। অষ্টমীতে নাটক ছিল না। তবে নাটকের ফাইনাল রিহার্সাল ছিল। আর যত কান্ড সেই ফাইনাল রিহার্সালে। শেষ মুহূর্তে নাটক ভেস্তে যায় আর কী! ঠিক হয়েছিল সেবার পাড়ায় বড়দের নাটকটা সত্যিই বড়দের হবে। বেছে নেওয়া হল মনোজ মিত্র-র 'দম্পতি'। কিন্তু শুরুতেই গোল বাধল। এক বয়স্ক দম্পতি আর এক সদ্য বিবাহিত দম্পতির গল্প। বৃদ্ধ দম্পতি পাওয়া গেল। কিন্তু তরুণ দম্পতির কী হবে! বর না হয় আমি হলাম। কিন্তু বউ সাজবে কে? ওই সব সংলাপ..পাড়ার মধ্যে ওই রকম রোল করতে কেউ ... ...
।।।সপ্তমীর চিঠি।।।
বিয়াস,
মেঘের আড়ালে মেঘ, তার আড়ালে আর একটা মেঘ.. দেখেছো কখনও? বলতে পারো তাদের মধ্যে দূরত্ব ঠিক কতোটা? বছর ঘুরে আসে শারদীয়া সপ্তমী তিথি। আর আমি হিসেব করতে বসি, ঠিক কতগুলো জীবনের ওপারে রয়ে গিয়েছে তোমার আমার রঙমিলান্তি সপ্তমীগুলো। সাংবাদিকদের পুজোর ছুটি হয় না। এক বা দুদিন তাও যদি হয়, ষোলশ কিলোমিটার দূরে বাড়ি ফেরার জন্য হপ্তাখানেকের ছুটি.. অসম্ভব। সে বার আমি জানুয়ারি থেকে উইকলি অফ ছাড়া আর কোনও ছুটি নেইনি। আর বসকে জানিয়েছিলাম, পুজোয় দিন দশেকের ছুটি চাইই চাই। তবু শে ... ...
।।।ষষ্ঠীর চিঠি।।।
বিয়াস,
সেলফি স্টিক দিয়ে বর্তমানকে আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা আমার নেই, তুমি জানো। আঙুলের ফাঁক গলে হারিয়ে যাওয়া পেজার আর ফ্লপির সময়ের পুজোর মধ্যে দিয়েই আমি তোমাকে আমাকে খুঁজে পাই। গত বছর সেই মন খুঁড়ে পাওয়া কিছু মুহূর্ত পুজোর দিনগুলোয় তোমায় দিতে চেয়েছিলাম। যে পুজো আজ আর আমরা যাপন করি না। সে পুজোর হদিশ নিতে গেলে নিজেকে জাতিস্মর মনে হয়। তখন চতুর্থী থেকে ঠাকুর দেখা শুরু হত না। বরং উল্টোটা হত। ষষ্ঠী সকালেও পুজো আসছে পুজো আসছে .. রেশ রয়ে যেত। পুজোর জমানো নতুন জামার বদলে আগের বার ... ...