এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • #JusticeForJeyarajAndFenix

    Sabyasachi Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ জুন ২০২০ | ৪৯৭০ বার পঠিত
  • আজকে ট্যুইটার খুললে দেখা যাবে অল ইন্ডিয়ায় এক নম্বর ট্রেন্ডিং #JusticeForJeyarajAndFenix
    খোদ রাহুল গান্ধী থেকে ভিশাল দাদলানি পর্যন্ত এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে ট্যুইট করেছেন। এই ট্রেন্ডিংয়ের পিছনে মূল কারণটা জানা দরকার। ১৯ জুন তামিলনাড়ুর সাথানকুলাম থানার পুলিশ ৫৯ বছর বয়স্ক পি. জয়রাজ এবং তাঁর ছেলে; ৩১ বছর বয়স্ক জে. বেনিক্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে। অভিযোগ কী ছিল? লকডাউনের মাঝে তাঁরা নিজেদের দোকান খুলেছিলেন। তামিলনাড়ুর একটি সংবাদ সংস্থা দ্য ফেডারেল জানাচ্ছে; বেনিক্সের এক বন্ধু ওই দিন রাতে থানায় হাজির ছিলেন। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী সেদিন সারা রাত জুড়ে বাবা এবং ছেলের আর্ত চিৎকার এবং সাহায্যের আকুতি শোনা যায়। তার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ৫০০ মিটার দূর অবধি সেই আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।
    এরপর ২০ জুন তাঁদের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী জামা কাপড় ছেঁড়া, বিধ্বস্ত অবস্থায় তাঁরা থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের মলদ্বার থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সকাল সাতটা থেকে দুপুর বারোটার মধ্যে তাঁরা সাতবার পরনের লুঙ্গি বদলান; কারণ প্রবল রক্তপাতে তাঁদের লুঙ্গি ভিজে যাচ্ছিল। এরপর জয়রাজ এবং বেনিক্সকে একটি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই থানার ইন্সপেক্টরের জোরাজুরিতে ডাক্তার তাঁদের দুজনকে "ফিট" বলে ঘোষণা করেন। তারপর তাঁদের দুজনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের ক্রমাগত হুমকির কারণে তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সত্যি ঘটনা বলতে পারেননি।
    এরপর ২২ জুন তাঁরা দুজনেই ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের কোভিলপাত্তি জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। বেনিক্স ওইদিনই মারা যান। পরের দিন সকালবেলা বেনিক্সের বাবা জয়রাজ মারা যান।
    এরপরেই গোটা তামিলনাড়ু জুড়ে প্ৰতিবাদ শুরু হয়। সাধারণ বুদ্ধিতে এটাই বোঝা যায় যে পুলিশ কাস্টডিতে পুলিশ বাবা এবং ছেলেকে চরম অত্যাচার এবং ধর্ষণ করে; যার ফলে দুজনেই মারা যায়। অভিযুক্ত অফিসারদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ লক্ষ টাকা "ক্ষতিপূরণ" ঘোষণা করেছেন।

    কী ভাবছেন? বিচ্ছিন্ন ঘটনা? না। একদমই নয়। পুলিশি অত্যাচারে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর গোটা বিশ্ব যখন তোলপাড়; তখন পুলিশি নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেই। আসুন, একটু পরিসংখ্যানে চোখ বোলাই।
    এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এর প্রকাশিত একটি তথ্য বলছে ১ এপ্রিল, ২০১৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ পর্যন্ত কাস্টোডিয়াল ডেথের সংখ্যা ১৬৭৪। যার মধ্যে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে ১৫৩০ এবং পুলিশ কাস্টডিতে ১৪৪ জন মারা গেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারতবর্ষে কাস্টোডিয়াল ডেথের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান মোতাবেক ২০১০ থেকে ২০১৫ র মধ্যে মোট ৫৯১ জন পুলিশ কাস্টডিতে মারা গেছেন। এর মধ্যে অনেকের মৃত্যুর ক্ষেত্রেই মৃতের পরিবার পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন। অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ সেগুলোকে আত্মহত্যা, স্বাভাবিক মৃত্যু ইত্যাদি বলে দাবী করেছে। সংসদে পেশ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে; ২০১৯ অবধি শেষ তিন বছরে ভারতে ৫৪০০-রও বেশি কাস্টোডিয়াল ডেথের ঘটনা ঘটেছে; যার মধ্যে সবথেকে উপরে আছে যে রাজ্যটি; হ্যাঁ, একদম ঠিক ধরেছেন; সেই রাজ্যটি হল উত্তরপ্রদেশ। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৩ থেকে ২০১৬ অবধি ৩১৮৪৫ টি কাস্টোডিয়াল ডেথের ঘটনা তারা রেকর্ড করেছে। আর রাজনৈতিক বন্দীদের কথা না বলাই ভালো। তাঁদের জীবন মোটামুটি বিচারাধীন অবস্থাতে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে থাকতে থাকতেই শেষ হয়ে যায়।

    পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই। বাংলার পুলিশের ওপরেও বহুবার পুলিশি হেফাজতে অত্যাচার করে অভিযুক্তকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক কালের একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। খোদ কলকাতায়, ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। সিঁথির এক ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউকে পুলিশ চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি হেফাজতে থাকার সময়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার অভিযোগ করে পুলিশি নির্যাতনেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে, একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিঁথি থানার তিনজন অফিসারকে ক্লোজ করা হয়।
    ১৯৯৭ সালে ডি.কে.বসু বনাম স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পুলিশকে একটি নির্দেশিকা বেঁধে দেয়। যা পরে সিআরপিসি অর্থাৎ কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু বারবার অভিযোগ ওঠে যে পুলিশ সেই নির্দেশিকা মেনে চলছে না। ওই নির্দেশিকা মোতাবেক কাউকে গ্রেপ্তারের সময়ে পুলিশ একজন নিরপেক্ষ সাক্ষীকে তারিখ, সময় সবকিছু পরিষ্কার করে লিখে একটি মেমো দেবে। তার নীচে যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তিনি স্বাক্ষর করবেন। যিনি গ্রেপ্তার হচ্ছেন; তাঁর নিকটতম আত্মীয়কে গ্রেপ্তারের খবর এবং গ্রেপ্তারের স্থান অবশ্যই জানাতে হবে। গ্রেপ্তারের পরে থানায় নিয়ে এসে ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। আগে থেকে কোনও আঘাত লেগে থাকলে সেগুলি ডাক্তারের কাছে নথিভুক্ত থাকবে। তা বাদে সমস্ত শারীরিক অত্যাচারকেই পুলিশি নির্যাতন হিসাবে ধরা হবে। কাউকে গ্রেপ্তার করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে। এই সমস্ত কার্যপ্রণালী অনেক সময়েই পুলিশ এড়িয়ে যেতে চায়; যার ফলে পুলিশি হেফাজতে অত্যাচার আরও সহজ হয়ে যায়। সর্বোপরি, অধিকাংশ মানুষ এই নিয়ে সচেতন না হওয়ায় পুলিশ তার পুরো ফায়দা তুলতে পারে।

    আপনি সিনেমা দেখে ভাবতেই পারেন পুলিশ হিরো। তারা লকআপে অভিযুক্তকে পিটিয়ে সত্যি কথা বার করে। "এনকাউন্টার" করে অপরাধীকে মেরে ফেলে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করে। কিন্তু জেনে রাখুন; ভারতবর্ষের আইন মতে এসবই বেআইনি। যতই স্বঘোষিত লিবারাল বন্ধুরা লকডাউনে বাইরে বেরোনো মানুষের ওপর পুলিশি লাঠিচার্জ সমর্থন করুন না কেন; আর যতই হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টারে ন্যায়বিচার হয়েছে ভাবুন না কেন; সত্য তাতে বদলায় না। পুলিশি হেফাজতে কারও গায়ে হাত দেওয়ার, বিন্দুমাত্র অত্যাচার করার অধিকার পুলিশের নেই। কখনও নেই, কোনওদিন নেই, কোনও অবস্থাতেই নেই। পুলিশি হেফাজতে অত্যাচার আইনত অপরাধ। আইন মোতাবেক তার জন্য পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার হয়, অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি হয়। মানবাধিকার কর্মীরা যখন বারবার পুলিশি নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কিংবা পুলিশকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন; তখন যাঁরা এই ভেবে নিশ্চুপ থাকেন যে- পুলিশ যাদের ওপর অত্যাচার করেছে তারা সব ঘৃণ্য অপরাধী; তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করেছেন। কোনদিন হয়তো দেখলেন আপনি নিজেই এরকম কোনও ঘটনার সম্মুখীন। যে কোনও অবস্থায়; পুলিশি নির্যাতনের বিরোধিতা করুন। জেনে রাখবেন; আইনত সেটাই সঠিক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৬ জুন ২০২০ | ৪৯৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ২৬ জুন ২০২০ ২৩:৩৯94643
  • লেখার সাথে সহমত। কোন যুক্তিতেই এ বীভৎসতার পক্ষে দাঁড়ানোর জায়গা নেই।

  • পারমিতা | 1.23.***.*** | ২৭ জুন ২০২০ ০০:৪৭94647
  • তামিলনাড়ুতে রাস্তায় বেরোলেই ফাইন করছে পুলিশ আমার কাছে সেই ফাইনের স্লিপ এর ছবি আছে।
  • ar | 71.174.***.*** | ২৭ জুন ২০২০ ২০:৫১94660
  • "১৯ জুন তামিলনাড়ুর সাথানকুলাম থানার পুলিশ ৫৯ বছর বয়স্ক পি. জয়রাজ এবং তাঁর ছেলে; ৩১ বছর বয়স্ক জে. বেনিক্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে। অভিযোগ কী ছিল? লকডাউনের মাঝে তাঁরা নিজেদের দোকান খুলেছিলেন।"

    লকডাউনের সময়্সীমার পরে অতিরিক্ত দশ থেকে তিরিশ মিনিটের মতন দোকান খোলা রেখেছিলেন। (reddit)। পুলিশের তরফে সতর্ক করে দেওয়ার পরে বাবা ও ছেলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।

    "On 18 June, policemen on patrol had warned stern action against Jayaraj and his son as they had kept their shop open beyond the stipulated timings as dictated by the state government during the lockdown. The two immediately shut shop and returned to their home."

    https://www.thequint.com/news/india/custodial-death-tamil-nadu-sathankulam-thoothukudi-police-brutality-jayaraj

    "P Jeyaraj, 58, and his son Fenix, 38, were arrested for allegedly keeping their stores open past permitted hours"

    https://www.bbc.com/news/world-asia-india-53202707

    "Jayaraj and Fenix were one amongst the general public, ordinary middle-class individuals who were tortured and allegedly killed in police custody for one violation - keeping their mobile store open beyond the permitted time during the coronavirus lockdown".

    https://www.indiatoday.in/india/story/tamil-nadu-custodial-deaths-justice-for-jayaraj-fenix-tuticorin-protest-all-you-need-to-know-1693158-2020-06-26
  • ar | 71.174.***.*** | ২৭ জুন ২০২০ ২০:৫১94661
  • "১৯ জুন তামিলনাড়ুর সাথানকুলাম থানার পুলিশ ৫৯ বছর বয়স্ক পি. জয়রাজ এবং তাঁর ছেলে; ৩১ বছর বয়স্ক জে. বেনিক্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে। অভিযোগ কী ছিল? লকডাউনের মাঝে তাঁরা নিজেদের দোকান খুলেছিলেন।"

    লকডাউনের সময়্সীমার পরে অতিরিক্ত দশ থেকে তিরিশ মিনিটের মতন দোকান খোলা রেখেছিলেন। (reddit)। পুলিশের তরফে সতর্ক করে দেওয়ার পরে বাবা ও ছেলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।

    "On 18 June, policemen on patrol had warned stern action against Jayaraj and his son as they had kept their shop open beyond the stipulated timings as dictated by the state government during the lockdown. The two immediately shut shop and returned to their home."

    https://www.thequint.com/news/india/custodial-death-tamil-nadu-sathankulam-thoothukudi-police-brutality-jayaraj

    "P Jeyaraj, 58, and his son Fenix, 38, were arrested for allegedly keeping their stores open past permitted hours"

    https://www.bbc.com/news/world-asia-india-53202707

    "Jayaraj and Fenix were one amongst the general public, ordinary middle-class individuals who were tortured and allegedly killed in police custody for one violation - keeping their mobile store open beyond the permitted time during the coronavirus lockdown".

    https://www.indiatoday.in/india/story/tamil-nadu-custodial-deaths-justice-for-jayaraj-fenix-tuticorin-protest-all-you-need-to-know-1693158-2020-06-26
  • dc | 103.195.***.*** | ২৭ জুন ২০২০ ২২:৩৮94663
  • "তামিলনাড়ুতে রাস্তায় বেরোলেই ফাইন করছে পুলিশ"

    ইয়ে এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। এখনও স্কুটারে বেরনো যাচ্ছে, গাড়িও একটু ভেতরের রাস্তায় চালালে অসুবিধে হচ্ছে না। মেন রোডগুলোতে কড়াকড়ি হচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন