এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  মোচ্ছব

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কবিতার সারাংশ নিংড়ে বের করা 

    lcm লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | মোচ্ছব | ২৪ মে ২০২৫ | ১৩৬৯ বার পঠিত
  • রনজিৎ দাশ এর একটি কবিতা "বাবাকে"  - 
     
    বাবাকে
     
    ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা করেই
    সমস্ত জীবনটা কাটলো আপনার।

    কোনো শিল্প, কোনো সম্ভোগ, কোনো উদাসীনতা
    আপনাকে স্পর্শ করলো না।

    আপনার কথা লেখা আমার পক্ষে অসম্ভব।
    আপনি আমার লেখার জগৎ থেকে একটু দূরে রয়েছেন,
    যেমন শহর থেকে একটু দূরে থাকে পাওয়ার স্টেশন।

     
    *** **** **** 
     
    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইঞ্জিনদের বললাম কবিতাটি বিশ্লেষণ করতে, প্রশ্ন (প্রম্পট) রাখলাম এরকম - 
    "নীচের কবিতাটির একটি পর্যালোচনা করে দিন : " - এই লিখে, তারপরে কবিতাটি কাট-পেস্ট করে, এন্টার ... এর ফলে যা হল - 
     
     
     
    (১) DeepSeek বলল - 
     
    "বাবাকে" - রণজিৎ দাশ: কবিতাটির পর্যালোচনা

    ১. বিষয়বস্তু ও ভাববস্তু:
     
    এই সংক্ষিপ্ত কবিতাটি একজন সাধারণ, সংগ্রামী বাবার জীবনকে অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে চিত্রিত করেছে। কবি বাবার জীবনকে সংজ্ঞায়িত করেছেন "ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা" দিয়ে — একটি সরল কিন্তু গভীর রূপক, যা নিম্নমধ্যবিত্ত বা শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন সংগ্রামের প্রতীক। বাবার জীবন থেকে শিল্প, সম্ভোগ বা উদাসীনতার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, যা তার আত্মত্যাগের মাত্রাকে আরও প্রকট করে তোলে।
     
    ২. কাঠামো ও শৈলী:
    • অন্ত্যমিলহীন গদ্যকবিতার ধারায় রচিত, যা বাস্তবতার কঠিন সত্যকে নিঃশব্দে উপস্থাপন করে।
    • রূপকের ব্যবহার চমৎকার: পাওয়ার স্টেশনের সাথে বাবার তুলনা করে কবি বোঝাতে চেয়েছেন, বাবা যেমন নাগরিক জীবন (শহর) এর জন্য অদৃশ্য শক্তি জোগান, তেমনি সন্তানের সৃজনশীল জগতের পেছনেও তার অবদান অগ্রাহ্য রয়ে যায়।
    • অসম্পূর্ণতা কবিতাটির শক্তি: "আপনার কথা লেখা আমার পক্ষে অসম্ভব"—এই স্বীকারোক্তি বাবাকে ভাষায় ধারণের অসামর্থ্য দেখিয়ে সম্পর্কের গভীরতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
    ৩. আবেগ ও দর্শন:
    • কবিতাটি বাবার আত্মত্যাগ ও সন্তানের ঋণ—এই দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলে। বাবা তার সমস্ত জীবন সন্তানের ভাতকাপড়ের ব্যবস্থায় ব্যয় করলেও, সন্তানের শিল্পীসত্তা বা লেখালেখির জগতে তিনি অনুল্লেখ্য রয়ে যান।
    • দূরত্বের অনুভূতি: পাওয়ার স্টেশনের রূপকটি ইঙ্গিত দেয় যে, বাবা সন্তানের সৃজনশীল চাহিদার থেকে দূরে, কিন্তু তার অবদান ছাড়া সেই জগৎ অচল।
    ৪. শৈল্পিক দক্ষতা:
    • অল্প কথায় গভীরতা: মাত্র কয়েক লাইনে শ্রেণীসংগ্রাম, পিতৃ-সন্তান সম্পর্ক এবং শিল্পের উৎসের প্রশ্ন উঠে এসেছে।
    • ইমেজারি: "পাওয়ার স্টেশন" এবং "শহর"-এর বিপরীতে বসিয়ে কবি পিতার ভূমিকাকে একটি নীরব অবকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
    ৫. সমালোচনা ও মূল্যায়ন:
    • কবিতাটির সরলতাই এর সবচেয়ে বড় শক্তি। এটি পাঠককে বাবার জীবনের নিষ্ঠুর বাস্তবতা এবং সন্তানের অকৃতজ্ঞতার (বা অসচেতনতা) দিকে তাকাতে বাধ্য করে।
    • কিছু পাঠকের মতে, অতিসংক্ষিপ্ততা কবিতাটিকে আরও বিস্তার দেওয়ার সম্ভাবনাকে আটকে দিয়েছে। তবে এই সংক্ষিপ্ততাই হয়তো কবির অভিপ্রেত—যেমন বাবার জীবন, তেমনই অপ্রকাশিত থেকে যায়।
     
    রেটিং: ৫/৫
     
    (গভীরতা, সরলতা এবং রূপকের নিপুণ ব্যবহারের জন্য। এটি বাংলা কবিতায় পিতৃত্বের একটি অনবদ্য দলিল।)
     
    সারমর্ম: রণজিৎ দাশের "বাবাকে" কবিতাটি একটি নিষ্ঠুর সত্যকে উন্মোচন করে—যে বাবা তার সমস্ত জীবন সন্তানের ভাতকাপড়ের জোগান দিয়েও সন্তানের সৃজনশীল বিশ্বে অনুপস্থিত থাকেন। পাওয়ার স্টেশনের মতো তিনি অদৃশ্য শক্তি যোগান, কিন্তু কৃতজ্ঞতা বা স্বীকৃতি পান না। কবিতাটি পিতৃত্বের এই নীরব ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
     
    ** *** **** ***** 
     
    (২) Microsoft Copilot বলল - 
     
    এই কবিতাটি এক গভীর আবেগ ও বাস্তবতার ছবি আঁকে, যেখানে একজন পিতার জীবনসংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতি সন্তানের উপলব্ধি ফুটে ওঠে।

    প্রথমেই, কবিতাটি সংক্ষেপে কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী ভাষায় বাবা চরিত্রের জীবনকে তুলে ধরে — তিনি সারাজীবন শুধু পরিবারের ভরণপোষণের চিন্তাতেই ডুবে ছিলেন। "ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা" লাইনটি তার জীবনের একমাত্র মিশনকে নিখুঁতভাবে প্রকাশ করে।

    এরপর, কবিতাটি আরও গভীরে প্রবেশ করে, যখন লেখক বলেন যে তার বাবা কখনো শিল্প, সম্ভোগ বা উদাসীনতার সুযোগ পাননি। এটি আমাদের সমাজের বহু মানুষের বাস্তবতা—যেখানে দায়িত্ববোধ এত প্রবল যে, ব্যক্তিগত আনন্দ ও সৃষ্টিশীলতার জায়গা সঙ্কুচিত হয়ে যায়। 

    শেষ স্তবকটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে লেখক একটি উপমা ব্যবহার করেছেন — বাবা যেন "পাওয়ার স্টেশন," যা শহরের প্রাণশক্তি যোগায় কিন্তু সবসময় কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে না। এটি বোঝায় যে তিনি পরিবারের ভিত গড়ে তুললেও, হয়তো কখনো সেই ভিতর গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ পাননি। 

    কবিতাটি মৃদু দুঃখবোধ ও গভীর শ্রদ্ধার মিশ্রণ — যেখানে সন্তানের মনে বাবার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে, কিন্তু সেই ভালোবাসাকে প্রকাশ করার একটি জটিলতা রয়ে গেছে।
     
    ** *** **** ***** 
     
    (৩) chatGPT বলল - 
     
    এই কবিতাটি, রণজিৎ দাশ-এর লেখা “বাবাকে”, এক গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার প্রকাশ, যেখানে কবি পিতার জীবনযাপন ও আত্মত্যাগকে এক সংযত অথচ তীব্র আবেগে তুলে ধরেছেন। কবিতাটি ছোট হলেও এর ভাষা ও ভাবগভীরতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নিচে এর একটি পর্যালোচনা তুলে ধরা হলো:
    বিষয়বস্তু ও থিম:
     
    কবিতাটি মূলত এক পিতার নিঃস্বার্থ জীবনসংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। এখানে পিতা একজন সাধারণ, কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, যার জীবনের প্রধান ভাবনা ছিল পরিবার – বিশেষত “ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা”। এই দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা ও দায়িত্ব তাঁকে বাকি সবকিছুর থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে—শিল্প, সম্ভোগ, এমনকি উদাসীনতা থেকেও।
     
    এখানে এক ধরনের ত্যাগের মহিমা ফুটে ওঠে, তবে সেটা গ্ল্যামারাইজ না করে বাস্তবধর্মীভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কবি জানেন, তাঁর পিতা কখনোই কবিতার বিষয় হবেন না, কারণ তিনি ‘সাহিত্যিক’ নন, তিনি বাস্তবতা। তিনি যেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র — দূরের, অদৃশ্য, কিন্তু অপরিহার্য।
     
    ভাষা ও কাব্যিকতা:
     
    রণজিৎ দাশের ভাষা সরল কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি অলংকারের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে ভাব প্রকাশ করেছেন অত্যন্ত সংবেদনশীল ভঙ্গিতে। বিশেষ করে এই পংক্তিগুলি:
     
    “আপনি আমার লেখার জগৎ থেকে একটু দূরে রয়েছেন,
    যেমন শহর থেকে একটু দূরে থাকে পাওয়ার স্টেশন।”
     
    এখানে একটি চমৎকার রূপক (metaphor) ব্যবহৃত হয়েছে — পিতা হলেন ‘পাওয়ার স্টেশন’, অর্থাৎ কবির জীবনের শক্তির উৎস, কিন্তু তিনি দৃশ্যপটে নেই। এ এক অদ্ভুত দ্বৈততা — উপস্থিত থেকেও অনুপস্থিত।
     
    টোন ও মনোভাব:
     
    কবিতাটি একধরনের আত্মবিশ্লেষণ এবং অপরাধবোধ প্রকাশ করে। কবি যেন অনুভব করছেন, তিনি তাঁর পিতাকে তাঁর লেখার ভেতর স্থান দিতে পারেননি — হয়তো পিতার জীবনযাপন ছিল অতটা নাটকীয় বা কবিতার উপযোগী নয়। এই দূরত্ব, এই অক্ষমতাই কবিতাটিকে ব্যতিক্রমী করে তোলে।
     
    সামাজিক প্রেক্ষাপট:
     
    এই কবিতার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির একজন পিতার প্রতিদিনের সংগ্রামকে এক প্রতীকী রূপে তুলে ধরা হয়েছে। শিল্পচর্চা বা আত্মসুখ নয়, পরিবারকে টিকিয়ে রাখাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। এটি একধরনের অদৃশ্য বীরত্ব, যা অধিকাংশ সময় উপেক্ষিত থাকে।
     
    উপসংহার:
     
    “বাবাকে” কবিতাটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু এর ভাব গভীর ও বহুমাত্রিক। এটি একাধারে অভিনব শ্রদ্ধার্ঘ্য ও নিরব আত্মপীড়নের স্বীকারোক্তি। পিতাকে লেখা এই কবিতা আসলে সমস্ত নিঃস্বার্থ, অদৃশ্য, নীরব নায়কদের জন্য এক ধরণের শ্রদ্ধার নিবেদন — যাঁদের জীবন হয়তো কখনো কবিতায় স্থান পায় না, কিন্তু যাঁদের শ্রমেই আমাদের জীবন চলে। 
     
    ** *** **** ***** 
     
    (৪) Grok (xAI) বলল - 
     
    রণজিৎ দাশের “বাবাকে” কবিতাটি একটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু গভীর আবেগপ্রবণ এবং দার্শনিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ রচনা। এই কবিতা পিতৃত্বের ত্যাগ, নিঃস্বার্থতা এবং কবির নিজের সীমাবদ্ধতার স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি জটিল সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরে। নিম্নে কবিতাটির একটি পর্যালোচনা দেওয়া হলো:

    বিষয়বস্তু ও ভাবনা

    কবিতাটি একজন পিতার জীবনের সংগ্রাম এবং ত্যাগের কথা বলে, যিনি জীবনের মৌলিক চাহিদা — ভাত ও কাপড়ের জন্য সারাজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। এই ত্যাগের মধ্যে শিল্প, আনন্দ বা উদাসীনতার মতো কোনো বিলাসিতা তাঁকে স্পর্শ করেনি। এখানে পিতা একজন নীরব সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থাপিত, যিনি পরিবারের জন্য নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়েছেন। কবি এই ত্যাগের গভীরতাকে স্বীকার করলেও, তাঁর পিতার জীবনকে লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে নিজেকে অক্ষম বলে মনে করেন। এই অক্ষমতার স্বীকৃতি কবিতায় একটি আত্মদর্শনের সুর এনে দেয়, যা কবির নিজের সীমাবদ্ধতা এবং পিতার সাথে তাঁর দূরত্বকে তুলে ধরে।

    চিত্রকল্প ও প্রতীক

    কবিতার শেষ স্তবকে ব্যবহৃত উপমাটি — “যেমন শহর থেকে একটু দূরে থাকে পাওয়ার স্টেশন” — অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তাৎপর্যপূর্ণ। পাওয়ার স্টেশন শহরের জন্য অপরিহার্য শক্তি সরবরাহ করে, কিন্তু নিজে শহরের কোলাহল বা আলো থেকে দূরে থাকে। এই উপমা পিতার ভূমিকাকে প্রতীকায়িত করে — তিনি পরিবারের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন অলক্ষিত ও নিঃসঙ্গ। এই চিত্রকল্প কবিতার আবেগকে আরও গভীর করে এবং পিতার ত্যাগের অলক্ষিত গুরুত্বকে তুলে ধরে।

    ভাষা ও শৈলী

    কবিতাটির ভাষা সরল, কিন্তু অর্থগভীর। শব্দের ব্যবহার অত্যন্ত সংযত, যা কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা” বা “শিল্প, সম্ভোগ, উদাসীনতা”র মতো শব্দগুচ্ছ জীবনের বাস্তবতা এবং তার বিপরীতে একটি অধরা, শিল্পময় জীবনের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। কবির স্বীকারোক্তি — “আপনার কথা লেখা আমার পক্ষে অসম্ভব” — ভাষার সীমাবদ্ধতা এবং আবেগের গভীরতার মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে, যা কবিতাকে আরও মর্মস্পর্শী করে।

    আবেগ ও দার্শনিকতা

    কবিতাটি পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি এক ধরনের দুঃখ ও অপরাধবোধ প্রকাশ করে। কবি তাঁর পিতার জীবনের সাথে নিজের সৃজনশীল জগতের দূরত্ব অনুভব করেন, যা একটি সূক্ষ্ম আত্মদর্শনের সুর এনে দেয়। এই দূরত্ব শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং প্রজন্মগত এবং সামাজিকও — যেখানে পিতার জীবন বাস্তবতার মাটিতে আবদ্ধ, আর কবির জগৎ শিল্প ও কল্পনার। এই দ্বৈততা কবিতায় একটি সর্বজনীন মাত্রা যোগ করে, যা পাঠককে নিজের জীবনের সম্পর্কগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।

    সমালোচনা

    কবিতাটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হলেও এর সংযত ভাষা এবং গভীর চিত্রকল্প এটিকে প্রভাবশালী করে তুলেছে। তবে, কবিতাটি আরও কিছুটা বিস্তৃত হলে পিতার চরিত্র বা তাঁর সংগ্রামের কিছু নির্দিষ্ট দৃশ্য বা মুহূর্তের মাধ্যমে আবেগ আরও গভীরভাবে প্রকাশ পেতে পারতো। কবির অক্ষমতার স্বীকারোক্তি কবিতার একটি শক্তিশালী দিক হলেও, এটি কিছুটা সাধারণ মনে হতে পারে, কারণ এই ভাবনা অনেক কবিতায় প্রকাশ পায়।
     
    উপসংহার

    “বাবাকে” একটি সূক্ষ্ম, আবেগপ্রবণ এবং দার্শনিক কবিতা, যা পিতৃত্বের ত্যাগ ও নিঃস্বার্থতাকে স্মরণ করার পাশাপাশি কবির নিজের সীমাবদ্ধতার একটি সৎ স্বীকৃতি উপস্থাপন করে। পাওয়ার স্টেশনের উপমা এই কবিতাকে একটি স্মরণীয় মাত্রা দিয়েছে, যা পাঠকের মনে দীর্ঘক্ষণ রেখাপাত করে। এটি একটি সর্বজনীন কবিতা, যা পিতা-পুত্রের সম্পর্কের পাশাপাশি জীবনের ত্যাগ ও দায়িত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ২৪ মে ২০২৫ | ১৩৬৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    দুটি গান -- - lcm
    আরও পড়ুন
    দহন - Manali Moulik
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:3aba:f8ff:fe54:***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ০৭:৩৫731606
  • "এখানে একটি মর্মস্পর্শী বাংলা কবিতার কিছু অংশ রয়েছে, যা একজন বাবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং অনুভূতির প্রকাশ। কবিতাটি বাবার নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ, পরিবারের জন্য নিরন্তর সংগ্রাম এবং ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে বিসর্জন দেওয়ার চিত্র তুলে ধরেছে।
    কবিতার মূলভাব
    কবিতাটিতে কবি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন যে, সারা জীবন তিনি শুধু ভাত-কাপড়ের দুশ্চিন্তা করেই কাটিয়ে দিয়েছেন। এর অর্থ হলো, বাবা সবসময় পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সংগ্রাম করেছেন, যা তাকে অন্য কোনো শিল্প, সম্ভোগ, বা উদাসীনতা অর্থাৎ ব্যক্তিগত আনন্দ বা বিলাসিতা উপভোগ করতে দেয়নি।
    কবি মনে করেন, বাবার এই আত্মত্যাগ এতটাই গভীর এবং তার জীবন এতটাই ভিন্ন যে, তা বর্ণনা করা বা তার লেখার মধ্যে ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব। বাবা যেন কবির লেখার জগতের বাইরে, অনেকটা শহর থেকে দূরে থাকা পাওয়ার স্টেশনের মতো। পাওয়ার স্টেশন যেমন শহরের জীবন সচল রাখে কিন্তু নিজে শহরের কোলাহল থেকে দূরে থাকে, তেমনি বাবাও পরিবারের চালিকাশক্তি হয়েও নিজের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া থেকে দূরে থেকেছেন।
    অন্তর্নিহিত অর্থ
    • আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম: কবিতাটি একজন বাবার সীমাহীন আত্মত্যাগ এবং পরিবারের জন্য তার নিরন্তর সংগ্রামকে তুলে ধরে। তিনি নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
    • অপ্রাপ্তি ও বঞ্চনা: বাবার জীবনে কোনো ব্যক্তিগত আনন্দ বা বিলাসিতা ছিল না, যা তাকে বঞ্চনার এক ভিন্ন স্তরে স্থাপন করে।
    • দূরে থাকা সত্ত্বেও অপরিহার্যতা: কবি বাবাকে তার লেখার জগৎ থেকে দূরে রেখেছেন কারণ তার জীবন এতটাই মহৎ ও ভিন্ন যে তা সাধারণ শব্দের বাঁধনে বাঁধা কঠিন। তবে "পাওয়ার স্টেশন" উপমাটি ব্যবহার করে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে বাবা দূরে থাকলেও তিনি পরিবারের জন্য অপরিহার্য, যেমন পাওয়ার স্টেশন ছাড়া শহর অচল।
     
    এই কবিতাটি বাবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার এক সুন্দর প্রকাশ। এটি পাঠককে বাবার আত্মত্যাগ এবং পরিবারের প্রতি তাদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।"
     
     
    সবকটাই ভুলভাল
    অতিকথন , overinterpretation |
     
  • কবিতার সারাংশ | 173.62.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ০৭:৫৯731607
  • বাঃ, এইটে একটা ভাল prompt হয়েছে। যে কবিতার মানে বুঝতে সমস্যা হচ্ছে, এই পদ্ধতি লাগাব এবারে! 
  • r2h | 134.238.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ০৮:৪২731609
  • কোনদিন কোন কবিতা পড়ে যদি এআই বলতে পারে এসব ব্যাদড়া জ্যাঠামো ছেড়ে কবির মাঠে গিয়ে ঘাস কাটা উচিত - তাহলে মানবো, হ্যাঁ, এই কিছুটা বুদ্ধিমত্তা হলো বটে।
    যাঁরা এএআইয়ের গুণবিচার করতে চান তাঁরা এআইকে খারাপ খারাপ কবিতা পড়ান, পড়িয়ে দেখুব কী বলে।
  • :|: | 2607:fb90:bd48:9971:485c:e987:5e26:***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ০৯:০৫731610
  • খারাপ কবিতা আবার কী? সবই স্থান কাল পাত্র -- পার্সপেক্টিভ নির্ভর। খারাপ সময় খারাপ কবিতাই ভালো লাগে। দুই নেগেটিভে পজিটিভ হয় কিনা, তাই! 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:3869:161c:629:***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ০৯:১২731611
  • এখানে আরেকটা ব্যাপার লেখা যেতে পারে, lcm এখানে কবিতার পর্যালোচনা চেয়েছেন, "সারাংশ নিংড়ে বের করতে চান নি"। যার জন‍্য প্রম্পট অনুযায়ী llm ও আর সারাংশ না দিয়ে পর্যালোচনা করেছে। 
  • শু  | 103.232.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ০৯:৪১731612
  • নব্বই-এর বামি ছানাদের তরফ থেকে অমিয় চক্রবর্তীর গাছের রিকোয়েস্ট রইলো smiley
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ০৯:৫০731613
  • নীচের কবিতাটির একটি পর্যালোচনা করে দিন:
     
    "এপাং ওপাং ঝপাং / সুর ধরেছে পটাঙ 
    ব্যাঙ ডাকে গ্যাঙ গ্যাঙ / হাতির কতো বড় ঠ্যাং l l 
    হরে কর কমবা / গরু ডাকে হাম্বা 
    গর্জন করে অম্বা / মা ডাকেন বুম্বা l l 
    হরে কর কমবা / ডব্বা ডব্বা রব্বা 
    হুড়হুড় করে হুম্বা / তোবা তোবা আব্বা l l"
     
    ChatGPT:
    এই কবিতাটি একটি ছন্দময় শিশু-কবিতা, যার মূল আকর্ষণ হলো তার ধ্বনিময়তা ও ছন্দের খেলা। এখানে কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো:
    ১. ছন্দ ও ধ্বনি-প্রয়োগ:
    কবিতাটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ধ্বনির ব্যবহার। “এপাং ওপাং ঝপাং”, “ব্যাঙ ডাকে গ্যাঙ গ্যাঙ”—এসব অনুকরণধ্বনি শিশুমনের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। শিশুদের ছড়ায় যেভাবে ছন্দ ও শব্দের সুরেলা গঠন থাকে, এই কবিতাটিও সেই ধাঁচেই লেখা।
    ২. শব্দের খেলায় রসবোধ:
    এই কবিতায় "পটাঙ", "অম্বা", "হুম্বা", "তোবা তোবা আব্বা" ইত্যাদি শব্দগুলো মূলত হাস্যরস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের শব্দ শিশুদের কল্পনাশক্তিকে উদ্দীপিত করে এবং তাদের আনন্দ দেয়।
    ৩. প্রাণীজগৎ ও দৈনন্দিন ধ্বনি:
    ব্যাঙ, হাতি, গরু, মা—এইসব পরিচিত চরিত্র/প্রাণীকে কবিতায় এনে এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছে শিশুর পরিচিত জগতের সঙ্গে। যেমন, “হাতির কতো বড় ঠ্যাং”—এখানে বিস্ময়ের ছোঁয়া রয়েছে।
    ৪. অর্থের অতটা গুরুত্ব নেই:
    এই কবিতার প্রধান উদ্দেশ্য বিশ্লেষণমূলক অর্থ নয়, বরং ছন্দ ও ধ্বনির মাধ্যমে বিনোদন দেওয়া। তাই অর্থের স্পষ্টতা অনেক জায়গায় গৌণ হয়ে গেছে—যা শিশু-কবিতার জন্য গ্রহণযোগ্য।
    সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি:
    • শব্দচয়ন: কিছু শব্দ যেমন "ডব্বা", "রব্বা", "হুম্বা", অর্থহীন হলেও ছন্দের সাথে মানানসই। তবে অতিরিক্ত অর্থহীনতা থাকলে শিশুর ভাষা শিক্ষায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
    • কাব্যিক গভীরতা: এটি একটি সরল রসিক ছড়া—গভীর তাৎপর্য খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করলে ভুল হবে। তবে একে কাব্যরসের শিক্ষামূলক উপকরণ হিসেবে ভাবা যেতে পারে।

    উপসংহার:
    এই কবিতাটি শিশুদের ছড়ার জগতে এক চমৎকার উদাহরণ। এটি কৌতুক, ধ্বনি, ছন্দ এবং প্রাণীর পরিচয়ের মাধ্যমে ছোটদের জন্য একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা তৈরি করে। অর্থের চাইতে রস-রসায়ন আর ছন্দের দোলা এখানে মুখ্য। শ্রবণানন্দ এবং উচ্চারণ-মজার জন্য একে বেশ সফল বলা যায়।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:3869:161c:629:***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ১০:১৮731614
  • এই পর্যালোচনা থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খোলতাই বুদ্ধির সম্যক পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। 
  • অপু | 2409:40e0:16:8550:8000::***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ১০:২৮731615
  • কিন্তু  অরিন দা, আমি আদ্দি কালের মানুষ কবিতা বলতে যা বুঝি লেখক কিছু  একটা মিনিং করে কবিতার কোন লাইন লিখেছেন। সেখানে একটা গ্রে এরিয়া আছে। সেই  গ্রে এরিয়ায় পাঠক তার মতো কবিতার লাইন গুলোর একটা ইন্টারপ্রেটেনশন  করে নেন। তা কবি চিন্তা ভাবনার সাথে  মিলতেও পারে। নাও পারে। পাঠক যত বেশি  কবিতা পরে ততো কবির থট প্রসেসের কাছাকাছি  যেতে  পারে। তার উপলব্ধি  বাড়ে। কিন্তু  আমার বিশ্বাস কোন কবির চান না তার লেখার ১০০% পাঠক বুঝে ফেলুক। বোঝা আর না বোঝা র এই দ্বন্দ্ব ই কবিতাকে এত মাধুর্য  দিয়েছে। আমি এইভাবে ভাবি। জানি না আমার থট প্রসেস  ঠিক না ভুল।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:3869:161c:629:***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ১০:৪৮731616
  • তোমার বক্তব‍্যের ব‍্যাপারে আমি তোমার সঙ্গে একমত, কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেই ধূসর মায়াজগৎ ধরতে পারে না এখনো। সেটা একান্তই মানবিক জগৎ। 
  • wow | 147.45.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ১১:০৫731617
  • দারুণ নামিয়েছে তো। ফ্যান্টাস্টিক।
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ১১:১৪731618
  • "সর্বজনীন কবিতা" কি জিনিস ? laugh
  • lcm | ২৪ মে ২০২৫ ১১:১৯731619
  • ওহ! গুগল জেমিনি দেওয়া হয় নি, অরিন দিয়ে দিয়েছেন।

    আর, অরিন ঠিক ধরেছেন, আমি এই লেখার টাইটেলে "সারাংশ" লিখলেও, কৃবু (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) কে কবিতার "পর্যালোচনা" করতে বলেছি, সারাংশ দিতে বলি নি।

    কৃবু-র ক্ষেত্রে প্রম্পট গুরুত্বপূর্ণ, এতটাই যে প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটা বিষয়ই তৈরি হয়েছে।
     
  • lcm | ২৪ মে ২০২৫ ১১:২১731620
  • তবে আমার কিন্তু পর্যালোচনা যথাযথই মনে হয়েছে। হ্যাঁ, একটু বেশি ফেনিয়ে লিখেছে হয়ত।
  • lcm | ২৪ মে ২০২৫ ১১:৩০731621
  • এবার, জেমিনিকে এই প্রম্পট-টা দিলাম -- 
    "ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত" - এই লাইনটি ব্যাখা করুন।

    উত্তরে জেমিনি বলল --
     
    এই বিখ্যাত পঙ্ক্তিটি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের "ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক" কবিতার প্রথম চরণ। এই লাইনটির তাৎপর্য অনেক গভীর। আক্ষরিক অর্থে এর মানে দাঁড়ায় ফুল ফুটুক বা না ফুটুক, আজ বসন্তকাল।

    তবে এর অন্তর্নিহিত অর্থ আরও ব্যাপক। এখানে "ফুল ফোটা" কেবল প্রকৃতির একটি দৃশ্য নয়, বরং তা নতুন কিছুর আগমন, আনন্দ বা উদ্দীপনার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যদিকে, "বসন্ত" হলো সেই সময় যখন প্রকৃতি নবজীবন লাভ করে, এক নতুন শুরুর ইঙ্গিত দেয়।

    সুতরাং, "ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত" এই পঙ্ক্তিটির ব্যাখ্যা হতে পারে:
    • আশা ও সম্ভাবনার জয়: বাহ্যিক কোনো লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক, ভেতরের উদ্দীপনা এবং নতুন কিছুর প্রত্যাশা সবসময়ই বর্তমান। বসন্তের আগমন যেমন প্রকৃতির পরিবর্তনকে অনিবার্য করে তোলে, তেমনই মানুষের মনেও নতুন আশা জাগাতে পারে, পরিস্থিতির বাহ্যিক রূপ যাই হোক না কেন।
    • অভ্যন্তরীণ অনুভূতির প্রাধান্য: বাইরের পরিস্থিতির চেয়ে ভেতরের অনুভূতি এবং উপলব্ধি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফুল ফোটা হয়তো প্রকৃতির নিজস্ব নিয়ম মেনে চলবে, কিন্তু বসন্তের অনুভব মানুষের হৃদয়ে জাগতে পারে, এমনকি যখন চারপাশে তেমন কোনো মনোরম দৃশ্য নাও থাকে।
    • পরিবর্তনের সূচনা: বসন্ত একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ফুল ফুটুক বা না ফুটুক, পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তেমনি, কোনো নতুন কিছুর সূচনা হয়তো আপাতদৃষ্টিতে অস্পষ্ট মনে হতে পারে, কিন্তু তার আগমন ইতিমধ্যেই অনুভূত হচ্ছে।
    সহজভাবে বললে, এই লাইনটি এমন একটি মানসিক বা আধ্যাত্মিক অবস্থার কথা বলে যেখানে নতুন কিছুর আগমন বা ভালো কিছুর প্রত্যাশা বাইরের পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল নয়, বরং তা ভেতরের অনুভূতি থেকেই জন্ম নেয়। বসন্তের আগমন যেমন অনিবার্য, তেমনই ইতিবাচক পরিবর্তনও আসতে পারে, দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক।

    আপনি যদি এই পঙ্ক্তিটির অন্য কোনো দিক থেকে ব্যাখ্যা জানতে চান, তবে জানাতে পারেন।
    ----
     
    প্রথম কথা হল, এটা কোন কবির কোন কবিতার লাইন - জেমিনি জানে। 
    দ্বিতীয় কথা, এই পঙ্ক্তিটির এরকম ব্যাখা হতে পারে জানতাম না, অরিনের কথা অনুযায়ী একটু ওভারইন্টারপ্রিটেশন মনে হলেও, একেবারে সঙ্গতিহীন নয়। 
    তৃতীয় কথা, একদম শেষে জেমিনি পাঠকের অন্য কোনো ব্যাখা থাকলে তা জানতে চেয়েছে, অর্থাৎ ট্রেনিং ডেটা কালেক্ট করার বাসনা প্রকাশ করেছে। 
     
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:3aba:f8ff:fe54:***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ১২:১০731622
  • গোটা কবিতাটি দিযে দিলাম
    ফুল ফুটুক না ফুটুক…
    সুভাষ মুখোপাধ্যায়
     
    ফুল ফুটুক না ফুটুক
    আজ বসন্ত
    শান বাধানো ফুটপাথে
    পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠ-খোট্টা গাছ
    কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে হাসছে
    ফুল ফুটুক না ফুটুক
    আজ বসন্ত
    আলোর চোখে কালো ঠুলি পরিয়ে
    তারপর খুলে-
    মৃত্যুর কোলে মানুষকে শুইয়ে দিয়ে
    তারপর তুলে-
    যে দিনগুলো রাস্তা দিয়ে চলে গেছে
    যেন না ফেরে
    গায়ে হলুদ দেওয়া বিকেলে
    একটা দুটো পয়সা পেলে
    যে হরবোলা ছেলেটা
    কোকিল ডাকতে ডাকতে যেত
    -তাকে ডেকে নিয়ে গেছে দিনগুলো
    লাল কালিতে ছাপা হলদে চিঠির মত
    আকাশটাকে মাথায় নিয়ে
    এ গলির এক কালো কুচ্ছিত আইবুড়ো মেয়ে
    রেলিং-এ বুক চেপে ধরে
    এইসব সাতপাঁচ ভাবছিল-
    ঠিক সেই সময়ে
    চোখের মাথা দিয়ে
    গায়ে উড়ে এসে বসল
    আ মরণ! পোড়ারমুখ লক্ষ্মীছাড়া প্রজাপতি!
    তারপর দড়াম করে দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ
    অন্ধকারে মুখ চাপা দিয়ে
    দড়ি পাকান সেই গাছ
    তখনও হাসছে
     
     
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:fcfc:c9ba:73a8:***:*** | ২৪ মে ২০২৫ ১২:৪৬731624
  • বলতেই হবে, একটা ভারি চমৎকার থ্রেড খুলেছেন lcm। 
    কবিতা আর তারে "কৃত্রিম বুদ্ধি" দিয়ে বিশ্লেষণ বিষয়টা ভারি আকর্ষণীয়। 
    এবার একটা লাইন, আর তার সঙ্গে গোটা কবিতাটার সাযুজ্য এই বিষয়টিকে নিয়ে বিচার বিবেচনা করা যেতে পারে। 
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৪ মে ২০২৫ ১৩:০৫731626
  • বাহ। দারুন টই খুলেছেন। বেশ ভাল লাগল। পারলে দুটো অনুরোধ রাখুন:
    ১। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কবিতার কি মানে করে যদি দেখেন।
    ২। আমাদের এম পি সব কিছুর মধ্যে জায়নবাদ খুঁজে পায়। ওর কোন ভাট বকা র পর্যালোচনা।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৪ মে ২০২৫ ১৬:২৩731632
  • আমার একটা পছন্দের কবিতার পর্যালোচনা করতে দিলাম চ্যাট জিপিটি কে
     
    নিচের কবিতাটির পর্যালোচনা করো
    ফিরছ কবে
    বানের জলে ভাসছে কুকুর টুপুর টাপুর দুপুর ঠাকুর
    সেলিব্রিটি কোন ভেনিসে কোন দেশে কোন মাঝির নায়ে
    স্বেচ্ছা সেবক অনিচ্ছেতে পাড়ার মোড়ে চড় চাপাটি
    ফিরছো কবে?
    ধাঁই ধপাধপ তবলা বাজে গরম কফি জুড়িয়ে সাঁঝে
    অনিচ্ছেতেও গাল পেতে দেয় দুঃখ তোমার ফুরিয়ে আসে
    কেলিয়ে সেবক স্বেচ্ছা স্বয়ং অহং আবাং ফুটেজময়ী
    ফিরছো কবে?
    সেই তুমি সেই তোমরা তোমরা কল্লোলিনীর জিগর ভোমরা
    চণ্ডমুণ্ড লেলিয়ে দিলে এক নিমেষেই ইনকিলাবি
    অনিচ্ছেতেই মুন্ডু কেটে তোমার পাদপদ্মে রাখি
    ফিরছো কবে?
    কলকাতাতে কুকুরছানা দূর বিদেশে সাম্যবাদী
    আহা তোমার চক্ষে কত জলের বন্যা কষ্টনদী
    তোমার কফি জুড়িয়ে গেলে, ক্যাল খেয়ে যায়
    দুঃসাহসী, ডেটপিয়াসী। সেলিব্রিটি-
    ফিরছো কবে?
    কবিতার পর্যালোচনা: "ফিরছ কবে"
    এই কবিতাটি সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার এক তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক রূপ। কবির ভঙ্গিমা যেন প্রশ্ন করে, আবার কটাক্ষ ছুঁড়ে দেয়; যেন ভালোবাসা আর হতাশার এক মিশেল ভাষ্য।

    ---
    ১. ভাষার ঢঙ ও ছন্দ:
    কবিতাটি উচ্চারণে নাটকীয়, গদ্য-কবিতার মতো হলেও অন্তর্নিহিত ছন্দ এবং অলংকারে সমৃদ্ধ।
    উদাহরণস্বরূপ:
    > “বানের জলে ভাসছে কুকুর টুপুর টাপুর দুপুর ঠাকুর”

    এখানে অনুপ্রাস ও ধ্বনির খেলা বাংলা কবিতার এক চিরাচরিত ছন্দসাধনার স্মারক।

    ---
    ২. মূল থিম ও বক্তব্য:
    কবিতাটি বারবার একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় – “ফিরছো কবে?”
    এটি শুধু শারীরিক প্রত্যাবর্তনের প্রশ্ন নয়; বরং এক আদর্শ, এক সময়, এক চরিত্র বা চেতনাকে উদ্দেশ্য করে। মনে হয় কবি এমন একজন সেলিব্রিটিকে (বা নেতাকে) প্রশ্ন করছেন, যিনি দূরে চলে গেছেন, আর যাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে জনতার আশা, ক্ষোভ এবং কৌতুক মিলেমিশে আছে।

    ---
    ৩. ব্যাঙ্গ ও রূপক ব্যবহার:
    সেলিব্রিটি, স্বেচ্ছাসেবক, সাম্যবাদী, ইনকিলাবি — এই শব্দগুলো কবিতায় একাধারে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চিত্র আঁকে।
    “তোমার কফি জুড়িয়ে গেলে ক্যাল খেয়ে যায়” — আধুনিক জীবনের বিলাসিতা ও বিপ্লবের কথিত ভণ্ডামিকে ব্যঙ্গ করে।

    ---
    ৪. সাংস্কৃতিক রেফারেন্স:
    “কল্লোলিনী”, “চণ্ডমুণ্ড”, “পাদপদ্ম” — এসব শব্দে রয়েছে পৌরাণিক ও বাঙালি সাংস্কৃতিক রূপকের ব্যবহার।
    “তোমার কফি জুড়িয়ে গেলে…” — আজকের শহুরে মধ্যবিত্ত-নেতাসুলভ চেতনার প্রতি তীব্র কটাক্ষ।

    ---
    ৫. কাব্যিক দ্বৈততা ও আবেগ:
    এই কবিতা একই সঙ্গে প্রেমিক ও বিরক্ত – যেন অপেক্ষা করছে, আবার তীব্রভাবে নিন্দাও করছে।
    > “তোমার কফি জুড়িয়ে গেলে, ক্যাল খেয়ে যায় / দুঃসাহসী, ডেটপিয়াসী। সেলিব্রিটি— ফিরছো কবে?”

    ---
    সারাংশ:
    "ফিরছ কবে" শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির প্রত্যাবর্তনের প্রশ্ন নয়; বরং এটা সমাজ, আদর্শ, দায়িত্ববোধ এবং বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান। কবিতার বক্তব্য দ্ব্যর্থবোধক — প্রেমিকের অপেক্ষা, সমাজের হতাশা ও এক শ্রেণির উপর ব্যঙ্গ— সবই মিলেমিশে এক বলিষ্ঠ আধুনিক বাংলা কবিতা।

    ---
    চমৎকার কবিতা। আরও বিশ্লেষণ বা রূপান্তর দরকার হলে বলো।
  • a | 180.15.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ১৬:৩৬731633
  • আচ্ছা পুরোপুরি বঙ্গভাষা বুঝতে পারছে এরা? বেশ কিছুদিন আগে টেস্ট করেছিলাম তখন গুগল ট্রন্লেটরের মত লিখছিল
     
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ মে ২০২৫ ১৬:৪৬731634
  • চমৎকার টই। এইবারে নানারকম কবিতা, বিশেষ করে গুরুচণ্ডালির বিভিন্ন কবিতা পেয়ে পেয়ে বিভিন্ন এ আই রা ... মূল্যবান বিশ্লেষণ করবেন। বলা যায় না, কদিন পরে চ্যাটপোয়েট হয়ত রিলিজড হবেন।
  • অপু | 2409:40e0:52:f7f6:8000::***:*** | ২৫ মে ২০২৫ ০০:০৯731641
  • তিনটে কবিতা টাতে কেউ মেশিন চালাবে?
     
    ১. হঠাৎ দেখা - 
    ২. তেত্রিশ  বছর কাটলো কেউ কথা রাখেনি
    ৩. অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল ( প্রথম লাইন টা ভুলে মেরে দিয়েছ)
  • :|: | 2607:fb90:bd48:9971:44ff:1084:6f4b:***:*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৪:১৭731647
  • আপনাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে চ্যাটজিপিটিকে জিগালুম 
    "আপনি কি রক্তকরবীর মতো একটি নাটক লিখে দিতে পারবেন?"

    ChatGPT said:
    অবশ্যই, আমি "রক্তকরবী"র আদলে একটি নাটক লিখে দিতে পারি। "রক্তকরবী" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি প্রতীকধর্মী নাটক, যেখানে মানবতা, স্বাধীনতা ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধচিন্তা গভীরভাবে উঠে এসেছে। আপনি যদি একটি নাটক চান যা একই ধরনের থিম ও প্রতীক ব্যবহার করে, তাহলে আমি এমন একটি নাটক তৈরি করতে পারি।
    আপনার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানা দরকার:
    1. নাটকের দৈর্ঘ্য – একাঙ্ক নাটক (১ অঙ্ক) নাকি পূর্ণাঙ্গ (৩–৫ অঙ্ক)?
    2. মূল থিম – উদাহরণস্বরূপ: স্বাধীনতা বনাম দমন, শিল্প বনাম পুঁজিবাদ, প্রেম বনাম কর্তৃত্ব ইত্যাদি?
    3. নাটকের প্রেক্ষাপট – কাল্পনিক রাজ্য, বর্তমান সমাজ, ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত, না কি ভবিষ্যতের কোনো দৃশ্য?
    4. ভাষার ধরণ – কি আপনি চান তা যেন রবীন্দ্রনাথের মতো কাব্যিক হয়, নাকি আধুনিক গদ্যভাষায় লেখা হয়?
    আপনি এগুলো জানালে, আমি খুব ভালোভাবে একটি মৌলিক নাটক লিখে দিতে পারব যা "রক্তকরবী"র ছায়া বহন করে কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন এবং স্বতন্ত্র।
  • :|: | 2607:fb90:bd48:9971:44ff:1084:6f4b:***:*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৪:২০731648
  • আশাকরি পুজোর সমস্কিতি অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু নিয়ে আর ভাবতে হবেনা। 
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৬:৩৭731649
  • বাংলায় প্রম্পট দিচ্ছেন কিভাবে - মানে আমি করিনি কখনো। ক্লদ কেউ চেষ্টা করেছেন কি? আমার ধারণা ছিল মূলত ইংলিশ আর কিছু ইউরোপিয়ান ল‍্যাংগুয়েজ করপাস। বাংলায় এতটা ম‍্যাচিওর করে গেছে মডেল গুলো  জানা ছিল না। অনেক ধন্যবাদ ।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৬:৩৯731650
  • অরিন - আপনার ডিজিটাল চুইন নিয়েও লিখুন না।
  • নিরাপদ পাখিরা | 165.***.*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৭:৫৫731652
  • রমিত যে আমাকে সব বাঘা বাঘা প্রবাদপ্রতিম দিকপাল, যথা রনজিৎ দাশ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায় - দের মধ্যে এক খাঁচায় পুরে দিল, তাতে আজ আমার আনন্দের কোন সীমা পরিসীমা রইল না। অন্যদিকে মেহনতী কৃবু ভাইকে সহৃদয় আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

    কিন্তু এতদ্সত্বেও, যতদিন না মেহনতী কৃবু ভাই কোন কবিতা পড়ে রেগে আগুন তেলেবেগুন হয়ে এটা তরোয়াল হয়েছে না কাস্তে, এইসব বলে গালমন্দ করতে পারে, ততদিন তার বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে আমার অশ্রদ্ধা ও অবিশ্বাসের নিরসন হবে না।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৮:৫২731654
  • চ‍্যাট জিপিটিঃ বাংলা কবিতার বর্তমান হাল কেমন?
     
    বাংলা কবিতার বর্তমান হাল এক কথায় বললে – বৈচিত্র্যপূর্ণ, প্রযুক্তি-সচেতন, এবং সামাজিক বাস্তবতায় জড়ানো।

    ১.
    বিষয়বস্তুর বিবর্তন:

    বর্তমান বাংলা কবিতায় প্রেম, প্রকৃতি, দুঃখ–এসব চিরন্তন বিষয় তো আছেই, পাশাপাশি এখনকার কবিরা সমসাময়িক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে লিখছেন। যেমন–পরিবেশ দূষণ, সামাজিক বৈষম্য, নারীবাদ, প্রযুক্তি নির্ভরতা, মেটাভার্স, আত্মপরিচয়ের সংকট ইত্যাদি বিষয় উঠে আসছে।

    ২.
    ভাষা ও ছন্দের স্বাধীনতা:

    গদ্য কবিতা এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়। ধ্রুপদি ছন্দ বা অলঙ্কারের চেয়ে ব্যক্তিগত অনুভব, অভিজ্ঞতা ও মুহূর্তের প্রকাশই এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে ছন্দযুক্ত কবিতাও বিলুপ্ত হয়নি, বরং তা নতুন আঙ্গিকে ফিরে আসছে।

    ৩.
    নতুন কবিরা ও মাধ্যম:

    সামাজিক মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ব্লগ, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম–এখন নতুন কবিদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে কেউ একাধিক অনুসারী পেয়ে যাচ্ছেন, কেউ আবার স্বকীয়তা ধরে রেখে নিরীক্ষামূলক লেখা লিখছেন। অনেক কবিতা ভাইরাল হচ্ছে, আবার অনেকেই নিজস্ব ছোট পত্রিকা বা ই-বুক প্রকাশ করছেন।

    ৪.
    প্রিন্ট বনাম ডিজিটাল:

    প্রচলিত পত্রিকা ও সাহিত্য সাময়িকীগুলোর পাশাপাশি এখন অনেক অনলাইন সাহিত্যপত্রিকা (যেমন–প্রতিদিনের কথা, কাগজ, ইত্যাদি) নিয়মিত কবিতা প্রকাশ করছে। তবে কিছু ভালো মানের প্রিন্ট ম্যাগাজিন এখনও টিকে আছে এবং তরুণ কবিরাও সেখানে জায়গা পাচ্ছেন।

    ৫.
    সাহিত্য মেলা ও কবিতা উৎসব:

    বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ—উভয় জায়গাতেই কবিতা উৎসব, কবিতা পাঠের আসর, প্রকাশনা উৎসব ইত্যাদি বেড়েছে। এইসব ইভেন্টে তরুণ ও প্রবীণ কবিদের মিলনমেলা ঘটছে।

    সারকথা:

    বর্তমান বাংলা কবিতা অনেক বেশি মুক্ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্ণ এবং সময় সচেতন। তবে সেইসাথে সমালোচনার জায়গাও আছে—সবাই কবি হয়ে উঠছে, কিন্তু মানের ঘাটতি প্রায়শই চোখে পড়ে। আবার কিছু মানুষের মতে, কবিতা এখন “খুব ব্যক্তিকেন্দ্রিক” হয়ে গেছে, আগের মতো বৃহত্তর সমাজ ও জীবনের চিত্র সবসময় উঠে আসছে না।

    আপনি যদি চান, আমি কিছু সমসাময়িক কবি বা তাদের লেখা থেকেও উদাহরণ দিতে পারি।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৮:৫৩731655
  • চ‍্যাট জিপিটিঃ উদাহরণ দিন
     
     
    অবশ্যই, নিচে কিছু সমসাময়িক বাংলা কবি এবং তাদের উল্লেখযোগ্য কবিতা বা বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো — বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় অঞ্চল থেকেই:
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২৫ মে ২০২৫ ০৮:৫৫731656
  • অবশ্যই, নিচে কিছু সমসাময়িক বাংলা কবি এবং তাদের উল্লেখযোগ্য কবিতা বা বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো — বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় অঞ্চল থেকেই:
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন