এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.255.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৪৮500684
  • কোন পদ্ধতি বেছে নিয়েছিলেন ফাইনাল এক্সিটের জন্যে? 
  • কল্লোল | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ০৯:২৭500718
  • গলায় দড়ি। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৪২500731
  • মানসিক সমস্যা ছিল। অথবা ...
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৪৮500732
  • এই আক্মহত্যাটিকে গ্লোরিফাই করবার মতও কিছু পেলাম না। 
  • r2h | 2405:201:8005:9947:b1db:f953:c620:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৫২500734
  • ওঁর জীবন নিয়ে উনি কী করেছেন সেটা ওঁর ব্যাপার, তাকে সম্মান জানাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও আত্মহত্যার ট্যাবু মুক্তি নিয়ে ভাবি।

    কিন্তু এই জিনিসটা বেশি সেলিব্রেটেড না হওয়া ভালো বলে মনে করি। চারপাশে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা স্ট্রেসড, ডিসটার্বড, আত্মহত্যাপ্রবণ। সমাজের দায়িত্ব তাঁদের সামনে জীবনের উদাহরণ তুলে ধরা, মৃত্যুর না। স্বাস্থ্য আর সুর না মিললে চলে যাওয়া বাঞ্ছনীয় - এরকম কোন বার্তা অসুস্থ জরাগ্রস্ত মানুষের কাছে যাক আমি হরগিজ চাই না।
    ওঁর ব্যক্তিগত মত, উইথ ডিউ রেসপেক্ট, ওঁর ব্যক্তিগত পরিসরে আবদ্ধ থাকুক।
  • :|: | 174.255.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:১২500735
  • পদ্ধতিটি জানাবার জন্য ধন্যবাদ। ১৩টা ৫২-র বক্তব্য ঠিকঠাক লাগলো। 
  • | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৫৭500737
  • এই যে এইখানে গতকাল বেরিয়েছিল খবরটা। লিংক 
     
    আমিও হুতোর সাথে একমত। ওঁর ব্যক্তিগত পছন্দের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলছি এই নিয়ে গ্লোরিফিকেশান না হলেই ভাল হয়। মানুষ এবং অন্য সব প্রাণীরই জীবনের নানা পর্যায় আছে। প্রত্যেকটাকেই সমান সম্মানের সাথেই গ্রহণ করা উচিৎ মনে করি। বৃদ্ধ হওয়া বা অসুস্থ হওয়া এগুলো জীবনেরই এক একটা ধাপ। যৌবন আর স্বাস্থ্যকে যদি আনন্দের সাথে গ্রহণ করতে পেরে থাকি তাহলে রোগ জরাকেও গ্রহণ করতে শেখা দরকার। 
    কাজেই স্বাস্থ্যহানি হলেই সরে আবার বার্তা অসুস্থ দুর্বল মানুষের কাছে যাক তা একেবারেই চাই না। 
     
  • একক | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৭:০৭500739
  • মুন দির গলায় গান শোনা ওই ডানলপের বাড়ির ছাদে বসেই। সে সেই দুহাজার তিন নাগাদ। কল্লোল দাকে একবার কথায় কথায় বলেছিলুম, মনে পড়ে, সেই আমের তলায় ঝামুর ঝুমুর নিয়ে আড্ডা হচ্ছিল, তখন। তুমি তখনই বললে যে তোমার বন্ধু হন। 
     
    যাজ্ঞে। স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকারকে সমর্থন করি। কোন এপারেন্ট রোগ ভোগ না থাকলেও এবং টেক্নিক্যাল সমস্যা ( ইন্সিউরেন্স ইত্যাদি)  সর্টেড আউট করে অবশ্যই।
     
    স্বেচ্ছামৃত্যু কে মেনে নিলে পালে পালে লোক সেই পথ বেছে নেবে এরকম আদৌ মনে করিনা। ওভাবে সমাজ চলেনা। বরং মৃত্যুকে একটি নিষিদ্ধ উপত্যকা বানিয়ে রেখে যা হচ্চে, মানুষ কেমন একটা নিয়তির মত করে এটাকে দেখে এবং প্রপারলি প্ল্যান করেনা। ফলতঃ গয়ংগচ্ছ জীবন চলতে থাকে,  টারগেট ডেট ছাড়া প্রোজেক্ট এর মত। এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা হওয়া বাণ্ছনিয় যাতে ট্যাবু কাটে। চারপাশের মানুষেরা পাশে থেকে তার শেষ কিছু ইচ্ছাপুরনে হাত বাড়াতে পারে। আত্মহত্যার বিবিধ উপায় নিয়ে কথা বলা এত ট্যাবু করে রেখে বেঁচে থাকার পথে কোন লাভ হচ্চে না।
  • একক | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৭:১৩500740
  • এক কথায় দাবি এই ঃ আত্মহত্যা কে প্রসেসের মধ্যে নিয়ে এসো। তাহলে কাউন্সেলিং ও চলে আসবে। লুকোছাপা বা সুইসাইডাল থট আসচে মানেই তুমি দুরবল জীবনবিমুখ এসব বালামো বন্ধ হবে। স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যদি দেখা যায় অপশন্স নেই, ব্যক্তির ইচ্ছেকেই সম্মান দেওয়া হবে। লুকিয়ে চুরিয়ে শেষ মুহুর্তে চলে যেতে হবে না। সবার উপস্থিতিতে সসম্মানে হবে।
  • r2h | 2405:201:8005:9947:e8db:f32e:3afe:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৮:২০500742
  • সেসব ঠিক আছে। হোক, খুব ভালো কথা, যবে হবে তবে নাহয় সেলিব্রেট করা যাবে।

    এখন, এই মুহূর্তে, আমাদের দেশে যেখানে এমনিতেই বয়স্ক লোকজনের কেয়ার দেওয়ার সুবিধে কিছুই নেই, বার্ধক্যে পদে পদে শরীরে অক্ষমতা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হয়, জেরিয়াট্রিক কেয়ার মহামূল্য ও বিরল, সেখানে স্বাস্থ্য ও সুরে না মিললে আত্মহ্ত্যার বার্তা ডিজাস্ট্রাস।

    ট্যাবু থেকে বেরোক সেটা অমিও চাই। যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য যখন গ্রেনেড বেঁধে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্কের নিচে শুয়ে পড়েন তখনো সেটা আত্মহত্যাই। কিন্তু তার সঙ্গে গ্রেটার পারপাস থাকায় আত্মহত্যা না হয়ে আত্মবলিদান হয়। নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে নিজের থেকে বড় কোন পারপাস খুঁজতে হবে, এই জিনিসটা থেকে বেরোতে পারলে ভালো।

    কিন্তু যতক্ষন সেসব না হচ্ছে, ততক্ষণ এটা বিপজ্জনক। এই খবরে দলে দলে লোকে আত্মহত্যা করবেন এমন না। কিন্তু এমনিতেই জরা ব্যাধি একাকীত্ব অনেক মানুষের অবসাদের কারন হয়। তার ওপর স্বাস্থ্য নেই বলে জীবনের মানে নেই এরকম কিছু... এ কি স্পার্টা নাকি?
  • একক | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৯:০৮500744
  • স্বাস্থ্য এখানে প্লেসহোল্ডার। হাতে আর লেখা আসচে না বলেও আত্মহত্যা করতে পারেন কোন লেখক। এ ত বইতে পড়া বিপ্লব নয় যে, আগে হোক তারপর সব পাল্টাবে। মৃত্যুর সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি এক্টু একটু করেই বদলাবে। 
     
    আত্মহত্যা সম্পর্কে চিন্তার সবচে নেগেটিভ দিক হল ওই গিল্ট, যেখান থেকে লোকে লুকিয়ে লুকিয়ে ভাবে। তাতে কী ঘন্টা লাভ হয়?  কাউন্সেলিং করা যায়? 
     
    তথাকথিত "পজিটিভিটি" র চাপ এই প্রজন্মকে শেষ করচে। বস্তাপচা ম্যানেজমেন্টের জারগন সব,  কেও মনে মনে মানে না কিন্তু জপ করে চলেচে। আত্মহত্যা অবশ্যই নেগেটিভ থট,  তাতে সমস্যা কী। ট্যাবু না থাকলে মানুষ খোলাখুলি ইচ্ছে প্রকাশ করবে। পাঁচটা লোক এগিয়ে আসবে। 
  • ট্যাবু | 2600:1002:b00e:2979:ac20:2ffe:2a20:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৪৩500745
  • হুঁ, যৌনতা আর হস্তমৈথুন নিয়ে ভারতবর্ষীয় ট্যাবুর মত - কথা বললেই টিনেজারা সেক্স আর হস্তমৈথুনে আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়বে যে! কিংবা স্যানিটারি ন্যাপকিনের মত! 
    এ বিষয়ে ল একটা সমস্যা, সব দেশেই বোধহয়। 
  • r2h | 2405:201:8005:9947:9d5c:39bb:efa8:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ২১:২৫500751
  • ওসব ঠিক আছে। ট্যাবু মুক্তি পজিটিভ নেগেটিভ সবই ভালো কথা। ইচ্ছে হলো গিল্ট ফ্রি মরে গেলাম, এ চমৎকার ব্যবস্থা।

    তবে তুমি স্বাস্থ্য ফ্যক্টরটাকে মাইনর, প্লেসহোল্ডার ধরছো। আমি ওটাকেই মেজর কি-ওয়ার্ড ধরছি। খরচান্ত, অপ্রতুল বার্ধক্য ম্যানেজমেন্টের বাজারে এই গ্লোরিফিকেশন বিপজ্জনক।

    ক'বছর আগে হলিউডের নাম করা কে একজন আত্মহত্যা করলেন, সেসব ঠিক আছে। কিন্তু অসহায়তা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে ঠিক নেই।
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:e5eb:b4a5:2744:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ২৩:২৫500755
  • এই প্রসঙ্গে একটা লেখা ফেসবুকেও পড়েছি। আলোচনাটা ফলো করছি। 
    স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটা লেখা পড়ছিলাম, সেখানে বলা হয়েছে, ডিগনিটি নিয়ে চলে যাওয়ার অধিকারের কথা। এই কন্ট্রোলটা মানুষের কাছে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। মানুষ নিজের ইচ্ছেয় বাঁচে, সে অন্যের ক্ষতি না করে নিজের জীবন নিয়ে কী করবে সেটা যখন (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) তাকে বলে দেওয়ার কোন আইন নেই, তখন তার চলে যাওয়া নিয়েও কিছু বলার আইন রাষ্ট্রের হাতে না থাকাই উচিত। 
  • hu | 2600:1009:b152:cede:af51:1e46:7d52:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৮500764
  • ওগো আমার এই জীবনের শেষ পরিপূর্ণতা,
    মরণ, আমার মরণ, তুমি কও আমারে কথা।
    সারা জনম তোমার লাগি
    প্রতিদিন যে আছি জাগি,
    তোমার তরে বহে বেড়াই
    দুঃখসুখের ব্যথা।
    মরণ, আমার মরণ, তুমি
    কও আমারে কথা।

    যা পেয়েছি, যা হয়েছি
    যা-কিছু মোর আশা।
    না জেনে ধায় তোমার পানে
    সকল ভালোবাসা।
    মিলন হবে তোমার সাথে,
    একটি শুভ দৃষ্টিপাতে,
    জীবনবধূ হবে তোমার
    নিত্য অনুগতা;
    মরণ, আমার মরণ, তুমি
    কও আমারে কথা।

    বরণমালা গাঁথা আছে,
    আমার চিত্তমাঝে,
    কবে নীরব হাস্যমুখে
    আসবে বরের সাজে।
    সেদিন আমার রবে না ঘর,
    কেই-বা আপন, কেই-বা অপর,
    বিজন রাতে পতির সাথে
    মিলবে পতিব্রতা।
    মরণ, আমার মরণ, তুমি
    কও আমারে কথা।

  • hu | 2600:1009:b152:cede:af51:1e46:7d52:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৫২500765
  • "কিন্তু অসহায়তা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে ঠিক নেই।" - অসহায়তা থেকে কিভাবে মুক্তি খুঁজবে সেই সিদ্ধান্ত কেন মানুষের নিজের হাতে নেই? আসলে তো আছে। অসহায় হয়ে মানুষ চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে খুন পর্যন্ত করে ফেলে। নিজেকে মেরে ফেললেই দোষ? 
     
    এক্ষেত্রে অবশ্য মনে হল না ইনি কোনো অসহায়তা থেকে করেছেন। সানন্দে বেঁচে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কখন থামতে হবে। এর চেয়ে বড় স্বাধীনতা কী আছে? যদি বিষয়টা ট্যাবু না হত তাহলে হয়ত বন্ধুদের বলে যেতে পারতেন। সত্যিই করেই সবার সাথে একসাথে শেষ নৈশভোজের পর, গল্প আড্ডার পর চলে যেতে পারতেন। এই না পারাটার জন্য কষ্ট হল। 
  • r2h | 2405:201:8005:9947:ccc1:cbd2:b81a:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৩৭500773
    • hu | 2600:1009:b152:cede:af51:1e46:7d52:dc65 | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৫২500765
    • "কিন্তু অসহায়তা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে ঠিক নেই।" - অসহায়তা থেকে কিভাবে মুক্তি খুঁজবে সেই সিদ্ধান্ত কেন মানুষের নিজের হাতে নেই? আসলে তো আছে। অসহায় হয়ে মানুষ চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে খুন পর্যন্ত করে ফেলে। নিজেকে মেরে ফেললেই দোষ?
     
    তা কেন, কোন দোষ নেই, আমিও ঠিক তাই চাই, নিজের জীবন শেষ করার জন্য বড় পারপাসের ছলটা বন্ধ হওয়া ভালো।

    কিন্তু ধরো ভারতের একজন মধ্যবিত্ত মানুষ চিকিৎসার ব্যয় বহন ইত্যাদি করতে পারছেন না বলে আত্মহত্যা করলেন। তার মানে তো সমাজ তার নিজের দায়িত্ব পালন করেনি বলে তিনি অসহায় হয়ে সেটা করতে বাধ্য হলেন। বাইরের পরিবেশ অনুকূল থাকলে হয়তো আরো বাঁচতেন। যথাসম্ভব পাওনা সাপোর্ট পেয়ে চলে যাওয়া মনস্থ করলে কিছু বলার থাকা উচিত না, সমাজের বা রাষ্ট্রের।
  • r2h | 2405:201:8005:9947:ccc1:cbd2:b81a:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৪৫500774
  • আমি ব্যক্তি সুস্মিতা রায়চৌধুরীর কথা কিন্তু একেবারেই বলছি না, বোঝাই যাচ্ছে ইনি অত্যন্ত পরিষ্কার চিন্তা ভাবনার মানুষ, এবং সজ্ঞানে সুচিন্তিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত বড় ব্যাপার।

    কিন্তু আমাদের বার্ধক্যপ্রতিকূল পারিপার্শ্বিকে এর পাবলিক গ্লোরিফিকেশনকে কাম্য মনে করছি না, বিশেষ করে 'স্বাস্থ্য' শব্দটা আসায়।
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:e5eb:b4a5:2744:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ১০:১৮500777
  • "বাইরের পরিবেশ অনুকূল থাকলে হয়তো আরো বাঁচতেন। যথাসম্ভব পাওনা সাপোর্ট পেয়ে চলে যাওয়া মনস্থ করলে কিছু বলার থাকা উচিত না, সমাজের বা রাষ্ট্রের।"
     
    কিন্তু বাইরের পরিবেশ তো অনুকূল হবেনা। পাওনা সাপোর্টও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমাজ বা রাষ্ট্র দেবেনা এ একরকম ধরেই নেওয়া যায় । তাহলে আমরা, ধরে নাও তাঁর অসহায়তার জন্যই নেওয়া সিদ্ধান্তে, কীভাবে তাঁকে চলে যেতে বারণ করতে পারি? গ্লোরিফাই করার কথা হচ্ছে না, কিন্তু এই জিনিসটাকে একটা অপশন হিসেবে কেউ দেখতে চাইলে তাকে, এটা বাধ্য করা হলো এই লজিকে তাঁর ভোগান্তি আরো বাড়ানোর যুক্তি আছে কি? 
  • r2h | 2405:201:8005:9947:ccc1:cbd2:b81a:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ১০:৪০500778
  • তা নেই। কিন্তু এতে করে এই যে সুবিধে টুবিধে পাওয়া যাবে না, এটায় সিলমোহর দেওয়া হয়ে যায় না? এই যেমন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা তো হবেই না বা সরকারি স্কুলে পড়াশোনা তো হবেই না - এরকম? একইরকম ভাবে, ধরে নিচ্ছি জে সাপোর্ট তো পাওয়া যাবেই না?

    যদিও এরকম ভাবতে গিয়ে সেই ব্যক্তি মানুষের ওপর ট্যাবু চাপিয়ে দেওয়া ব্যাপারও চলে আসে।
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:e5eb:b4a5:2744:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ১১:০৪500779
  • দেখ, স্বাস্থ্য, শিক্ষার অধিকার নিয়ে তো লড়াই চলছে। অনেকদিন ধরে চলছে না? আমি অতি অবশ্যই এই সিলমোহর সমর্থন করব না যে সরকারি জায়গায় কাজ হবেই না। কিন্তু এটা সত্যি যে যাতে না হয় সে বন্দোবস্ত ও চলছে একই সঙ্গে। এবং বহুধা বিভক্ত আন্দোলন যদি এক পা এগিয়ে থাকে, অন্যপক্ষ অনেক পা এগিয়েছে। কিন্তু তাও দাবিদাওয়া তো চলবে, অন্য পথ তো নেই।
     
    কিন্তু যিনি এই পুরো সিস্টেমটা পাল্টানোর জন্য অপেক্ষা করতে রাজি নন, তাতে কতদিন লাগবে সেটাও যাঁর জানা নেই, তাঁকে আটকানোর কোন  যুক্তি নেই। আমার আরো একটা খটকা হলো, জ্ঞান হওয়া ইস্তক একটা লোকের সব কাজকেই আমরা যদি তার ব্যক্তিস্বাধীনতা হিসেবে দেখতে পারি, তাহলে তাঁর চলে যাওয়াটার ইচ্ছেটাও সেরকম ভাবে দেখা হবেনা কেন? 
  • hu | 2600:1009:b152:cede:af51:1e46:7d52:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ১১:১৫500780
  • মৃত্যুকে যেমন গ্লোরিফাই করার দরকার নেই, বেঁচে থাকাকেও তেমন অহেতুক গ্লোরিফাই করার কিছু নেই। দুটোই স্বাভাবিক ঘটনা। দুটোর কোনোটাই নিজের ইচ্ছায় হয় না। দুটোই  irreversible। স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে ছুঁতমার্গ বন্ধ হলে বরং exit process টা নিজের পছন্দমত বাছা যায়। যে মানুষ দিব্যি হইহই করে যতখানি সময় কাটানো উচিত মনে হল কাটিয়ে নিলেন, মানুষের কাজেও এলেন, তাঁকে এই সুযোগটুকু না দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না। সমাজে অন্যায়-অসাম্যের তো কোনো ঘাটতি নেই। তার জন্য ব্যাক্তির অধিকার কি আটকে আছে?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ১২:৫৫500786
  • সুস্মিতা কিন্তু 
    অন্তত একবছর আগে থেকেই হিন্ট দিচ্ছিলেন। মরবার আগেও সকলকে হিন্ট দিয়ে গেছেন। মৃত্যুর পরে যাতে লোকজন আসে ওঁর মৃত্যুর তথাকথিত "সেলিব্রেশন" এর জন্য। মনস্তত্ত্বের দিক থেকে দেখলে, যারা সুইসাইড করবার প্ল্যান করে, তারা কিন্তু পরিচিতদের কাছে হিন্ট দেয়। আকস্মিক ডিসিশন যারা নেয় তাদের কথা আলাদা। আমি দেখতে পাচ্ছি উনি দীর্ঘকাল ধরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত যদিও তা পাশের লোকজন বুঝতে পারে নি। হয়ত চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। তদুপরি প্রচণ্ড অ্যাটেনশন সীকার। হ্যাঁ। এই পরিকল্পিত নাটকীয় পদ্ধতিতে আত্মহত্যা আমার কাছে এরকমই মনে হয়েছে। উনি শিক্ষিত, মার্জিত, গুছিয়ে কথা বলতে জানতেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে উনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। 
    আমাদের মনোরোগ চিকিৎসক অভীক কিছু বললে হয়ত ব্যাপারটা ভালোভাবে জানা যেত।
    সীন ক্রিয়েট করে মৃত্যু জিনিসটা অ্যাটেনশন সীকিং এর হদ্দমুদ্দ। হতেই পারেন উনি জ্ঞানী গুণী অনেকের প্রিয়, তাই বলে এই ব্যাপারটাকে নিয়ে বাহ বাহ করার কিছু পেলাম না। 
    নিজের বা অন্যের প্রাণ নিয়ে নেবার অধিকার কারো আছে কি নেই সেসব তো আইনি ব্যাপার।
    ওঁর মরতে ইচ্ছে করে বলে ধীরে ধীরে প্ল্যান করে উনি মরলেন, সেটা নিয়ে বাহবা দেয়া হলো, কি মৃত্যুর অধিকার নিয়ে আলোচনা হলো, এসব গুলিয়ে যাচ্ছে। তাহলে পরীক্ষায় ফেল করে যে ছাত্র রেললাইনে মাথা পাতে তাকেও বাহবা দেয়া হোক, তারও অধিকার আছে। 
    ফেল করা ছেলেটা গুছিয়ে সুইসাইড নোট লেখেনি বলে সেটা নিয়ে ছ্যা ছ্যা হয়, আঁতলামি করে নান্দনিক ভঙ্গীতে সব গুছিয়ে গাছিয়ে ডায়ালগ মেরে কাজটি করলে তখন সেই ফেল করা ছেলেটার আত্মহত্যা নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে যেত হয়তো।
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:2526:155b:16be:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ২০:৫১500808
  • যেকোন কারণেই হোক, কেউ সুইসাইড করলে ছ্যা ছ্যা করার কোন মানে দেখিনা। যে যার নিজের নিজের সমস্য নিয়ে জেরবার, বাইরে থেকে কিছু বলা যায় নাকি? 
     
    আর অ্যাটেনশন সিকিং মানুষ চতুর্দিকে কিলবিল করে। আমরা কি পরিচিতদের মধ্যে এরকম দেখলে সেটা নিয়ে কিছু করি? বেঁচে থাকাকালীন এ এস এস নিয়ে জাজমেন্টাল না হলে, সুইসাইড করার পরেই বা কেন হব?
  • একক | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ২১:৪৮500812
  • জন্ম মৃত্যু এগুলো বিগ ইভেন্ট।  কিছু এটেনশন ত দাবি করেই। কেও জন্মানোর আগে এত এত হৈচৈ - বেবি বাম্প ফটো - শুভেচ্ছার বন্যা এসব ত আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, এবং বেশ আনন্দের সঙ্গে।  পুরোটাই ভলান্টারি প্রসেস। 
     
    আত্মহত্যা ও ভলান্টারি।  সেখানে লুকোচুরি রেখে কী লাভ। উতসব হিসেবে কেও পালন কর‍তে চাইছেন কিন্তু পারছেন না বলেই, ঠারে ঠোরে জানানো।  সমাজের সাপোর্ট থাকলে প্রপার ওয়েতেই এটেনশন পাওয়া যাবে। কিছু রিচুয়ালস ও তইরি হবে। ফেয়ার ডিল।
  • একক | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ২১:৫৭500813
  • আর, অসুস্থতার ক্ষেত্রে আত্মহত্যার অধিকার অবশ্যই জায়েজ।  কেও সমর্থন না করতেই পারেন,  সেটাও চয়েস। স্যার টেরি প্র‍্যাচেটের এলঝাইমারস ধরা পড়ার পরের স্টেজগুলো,  টেরির নিজের বক্তব্য সব ই ওয়েল ডকুমেন্টেড। টেরির মত উচ্চতার লেখকের আলঝাইমার্স কী ভীষণ ফ্রাস্ট্রেটিং তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। যদিও,  শেষ অব্ধি টেরি আত্মহত্যা করেন নি।  কিন্তু,  প্রশ্নটা তুলে দিয়ে গেছিলেন ঃ 
     
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:***:*** | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০০:৩৯500816
  • মনোরোগ আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:***:*** | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০০:৪০500817
  • আর পাঁচটা শারীরিক রোগের মতই মনোরোগেরও চিকিৎসার প্রয়োজন। 
  • Amit | 103.6.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০১:৩৩500819
  • রোগে ভোগা আর অর্থাভাবে চিকিৎসা না করাতে বৃদ্ধ বা মানুষ র আত্মহত্যার আইনি অধিকার থাকা উচিত কিনা বিতর্ক হোক না। কিছু দেশে অলরেডি ​​​​​​​টার্মিনালি ​​​​​​​ইল ​​​​​​​পেশেন্ট ​​​​​​​দের উথ্যানাসিয়া ​​​​​​​বিল ​​​​​​​পাস্ ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​স্টিল ​​​​​​​আন্ডার ডিবেট আর স্ক্রুটিনি  ​​​​​​​যদিও।  ডাক্তার জয়ন্ত ​​​​​​​প্যাটেল এর ​​​​​​​কেসটা ​​​​​​​যেমন। 
     
    কিন্তু কালকে সেই আইনের ফাঁক গলে নিজের ছেলে মেয়ে বা আত্মীয়রাই খুন করে দিলে বা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলে ঠেকাবে কে ?
  • hu | 174.102.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০২:১৭500820
  • সুস্থ মানুষেরও আত্মহত্যার অধিকার থাকা উচিত। নিজের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মানুষের থাকবে না এই ভাবনাটাই আশ্চর্যের। যাঁরা ভগবানে বিশ্বাস করেন তাঁরা বলেন - যিনি জীবন দিয়েছেন, একমাত্র তিনিই জীবন কেড়ে নিতে পারেন। তাঁদের যুক্তিটা কিছুটা বুঝতে পারি। কিন্তু সবাই তো সেরকম কোনো অদৃশ্য শক্তিতে বিশ্বাস করেন না।

    আর আইনের মিসইউজ নিয়ে কথা বলার মানে হয় না। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের আইনেরও মিসইউজ হয়। তার মানে কি আইনটা খারাপ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন