এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  অর্থনীতি

  • ত্রুটিপূর্ণ কৃষিনীতি ও তার পল্লবগ্রাহী বিরোধিতা -প্রথম পর্ব

    বিবেক সেন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৩৬৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • নয়া কৃষিনীতি ইদানিং চর্চা, বিতর্ক, বিরোধিতার কেন্দ্রে। তবে, সেপ্টেম্বর ২০২০-র অনেক আগেই আজকের কৃষিনীতির একটা খসড়া আলোচনা চলছিল। সে নিয়ে কথা না বলে বর্তমান নীতির কথায় যাওয়া মনে হয় সমীচীন নয়, সেই আলোচনা ব্যতিরেকে বিরোধিতার পরিসরও সঙ্কুচিত হয়ে যায়।
    যেমন ধরা যাক, ইন্ডিয়ান ইকনমিক অ্যাসোসিয়েশনের গত ডিসেম্বরে সুরাটের অরো বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রফেসর রমেশ চাঁদ, নীতি আয়োগ সদস্য, যা বললেন।
    ভারতে একবিংশ শতকে কৃষির সমস্যা ও লক্ষ্য বলতে গিয়ে তিনি যা দেখালেন সেটাকেই একটা ভিত্তি ধরে আমরা সরকারের নীতি আর বাস্তবতার পর্যালোচনা করতে পারি।

    অধ্যাপক চাঁদ দেখালেন যে ২০০৬-৭ থেকে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত কৃষি শিল্পের মধ্যে যে মূল্যানুপাত তা তীক্ষ্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এও দেখালেন যে কৃষিবিকাশ সে সময়ে যা ঘটেছে তাতে কৃষিপণ্যের মূল্যের অবদানই বেশি। কাজেই শিল্পবিকাশের স্বার্থে তাকে ভাবতে হল কীভাবে মূল্যবৃদ্ধি না ঘটিয়ে কৃষিবিকাশ ঘটানো যায় যেন সাধারণ ক্রেতার গায়ে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ না লাগে এবং কৃষকের উন্নতি করা যায়। আমরা পরে এই কৃষিশিল্প মূল্যানুপাতের প্রশ্নে বিশদে আসব। তবে একথা বলে রাখি অন্য প্রশ্নগুলো এড়িয়ে অধ্যাপক চাঁদ বললেন,
    ১। কৃষিতে বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, অভিনব পন্থা আর অপচয় রোধ করাটাই তাঁর কাছে এই সমস্যার উত্তর। আমাদের কৃষিতে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বীজ ব্যবহার না হওয়া অধ্যাপক চাঁদের কাছে আমাদের পশ্চাদ্‌পদতার অন্যতম একটি কারণ।
    ২।উন্নত দেশে কৃষিতে নির্ভরশীল জনসংখ্যার যে অনুপাত ভারতে তার চেয়ে অধিক অনুপাতে মানুষ কৃষিনির্ভর। এখানেও মূল সমস্যার ভেতরে না গিয়ে অধ্যাপক চাঁদ সমাধান দিলেন প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা আর আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। খাদ্যাভাসের প্রসঙ্গও এল তাঁর কথায়, ভারতীয়দের খাদ্যশস্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে উদ্‌বৃত্ত থেকে যাচ্ছে, অন্যদিকে প্রাণীজ প্রোটিন, ফল, সবজির বাজারে সেভাবে বিকাশ ঘটছে না।
    ৩।খাদ্যশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাবসিডি, সাহায্যমূল্য থাকায় জল, মাটি, সারের মতো মহার্ঘ্য সম্পদের অপব্যবহার ঘটছে। একদিকে তা অর্থনৈতিক ভারসাম্য যেমন ব্যহত করছে, পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট করছে।



    এরপর যা যা নীতিগত মতামত দেওয়া হয়েছে তাই আমরা বর্তমানে আইন হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। যদিও অধ্যাপক চাঁদ ব্যাখ্যা করেননি পূর্ববর্তী ব্যবস্থার পরিবর্তে তাঁর দেওয়া নীতি, সাহায্যমূল্য তুলে দেওয়া, কৃষিপণ্যের মূল্যানুপাত হ্রাস, কৃষিকে আইনগতভাবে মুক্তবাজারে নিয়ে আসা, কৃষিতে চুক্তিচাষ, জিন পরিবর্তিত বীজ, শিল্প হিসেবে মূলধনের প্রয়োগ কী করে কৃষকের, ভোক্তার বা পরিবেশের সমস্যা সমাধান করতে পারে।

    ২০১৭ সালেও কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা নিয়ে একটি নীতি আয়োগ প্রকাশিত পুস্তিকায় অধ্যাপক চাঁদ একই ভাবে সমস্যা ও সমাধানের এক বিপ্রতীপ দিক দেখিয়েছিলেন। কৃষকের আয় বৃদ্ধির দিক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন যথাক্রমে, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উপাদানের (মূলত শ্রমের) উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উচ্চমূল্যমানের ফসল চাষের বৈচিত্র্য আনা, নিবিড় কৃষি, কৃষিপণ্যের মূল্যানুপাত বৃদ্ধি, অকৃষি ও আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ইত্যাদি। কিন্তু নীতি হিসেবে আবারও উল্লেখ করা হয়েছিল সমস্ত নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে দেওয়া, মুক্তবাজার ব্যবস্থার প্রচলন, চুক্তিচাষ, বনসংরক্ষণ আইনের শিথিলীকরণ, আধুনিক বাজারব্যবস্থার মাধ্যমে ফসল বাজারজাত করা।
    নীতি আয়োগের এই অবস্থান থেকে বোঝা যায় সমস্যার প্রকৃত চিত্র ও সমাধান নয়, একটি বিশেষ নীতিকে গ্রহণের আগে তার জন্য সমর্থন সংগ্রহের জন্যই এই আধা-গবেষণামূলক লেখাগুলো লেখা হচ্ছিল। সমস্যার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরা হচ্ছিল না। কৃষির সাথে যুক্ত মানুষগুলোর আর্থিক, সামাজিক, মানবিক চাহিদা ও অধিকারের পরিবর্তে তাদের জাতীয় আয় উৎপাদনের একটা যন্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
    একথা সত্য যে ভারতে অকৃষিপণ্যের মূল্যের তুলনায় কৃষিপণ্যের মূল্য ২০০৬-২০১৭ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তার জন্য একাধিক কারণ রয়েছে। অধ্যাপক মহেন্দ্র দেবের নেতৃত্বে কৃষি দপ্তর সংগঠিত কার্যকরী কমিটি দেখিয়েছেন যে সাহায্যমূল্য বৃদ্ধিই এর একমাত্র কারণ ছিল না, বিশ্বব্যাপী শস্যের বাজারে মূল্যবৃদ্ধিও সেসময় ছিল। কৃষি উপাদান, যেমন শ্রমিক, খনিজ তেল, সার, বীজ, রাসায়নিক পতঙ্গনাশকের দাম—এসবও বেড়ে যাওয়া এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ।
    অধ্যাপক মহেন্দ্র দেব কমিটির প্রস্তাবগুলো আমরা পরে বলব। এখন দেখি এই কৃষিপণ্যের পক্ষে থাকা মূল্যানুপাত নিয়ে নীতি আয়োগের পক্ষে অধ্যাপক চাঁদ আর কী বললেন।
    ভারতে যেহেতু কৃষিক্ষেত্রে উদ্‌বৃত্তের উদ্ভব হয়েছে নীতি আয়োগ কৃষিজ পণ্যের রপ্তানিতে আগ্রহী। কিন্তু তাঁদের মতে, এক্ষেত্রে বাদ সাধছে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে কৃষিজ পণ্যের দাম। নীতি আয়োগ তার জন্য সরাসরি দায়ী করছে সাহায্যমূল্যকে। ন্যূনতম সাহায্যমূল্য এখনই তুলে দেওয়ার কথা নতুন আইন না বললেও নীতি আয়োগ কৃষি নিয়ে কিছু বললেই প্রথমে রাখছে এই প্রস্তাব।



    ন্যূনতম সাহায্যমূল্যকে এইভাবে বলির পাঁঠা করে খাড়া করে যে আলোচনা তা কতগুলো সমস্যার দিকে তাকাচ্ছে না বলে আমার মত। কেন, দেখা যাক।

    *প্রথমত, কতজন কৃষক এবং কতটা শস্য এর সুফল পান?*
    ইতিমধ্যেই সংবাদপত্রের আলোচনা থেকে প্রায় সকলেই জেনে গেছেন গত দুই বছরে ৪৭% সরকারি শস্য ক্রয় হয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে যা সামগ্রিক ক্রয়ের ২২%। সারা দেশে ২৫%-এর বেশি কৃষক ন্যূনতম সাহায্যমূল্য পায় না। এবং তাদেরও সামগ্রিক উৎপাদন নয়, ৪৫%-এর মতো এই সাহায্য পায়। যদিও কেন্দ্র ও রাজ্যের তালিকায় অন্য অনেক কিছুও রয়েছে, তবু এই সরকারি ব্যবস্থা হাতে-গোনা কয়েকটি পণ্যে সীমাবদ্ধ। অধ্যাপক মহেন্দ্র দেব দেখিয়েছেন প্রকৃতপক্ষে যেখানে সরকারি ক্রয় হয় সেখানেও ন্যূনতম সাহায্যমূল্য কৃষকদের অধিকাংশ পান না স্থানীয় নানান শক্তির প্রভাবে। অর্থাৎ সামগ্রিক বিচারে উৎপাদনের একটা সামান্য অংশই ন্যূনতম সাহায্যমূল্যে কেনাবেচা হয়।

    *দ্বিতীয়ত, কৃষকের আর্থিক অবস্থা কতটা ভালো এই ন্যূনতম সাহায্যমূল্য ব্যবস্থার কৃষির দিকে ঝোঁক থাকায় হয়েছে?*
    এক হেক্টর বা তার কম জমির কৃষকের বার্ষিক আয় কৃষি, পশুপালন, মজুরি খাটা, অন্যান্য ব্যাবসা ধরে ৫৫ হাজার টাকা, সেখানে দশ একরের বেশি জমির মালিক কৃষক আয় করেন সাড়ে চার লাখ। আর প্রায় ৭০% কৃষকের জমি এক হেক্টর বা তার নীচে, ৮৬%-এর জমি ২ হেক্টর বা তার নীচে। ভারতের কৃষিতে জিনি গুণাঙ্ক অত্যন্ত চড়া। রাজ্যভিত্তিক আয়ের তুলনাতেও দেখি বিহার বা পশ্চিমবঙ্গের কৃষক পরিবারের গড় আয় যেখানে ৪৪/৪৮ হাজার, পাঞ্জাবে তা দুই লক্ষের ওপরে। এনএসএসও-র হিসেবে ৫২% কৃষক পরিবার অন্তত, ৪৭ হাজার টাকার ঋণে চলছেন, যা তাঁদের বাৎসরিক আয়ের চেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞ দেবেন্দ্র শর্মা মনে করিয়েছেন যে এই তথ্য নীচের দিকের সংখ্যা দেখাচ্ছে, বাস্তব আরও বড়ো সংখ্যা দেখাবে। মনে করাচ্ছেন যে গত দশ বছর কৃষকের আয় কৃষি থেকে প্রায় কিছুই বাড়েনি।

    *তৃতীয়ত, ভারতের কতটা খাদ্যশস্য রপ্তানি বাড়াবার সুযোগ রয়েছে?*
    এর উত্তর: প্রায় নেই। প্রতিটি দেশেই কোনো না কোনো ভাবে কৃষিতে সাবসিডি রয়েছে, তার ফলে এখনই ন্যূনতম সাহায্যমূল্য বন্ধ করে দিলেও অন্য দেশে রপ্তানি করা যাবে এমন নয়। তা ছাড়াও যতটুকু কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট পণ্য ভারত রপ্তানি করে তাতেই ভারত পৃথিবীতে সর্বোচ্চ পরোক্ষ জল রপ্তানিকারক, অথচ ভারতের গ্রাম ও শহরে তীব্র পানীয় জলের অভাব ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে। অর্থনীতির মাত্র ১৫% আয় কৃষি থেকে হয় বলে কৃষিকে ছোটো করে দেখানোর প্রবণতা রয়েছে আমাদের মধ্যে, কিন্তু ৪০% মানুষ এর মাধ্যমেই বেঁচে আছে। আর জাতীয় আয়ের ১৫% কৃষি উৎপাদনের অংশ বলার অর্থ আমাদের খরচেরও ১৫%-এর মতো কৃষিজ ও সহকারী পণ্যে ব্যয় হয়, ৮৫% অকৃষি পণ্যে। কাজেই কৃষিশিল্প মূল্যানুপাত কৃষির দিকে হেলে গেলে হায় হায় করাটা দৃষ্টিবিভ্রম ও রাজনৈতিক অবস্থান। অর্থনৈতিক মূল্যায়ন নয়।
    ন্যূনতম সাহায্যমূল্যের কারণে শস্যের দাম স্বাভাবিক বাজারদরের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে আছে, এর কোনো গাণিতিক প্রমাণ নেই। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারদরের চেয়ে যে বেশি নয়ই তা সাইনি ও গুলাতির গবেষণা থেকে কয়েক বছর আগে বেরিয়ে এসেছে।

    *চতুর্থত, দাম বাড়লেও খাদ্যশস্যের চাহিদার ওপর তার প্রভাব কতটা ?*
    আরও একটা সমস্যা দেখা যাবে যখন আমরা খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিস্থাপকতা দেখব। দাম বাড়লেও খাদ্যশস্যের চাহিদার ওপর তার প্রভাব পড়ে কম। কাজেই দেশীয় বাজারে খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎপাদন বৃদ্ধি করলে দাম কমে বেশি বিক্রি হবে আর আয় বাড়বে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।



    এই তথ্যগুলোর বিচারে বলা যায়, নীতি আয়োগের কৃষি, কৃষক ও কৃষিপণ্য মূল্য নিয়ে যে ধারণা তা অত্যন্ত মায়োপিক। আমাদের কৃষির সমস্যা সমাধানের জন্য নয়, শুধুমাত্র কৃষিপণ্য বাজারে কিছু অ্যাগ্রিগেটরকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য এই আইন করা হয়েছে। নতুন আইন কোনো সমাধানই নয়। তেমনি এখনই এর জন্য কৃষকের ভয়ানক সর্বনাশ হয়ে যাবে এমনও নয়। আবার ফড়ে বলে যে সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তারা ভয়ানক অপরাধ করে যাচ্ছে তাও নয়। এটা ঠিক মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়েরা ভোক্তা যে মূল্য পণ্যের জন্য দেয় তার ১০-৭০% বিভিন্ন পণ্যের জন্য পেয়ে থাকে। কিন্তু এই ব্যবস্থা একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে জন্ম নিয়েছে। অর্থনীতিতে কিছু ভূমিকা এরা পালন করেছে, তা নানা কারণে কৃষকের পক্ষে যায়নি। যতক্ষণ না সেই প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হয় মধ্যস্বত্বভোগী থাকবেই, তা সে ধুতি পরা গ্রাম্য হোক আর কর্পোরেট সংস্থাই হোক। এই মুহূর্তে কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বাজারজাত করা শুরু হলে খুব দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, পণ্যসংগ্রহের জন্য কর্পোরেটকে সেই ফড়েদের ওপরেই নির্ভর করতে হবে।
    নীতি আয়োগের আলোচনায় আরও যা লক্ষ করা হয়নি তা হল অকৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ। ভারতের অর্থনীতির যা চেহারা তাতে একে লুম্পেন অর্থনীতি আখ্যা দেওয়াই যায়। কৃষিতে অবাঞ্ছিত শ্রমিক বা এরপর উপার্জন হারানো ফড়ে (ধরে নিলাম হবে) কোথায় যাবে? গ্রামে শুধু নয়, আমাদের শহরেও লুকোনো রয়েছে বেকারত্ব। এসব দেখেও না দেখার ভান করা কৃষিনীতি ও তার ওপর ওপর বিরোধিতা আসলে নিজেদের সামগ্রিক ব্যর্থতা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা, সরকারের এবং বিরোধী পক্ষের।

    সূত্রঃ
    Ramesh Chand, Member, NITI Ayog, Transforming Agriculture for Challenges of 21st Century, Presidential address in the 102nd annual conference of Indian Economic Association, December 2019.

    Doubling Farmers' Income Ramesh Chand, NITI Policy Paper No 1/2017, March 2017

    Reorienting the Role and Restructuring of Food Corporation of India (FCI) Report of the HLC under the Chairmanship of Shri Shanta Kumar

    Price Distortions in Indian Agriculture Shweta Saini and Ashok Gulati 2017 The World Bank Studies Series

    FARMERS’ INCOME IN INDIA: A STUDY SUBMITTED TO MINISTRY OF AGRICULTURE BY THIAGU RANGANATHAN 2015

    REPORT OF THE SUB-COMMITTEE ON AGRICULTURE AND ALLIED SECTORS GOVERNMENT OF INDIA CENTRAL STATISTICS OFFICE Ministry of Statistics and Programme Implementation NEW DELHI 2014
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৩৬৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০১ অক্টোবর ২০২০ ০০:৪৭97870
  • জরুরী লেখা। 


    সত্যি কথা, সরকার সমর্থন মূল্য তুলে দিতে চাইছে এবং বড় হাউস গুলোর  লাগামছাড়া হোর্ডিংএর সুবিধে করে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আন্দোলন। যদি এই বিলগুলোতে সমর্থন মূল্যের নীচে ফসল কেনা যাবেনা এবং কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং এ সরকার গ্যারান্টি থাকবে ( যেমন এমএসএমই'ঢ় ব্যাংক লোনে হয়েছে) এমন ধারা যুক্ত হত তাহলে আন্দোলন হত না।


    আসল কথা ষাটের দশকের শেষে  সবুজ বিপ্লবে যখন অর্গানিক সার ও ট্র্যডিশনাল বীজধানের পরিবর্তে  উচ্চফলনশীল বীজ ,ফার্টিলাইজার ( সুপার ফসফেট ইউরিয়া পটাশ ইত্যাদি) এবং তার সঙ্গে পেস্টিসাইডের ব্যবহার শুরু হল তখন উৎপাদন ব্যয় গেল বেড়ে। তাতে চাষী যাতে গড়পড়তা ব্যয়ের চেয়ে কমদামে ফসল বেচতে বাধ্য না হয় তার জন্যে কৃষি মূল্য সম্পর্কিত কমিশনের সুপারিশে এল ন্যুনতম সমর্থন মূল্য বা এমএসপি। স্বামীনাথন কমিশনও বর্তমান বাজারদরের হিসেব করে নতুন এমএসপি ( ব্যয়ের ১৫০% ) ঘোষণা করতে বলেছেন । সরকারের টালবাহানার কারণে গত কয়েকবছর ধরে চাষিরা পথে নামছে।

  • | ০১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫৫97900
  • তুলি 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন