এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ইশকুল ও আর্কাদি গাইদার

    কুশান গুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ | ১৮২৫ বার পঠিত
  • "জাহাজ আসে, বলে, ধন্যি খোকা !
    বিমান আসে, বলে, ধন্যি খোকা !
    এঞ্জিনও যায়, ধন্যি তোরে খোকা !
    আসে তরুণ পাইওনিয়র,
    সেলাম তোরে খোকা !"

    আরজামাস বলে একটা শহর ছিল। ছোট্ট শহর, অনেক দূরের, অন্য মহাদেশে। অনেক ছোটবেলায় চিনে ফেলেছিলাম। ভৌগোলিক দূরত্ব টের পাইনি।

    টের পেতে দেননি আর্কাদি গাইদার নামের এক রুশ লেখক। মেদিনীপুর জেলার আদি ও অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, কিংবদন্তীপ্রতিম দেবেন দাস, আমার দিদিকে ছোটবেলায় একটি বই উপহার দিয়েছিলেন। বইটির নাম- 'ইশকুল'। লেখকের নাম আর্কাদি গাইদার। অনুবাদক- মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়। বইয়ের ভেতরের মলাটে লেখা ছিল, দেবেন জেঠুর হাতের লেখায়, 'রাখীকে জেঠু'।

    বইটি আনুমানিক ক্লাস ফোর থেকে আমার সঙ্গী হয়ে উঠলো। তখনো রুশ বিপ্লব সম্বন্ধে সম্যক জানি না। তাছাড়া, ভূগোলের জ্ঞান সীমিত। কোথায়, জানিনা, সেই স্বপ্নের সোভিয়েত দেশ। তবু, কেমনভাবে সেই ভিনদেশি সোনালী চুলের বরিস আমার বন্ধু হয়ে উঠলো। ভুল হলো লিখতে, আসলে, নিজের মধ্যে বরিসকে খুঁজে পেতাম যেন। বরিসের মধ্যে নিজেকে। বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই, লেনিন নয়, বরিস। বরিসের বন্ধু তোতলা তিমকা আমার বন্ধু হয়ে উঠছে। তারা জঙ্গলে ফাঁদ পেতে ধরছে পাখি। ফেদকা ও বরিস মিলে পুকুরে ভাসাচ্ছে তাদের খেলার যুদ্ধজাহাজ। তার স্কুল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে দু একজন দস্যি ছেলে। আরজামাস থেকে স্কুল পালিয়ের দল চলে যাচ্ছে নিজনি নভগরোদ। আর আমার ভাঙাচোরা শহরটাই কীভাবে যেন হয়ে উঠছে বরিসের আরজামাস। বরিসের স্কুলের শিক্ষকের নিকনেম দাঁড়কাক। আমার স্কুলের শিক্ষকের নিকনেম কালোজাম। পড়তে পড়তে আমার নিজের বাস্তবতা লোপ পেয়ে যাচ্ছে। আমার জগতে ঢুকে পড়েছে বরিস, তার সমস্ত স্বপ্ন, সব ছেলেমানুষি নিয়ে। পড়তে পড়তে কখনো বরিসের জন্য দুঃখ হচ্ছে, কখনো তার বোকামিতে হাত কামড়াচ্ছি। লাল ফৌজে যোগ দিতে চলেছে পনেরো বছরের অবুঝ বরিস, মাকে চিঠি লিখছে, 'মামণি, বিদায়, বিদায় ! বীর কমরেড সিভের্সের দলে আমরা যোগ দিতে চলেছি এখন। ....আনন্দে আমার মাথার ঠিক নেই, মা। এর আগে যা কিছু ঘটেছে সে সবই ছিল ছেলেখেলার সামিল। জীবনে আসল ব্যাপার এই প্রথম শুরু হচ্ছে। তাই মনে হচ্ছে আজ দুনিয়ায় আমার চেয়ে সুখী কেউ নয়।'

    তবুও গোপনে পিতৃহারা, বাড়িছাড়া বরিস একা একা মন খারাপের সময় লিখছে,' তবুও, আমি সেইদিন কাঁদিনি, সত্যি বলছি, কাঁদিনি।' পড়তে পড়তে শিখছি, ভেঙে পড়া কান্নায় মহিমা নেই কোনো। শিখছি--শিল্প আসলে, আস্তিনের আড়ালে, কান্না লুকোনোর ওই নাছোড় আর্কাদিয়, চ্যাপলিনীয় ভঙ্গিমাতেই লুকোনো।

    আর, আর্কাদি উপন্যাস শেষ করছেন এইভাবে: দেওয়ালে পিঠ রেখে মরিয়া লড়ছে লাল ফৌজ। বাচ্চা বেদে নামের এক গুলিবিদ্ধ নিতান্ত অনাথ কিশোর, বরিসকে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলছে, ' আমরা জিতে গেছি বরিস।' ঠিক সেই সময়েই কাঁধের নিচে দূর থেকে আসা আততায়ী বুলেটের গরম সিসা শরীরের ভেতর অনুভব করছে লড়াকু বরিস, তার দৃষ্টি ঝাপসা, দূরে দুলছে টিমটিমে আলো, অস্বচ্ছ হয়ে আসছে চরাচর। যুদ্ধক্ষেত্রে শায়িত বরিস, এই তার শেষ যুদ্ধ, সেই শেষের দিকের লাইনগুলো, মন কেমন করা:

    "ক্রমে রাত্রি পাঠিয়ে দিল তার হাজার তারার টহলদার বাহিনী, যাতে আরেক বার ওদের আমি দেখতে পাই। ঝলমলে চাঁদটাকেও পাঠিয়ে দিল রাত্রি। আর আমি ভাবতে লাগলুম: 'একদিন চুবুক বেঁচে ছিলেন, বাচ্চা বেদে বেঁচে ছিল, বেঁচে ছিল খট্টাশও...আর আজ ওরা কেউ নেই, আর আমিও থাকব না।' মনে পড়ল বাচ্চা বেদে একবার বলেছিল আমায়: ' আর তারপর থিকে কী করে ভালোভাবে বাঁচা যায় তাই ঢুঁড়তে বেরিয়ে পড়লম।' আমি ওকে এর উত্তরে শুধিয়েছিলুম, 'তুমি কী মনে কর, ভালো জীবনের সন্ধান তুমি পাবে? ও জবাব দিয়েছিল: 'একা তো পাব না, কুছুতে না। তবে সবাই যখন এত করে চাইছে, সবাই মিলেমিশ করে ঢুঁড়লে মিলতে পারে বটেক।'

    এই আর্কাদি গাইদারের নিজের জীবনও বিপ্লবে নিবেদিত। তাঁর লেখাতেও কোনো বানানো রোম্যান্টিকতার জায়গা ছিলো না। তিনি রুশ বিপ্লবের সক্রিয় কর্মী। বরিসের মতোই চোদ্দ বছর বয়সে তিনি লাল ফৌজের ফ্রন্টে যান। বয়স দু বছর বাড়িয়ে বলতেন, যাতে তাঁকে ফৌজ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া না হয়। তাঁর আসল নাম ছিল আর্কাদি গলিকভ। কিন্তু গাইদার এই রুশ শব্দের আসল মানে পথ প্রদর্শক, আদতে গাইড। গাইদার ছদ্মনামে পরে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন নতুন প্রজন্মের সঙ্গে। তারই ফলশ্রুতি: ইশকুল। এবং তিনি মুখোমুখি লড়াই করে মারা গেছেন নাৎসী বাহিনীর সঙ্গে। সেই গল্পও যেন তাঁর অকল্পনীয় জীবনের প্রমাণ দেয়:

    '১৯৪১ সালের হেমন্তে তিনি ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রন্টের সাংবাদিক। স্বেচ্ছায় তিনি শত্রুর পেছনে থেকে নীপার এলাকার অরণ্যে পার্টিজানদের সঙ্গে সামিল হন। ফ্রন্ট পেরিয়ে তাঁর স্বদেশে ফেরার জন্য বিমানের প্রস্তাব এসেছিল একাধিক বার। বাহিনী ছেড়ে যেতে আপত্তি করেন গাইদার, বরাবরের মতোই তিনি বিশ্বস্ত থাকেন তাঁর সৈনিক-কর্তব্যবোধে। পরিবেষ্টন বিদীর্ণ করে বেরিয়ে আসার সময় বৃহৎ একটা শক্তিশালী দল গাইদারকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজি হন না গাইদার, নিজের পার্টিজান বাহিনী ছেড়ে যেতে চান নি তিনি।
    ১৯৪১ সালের ২৬ শে অকটোবর চার জন পার্টিজানের সঙ্গে গাইদার যান কানেভ-জোলোতোনোশা রেলপথের কাছাকাছি লেপলিয়াভো গ্রামে সামরিক সন্ধান কার্যের জন্য। এখানেও তিনি ছিলেন সবার আগে-গাইদার পথপ্রদর্শক। ফ্যাশিষ্ট এস এসদের একটা বড়ো বাহিনী ওঁৎ পেতে ছিল ক্রসিংয়ের কাছে। পার্টিজানদের ছোট জোটটা এখানে এসে পড়ে ঠিক ভোরের সময়। ফ্যাশিস্ট দের প্রথম দেখেন গাইদার। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বোঝেন যে, তাঁর পেছনে যে কমরেডরা আসছেন তাঁদের তিনি সাবধান করতে পারেন কেবল নিজে মরে। পুরো খাড়া হয়ে হাত তুলে যেন আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন এই ভঙ্গিতে গাইদার হাঁক দেন: 'এগোও, আমার সঙ্গে!...' ছুটে যান সোজা এস-এস' দের দিকে।

    শত্রুর মেশিনগান গর্জে ওঠে পার্টিজানদের দিকে। তবে ব্যাপারটা টের পেয়ে তারা তৎক্ষণাৎ শুয়ে পড়ে। গাইদার পড়ে যান রেলওয়ে বাঁধের ওপর। পড়ে যান...এবং আর ওঠেন না। মেশিনগানের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর বুক।"

    কানেভ শহরে নীপার নদীতীরের টিলায় গাইদারের দেহাবশেষ স্থানান্তরিত হয়েছিল। স্টিমার থেকে দেখা যায় গাইদারের সমাধি...

    আপনারা কেউ কেউ নিশ্চিত ছোটবেলায় পড়েছেন 'নীল পেয়ালা', ' চুক আর গেক' কিংবা ' তিমুর ও তার দলবল'। এইসব প্রাণবন্ত লেখা, গাইদারের সমস্ত লেখাই, ছোট ও কিশোর কিশোরীর জন্য।

    এখন মনে হয় গাইদার আসলে সেই সোনালী চুলের বরিস, যে একদিন মিশে ছিলো আমার আত্মার সঙ্গে, নির্জন দুপুরগুলোয়। আজও সে অমনই আছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ | ১৮২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:১০48804
  • বরিস অথবা করচাগিন, আমাদের শৈশবের নায়ক!
  • aranya | ***:*** | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৩১48805
  • ছুঁয়ে যাওয়া লেখা
  • ঝরা দে | ***:*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:১১48806
  • আমার ছোটবেলার খুব প্রিয় লেখকদের মধ্যে অগ্রগণ্য হলেন আর্কাদি গাইদার। চুক আর গেক এবং তিমুর ও তার দলবল আমি সময় পেলে এখনও পড়ি এবং একইরকম ভাবে রোমাঞ্চিত হই। তবে লেখকের জীবন সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। কুশানদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর্কাদি গাইদার এর জীবন সম্পর্কে জানালেন বলে। সহজ ও সুন্দর লেখা।
  • | ***:*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১০48807
  • থ‍্যাঙ্ক ইউ।
  • রঞ্জন | ***:*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৩২48808
  • নীল পেয়ালার দুটি অবিস্মরণীয় রূপকল্প ঃ
    ।১ যেখানে বাচ্চা মেয়ে বাবাকে বোঝাচ্ছে যে ওর মা বাবাকে আসলে সত্যিই ভালবাসে। রাত্তিরে ঘুমনোর আগে বইয়ের পাতা মুড়ে ঘুমন্ত বাবার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়েছিল। তারপর ডেমো দিয়ে দেখায় যে ভালবাসলে কেমন করে তাকায় ।
    ২ গ্রাম ছাড়িয়ে জলাভূমি নদীর পাড়ে বাবা ও মেয়ের পিকনিক।

    চুক ও গেকের গল্পে মাঝরাত্তিরে ঘুমচোখে ট্রেন থেকে একটা স্টেশনে নামা --যেন আমার ছোটবেলার অভিজ্ঞতা।
  • Atoz | ***:*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ১০:১৩48809
  • আহ, সেইসব দিন মনে পড়িয়ে দিলেন। ইস্পাত, মানুষের মত মানুষ, পাহাড় ও স্তেপের আখ্যান, মালাকাইটের ঝাঁপি, টেলিস্কোপ কী বলে ... আহ, সেইসব দিন।
  • অনিরুদ্ধ | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:২৫48811
  • আগে পড়া ছিল না বন্ধু।
    একেবারে অন্য স্বাদের লেখা।
    ধন্যবাদ।
  • অনিরুদ্ধ | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:২৫48810
  • আগে পড়া ছিল না বন্ধু।
    একেবারে অন্য স্বাদের লেখা।
    ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন