এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটা অ-সমাপ্ত গল্প (পর্ব - ১০)

    Kaushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ নভেম্বর ২০১৩ | ১৬৪০ বার পঠিত
  • ১০।

    আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি
    সেই আমাদের একটি মাত্র সুখ।
    তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখি
    তাহার গানে আমার নাচে বুক।

    শোভা বুঝতে পারছে ওর পেছনে জনা দুয়েক রয়েছে। সামনে আরও একজন ওকে ধরার জন্য ওঁত পেতে রয়েছে। ধরবে! তা চেষ্টা করে দেখুকই না একবার! শরীরে হাল্কা একটা মোচড় দিয়ে সামনের জনের দিকে তেড়ে গেল ও। ওকে তেড়ে যেতে দেখে সে একটু বেসামাল হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগে সামনের মেয়েটাকে হাল্কা একটা ধাক্কা মেরে পেছনে ঘুরতে যেই যাবে অমনি পেছন থেকে দুজন এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল ওর ঘাড়ে। এই ঘটনাটারই প্রতীক্ষায় ছিলো ও। শক্তিতে ওর সাথে পারা মুস্কিল। ঐ দুজনকে নিয়েই পুরো দম রেখে ও পেরিয়ে এল নিজেদের অর্ধে। তিনজনই আউট।

    জোর কবাডি খেলা চলেছে এতক্ষণ। শোভারা জিতে গেছে। শোভা যে দলে থাকে সে দলের বাকিরা অনেক নিশ্চিন্ত মনে খেলতে পারে - তা সে কবাডিই হোক বা বুড়ি বাসন্তি। ওকে দলে নেওয়ার জন্য তাই রোজ কাড়াকাড়ি পরে যায়।

    গায়ের ধুলো ঝেড়ে বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির সামনের বারন্দাটায় উঠলো শোভা। এতক্ষণ বড়দি লিপি ওখানটায় বসে খেলা দেখছিলো। ওদের দেখেই পালানোর রাস্তা খুঁজছে বড়দি। এই সময়টা বড়দি অল্প সেজে বারন্দাটায় এসে বসে। শোভা ওই ধুলো গায়েই জড়িয়ে ধরতে যায় বড়দিকে রোজ। শোভা দেখল বড়দি গুটি গুটি পায়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকছে। বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে হঠাৎই "কবাডি কবাডি" বলে বড়দির দিকে ধেয়ে গেল ও।'বাবারে মারে' বলে বাড়ির ভেতরে ছুট লাগিয়েছে লিপি। হাসতে হাসতে বন্ধুদের পাশে গিয়ে বসল শোভা। বড়দিটা বড় সরল। যে যা বলে তাই বিশ্বাস করে; মনে কোনো প্যাঁচ ঘোঁচ নেই।

    গল্প জমে উঠেছে শোভাদের বারন্দায়। বেশিরভাগই স্কুলের গল্প। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে 'টাট' টার ওপারের রাস্তাটা দিয়ে যাওয়া পরিচিতদের হাঁক পেড়ে খবরা খবর নিচ্ছে শোভা। ও মাখন জেঠু, কোথায় যাচ্ছেন এক্ষণ? কিরে অশোক, তোদের দেওয়াল লেখা কদ্দূর - ইত্যাদি। কখনও বা রাস্তা দিয়ে যাওয়া অচেনা মানুষদের নিয়েও আলোচনা করছে নিজেদের মধ্যে। এই দ্যাখ, ওই ভদ্রমহিলা কি মোটা না! আহা, বুড়ো মানুষটা ঠিক মতো হাঁটতেও পারছেনা! ঐ লোকটাকে দ্যাখ, ছোকরা বয়স কিন্তু হাবে ভাবে জ্যাঠা মশাই যেন! হি হি!

    আজকাল কারনে অকারনে বড্ড হাসি পায় শোভার। সামান্য কথা, কিন্তু তাতেও যেন মনে হয় পেটের মধ্যে সোডার বোতল বুজকুরি কাটছে। এই নিয়ে মায়ের কাছে ইদানিং বকাও খেয়েছে কয়েকবার। ওসব ও গায়ে মাখেনা। কিন্তু সেদিন স্কুলে একটা বিপত্তি বাধিয়েছে! ক্লাসে পড়া চলছিল। ওদের পাঁচজনের দলটা দিদিমণির নজর এড়িয়ে ফিস্‌ফিস্‌ করে গল্প করছে; এমন সময় শেফালির হাত থেকে কলমটা পড়ে গিয়ে কমলিকার শাড়িতে কালির ছোপ ধরিয়ে দিল। সামান্যই ব্যাপার; কিন্তু শোভার এমন হাসি পেল যে সে আর বলার কথা নয়! নিশ্চুপ ক্লাস রুমের মধ্যে শব্দ করে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়েছিলো ডেস্কের ওপর। এই অসভ্যতার জন্য দু দিন সাসপেন্ড থাকতে হয়েছে ওকে। সেটা কিছু নয়; দু দিনে পড়াশোনার এমন কিছু ক্ষতি হবেনা। পরীক্ষার সাত-দশদিন আগে পড়েই পরীক্ষা দিয়ে এসেছে এতকাল। একটাই দুঃখ - স্কুলে এলে যে হুটোপাটি গুলো হয় তা বাড়িতে হওয়ার জো নেই! দুপুর বেলায় বাড়ি থেকে বেরোনো যাবেনা। বেশি চেঁচিয়ে কথা বললে মা খুব রাগ করে। কিরন বা মেজদিও থাকবে না বাড়িতে ওই সময়টা। বড়দি মায়ের চোখ এড়িয়ে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোয় আর ধরা পড়লে গজ গজ করতে থাকে। শোভার তাই দুপুর বেলাটায় স্কুলে থাকতেই ভালো লাগে।

    সন্ধ্যে হয়ে এসেছে। বন্ধুরা যে যার বাড়ির পথ ধরলে পর শোভাও ঘরে ঢুকে এল। হাত মুখ ধুয়ে বাবার ঘরের দিকে গেল। বাবা এখনও বাড়ি ফেরেনি। বাবা ঘরে না থাকলেও ঘরটা থেকে দু একবার ঘুরে আসে শোভা। ওদের একচিলতে এই বাড়িটার সব চাইতে ভালো জায়গা এই ঘরটাই। প্রতিদিন ঘরটাতে ঢুকে এক বুক শ্বাস নিয়ে নেয় ও। ঘরের মধ্যে পুরনো বই পত্র নস্যি আসবাব মেশানো গন্ধটা নিজের শরীরের ভেতরে শোভা চালান করে নেয় রোজ। গন্ধটার মনে মনে একটা নাম দিয়েছে শোভা; বাবা-বাবা গন্ধ। আসলে ঘরের মধ্যের গন্ধটায় মিশে থাকে বাবার গায়ের গন্ধও; তাই বোধহয় এত মনকাড়া গন্ধটা।

    আজ বাবার ঘরে ঢুকে দেখল দাদা বাবার পড়ার টেবিলটায় বসে কি যেন করছে। দাদাকে এই সময় বাড়িতে দেখে একটু অবাকই হল শোভা।দাদা সারাটা দিন কেমন যেন বাড়ি থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। শোভা বোঝে। আহারে! দাদাটা বড় দুঃখী। বাড়িতে থাকলেও দাদা আজকাল চুপচাপই থাকে, কারুর সাথে কথা বলেনা। খেতে বসেও নিজে থেকে কিছু চেয়ে নেয়েনা। সর্বদা কেমন যেন চোখ নামিয়ে চলে, সকলকে এড়িয়ে চলতে চাইছে যেন। দাদাকে তাই এভাবে বাবার টেবিলে বসে থাকতে দেখে একটু অবাকই হল শোভা। জিজ্ঞেস করল, কি করছিস রে দাদা? লাজুক হেসে মাথা তুলল কমল। বলল, "রেলের চাকরির ইন্টারভিউয়ের কল এসেছে রে! সামনের মাসে কলকাতা যেতে হবে"। আনন্দে লাফিয়ে উঠল শোভা।
    - এত আনন্দের খবরটা এতক্ষণ দিসনি! তোর জরিমানা হবে। এক্ষুনি ঘটি গরম খাওয়াতে হবে।

    শোভার কথা শুনে কমলের মুখের হাসি মিলিয়ে গেল।বলল, দাঁড়া দাঁড়া। চাকরিটা হবে কিনা তাই জানি না! এক্ষুণি কাউকে কিছু বলতে যাসনা। আর ঘটি গরমের কথা বলছিস? তার জন্য যে সামান্য তিন পয়সা লাগে তাও এই মূহুর্তে আমার কাছে নেই রে!
    দাদার মুখটা দেখে খুব মায়া হল শোভার। বলল, ছাড় তো! ঘটি গরম খেতে আমার ভারি বয়েই গেছে! চাকরি পেলে পর দেখনা কেমন তোর ঘাড় ভাঙি। কালি ময়রার এক হাঁড়ি দই শুধু আমার জন্য- তখন কিন্তু আর কিছু শুনব না! শোভা দেখল দাদার মুখে হাসি ফুটেছে। ওর মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে দিয়ে কমল বলল, বেশ বেশ! সে সব হবে ক্ষণ সময় মতন।

    কমলকে একা থাকতে দিয়ে ঘর থেকে চলে গেল শোভা। ইন্টারভিউ লেটারটা দেরাজে ঢুকিয়ে রাখল কমল। বোনেদের মধ্যে শোভাই ওর কাছে সব চাইতে প্রিয়। মেয়েটার মধ্যে প্রাণ আছে, লোকের জন্য মায়া মমতা আছে। লড়াই করার ক্ষমতা আছে। অন্য বোনেরা যে যার মতন। বড় বোন লিপি খুবই চুপচাপ। ঠিক ইন্ট্রোভার্ট বলা চলেনা। ইনার্টই বোধহয়! ওর সঙ্গে কোনো গভীর আলোচনা চলেনা।

    মেজ বোন সুধার মধ্যে গভীরতা আছে কিন্তু ও সর্বদা নিজেকে একটা গাম্ভীর্যের আস্তরনে মুড়ে রাখে। যে কারনে ওর সাথেও তেমন সখ্যতা গড়ে ওঠেনি কমলের। কিরনের নিজের পড়াশোনার বাইরে অন্য কিছুর প্রতি আগ্রহ আছে বলে মনে হয়না। তাই শোভার সাথেই ও প্রাণ খুলে কথা বলে- মাথা আর মন; দুটো দিয়েই।

    মায়ের ঘরের দিকে গেল কমল। "একটু আসছি" বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ল। সুধা আর বাবার কথা আলাদা। ওরা রোজগার করে। বাকিরা সন্ধ্যের মধ্যে বাড়ি ঢুকে পড়বে - এমনটাই মায়ের নির্দেশ। ওর জন্য নিয়মের এটুকু শিথিলতা মা করেছে। নইলে সন্ধ্যে বেলায় বাড়ি থেকে বেরোনোর কথা এই সেদিনও ভাবতে পারত না কমল। মায়েরা তো সবই বোঝে, তাই নিজের সাথে একলা হওয়ার সুযোগটা মা কেড়ে নিতে চায়না ওর কাছ থেকে।

    বাড়িতে বাড়িতে শাঁখের শব্দ, হুলুধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বেকার মানুষের যাওয়ার জায়গার অভাব নেই, আবার যাওয়ার জায়গাও নেই। অন্য বেকার ছেলেদের মতন রাস্তার মোড়ে বসে আড্ডা দিতে পারবেনা কমল। কোথায় যাবে তবে এবার? একবার আগমেশ্বরী পাড়ার দিকে যাবে কি?

    ভাবনাটা চমকৃৎ করল কমলকে। হাঁটার গতিবেগ বেড়ে গেল ওর নিজের অজান্তেই। ওপাড়ায় চাঁপাদের বাড়ি। সময় অসময়ে একবার ওদের বাড়ির সামনে দিয়ে ঘুরে আসে কমল। চাঁপা শোভাদের ক্লাসেই পড়ে। ভালো নাম চম্পা। দু একবার এসেছে কমলদের বাড়ি শোভার সাথেই। জেলা স্তরের এথলিট। লঙ জাম্প আর ১৫০০ মিটার। শোভা বলেছে একদিন কথায় কথায়। চাঁপার দাদাদের সাথে বেকার হওয়ার আগে অবধি রয়্যাল ক্লাবের মাঠে ফুটবল খেলেছে কমল। চাঁপার দাদারা আজও খেলে, কমল খেলে না। ওদের নিজেদের ব্যবসা; ওদের সাজে। বেকার ছেলের বল পেটানো শোভা দেয়না। একটা সময় মনের গোপনে লালিত ইচ্ছে ছিল ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলবে। সেন্টার ফরওয়ার্ড। আপ্পারাও ওর হিরো। পরিস্থিতির চাপে সেই ইচ্ছে ডানা মেলে উড়ে গেছে অন্য কোথাও। ওর সেই ইচ্ছা হয়ত এখন জলে হাওয়ায় বেড়ে উঠছে অন্য কোনো কিশোরের মনের নরম মাটিতে।

    কলকাতায় থাকলে কি কোনো সুবিধে হত? হত অবশ্যই! সরকারি না হোক কোনো সওদাগরি অফিসে চাকরির একটা জোগাড় নিশ্চয়ই করে নিতে পারত ও। কিন্তু কলকাতায় থাকবে কোথায়? মামার বাড়িতে থাকা যায় অবশ্যই কিন্তু ও জানে মা সে অনুমতি দেবেনা কখনওই। তা হলে? বড় বোনটার বিয়ে তো বাবার এটুকু রোজগারে দেওয়া যাবেনা! তবু তো এখন বাবার মাইনে কিছু বেড়েছে। তবে সে হল দাবানল নেভাতে এক চৌবাচ্চা জল। সে আগুন পুরোপুরি না নিভলে চাঁপার কথাও যে মন ভরে ভাবতে পারবে না কমল!

    প্রথম দিনই মেয়েটাকে ভালো লেগেছিলো কমলের। সরাসরি কথা বলার প্রশ্নই ওঠেনা। যেদিন থেকে ওর বাড়ির ঠিকানা জানতে পেরেছে, সেদিন থেকেই পায়ে পায়ে চলে যায় ওদের বাড়ির গলিটা অবধি। গলির মুখটা থেকে দেখা যায় ওদের বন্ধ সদর দড়জা। দড়জাটার ওপাশ থেকে কানে আসে চাঁপার মা-কাকিমাদের কথাবার্তার টুকরো টাকরা। দো তলাটায় চাঁপার দাদারা থাকে। ভারি গলার আলাপ আলোচনা ভেসে আসে সেখান থেকেও। কখনও বা ওদের দো তলার বারন্দায় এক প্রৌঢ়কে দেখা যায় চেয়ার পেতে বসে থাকতে। বাড়ির মধ্যেকার কর্মময়তাও টের পাওয়া যায় বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেই। শুধু চাঁপা কোনোদিনও আসেনা। এতদিনে একদিনও চাঁপাকে বাড়ির ছাদে বা বারন্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেনি কমল। একটা দিনের জন্যও না। তাতে কি? ওই বাড়িটার কোনো একটা ঘরে যে চাঁপা রয়েছে, এই ভাবনাটাই ওকে পুলকিত করে। মনটা ভালো হয়ে যায় ওর।

    পাড়ার মসজিদটার কাছে এসে থমকালো কমল। আসেপাশের সবকটা দোকান বন্ধ। অবাক হল একটু।এখান থেকে চারদিকে চারটে রাস্তা চলে গেছে। বাঁ দিকের রাস্তাটা ধরলে ওলাদেবীতলা অবধি যাওয়া যায়। তারপর রেললাইন। লাইনের এ পারটা নদীয়া জেলার অন্তর্গত। ওপারটা বর্ধমান। ডানদিকে গেলে পড়ে পোড়ামাতলা-নবদ্বীপ শহরের প্রাণকেন্দ্র। একটা বিশাল বটগাছকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দোকান বাজার। জায়গাটা যেন সর্বদাই প্রাণশক্তিতে টগবগ করছে। পেছনের রাস্তাটা কমলদের বাড়ির দিকে গেছে আর সামনেরটা ধরে সোজা চলে যাওয়া যায় চাঁপাদের বাড়ি।

    সম্মোহিতের মতন সামনের রাস্তাটা ধরল কমল। রাস্তাটা খুব অন্ধকার। সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে ওকে। হঠাৎই সন্ধ্যের তন্ময়তা ছিঁড়ে খুঁড়ে একটা হাত বোমা ওর কিছুটা সামনে এসে পড়ল; জানান দিল নিজের সশব্দ উপস্থিতি। স্নায়ুগুলোকে নিজের বাগে আনার আগেই কমল দেখল উল্টো দিক থেকে ছুটে আসছে বেশ কিছু মারমুখী মানুষ। পেছন ঘুরে বাড়ির দিকে ছুটতে থাকল কমল। বড় জোর গজ তিরিশেক হবে এখান থেকে মসজিদের মুখটা, এত সময় লাগছে কেন এটুকু পথ পার হতে? মসজিদের মুখটা দেখা যাচ্ছে। পেছন থেকে লোকগুলোর পায়ের শব্দ আর চিৎকার শোনা যাচ্ছে। ওরা কারা তা জানবার ইচ্ছে-সময়-সুযোগ কোনটাই নেই। মসজিদটা আরো কাছে এগিয়ে আসছে। বিপদ কেটে গেছে মনে হয়! দৌড়তে দৌড়তেই মসজিদের মুখটায় আরো কিছু ছেলেকে দেখতে পেল ও। তাদের হাতেও অস্ত্র।রণহুঙ্কার দিয়ে ওর দিকেই তেড়ে আসছে তারাও। সামনে মৃত্যু। পেছনেও তাই। কোথায় পালাবে কমল?

    (ক্রমশ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ নভেম্বর ২০১৩ | ১৬৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন