এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পুজোর চিঠি/ পর্ব 3

    Atanu Sanpui লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ | ২০১৩ বার পঠিত
  • ।।।অষ্টমীর চিঠি।।।

    বিয়াস,
    সে অষ্টমী ছিল চরম নাটকীয়। না। অষ্টমীতে নাটক ছিল না। তবে নাটকের ফাইনাল রিহার্সাল ছিল। আর যত কান্ড সেই ফাইনাল রিহার্সালে। শেষ মুহূর্তে নাটক ভেস্তে যায় আর কী! ঠিক হয়েছিল সেবার পাড়ায় বড়দের নাটকটা সত্যিই বড়দের হবে। বেছে নেওয়া হল মনোজ মিত্র-র 'দম্পতি'। কিন্তু শুরুতেই গোল বাধল। এক বয়স্ক দম্পতি আর এক সদ্য বিবাহিত দম্পতির গল্প। বৃদ্ধ দম্পতি পাওয়া গেল। কিন্তু তরুণ দম্পতির কী হবে! বর না হয় আমি হলাম। কিন্তু বউ সাজবে কে? ওই সব সংলাপ..পাড়ার মধ্যে ওই রকম রোল করতে কেউই চাইল না। শেষে দেবুকাকুর অনেক রিকোয়েস্টে তোমাকে রাজি করাতে গেলাম। তবে আামারও একটা শর্ত ছিল। আমি 'বর' হবো না। 'বর' ঠিক একজন না একজন জুটে যাবে। ডিরেক্টর দেবুকাকু রাজী। আর আমি চললাম তোমায় বোঝাতে।
    -"লোক হাসানোর আর লোক পাওনি, না? না না। ও সব আমি পারব না।"
    -"আরে, এতদিন স্টেজে নাচ করছো। এটাও তো একটা পারফরম্যান্স।"
    -"দ্যাখো, নাচ আর অভিনয় দুটো অন্য জিনিস। আর তা ছাড়া ওই সব ডায়ালগ.. না না প্লিজ। বোবার রোল থাকলে দাও। না হলে আমি নেই। ভালোবেসে সোহাগ করার অভিনয় আমাকে দিয়ে হবে না। প্লিজ.. একটু বোঝো.. লক্ষীটি। "
    -"ডায়ালগ ফায়ালগ কোনও ফ্যাক্টরই নয়। অভিনয়টা তো অভিনয়। আর তা ছাড়া আমি আছি তো। প্লিজ, রাজী হয়ে যাও।"
    -"তুমি আছো মানে? তুমি তো বললে.."
    -"আরে, পুরো টিমটার সঙ্গে তো আমি থাকবই। আর অন্য একটা ছোট রোলও করব।"
    -"মানে তুমি রোজ রিহার্সালের সময় থাকবে? আমার ভুল হলে ধরিয়ে দেবে তো?"
    আমার উপর প্রবল ভরসা নাকি রিহার্সালে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো যাবে এই লোভে.. শেষমেষ রাজী হয়ে গিয়েছিলে। শুরু থেকেই আড়ষ্টতা ছিল। তার উপর একান্তে দাম্পত্য সংলাপ। সাবলীল মনে হয়নি কখনওই। কিন্তু ভরসা ছিল তোমার উপর। জানতাম, ঠিক ম্যানেজ করে নেবে। আর ছিল এক অদ্ভূত ভালো লাগা। তোমার পাকা গিন্নির মতো ডায়ালগ ডেলিভারি দেখতাম আর ভাবতাম, অনেকগুলো দিনের পরে এক সময়ে তুমিও আমার সঙ্গে সত্যি সত্যি এইভাবেই কথা বলবে। এই সব ভাবতে ভাবতেই রিহার্সালের দিনগুলো বেশ কাটছিল। এর মধ্যে দেবুকাকু বদলি হয়ে চলে গেলেন শিলচর। তার মানে নাটকের পুরো দায়িত্ব তখন আমার। ছুটির দিনে দুবেলা রিহার্সাল চলছে। আমি ডিরেক্টর তুমি অভিনেত্রী। কতবার মুখোমুখি বসে কোন ডেলিভারিটা কতটা ভালো করা যায়। তা নিয়ে কত কথা হল। প্রত্যেকের ছোটখাট ভুলগুলো নিয়ে বসে নিয়মিত ঘষে মেজে একটা শেপে আনার চেষ্টা করলাম। কারণ, সেটা ছিল আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। একে তো পুরো নাটকের দায়িত্ব কাঁধে। তার উপর তোমাকে তৈরী করা।
    সব পেরিয়ে এল অষ্টমী। ঠিক হল সারা দুপুর হবে রিহার্সাল। পিকাই তার হবু বউকে নিয়ে বিকেলে আসবে, তুমি জানো। কিন্তু আমাকে মনে করিয়ে দেওয়ার সাহস পাওনি। জানতে.. আমি তখন নাটকের নেশায় বুঁদ। বাকি আর কিছু তখন মাথায় নেই। শুরু হল রিহার্সাল। ফাইনাল রিহার্সাল। বৃদ্ধ দম্পতির জায়গাটা ঠিকই যাচ্ছিল মোটামুটি। আমি কানাই চাকরের রোলটা সামলাচ্ছিলাম। জিতেন ডাক্তারের রোলে মহাদেবদাও ফাটিয়ে দিল। এরপর যখন তোমার জায়গাটা এলো.. আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। এত কম ইনভল্ভমেন্ট নিয়ে এ রকম কাজ .. আমি আগে দেখিনি। অথচ আমার তো কোথাও খামতি ছিল না। প্রতিটি শব্দ কোথায় বলা হচ্ছে, কেন বলা হচ্ছে.. তা আমি বারবার বুঝিয়েছি। তারপরেও? কাট্ কাট্ কাট্ বলে এমন চ্যাঁচালাম, যেন আমার ঘটি বাটি সব লুঠ হয়ে গিয়েছে। ঘাবড়ে গিয়ে সবাই যখন আমার দিকে তাকালো.. বলেই ফেললাম-"জঘন্য। জাস্ট জঘন্য। ক্যারেক্টারের মধ্যে যদি ঢুকতে না ই পারো, তো বললেই হয়। একটা শালগ্রাম শিলা দিয়ে নাটকটা চালিয়ে নেব। এতদিন ধরে পাখিপড়া করে শেখানোর পর যদি ফাইনাল রিহার্সালেও বোঝাতে হয়, নিজের বিয়ে করা বরের সঙ্গে খুনসুটিটা কী ভাবে করতে হয়! তাহলে তার থেকে আক্ষেপের আর কিছু নেই। আমারই ভুল। মনে হয়েছিল, তুমি পারবে। এতদিনের এতগুলো লোকের প্যাশন-ইমোশন-ডেডিকেশন সব স..ব জলে গেল। তোমার লজ্জা করে না বিয়াস? সামান্য এ টুকু করতে পারো না। আমি বললেই না কি পারবে। থাক্। আমি কেন? হেরোডোটাস এলেও তোমায় শেখাতে পারবে না। কারণ, বেসিকালি তুমি শিখতে চাওই না। বুঝতে চাও না, তোমার এই ক্যালাসনেসের জন্য এতগুলো মানুষের এফোর্ট জাস্ট জলে গ্যালো। বি স্পেসিফিক। হয় করো, নয় ছেড়ে দাও.. " এইটুকু বলেই হাঁফিয়ে উঠেছিলাম। আসলে কখনও তো তোমাকে এ ভাবে বলিনি আগে। বলব বলে ভাবিও নি। বলে ফেললাম। এখন আর কিছু করার নেই। যা বলার বলে ফেলেছি। এবার শুধু অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। একটা চরম প্রত্যাঘাতের অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু সে সব কিছুই হল না। হাতব্যাগটা নিলে। টেবিলে স্ক্রিপ্টটা রাখলে। আর বললে.."সরি। অনেকের অনেক প্যাশন-ইমোশন-ডেডিকেশন সব জলাঞ্জলী দিলাম। শুরুতেই বলেছিলাম.. আমি পারব না। অভিনয়টা আমাকে দিয়ে হয় না।"
    দরজাটা আস্তে করে বন্ধ করে তুমি চলে গেলে। রিহার্সাল গেল বন্ধ হয়ে। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে সবাই। আশ্বস্ত করলাম.. এমন কিছু নয়। নবমীর স্টেজে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু জানতাম, নবমীর স্টেজে বিয়াসকে তোলা আর সম্ভব নয়। একটু কি বাড়াবাড়ি করে ফেললাম? কিন্তু আমি কী করব? আমারও তো একটা দায়িত্ব আছে। নবমীতে একটা ভালো প্রোডাকশন উপহার দেওয়ার। নাকি স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছিলাম? শুধু নিজের কথাই ভাবছিলাম। জোর করে বিয়াসকে দিয়ে রোলটা করিয়ে নিতে চাইছিলাম নিজের স্বার্থে? প্রমাণ করতে চাইছিলাম আমিই পারি? এক আনকোরা মুখকে অভিনেত্রী বানিয়ে ফেলতে? আড়াইখানা সিগারেট এ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তাই জয়িতার বাড়ি গেলাম। বললাম, "একবার কথা কথা বলিয়ে দিতে পারিস, প্লিজ? খুব দরকার।" ল্যান্ডলাইনে এঙ্গেজড টোন। বুঝলাম, রিসিভার তোলা। জয়িতা ছুটলো বিয়াসের বাড়ি। বুঝিয়ে সুঝিয়ে যদি আনতে পারে একবার.. আমি বলেছিলাম, আমি আছি যেন না বলে। আসবে না তাহলে। একা বসে ভাবতে শুরু করলাম। শুরু থেকে। আসলে বিয়াস হয়তো চায়নি নাটক করতে। কী রোল, তাকে কী করতে হবে.. কিচ্ছুটি ভাবেনি। শুধু চেয়েছিল আমার সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে। রিহার্সালের অফিসিয়াল তকমায়। চেয়েছিল আমার সঙ্গী হতে। আমার ভরসা নৌকোর মাঝি হতে। ভুল ভাবলাম? হতেই পারে। বা হয়তো এতদিন ভেবে আসা ভুল এবার বুঝতে পারলাম। এই সব সাতপাঁচ ভাবনার মাঝেই বিয়াসকে নিয়ে এল জয়িতা। এক ঘণ্টার মধ্যে এ রকম পরিবর্তন .. আগে তো দেখিনি বিয়াস। এ যেন অন্য কেউ আমার সামনে। একটামাত্র টি টেবিলের ব্যবধানে।
    -"রাগ করেছো?"
    -"না।"
    -"সরি। বাট.."
    -"আমারই তো ভুল। পারিনি তোমার মান রাখতে।"
    -"ঠিক তা নয়। আমি তো তোমাকে এতদিন ধরে .."
    -"বললাম তো.. আমারই ভুল। তুমি বুঝিয়েছো। আর আমি.. কিচ্ছু শুনতে পাইনি। শুধু তোমার দিকে তাকিয়ে থেকেছি। খুব চেনা একটা মানুষকে নতুন করে চিনেছি। আরও বেশী করে ভালবেসে ফেলেছি। হাত ধরেছ যখন.. বুঝিয়েছো, এই..এই শটটায় কোমরে হাত.. খুব জরুরি। এই ভাবে চিবুকটা তুলে ঘুরে যাওয়া। আমি শুধু তোমার স্পর্শ পেয়েছি। তোমার স্পর্শ মেখেছি আমার হাতে.. আমার কোমরে.. আমার চিবুকে.... আমার সারাটা রাত কেটেছে তোমার ওই ছোঁয়াটুকু সম্বল করে। তোমার কোনও কথা যে আমার কানে যায়নি। আমার কান তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনেছিল শুধু। আমি জানতাম.. অভিনয় আমাকে দিয়ে হবে না। আমি পারব না। কিন্তু ওই পাওয়াটুকুর লোভ ছাড়তে পারছিলাম না যে।"
    -"বিয়াস, আর তো সময় নেই। পারবে না? পারবে না কাল স্টেজে উঠতে? অভিনয় করতে? শুধু আমার জন্যে?"
    -"শুধু তোমার জন্যে?"
    -"হ্যাঁ। শুধু আমার.. আমার জন্যে.."
    - "তোমার জন্যে অভিনয়! করছি তো। বাড়িতে। পাড়ায়। বন্ধুদের সঙ্গে। নিজের সঙ্গেও.. হরদম। না হয় এবার স্টেজেও করব। শুধু আর একবার তোমার মতো করে শিখিয়ে দিও প্লিজ.. নতুন করে। আর হ্যাঁ। শেখাতে গিয়ে যেন ছুঁয়ো না আমাকে। তাহলেই অভিনয় ভুলে যাব। তোমার ছোঁয়ায় যে অহল্যাও বিয়াস হয়ে যায়।"
    বছর ঘুরে অষ্টমী আসে আর শেফালি ফুলের পরাগ মেখে আজও অভিনয় করে চলে আমার বিয়াস। স্টেজটা শুধু বদলে গিয়েছে। অভিনয় চলছে। কে জানে বিয়াস হয়তো আজও অভিনয় করে চলেছে .. শুধু আমারই জন্যে।

    নেই আর ছুঁয়ে দেওয়ার সে অধিকার

    অহল্যা আর বিয়াস আজ এক আকার..

    #পুজোর_চিঠি
    -অতনু।।
    9 অক্টোবর, 2016
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ | ২০১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:৩৩59098
  • ...
  • সিকি | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২৭59099
  • ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন