এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • স্কুল শিক্ষার সংস্কার ও দশ দফা দাবি

    সীমান্ত গুহঠাকুরতা
    আলোচনা | শিক্ষা | ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৪৩৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ছবি: ঈপ্সিতা পাল ভৌমিক



    সমস্যাটা আগেও ছিল, কিন্তু কোভিড-অতিমারীর পর তা বহুগুণ বেড়ে গেছে। যেকোনো সরকারী স্কুলে সচরাচর দু-ধরনের ছাত্র পাওয়া যায়। একদল পড়াশুনায় আগ্রহী, তারা নিয়মিত স্কুলে আসে, ক্লাসে রেসপন্সিভ থাকে। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো তত ভাল রেজাল্ট করে না, কিন্তু প্রথাগত পড়াশুনার বাইরে নানা রকম অ্যাক্টিভিটিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। কেউ খেলাধুলায়, কেউ সাংস্কৃতিক কাজকর্মে, কেউ বা নেতৃত্বদানের প্রশ্নে তার স্বভাবগত দক্ষতার পরিচয় দেয়। আর দ্বিতীয় দলটি পড়তে, বুঝতে অথবা অন্য কোনো রকম কাজেকর্মে নিতান্তই অনিচ্ছুক। এরা স্কুলে ভীষণই অনিয়মিত উপস্থিত থাকে। এই অনিচ্ছার পিছনে নিশ্চই কিছু আর্থ-সামাজিক কারণ অবশ্যই আছে, কিন্তু সেই কারণগুলো এতই বৃহৎ এবং জটিল যে তা নিয়ে তা নিয়ে ভাববার বা সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করা শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্ম নয়, তাদের তাই ওই প্রথম শ্রেণির ছাত্রদলকে নিয়েই কাজে-কর্মে বৃত থাকতে হয়।

    মুশকিল হল, অতিমারী-জনিত যে পরিবর্তনগুলো আমাদের চারপাশের সমাজে ঘটে গেছে, তার থেকে স্কুলও রেহাই পায়নি। নগর পুড়িলে দেবালয় এড়ায় না। ঠিক যেমন কর্পোরেট সেক্টরে অফিসের বদলে গুরুত্ব বেড়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর, অথবা অর্থনীতির জগতে নগদের বদলে অনলাইন লেনদেনের ওপর ভরসা বেড়েছে অনেকখানি, অথবা সিনেমা হলের জায়গা নিয়েছে মোবাইল নির্ভর ওটিটি প্লাটফর্ম, ঠিক তেমনি স্কুলের প্রথাগত শিক্ষাদান বা গ্রহণের পরিসর অনেকখানি দখল করে নিয়েছে অনলাইন এডুকেশন। এসে গেছে অসংখ্য অনলাইন টিচিং অ্যাপ। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশনের ওপর নির্ভরতা বরাবরই বেশি, অতিমারী এসে সেই নির্ভরশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগে ছাত্রছাত্রীরা স্কুল শুরুর আগে, সকালে অথবা স্কুলের পর সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে যেত, ইদানীং দেখছি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারগুলো আর স্কুলের সময়টাকে বাদ দেবার সৌজন্যও দেখাচ্ছে না। দুপুর বারোটা, দুটো অথবা বিকেল তিনটের সময়ও ‘ব্যাচ’ বসানো হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরাও আজকাল স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য জ্বর বা পেটখারাপের মত মত প্রচলিত অজুহাতগুলো দেখানোর বদলে পরিষ্কার বলে দিচ্ছে – ‘প্রাইভেট পড়া আছে স্যর’। শিক্ষার প্রশ্নে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি অস্বীকার করার এই স্পর্ধা কিন্তু অতিমারীরই অবদান। আজকাল তাই পড়াশুনায় ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক কোনো রকম ছাত্রছাত্রীকেই নিয়মিত স্কুলে পাওয়া যাচ্ছে না।

    কিন্তু দোষটা কি শুধুমাত্র অতিমারীই? অতিমারীর কাঁধে বন্দুক রেখে কোনো বৃহত্তর শক্তি তাঁর স্বার্থসিদ্ধির জন্য ময়দানে নেমে পড়েনি তো? প্রশ্নটা গুরুতর। এবং পাপী মনে প্রশ্নটা আসছে এই কারণেই যে, অতিমারী আগে-পরে বিগত পাঁচ বছরের রেকর্ড ঘাঁটলে দেখা যাবে, কমবেশী প্রতিবছরই গড়ে প্রায় দু-মাস করে গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলোতে। এর পাশাপাশি রয়েছে গড়ে প্রতি বছর একটি করে ভোট-উৎসব, যার জন্য কমবেশি পনেরো দিন থেকে এক মাস স্কুল-বাড়িগুলো অধিগ্রহণ করা হয়। যেদিন এই নিবন্ধটি লিখছি, সেদিনকার সংবাদপত্রেই এই মর্মে প্রতিবেদন রয়েছে যে, দুমাস গরমের ছুটি এবং একমাস পঞ্চায়েত জনিত ছুটির পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি দশ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে, ফলে ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান শিক্ষককেই মাইক হাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচারে নামতে হয়েছে।

    একটি শিশু বা কিশোরের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের প্রশ্নে স্কুলের ভূমিকা অসীম। অধিকাংশ অভিভাবক এবং জননেতাদের একাংশ যেমন মনে করেন স্কুল হল সিলেবাস শেষ করা এবং পরীক্ষা নিয়ে মার্কশীট আর সার্টিফিকেট বিলি করার জায়গা, তা আদৌ নয়। সিলেবাস শেষ করা বা একটা ভাল রেজাল্ট করার জন্য কিন্তু সত্যিই ইদানীং আর স্কুলের খুব একটা দরকার নেই। অজস্র অনলাইন কোচিং বা প্রাইভেট টিউটর বাজারে সুলভ, তারাই কাজটা সেরে দিতে পারেন। আর ‘ভাল রেজাল্ট’ তৈরির প্রয়োজনীয় সস্তা মালমশলা স্কুলের বাইরের বাজারে সুলভ বলেই হয়তো আজকাল আর স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা বলার বা গান গাইবার মত ছাত্রছাত্রী পাওয়া যায় না, স্পোর্টসে বা ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ নেই ওদের, সরস্বতী পুজোয় মণ্ডপ সাজানোর বা ফল কাটার লোক পাওয়া যায় না। এইভাবেই এই ‘নিউ নর্মাল’ শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের এক আত্মমগ্ন, স্বার্থপর এবং অবধারিতভাবে এক সমাজ-বিচ্ছিন্ন একক-যাপনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    এর পাশাপাশি আর্থিক বা সামাজিকভাবে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া একদল ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষার অঙ্গন থেকে বার করে দেবার একটা গভীরতর চক্রান্ত তো রয়েইছে। যাদের মোটা দক্ষিণা দিয়ে প্রাইভেট পড়ার বা অনলাইন এডুকেশন গ্রহণ করার সামর্থ্য নেই, তারা এখন অবধারিতভাবেই পড়াশুনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের জন্য তাই অপেক্ষায় রয়েছে তামিলনাড়ু, মুম্বই, গুজরাটের পরিযায়ী শ্রমিক-মহল্লাগুলো।

    মোটের ওপর ব্যাপারটা তাহলে দাঁড়াল এই যে, যাদের সামাজিক সচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য আছে, তাদের আর স্কুলের দরকার নেই। আর যাদের স্কুল ছাড়া শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, স্কুল তাদের ভুলে বসে থাকছে। আর এক মাঝখানে আছেন শিক্ষক নামধারী এক তৃতীয় পক্ষ, যাদের অধিকাংশই শেষের সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোকে দেখতে পাবার মত দূরদৃষ্টি-সম্পন্ন নন, তাঁদের যাবতীয় দাবি-দাওয়া তাই ডি এ-কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে, এখনও।

    পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বললে কম বলা হবে, বরং এরকমই বলাই বোধহয় ঠিকঠাক হবে যে, আমাদের সরকারী শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। মুশকিল হল, এই পরিস্থিতিকে বদলানোর প্রশ্নে সরকার বা বিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলকেই আর ভরসা করা যায় না। ইদানীং কিন্তু সরকার, বিরোধীপক্ষ এবং তাদের কারো-না-কারো তাঁবেদারী করা প্রাতিষ্ঠানিক গণমাধ্যমের বাইরে ফেসবুক-ট্যুইটার-হোয়াটসঅ্যাপ-আদি সমাজমাধ্যমকে অবলম্বন করে একটি স্বতন্ত্র এবং ভিন্ন স্বর উঠে আসছে । অনেক সময়ই সেই সমবেত ভিন্ন-স্বর বিভিন্ন স্পর্শকাতর ‘ইস্যু’-তে সরকারকে নড়েচড়ে বসতেও বাধ্য করছে। শিক্ষার প্রশ্নেও এমনই একটা তৃতীয় নিরপেক্ষ কণ্ঠ তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছিল বিগত কিছুদিন ধরে।
    সেই লক্ষেই এই সেদিন এক বৈঠক হল একটি অনলাইন প্লাটফর্মে। বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী, অধ্যাপক অচিন চক্রবর্তী, অনিতা অগ্নিহোত্রী, কুমার রানা, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ কয়েকজন শিক্ষাবিদ, চিন্তাশীল মানুষ এবং সমাজকর্মী। হাজির ছিল শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রায় একশো জন মানুষ, যারা সকলেই সেই বিপন্নতায় সামিল।

    প্রায় তিন ঘন্টার সেই ম্যারাথন বৈঠক শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, সত্যিই, এখন বোধহয় শিক্ষার গুণমান, পেডাগজি, সিলেবাস, কারিকুলাম ইত্যাদি গৌণ হয়ে পড়েছে। তার থেকে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে কিছু মোটা দাগের সংস্কার। যেমন,
    ১. পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে,
    ২. শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন কিনা, নিলেও ব্ল্যাকবোর্ড, লেসন প্ল্যান ইত্যাদি যথাযথভাবে ব্যবহার করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পড়াচ্ছেন কিনা যা নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য ঘনঘন পরিদর্শনের ব্যবস্থা চাই,
    ৩. যেন-তেন-প্রকারেণ ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে হাজিরা নিশ্চিত করত হবে,
    ৪. প্রাইভেট টিউশনের রমরমা বন্ধ করার জন্য স্কুল স্তরে উন্নত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে,
    ৫. ছাত্রছাত্রীদের মত শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও কর্মদক্ষতার নিয়মিত মূল্যায়ন চালু করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে তার চাকরির স্থায়িত্ব নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে,
    ৬. মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়ে তার গুণগত মানের উন্নয়ণের পাশাপাশি তাকে সুস্বাদু করে তুলতে হবে,
    ৭. স্কুলগুলোর পরিকাঠামোয় পর্যাপ্ত সংস্কার করে এবং পর্যাপ্ত অশিক্ষক কর্মী, মেথর-ঝাড়ুদার ইত্যাদি নিয়োগ করতে হবে। এবং রক্ষণাবেক্ষনের খরচের জন্য কম্পোজিট গ্রান্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
    ৮. নানাবিধ ‘ডোল’ বিলির জন্য হয় বিদ্যালয়ের বাইরে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে স্কুলের তার জন্য পৃথক দপ্তর এবং কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
    ৯. ল্যবরেটারি ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং শিক্ষকের অভাবে গ্রামের দিকে বিজ্ঞান-শিক্ষার হাল অত্যন্ত খারাপ। তাই বিজ্ঞান-শিক্ষার প্রসারে আলাদা অর্থ-বরাদ্দ জরুরি,
    ১০. সর্বোপরি, কারণে-অকারণে দীর্ঘ ছুটি দেবার প্রবণতা কমাতে হবে এবং নির্বাচন ইত্যাদি প্রয়োজনে স্কুলবাড়ি অধিগ্রহণের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

    জনজীবনে শিক্ষার গুরুত্ব যিনি বোঝেন, তার কাছে এই দশ দফা দাবি খুব একটা গুরুতর বা বিরাট ব্যয়বহুল কিছু নয়। প্রশ্নটা কেবলমাত্র সদিচ্ছার। দেখা যাক, শিক্ষা-নিয়ামকদের মনে সেই সদিচ্ছা জাগরিত করা যায় কি না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৪৩৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2b:72c2:a88d:c08f:6c3e:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫২522229
  • "ইনকাম পার্সেনটাইলগুলো নিয়ে প্রতি রাজ্যের একটা করে হিস্টোগ্রাম বানানো হয়..." 
     
    স্ট্যাস্টিকাল টার্ম বাদ দিয়ে, আমার মনে হয় যেসব রাজ্যে বাবামাদের আর্থিক সঙ্গতি বেশী, সাধারনত সেই সব রাজ্যে বা শহরগুলোতে বেশী সংখ্য্ক ছাত্রছাত্রী ইংরেজি মাধ্যমে আর সিবিএসই তে ভর্তি হচ্ছে। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত পার্সেপশান, আমি ভুল হতেও পারি :-)
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:641f:768c:747b:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:০১522230
  • https://m.timesofindia.com/india/number-of-children-studying-in-english-doubles-in-5-years/articleshow/49131447.cms

    এটা মনে হয় ঐ সার্ভেরই কয়েক বছর আগের তথ্য। ইংরেজীতে পড়া যে বাড়ছে সেটা ২০১৫ তে বলছে, ২০২১ এ গিয়ে আরো বেড়েছে নিশ্চয়।

    ২০১৫ তে ১৭% যখন, তখনই ভাজপা - আর এস এস হিন্দী করছে, ২০২১ এ % আরো বেড়ে গেল।

    NEP ইত্যাদি ক্রমশঃ এল। যোগ নেই বলছেন ?

    এই সার্ভেটা পাওয়া জরুরী, রাজ্য, শ্রেণী, জাত, গ্রাম- শহর ইত্যাদি নিয়ে ভাগগুলো বোঝা যেত।
     
     
  • এলেবেলে | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:০১522231
  • ডিসিজনাব, আমি যখন আগের পোস্টটা টাইপ করছি সেই ফাঁকে সিএস রিপোর্টটা দিয়েছেন। এখন পড়ে দেখলাম ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা খুব একটা ভুল কিছু নয়।
     
    আগে সাউথ পয়েন্ট, গোখেল এবং আরও বেশ কিছু স্কুল বাংলা বোর্ডে ছিল কিন্তু মাধ্যম ছিল ইংরেজি। এখন তারা সে ল্যাঠা চুকিয়েছে। এখন ইমি মানেই ইমি নয়। সিবিএসই নাকি আইসিএসসি - তাই দিয়ে সেই স্কুলের জাত নির্ধারণ হয়। প্রধানত সর্বভারতীয় পরীক্ষার দিকে দৃষ্টি রেখে। বাংলার জেলাগুলোতে (বর্ধমান-আসানসোল-শিলিগুড়ি বাদে) ইমির কী স্ট্যান্ডার্ড সেটা মোটামুটি জানি। কাজেই আর্থিক স্বচ্ছলতাই একমাত্র নির্ধারক নয় এবং ইমির পড়ুয়াদের পেছনে অন্তত এ রাজ্যে কত টিউটর গোঁজা হয়, সে খোঁজটা একবার নিতে পারেন। কর্পোরেটের প্রচারযন্ত্র বড্ড শক্তিশালী হয় কি না!
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:641f:768c:747b:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:০২522232
  • ** হিন্দী হিন্দী করছে
  • dc | 2401:4900:1f2b:72c2:a88d:c08f:6c3e:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:১১522233
  • "এখন ইমি মানেই ইমি নয়। সিবিএসই নাকি আইসিএসসি - তাই দিয়ে সেই স্কুলের জাত নির্ধারণ হয়। "
     
    একদম একমত। ইংরেজি মাধ্যম আর সিবিএসই, এই কম্বোটা মারাত্মক আর চারপাশের অভিভাবকদের সবাইকে দেখি এই কম্বোটা খোঁজেন। 
     
    চেন্নাইতে আমার বাড়ির কাছাকাছি, অর্থাত পাঁচ কিমির মধ্যে, দুটো খুব নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আছে যারা আগে স্টেট বোর্ড সিলেবাস পড়াতো। কিন্তু লাস্ট দশ বছর ধরে নানাজনের কাছে শুনলাম স্কুলগুলোর পার্ফর্ম্যান্স পড়ে যাচ্ছে কারন আগের মতো আর ভর্তি হচ্ছে না। বোধায় দুতিন বছর আগে থেকে, এই দুটোই সিবিএসই হয়ে গেছে। আমার এক বন্ধুর মেয়ে এই স্কুলের একটায় পড়ে, সে ও তার পরিবার হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। 
  • সিএস | 49.37.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:১২522234
  • এই মনে হয় সাইটটা, অনেক অনেক রিপোর্ট আছে।

    https://udiseplus.gov.in/#/home
  • dc | 2401:4900:1f2b:72c2:a88d:c08f:6c3e:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৪522235
  • ধন্যবাদ। সাইটটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। 
  • সিএস | 49.37.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৯522236
  • যাই হোক বাবা, ৫% টা ১৫% হোক এ রাজ্যে, তখন নয় লোকজন চিন্তিত হয়ে তর্ক করবে।

    তার আগে পর্যন্ত, ঐ, আগে কী সোন্দর দিন কাটাইতাম চলুক।

    অবশ্য ডিসির কথামত, বাকি ৮৯% বাংলা মিডিয়াম বাবা - মার ইন্টেন্টটা কী ও কেন (কর্পো চালিত কিনা) সে নিয়ে সার্ভেটা হোকে।
  • সিএস | 49.37.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৪522237
  • নাঃ, এই ৫% টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

    ২০০ বছরের মেকলে শাসনে শাসিত হয়ে এ রাজ্যে ইং মিডিয়াম মাত্র ৫% ?
     
     রিয়েলি ?

    আর সেই নিয়ে বাংলা বাঁচাও ?

    কেসটা কী ?

    আর পাঁচটা জিনিসের মতও, এও কি শহুরে মধ্যবিত্তর বিলাপ?
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:641f:768c:747b:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৪৬522242
  • আরো একটু খিল্লি না করে থাকতে পারলাম না। দু'খানি।

    - অ্যাডাম সাহেব লাখে লাখে বাংলা মিডিয়াম স্কুল দেখেছিলেন আর এখনকার বাঙালী লাখে লাখে ইং মিডিয়াম স্কুল দেখে, দুটোই রচা কথা।

    - বাঙালী তো সব কিছুতেই পিছিয়ে,তো ইং মিডিয়ামের স্কুল পড়ুয়ার হারেও দেশের গড়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

    দু'খানির পরে তৃতীয় কথাটি হল, বিদ্যেসাগর মশাইয়ের আরো একটু চেষ্টা করা উচিত ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রসারের জন্য, ৫% টা তাহলে বাড়ত হয়ত।
  • এলেবেলে | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০০:০২522244
  • আমিও তাহলে দুখান খিল্লি করি। 
     
    এক, অ্যাডাম সাহেব আদৌ লাখে লাখে বাংলা মিডিয়াম স্কুল দেখেননি। তিনি এ বাবদ সরকারি শিক্ষা সংসদের এক সদস্যের বয়ানের ভিত্তিতে বিষয়টির ব্যাখ্যা করেছিলেন মাত্র।
     
    দুই, বিদ্যাসাগর মশাই ও অন্য অনেকের হাজারো চেষ্টার পরেও ইংরেজি শিক্ষার হালটা এমন হয়েছিল - By 1888, out of a population of more than 200 million in British India, less than one per cent had any knowledge of English, and the total number of students who had graduated from universities since 1857 (when the first three Indian universities during British rule were founded) was less than eight thousand.
  • lcm | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০৪:১৬522249
  • ডাইস এর সাইট থেকে, পশ্চিমবঙ্গের চার্ট, প্রায় ১১% প্রাইভেট স্কুল... এই প্রাইভেট স্কুলগুলো সব ইংরেজি মিডিয়াম কিনা বোঝা যাচ্ছে না ...
  • dc | 2401:4900:1cd1:2baf:fc70:f1af:9c82:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০৭:৫৭522252
  • ঝাড়খন্ডেও একই রকম ডিম্যান্ড প্যাটার্ন, ইংরেজি মাধ্যম আর সিবিএসই বোর্ডঃ 
     
     
    For parents of 37,309 students across Jharkhand’s different districts, Tuesday was nothing if not a historic day. It was the day the students sat for entrance tests to get enrolled in one of the 80 schools under the Chief Minister’s School of Excellence (SOE) programme, an initiative where government schools have been converted into CBSE model schools, which will impart English-medium education free of cost.

    The competition, though, is set to be high, as only around a third of them will get a look-in.
    For most of these parents, English medium education is a dream out of reach, and means. On Tuesday, thus, they waited eagerly as their children appeared in entrance tests held for admission in Classes I, VI and IX for 11,986 seats available across 24 districts. 
  • dc | 2401:4900:1cd1:2baf:fc70:f1af:9c82:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৫১522253
  • আর এই হলো খোদ আমাদের সবার প্রিয় প্রধানসেবকের নম্ম গুজরাটের ছবি। প্রধানসেবক এমনকি নিজের রাজ্যে অবধি ​​​​​​​ইংরেজি ​​​​​​​মিডিয়ামের উত্থান ​​​​​​​ঠেকাতে ​​​​​​​পারছেন ​​​​​​​না! ​​​​​​​
     
     
    Amid a declining preference for mother tongue as the medium of instruction and the rising demand for English medium schools, the number of medium languages in schools run by the Ahmedabad Municipal Corporation (AMC) has reduced from eight to four, barring English, in the current academic session. 

    Simultaneously, English medium schools have emerged as the fastest growing even at the cost of schools in regional language mediums. Until 2005, the AMC School Board had 539 schools in the language mediums of Gujarati, Urdu, Hindi, Marathi, Sindhi, Tamil, Telugu and Malayalam. Currently, there are no schools in Sindhi, Telugu, Tamil and Malayalam mediums, while the two remaining Marathi medium schools are also on the verge of shutting down. Meanwhile, the AMC School Board added 20 English medium schools in the past two years alone. It opened its first English medium public school with kindergarten as entry classes in 2013-14 in the Shahpur area of Old Ahmedabad. 
     
    The trend of 'other' medium schools shutting down began in 2006, but in less than a decade the number of English medium schools has grown to 55 in 2022-23 from just one in 2013-14. Interestingly, the English medium schools replaced the language medium schools that closed down. Parents as well as the school board authorities said the declining preference for the mother tongue as the medium of instruction and the shift towards English medium led to the closure of these schools over the past few years. The demand by parents today is for English medium and smart schools, said L D Desai, AMC School Board Administrative Officer.
  • dc | 2401:4900:1cd1:2baf:fc70:f1af:9c82:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০৯:০০522254
  • "স্মার্ট স্কুল" হলো আরেকটা ঢপবাজি যেটা বোধায় চার পাঁচ বছর হলো শুরু হয়েছে। আমার বৌ যেহেতু একটা স্কুলে প্রাইমারিতে পড়ায়, তাই এটা নিয়ে বৌ এর কাছে অনেক কমপ্লেন শুনি laugh
     
    স্মার্ট স্কুল মানে হলো একগাদা কোম্পানি স্কুলগুলোকে নিজেদের সলিউশান বেচে, যেগুলোর বেশীরভাগ বাগে ভর্তি থাকে আর টিচাররা সেগুলো সামলাতে হিমশিম খায়। ক্লাস শিডিউলিং, ছাত্রদের পারফরম্যান্স রিপোর্ট, অ্যাটেনড্যান্স রিপোর্টিং, ক্লাসে পড়ানো ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্ত রকম অ্যাক্টিভিটির জন্য অ্যাপ আছে, আর এই সব কিছু নিয়ে হলো "স্মার্ট স্কুল"। অভিভাবকরা কিন্ডারগার্টেনে ছেলেমেয়েকে ভর্তি করানোর সময় খোঁজ নেন, এখানে স্মার্ট স্কুল আছে তো? চেন্নাইতে বোধায় এখন আর একটাও স্কুল বাকি নেই যেখানে কিছু না কিছু অ্যাপ ব্যবহার হয় না।  
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৪৮522255
  • সাইটাটাতে দেওয়া রিপোর্টগুলো থেকে ইমি-তে পড়া পড়ুয়াদের সংখ্যাটা বুঝতে পারলাম না, নেই মনে হল। হয়ত raw data থেকে generate করা যায়, সেই ডেটার জন্য লগইন লাগে !

    কিন্তু কাগজের রিপোর্টে যেমন লিখেছিল, দিল্লীতে ৬০% ছেলেপুলে ইং মিডিয়ামে, সেই জন্যই মনে হয় আপ - এর শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য চেষ্টা ও প্রচার।

    (কিন্তু কালকের পাশ হয়ে যাওয়ার আইনের পরে সেসব আর করে উঠতে পারবে কি ?)
     
     
  • dc | 2401:4900:1f2a:1dd1:40d9:5f80:4875:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১২522269
  • এবার একটা ভারি ইন্টারেস্টিং রিপোর্ট দেখুনঃ 
     
     
    The report also envisions the rise of nine states to upper-middle-income status, with a per capita income of $4,000. However, the specific names of these states have not been disclosed.
    Presently, Telangana leads the per capita income league table with Rs 2,75,443 in fiscal year 2023, followed closely by Karnataka with Rs 2,65,623, Tamil Nadu with Rs 2,41,131, Kerala  with Rs 2,30,601, and Andhra Pradesh with Rs 2,07,771. Nonetheless, the report suggests that Gujarat is expected to take the lead in per capita income by fiscal 2030, followed by Maharashtra, Tamil Nadu, Karnataka, Haryana, Telangana, and Andhra Pradesh.
     
    আরেকটা রিপোর্টঃ 
     
     
    At Rs 3,08,732 in 2022-23, Telangana leads the list of Indian states with the highest per capita income at current prices, data released by the Ministry of Statistics & Programme Implementation (MoSPI) showed. It is followed by Karnataka with a per capita income of Rs 3,01,673 and Haryana at Rs 296,685.
    Telangana saw a big jump in the per capita income since last year. Last year with a per capita income of Rs 2,65,942 Telangana led the list among all the big states. But it was closely followed by Karnataka which was at Rs 2,65,623. This year, however, the gap has widened.
     
    The data for Delhi was unavailable for 2022-23. In 2020-21 and 2021-22, its per capita income was Rs 3,31,112 and Rs 3,89,529 respectively.  
    Based on constant prices, Haryana topped the list with a per capita income of Rs 1,81,961 in 2022-23. It was followed by Karnataka at Rs 1,76,383 and Tamil Nadu at Rs 1,66,463.​​​​​​​
     
  • dc | 2401:4900:1f2a:1dd1:40d9:5f80:4875:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২১522270
  • তাহলে তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, দিল্লি, ইত্যাদি যে সব রাজ্যের পার ক্যাপিটা ইনকাম বেশী বা বাড়ছে সেসব রাজ্যে ইংরেজি মিডিয়ামে ভর্তির হারও বেশী বা বাড়ছে। অবশ্যই কনফাউন্ডিং ভেরিয়েবল থাকতেই পারে, তবে ওভারল একটা কোরিলেশান মনে হয় পাওয়া যাচ্ছে। 
     
    হ্যাঁ কর্ণাটক কিছুটা আউটলায়ার, তবে এই রিপোর্টগুলো ২০২৩ এর, ২০২১ এর পর ২০২৩ এ কতোটা রেট বেড়েছে সেটা দেখা যক। 
  • r2h | 165.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২০:০০522273
  • কত শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলে যায় সেই সংখ্যা একটা ব্যাপার।
    এরপর হয়তো আসতে পারে, সরকারি স্কুলে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কতজন উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছে, কতজন স্কুলের পড়া শেষ করছে ইত্যাদি।

    এই সংখ্যাটাও যথেষ্ট বড়ই হওয়ার কথা। ট্রেন্ড বদলের লক্ষন থাকলে সেটা হয়তো বোঝা যাবে।

    তবে আসল লেখাটা, সরকারী স্কুলগুলির সার্বিক অবস্থার উন্নতি দরকার, সেটাও খুবই সত্যি কথা। তার জন্য কী হচ্ছে, কী পরিকল্পনা, সরকারের, রাজ্য ও কেন্দ্র, কী সদিচ্ছা আছে, না থাকলে সেই চাপ কী করে তৈরি করা যায় সেইসব।

    অবশ্য ঐ চাপ তৈরির পথ খুঁজতে গিয়েই আবার এত রকম পরিসংখ্যান, পর্যবেক্ষণ এইসব আসছে।
  • dc | 2401:4900:2605:4150:984b:b44:4b1f:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২০:২৫522274
  • সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি দরকার, এ নিয়ে আমার একেবারেই দ্বিমত নেই। আমার ইচ্ছা চললে তো আমি পুরো প্রাইমারি শিক্ষাব্যবস্থাটাকেই সম্পূর্ণ সরকারি বানিয়ে দিতাম। কিন্তু অ্যানেকডোটাল এভিডেন্স আর স্ট্যাটিসটিকাল এভিডেন্দ, দুটো দিয়েই দেখা যাচ্ছে মাবাবারা প্রায় সবাই ইংরেজি মিডিয়াম চাইছেন, আর হয়তো গত চার পাঁচ বছরে সিবিএসই বোর্ডের চাহিদা হুহু করে বাড়ছে। 
     
    আমার মনে হয় ইনকাম নিরপেক্ষভাবে সবাই কেন ইংরেজি মাধ্যম চাইছেন সেটা আলাদা ভাবে বোঝা উচিত। পারলে ইউনিসেফ ইত্যাদির বিভিন্ন রিপোর্টও প্রচার করা উচিত যেখানে দেখানো হয়েছে যে ছেলেমেয়েদের নেটিব টাং এ শিক্ষা দিলে এডুকেশনাল আউটকাম এর উন্নতি হয়, আর অন্য টাং এ শিক্ষা দিলে এডুকেশনাল আউটকাম এর অবনতি হয়। 
     
    তবে কিনা এসব প্রচার কি করা যাবে? জানি না। আমি দুয়েক জন উচ্চশিক্ষিত লোকজনের সাথে এই জিভ নিয়ে প্রশ্ন করে দেখেছি তাঁরা হাঁ করে তাকিয়ে থেকেছেন, তারপর একজনকে এরকম একটা রিপোর্ট ফরোয়ার্ডও করেছিলাম, তিনি আর কোন উত্তর দেননি 
  • dc | 2401:4900:2605:4150:984b:b44:4b1f:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২০:২৬522275
  • যাঁকে ফরোয়ার্ড করেছিলাম তিনি আবার প্রফেসার, স্বর্গের আগের স্টেশানে থাকেন laugh
  • lcm | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৮522276
  • "..কত শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলে যায় সেই সংখ্যা একটা ব্যাপার।..."
    গুড কোশ্চেন.. ডাইস এর এনালিটিক্স এ সেটাও রয়েছে.. এবং এই তথ্য খানিকটা আভাস দেয়.. 
    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বলছে, প্রাইভেট ৩৭%, গভর্নমেন্ট ৪৯% ...
    তামিলনাড়ু বলছে, প্রাইভেট ৪৮%, গভর্নমেন্ট ৩৪% ...
        
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩১522278
  • বছর সিলেক্ট করলে স্টেট টা আপনা আপনি ন্যাশনাল হয়ে যাচ্ছে। লসাগু মনে হয় খেয়াল করেননি।  
     
    ২০২১ -২২ এ পশ্চিমবঙ্গে ১০% শিক্ষার্থী প্রাইভেট স্কুলে যায় দেখাচ্ছে। তামিলনাড়ুতে ৪০%। পশ্চিমবঙ্গের ৩৭ % খুঁজে পেলাম না। 
  • lcm | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৩522279
  • থ্যাংকু। পুরো ভুল, তাই ভাবছি। বছর সিলেক্ট করি নি, শুধু স্টেট সিলেক্ট করেছিলাম, কিন্তু ইউআই তে কিছু বাগ আছে মনে হচ্ছে।

    যাই হোক, ২০২০-২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গে স্টুডেন্ট সংখ্যা অনুযায়ী এই দেখাছে, দিস মেকস সেন্স।
     

     
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪৫522281
  • হ্যাঁ ইউআই তে বাগ। এই আনরেকগনাইজড স্কুল ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না। রেকগনিশন নেই অথচ সার্ভে করা হয়েছে। 
     
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪৬522282
  • ওগুলো কি প্লেস্কুল , কিন্ডারগার্টেন এগুলো বোঝাতে চেয়েছে? 
  • r2h | 165.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২৩:০৩522283
  • আনরেকগনাইজড স্কুল - এসব স্কুল থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে বোর্ডের পরীক্ষায় বসে - এমন হতে পারে। সরকারী স্বীকৃতি, সুযোগ সুবিধে নেই - এমন স্কুলগুলি কয়েক বছরের তথ্য দেখিয়ে স্বীকৃতির আবেদন করতে পারে - এমন নিয়ম অনেক রাজ্যে আছে।
  • সিএস | 49.37.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৪৩522287
  • এই যে খুব শুনি বাঙালীর ইংরেজীপ্রীতি কলোনিয়াজমের পাচাটার পরিণতি এবং ইংরেজীর প্রভাব কমিয়ে ফেলতে পারলেই অ্যান্টি-কলোনিয়াল মানসিকতার শ্রীবৃদ্ধি হবে, স্কুল শিক্ষার তথ্যগুলো সেই প্রমাণ দেয়?

    অন্য অনেক রাজ্যেই ইংরেজীপ্রীতি কয়েক গুণ বেশী এবং এ কথা শোনা যায়নি যে তারা বাঙালীর থেকে বেশী কলোনিয়াল। বাঙালী যে সবার আগে ইংরেজী শিখে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ল, স্কুল শিক্ষায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে, সেটা কি এটা প্রমাণ করে যে কলোনিয়াল মানসিকতার সাথে ইংরেজী প্রসারের, স্বাধীন ভারতে, বিশেষ কোন সম্বন্ধ নেই ?

    ফেসবুক ফ্রেণ্ডসার্কেলের বাইরেও যে অনেক অনেক সার্কল আছে যা সম্বন্ধে আমাদের কোন ধারণাই নেই, ঐ সার্কলের মধ্যে ঘুরলে খানিক ভুল ধারণা, যাকে প্রেজুডিসও বলা যায় সেসবই তৈরী হয়, বাঙালীর অন্য ক্রাইসিসই ভাষা ব্যবহার নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরী করে, শহুরে মানুষদের মধ্যে, সংখ্যাগুলো সেটা প্রমাণ করে ?
     
     
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:641f:768c:747b:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ০০:০৯522288
  • ঈশানের কালকের লেখায় আর লিখলাম না, এখানেই, বিভিন্ন নিউজ রিপোর্ট পড়ে বোঝা যায়, অন্য রজ্যেও সরকারী শিক্ষাব্যবস্থায় ক্রাইসিস আছে, ঐ ব্যবস্থা থেকে প্রাইভেটে চলে যাওয়া যার প্রধাণ সিম্পটম। এই চলে যাওয়াকে তো শুধুই মানুষের লোভ বললে চলবে কী অথবা অশোক মিত্ররা যেমন বলতেন যে এসবই শহুরে মানুষদের নকল করার জন্য ঘটছে ? অন্য রাজ্যে এই ক্রাইসিসকে সল্ভ করার চেষ্টা হয়েছে সরকারি স্কুলকে ইং মিডিয়াম করে, পঃবঃ তেও সেরকম করার ভাবনা চলছে শুনেছিলাম, তো এরকম নানা কিছু হতে পারে কিন্তু সেসবে পরিশ্রম লাগবে প্রভূত, মনে হয় না কোন দলেরই সে ক্ষমতা বা ইচ্ছে বিশেষ আছে। আপ কিছু করেছে বলে শোনা যায় কিন্তু কতটা সত্যি হয়েছে আর কতটা প্রচার, ধারণা নেই।

    চাকরি বেচে ব্যবস্থাটাকে আরো নষ্ট করে দেওয়ার পরে কমিশন তৈরী আর বাংলা বাধ্যতামূলক করা, আমার কাছে, সরকারের পরিশ্রম এড়ানোর উপায় বলে মনে হল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন