এই সাইটটি
বার পঠিত
অবশেষে এসে পড়েছে গুরুর নিজস্ব ঠেক ও ঠিকানা - ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার! ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপঃ +৯১৯৩৩০৩০৮০৪৩
- হরিদাস পাল আলোচনা নাটক
-
উৎপল দত্ত কেন বোম্বে গিয়ে ভাঁড়ামি করতেন?
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
আলোচনা | নাটক | ৩১ মার্চ ২০২৫ | ৩৬৭২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন) - উৎপল দত্ত কেন বোম্বে গিয়ে ভাঁড়ামি করতেন? রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর একটা লেখা, এই প্রশ্নটা উস্কে দিয়েছে। প্রশ্নটা আসলে স্রেফ উৎপলকে নিয়ে না, অনেক বড়। বাংলা থেকে সিনেমা-শিল্পীদের একটা মহানিষ্ক্রমণ ঘটে ১৯৫০ এ। তারপরও সেটা চলতেই থাকে। কেন? কারণটা সব্বাই জানেন, কিন্তু কেউ বলেন না। কারণটা হল দেশভাগ। ৪৭ এর আগে, ভারতের দুটো বড়ো সিনেমা কেন্দ্র ছিল কলকাতা আর বোম্বে। বাইরের লোকেরা কলকাতায় আসতেন, যেমন সাইগল, বড়ো-বড়ো শিল্পীরা বোম্বে যাবার অফার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতেন। প্রমথেশ বড়ুয়া বোম্বে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ওই বাজারে কে যাবে। কেউ কেউ আবার কলকাতা থেকে যেতেনও, যেমন অশোককুমার। সব মিলিয়ে একটা যাতায়াত ছিল। নিউ থিয়েটার্স ছিল কলকাতার বিগ বস। তাদের সিনেমা হত দ্বিভাষিক। বাজার বাংলা ছাড়িয়ে চলে যেত লাহোর অবধি। ছিল ভারতলক্ষ্মী। ইস্টার্ন মোশন পিকচার্স। সবাই বড় বড় স্টুডিও।
এই সুখের দিন শেষ হল ৪৭ সালে। একটা লম্বা লাইন টেনে দেওয়া হল বাংলার মধ্যে দিয়ে। বাজার হয়ে গেল অর্ধেক। ধড়াদ্ধড় করে উঠে যেতে থাকল ব্যাংকরা। বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গেল। ৫৫ সালের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেল সব বড়-বড় স্টুডিওরা। দক্ষিণে এসব কিছু হয়নি। আর বোম্বের তো দেশভাগেই সন্তানলাভ। নেহরু এবং রাশিয়া একই সঙ্গে বোম্বের হিন্দি সিনেমাকে প্রোমোট করতে শুরু করল। নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে রীতিমতো সফর শুরু করলেন নেহরু। হিন্দি সিনেমা ছড়িয়ে পড়ল, সোভিয়েত, চিন, আফ্রিকায়।দেব আনন্দ, রাজকাপুর, এঁরা বিরাট হিরো হয়ে গেলেন। যেহেতু রাশিয়া ছিল নেতৃত্বে, তাই বামপন্থীরা সর্বতোভাবে হিন্দি সিনেমার অগ্রগতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করলেন। তাঁদের অনেকেই বাঙালি। একদিকে বাংলা সিনেমার বিপর্যয়, কাজকর্ম কমে আসছে, বোম্বেতে প্রচুর সুযোগ, অন্যদিকে পার্টি বলছে বোম্বে শিল্পের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, এই দুইয়ের যোগে বিরাট একটা সংখ্যক শিল্পী বোম্বে দৌড়লেন। কলকাতার লালবাতি জ্বালা নিয়ে তাঁরা কিচ্ছু বলেননি, যদিও কারণটা রাজনৈতিক। এমনকি ঋত্বিক দেশভাগ নিয়ে প্রচুর আবেগ দেখালেও, কারণ এবং ফলাফল নিয়ে কিস্যু বলেননি। ওটা পার্টিলাইনের পরিপন্থী ছিল। অথবা ততটা ভাবা প্র্যাকটিস করেননি, তাও হতে পারে।
এই দুজনেরই এটা খামতি, বা চয়েস, কিন্তু সেটা ঋত্বিক এবং উৎপলকে সংজ্ঞায়িত করেনা। সেই সময়ের অনেককেই করেনা। তাঁরা বাংলায় যে সাংস্কৃতিক লড়াইটা দিয়েছেন, যে সৃজনশীলতা দেখিয়েছেন, সেটা তুলনীয়। যেমন ধরুন, যাঁরা সে সময় সাদা-কালো রোমান্টিক ছবির আইডিয়াটা নিয়ে এলেন বাংলায়, অজয় করই ধরুন, তাঁদের জিনিয়াস বললে কম বলা হয়। বোম্বে রঙিন ছবি, তারকা, পেশিশক্তি, অর্থবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, উল্টোদিকে বাংলা শিল্পের কাছে এসব কিচ্ছু নেই। তাঁরা সাদা-কালোকে মিডিয়াম হিসেবে বেছে নিলেন। সাদা-কালোর একটা নরম ভাব আছে, তার সঙ্গে দারুণ মেলে বাঙালি রোমান্টিকতা। সেটাই হল সীমিত ক্ষমতায় সৃষ্টির ফর্মুলা। কব্জির জোরে পরের পর শিল্পোত্তীর্ণ সিনেমা বানানো চলল। হিন্দি রঙিন ছবি, তার তুলনায় নেহাৎই জোলো।
উৎপল দত্ত করলেন নাটক। নিজেকে বলতেন প্রোপাগান্ডিস্ট। নাটকও করতেন সোজাসাপ্টা এবং উচ্চকিত। কল্লোল তো ইতিহাস হয়ে গেল, কিন্তু সেজন্যও উৎপল উৎপল নন। উচ্চকিত নাটক থেকে তিনি সোজা চলে গেলেন যাত্রায়। যাত্রার দল খুলে ফেললেন। তাতে তেমন নাম হয়নি। ভদ্রলোকেরা তো এমনিও যাত্রা দেখেননা, সে নিয়ে কাগজে লেখেনও না। কিন্তু তাঁদের মুখে ঝামা ঘষে উৎপল বললেন, কিছু করতে গেলে ওইটাই মাধ্যম। মানুষের কাছে পৌঁছতে গেলে এতদিন ধরে বাংলার মানুষ যে শিল্পমাধ্যমকে তৈরি করেছে, যা দেখে, সেটাকেই ব্যবহার করতে হবে। ভদ্রলোকীয় ধ্যানধারণার ঠিক উল্টোদিকে গিয়ে, সম্পূর্ণ কালাপাহাড়ের মতো এই চিন্তা করার ক্ষমতা, এটাই উৎপল দত্ত। দুর্ধর্ষ অভিনয় করতেন, এবং প্রবল পড়াশুনো, এটা উপরি। কিন্তু সেটা বাঙালি বাবুরা ঠিক মনে রাখেননি। আজও অনেকে ওঁকে নিয়ে অনেক কথা বলেন, রুদ্রপ্রসাদের কথার বিরুদ্ধে অনেকেই রুখে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু যাত্রার ব্যাপারটা তাঁরা বেমালুম ভুলে গেছেন। ওটাও অস্বস্তিকর, ঠিক দেশভাগের মতোই। আজও যাত্রা হয়, আজও বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখেন, যদিও আগের চেয়ে কমেছে, কিন্তু ওই নিয়ে কোনো ভদ্রলোক তাত্ত্বিককে আর মাথা ঘামাতে দেখিনি। এটা কার ব্যর্থতা বলব? উৎপলকেই দায়ী করি। যা ভেবেছিলেন, কোত্থাও সঞ্চারিত করতে পারেননি। এখন থিয়েটার হয়, গ্রুপ থিয়েটার হয়, নাটক মানে শহরের মঞ্চে অভিনয়। তার বাইরে যাবে টা কে? যাওয়া তো দূরের কথা, ভাববে কে?
একই কথা ঋত্বিকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর সব সিনেমাই ফ্লপ। প্রচণ্ড উচ্চকিত। ভীষণ অগোছালো। তার মধ্যেও শিল্পসুষমা খুঁজে বার করে ভদ্র বাঙালি আহ-উহু করে। শিল্পসুষমা নেই বলছিনা, কিন্তু ওইটাই কি ঋত্বিক? তাঁর সিনেমা উচ্চকিত কেন? তাঁর সিনেমায় বিশেষ করে মহিল চরিত্রদের নিয়ে এত মেলোড্রামা কেন? তিনি নিজেই এর পিছনের থিয়োরিগুলো লিখে গেছেন। সে থিয়োরি ঠিক-না-ভুল পরের কথা, পরে লেখা যাবে, কিন্তু অত তত্ত্বের মূল কথা হল, পাবলিকের কাছে পৌঁছতে হবে। তার জন্য যদি উচ্চকিত বস্তু বানাতে হয়, লাউড-মেলোড্রামা দরকার হয়, তাই সই। আন্দাজ করতে পারি, হিন্দি সিনেমায় "মেরে পাস মা হ্যায়" জাতীয় বস্তু দেখে এবং শুনে তিনি প্রতিস্পর্ধী একটা কিছু বানাতে চেয়েছিলেন। পারেননি, কিন্তু চেষ্টার স্পর্ধাটা দেখিয়েছেন। বাঙালি ভদ্রলোক সেটা বেমালুম ভুলে মেরে দিয়ে, তাঁকে বিগ্রহে পরিণত করেছে। পপুলার জিনিস? তা নিয়ে মাথা-ঘামানো? ও কে করে? ও তো কুলির কাজ। ভাবটা এইরকমই। এর দায়ই বা কাকে দেব? ঋত্বিককেই দিই। কিসুই বুঝিয়ে উঠতে পারেননি। না দর্শকদের, না বোদ্ধাদের।
সব মিলিয়ে আমাদের বিগ্রহপুজো চলেছে, ফাঁক দিয়ে গলে গেছে জনপ্রিয় সংস্কৃতি। কেউ বুঝতে পারেননা, অত ভালো অভিনয় করেও উৎপল ভাঁড়ামি কেন করতেন? করতেন, কারণটা শুধু রোজকার না, বোম্বে তাঁর পার্টির আদর্শে ঢুকে ছিল। উল্টোদিকে তাতে যাঁরা আহত হচ্ছেন, তাঁরাও বুঝে উঠতে পারেননা, উৎপল বা ঋত্বিক বস্তুদুটো স্রেফ বিগ্রহ না। ওঁদের অ্যাজেন্ডা ছিল। তার ঠিক-ভুল আলোচনা-সমালোচনাটা জরুরি। ওঁরাও সম্ভবত সেটাই চাইতেন। পুজোর ছলে ভুলে যাওয়াটা নয়।---------আনন্দবাজার অনলাইনে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর লেখার লিংকঃ https://www.anandabazar.com/entertainment/actor-director-rudraprasad-sengupta-shares-some-thoughts-on-utpal-dutta-on-late-actors-birthday/cid/1591851
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত। - আরও পড়ুনপড়শি বাড়ি - সীমান্ত গুহ ঠাকুরতাআরও পড়ুনবর্তমান বাঙালী মুসলিম সমাজ - দীপআরও পড়ুনউইন্ডটকার্স - Sudeep Chatterjeeআরও পড়ুনস্বাধীনতা দিবস! - কিংবদন্তি
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
aranya | 2601:84:4600:5410:b06b:8090:cbb3:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ০৯:১০542013- ভাল লেখা। দেশভাগের পর বাংলা সিনেমার অবস্থা নিয়ে সৈকত আগেও লিখেছ, খুবই যথাযথ বিশ্লেষণ
- # | 23.106.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১১:১৯542015
- কিন্তু ভেবে দেখুন কলকাতা কেন সেন্টার ছিল? সেও তো ব্রিটিশদের কল্যাণে অন্যায়ভাবে পাওয়া এডভ্যান্টেজ। পরে স্বাধীন দেশে বোম্বে সুযোগ নিয়ে নিয়েছে। এখন আবার সাউথের রমরমা। এরকমই চলতে থাকে। আর এইজন্যই যতই লিখুন, এই থিওরিটা বাজারে ঠিক খায়না।
- তৌহিদ হোসেন | 2402:3a80:42e4:9bd3:278:5634:1232:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১১:৫৩542016
- অনবদ্য❤
- হাইট অফ ভাবা প্রাকটিস | 117.199.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৯:০১542024
- কলকাতা ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী। সেটাও দেখুন। তবে উৎপল দত্ত এবং ঋত্বিক ঘটক পার্টির নির্দেশে বম্বেকে প্রোমোট করতেন, এটা হাইট অফ ভাবা প্রাকটিস বলা যেতে পারে।
- সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৪542025
- কলকাতা বোধহয় ১৯১১ পর্যন্ত ভারতের রাজধানী ছিল। নিউ থিয়েটার্সের জন্ম হয় তার কুড়ি বছর পরে।আর পার্টির অবস্থান নিয়ে জানতে গেলে এটা পড়ে নিন। https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=28140
-
. | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৩542026 - দুটো ভুল জিনিস কায়দা করে এই লেখায় ঢোকানো হয়েছে। ইচ্ছে করে করা হয়েছে ধরছি না, অজ্ঞতাই এর কারণ হতে পারে। পয়েন্টদুটো এতটাই মিথ্যা যে প্রতিবাদ না করে পারলাম না। ভুলদুটো জ্ঞাতসারে ই করে হয়েছে, জোড়াতালি দিয়ে রচনাটা লেখার জন্য।
- হাঅভাপ্রা | 117.199.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ২১:০৭542027
- ঋত্বিক পার্টি থেকে এক্সপেলড হন অক্টোবর ১৯৫৫। আনরিলিজড পদাতিক বাদ দিলে তাঁর সব সিনেমাই তার পরে বানানো।
- হাঅভাপ্রা | 117.199.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৬542031
- < "" হিন্দি সিনেমায় "মেরে পাস মা হ্যায়" জাতীয় বস্তু দেখে এবং শুনে তিনি প্রতিস্পর্ধী একটা কিছু বানাতে চেয়েছিলেন। পারেননি... "" >"মেরে পাস মা হ্যায়" ডায়লগের দিওয়ার রিলিজ করে ১৯৭৫, যুক্তি তক্ক গপ্পো বাদে ঋত্বিকের সব সিনেমাই তার আগে বানানো।ঋত্বিক ঘটকের সিনেমার মার্তৃ অর্কিটাইপ এবং মেলোড্রামা হিন্দি সিনেমার মেলোড্রামার অনুকরণ তথা ব্যর্থ প্রতিস্পর্ধা -- এটাও হাইট অফ হাইট অফ ভাবা প্রাকটিসই হল।
- Ghosh | 27.6.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৪542056
- British created two famines , destroyed looms, with jute and cottom money from India build Maschester, glasgow,rebuild London. British handed over power to its collaboratos Gujratis,Marwaris, Parsis . They always collabotated with British in all dirty activities like opium smuggling. They had a plan before '47 to divide India in particular Bengal and shift all industry to Western India. This was a parting kick of British. Now both East and West Bengal are in a bad shape to much delight of colonial agents. Nothing happens spontaneously. Uneven developement is not developement a sign of exploitation.
- জুবিলি | 146.7.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩০542058
- এত আটভাট না লিখে প্রাইমে একটু জুবিলি সিরিজটা দেখে নিলে ভালো হত।
- r2h | 165.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৭542059
- বিক্রমাদিত্য মোতোয়ানের জুবিলী ও ভারতীয় সিনেমার প্রথম যুগ সম্পর্কে কিছু কথা - Shuchismita
- সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৫542065
- অ্যাঁ? জুবিলি তো গল্পকথা। খানিকটা বাস্তব থেকে নেওয়া, এই পর্যন্ত। কিন্তু ওই দেখে ইতিহাস শিখতে হলে, সে তো হোআ ইউনিভার্সিটির মতো হয়ে গেল।
- r2h | 165.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৩৭542066
- হ্যাঁ মানে আটভাটের বদলে জুবিলি - এ খুবই আশ্চর্য ব্যাপার।
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন।
- ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
এই সাইটটি
বার পঠিত
- বুলবুলভাজা : সর্বশেষ লেখাগুলি
ইদবোশেখির লেখার ডাক : গুরুচণ্ডা৯(লিখছেন... asim nondon, Guruchandali, Fazlul Huque)
পড়শি বাড়ি : সীমান্ত গুহ ঠাকুরতা(লিখছেন... b, দ, :|:)
ঢেউ : অমিতরূপ চক্রবর্তী(লিখছেন... Typo, Typo)
ইদ যাত্রার গল্প : মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান শরিফ(লিখছেন... aranya, b, muhammad sadequzzaman Sharif)
তখন ছোঁয়া অষ্টাদশীর - পর্ব তিন : শ্রাবণী রায়(লিখছেন... a)
- হরিদাস পালেরা : যাঁরা সম্প্রতি লিখেছেন
আলোয় দূষণ ভরা....... : Somnath mukhopadhyay(লিখছেন... )
পূজার পুতুল কদম কলি : শক্তি দত্ত রায় (লিখছেন... )
উৎপল দত্ত কেন বোম্বে গিয়ে ভাঁড়ামি করতেন? : সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়(লিখছেন... r2h, সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, r2h)
উইন্ডটকার্স : Sudeep Chatterjee(লিখছেন... aranya)
নতুন ভাবে আকাশ দেখা : অনির্বাণ কুণ্ডু(লিখছেন... Mrকুমুদি, ., Asim Bhattacharyya)
- টইপত্তর : সর্বশেষ লেখাগুলি
বর্তমান বাঙালী মুসলিম সমাজ : দীপ(লিখছেন... )
ট্রাই করছি : testing(লিখছেন... )
অর্ধেক আকাশঃ কিছু এলোমেলো ভাবনা : Ranjan Roy(লিখছেন... )
সুধার আলয়ে সন্ধ্যাকালীন গগন : Amitava Mukherjee(লিখছেন... )
শিক্ষা ও কর্মসংস্থান : দীপ(লিখছেন... )
- কি, কেন, ইত্যাদি
- বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
- আমাদের কথা
- আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
- বুলবুলভাজা
- এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
- হরিদাস পালেরা
- এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
- টইপত্তর
- নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
- ভাটিয়া৯
- যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
- টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত