এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  লিঙ্গরাজনীতি

  • সখী লিভ ইন কাহারে বলে

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    লিঙ্গরাজনীতি | ১৪ জুন ২০২১ | ৩৩৫৪ বার পঠিত
  • গ্রামে গ্রামে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে / লিভ ইন ইহারে কয়, বিবাহ ভাবিয়াছি ভ্রমে ।

    সত্যি, গ্রামে, মফস্বলে, শহরে ছাপোষা মধ্যবিত্তের অন্দরমহলেও বেশ চর্চিত প্রসঙ্গ সাংসদের লিভ ইন। বিধিসম্মতভাবেই এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, যে এই নিয়ে বিন্দুবিসর্গ কেচ্ছাপ্রেম থাকলে এ লেখা না পড়াই ভালো। সাংসদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে এখানে কোনো আলোচনা নেই। তবে এটুকু বলতে পারি আইনের চোখে যাই হোক না কেন, নৈতিকতা ও সামাজিকতার যে আদর্শ থেকে লিভ ইন করা যায়, তার প্রতি বিন্দুমাত্র বিশ্বাস থাকলে সাংসদ বিয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালন করতেন না। হ্যাঁ, লিভ ইন সম্পর্ক ভারতে বেআইনি নয়। কিন্তু সামাজিকভাবে স্বীকৃতও নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে লিভ ইন সম্পর্ক বুঝি খুব ঠুনকো, সেখানে পারস্পরিক কোনো দায়িত্ববোধ নেই, বিশ্বস্ততাও নেই। মুলত শারীরিক চাহিদা থেকেই বুঝি একজন পুরুষ ও নারী লিভ ইন সম্পর্কে যায়। বলা বাহুল্য, এইসব ধারণা নানা কুসংস্কারের ওপর আধারিত। নানা কারণে বহু পবিত্র বৈবাহিক সম্পর্ক ছয় মাস কেন, ছয় দিনেও ভেঙ্গে যাচ্ছে, শুধু অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ নয়, প্রেমজ বিবাহের ক্ষেত্রেও এরকম হামেশাই ঘটছে। তবু আমরা লিভ ইন সম্পর্ককে বাঁকা নজরে দেখতে ছাড়ি না। আচ্ছা লিভ ইন শব্দবন্ধটির মানে তো একত্র বাস? তো, দুজন মানুষ একই ছাদের তলায় কি বাস করতে পারে যদি তাদের মধ্যে ভালবাসার টান না থাকে? আর দায়িত্ববোধ, বিশ্বস্ততা এগুলো তো ভালবাসারই অঙ্গ। সেখান থেকেই তো পারস্পরিক নির্ভরশীলতা গড়ে ওঠে। তাহলে আপনি অমুক দিন অগ্নিসাক্ষী করে আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সামনে সাত পাক ঘুরেছিলেন কিনা, বা রাষ্ট্রের রেজিস্টারে নিয়ম করে সাক্ষীসহ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন কিনা তাই দিয়ে কি ভালবাসার হ্রাস বৃদ্ধি কিছু নির্ভর করে?

    বিবাহ প্রথার আইনগত ও সামাজিক সুবিধা কিছু রয়েছে। আছে সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলি (সেখান থেকেই যে পরিবারপ্রথার উদ্ভব সেকথা এঙ্গেলস তার ‘পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি’ বইতে বিশদভাবে দেখিয়েছিলেন)। তাই বিবাহপ্রথার জনপ্রিয়তা সব সমাজেই কমবেশি থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি নারীপুরুষ সম্পর্কের নানা বিবর্তনও চলতে থাকবে সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে। লিভ ইন এরকমই একটা বিবর্তন। তার সঙ্গে লিভ ইন একটা মতাদর্শও বটে। যাঁরা মনে করেন যে ভালবাসার জন্য, একত্র যাপনের জন্য সমাজ বা রাষ্ট্রের অনুমোদনের কোনো দরকার নেই তাঁরা এরকম একটা সম্পর্কে যেতেই পারেন। সেজন্য এই সম্পর্কগুলি সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন সমাজে নারী পুরুষ সম্পর্ক, যৌনতা প্রভৃতি সম্পর্কে আমরা সততার সঙ্গে বাস্তবনিষ্ঠ মূল্যায়ন করতে পারবো।

    এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যার বৃহদংশ হচ্ছে তরুণবয়স্ক। তাদের মধ্যে অনেকেই জীবিকার প্রয়োজনে দূরে দূরান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। অর্থনৈতিক ও পেশাগত কারণে এদের বিয়ের বয়স বাড়ছে। এদের নিঃসঙ্গতাবোধ, জৈবিক চাহিদা এসব সম্পর্কে আমরা খুব একটা কিছু ভাবি না। জানিও না যে এরা ঠিক কীভাবে তাদের ভালোবাসা পাওয়ার ও দেওয়ার আকাঙ্খাকে নিবৃত্ত করবে। সেই কারণে পরিবার প্রথা ও বিয়ের চেনা ছকের বাইরে নানা পরীক্ষায় যাচ্ছে তারা। যেমন ডেটিং। এটাও এতদিন আমরা জানতাম পশ্চিমি দেশগুলির ব্যাপার। কিন্তু ভারতেও পৃথিবীখ্যাত ডেটিং অ্যাপ টিণ্ডার ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা দেশে প্রায় তিন কোটির ওপরে। মনে রাখতে হবে এই অ্যাপের সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে গেলে (টিন্ডার প্লাস ) মাসে পাঁচ থেকে সাতশো টাকা খরচ করতে হয়। বয়স বেশি হলে আবার ঐ একই সুবিধার জন্য প্রায় তিনগুণ টাকা দিতে হতে পারে। এই গ্রাহকসংখ্যার ৩৩ শতাংশ বর্তমানে মহিলা। এই অ্যাপগুলিতে প্রোফাইল দেখে অপরিচিত মানুষ সখ্যতা গড়ে তুলছেন, একাকীত্ব কাটানোর চেষ্টা করছেন, অনেকে লিভ ইন সম্পর্কে যাচ্ছেন আবার একটা অংশ শুধু শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আশায় গ্রাহক হচ্ছেন। আবার মেয়েদের সংকোচ কাটাতে এবং বাড়তি সুরক্ষা দিতে ভারতে এসেছে বাম্বল অ্যাপ যারা মেয়েদের ‘ফার্স্ট মুভ’ এর সুযোগ দিচ্ছে অর্থাৎ তাঁরাই পাবেন সম্ভাব্য ডেটারের দরজায় প্রথম কড়া নাড়ার সুযোগ।এর সঙ্গে আছে স্মার্ট ফোনের দৌলতে আঙ্গুলের ডগায় পর্ণোগ্রাফির থরে থরে সাজানো গুপ্তভাণ্ডারের গুহা অনায়াসে খোলার চাবিকাঠি।২০১৫ সালে পর্ণোগ্রাফিক ওয়েবসাইটগুলিকে বন্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা একবার করার পর ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার আরেকবার ৮২৭ টি ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু মিরর ওয়েবসাইট তৈরি করে এক্স ভিডিও বা পর্ণ হাবের মত অতিকায় পর্ণ ওয়েবসাইটগুলি ভারতে তাদের সম্প্রচার অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে। শোনা যায়, আমেরিকা ও ব্রিটেনের পরই ট্রাফিকের বিচারে পর্ণ ওয়েবসাইটের দর্শকসংখ্যায় ভারতের স্থান। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব কিন্তু একেবারে সহজলভ্য।

    নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক মানবিক সম্পর্কের মধ্যে যৌনতা একটি উপাদান মাত্র। তাই তার বিকল্প ডেটিং, পর্ণোগ্রাফি বা অন্য কোনো কৃত্রিমতার মধ্যে সহজলভ্য নয়। কিন্তু সমাজে যতক্ষণ নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক অধরা থাকছে, ধর্ম ও সমাজনীতির নামে যৌনতাকে পাপাচার হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে, সতীত্বের ধারণার নামে একমাত্র বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের বাইরে নারী ও পুরুষের যাবতীয় চাহিদার অবদমন ঘটানো হচ্ছে, প্রাক বিবাহ যৌনতাকে অনুমোদন তো দূরের কথা, স্বাভাবিক যৌনশিক্ষার বিরোধিতা করা হচ্ছে ততদিন যৌনতার ক্ষেত্রে, আবেগগত প্রকাশের ক্ষেত্রে নানা কৃত্রিম পদ্ধতির আশ্রয়গ্রহণ চলবে। অনেকে বলবেন তাহলে আমেরিকা বা ব্রিটেনেও, যেখানে সমাজ নারী পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বা যৌনতার অনুমোদনের ব্যাপারে অনেক উদার, সেখানেও ডেটিং বা পর্ণোগ্রাফি জনপ্রিয় হয় কী করে? সেক্ষেত্রে এটাই বলার স্বাভাবিকতাকে স্বীকার করা মানে ভোগতৃষা নয় যেটা ঐসমস্ত দেশের পণ্যপূজক সমাজে তৈরি হয়েছে। সেখানে একটা অতিরেকের সংস্কৃতিকে (Culture of Excess) সমাজ ও সংস্কৃতির অন্তরালে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। কনজিউমার সোসাইটির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা যাঁরা, তাঁরা নিজেদের স্বার্থেই সেটাকে সমাজে চারিয়ে যেতে দেন। তাকে অতিক্রম করাও আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ। শুধু বলার এটাই, কোনো রক্ষণশীলতা দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় মেকি প্রগতিশীলতা দিয়েও। লিভ ইন করা বা না করাটাই এই মুহূর্তে বড় কথা নয়। লিঙ্গসাম্যযুক্ত, সহমর্মী, এবং অতিরেকহীন এক সমাজের জন্য পাশাপাশি প্রতীক্ষায় থাকাটাই বড় কথা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • লিঙ্গরাজনীতি | ১৪ জুন ২০২১ | ৩৩৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sandipan Majumder | ১৪ জুন ২০২১ ১৭:০৩494937
  • অগ্নিসাক্ষী  বানানটা  ভুল আছে। পোস্ট  করার  পর দেখলাম। 

  • Ranjan Roy | ১৪ জুন ২০২১ ১৯:৫১494943
  • পুরো লেখাটি আমার যথাযথ এবং গোছানো লেগেছে; অনেক ধন্যবাদ।

  • Sandipan Majumder | ১৪ জুন ২০২১ ২০:১৪494944
  • @Ranjan  Roy অনেক ধন্যবাদ  উৎসাহিত  করার  জন্য।

  • Neptune_Pluto | 119.3.***.*** | ১৬ জুন ২০২১ ০৭:৪৪494971
  • Where is the head and where is the tail of this article?

  • Sandipan Majumder | ১৭ জুন ২০২১ ০৭:৩৩494997
  • @Neptune -Pluto. They are there but in an inverted order.

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন