এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমাদের সেই পাড়া

    ঝর্না বিশ্বাস লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ নভেম্বর ২০২১ | ১৯৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)


  • কারো কারো বুকে একটা নদী থাকে, আস্ত এক নদী যা সারা জীবন তাঁর ভেতরে বয়ে চলে। কারো থাকে জঙ্গল, কারো বা পাহাড়, কারো মফস্বল। আমাদের ছিল পাড়া, একটা গোটা পাড়া যার আঁচ আজও চোখ বন্ধ করলে অনুভব করতে পারি।

    তখন পাড়া মানে জাঁকজমক হীন ছোট ছোট বাড়ির ছাদ যারা একজোট হয়ে গড়ে তুলত যৌথ সংসার। এক বাড়ির দুঃখ মানে পাড়ার দুঃখ, আর এক বাড়ির আনন্দ তখন পুরো পাড়া উপভোগ করত।

    বাড়ি বাড়ি বাটি চালান থেকে শুরু করে পাড়ার মেয়ে, পাড়ার ছেলেদের পরীক্ষায় ভালো ফল হলে পুরো পাড়া এসে হাজির হত। শুভেচ্ছার সাথে চলত মিষ্টিমুখ, চলত এন্তার কলকাকলি।
    পাড়ার একটা আশ্চর্য রেলা ছিল। পাড়ায় পাড়ায় গল্প হত। এ পাড়ার ছেলে ও পাড়ার মেয়ের দিকে খানিকক্ষণ চেয়ে থাকলে তা নিমেষে হয়ে যেত ব্রেকিং নিউজ।

    তখন ছেলেরা কেউ কেউ নিজেকে শাহরুখ ভাবত। ভাবত, সিমরানকে তাঁর বাবা একদিন নিজেই এসে ট্রেনে উঠিয়ে দেবে। এসব ভাবতে ভাবতে চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় জমত খুব। কাঁচের গ্লাসে কালো লিকার চা দিতে দিতে দোকানী কাকিমাও খোশ মেজাজে গল্প করতেন। আবার সন্ধ্যের দিকে চায়ের দোকানে খুব ইন্টেলিজেন্ট কথাবার্তা শুরু হত। তা রাজনীতি থেকে শুরু হলে কখন যে থামত তার ইয়ত্তা নেই...আর তাতে মনোমালিন্য হলে সেই রেশ থাকত বেশ কয়েকদিন।

    পাড়ার সকালগুলোয় খুব পরিচিত দৃশ্য দেখা যেত। উঠোনে উঠোনে ঝাঁট পড়ত। ধুঁয়ো উঠত উনুন থেকে। আর তার কিছু পরেই কাকুরা সব চেকচেক লুঙ্গির ওপর ফতুয়া চাপিয়ে বাজারের দিকে এগোত। খুব কাছেই সে বাজার। যাওয়ার পথে উঠোনে, বা রাস্তায় কারো দেখা পেলে ক্ষণিকের ‘গুড মর্নিং’এর সঙ্গে ভালো থাকাথাকি সারা হত।

    এদিকে অফিসের ভোঁ জানান দিত সাড়ে সাতটা বেজে গেছে। বাজার ভর্তি ব্যাগের ভেতর থেকে তখন লাউশাক, কুমড়োশাক, কচুর লতি হেলেদুলে বাড়ি অবধি পৌঁছতেই মায়েদের তোড়জোড় শুরু হয়ে যেত।

    এরপর ঘড়ি চলত মস্ত বেগে। বাবাদের অফিস বেরোনোর পর, ছেলেমেয়েদের স্কুল। স্কুল বাস বা আলাদা করে কোনও ভ্যান ছিল না। স্কুল একটু দূরে হলে অভিভাবক পৌঁছে দিতেন আর তা না হলে দল বেঁধে নিজেরাই এগোত। পথচলতি কথাবলা, বিকেলের খেলার প্রোগ্রাম সব কিছুর রুটিন এই চলতে চলতেই তৈরি হয়ে যেত।

    বিকেলের পাড়া মানেই খুব জমজমাট। পাড়ার ক্লাবে ছেলেদের ক্যারাম পেটানোর শুরু। আর আমরা ভিড় করতাম ফাঁকা মাঠটায়। দৌঁড়ঝাঁপ, লুকোচুরি বা বল পেটানো চলত। তখন কারো হাতে ব্যাডমিন্টন র্যাককেট থাকা মানে বিশাল ব্যাপার। তাকে তোষামোদ করে ক রাউন্ড খেলাও হত তবে লুকোচুরির আনন্দই ছিল আলাদা।

    পাড়ার একটা নিজস্ব গন্ধ ছিল। এ বাড়ির শিউলি গাছ ও বাড়ির দেওয়াল ছাড়িয়ে টিঙটিঙে রোগা পেয়ারা গাছটার সঙ্গে সই পাতাত। আবার এ বাড়ির নারকেল দুমদাম ও বাড়িতে পড়লে হাসিমুখে তা ফেরতও দেওয়া হত। রাতের পাড়ায় আলো করত কম ওয়াটের বাল্ব। সেই আলো আধাঁরিতে পাড়ার গলিগুলোকে বেশ সুনসান লাগত। তাই মেয়েরা একটু বড় হতেই বাড়ির বড় কেউ পাহাড়া দিতে রাস্তার মোড়ে এসে অপেক্ষা করত।

    রাতের দিকে গলির রুটি-তরকার দোকান গুলো থেকে গন্ধ আসত ভুরভুর করে। খোলা উনুনের লাল আঁচে রুটি গোল হয়ে ফুলে ফেঁপে উঠত। অফিস ফেরত কেউ কেউ তখন বাস থেকে নেমে সেখানে এসে ভিড় জমাত।

    চপের দোকানে থাকত ছেলেপুলেদের ভিড়। বেগুলি, ফুলুরি আর আলুর চপের গন্ধে প্রায়ই পা আটকে যেত। তবে রাজবেশে যে থাকত সে হচ্ছে ফুচকা।

    প্রত্যেক পাড়ার মোড়ে ফুচকাওয়ালারা মেয়েদের নাম থেকে শুরু করে সে কি করে সব জানত। ফুচকা খাওয়ার জোর কদম প্রতিযোগিতাও চলত। তবে পকেটের দিকে নজর যে একেবারে থাকতনা তা নয়। তখন আমরা পয়সার গুরুত্বটুকু বুঝতাম এতটাই যে বাবা যাই দিত তার থেকে শুধু বাস ভাড়াটুকু নিয়ে বাকিটা টেবিলে ছেড়ে যেতাম। পকেটমানি কী বস্তু তখনও জানতাম না। আর বড়দের পার্সে হাত দেওয়াকে বেশ বড়সড় পাপ মনে হত।

    পূজোয় আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে পাওয়া যা কিছু সব মাটির ভাঁড়ে জমা হত। জমত সেখানে কিছু ফেরত আসা খুচরো পয়সাও। এভাবে একদিন সে বেশ ফুলেফেঁপে উঠলে ঝুপ্পুস করে ভাঙতাম। কী যে আনন্দ সেদিন!

    আনন্দ ছিল পাড়ার ছোটছোট অনুষ্ঠান গুলোতেও। কারো জন্মদিন বা বাড়ির পূজোতে সবাই সবার বাড়িতে যেত। বড়রা যেতে না পারলে ছোটরা তাতে উপস্থিত থেকে সে বাড়ির প্রক্সি দিত।

    সাহিত্য সংস্কৃতির দিকেও খেয়াল রাখত পাড়া। তাই ঘরে ঘরে ইন্দ্রানী সেন হওয়ার তাগিদে একটা করে হারমোনিয়াম তো থাকতই। সাত সকালে সুর ভাঁজারও আওয়াজ পাওয়া যেত। কবিতা বা গান চলত মুখে মুখে। নাচের পারদর্শীতার জন্য বরাদ্দ ছিল পূজোর প্রোগ্রাম। তাতে ‘আয় তবে সহচরী’ থেকে ‘আমরা নতুন যৌবনেরই দূত’ এ পা মেলাত কচিকাঁচার দল। আর বড় হতে থাকা ছেলেরা ভবিষ্যতের খোলা ডায়রিটা সামান্য আড়াল রেখে সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইত। এবং তাতে বিফল হলে একেবারে কবি হয়ে যেত। কবিতা ছাপত তাদের কলেজ ম্যাগাজিনে। আবার বিজয়া সম্মীলনিতে সুযোগ বুঝে দু এক ছত্র শুনিয়েও দিত যাতে সেই ধাক্কাটা মেয়েটাও পুরোপুরি টের পায়।

    যদিও মেয়েরা তখন অত জটিল ছিল না। বাবাবাছা হয়ে বড়দের কথা শুনত। আর বাড়িতে একজন দাদা ফিগার থাকলে তো আর কথাই নেই। সেই তাঁর বডিগার্ড। কোনও কবুতর চিঠির বাহক হয়ে না এলেও বইয়ের ফাঁকে বন্ধু-বন্ধুতে চিঠি চালান চলত। কেউ কেউ আবার অন্যের হয়ে লিখে দিত প্রেমপত্র। সেই সময় শাহরুখ ও সলমন আমাদের ‘লাভেরিয়া’র হাল হকিকত বুঝিয়ে দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি গ্র্যাজুয়েট করে তুলছিল। আর আমরাও তা নিঁখুত শিখে নিচ্ছিলাম বাধ্য ছাত্রীটি হয়ে।

    টিউশন তখন ছিল সেই খোলা মাঠ যেখানে যাতায়াতের সময় অবাধ কথাবার্তা বলা যেত। কিন্তু ভয়ের জুজুবুড়ি আমাদের পিছু ছাড়ত না। আমরা তখন ভবিষ্যত মানে বুঝতাম ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার। আই আই টি বা জয়েন্ট এন্ট্রাস-এর কিছু একটা না পেলে জীবন ব্যর্থ। তাই লড়ে যেতাম, পড়ে যেতাম মোটা মোটা বইয়ের পাতা। ফলে ‘প্রেম একবার এসেছিল জীবনে’ গেয়েই অনেকে এতে ফুলস্টপ দিয়েছিল।

    পাড়ায় বেশি ‘আপনি আপনি’ ছিল না, সবাই তখন তুমি। তাও লড়াই যে হত না তা নয়। এমন হলে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলত না, আবার তারাই কোলাকুলি করে একসাথে বিজয়া সারত।

    পাড়ায় বাহন বলতে রিক্সা চলাচল করত। আর খুব বেশি হলে কারো কারো বাড়িতে একটা সাইকেল। স্কুটার বা বাইক গুনে গুনে তখন কয়েকজনের কাছে।

    পাড়ার নিজস্ব পেপারওয়ালা, সব্জিওয়ালা, ঠাকুরমশাই ও নাপিত কাকু থাকত। পাড়ার এক ঘরের মাস্টারমশাই, বেশ ক ঘরের হয়ে যেতেও সময় নিত না। তখন মোবাইল নেই, এক বাড়িতে ফোন বাজলে অন্য বাড়িতে ছুটে যেতে হত। শোনাতে হত তাদেরকেও হাল সমাচার।

    ছাদের অ্যান্টেনাগুলো নিজেদের মধ্যে চুপিচুপি গল্প সেরে নিত। দড়িতে দড়িতে শুকোত লাল-নীল ছাপা শাড়ি... কাঁটা ঘুড়ি অনেকদিন ঝুলে থাকত ইলেক্ট্রিকের তারে...আর সার বেঁধে পাখিরা কখনও ওতে বসে তাদের মিটিং সারত...

    পাড়াগুলো তখন খুব আপন ছিল, কাছের ছিল। আমাদের সেই পাড়াগুলো খুব নিজের ছিল...

    [ছবিঋণ - গুগল]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ নভেম্বর ২০২১ | ১৯৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santosh banerjee | ০৮ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩৮500926
  • দারুন। নস্টালজিক।সবার জীবনেই এইসব পাড়া অভিজ্ঞতা আছে, ফল্গুধারা'র মতো বয়ে চলেছে। এটাকে আপনি জীবন্ত করলেন। লিখুন । আরো লিখুন।
  • শিবাংশু | ০৮ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩৯500927
  • স্মৃতিগন্ধা। 
     
    আমরা যারা রাজেশ বা অমিতাভের সময়ের বালক, শারুক্ষানের সময় ঘোরতর সংসারী হয়ে গিয়েছিলুম। আমাদের আগের প্রজন্ম, যাঁরা 'হিন্দি' ছবি দেখাটা ট্যাবু মনে করতেন, কখনও-সখনও নুকিয়ে ইউসুফভাই-দেবানন্দকে দর্শন করে আসতেন বটে, কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে। ছোটোবেলায় দেখেছিলুম এক কাকু নববিবাহিত  পত্নীকে নিয়ে 'জিস দেশ মেঁ গঙ্গা বহতি হ্যাঁয়' দেখতে গিয়েছিলেন বলে ম্যালা ক্যাচাল হয়েছিলো। 'পাড়া' ব্যাপারটা কিন্তু তিন ​​​​​​​প্রজন্ম ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​মোটামুটি ​​​​​​​একই ​​​​​​​ট্র্যাডিশন ​​​​​​​বহন ​​​​​​​করেছে। 
     
    এক সন্তান, ইংরেজি মিডিয়ম, ডবল ইঞ্জিন রোজগার, টিভি, সেলফোন আসিয়া পাড়ার সে 'প্রতিষ্ঠা লইয়া গেছে' ...
  • | ০৮ নভেম্বর ২০২১ ২০:৪৮500930
  • বেশ লেখা। 
    কিন্তু অফিসের ভোঁ কী জিনিষ? কারখানায় ভোঁ দেয় মানে দিত আর কি। আর কলকাতার থানাগুলোও নটার সময় ভোঁ বাজাত বটে। কিন্তু অফিস? 
  • ঝর্না বিশ্বাস | ০৮ নভেম্বর ২০২১ ২০:৫৪500931
  • অসংখ্য ধন্যবাদ 'দ' শিবাংশুদা ও সন্তোষ আপনাকে। 
    'অফিস' টা ঠিক করে দিচ্ছি। আসলে ফ্যাক্টরি লিখলে ঠিক হত। প্রচুর ধন্যবাদ 'দ' আপনাকে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:902e:435c:e05a:***:*** | ০৮ নভেম্বর ২০২১ ২২:৫৫500933
  • এমন পাড়া আমারও ছিল, ছোটবেলার মফস্বল শহরে 
    সুন্দর লেখা 
  • বিপ্লব রহমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:২৪501733
  • অনেক পুরনো কথা মনে করিয়ে দিলেন, যেন ফেলে আসা আরেক জীবন! 
     
    রিপোর্টাজ স্টাইলের লেখাটি হৃদয় ভেদ করেছে। আরও লিখুন 
  • বিপ্লব রহমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:২৫501734
  • পুনশ্চ : গ্রাহক  হলাম। শুভ 
  • ঝর্না বিশ্বাস | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:০০501775
  • বিপ্লব,আপনি লেখাটি পড়লেন ভীষণ ভীষণ খুশি হলাম।.. ভালো থাকবেন।.. 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন