এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  কাব্য

  • ২০২১ - ২২

    শক্তি দত্ত রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | ০৯ মে ২০২২ | ১০২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •  
     
    মেঘছায়া হাতছানি দিল।
    পাহাড়ের অমসৃন দেহ ঢেকে দিয়ে
    নামবে  সবুজ ঝর্ণা।
    মেঘের প্রার্থনা তাই--
    বড় মেঘ করেছে আজ।
    অনেক জলের কামনায় বিনম্র বনভূমি
    ফার্ন অকির্ড শিউরে উঠেছে
    স্বপ্নের মৃদু শিহরণে।
    দৈব বারিধারা মধুর মতন মসৃন মোহঘেরে
    ছুঁয়ে দিচ্ছে পাহাড়ের পাথুরে ত্বকের জ্বালা।
    তপ্ত শিরে আঙুল বোলায় জলের বাতাস
    সুখস্বপ্নে প্রিয়মুখ আসে মৃদু হেসে।
    শাখাবাহু দুলিয়ে পুষ্পবৃষ্টি করে   যেন কুর্চি গাছগুলো
    সবুজ ঝর্ণার জলধারে ধুয়ে যাবে অমসৃনপাহাড়ের ত্বক ।
    বহুদিন পরে--
    সুখস্বপ্নে শিহরিত তাই  ফার্ণ  আর  অর্কিডের লতা।সবুজ ঝর্ণার মুখ চেয়ে গান গায় বাউল পর্বত
    কতদিন পরে মনে কি পড়েছে তার ভুলে যাওয়া সাঁতারের খেলা?
    দিনের শেষের ছায়ায় মেঘ দেখে ময়ূর হয়েছে কেউ,
    হয়তো পাহাড় না হয় পাথার, স্বপ্নে দেখে সবুজ অপার।
    ঝর্ণার জলে স্নান সেরে সবুজ হবে স্বপ্ন দেখে ধূসর পাহাড়।
    অনেক দিনের পর মেঘছায়া হাতছানি দিল।
    ~~~~

    সন্ন‍্যাস

    বছরের পর বছর শীর্ণ নদি পাহাড়ের পথে চলে
    জল ভরা বুকে ভালোবাসা ডুবে থাকে অন্ধকার
    তারাদের  ছায়া চিকচিক করে চোখের জলের মতো।
    ঠেলে দিই পুরাতন সুখ --যা মনের বাইরে যায় না
    মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে আকাশে তাকিয়ে দেখি আলো নেই
    পুরনো আকাশ নিজের তারা ফুল বুকে নিয়ে ভেসে গেছে।
    নিরুদ্দেশ প্রেম ভুলে গেছে মাথুরের গান
    স্বপ্নে আর জলপ্রপাতের ধারে যাওয়া  অসম্ভব।
    পুরনো আকাশ শীর্ণ নদিজলে স্নান করে নিয়েছে সন্ন‍্যাস।
    তারা ফুল ভেসে গেছে তার সাথে ভেসে যায় ছাই।
    নিঃস্ব আকাশ চৈত্র দহনে পুড়ে হয়েছে সন্ন‍্যাসী
    পুরনো জীবন পরনের অধোবাস উত্তরীয় দিয়েছে ভাসিয়ে।
    ~~~~

    প্রত‍্যয়

    পুরনো সখা ছিঁড়ছো রাখীর ডোর
    চোখে জল  খুঁজে চিঠি লেখো কেন রোজ?
    রাতে যতো ভুল হতো ভেবে দেখি আজ
    সব কি শুধুই ভুল?
    শিমূলের ডাল বহুল কসুমে ঝুঁকেছিল  নিশ্চুপ
    আজ তুলো হয়ে উড়ে  যায়  টকটকে লালফুল
    নিশ্চিত ছিল আমাদের কোনো ভুল।
    তবুও শুধুই ভুল?
    "আপন মনে আমায় থাকতে দে না---"
    ভুল মন্ত্রে না হয় হয়েছে অজ্ঞাত কিছু  পাপ
    সেই পাপে যদিও ফাগুন আকাশ নীল গাঢ় নীল---
    বিষ মদিরার মদির মায়ায় অবিরল অনুরাগ।
    আমি তো লিখেছি তীব্র কবিতা প্রগাঢ় দীর্ঘশ্বাসে
    কেন জ্বলে জ্বলে ওঠো কপট বেদনার আহুতিতে।
    মন্ত্র তো সব দহনকাব‍্যে ঘৃত চন্দন মাখে
    যজ্ঞের আগুনে প্রেম জ্বলে যায়  একটি কবিতা আসে।
    সেই কবিতায় দুজনের স্বর আছে
    শিমূলের তুলো বহুল কুসুমে লাল ছিল
    মনে আছে?
    একদিন  তবু ফুটেছে তো লাল ফুল
    শাখা ভরেছিল টকটকে লাল ফুলে।
    মন ভরে থাক যজ্ঞধূপের তাপে
    ভুলের আবেশে  কবিতা শুদ্ধ হবে।
    ~~~~

    কবে আবার আমরা হবো
    সবখানে শুধু আমরা ওরা
    জানিও না আমরা  কারা
    ওরা কারা তাই কি বুঝি
    কারোরই নেই রুটি রুজি।
    ভোর হলেই চাকরি খুঁজি
    পয়সা পেলেই ট‍্যাঁকে গুজি।
    তারা তো নয় আমাদের কেউ
    পেছনে ছুটিস,তুই নাকি ফেউ।
    তিলক কেটে বক্তিমে দেয়
    রুজির কড়ি হাতিয়ে নেয়।
    গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা আমার না তোর
    তার হবে যার গায় যতোজোর।
    তুই আমি উপোস দেব ঘাম ঝরাব
    তার বদলে ঘোড়ার ডিমের বড়া খাব।
    তুই আর আমি রাত বিরেতে আমরা হবো
    তাদের গদির দখল তখন  আমরা নেবো।
    ~~~~

    ঢেউ আর ঘূর্ণিপাকে

    ভালোবাসবো বলে এখনও রাত জেগে থাকি
    অন্ধকারে অতলে খুঁজি কি দিতে পারি।
    সোনা ভরতি নাও নিয়ে কবে ডুবে গেছি
    ফুসফুসে ঘোলা জল তোলপাড়, কি যে করি।
    কাঁপা হাতে ছুঁতে চাই প্রিয় দুটি হাত সবল স্নেহল
    প্রিয় কোনো তিলচিহ্নে স্মৃতিজলে ভেসে চলে যায়।
    ঘূর্ণিঝড়,জলোচ্ছ্বাস প্রখর বিদ‍্যুৎ,ছিন্নভিন্ন ঘুমে
    রাত কাঁপে,শ্বাসকষ্ট হয়,মৃত‍্যুর আঁচল দোলে অদূর আকাশে।
    অসহায়  দেখি আর শ্বাসরুদ্ধ অপেক্ষায় হাত পাতি
    হাত পেতে নিশিরাতে ঝড়ো হাওয়া ভিক্ষা চেয়ে জাগি।
    প্রবল বৃষ্টি ঝরে, ঝরে যায় গতপরশুর বরুনতরুর ফুল
    আমার স্বপ্নের ভেতর কবেকার দুর্নিবার ভালোবাসা জেগে থাকে।
    স্বপ্নে শাখা নাড়ে চির বসন্তের গান সব---পুষ্পিত বরুন ফুল।
    ভুলে গেছি ভুল করে ফেলেছি কখন।
    ~~~~

    ছুটি দাও

    এইবার ছুটি হোক
    ব‍্যর্থ বোঝা বয়ে নিয়ে কতটা চলে এলাম।
    এবার থামতে দাও,পুড়ে ছাই হয়ে গেছি
    উড়ে তবু যেতে চাই
    আকাশের নীল যেখানে মেঘের ভারে ক্লিষ্ট
    সেখানে নয়,বায়বীয় শূন‍্যতার নির্মল রঙহীন
    সেখানে সমাপ্তি দাও
    নতজানু হয়ে  করজোড়ে একটি সুগন্ধি কর্পূর
    অঞ্জলিতে নেবো আর নেব দুএকটি বকুলের ফুল
    রেখে যাব কোমল প্রণাম
    করুণ অশ্রুর বিন্দু।
    ~~~~

    যাত্রা শেষের গোলাপদিনে
    শেষ বেলায় মনের ভুলে
    তোমার প্রাণে দিলাম ছুঁয়ে
    আকাশ ভরে আঁধার নেমে
    বিষাদ শ্রাবণ দিল বিছিয়ে।
    প্রদীপ আমি খুঁজছি না আর
    আকুল ঝোরায় ঝরে মেঘভার
    ভালোবাসার গোলাপ মালায়
    জলের কণার আদর জড়ায়
    ক্লান্ত কোনো অতিথিকে
    অধীর কেন ডেকে ডেকে।
    সরাইখানায় ঝড় নেমেছে
    বিজুরিমালায় রাত সেজেছে
    যাত্রাশেষে বর্ষাভীরু থামলে এসে 
    ডাকলে এমন ক্লিষ্ট মুখে করুণ হেসে
    তুমি এসো বিষাদ বিহীন উছলমনে
    শেষের ঘোরে কন্টকিত গোলাপবনে।
    ~~~~

    এপিটাফ

    যাই যাই যাই---
    ফিরে তাকাতে কেন ইচ্ছে করে
    প্রেম ছুঁয়ে ছেনে,শিশুমুখে হাসি দেখে
    ভালো লাগে,ভালো লাগে অফুরান
    আরেকটি বৃষ্টির বিন্দু এতো স্নিগ্ধ স্বাদ
    শেষ গোধূলি  আলোয় কে দূর থেকে ডাকে।
    নাছোড় প্রেমিক আমার, শেষ ভালোবাসা নিয়ে
    পানপাত্র পূর্ণ করে নতজানু, তিনি অকৃপণ কেঁদেছেন।
    অশ্রু তাঁর হীরের মতন দামী তবু নিতে নেই
    জানি।।
    ফিরে ফিরে কেন যে তাকাই---
    কত মুক্তো দিয়ে গাঁথা মালা দিয়ে যাই
    নিয়ে চলে যাই
    কেন যে তাকাই।
    নিই নাই যা পাওয়ার নয়
    যাই---যাই।
    ~~~~

    কবিতার কোষে কর্পূর রইলো একটু
    কেউ যদি হৃদয়ে রাখে সৌরভ রেশ।
    অর্ঘ‍্যপাত্রে ঘিয়ের প্রদীপ মৃদু আলো
    শিমূলের লাল ফুল দুএকটি শেফালি।
    রেখে যায় কোনো কোনো কবি মানুষেরা।
    কেউ রাখে অমূল্য ভস্ম,হয়তো মহৌষধ।
    ~~~~

    শীতরোদে

    একাকিত্বের একটা বিধুর সুবাস
    ঘিরে থাকে জীবনের পরতে।
    কোনো এখন তখন নেই।
    গর্ভবাসকালে বোধহয় গতজন্মের স্মৃতি থেকে যায়।
    বাসরের স্বপ্নময় রাতে মনে হয় পিতৃগৃহে আমি পরবাসী।
    এখন আমার জন্যে তোমার তো শুভেচ্ছা ও মূক।
    অভাবনীয় দুঃখস্রোতে আকুপাকু আনাড়ি সাঁতার।
    বিধুর বিষাদ মেখে পাখা মেলে নামে আজ শীতের সকাল।
    কার উঠোনে হলুদ গাঁদার ফুল,কোথায় খেজুরের মিঠে রস।
    কার পাতে ধোঁয়া ওঠা নূতন খুদের জাউ তপ্ত শ্বাস ফেলে।
    আমাদের কীইবা আসে যায়।
    পরতে জড়িয়ে থাকে গভীর বিষাদ।
    শীতরোদে ধীরে হাঁটে দিনান্তের হাঁস।
    শুভেচ্ছা তোমার পরতে পরতে  তার বিষাদ সুবাস।
    যেখানেই ভালোবাসা একফোঁটা শিশিরজলে সূর্যের আভাস।
    ~~~~

    শূন্য রঙ

    যে পৃথিবীর সব বন রঙ ধুয়ে পুড়ে গেছে
    সেই শূন‍্যে পড়ে আছি।
    কেন কে জানে,ভালো তো না বেসে পরিনি
    এখনো কোলভরা স্নেহ।
    এখনো ভালোবাসায় টলমল করে গভীর দীঘি
    এখনো শিশুমুখমনে পড়ে।
    তোমার হারানো বুকে মুখ গুঁজে সন্ধ্যায় একাঘরে
    কান্না পায়,এত ব‍্যথা শিকড় ছড়ায়।
    আমার যে ভালোবাসা চাই,একা থাকা আমাকেও
    পুড়িয়ে পুড়িয়ে বাতাসে ওড়ায়।
    আগুন খেতে হবে না জেনে কেন যে মেয়েরা
    আঁচল উজাড় করে মা হয়,স্ত্রী হয়,কবিতা ভাসিয়ে
    শেষে শাদা শাড়ি পরে শুয়ে থাকে।
    তখন কি ভালোবাসে কেউ?
    না।।
    ~~~~

    এতো মহিমা নিয়ে সকাল এসেছে
    কত প্রতিভা আজও কবিতায় ভাসবে।
    আমি শুধু কিছুই লিখবোনা,ডাকবো--
    ডাকবো হে কবিতার অন্তর্যামী তোমাকে।
    কত রাতে তোমার সৌরভের আবহে জেগেছি
    কত সন্ধ্যায় বিহ্বল হয়ে থাকি তোমাতে।
    এই সকাল জানিনা অমিত অমৃত দেবে কিনা
    পৃথিবীতে নেমে এসেছেন সূর্যালোকের অধিশ্বর।
    কোন্ বৈদিক আলোকে স্নান করে,তুমি সঙ্গে থাকো
    আমি আছি চিরদিনের মতো চোখ তুলে তোমার চোখে।
    হে কবিতার ঈশ্বর, তাকাও আমার চোখে,যদি বা
                     শেষবার।
    ~~~~

    শিলালেখ

    সমুদ্রে ভেসে গেছে তার অসামান‍্য বিদায়
    মহাকাল কর্তব‍্য করে, তবু বিষাদে গম্ভীর।
    অরণ‍্যের ঝড় নৈশব্দের সবুজ  তোলপাড় করে
    তারারা রক্তিম চোখে বিপন্ন যন্ত্রণায় চেয়ে থাকে।
    ভাসমান মেঘে ভাসে তবু কতো গানের বিদ‍্যুৎ
    প্রচণ্ড ঝড় সয়ে আছে অজস্র ঝরে যাওয়া ফুল।
    এত কি সহজ প্রেমিককে নিঃস্ব করে দেওেয়া
    মহাকাল দুর্দান্ত জানি,আরো জানি এতটাই নও।
    কিছু কিছু চিরস্থায়ী শিলালেখ মধ‍্যরাত্রে পড়া যায়
    অতীত জলার্ত মেঘের মতো ঢেকে রাখে বিলুপ্তবিদ‍্যুত।
    যদি ঝড়কে ও একেবারে নিশ্চুপে চলে যেতে হয়
    বিদায়,সব ভালোবাসা,দীর্ঘশ্বাস,সব শুভেচ্ছার শেষ।
    মধ‍্যরাত্রে জেগে ওঠে শিলালেখ,কতো প্রশ্ন কতো কথা
    মহাকাল বিষন্ন কর্তব‍্যে মগ্ন,নিরুপায়, সব কি মোছার?
    ~~~~

    বাধ‍্যতায়

    এখন যখন তখন কান্নাআসেনা
    শীতল একটা পাথর নিজের ভেতরে রেখেছি।
    বড্ড লাগে জানো?যখন কেউ ডাকেনা,
    অথবা ডাকে না-ভালোবাসার রূঢ়তায়।
    রাখতে পারিনি কিছু,পায়ের পাতায় প্রিয় তিলচিহ্ন
    মনের স্বপ্নচ্ছায়ায় আসে দুপুররাতের নীরবতায়।
    আসবাবের সংস্থানে অথবা সৌকর্যে হঠাৎ পেয়ে যাই
    আমার চারদিকে নিষ্ঠুর পাথরের প্রাচীর।
    কেউ কেউ ভরদুপুরে খুব কটুবাক‍্য বলে।
    কাঁদিনা।কার করতলে অশ্রুমুকুতা রাখবো?---
    কাঁদিনা এখন আর।প্রবালের অঙ্গুরীয় কারো আঙুলে আর খুঁজিনা।
    জানো?---কবিতা লিখিনা আর।
    আমি মরে গেছি ভেবে বেঁচে থাকি বাধ‍্যতায়
    ~~~~

    বৃষ্টির সুখ

    দুইদিন   দিনে  রাতেএকঘেয়ে বৃষ্টি
    মনে হলো ঝড়ে জলে ভেসে যাবে সৃষ্টি।
    বুকভরা কান্নার রিমঝিম রিমঝিম
    মেঘভার শূণ‍্যতা বয়ে চলে নিঃসীম।
    কবিতার অন্ধকারে ঘুরে ঘুরে নির্জন
    করতলে রোদ রাখে অসহায় এক মন।
    রোদ রেখে করতলে ভুলে যায় মেঘভার
    ভালোবেসে হেসে চায় ভালোবাসা অধরার।
    হিসেবের ভুল থাকে থাকে আরো কতো ভুল
    চুলচেরা লেনদেন না মিটলে ক্ষমা নেই একচুল।
    বাদলের রাতে   বিদ‍্যুৎ  বেহিসেবী উদ্দাম উন্মাদ
    ছুঁয়ে ছেনে   লুটে নিল আকাশের   ছিরিছাঁদ।
    চাঁদ নেই,তারা নেই,পড়ে আছে কদমের ছেঁড়া ফুল
    মেঘের আদর মেখে  বানভাসি  যমুনার দুই  কূল । জলেভেজা নাকছাবি খড়োঘরে হাসিমাখা সোনামুখ
    জীবন ভিজিয়ে নামে সোহাগের অঢেল   সজল সুখ।
    ~~~~

    অসহ

    হেঁটে চলি ধীর পায়ে
    কমনীয় এই বিকেল নেমেছে
    শালের বনের ধূসর ধুলার পথে
    জিয়াভরলির পাড়ে এখন সূর্য অস্তে চলে
    নদীর কোমল চুলে সোনারঙ মুছে গেছে।
    বন্ধু আমার তোমার নৌকো চিরদিন বেসামাল
    জিয়াভরলির কালো জলে তার সফর তৃপ্তিহীন
    শূন্য দৃষ্টি তৃষ্ণায় জ্বলে,বৈঠা ধরেছো শক্ত হাতে
    বৃথা ভেসে চল জলপথ ধরে  কার নাম বুকে করে
    ধীরপায়ে আমি  হেঁটে চলি আশ্বাসহীন তপ্তবালুকা ছুঁয়ে 
    কমনীয় এই বিকেল বেলায় অন্তবিহীন অসহ বিরহপথে।
    এই নাটকের যবনিকা টানা হবেনা কখনো ধূসর রেশমডোড়ে।
    কমনীয় এই রোদালো বিকেলে হেঁটে চলি ধীর পায়ে
    অসহ বিরহপথে।
    ~~~~

    অন্তর্লীন

    সংশয় জড়িয়ে থাকে শিশিরজলের মালার মতো।
    ভাবতে হয় তোমার উপহার?নাকি নীরব হাহাকার অথবা অভিমান।
    বোঝা যায় না ঠিক।ছুঁয়ে দেখতে ভয় করে,চোখ সরাতে ইচ্ছা করে না।
    তোমার অহংকার,ভালোবাসা অথবা অন‍্য কিছু,কোনো গুপ্তধন?
    উপহার অথবা তীব্র যন্ত্রনার আর্ত দীর্ঘশ্বাস?
    ঐ দিয়ে ছুঁয়ে আছো তুমি নিরন্তর।
    ~~~~

    বৃষ্টি জলে স্নান করে সকালটি চোখ মেলেছে
    জবা দোলনচাঁপা স্থলপদ্মের কুঁড়িরা জলের ফোঁটা গায়ে মেখেই সেজেছে।
    এতো ভোরে মোহরের অপরূপ কবিতাটি ভেসে এলো আমার কাছে।
    আমাদের সন্তানেরা এখনো কবিতা লেখে
    ছবি আঁকে। প্রশ্নহীন বিরাগে অন‍্যায়কে শ্লোগান হানে।
    এ সমস্ত সার্থকতা নিয়ে সূর্যদেব তোমাকে প্রণাম করি
    প্রভাতটি সুন্দর মাজির্ত,কবিতাটি বন্দনা গান।
    প্রভাতটি প্রসন্ন এমন।
    সকালেই ফুটে উঠেছে চোখের সামনে মোহরের কবিতা।
    সুন্দর সকাল। আমাদের সন্তানেরা কবিতা লেখে,শ্লোগান হানে,গান ভোলেনি।
    ~~~~

    অপ্রতিরোধ‍্য

    অনামিকায় প্রাণবিন্দু রক্তকণিকায় নক্ষত্রের আলোর মতো।
    তবুও গহন অন্ধকারে
    তোমাকে স্বীকৃতি দিয়ে রাখি।
    হয় তো উড়েছি আমরা অতসীর পাপড়ির মতো
    ~~~~
     

    আশ্বিন মধ‍্যাহ্নের অকৃপণ রোদে একদিন, শুধু একরাত  একরাত অফুরান
    সোনার রেণুর মতো রঙ ছুঁয়েছিল বুকের মৃদুসৌরভ
           শুধুমাত্র মূহুর্তেক।
            মূহুর্তেক শুধু।
    সে আশ্বিন ভেসে ভেসে আসে শ্রাবণের অবাধ‍্য বৃষ্টির জলে।
    তুমি সেই সিক্তফুল গুঁজে দিলে অন‍্যকোনো রমণীর চুলে?
    মিলন বিরহ আর বিরহ মিলন পেরিয়ে সেই অর্থহীন প্রেম
    ছুঁড়ে দেব পাহাড়ের কোনো খরস্রোত জলে
    ভয়ংকর ভালোবাসা নিয়ে তুমি যদি শৃঙ্খলিত কর
    ছুঁড়ে দেব ফুল,মুছে নেব অনামিকা থেকে অমূল‍্য কুমকুম।
    রক্তের ভেতরে থাকুক তোমার আশ্লেষ।
    ~~~~

    মেঘলাকারুকাজ

    একলা দিনের পাথর জুড়ে মেঘের কারুকাজে
    দূরের সোহাগ নাচের নূপুর বাজায় মাঝে সাঝে ।
    অনেক দূরের ইন্দ্রধনুর রঙ্গিন মাদল শোন ?
    মানিক ঝরা হাসির জলে নৌকো ভাসে ?
    স্বপ্নে আমি আসি ?
    অনেক দূরের প্রদীপ জ্বলে
    শিখায় জ্বলি আমি।
    বাতাস এখনো পূরববৈয়া
    মেঘের  ঠোঁটে বাঁশি?
    অনেক দূরের ভেজা চোখে আমার ঠোঁটের হাসি
    বাতাস কি আজ পূরবৈয়া ,মেঘের আঙ্গুল কাঁপছে থিরিথিরি  ?
    ঠোঁটে কি সেই মধু? বাজছে ডাকাত বাঁশি?
    ~~~~

    অনুসন্ধান

    এই ব‍্যধি কবলিত দুঃসহ বর্ষণে ঘর ভেঙ্গে গেছে,
    শুধু ঘর? হৃদয়  বুদ্ধি সব ভেসে গেল বুঝি।
    তবু কেমন করে দুমুঠো প্রেম জুটে যায় চোখে
    হে নতজানু প্রেমিক,তুমি তখন প্রাগতৈহাসিক বীর।
    তুমি পাথরের ফালিতে জুমচাষের জন‍্য প্রস্তুত
    তোমার নারী তৃপ্ত স্বল্পাহারে।।
    তোমরা নিবিড় বর্ষা ছুঁয়ে ছেনে রোদের চাষ কর।
    সেই রোদে পুড়িয়ে নিয়ে শত মারিবীজ
    নূতন শতাব্দীর জন‍্য কিছু শস‍্য সংগ্রহে রাখো।
    অবনত মুখী প্রেমিকা তৃষিত নয়না  দুহাত সংকল্প বদ্ধ
    সমস্ত প্রতারণা ছিন্ন করে।
    তোমার জ‍ন‍্য চাঁদের তলায় দাঁড়িয়ে কোন গান পেতে রেখে জ‍্যোতস্না ছাকে।
    হে প্রাগৈতিহাসিকপুরুষ পানপাত্রে ওষ্ঠ স্পর্শ কর
    যদি  অতিমারি জয়ী হও অজানা ঔষধে
    তোমার সূর্যালোক তীব্রদাহে পরাজিত করে দেবে যত ব‍্যধিবীজ।
    হে আদি নারী,প্রাচীন পুরুষ এমন কি হয়েছিল আগে?
    কোন কালে সৃষ্টিশীল প্রেমে?
    ~~~~

    যেতে হবে তাই

    কোথায় বসবো অন্ধকারে
    চাঁদের চোখে আষাঢ় নামে।
    অনেক অনেক না ফোটাযূঁই
    বুকের ভেতর গুছিয়ে থুই।
    পিদিম যদিই নিভিয়ে দাও
    রাতের আভাস ফিরিয়ে নাও।
    দাউ দাউ এই  আগুন প্লাবন
    গভীর ঘুমেও প্রবল শ্রাবণ।
    কদম বনের মদির নেশায়
    কেয়া ফুলের সুবাস ফেনায়।
    অন্ধকারে  বৃষ্টি ভেজে আসনখানি
    ছুঁচের খোঁচায়  দুঃখ রঙা ফুল ছড়নি।
    শ্রাবন মাসের বানের জলে ঘর ভেসে যায়
    ফুলছড়ানো সাধের আসন কে বোনে হায়।
    আঁধার বেলায় হেলাফেলায় কি বলে যাও
    দুচোখ মুছে বানের জলে জীবন ভাসাও।
    তোমার জন‍্যে বুকের ভেতর গুছিয়ে থুই
     গোপনবনের  লুকোনো দিন --মল্লিকা যূঁই।
    রাতের জন‍্যে জমিয়ে রাখা রক্তস্নাত কথার বোঝা
    ভাসিয়ে বরং যাবোই চলে আঁধারপথ পেরিয়ে সোজা।
    ~~~~

    শীত বিদায়

    এই শীতে গীত গায়
    শুনে রাগে জ্বলে যায় ।
    রোদে বসে পিঠে খাক
    তাও বুঝি ঠিকঠাক ।
    আমলকী ঝরে গেছে
    পাকা গুলো নিল বেছে ।
    টোপাকুল টুকটুকে টসটসে
    গুড় মেখে খায়  দিদি  রসেবসে ।
    ওই সব ভালো লাগে, মেনে নিই তাও বটে
    শীত নিয়ে ছবি ছড়া শুধু কেন এতো রটে ।
    নাচন লাগে ডালে ডালে?
    গাইলেই হয় তালে তালে?
    শীতের কাঁপন জানবে কেন
    জোব্বা পরে আছেন হেন ।
    যাহাদের শুধু আছে সম্বল
    কাঁথা আর একখানা কম্বল
    তারা কাঁপে এরকম  হিমরাতে ।
    ছেলেপুলে ঘ্যান ঘ্যান করবে তো জানাই
    দুএকটা পিঠে পুলি তারা ও বানায়ই।
    ওই টুকু সুখ ছুঁয়ে গরীবের পৌষ মাস
    শীত আর জ্বালাসনে মাঘ মাসে চলে যাস ।
    ~~~~

    অকবির কবিতা

    ছাতা মাথা লিখে দিয়ে নাম দিই কবিতা
    পাঠকরা খেপিয়া গিয়া বলিতেছে যাচ্ছেতা ।
    আমার লিখিতে হবে না লিখিলে ঘুম নাই
    পদ্য লিখিতে চাই ভাষা  যদি পেয়ে যাই।
    ছন্দ খুঁজিতে  খুঁজি  ডুমুরের ফুল কই
    মিল খুঁজে মরে যাই ঘোলা জলে থই থই ।
    শামুক ঝিনুক আর ছোট বড় গুগলি
    মগজের ঝুড়ি ভরে জমেছে কতকগুলি ।
    বীণাপাণি বসিবেন পদ্ম কোথাও নাই
    কবিতায় গোঁজামিল কতো দেবো বল ভাই ।
    কবিতা লিখতে হবে দিব্যি কে দিয়েছে
    কলম যাকগে বলে ছুটি চেয়ে নিয়েছে ।
    ~~~~

    মায়াবনের মাতা

    যাত্রাপথের কাঁটালতার মায়া
    জড়িয়ে রাখে পার্থিব আশ্লষে
    শীতের রাতের কুয়াশা ছায়াময় ।
    সে পথে আজ চলতে বড়ই জ্বালা
    দৃষ্টি এখন ঝাপসা হয়ে এলো
    বরুণ তলায় করুণ ফুলের রাশি
    কাশতে কাশতে রক্ত ওঠে মুখে
    ছুটতে থাকি ভাঙা নূপুর পায়
    তবুও কেন স্বপ্নে কাঁদে শিশু
    কেবল বলে --মা তুমি কই যাও ।
    মা ও কি আর তোদের ফেলে
    কোথাও কোন স্বপ্ন শিখর চায় ।
    কাঁটা নূপুর জড়িয়ে আছে পায়।
    তোদের কথা ভুলতে পারে মায় ।
    ~~~~

    মা /মাতৃভাষা

    আসছি বাবা এবারের মতো যাই
    কান্না থামাবার মতো কিছু দিতে হবে ।
    কি দিই? কখনো দিয়েছি বাঁশি
    কখনো ক্ষীরের নাড়ু ।
    মুখের ভাষাটি দিলাম ।
    গঙ্গা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্রের জল
    চিনেছিস ধানখেত, পানের বরজ ।
    আরো আছে, রবিঠাকুরের পদ্য
    নজরুলের গান, জীবনানন্দের পাণ্ডুলিপি ।
    মুখস্থ করিয়ে গেলাম, ---"হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব . . . . "
    কান্না হাসি প্রার্থনা প্রেম বসুধারা আঁকা কুলুঙ্গিতে
    জমা রেখে এবার দুয়ার পেরিয়ে আসি তবে ---'
    আসছি আমি ।তোমাদের মা ------
    মুখের ভাষায় ছবি হয়ে জেগে থাকি মানুষের মা ।
    ~~~~

    অনুক্ত

    বলা হয়ে গেছে কতো কথা
    হয়তো মধুবর্ষী  হয়তো বিষাক্ত
    কিন্তু তবু অনেক না বলা থেকে যায় ।
    টলটলে জীবনের সুধা ফেণিয়ে ওঠে
    যা বলা হোলো না তার ভেতরে ।
    যামিনী ফুরায়, শেফালি ফুলের মতো ঝরে
    একঝুড়ি কুড়ায় কেউ, মনোরম মালা গাঁথে ।
    তারপর   একদিন কথা আর বাকি থাকে না
    চরম স্তব্ধতা ঢেউ তুলে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
    সব কথা --স্বপ্নাভাস, শোকোচ্ছাস, প্রেম সম্ভাষণ ।
    অন্ধকার নীরবতা কী নিষ্ঠুরতা নিয়ে কল্লোল তোলে
    জীবনের, যৌবনের, আকাঙ্ক্ষার পুটপাকে দীপশিখা কাঁপে
    ভেসে যায় ভেসে যায় ----কী ই বলার আছে ।চেয়ে দেখি শুধু ।
    ততক্ষণে তিনি চলে এসেছেন
    প্রশ্ন তাঁর --তুমি কি প্রস্তুত?
    ~~~~

    বেড়া টপকে এক ডুব

    বেড়া টপকানোই আসল কাজ।
    যেমন তেমন করেই কতো বেড়া বেঁধে রাখা আছে।
    কতো বেড়া জাফরি কাটা ফুলেল লতা জড়ানো।
    এপাশে মানুষ ওপাশেও মানুষ,আল্হাদি বাচ্চা দুঃখী মেয়েরা।
    কেউ দেবানাম পিয় কেউ ঈশ্বর চায় না।
    হোক না।
    কতলোকের মিষ্টিমুখ,কেউ তেলেবেগুন।
    আবরণ ঘুচাও যদি টের পাবে বুকের ধুকপুক।
    বেড়া টপকানোই আসল,টপকাতে পারলেই পুকুর।
    নীল জল,ঠান্ডা জল,দহন জুড়ানো আঁধার।
    ডুব তো দেওয়াই যায় তোমার জ্বালায় আমিই না হয় শান্তি দিলাম।দোষ নেই।
    এসো।
    সাহস করো,হাত ধরো,চলো বেড়া টপকে চলে যাই।
    বেড়া ফুলে সাজানো?বেড়া কাঁটাতার জড়ানো? বিদ‍্যুৎ মাখানো।
    এসো হাত ধরি বেড়া টপকে চলে যাই।
    ওই যে পুকুর,অতল,সজল, গহন আর অন্ধকার।
    ইচ্ছে করে না? একটু না হয় ডুবসাঁতার কেটেই দেখি,ভালোই লাগবে।
    এক ডুব।
    ঝুপপুস।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • কাব্য | ০৯ মে ২০২২ | ১০২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১৩ মে ২০২২ ০৬:১৫507563
  • "যামিনী ফুরায়, শেফালি ফুলের মতো ঝরে
    একঝুড়ি কুড়ায় কেউ, মনোরম মালা গাঁথে ।
    তারপর   একদিন কথা আর বাকি থাকে না
    চরম স্তব্ধতা ঢেউ তুলে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
    সব কথা --স্বপ্নাভাস, শোকোচ্ছাস, প্রেম সম্ভাষণ ।" 
     
    কি অপূর্ব এই সব সৃষ্টি! শক্তি দিদির সোনার কলম। প্রণাম নিও yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন