ফ্যাসিস্ট শক্তির ষড়যন্ত্রের মাত্রাটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। বা বুঝেও বুঝছেন না। গতকাল টুইটারে সংগঠিতভাবে ট্রেন্ড করা হয়েছে প্রেসিডেন্টস রুল ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল। সম্বিত পাত্র সরল সমীকরণ নামিয়েছেন, বেঙ্গল = কাশ্মীর। কঙ্গনা রানাউত মোদীর কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন জানিয়েছেন। রাস্তায় আর্মি নামিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছে টুইটারে। দেশ জুড়ে ধর্ণায় বসছে বিজেপি। নাড্ডা, যিনি জনসভায় শখানেক লোকও জোগাড় করতে পারেননি, এই উপলক্ষে আসছেন বাংলায়।
এসব কিসের ভিত্তিতে? পশ্চিমবঙ্গে নাকি জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। গতকাল থেকেই চলছে তার তুমুল প্রচার। একটি ভিডিও ছড়িয়ে বলা হচ্ছে প্রতিক-উর-রহমানের বাড়ি আক্রান্ত। ভিডিও ছড়িয়ে গেছে বিদ্যুত গতিতে। বলাবাহুল্য, প্রতিকুরের বাড়িতে আক্রমণ কিছুই ঘটেনি। জানিয়েছেন প্রতিকুরের বাবা। একটি জ্বলন্ত বাড়ির ভয়াবহ ছবি শেয়ার করে বামমনস্ক অভিনেত্রী লিখেছেন, চোপরায় সিপিএমের পার্টি অফিস জ্বলছে। সেটাও ফেক নিউজ। শোনা যাচ্ছিল শ্রমজীবী ক্যান্টিন ভেঙে দেওয়া হয়েছে, রেড ভলান্টিয়ার্সরা আক্রান্ত। কিন্তু শ্রমজীবী ক্যান্টিন এখনও অক্ষত। সিপিএমের তরুণ নেত্রী ঐশী ঘোষ যথাযথভাবেই জানিয়েছেন, যে, ফেক নিউজ কারখানা চালাচ্ছে বিজেপি, এসব তারই উৎপাদন। কিন্তু তাতেও এসব হুহু করে ছড়াচ্ছে। বাড়ছে তথাকথিত "হিংসা"র সংখ্যা। একই ছবি দিয়ে মালদা মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় আক্রমনের ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে মুহুর্মুহু।
এই লেখা যখন লেখা হচ্ছে, তখনও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়াচ্ছে এইসব। উদ্দেশ্য একটাই। ভোটে গোহারান হার ওরা মেনে নিতে পারছেনা। এবার কেন্দ্রীয় শক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করতে হবে। তাতে বাংলা শ্মশান হলে হবে। দিল্লিতেও রাজ্য সরকারকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে যেন তেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করেছে, এখানেও করতে পিছপা হবেনা। দরকারে বাংলাকে কাশ্মীর বানিয়ে দেবে, সেনায় মুড়ে দেবে, তাও এটা চাই। সেই জন্যই এই ভুয়ো খবরের কারখানা। এবং এই প্রতিটি ভুয়ো খবরেরই একটি সাম্প্রদায়িক অভিমুখ আছে। সোজা করে বললে, মমতাজ বেগমের দলবল আক্রমণ করছে এবং হিন্দু খতরে মে। এটা একবার ছড়িয়ে দিতে পারলে, উত্তেজনা একবার তৈরি করতে পারলে, সত্যিই দাঙ্গাপরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এবং সত্যিই জঙ্গলের রাজত্ব তৈরি হতে পারে। কোভিড এবং দাঙ্গার যুগপৎ আক্রমণে বাংলা উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে।
