এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শুধু ক্রিকেট নয় ...

    Soumya Kanti Pramanik লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ | ২৬৭২ বার পঠিত
  • প্রিয় ভিরাট,

    আমি জানি, এ চিঠি তোমার কাছে পৌঁছবে না... তবুও কিছু কথা আজ ভারি বলতে ইচ্ছে করছে... এখন তুমি খুব ব্যস্ত, তোমার প্রিয়তমা, টিম মেট আর কোচিং স্টাফ দের নিয়ে ...এক শৃঙ্গ জয়ের পর পরবর্তী শৃঙ্গ জয়ের জন্য সেনা প্রস্তুত করবে, এটাই তোমায় মানায়... বিশ্রাম নামের কোন শব্দ তোমার অভিধানে নেই... সবাই বলে তুমি আগ্রাসী, আমার মতে কোথাও গিয়ে যেন অচঞ্চল ধ্যানমগ্ন যুবক... যার কাছে ব্যাট শেষ কথা বলে, পরিসংখ্যান মনের আনন্দে তোমার সাজানো বাগানে খেলা করে ...

    আসলে, আজ বড় উত্তেজিত বোধ করছি... টিভির পর্দায় এতো দৃশ্য, কোলাজ, এগুলো ঠিক বাস্তব বলেই মনে হচ্ছে না ! যা ঘটেছে, সত্যি ঘটেছে তো ? সিডনির কালো আকাশ জানে, সবুজ মাঠ জানে - কি বীভৎস তাৎপর্য রাখে তোমাদের এই জয়!

    কি জানো, আমার মতো যারা ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত প্রান্তিক জায়গা থেকে উঠে এসেছি, তাদের কাছে এই সবুজ মাঠ, লাল বল - এই সব কিছু যেন এক একটা স্বপ্ন রাজ্য ! সেই ছোট বেলা থেকে তো শুরু - এক চিলতে এবড়ো-খেবড়ো জমি কিংবা বাড়ির পাশে গলি...

    " চল, ভাই, ব্যাট-বল খেলবি ? -হ্যাঁ রে, চল..."
    " কিন্তু বল নেই যে- ধুর ! গোপু, পাঁচটাকা হবেরে ?একটা পিংপং বল কিনবো.."

    ...তারপর মায়ের কাছ থেকে টিফিনের জন্য চেয়ে নেওয়া দু টাকা গুলো জমিয়ে একটা পিংপং বল আর গাছের ডাল দিয়ে বানানো তক্তা, ওটাই আমাদের ব্যাট... এসব নিয়েই শুরু হতো- আমাদের ব্যাট-বল খেলা... কোন নির্দিষ্ট সময় ছিল না আমাদের, একমাত্র প্রতি বিকেলের চারটে বাজার সময় টা বাদ দিলে...স্কুল পালিয়ে, টিউশন পালিয়ে ...

    " কিরে আজ খেলতে এসেছিস, কাল থেকে না তোর মাধ্যমিকের টেস্ট শুরু হচ্ছে ? ...ধুর, তাতে কি হয়েছে, পরীক্ষা বলে কি খেলা বন্ধ থাকে নাকি ? ...ওসব ছাড়, আগে বল, কালকে সচীন কে কি ভুলভাল এল-বি-ডব্লিউ দিলো ! আক্রাম কে সব তখন ঠান্ডা করছে, এর মধ্যেই - ধুর ! ফালতু হারলো ভারত ..."

    হ্যাঁ ভিরাট, আমাদের শৈশব- কৈশোর ছিল এমনই... রবিবার বলতে মনে পরে, সকালে আঁকার ক্লাস, দুপুরে মুরগির মাংস, সাদা কালো টিভি, বাবার বকুনি আর সচীনের শারজা, ধুলো ঝড়... শেন ওয়ার্ন কে স্টেপ আউট করে ছয়...আমার এক জ্যাঠতুতো দাদা ছিল, এম এ পাস করার পরেও অনেক চেষ্টা করে চাকরি পায় নি তখনও... আমাদের সাথেই থাকতো... আমি তখন বুঝতাম না , দুনিয়াদারী কাকে বলে... জানতাম না যে চাকরি না পেলে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা কে বিয়ের পিড়ি তে বসতে দেখতে হয় চর্ম চক্ষে... দাদা কে দেখতাম, কারোর সাথে কথা বলতো না, একা সারাদিন ঘরের কোনায় চুপচাপ ...শুধু, সেই সব অলৌকিক রবিবার গুলোতে দেখতাম, আমার কালো দাদার মুখে হাসি ফুটেছে, টনটনে সৌরভের ১৮৩ র দিন মুখ ফসকে একটা গালি দিয়ে বলে ছিল, " দ্যাখ শালা, বাঙালি দের আর কে আর কতো পায়ের নীচে রাখবি... দেখিস বাবু, দাদার মতো লং অনে ছয় টা আমি মারবই !!... বিপাশা যে কে কথা দিয়েছি, সামনে রেলের রিকুটমেন্ট প্যানেলে আমি নাম তুলছি ! "..
    দাদা তার কথা রাখেনি... জানুয়ারির এক সকালে টিউশন থেকে ফিরে দেখি, গলায় ফাঁস লাগানো সুইসাইড করা আমার দাদার নিথর দেহটা খাটে রাখা... কাছে যেতেই সেই ফ্লেকের গন্ধ আর কয়েকটা কথা যেন কানে ভেসে এলো.." বাবু দেখিস, অসম্ভব বলে কিছু হয় না, ইডেনের লক্ষণের ইনিংস কে কখনো ভুলে যাস না... ওরা ভেবে ছিল- একটা বল, শুধু একটা বল- একটা চান্স দরকার... কিন্তু স্বয়ং ম্যাকগ্রা ডেলিভারির সময় হাত নাড়িয়েও মনোসংযোগে কোন বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি... আসলে, ওই একটা চান্সই যথেষ্ট... ওই একটা চান্সের ওপর দাঁড়িয়ে তোর জয়- পরাজয় ! "

    ভিরাট, আমি দাদার কথা খুব মেনে চলতাম... বুঝেছিলাম, আমার মতো যাদের রক্তের সাথে গঙ্গা ভাঙ্গন-কাঁটাতার- উদ্বাস্তু- রেললাইনের আঁকা বাঁকা পথের অন্ধকার মিশে আছে ক্যানসারের মতো, তাদের জন্য জেদ টাই একমাত্র হাতিয়ার... ঠিক যেমন ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের... সৌরভ দা ছিলেন জন্ম-প্রতিভা, অনেকটাই তোমার মতো ভিরাট, যাকে দূর থেকে শ্রদ্ধা করা যায়, সম্ভ্রম করা যায়, কিন্তু মনে হয়, কাছে গেলে বোধ হয় ঝলসে যেতে হবে ....সেখানে দ্রাবিড় বোধ হয় সেই মরুভূমির মাঝে এক প্রকান্ড বৃক্ষের মতো, যে শত প্রলোভনেও নিজের দায়িত্বে অবিচল...আমাদের মতো অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত, যার কাছে মাসের শেষে আয় ব্যয়ের হিসেব খুব জরুরি... চেতেস্বর ঠিক ওর জুতোয় পা গলিয়েছে, দেখে খুব নিশ্চিন্ত মনে হয় আজকাল !

    কলেজে যখন উঠলাম তখন থেকেই জীবন অনেক পাল্টে যেতে লাগলো... পিংপং ছেড়ে টেনিস ক্যাম্বিস, তক্তা ছেড়ে willow, মফস্বল ছেড়ে কলকাতা আর one-day ছেড়ে T-20 ! জীবনে অনেক কিছুই বদল হলো- প্রেম এলো, রাজনৈতিক বোধের সাথে সাথে সামাজিক অবস্থানের পরিবর্তন... কিন্তু, জানো, টাকার বিনিময়ে শৈশবের নায়কদের এভাবে নিলামের বাজারে ওঠা টা তখন মেনে নিতে পারিনি ! মনে পরে, ক্যাপ্টেন ধোনির টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের রাতে আমরা হোস্টেলের সব জুনিয়র ডাক্তার থালা বাসন বাজাতে বাজাতে হসপিটাল ক্যাম্পাসে নেমে গেছিলাম- সে কি হই হল্লা ! পরের দিন আমাদের গোটা হোস্টেল কে show-cause নোটিস !!

    এভাবে টিম ইন্ডিয়ার প্রতিটি জয়ে, আমরা হেসেছি.. প্রতিটি হারে কষ্ট পেয়েছি... ওয়াংখেড়ে র সেই অলৌকিক রাতে তোমার কাঁধে চড়ে সচীন মাঠ পরিক্রমা করছে, মাস্টারের দুচোখ দিয়ে জল - আনন্দাশ্রু...আমিও সে দৃশ্য দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি ! আর আমি তখন কোথায় জানো ? হোস্টেল রাজনৈতিক চাপান উতোরে বন্ধ, কলকাতা শহরে কোথায় থাকবো- কিছু জানি না... আর সামনে ফাইনাল পরীক্ষা ...তবুও কি জানি, মনের মধ্যে বিশ্বাস আছে, আমি পারবো, আমি পারবো... সেই ছবিটা, ভুলতে পারবো না কখনো... চোয়াল ভেঙে গেছে অনিল কুম্বলের ...কিন্তু হার যে মানা যায় না...গোটা মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে কুম্বলে নামলেন সম্মুখ সমরে ...জেদ ! সেই জেদ !

    ভিরাট, আর কেউ পারেনি এতোদিন... পেরেছো, তুমিই পেরেছো.... সেই সবুজ মাঠ, লাল বল, সাদা জার্সি... হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস, আর আকাশে শঙ্কার কালো মেঘ... শুধু কি ক্রিকেট ? না, একদম না... জীবন বলে এটাকে ....বল হাতে ম্যাকগ্রা... আর এটা তো সেই পার্থের পিচ !

    গর্ব হচ্ছে আমার , কিন্তু তবুও অনেক দৃশ্য যে কখনো ভুলতে পারবো না...কেউ পারবে না, এদেশের কেউ না ....সিয়াচেনের মাইনাস বাইশ ডিগ্রির নীচে আধা জমে যাওয়া সৈনিক যুবক টির বুকে ব্রিসবেনে দাদার ১৪৪, বিদর্ভ থেকে হেঁটে আসা পায়ে ফোস্কা পরা কৃষকের রক্তে ফিরোজা শা কোটলায় কুম্বলের ১০/৭৪... অন্য ধর্মের মেয়েকে ভালোবাসার অপরাধে মির্জাপুরের খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশে ১০০ চাবুকের শাস্তি পাওয়া ছেলেটার চোখে সচীনের সিডনির ২৪২ ...এইমাত্র বন্ধ হওয়া জুটমিলের সেই অভাগা শ্রমিকের মাথায় ওয়াংখেড়ের ধোনির ৯১ ....আর আমার হৃদয়ে সচীনের সেই সেঞ্চুরির পর, আকাশের দিকে চেয়ে মৃত বাবার কাছে কিছু বলতে চাওয়া ...সেই দৃশ্যটা , যেটাকে আমি আমার এম ডি ফাইনালের প্রতি সকালে বুকে আগলে রেখে পরীক্ষা দিতে যেতাম...

    ভিরাট, তুমি জিতেছো... আমি জিতেছি.... আমরা জিতেছি ....আমার ধর্ম, ভালোবাসা সব এক হয়ে গেছে আজ খেলার মাঠে ....জানি , এ জীবনে একটাই সুযোগ... যার একপাশে জয়ের উত্থান, আর এক পাশে হেরে যাবার গরল সমুদ্র...

    তোমার ওপর ভরসা করে, দেখি ই না, এক বার , অন্ততঃ একবার আমরা হেরে যাবার মুখে জয় ছিনিয়ে আনতে পারি কিনা !!!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ | ২৬৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন