গত ডিসেম্বরের ৬ তারিখ মহারাষ্ট্র সরকারের মারাঠি ভাষা বিভাগ ২০২১ সালের যশবন্তরাও চভন সাহিত্য পুরস্কারের প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে। মোট ৩৩ জন প্রাপকের মধ্যে অনঘা লেলের নাম ঘোষণা করা হয় তর্কনাথ লক্ষণ শাস্ত্রী যোশী পুরস্কারের জন্য। তিনি আমার লেখা ‘ফ্র্যাকচার্ড ফ্রিডমঃ আ প্রিসন মেময়র’ বই-টির মারাঠি অনুবাদ করেছিলেন। মারাঠি অনুবাদটির প্রকাশক লোকবাঙময় গৃহ প্রকাশনী। পরের দিনই রাজ্যের মারাঠি ভাষা মন্ত্রী দীপক কেসরকর ঘোষণা করেন যে আমার বই-এর অনুবাদ কিভাবে পুরস্কার পেল তা তদন্ত করে দেখা হবে। ১২ তারিখ সরকারি ভাবে ফরমান জারি করে এক লক্ষ টাকা অর্থমূল্যের এই পুরস্কারটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই পুরস্কারের জন্য বই বাছাই-এর যে কমিটি ছিল, ভেঙ্গে দেওয়া হয় তাও।
কিভাবে এই বইটি বাছাই কমিটির কাছে পৌঁছল সেই ঘটনাচক্র লক্ষ্য করলে দেখা যায় নরেন্দ্র পাঠকের নেতৃত্বাধীন একটি স্ক্রিনিং কমিটি কিছু বইকে শর্টলিস্ট করে বাছাই কমিটির কাছে পাঠায়। সরকার যখন রাজ্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি মণ্ডলের কাছেও এই বইটি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে, তখন তার সভাপতি সদানন্দ মোরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান যে এই নরেন্দ্র পাঠকের আপত্তিতেই সরকার পুরস্কারটি প্রত্যাহার করেছে। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সংস্থা অখিল ভারতীয় সাহিত্য পরিষদের প্যাডে নরেন্দ্রর লেখা আপত্তির চিঠিও দেখান। নরেন্দ্র হলেন এই অখিল ভারতীয় সাহিত্য পরিষদের বিদর্ভ শাখার সভাপতি।
লক্ষণ শাস্ত্রী যোশী, যাঁর নামে এই পুরস্কার, ছিলেন এক প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক। তিনি থাকতেন পুনা থেকে ১০০ কিমি দূরে ভাই নামক এক মফস্বল শহরে, পঞ্চগনি হিল স্টেশনের পাদদেশে। গত শতকের ত্রিশের দশকে তিনি র্যাডিকাল মানবতাবাদের প্রবক্তা মানবেন্দ্রনাথ রায়ের প্রভাবে পাশ্চাত্য দর্শনকে আত্মস্থ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, জ্ঞানীর কি নেতৃত্ব দেওয়ার বিচক্ষণতা আছে? সেই সাথে, যারা স্রেফ অনুসরণকারী তাদের জ্ঞানের অভাব আছে বলেও তিনি মনে করেন। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি রায়ের র্যাডিকাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৯৫১ সালে তিনি বৈদিক সংস্কৃতির বিকাশ নিয়ে তিনি একটি পুস্তিকা লিখেছিলেন। এটি মূলত পুনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া তাঁর ছ’টি বক্তৃতার সংকলন, যে বক্তৃতাগুলিতে তিনি আধুনিক ভারতে বৈদিক সভ্যতার প্রভাবের উৎস অনুসন্ধান করেন। একটি রচনাতে তিনি লেখেন যে আধুনিক ভারতীয়রা পার্থিব চাহিদা ও অধ্যাত্মিক আলোকপ্রাপ্তির দ্বন্দ্বে ফেঁসে গিয়ে, অনৈক্য ও জাতি বৈষম্যকে মাথায় তুলে, সমষ্টিগত ভাবে দুর্বল হয়ে গেছে। তিনি ১৯৫৪-তে দিল্লিতে আয়োজিত মারাঠি সাহিত্য সম্মেলনে তিনি পৌরোহিত্য করেন, ১৯৫৫-তে মারাঠিতে লেখা বৈদিক সংস্কৃতির বিকাশ বইটির জন্য তিনি সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পান। তিনিই মহারাষ্ট্র রাজ্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি মণ্ডলের প্রথম সভাপতি। মোট কুড়ি খণ্ডে প্রকাশিত মারাঠি বিশ্বকোষ প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। প্রাচীন বৈদিক স্তোত্রের সংকলন ধর্মকোষের-ও মূল উদ্যোক্তা তিনি। ভাই শহরে তিনি দলিত ছাত্রদের জন্য হোস্টেল চালু করেন, হ্যান্ডমেড কাগজের কারখানা ও একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন।
পুরস্কার বাতিলের পিছনে ভূমিকা শুধু পুর্বে উল্লেখিত নরেন্দ্রর আপত্তির নয়। তার আগে, সামাজিক মাধ্যমে উন্মাদনা তৈরি করে দুটি নাগপুর-স্থিত সংস্থা। পুরস্কার ঘোষণার সাথে সাথেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রচারক বিনয় যোশী, যিনি এখন সংঘের সংস্থা লিগাল রাইটস অবসারভেটরি চালনা করেন, তাঁর আপত্তির কথা জানিয়ে একটি টুইট করেন। তাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ কে ট্যাগ করেন। এটা ৮-ই ডিসেম্বরের ঘটনা। তিনি লেখেনঃ “ভয়ানক! খুনে নকশাল সন্ত্রাশবাদী কোবাদ ঘ্যান্ডির বই-এর মারাঠি অনুবাদকে পুরস্কারের জন্য বেছে গিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার!”
এই এক হিস্টিরিয়াগ্রস্ত অপপ্রচার যা বার বার তুলে আনা হয়। আমি একাধিকবার আমার এই রকম কোনও যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছি। নকশাল-সংক্রান্ত মামলা থেকে আমি মুক্ত হয়েছি চার চারটি রাজ্যে। তদুপরি, তাদের সমগ্র প্রচারে বইটি নিয়ে একটি কথাও ছিলনা। শুধু একটাই প্রচার – কোবাদ একজন খুনে মাওবাদী। পরের দিন হিতবদ কাগজে এই টুইটকে জনতার দাবী বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। (প্রসঙ্গত, এই ইংরাজি দৈনিকটি পঞ্জাবের বর্তমান রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বনওয়ারীলাল পুরোহিতের পরিবারের মালিকানাধীন। উনি এক সময় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক-ও ছিলেন।) এর পর ৯ তারিখ নরেন্দ্র পাঠক তাঁর আপত্তির চিঠিটি পাঠান। নরেন্দ্র এর আগেও খবরে এসেছিলেন, ২০১৫ তে, যখন পুনার ফিল্ম অ্যান্ড টেলেভিসন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া-তে গজেন্দ্র চৌহানকে চেয়ারম্যান করার সময় তাঁকেও এফটিআইআই সোসাইটির সদস্য করা হয়েছিল – যা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদে নেমেছিলেন। এই রকম হাতে গোনা কিছু আরএসএস-সম্পর্কিত ব্যাক্তির হস্তক্ষেপেই পুরস্কার বাতিল করা হয়। বই-এর বিষয় বা তার অনুবাদ নিয়ে কেউ একটা শব্দও ব্যয় করেননি।
অথচ, এই পুরস্কার ঘোষণার আগেও বহু সাহিত্য জগতের মানুষ আমায় ফোন করে অনুবাদ নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রসংসা করে বলেছেন যে, অনুবাদ এত ভালো হয়েছে যে সেটা একটি মৌলিক লেখার মতই পড়তে লাগছে। খুব কম অনুবাদেরই সেই যোগ্যতা থাকে।
ঘটনাচক্রে, পুরস্কারের ঘোষণা বিশেষ কোনও নজর কাড়েনি। কিন্তু এর প্রত্যাহার এক ঝড় তৈরি করল। মারাঠি সাহিত্য জগতের সাথে জড়িত এক বড় অংশের মানুষ প্রতিবাদে মুখর হলেন, মূলত মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে। রাওসাহেব কসবে-এর নেতৃত্বে প্রায় ত্রিশ জন মারাঠি সাহিত্য ব্যাক্তিত্ব মারাঠি ভাষা মন্ত্রীকে এক খোলা চিঠি দিলেন তার পরের দিনই। সাহিত্যিক আনন্দ কারান্ডিকর, যিনি তাঁর ‘বৈচারিক ঘুসলন’ বইটির জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন, তাঁর পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। শরদ বাভিসকর তাঁর আত্মজৈবনিক রচনা ‘ভুরা’র জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনিও তা প্রত্যাখ্যান করেন, মহারাষ্ট্র সরকারের ‘ফ্যাসিবাদী’ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে। মারাঠি কবি নির্জা পদত্যাগ করেন সরকারের সাহিত্য সংস্কৃতি মন্ডল থেকে । এর পরপরই আসে সাহিত্য সংস্কৃতি মন্ডল থেকে আরও এক ঝাঁক পদত্যাগ – প্রজ্ঞা দয়া পওয়ার, লক্ষীকান্ত দেশমুখ, অভধূত পারালকর, বিনোদ শ্রীসাথ ও অভিজিত দেশপান্ডে। তাঁদের মতই, সাহিত্য জগতের অন্যরাও সামাজিক মাধ্যমে বইটির অনুবাদিকার প্রতি তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেন। লক্ষীকান্ত দেশমুখ ও সুহাস পালসিকর সরকারের ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাডভাইসরি কমিটি থেকেও পদত্যাগ করেন। ১৬ তারিখ সাহিত্য জগতের মানুষেরা একটি প্রতিবাদ জমায়েত করেন পুনাতে। কারান্ডিকর বলেন নাগরিক স্বাধীনতার ক্রম-ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা নিয়ে। প্রত্যক্ষ ও পরক্ষ্য সেন্সরশিপে ভারতের অবস্থান তলানিতে নামতে নামতে ১১৯-এ ঠেকার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি, মেধা পাটকরকে আরবান নকশাল তকমা দেওয়ার প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, এখন প্রতিরোধ শুরু না হলে ফ্যাসিবাদী হামলা আর রোখা যাবে না। আবার ২৫ তারিখ মুম্বই-এর শহরতলি ডোমবিভ্লিতে একটি প্রতিবাদ হয়।
সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীরাও সমালোচনায় সরব হন। বিরোধী দলনেতা, এনসিপি-র অজিত পাওয়ার বিধানসভাতেই দাবি করেন যে সরকার সাহিত্য জগতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুক। তিনি এমারজেন্সির সময়কার উদাহরণ টেনে বলেন, এখন এমার্জেন্সি ঘোষণা না করেই পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধব-নেতৃত্বাধীন শিব সেনার নেতা সঞ্জয় রাউত জনসভা থেকে-ও এই নিয়ে বলেন, আবার তাদের মুখপত্র সামনাতেও সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। মূলত তাঁদের সবারই বক্তব্য এই যে, বই-তে আপত্তিজনক কিছু নেই; আর বইটির সব কথার সাথে তাঁরা সহমত না হলেও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে তুলে ধরাই সরকারের কর্তব্য।
অনঘা লেলে নিজেও সরকারের সমালোচনা করেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন যে তাঁর ধারণা শুধুমাত্র কোবাদ ঘ্যান্ডির নামের কারণে সামাজিক মাধ্যমে একটা প্রতিবাদের আবহ তৈরি করে ও সরকারকে চিঠি লিখে যে প্রচেষ্টা হয়, সরকার কোন কিছু বিচার না করেই তাতে সাড়া দেয়। “এটা দেখে আশ্চর্য লাগছে যে, সামাজিক মাধ্যমের হইচইকে সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের থেকে বেশি গুরুত্ব দিল,” তিনি বলেন।
মূল বইটির বিষয়ে বলতে গেলে বলতে পারি যে, ইংরাজি বইটি ২০২১ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশের আগে করণ থাপার, বরখা দত্তের মত সাংবাদিকরা আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। দ্য উইক ম্যাগাজিনে কভার স্টোরি হয়। অ্যামাজনে বইটি অনেকদিন ধরেই বেস্ট সেলার হিসাবে আছে এবং বিক্রিও ভালই হচ্ছে। মারাঠি, পাঞ্জাবি, বাংলা, কন্নড় ও হিন্দীতে অনূদিত হয়েছে। তামিল অনুবাদ-ও শীঘ্রই আসছে। বইতে আপত্তিজনক কি কি আছে তা যদি কেউ তুলে ধরতে পারতেন তাহলে ভালো হত। আমি বলতে পারি, এই বইতে এমন কিছুই নেই যাতে একে মাওবাদী বলা যায়। বইটির উপসংহার বলছে যে পরিবর্তনের জন্য আনা যে কোনও সামাজিক প্রকল্প সফল হতে গেলে তাতে ব্যাক্তিত্বের স্বাভাবিকতা, অকপটতা, সততা, সারল্যের মত ভ্যালু বা মূল্যবোধের স্থান থাকতেই হবে – এমন কিছু গুণ যা আমি আমার প্রয়াত স্ত্রী অনুরাধার মধ্যে দেখেছিলাম। সেই সাথে, স্বাধীনতার অন্যতম উদ্দেশ্যই হতে হবে অধিকাংশের জন্য সুখ/আনন্দ। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তাদের কি অসুবিধা? তদুপরি, এই পুরস্কারের ক্ষেত্রে মূল বিচার্য ছিল অনুবাদের উৎকর্ষ। তিনি এই কাজটি করেছেন একজন পেশাদার অনুবাদক হিসাবে। যাঁর জীবিকা অনুবাদের ওপর নির্ভরশীল, তাঁর থেকে পুরস্কার কেড়ে নিয়ে সরকার কি বার্তা দিতে চাইল?
মোটের ওপর, যা আমি বলতে চাই, এই গোটা ঘটনাচক্র আরও একবার দেখিয়ে দিল যে মূলত জ্যোতিরাও-সাবিত্রী ফুলে ও বি আর আম্বেদকরের অব্রাহ্মণ মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে পরম্পরা মহারাষ্ট্রে গড়ে উঠেছিল, তা আজও বিদ্যমান। হিন্দুত্বের পান্ডারা যখন ‘মাওবাদী’ ধুয়ো তুলে বইটির বিরুদ্ধে এক আতঙ্কের আবহাওয়া তৈরি করার চেষ্টা করছিল, সেই সময়ে মারাঠি সাহিত্য সমাজের প্রতিক্রিয়া বাস্তবিকই চমৎকৃত করে। যাঁরা মুখ খুলেছেন, তাঁদের অধিকাংশই বলেছেন যে বই-এর সব বক্তব্য/ পর্যবেক্ষণ তাঁরা সমর্থন নাও করতে পারেন, কিন্তু তাঁরা লেখকের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন। তাঁরা কেউই বইতে আপত্তিজনক কিছু পাননি। নাগরিক ও সাহিত্য সমাজ থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পরই বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলিও এই ইস্যুকে ধরে প্রতিবাদ করে। তার মূল কারণ, আম্বেদকর ও ফুলের পরম্পরা এরাজ্যে অত্যল্প মানুষই অস্বীকার করতে পারেন। সমাজ সংস্কারের এই গণতান্ত্রিক পরম্পরাকে আরও বিস্তৃত করার প্রয়োজন আছে। নইলে ভক্তি আন্দোলনের যে জোরালো ধারা আছে, তা পুরোপুরি হিন্দুত্ববাদীদের খপ্পরে চলে যাবে। মহারাষ্ট্রের পান্ধারপুর মন্দির শহরে জাতপাতের উর্ধে থাকা ভরকারি সম্প্রদায়ের কার্তিকি একাদশীর তীর্থযাত্রা নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা যেরকম চেষ্টা করছে। এই তীর্থ যাত্রা হয় সমাজ সংস্কারক তুকারামের পরম্পরায়। তাঁকে গোঁড়া হিন্দুরা হত্যা করেছিল। সেই অনুষ্ঠান আজ ব্রাহ্মণ্যবাদীরা গিলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ, ফুলে-আম্বেদকরের পরম্পরাতেই তার থাকার কথা ছিল। যদি এখনই এই উদ্যোগ নেওয়া শুরু করা না হয়, তাহলে যে বারো জন ভক্তি কবির চিন্তাভাবনার ওপর ভিত্তি করে ফুলে-আম্বেদকর-শাহু মহারাজের পরম্পরা গড়ে উঠেছে, ক্রমশ তা-ও ব্রাহ্মণতান্ত্রিক হয়ে উঠবে।
(ইংরাজি থেকে অনুবাদ করেছেন স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য)