যাঁরা এতদিন "বিজেপিকে আমরাই রুখতে পারি" বলে গলা ফাটাচ্ছিলেন, এবার সত্যিই সময় এসে গেছে। রুখে দেখান। তাঁদের ইউটোপিয়া অনুযায়ী লড়াইটা অবশ্য দা-কাটারি হাতে রাস্তায় হচ্ছেনা, হচ্ছে হোয়াটস্যাপ ফেসবুকে। কিছু হিংসা তো অবশ্যই হচ্ছে, তার প্রতিবাদ তো করতেই হবে। কিন্তু বিপুল স্কেলে নাটকীয় কিছু খবর বাজারে ছেড়ে দেবার আগে নিজেরা যাচাই করুন। কর্মী সমর্থকদের যাচাই করতে বলুন। যদি কোনো বিজেপির লোক বা গোষ্ঠী আইটি-সেলে ঢুকে থাকে চিহ্নিত করুন। এবং ফেক খবরগুলি যে ফেক, সেটা সজোরে জানান।
আর যাঁরা ভোটে জিতেছেন, অবিলম্বে সমস্ত হিংসা বন্ধ করুন। কোনো রাজনীতিকেই ঠেঙিয়ে আটকানো যায়না। অনুচিতও। এক্ষেত্রে বলপ্রয়োগে তো হিতে বিপরীত হবে। বিজেপির হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। দাঙ্গার অজুহাত। বাংলার মানুষ বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করে তাড়িয়েছে। বাকিটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেই হবে। অনুগ্রহ করে দাঙ্গার অজুহাত তাদের হাতে তুলে দেবেন না।
এসেম কে সমর্থন - আমি আজকাল কম আসি - এককালে ডিসির লেখা ও ভালো লাগতো - পিটিদাকে আজ থেকে দেখছি না - প্রবল বায়াসড ভদ্রলোক সিপিয়েম - এটা ওনার একটা মোটামুটি ডেফিনিশন - শুধু শুধু ওনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ডিসি না করলেও পারেন! দিনের শেষে সেই তো এদেশ, সেই এদেশের পলিটিশিয়ান আর তাদের করাপ্শন আর নীতিহীনতা - এর ভুক্তভোগী তো আমরা আম আদমী সকলেই! সেই রাগ এখানে একে অন্যের ওপর না মেটালেও চলে।
@de
"পিটিদাকে আজ থেকে দেখছি না - প্রবল বায়াসড ভদ্রলোক সিপিয়েম"
আছি। পালাইনি। লজ্জা ও দুঃখ পেয়েছি। বামেদের পরাজয়ের জন্য নয়। নরম ও গরম সাম্প্রদায়িকতার জয়ের জন্য। আর তাই নিয়ে শিক্ষিত বাঙালীর মানুষের উল্লাস দেখে।
দেগে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। গুরুতে বহুদিন ধরেই লোক ধরে ধরে সিপিএম বলে দেগে দেওয়ার কাজটি চলছে। আর নিজেদের অবস্থান সমর্থন করার পক্ষে যুক্তির যত অভাব পড়ছে তত খিস্তির প্রাবল্য ও কোয়ালিটি বাড়ছে। আপাততঃ বিজেপি বলে দাগার কাজটি শুরু হয়েছে। অথচ গুরুতে তিনো, বাম-তিনো, তিনো-বাম, তিনোশাল, পথহারাবাম-তিনো ইত্যাদিরা রাজ করেন। এবং অনেকেই বিরোধী স্বরকে দাবড়ে দেওয়ার জন্য প্রায় মোদিশার ভাবশিষ্যের মতই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। বোঝা গেল যে আপনার বিচারে তাঁরা অবশ্য সকলেই নিরপেক্ষ!!!
আরো একটা কথা। যারা একদা গোপনে অথবা প্রকাশ্যে গুজব, অসত্য আর কাঁচা মিথ্যের চাষ করেছিলেন গুরুর পাতায়, তাঁরাই এখন গুজব আটকানোর জন্য বিপুল বাইট ব্যয় করছেন। ভাল কাজ সন্দেহ নেই। তবে কিনা আগের পাপ কাজগুলোর জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিলে পারতেন। এইসব অসৎ তিনোপন্থীরাও কি আপনার মতে "বায়াসড" নন?
দে দি কে দুয়েকটা ক্লারিফিকেশান :-)
প্রথমত, এখানের কারুর ওপরেই আমার কোনরকম রাগ নেই। মানে এমনিতেই সেরকম কারুর ওপরেই আমার কোন রাগ নেই, আর এখানে তো দুয়েকজন ছাড়া কাউকে চিনিও না।
দ্বিতীয়, বিজেপিটিদাকে ব্যাক্তিগত আক্রমন। তার কারন পিটিদার ঘোমটার আড়ালে খ্যামটা নাচার অভ্যাস আছে। নিজে নানারকম ভাবে খোঁচাবে আর তারপর সরল গোলগাল মুখে "ভদ্রলোক" সাজার চেষ্টা করবে। তো আমার কথা হলো, পিটিদা লুঙ্গি তুলে নাচলে আমার হাততালি দিতে কোন অসুবিধে নেই। এই যেমন পিটিদা বললো ছাগোলের বাচ্চা, তাতে আমি বললাম পিটিদা চুতিয়ার বাচ্চা। পিটিদা ঢিল মারলে আমি কেন পাটকেল মারতে পারবো না? একা পিটিদাই হারামিগিরি করে যাবে? এ ভারি অন্যায়।
(দ দি কেঃ ওপরের কথাটা শুধু ক্লারিফিকেশানের জন্য)
সিপিএমের শূন্যের মধ্যে ঢেউ পিটিদা। নিজের নিক সার্থক করেছেন।
আচ্ছা এগুলো কী হচ্ছে? একজন যদি তাঁর রাজনৈতিক অভিমত বা পছন্দের কথা প্রকাশ করেন বা সেই রাজনৈতিক অভিমতে অনড় থাকেন তাকে এভাবে ট্রোল করা হবে কেন? ডিসি খুবই আমুদে মানুষ, আমি খুব পছন্দও করি ওঁকে। কিন্তু উনি সিরিয়াস আলোচনা না করে নিছক গাল দিয়ে কী আনন্দ পান? মমতাও তো একক এমপি ছিলেন একটা সময়ে, তাই বলে তাঁর কোনও সমর্ত্থক থাকতে পারবে না? তাঁকে এভাবে কাঠি করবেন নাকি সোমনাথ? আরও মার্কামারা সিপিএম তো গুরুতে আছেন, কই তাদের ট্রোল করছেন না তো? কেন? আপনাদের কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ বা বিশেষ পিরিতি আছে?
শুয়োরের খোঁয়াড়ের শুয়োরদের এই হোলিয়ার দ্যান দাউ অ্যাটিচ্যুডটা ঠিক হজম হচ্ছে না।
এলেবেলে, হজমি খেলে হজম হবে এই ভেবে কেউ হজমি খায়?
এলেবেলে, পিটিদা নিজের রাজনৈতিক অভিমত ব্যক্ত করুক না! আমার সে নিয়ে কিচ্ছু বলার নেই। তবে ছাগোলের বাচ্চা বললে চুতিয়ার বাচ্চা শুনতে হবে, এই তো হলো ব্যাপার।
(আবার, ক্লারিফিকেশানের জন্য।)
ডিসি,পিটি আপনাকে কখন কোথায় ছাগলের বাচ্চা বলেছেন? আপনি ধারাবাহিক ভাবে একতরফা পিটি কে গালি দিয়ে চলেছেন। কেন??
ও তার মানে আপনাদের এখন এমনি এমনি হজমি খাওয়ার পিরিয়ড চলছে। বেশ, ভালো। তবে টিফিন পিরিয়ডটা আবার অনন্তকাল থাকে না আর কি। ওই বড়জোর আধঘন্টা। আর আমি খেয়াল রাখব বাকি মার্কামারা সিপিএমদের ঠিক কতটা কাঠি করা হচ্ছে এখানে। নইলে আমারও টিফিন পিরিয়ড শুরু হবে।
কে যে কখন ছাগলের বাচ্চা বলল কে জানে।
sm, আগেই বলেছি, পিটিদা গাল দিলে গাল খাবে। এই হলো ব্যপার।
একদল ভোটারকে "চাড্ডি" বা "মাকু" বলে দাগানো গেলে আরেক দলকে কেন "ছাগল" বলা যাবেনা?
"ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা" একটি অতি পরিচিত ও ভ্দ্র বাংলায় বহুল ব্যবহৃত expression। এটি খিস্তি নয়। কেউ সে কথা বললে, আমাকে বলতেই হয় যে তিনি বহুদিন বাংলা ভাষার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এবং "লুঙ্গি তুলে" কে কি বলেছে এখানে সেটাও দেখিয়ে দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হত।
কিন্তু কাউকে "অমুকের বাচ্চা" বলে ব্যক্তি অক্রমণ করেছি বলে মনে করতে পারিনা। কেউ দেখিয়ে দিলে ক্ষমা চেয়ে নেব কিংবা অগ্রিম চেয়ে রাখলাম।
কোন যুক্তিহীন খিস্তিবাজ খিস্তির ক্রমাগত ব্যবহার করে নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য যা খুশী তাই বাহানা দিতেই পারে। তাতে কিছুই প্র্রমাণ হয়না।
আরে পিটিদা এসব কোন বাহানা না, আর বাংলা ভাষার প্রয়োগের ব্যপারও না। আপনি ছাগলের বাচ্চা বললেন, তাই আপনাকে (...) বললাম। এর পর যদি আবার লুঙ্গি তুলে নাচতে চান তো আবার গাঁড় মারা খাবেন। এসব আজেবাজে কথা বলবেন না, তাহলে আমিও কিছু বলবো না। এক্কেবারে পাতি ব্যপার।
দেখুন dc, মাস্টারদের সম্মান দিন। জাতির ভবিষ্যৎ ওনাদের হাতে। যত ইচ্ছে ট্রোল করতে দিন। অমুককে অমুক বলতে নেই শোনেননি? মনে রাখবেন *র বাচ্চা বলার চেয়ে বাচ্চা * বলা পলিটিকালি অনেক কারেক্ট।
"মনে রাখবেন *র বাচ্চা বলার চেয়ে বাচ্চা * বলা"
সে তো জানি, ছোটবেলায় আমরা ওরকম বলতাম :d
আর তাছাড়া আমি যে সব সময়েই পিটিদাকে খিস্তি করছি তা তো না, পিটিদা বহুদিন ধরে ছাগলে বাচ্চা হ্যান ত্যান বলে চলেছে। অনেকদিন ধরেই লুঙ্গি তুলে নাচছিল, একবার ইচ্ছে হলো পোঁদ মারতে, তাই মারলাম। এমন না যে সব সময়েই মারবো। আর এরপর থেকে এসব ফালতু কথাগুলো বাদ দিয়ে পোস্ট করে তাহলে তো আরওই মারবো না। এই সব আর কি। আপাতত কাজ করি গে :-)
আমাদের সন্তানেরা কি গুরু পড়ে?
তারা কি জানে যে তাদের পিতা-মাতারা কোন নিকে লেখে আর কি ভাষা প্রয়োগ করে?
এখানে বেশিরভাগ লোকই সেফ এইজন্য যা তাদের সন্তানেরা বাংলা পড়তে পারে না।
এই তন্ময় এবার একটু হ্যাজানো বন্ধ কর না, অনেক তো হল, ব্রেকিং ব্যাড দেখছিলি দ্যাখ না, পলিটিক্যাল ডিসকোর্স তোর জিনিস না, ভালো বুঝিসও না, এসব ছাড় না।
মোদিশার আরেকজন ভাবশিষ্য উদয় হলেন।
পিটিদা,
দুঃখ পাবেন না - অনেক অনিয়ম, বেনিয়ম আমার ও চোখে পড়ে, তবে সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করি না, করার সময় নেই। এছাড়াও প ব র রাজনীতি এখন বেশ ভালোমত ঘোলা জল, সেখানে মাছ ধরা দেখা এবং সেই উল্লাস কে এসক্যালেট করতে গেলে, সব কাজকম্মো শিকেয় উঠবে।
আপনাকে আলাদা করে দাগিয়ে দেবার কোন অভিপ্রায় আমার ছিলো না। আমিও সিপিয়েম সাপোর্টার - আগেও লিখেছি। আগে না বললেও, পার্টির খারাপ সময় এটা - এখন বুক ফুলিয়ে বলবো যে আমি বামপন্থী। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে সিপিয়েমের কিছু ফেবুবীরের সব আচরণ আমি সাপোর্ট করি। পার্টি টা এই ফেবু, টুইটার থেকে বাইরে বেরিয়ে যদি একটু সাধারণ মানুষের কাছে যেত, তাহলে এইরকম এক্সপোনেনশিয়াল ডিকে র হাত থেকে বাঁচতো।
এটা সব রকমের দলের জন্য প্রযোজ্য - আমায় যারা ভোট দিলো না, তাদের কাছে পৌঁছতে না পারাটা আমার ব্যর্থতা। সেখানে যদি আমি বলি যে যারা আমায় ভোট দিলো না, তারা ছাগল বা বুদ্ধু বা দুষ্টুলোক বলে দিলো না, সেটা নেহাতই বোকামো হয়। এই করতে গিয়ে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজার হতে চলেছে। সুতরাং পার্টির ভাবা উচিত - কিভাবে মানুষের আপন হওয়া যায়।
আর নিরপেক্ষ কেউ নয় - প্রত্যেকে বায়াসড - নিরপেক্ষ বলে কিছু হয় না -
ডিসিকে আর কোন কথাই বলবো না - কোন কারণে ওনার বক্তব্য সমস্ত শালীনতার গন্ডি অতিক্রম করে গেছে - অশালীনতার কোন জাস্টিফিকেশন হয় বলেই মনে করি না -
জানিনা কেন - কঠিন সময়, প্রচুর ফ্রাসট্রেশন মানুষের -
সবাই ভালো থাকুন -
ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার কথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছিলেন নিজেদের দল সিপিএমের সম্বন্ধে, আগের বারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরার প্রসঙ্গে। বলা হয় যে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার কাজ তিড়়িিং তিড়িিং লাফানো, কিন্ত কপালে আছে মায়ের দুধের ভাগ না পাওয়া । এটি গাল নয় , ইডিওমেটিক এক্সপ্রেশন। পিটি ওই কনটেক্স্টে ছাড়়া অন্য কাউকে ছাগলের বাচ্চা বলেন নি।
ডিসি কোথাও ভুল করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে পিটিক জানি। কাউকে 'শালা" বলাও ,unlike me, ওনার স্বভাব নয়।
পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের ছাগল পিটি বহুদিন ধরে বলে আসছেন,বামফ্রন্ট গদি হারানোর পর থেকেই। কাঠাল পাতা খাওয়ার কথাও এসেছে। ডাইরেক্ট খিস্তিই। ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা জনিত মানিক সরকারের এক্সপ্রেশনের ধারেকাছেও সেটা যায় না। মাঝে লোকজন নিশেধ করায় কিছুদিন ছাগল বলা বন্ধ করেছিলেন। আবার কদিন আগে থেকে ঘোষণা করেই বলতে শুরু করেছেন। ব্যক্তিগত পরিচিতির কারণে গার্ড করে লাভ নেই সিপিএম সংক্রান্ত কোনো সুস্থ আলোচনাকেই হোয়াট্যাবাউটারিতে নিয়ে গিয়ে লোকেদের ইরিটেশনের চূড়ান্ত করাটাই ওর স্ট্র্যাটেজি। যে মিডিয়াতে লিখছেন সেখানের ইউজারদের মনে সিপিএম সংক্রান্ত বিরক্তি জিইয়ে রাখাটাই ওর টার্গেট অ্যাকটিভিটি। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক আলোচনার টই থাকতেও ভাটিয়া৯তে একই জিনিস ক্রমাগত টেনে আনা ও চালিয়ে যাওয়াও এই স্ট্র্যাটেজিরই অংশ। অন্য যে কোনো আলোচনা চলার সময়েও হঠাত একটা লিংক পেস্ট করে মুলোদের গালি দেওয়ার ছলে আবার সেই হোয়াট্যাবাউটারি শুরু করে সেই আলোচনা কার্যত থামিয়ে আলোচনাকারীদের ইরিটেট করাটাও। গুরুতে সুস্থ রাজনৈতিক আলোচনা বন্ধ হওয়ার মূল কারণ এই পিটি।
"কোন কারণে ওনার বক্তব্য সমস্ত শালীনতার গন্ডি অতিক্রম করে গেছে - অশালীনতার কোন জাস্টিফিকেশন হয় বলেই মনে করি না"
দে দির সাথে একদম একমত। অশালীনতার কোন জাস্টিফিকেশানই হয়না। তবে আমি কোন জাস্টিফিকেশান দিইও নি।
হারামির সাথে হারামিগিরি করতে মনে হয় জাস্টিফিকেশান লাগে না :-)
রঞ্জনদা, বললাম তো, পিটিদার একটু ঘোমটার তলায় খ্যামটা নাচার অভ্যেস আছে। এদিকে অন্যের পোঁদে লেগে বেড়াবে ওদিকে নিজে পোঁদ মারা খেলে গোলমুখ করে বলবে দেখেছো কি দুষ্টু, আমার পোঁদ মেরে দিলো অথচ একটু ভেসেলিন লাগানোরও সুযোগ দিলো না! আর খেয়াল করে দেখবেন, পিটিদা একটা স্লিপারি স্লোপে আছে। এদ্দিন ছাগোল বলতো, এখন ছাগোলের বাচ্চা বলা শুরু করেছে। হারামিগিরির করার এটাই মুশকিল। পিটিদা শুরু করেছিল স্রেফ হারামিগিরি দিয়ে, কিন্তু এখন আস্তে আস্তে একটা চুতিয়া হয়ে উঠছে। লুঙ্গি তুলতে তুলতে কখন গাঁড়ে বেরিয়ে গেছে খেয়াল করে নি। তবে আবারো বললাম, এইসব ছাগোলের তৃতীয় সন্তান মার্কা খ্যামটা নাচ বন্ধ করলেই খিস্তিও খাবে না। সিম্পুল ব্যপার :-)
পিটি কি জানত পিটি এত ক্ষমতাশালী? নাকি পিটি সযত্নে পালিত গুজব ফ্যাক্টরিতে ক্রমাগত কামান দাগায় গুজবপ্রেমীদের আলোচনা চালানো মুস্কিল হয়ে দাঁড়ায়?
পিটি নিজেও বিশ্বাস করেনা যে কোন ইস্যুতে কোন আলোচনা বন্ধ করার বিন্দুমাত্র ক্ষমতা তার আছে।
আমার তো মনে হচ্ছে ডিসিও ইডিওম্যাটিক এক্স্প্রেশনই ব্যবহার করছেন। গাল কেন হবে ? ভালগার শব্দ ব্যবহার করছেন বলে অপরিচিত লাগছে, এই আর কি !